এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঢাকাঢুকি আড্ডা

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৬ এপ্রিল ২০১৩ | ১২৭৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kahiptasha | 215.174.22.27 | ১৪ জুলাই ২০১৫ ০০:৪২601621
  • নব্বইয়ের আঁতেলদের সঙ্গে দহরম মহরম ছিল আমার মন্দ না।
    বুদাগুর দুর্বোধ্য থেকে টিন্টো ব্রাসের সোজাসাপটা, নন্দন এক থেকে টালিগঞ্জ ফাড়ির বাংলু
    টাইটানিকের না দেখা শো থেকে বাটার মোড়ের শুকতলা,
    আঁতেলে বলে কি আর পার্সোনাল লাইফ নেই নাকি একটা?
    অমলকান্তির মত আমিও আঁতেল হতে পারলাম না, দুঃখ আছে বৈকী, তবে ক্ষতি বিশেষ হয় নি,
    কিন্তু সেই ম্যাজিকেল নব্বই, আঁতেলদের সঙ্গে কিন্তু দহরম মহরম ছিল আমার, মাকালীর কিরে।

    আজকাল সব ছন্নছাড়া হয়ে গেছে, রক্তচাপ, ক্ষুধামান্দ্য, সংসার, এমনকী যৌন সততা পর্যন্ত, রাতে ঘুম নাই, বাটামের ভয় আছে না?
    কিন্তু সে যাই হোক, এইসব শূণ্য দশক একের শতক এইসবই কিন্তু গাপ হয়ে ছিল নব্বইয়ের ভাঁজে।
    দহরম মহরম ছিল বাপু, তাহাদের সাথে। সাতে পাঁচেই ছিল সব, নয়ে ছয়ে, বাহান্ন তিপ্পান্নতেও ছিল সব বাইপাসের ধারে ভুট্টাপোড়ার সাথে দুইটি ছিলিম।
    জানি বস, গাঁজা খেলেই কি আর আঁতেল হওয়া যায়, পেটে বিদ্যে থাকতে হয়, তবে তখন কিনা ছোটোটি ছিলাম, তাই।
    তাছাড়া আমি তো আর প্রত্যক্ষ আঁতেল নই, আমি জাস্ট দহরম মহরম।

    এখন অনেকেই ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। ধারকর্য করে অন্যদের টরেটক্কা সঙ্কেত করি
    ধারকর্জ, এই যেমন ব্যানাল পদ্য, শব্দের মালিক না হলেও ধার তো আছেই
    লেভেল ক্রসিং হার্টক্রেন এইসব। টরেটক্কা সঙ্কেত পাঠাই, পদ্য লিখি এখানে ওখানে
    ইউক্যালিপ্টাসের পাতা, ভেজাল দিই এদিক ওদিক, একপাতায় ছপিয়ে দিই টরেটক্কা,
    ক্যাপ্টেন স্পার্ক হলে ধরে ফেলতো ঠিক, বুঝে নিত সন্ধ্যে নামার ঝোঁকে
    জনবহুল শরতলির সাইকেলরিক্সাসঙ্কুল পথের কোনাখামচি ঘেঁষা
    ভুলভাল কোড। জানেন তো, দহরম মহরম ছিল কিন্তু।
    যুগসন্ধিক্ষণ বস, নব্বইয়ের ঘনঝঞ্ঝা, মত্ত দাদুরী আর বইপত্তরের খোঁজে গুচ্ছ জটিলতা, রেলস্টেশনের ফটাশজল আর সুমন চাটুজ্যের একঘেয়ে সুর, এছাড়াও টুকিটাকি, সেসব নিয়ে শক্তি চট্টো লিখেছেন। ব্যানাল পদ্য।
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ২৩ জুলাই ২০১৫ ২২:৩৩601622
  • ঝালাপালা রোদ হোক চাঁদি ফাটা মাথায় বারান্দা টুপি
    ঠান্ডা বীয়ারগুলি পরিপাটি বরফের কোলে
    মাথায় আড়াল চাই, কোলে যেন ছায়া থাকে
    ছাপার অক্ষর দেখা খুবি চাপ এরকম রোদে
    নিকোটিন ছোপ চাই, অসংখ্য সিগারেট স্টকে
    তবে বুকে যেন দম থাকে হাঁপ ধরে লাট খেতে চাই না মোটেই।
    রোদ চশমায় যেন পরিপাটি আবছায়া থাকে
    নরম সুতির জামা, ফুলছাপ, সেটা তো হতেই হবে
    মাঝে মাঝে হাওয়া দেবে, জোলো হাওয়া সে নদী বা পুকুর
    কিংবা সমুদ্র হলে তো চমৎকার, সত্তরের গান
    হাসিখুশি লোকজন দেখতে ভালোই লাগে
    হাতে বই থাকলেই কি সারাক্ষণ পড়তে হবে নাকি
    মাঝে মধ্যে হাওয়া দেবে, মাঝে মধ্যে মনে পড়বে
    যে সমস্ত লোকজন এইরকম চমৎকার আবহাওয়া না দেখেই
    আচমকা চলে গেল, এই দৃশ্যে যদিও খুব মৃত্যু বেমানান।
    অফুরন্ত বীয়ার আছে বরফের কোলে
    আছে বইপত্র আঙুলে নিকোটিনের ঘ্রাণ, সৈকতে কলরব
    হাসিখুশি লোক দেখতে কি চমৎকার লাগে।
    ছাই ফেলার জন্যে একটা ছোট শিশি নিতে ভুলিনি কিন্তু
    এই চমৎকার দৃশ্যপটে।
    এই চমৎকার দিনটিকে পদ্য বলে মানতে না পারলে
    নাহয় প্রর্থনাসঙ্গীতই করে দিই। পূর্ন করো হে ভগবান
    এইরকম কিছু আরকি। অবসরে নিকোটিনে আর মৃদুমন্দ জোলো হাওয়া
    ঠান্ডা বীয়ারে চুমুক, সাত পাঁচ গল্পের বই, যারা এই চমৎকার
    আবহাওয়া দেখতে পাচ্ছে, তাদের দিকেই মন দেওয়ার চেষ্টা করি
    আনমনে একটু যেন স্মৃতি আর শীত বয়ে যায়। তবে
    এই দৃশ্যে কতই জীবন।
    এই সবই ইতস্তত কথা।
  • sosen | 50.128.208.34 | ২৪ জুলাই ২০১৫ ১০:১৩601623
  • আহ। জুড়িয়ে গেলো।
  • de | 24.139.119.174 | ২৪ জুলাই ২০১৫ ১১:২৯601624
  • আহা! বড় ভালো!
  • dd | 116.51.131.24 | ২৪ জুলাই ২০১৫ ১৪:১২601625
  • ইয়েস,ইয়েস।
  • san | 11.39.34.114 | ২৫ জুলাই ২০১৫ ১০:২৮601626
  • এইটাও ভারি ভাল
  • pi | 192.66.14.68 | ২৭ জুলাই ২০১৫ ০০:০৬601627
  • 'যে সমস্ত লোকজন এইরকম চমৎকার আবহাওয়া না দেখেই
    আচমকা চলে গেল, এই দৃশ্যে যদিও খুব মৃত্যু বেমানান।.....

    যারা এই চমৎকার
    আবহাওয়া দেখতে পাচ্ছে, তাদের দিকেই মন দেওয়ার চেষ্টা করি'...

    কতবার এই লাইনগুলো পরপর পড়ে চলেছি।

    জমিয়ে পড়বো বলে রেখে দিয়েছিলাম। টই নেমে যাচ্ছে দেখে তড়িঘড়ি পড়ে ফেল্লুম। ভাগ্যিশ।
  • aranya | 154.160.226.96 | ২৯ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৩601628
  • দারুণ সব লেখা
  • rabaahuta | 77.191.245.247 | ০৯ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৩৩601629
  • অপরাধ নিচ্ছেন, তা নিন। আমি কিন্তু এইসব লিখতে চাইনা আসলে। এইসব প্রেমট্রেম, বয়ঃসন্ধিকালীন, মান অভিমান পিয়াবিনাপিয়াবিনা, একাকী বনভূমি এইসব, মোটেইনা। আমি লিখতে চাই গরম ভাতের গন্ধ, অস্ত্র সামাল, সিনেমার মত তারকাঁটা উপড়ে ফেলে মেশিনগানের একশো আটবার, মানবজাতি তোমরা লক্ষী হও, কেন মিথ্যে মরে যাচ্ছে মানুষ, যুদ্ধনয় শান্তি চাই, তোমার পতাকা, আস্তে লেডিজ কোলে বাচ্ছা, এইসব যার ভেতরে একটা কিনা বার্তা আছে, একটা কিনা অন্তেবাসীর প্রতি আহ্বান এইসব। কিন্তু অপরাধ নিলেই বা কি করা, এই যে এখন সারা দুপুরে আঙুল খরখরে মাথা ঢিলেঢালা কিন্তু কেবলই যে ব্যক্তিগত খেয়াল।
    এমনিতে প্রেমট্রেম ভালো জিনিস, তা ধরুন চমৎকার ভালোবাসাবাসি যদি চারদিকে হয়, তবে হয়তো মানুষ এইসব ভুলে যেতেও পারে, কোথায় খুঁটি পুঁটে সীমানা দিতে হবে, কোন মানুষের পিছু নিয়ে গিয়ে পুঁতে ফেলতে হবে তার যত্নলালিত শরীর।
    কিন্তু স্লোগান না লিখলে তাও কি হবে, মনে তো হয় না। একটা কিছু বার্তা লেখা দরকার, মানবজাতি এক হও, রক্তের থেকে খাদ্যের গন্ধ ভালো কিংবা চাপাতির থেকে ফজলি আমের কলম কিংবা এমনকি হয়তো নিশানের লালের চেয়ে প্রেমিকার ঠোঁট, অথবা আগলা স্টেশন ভবানীপুর প্ল্যাটফর্ম বাঁয়ে তরফ। স্লোগান না দিলে কি আর ভালোবাসবে মানুষ? বোঝা যাচ্ছে না ঠিক।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০০:৩৩601631
  • আমাদের ছোট নদী।
    ---------------------

    উপকন্ঠ- কি সুন্দর শব্দটা, নয়?
    শক্তপোক্ত কাঠের ব্রীজে অন্যপারে
    এমনি ছোট গাড়ি ঘোড়া তেমন যায়না
    সাইডে আবার খুপচি মতন
    দাঁড়িয়ে তাতে জল দেখা যায়
    জলের ঘুর্ণি জলের ছায়া ঘোলা জলের আবর্জনা
    অন্য অন্য জনপদের বাতিল ডাইরী
    বাঁধের পাশে ইরিগেশন অফিসটুকু
    মোটা লোহার পাইপ এসেছে জলের দিকে
    বিকেলবেলা আড্ডাখানা অনেক লোকের
    একটু একটু ক্ষয় পাওয়া লোক
    পাজামা আর হাফহাতা শার্ট
    ছোটই জীবন কিন্তু অনেক রাজাউজির
    অন্য পারে একটু নজর, গুড়ের আড়ত
    বিড়ির দোকান গঞ্জে বাজার, খাতা লেখা
    পরীক্ষা দেয় তাদের মধ্যে দু চারজনে
    দূরের দিকে চাকরী বাকরী
    দুয়েকজনের নাটক নভেল, রূপছায়া হল
    এমনভাবে ক্ষয় পাওয়া লোক বাঁধের কাছেই
    তাদের বাড়ি। অন্য পারে ব্রীজ পেরিয়ে
    হঠাৎ করেই শহর কমছে ঝুপসি ছায়া
    বাঁশের বন, কাঁঠাল বৃক্ষ
    মাটির বাড়ি দরমা বেড়া ছাগল ছানা
    লক্ষীমন্ত স্টিরিও স্পিকার আ চৈ চৈ
    হাঁসের ছানা হেলতে দুলতে। সন্ধ্যে নামে
    আকাশপ্রদীপ, অন্য পারে টাউন শহর
    আকাশ জোড়া আবছা আলো
    জুড়তে জুড়তে গঞ্জ শহর
    নদীর ওপর শক্তপোক্ত কাঠের ব্রীজে
    পার হয়ে যায় উপকন্ঠের জনমানুষ।
  • rabaahuta | 215.174.22.26 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০০:৪২601632
  • আমরা চিনি না তাকে
    নাম তার অন্যতর
    চেহারাটা অচেনা রকম
    পদবীও কেমন মজাকি

    ছিরি ছাঁদ মেলেনা কেমন
    ঘাড়ে তার উল্কি লেখা
    কি খায় সে কখন সে খায়
    কি ভাবে তাও তো বলে না কিছু
    এসব অসৈরন ভাব।

    সে কেন রাস্তা হাঁটে
    কেন সে রাত্রে ফেরে
    কার কাছে ফেরে
    কেন সে তাকিয়ে থাকে
    বৃক্ষ বা দালান কোঠা দেখে

    কেন তার চেহারা অন্যমত
    কেন তার নামটি অচেনা
    কেন তার ছিরি ছাঁদ
    বেখাপ আমার পাড়া ছেঁচে

    কি জানি কি ভাষা তার
    আমার মতন তার সুর নয়
    অন্যমত অন্যমতে চলে
    কোন সুরে কে জানে সে গায়।

    আমরা চিনি না তাকে।

    সে নেহাৎ অচেনা বিদেশী।
  • একক | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০১:০৬601633
  • আমি প্রেম লিখতে চাই । খুব মনে করার চেষ্টা করি সেই মেয়েটিকে যে অকারণ লাইব্রেরিতে একই বই বারবার তুলতে আসতো । তার ঠোঁটের পাশে জরুল মনে পরে । তাতে হালকা রোম ছিল না ? ভাগ্যিস হাত দিয়ে দেখিনি । পকেটে হাত লুকিয়ে রাখি । যেভাবে আততায়ী লুকোয় অস্ত্র । কোনো মুখ মনে পরেনা । বা শরীর । জরুরি রাত্রে । কিন্তু চামড়া মনে পরে । উরুর সোনালী রোমে সরস্বতী পুজোর রোদ্দুর । গন্ধ মনে পরে । শব্দ মনে পরেনা । তাই কবিতা হলনা । রং হলো । বর্ণ হলো । তালব্য শ এর কষ ফেটে রক্তের দাগ । মূর্ধন্য দেখলেই হালকা চেটে দিতে ইচ্ছে যায় কন্ঠা বরাবর । কেও হাত চেপে ধরে বুকে । আর পাথর হয়ে যায় । ওহ মিডাস । অন্তত ভাত খাওয়ার বেলা তো ছুটি চাইলে পারতে ।
  • ব্যানাল পদ্য | 77.191.245.247 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৯:৩৩601634
  • আজকে একটু মুডটা খারাপ, কাজ কর্মে মন বসেনি
    বাড়ির পথে দোকান থেকে একটু ভাজা চটপটে ঝাল
    খাবার দাবার গরম চায়ে খবর কাগজ রঙীন খবর
    আজকে একটু মনটা খারাপ একটু বিনোদনের বহর।

    আজকে একটু পদ্য লেখা ছোট্ট একটা হুইস্কি হোক
    রাত্রে যেন ঘুম ভালো হয় শক্তি চট্টো কিংবা গানে
    মেজাজটাই তো আসল রাজা যদিও একটু ডিপ্রেসিংই
    আজকে আবার মেঘ করেছে কেমন যাবে এই রবিবার।

    একটু যেন নিশ্বাসে চাপ একটু যেন টাকরা শুকোয়
    কালকে আবার আপিস খোলা ভয় কাটিয়ে ঘুম হলে হয়।
    সমস্তদিন সব কাগজে উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে আছে
    একটা কেমন ছোট্ট ছেলে, জলের ধারে লাল জামা গায়

    কাঁদছিলো কি, কি ভাবছিলো, ঘুমিয়ে ছিলো? বাবার কোলে।
    রাতের দিকে আঁকড়ে ধরে অনির্দিষ্ট বুকচাপা ভয়।
  • dd | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১০:৫০601635
  • অসম্ভব পদ্য
  • de | 69.185.236.55 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:১৯601636
  • সকালে ছবিটা দেখে অসম্ভব মন ভার হয়ে আছে!
  • আত্মঘোষ | 215.174.22.20 | ১৬ মার্চ ২০১৬ ২০:২৬601637
  • শীতকাল শেষ হলে মনে বেশ ফুর্তি হয়।
    ঝাড়া হাতপা ফুরফুরে,শরীফ মেজাজ
    আবছালা বালাপোষ হরেক জঞ্জাল
    অন্ধকার দিন আর ঝুপ করে সন্ধ্যের ধুঁয়ো
    পুরনো পুরনো ছবি শ্রমিকের সামান্য আহার
    দেশলাই কাঠি বেচা শিশুদের চুলে জমা হিম
    যদিও আমরা বেশ আরামকেদারা জুড়ে বিলাসী, তবুও বিষাদ
    মন জুড়ে,
    বাষ্পীভূত হয় এই রোদ্দুরে, আদিগন্ত সকালের মুখে
    খোলামেলা কপাটে ও লোকজনে মন ভালো হয়
    এই শীতকাল চলে গেলে। ঘাসফুলে নতুন পাতায়
    এক দুটো গাছ করে ঢেকে যায় সাদা ও গোলাপী ফুল
    চেরী, উৎসবে উড়ে যাওয়া পরাগরেণুতে
    মনে বেশ ফুর্তি হয়, শীতকাল শেষ হলে
    অকৃপণ রোদ।
    আগামী শীতের কথা মনেও আসে না আর।
    চারদিকে এত রোদ, মনে হয় ভিখিরীপনার শেষ
    মনে হয় খামোখা জীবনে আর উঞ্ছবৃত্তি নেই কোন
    আদিগন্ত রোদ দেখে মনে হয় যাযাবর ফুর্তির গান।

    ----------------------------------------------------

    উফ। ঠিক সময় বুঝে ধাঁ করে লিখে না ফেললে এতক্ষণে চোদ্দো টাকা এক আনা নয় পাই হয়ে যেত।
  • কান্তবাবু | 215.174.22.20 | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ২১:৪১601638
  • নতুন বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে
    নতুন জায়গা নতুন দোকানপাট
    নতুন লাইসেন্স নাও দাঁত ক্যালাও নবতর লোক
    নতুন করে মাপো স্কিলসেট কানের কাছটা যেন
    রঙচটে গেছে, একপোঁচ লাগাও পালিশ
    নতুন ট্রাফিক লাইট ঝাড়বাতি হাজার টাকার।
    নতুন বাটিতে জল, দানাপানি নতুন রকম
    নবতর বকলশ পুরনো খোলশ ছাড়ে কাঁকলাশ
    বেপথু আলোয় পথ নতুন পিলসুজ আর জাদু কার্পেট
    নতুন শহরে নিয়ে নিয়ে কি ম্যাজিকে অব্যর্থ, ছন্নছাড়া কাল,
    পুরনো জুতোর সুখ, কালো জল, ইতস্তত কোলাহল
    জন্মভূমি, মনে রেখো দাস।
  • raaghab boyaal | 161.191.175.195 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:০০601639
  • আলোটি বিশুদ্ধ শুধু ব্যক্তিগত বিষাদের নেশা
    বিশদে শরৎকাল শেফালিকা শিশিরের ক্লিশে
    পোড়োবাড়ি গন্ধপুষ্প অন্ধকার শ্বাসরোধী কূপ
    পরতে পরত পড়ে দেওয়ালের চুনকাম মিশে যায়
    আগের বছরে।

    ব্রিটল মলাট থেকে পাখসাট দিল খোঁড়া হাঁস
    সুবচনী, হলুদ পাতারা, আর, হে বঙ্গ, নদীতীরে কাশ
    ইদানীং আলোটি বড়ই শারদীয়
    আলোটি বিশুদ্ধ শুধু ব্যক্তিগত বারোখানি বিষাদের মাস।
  • কান্তবাবু | 161.191.175.196 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:০৮601640
  • তিনি কি বাজারে যান
    দরদাম পেঁয়াজকলির
    বা ঢ্যাড়শেরা তরতাজা কিনা
    পান খেকে ছিক করে পিক ফেলে
    পড়শীর দেওয়ালের চুণে
    তিনি কি মাথায় মেখে জবাকুসুমের তেল
    ঘাটলায় ঘষে ঘষে গোড়ালির কাদা
    তিনি কি কপালে হাত কালিবাড়ি পার হলে বাস
    তিনি কি আপিসে গিয়ে
    নয়ছয় জাবেদার ফাঁকে
    রেডিওতে খেলাধুলো কালকের বাসী পত্রিকা
    তিনি কি মধ্যরাতে জেগে থেকে মিটিমিটি চোখ
    গান শুনে ফেরেন শীতের ভোরে
    ছোপধরা পুরাতন শাল গায়ে
    চায়ের দোকান
    তিনি কি রাত্রি করে আবছা বিস্মরনে
    ভাবেন পূর্বজন্মকথা শালিকের ডাক
    তিনি কি বাজারে যান, দরাদরি চিতলের পেটি
    পরিজন আছে নাকি? ফুলবাবু নাকি স্নেহশীল
    ইস্কুলে নিয়ে যান শিশুদের, বাসভাড়া বাঁচাতে আমোদ?
    এইসব সাতপাঁচ, অচেনা সে লোক।
  • কান্তবাবু | 161.191.175.194 | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৬601642
  • মেয়েটি বড়ই চোর ছিল তার হাতটান খুব ছোঁকছোঁক বাই
    সবাই বিষম ব্যতিব্যাস্ত কাজের লোকের ধরন কি এই
    আজকে হাপিস শখের টিপট কালকে খুচরো পঁচিশ টাকা
    বাজার ফেরত সে সব ছাড়ো, শিশুর গলার সোনার হারটি
    লক্ষী ঝাঁপি সেই কবেকার, তাকেও ভেঙে
    কি যন্ত্রনা, ঘাঁড় গুঁজে সব শুনতে থাকে, কিন্তু আবার
    সেই যে কে সেই। গ্রামতুতো তার পালক দিদির মধ্যবয়স
    নাইয়ে খাইয়ে কিন্তু বিষম গঞ্জনা পায় বোনটিকে তো
    একটু বোঝাও, কি সে বোঝায় ঘাড় গুঁজে তার সকল সহ্য
    ধার রেখেছে, পাড়ার দোকান, মুদীর খাতা, কাজের বাড়ি
    স্নো পমেটম, আবার খুবই খয়রাতি হাত, বিলিয়ে বেড়ায়
    এদিক সেদিক, ধারের টাকায়, চুরীর টাকায় বিগ বাজারের
    পড়শীদিগের বাচ্চাদেরও, এই কি তোমার আজব খেয়াল।
    নদীর ধারের গ্রাম থেকে সে এসেছিল সে কোন কলে,
    মা বাবা তার কিভাবে যে কোথায় গেল কেউ জানে না,
    হাতটানে আর বদস্বভাবে কাজ থাকে না, এ পঁয়ত্রিশে
    বাড়ছে বয়স, এমনতরো সাজের খেয়াল শখের খেয়াল
    সাউথ লাইনে অনেক দূরের গ্রাম থেকে সে কোন অবেলায়
    এই শহরে, মা বাবা তার কে ছিল তা কেউ জানে না।

    প্রাচীন পুঁথির যত্নে রাখা ব্যাক্তিগত তোরঙ্গে তার রেশন কার্ডে
    নাম লেখা তার - নয়নতারা।

    অন্যনামে কাজ করে সে, অন্য বাড়ির গৃহস্থালি, বাজার ফেরত খুচরো এবং
    শখের চুড়ি, নতুন জুতো। রেশন কার্ডে নাম লেখা তার, কেউ জানে না।
  • সিকি | 165.136.80.171 | ১৭ অক্টোবর ২০১৬ ১০:৫১601643
  • রাস্তার এই অংশটা অন্ধকার। ভাঙাচোরা, যদিও গাড়িঘোড়ার কমতি নেই এতটুকু, একশো মিটার আগেই যে একটা নামকরা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল। সেদিক আলোয় আলোময়।

    রাতার অন্ধকার দিকটায়, সামান্য আলো দেয় তাই, দুটি ওষুধের দোকান। একচিলতে পরিসরে ইতস্তত দাঁড় করানো কিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল। ওষুধ কিনতে আসা লোকজন আসে, যায়, প্রেসক্রিপশন নিয়ে ব্যাগে ঢোকায়, ট্যাবলেটের রাংতাভরা প্যাকেট ঝোলায় মোটরসাইকেলের হ্যান্ডেলে।

    একটা ছোট ছেলে, সাত কি আট বছর বয়েস হবে, আর তার বোন, আরও ছোট, চার বছর। সঙ্গে দুটো ভুলো কুকুর, তাদের খেলার সঙ্গী, এই অপরিসর, আধা-অন্ধকার পরিসরে। বোন তার ছোট ছোট মুঠিতে খুব রাগত ভঙ্গীতে দাদাকে কিল মারছে, নাক দিয়ে অবিরাম ঝরছে সিকনি, দাদা হাসিমুখে সহ্য করছে বোনের অত্যাচার।

    আমি গাড়ির সীটে বসে চুপ করে দেখি তাদের। বিবাদের কারণ বোঝার চেষ্টা করি। আস্তে আস্তে বোঝা যায়।

    দুটি ভুলো কুকুর, তাদের দুজনের ব্যক্তিগত পজেশন। একটি ভাইয়ের, একটি বোনের। দুজনেই একটি একটি কুকুরের যত্ন নেয়, তাদের মাথায় আলতো করে চাঁটি মারে, তাদের আন্দোলিত লেজ খপ করে ধরে টানাটানি করে, তাতে কুকুরদুটো আরও আহ্লাদিত হয়ে আরও লেজ নাড়ে।

    বোনের রাগ, দাদা কেন "তার" ভুলোকে আদর করেছে! কেন, তার কি নিজের ভুলো নেই? বোনের ভুলোকে কেন সে আদর করবে?রাগের কারণ ন্যায্য, তাই ছোট ছোট মুঠিতে উপর্যুপরি কিল।

    হাসিমুখে কিল খেতে থাকে ভাই, পাশে দাঁড়িয়ে রেফারির ভঙ্গীতে দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে ল্যাজ নাড়ে বোনের কুকুর।

    বোন যখন রেগে গেছেই, তাকে আরেকটু রাগিয়ে দেবার লোভ কি সামলানো যায়? ভাই তাই তার ছোট্ট পা বাড়িয়ে বোনের কুকুরটাকে একটা ছোট্ট লাথি মারে। কুকুর তাতে বেজায় খুশি হয়, কিন্তু বোনের রাগ যায় বেড়ে।

    "তুনে কিঁউ লাথ মারা মেরে কুত্তে কো? আব দেখ, ম্যাঁয় ভি মারতি হুঁ।"

    বোন গটগট করে হেঁটে চলে যায় অন্যদিকে, যেখানে পেছনের পা দিয়ে একমনে কান চুলকোতে ব্যস্ত ছিল আরেকটি ভুলো কুকুর, দাদার কুকুর। ক্ষুদ্র মেয়েটি তার আরও ক্ষুদ্র পা দিয়ে ধমাধম লাথি মারে সেই কুকুরটাকে, ছোট ছোট হাত দিয়ে থাবড়া মারে কুকুরটার মাথায়। অপমানিত হবার বদলে এই কুকুরটাও এতে আরও আমোদিত হয়ে বোনটির মুখের দিকে হাসি হাসি মুখে তাকায়, লেজ নাড়ে।

    আমি ভাইয়ের দিকে তাকাই। ভাই নয়, দাদা। সে কিনা দাদা, তাই বোনের এই প্রতিশোধে সে এতটুকুও বিচলিত হয় না। সে তাকিয়েও দ্যাখে না তার কুকুরের হেনস্থা, সে তখন বোনের কুকুরটার মাথায় হাত বুলিয়ে তার পিঠে চাপার চেষ্টা করে চলেছে।

    দুজনের মুখেই খেলা করছিল অপরূপ উজ্জ্বলতা। যা সেই আধো-অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
  • Abhyu | 34.181.5.81 | ১৭ অক্টোবর ২০১৬ ১১:০২601644
  • বাহ
  • Jepo maane gopu | 76.87.80.46 | ২৫ মার্চ ২০১৭ ২৩:১০601645
  • বড় স্কেলে দেশজোড়া একটা আস্তিক নাস্তিক ক্যালাকেলি হয়ে গেলেও বোধয় ভালো হতো। না হলে তো এদিক ওদিক যা পড়ছি, কোথাও না একটা দাঙ্গা লেগে যায়...
  • কইভোলা | 174.114.91.202 | ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৯601646
  • গুগলে কি একটা খুঁজতে গিয়ে একটা পিডিএফ চলে এসেছে তাতে হাজার হাজার লোকের নাম ঠিকানা।
    অমল কা কাঁটা, অপজিট পোলিস স্টেশন, উদয়পুর, রাজস্থান। ডোর নাম্বার কি যেন, রাইসমিল রোড, সিলানায়কেনসেল্লি, সালেম। জনাব-এ-মঞ্জিল কোঠা, উদুপি ডিস্ট্রিক্ট। এমনকি মসজিদ রোড, শিবনগর আগরতলাও আছে।

    কত লোক, কত শহর গ্রাম, রাস্তাঘাট, ঠিকানা।
  • rabaahuta | 106.95.19.165 | ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৯:০৭601647
  • সিকির লেখা ভাইবোনে আর কুকুরদের গল্পটা কি ভালোই যে লাগলো!
  • pi | 57.29.241.8 | ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৯:১০601648
  • আমিও এই পড়লাম। ভারি সুন্দর।
  • dd | 116.51.28.125 | ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৯:৩৬601649
  • আম্মো।

    ভারী ভাল্লগ্লো।
  • একক | 53.224.129.54 | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮601650
  • মা কে বল্লুম কীগো মমতা তো রাজ্যকে হাঁসের পেছনে পাঠ্যে দিলো তো মা বল্লেন মমতা মেয়ে বলে তুমি এরকম বলছ শুনে আমি বল্লুম এগুলো যুক্তির কথা নয় হে সুযোগসন্ধানী আইডেনটিটি পলিটিক্স এসব যখন যেদিক দিযে পারছ টিঁকে থাকার চেষ্টা করছ সেই ছোটব্যালা থেকে এভাবে কী বেশিদিন চলে হেহে মা বল্লে চলল তো এতদিন চোখ বোজার সময় ও হলো হিসেবমত খুব মন্দ কাটলোনা তোমার ব্যাপারটা বাদদিয়ে তো এইভাবে আমরা আরও বাদানুবাদে জড়াই ও প্রমাণ করি কলেজ থেকে এই অবধি মা আদতে প্রচুর জেদের পাহাড় ও কলেজ থেকে এই অবধি আমি আদতে একটি পাহাড়ি জেদ এইসব শুনে বাবা যথারীতি ডিপ ফ্রিজ থেকে কিছু বাসী আখার ছাই বের করে মুখময় মেখে বললেন আমি সিকিম চল্লুম কেও আমাকে খুঁজোনা আমি বল্লুম বেশ বেশ দুগ্গা দুগ্গা নেবে আসার সময় খেয়াল কোরো ইয়াক্সামের ঝোঁকে হিট বিয়ার হাতে আমিও আছি এইসব গোলযোগে দেখি মা অনেক দুরে চোলে গ্যাছে দুরে তেলাঙ্গলের রাস্তা দিয়ে ফ্রক টেনে ঠিক করতে করতে একটা কেল্টে বাচ্চা মেয়ে হাঁটছে এক হাতে ভাই আর পিঠে ব্যাগ চিরকালের ঘাড়ব্যাঁকা মহিলা শুধরালেননা এ জীবনে ..আমিও না
  • dd | 59.207.60.130 | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:২৩601651
  • দারুন
  • সিকি | 158.168.96.23 | ১৩ জুন ২০১৭ ১৫:১৭601653
  • এক বছর পেরিয়ে গেল, এখন বোধ হয় টুকরোটাকরা লেখাই যায়।

    সিডনিতে যখন নেমেছিলাম, তখন আকাশের মুখ ভার, উপর্যুপরি বৃষ্টি, আর কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া। প্রথম দিনটা ভিজে ভিজেই কেটে গেল সার্কুলার কোয়ে-তে, মাদাম তুসো, চোট্ট চিড়িয়াখানা আর মেরিন ওয়ার্ল্ড দেখে। জুন মাসে এখানে শীতকাল।

    সন্ধ্যেয় হোটেলে ফিরে বেরোলাম রাতের খাবরের সন্ধানে। হোটেলটা যদিও শহরের প্রায় মধ্যিখানে, তবু, বাদলা রাতে চারদিক প্রায় শুনশান। আটটার মধ্যে খাবারের জোগাড় করতে না পারলে রাতে কপালে দুঃখ আছে।

    হনহনিয়ে পা চালাই, তুমুল বিত্তশালী রেস্তোরাঁর দল সোনালী আলো ছড়াচ্ছে ভিজে রাস্তার ওপরে, সেখানে প্রথম রাতেই বসার সাধ্য নেই, এ তো আর অফিসের ট্রিপ নয়, নিজের জমানো পয়সা খরচা করে বেড়াতে এসেছি। খানিক এগোলাম আরো পা চালিয়ে, ঘড়ির কাঁটা আটটা ছুঁইছুঁই।

    তখনই দেখলাম দোকানটা। আলিবাবা পিজা কর্ণার। টেক অ্যাওয়ে। এগিয়ে গিয়ে দেখি হিন্দিঘেঁষা ভাষায় দুটি লোক খুব উত্তেজিত হয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে, একজন মাঝবয়েসী, একজন ইয়ং। তাদের মুখ ভারতীয়দের মতই। তুমুল বৃষ্টিতে দোকানের একদিকের শাটারের ফাঁক দিয়ে জল ঝরছে, সেইটাকে কী করে আটকানো যায়, তাই নিয়ে তাদের ব্রেনস্টর্মিং চলছে।

    এগোলাম। পিজা বার্গার - সবকিছুরই দাম খুব সাধ্যের মধ্যেই। সাহস করে হিন্দিতে কথা বলতেই উত্তরও এল হিন্দিতে, যদিও ঠিক দিল্লির হিন্দি উচ্চারণ নয়।

    পরের দিন। আজ ব্লু মাউন্টেন ট্রিপ ছিল। সন্ধে পেরিয়ে ফিরেছি, আজ আর খাবার খোঁজার তাড়া নেই, কারণ আগের দিনই জেনে নিয়েছি আলিবাবা পিজা কর্ণার রাত নটা পর্যন্ত খোলা থাকে। আজ তাই হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সিকিনী আর ভূতোকে নিয়েই বেরোলাম। ওদের সাথেও আলাপ করিয়ে দিই। বিদেশে ওদের এই প্রথম আসা, এখানে দুটি হিন্দি শুনতে পেলেও খুশি হবে।

    আজ শুধু ইয়ং ছেলেটি আছে। দেখা হতেই একগাল এসে অভ্যর্থনা করল, আলাপ করল আমার মেয়ের সাথে। আজ চিকেন বারবিকিউ র‌্যাপ আর পিজা নিলাম। ছেলেটা যেচে আরও খানিক চিকেন ঢুকিয়ে দিল র‌্যাপে।

    - কোথায় বাড়ি? পাকিস্তানি? (হিন্দির টান দেখে আন্দাজ করেছিলাম)
    - হ্যাঁ, পাকিস্তান। এখানে পড়তে এসেছি। মেলবোর্নে পড়ি - এখন ভ্যাকেশন চলছে, এটা দাদার দোকান, একমাস এখানে কাজ করছি তাই।
    - পাকিস্তানের কোথায় বাড়ি?
    - অ্যাবোটাবাদ।

    খানিক নীরবতার পরে ছেলেটাই হাহা করে হেসে ফেলল, নামটা নিশ্চয়ই অজানা নয়? হ্যাঁ, আমাদের গ্রামের কাছেই ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে ছিল একটা বাড়িতে।

    আমিও হেসে ফেললাম। - তুমি ছিলে তখন ওখানে?
    - না না, আমি তো এখানে। আব্বার কাছে শুনলাম এইসব হয়েছিল। লুকিয়ে রেখেছিল তো আর্মি, আমরা জানব কী করে? ওটা মিলিটারি এসট্যাবলিশমেন্ট, জানো তো?
    - তা জানি। নিউজেই পড়েছি। তা, এখন কী করবে, পড়া শেষ করে? ব্যাক টু হোম?

    - না রে ভাই। পড়তে আসাটা তো ছুতো। আয়্যাম ট্রাইং টু গেট আ পিআর হিয়ার। তার জন্য টাকা জমাচ্ছি। বছর তিন চারে এসট্যাবলিশড হয়ে গেলে আর ফেরার নাম নেই। আমরা দেশ থেকে বেরোই চিরকালের জন্য। দেশে ফেরার কথা ভাবতেও পারি না। ... হেই ম্যান, য়ু আর অলসো টু ইয়ং, হোয়াট আর য়ু ডুয়িং ইন ডেলহি? গেট আ পিআর ম্যান, অস্ট্রেলিয়া ইজ অসাম টু সেটল ডাউন।

    বেরোবার আগে দুটো কোকের ক্যান বের করে নিলাম ফ্রিজার থেকে। দুই দুই চার ডলার। ছেলেটা চোখের একটা ইশারা করল - টেক ইট, ম্যান। ফর য়ু। ক্যানদুটো আমার তরফ থেকে তোমাদের জন্য গিফট। বাচ্চু, (ভূতোর দিকে তাকিয়ে) কল্‌ ফির আনা। ভাবী, সী য়ু টুমরো।

    এক বছর হয়ে গেল। খুব মনে পড়ে ছেলেটার কথা। দেশ থেকে বেরিয়ে আসে, ফরএভার বেরিয়ে আসার জন্যই। দেশে ফেরে না আর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন