এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বস্টনে ইসলামিক সন্ত্রাস- ইসলামের দায় কতটা?

    biplab
    অন্যান্য | ২২ এপ্রিল ২০১৩ | ১৪২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • biplab | 78.33.140.55 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:১১601018
  • তৈমুরলেন সারানেভ এবং জওহঢ় সারানেভ। এই দুই ইসলামিক সন্ত্রাসবাদির কার্যকলাপে গত সপ্তাহে কার্যত অচল হয়ে গেল বস্টনের মতন শহর। মিডিয়াতে ঘুরে ফিরে সেই এক প্রশ্ন-ইসলাম এই ব্যাপারে কতটা দায়ি?

    কেননা বড় ভাই এবং বস্টনের ম্যারাথন সন্ত্রাসবাদের মূলহোতা তৈমুর, আস্তে আস্তে গভীর ধর্মীয় ভাবাবেগে ভেসে, এই সন্ত্রাসবাদের কাজ করেছে-এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। এটা ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের অঙ্গ। সেই নিয়েও সন্দেহ নেই। বিতর্ক এই নিয়ে যে এর জন্য ইসলাম নামক ধর্মের দায় কতটা?

    হিন্দু, ইসলাম , খ্রীষ্ঠান সব ধর্মেই সন্ত্রাসবাদী আছে। নাস্তিক সন্ত্রাসবাদি ও আছে। কিন্ত বর্তমান পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় মুসলিমরা সব থেকে বেশি জড়িত এবং ইসলাম ধর্মশিক্ষা সব থেকে বেশি সন্ত্রাসবাদির জন্ম দিচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন তোলা উচিত-এবং যে প্রশ্নের সন্ধান আমরা ৯/১১ থেকে করছি-এর পেছনে ইসলামিক শিক্ষা-কোরান বা প্রফেট মহম্মদের জীবনী কতটা অনুপ্রেরণা দিচ্ছে?

    এই নিয়ে মুক্তমনা সহ অনেক ব্লগেই দিস্তার পর দিস্তা খরচ হয়েছে। অনেকেই কোরানকে মূল অভিযুক্ত করেছেন। আমি করছি না। শুধু এই কারনে যে ভগবদ গীতা কোরানের থেকে অনেক বেশি ধর্মযুদ্ধ বা জেহাদে উস্কানি দেয়। শুধু ধর্মগ্রন্থের কারনে, মানুষ সন্ত্রাসবাদি হলে, হিন্দুরা সব থেকে বেশি সন্ত্রাসবাদি হত। কারন ভগবদ গীতা সম্পূর্ন ধর্মযুদ্ধের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সংখ্যাতত্ত্ব সেটা বলছে না। প্রতি এক কোটি লোকে মুসলিম সন্ত্রাসবাদির সংখ্যা হিন্দুদের থেকে অনেক বেশি। সুতরাং ধর্মগ্রন্থে কি লেখা আছে তা গুরুত্বপূর্ন না।

    মহাভারতের যুদ্ধোত্ত্বর পর্বে যুধিষ্ঠিরের প্রতি কৃষ্ণের উপদেশ প্রাণিধানযোগ্য এবং এই ঘটনায় প্রাসঙ্গিক। সেটা হচ্ছে কোন আদর্শবাদ নিজে থেকে ভাল বা খারাপ হয় না। আদর্শবাদের প্রয়োগ এবং ধারকের ওপর নির্ভর করে আদর্শবাদ সমাজের উপকার না ক্ষতি করবে।

    বরং আমাদের বিশ্লেষনের অভিমুখ হওয়া উচিৎ সমাজবিজ্ঞানের লেন্সে। আমাদের দেখা উচিৎ, আমেরিকার এই হোম গ্রোন টেররিস্টদের প্যাটার্নটা কি। কেন তারা আমেরিকান সমাজে গ্রহীত হওয়ার পরেও, আমেরিকাতে এত ভাল জীবন পাওয়ার পরেও আমেরিকার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত হচ্ছে। কেন তারা এত আপাত নিরীহ ভাল চরিত্রের যুবক হওয়া সত্ত্বেও কট্টর মুসলমানে রূপান্তরিত হচ্ছে?

    ধর্ম খারাপ না-কিন্ত কট্টঢ় ধার্মিক নিশ্চিত ভাবেই খারাপ। এখন এক্ষেত্রে একটা সস্তার তত্ত্ব হচ্ছে ইসলামে শক্ত "ইমান" এর ওপর জোর দেওয়া হয়। বা ইসলামের ধারনা গুলি টোটালটারিয়ান। বা ইসলাম একটা সম্পূর্ন জীবন ও রাজনৈতিক দর্শনের দিশা দেখায়। এগুলো সব আপাত সত্য। কারন হিন্দু ধর্মও সম্পূর্ন। মহাভারতে যে সম্পূর্ন জীবন এবং রাজনৈতিক দর্শনের শিক্ষা আছে, তা ইসলামের থেকে অনেক বেশি বৃহৎ এবং সম্পূর্ন। এই ধরনের সম্পূর্ন পূর্নাঙ্গ জীবনের দর্শনের সন্ধান সিন্ট, কনফুসিয়াস বা জেন সহ অনেক দর্শনেই পাওয়া যাবে। এবং এই ধর্মগুলিও সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে ইতিহাসের নানান সময়ে। সুতরাং ধর্মীয় উগ্রতা ইসলামের একার ভূষন না। আবার এটাও সত্য, বর্তমান সময়ে অন্যান্য ধর্মে উগ্রতা ক্রমে আসলেও ইসলামে সেটা ক্রমবর্ধমান।

    ভাববাদি বিশ্লেষনে কাজ হবে না। আমাদের বস্তুবাদি চোখেই দেখতে হবে ইসলামের সমস্যা কোথায়। এখানে ইতিহাসের এবং অর্থনীতির ভূমিকা কি?

    (১) প্রথমে আমেরিকার প্রসঙ্গে আসা যাক। মেজর নাদাল হোসেন, ফায়জাল ( নিউউয়ার্ক টাইমস্কোয়ার বোম্বিং) বা তৈমুরের মধ্যে একটা সাধারন থ্রেড আছে। এদের প্রত্যেকেই আমেরিকাতে নিসঃঙ্গ ছিলেন। দেখা যাচ্ছে এদের বৈবাহিক জীবন সুখের হয় নি। এটা ডিম না মুরগী আগের সমস্যা। এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এদের রক্ষণশীল মনোভাবের সাথে কোন আমেরিকান মেয়েদের মানিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে এরা এদের ব্যার্থ ফ্যামিলি লাইফের জন্য পাশ্চাত্য জীবনকেই দায়ী করেছেন এবং ক্রমশ আরো কট্টর ইসলামিক জগতে ঢুকেছেন।

    এই ধরনের ঘটনা রক্ষণশীল হিন্দুদের মধ্যেও দেখেছি। তারাও আমেরিকাতে এই সমস্যার জন্য আরো বেশি রক্ষণশীল হিন্দু ধর্মে ঝুঁকেছে। কিন্ত কোন হিন্দু তারজন্য আমেরিকাকে বম্বিং করার চেষ্টা করে নি। যেটা একমাত্র মুসলিমদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

    এর কারন কাষ্মীর, চেচেন ইত্যাদি বিচ্ছিন্নাবাদি আন্দোলনগুলি কট্টরপন্থি ইসলামিক সন্ত্রাসবাদিরা হাইজ্যাক করে নিয়েছে। ফলে কোন কট্টর মুসলমান যুবকের মনে, যে পৃথিবীটাকে দেখেনি বা চেনেই না-তাকে কব্জা করে সন্ত্রাসবাদি বানানোর একটা লজিস্টিক সাপ্লাই লাইন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং চেচেনিয়াতে আছে। ফলে তেল যেখানে আছে-সেখানে দেশলাই ছুঁড়লে আগুন ধরবেই।

    (২) মুসলিম পরিবার গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজ্ঞান এবং অন্ধকারে ডুবে থাকা দেশগুলি থেকে আসছে-যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা নেই। প্রতিটা ধর্মেই ভাল এবং খারাপ দিক আছে। যে সমাজ সেই খারাপদিকগুলির দিকদর্শনের সুযোগ দেবে না-সেই সমাজে কট্টরপন্থা স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যেসব ব্লগার ইসলামের অন্ধকার দিকগুলি নিয়ে লেখা শুরু করেছিল, তাদের জেলে ভরা হল। ধর্ম বা রাজনৈতিক দর্শনের সমালোচনার পরিবেশ না তৈরী হলে, লিব্যারাল বা উদার সমাজ তৈরী হবে কি করে? আর উদার রাষ্ট্রে না জন্মালে, ধর্মের খারাপ দিকের সাথে পরিচয় না থাকলে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের খারাপদিকটা একজন উঠতি যুবক কি করে বুঝবে?

    ইমানের দোহাই দিয়ে যেমন একজন হিন্দুকে গরুর মূত্র সেবন করানো যায়-ঠিক তেমন ই ইমানের চাপে একজন মুসলিমকে ধর্মসন্ত্রাসী বানানো সব থেকে সহজ কাজ। ধর্মের যে বাজে দিক থাকতে পারে সেটাই সে বোঝে না বা বুঝতে ভয় পায়।

    (৩) তেলের অর্থনীতি এবং রাজনীতি এর জন্য আরো বেশি দায়ী। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের জন্য বা ঠান্ডা যুদ্ধের দিনে অধিকাংশ বিদেশী রাষ্ট্র, সেখানে গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদকে আসতে দেয় নি। ফলে সামন্ততান্ত্রিক থেকে ধণতান্ত্রিক সমাজের উত্তোরনের ব্যাপারটা মুসলিমদেশগুলিতে আটকে গেছে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের তুলনা করলে এটা আরো ভাল বোঝা যাবে। পাকিস্তানকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানাতে সব থেকে বেশি বড় ভূমিকা ছিল আমেরিকার। এর ফলে পাকিস্তান শাসন করে ডজন খানেক পরিবার। সেখানে যে শ্রেনী সংগ্রাম আছে, তা জিহাদি সংগ্রামের রূপ নিয়েছে।

    বাংলাদেশেও দেখা যাবে সেই এক সমস্যা। ঠিক ঠাক ভাবে ধনতান্ত্রিক সমাজের বিকাশ সেখানে হচ্ছে না। উদার গণতন্ত্র এবং ধনতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি ব্যার্থ-এর মূল কারন মুসলিম দেশগুলিতে রাজনৈতিক দলগুলির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আরো ভাল ইসলামিক রাষ্ট্র। অর্থাৎ ভাববাদি গ্যাঁজা সেবন করিয়ে, লোকের পকেট কাটা।

    আধুনিক উৎপাদনশীল উদার রাষ্ট্র তারা চাইছে না। বিসমিল্লা ব্যাঙ্ক খুলে যদি লোকের ১২০০ কোটি টাকা মারা যায়, কাঁহাতক কে সৎ পথে ব্যবসা করবে? তার থেকে বিসমিল্লা আর ইসলামের নামে পার্টি চালনা করা ভাল। ইসলামিক দেশগুলি এই অন্ধকার পথেই হাঁটছে এবং মধ্যপ্রাচ্য সহ অনেক বিদেশী শক্তির মদত পাচ্ছে। কারন এই ভাবে দেশগুলি যদি ধর্মের আফিং এ মেতে থাকে, তাতে এদের শাসক শ্রেনীকে কন্ট্রোল করে, লুঠপাট করা সহজ কাজ।

    ফলে ইসলামিক দেশগুলিতে খাদ্যদ্রব্যের সংকট তীব্র না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের ভাববাদি রাজনীতি চলতে থাকবে। একমাত্র পেটের আগুন, তাদের বস্তুবাদি রাজনীতির সন্ধান দিতে পারে। যদ্দিন এমন না হচ্ছে তদ্দিন মুসলিমদেশগুলি চালাবে বিসমিল্লার নামে পকেটকাটা চোরেরা। আর তাদের টেকাতে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ এবং শরিয়া হবে অপরিহার্য্য।
  • siki | 132.177.25.86 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:২৬601019
  • ওয়ান ... টু ...
  • দেব | 127.197.249.207 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৩২601020
  • বিপ্লবদা, অনেকদিন তো হল। এবার এই চক্কোর থেকে বেরোন না।

    শ্রীলঙ্কায় এলটিটিই চার দশক ধরে লড়াই করেছে। সম্ভবত দুনিয়ার সবথেকে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ এরা চালিয়েছে। কখনো আপনার মনে হয়েছে যে এটা হিন্দু ধর্মের প্রভাবে হয়েছে? টু বিল্ড রামরাজ্য ইন শ্রীলঙ্কা। কি মনে হয়? এদেশে বর্তমানে যে মাওবাদী কার্যকলাপ চলছে এটার পেছোনে জনজাতীয় ধর্মবিশ্বাসের প্রভাব নিয়ে থিসিস নামিয়েছেন কখনো? দোহাই। হিন্দু, ক্রীশ্চান, বৌদ্ধ সবার অধিকার আছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাতিয়ার ধরার, শুধু মুসলিমদের বারণ? হ্যাঁ যখনই কোন জনগোষ্ঠী নিজেদের অধিকারের জন্য হাতে বন্দুক ওঠায় তার পেছোনে তাদের ধর্মবিশ্বাসের প্রভাব থাকে (আন্ডারলাইন)। তাদের আন্দোলনে বাইরের দেশ সাহায্যও করতে পারে (আন্ডারলাইন)। সেটা সবার জন্যেই সত্যি, মুসলিমদের মনোপলি নয় (ডবল আন্ডারলাইন)।

    চেচনিয়া সমেত বিশ্বের একাধিক মুসলিমপ্রধান দেশে যা হয়ে চলেছে গত দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সেটা আপনার অজানা নয়। গত এক দশকে ইরাকে প্রাণ হারিয়েছে দশ লক্ষ মানুষ (ল্যান্সেট)। কাল যদি কোন ইরাকের অভিবাসী/ইরাকী বংশোদ্ভ্যূত একটি ছেলে আমেরিকায় একটা বোমা ফাটায় সেটা আমার মতে খুবই সামান্য প্রতিদান হবে (বুঝেই লিখছি)। একটা দেশের দশ লক্ষ মানুষকে খুন করার পর যদি একটাও রিপারকাসন হয় তখনই সবাই চোখ গোলগোল করে জিজ্ঞেস করবে কি প্রবলেমটা কি মুসলিমদের? এদের ধর্মটাই দায়ী! আর আপনার মত একটু চোখকান খোলা হলে আরো আজগুবি থিওরি গজাবে। অসুখী বৈবাহিক জীবন! সিরিয়াসলি :)। অর্থনৈতিক সংকট তীব্র না হলে মুসলিমদের চোখ খুলবে না!!! চেচনিয়ার অর্থনীতি আর অন্য কিরকম?

    আপনি নিজেই লিখেছেন পাকিস্তানকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর পেছনে আমেরিকা অনেকাংশে দায়ী। এই কথাটা আরও অজস্র ক্ষেত্রে সত্যি। গোটা ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালে সারা দুনিয়ার প্রায় সবকটা মুসলিম প্রধান দেশে সেকুলার ন্যাশনালিষ্ট দলগুলির বিরুদ্ধে মোল্লাদের উসকিয়ে তাদের ধংস করেছে আমেরিকা এবং তার সহযোগী রাষ্ট্রগুলো। ইরানে একটা সেকুলার প্রগ্রেসিভ সরকারকে হত্যা করেছে সিআইএ। কারণ তেল। এবং যে মোল্লাদের নিয়ে আজ মাথাব্যাথা তাদের সাহায্যেই হয়েছিল এই কাজ। একই জিনিস হয়েছে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াতে। কয়েকটা দেশ তো বেনামে দখলই হয়ে রয়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, জর্ডান, সংযুক্ত আমীরশাহী। গণতন্ত্রের পীঠস্থান একেকটি। ইরাকে 'গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠার পবিত্র প্রচেষ্টার কিছু ভাগ এই দেশগুলোর ভাগে পড়বে কি? না। শুধু যখন একদল সৌদি প্লেন নিয়ে বিল্ডিংএ ঢুকবে তখন ইসলাম নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হবে। সব পন্ডিত ঘাড় নেড়ে সায় দেবেন হ্যাঁ এটা ইসলামের টিচিংটাই এরকম বুঝলে। চলো হাতমুখ ধুই। ইরাক কমপ্লিট। নেক্সট ইরান।
  • কল্লোল | 111.63.129.53 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১০:১৫601021
  • তেলের লোভটা কাজ করেছে। তাতে নাটের গুরু পশ্চিমা শক্তি (শুধু আমেরিকা নয়)।
    আমার এটা ব্যক্তিগত মত - সন্ত্রাসবাদীরা (খুব ব্যতিক্রম বাদ দিলে) আসলে প্রতিবাদী। পশ্চিমা শক্তি ক্রমাগত অন্যায়্ভাবে এই দেশগুলোর ওপর নির্যাতন/অপশাসন চাপিয়ে দিয়েছে। যারাই একটু স্বাধীনচেতা হতে গেছে তাদেরই নানান চক্রান্ত করে মুছে দিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় পশ্চিমা শক্তির একদা বন্ধুও শত্রু বনেছে। তারা প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসবাদ, আর পশ্চিমা শক্তি একই কাজ করলে গণতন্ত্রের লড়াই!! কোরিয়া ভিয়েৎনাম থেকে তো সেই একই গল্প।

    ঘটনাচক্রে তেল-সমৃদ্ধ দেশগুলি বেশরভাগই ইসলামী শাসনে। সেটা না হয়ে যদি ময়নামার বা কঙ্গো তেল-সমৃদ্ধ হতো তো বর্মী বা বৌদ্ধ বা পিগমী সন্ত্রাসবাদ শুনতে পেতাম।
    দেবের সাথে একমত। এলটিটিই তবে কি? হিন্দু নাকি তামিল সন্ত্রাসবাদ? শ্রীলঙ্কা তো এভাবেই দেখায় - তামিল মাত্রই সন্ত্রাসবাদী।
    ধর্ম এমনই একটা বিষয়, তাকে নানাভাবে ব্যবহার করা যায়, সে ইসলাম, খ্রীষ্টান, হিন্দু, কনফুৎসি, বৌদ্ধ যাই হোক। এই ধর্মগোষ্ঠীগুলো ঐতিহাসিক কাল থেকে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে ধর্মের নামে। সেটা ধর্মকে একভাবে ব্যবহার করা - এইটুকুই ধর্মের দায়।
  • কল্লোল | 111.63.129.53 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১০:২৩601022
  • হঠাৎই মনে পড়লো, কোরিয়া ভিয়েৎনামের কথায়। কোন করনে আজ সোভিয়েৎ রাশিয়া আগের মত (৮০র দশকের মতো) "বলবান" থাকলে, এই "সন্ত্রাস"গুলো "মুক্তিযুদ্ধ" নাম পেতো। তখন আর খুচরো বোমাবাজী আর প্লেনের গোত্তা মারা নয়, ভিয়েৎনাম-কম্বোডিয়ার মতো যুদ্ধ হতো।

    এই তো উঃকোরিয়া পারমানবিক মিসাইল তাক করে আছে। কি কেশোৎপাটন কচ্ছে পশ্চিমা শক্তি? পারবে ইউএনওতে ইরাকের মতো সিদ্ধান্ত পাস করাতে? চিন পাশে থাকবে কোরিয়ার - ব্যথা আছে।
  • কল্লোল | 111.63.129.53 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১০:৪৬601024
  • চীনও ম্যানেজ হলো। ল্লে পচা।
  • ranjan roy | 24.96.39.88 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০৩:৪২601025
  • বিপ্লব,
    ঃ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি'র অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি'র" গুড মুসলিম, ব্যাড মুসলিম" বইটা দেখুন।
    আপনার তোলা সমস্যা ( সন্ত্রাসবাদের জন্য ইসলাম per se কতটা দায়ী?) নিয়েই বিস্তৃত আলোচনা আছে। উনি আফ্রিকান মুসলিম, বিয়ে করেছেন মুম্বাইয়ের চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারকে।
    আর যদিও সব মৃত্যুই সমান দুঃখদায়ক, তবু বলব-- আমরা বস্টনের বাচ্চা মেয়ের মৃত্যুতে যেমন পবিত্র ক্রোধে উদ্দীপিত হই, তেমনটি আফগানিস্তানে সিভিলিয়ানদের ওপর ড্রোন হানায় ( একে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ ছাড়া কি বলব?) যে বাচ্চাগুলোর শরীর ছিন্নভিন্ন হল, সম্ভবতঃ গত মাসে, তা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করিনা। কারণ, বস্টনের বাচ্চাদের সঙ্গে আমরা সহজে রিলেট করি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন