এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অথ বুনো মোষ তাড়ানোর কথা

    π
    অন্যান্য | ১৫ জুন ২০১২ | ৪৫০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ব্যাং | 132.178.241.161 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২০:০৮547858
  • ইতিমধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা আলাদা গল্প চলছিল। কোলকাতার যেমন ধাপার মাঠ, ব্যাঙ্গালোরের সেরকম ছিল মান্ডুর।
    ব্যাঙ্গালোরের হাজার হাজার টন আবর্জনা রোজ কয়েকশো ট্রাক বয়ে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসত মান্ডুর গ্রামে।
    এই মান্ডুর গ্রামের বাসিন্দারা বহুবছর ধরেই বেজায় আপত্তি করছিলেন এই ব্যবস্থাটির বিরুদ্ধে। কিন্তু বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকের কানে সে সব আপত্তি ঢুকলে
    তো!
    তো ন্যায্য প্রতিবাদ কানে না ঢুকলে, কোর্টে গিয়ে মামলা করে, টিভি ক্যামেরা ডেকে, খবরের কাগজে ছবি তুলে, রাস্তা অবরোধ করে তবে কানে ঢোকাতে হয় সে তো ভারতবাসী মাত্রেই জানেন। তো মান্ডুরের লোকজনরাও সেই অস্ত্রগুলো একে একে হাতে তুলে নিচ্ছিলেন গত কয়েক বছর ধরে।
  • প্পন | 126.203.152.76 | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ২৩:০০547859
  • এইটা বহুত ভালো হচ্ছে।

    লেম্মি গেস, ব্যাং লিচ্চয় প্রতিবাদী গ্রুপের নেত্রী ছিল।
  • sch | 132.160.114.140 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:০৯547860
  • আশা করি ব্যাং দিদি গপ্পটা শেষ করবেন। না হলে কিছু করার নেই। অর্পণ আপনারও মনে হয় কিছু এক্সপিরিয়েন্স আছে শেয়ার করার --- ইচ্ছে হলে লিখবেন - সাগ্রহে পড়বো
  • ব্যাং | 132.167.114.172 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:২৯547861
  • করব তো। ল্যাদ খেতে ইচ্ছে করছে আপাতত। এ গপ্পো কি শেষ হবার রে ভাই। প্রতি হপ্তায়, প্রতিদিনই তো গপ্পো এগিয়ে চলেছে। তবে হ্যাঁ এখন যে কাজটা করছি, কীভবে সেই অব্দি এগোলাম, অকী কী অসুবিধে ভোগ করছি সব লিখব। শুধু আমাকে মাঝেসাঝে একটু ল্যাদ খেতে দেবেন। ক্যামোন?
  • ব্যাং | 132.167.70.204 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৩ ১৫:৩২547863
  • Date:28 Nov 2012 -- 08:08 PM পোস্টের পর থেকে আবার লিখতে শুরু করছি।
  • ব্যাং | 132.167.70.204 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৩ ১৫:৫৭547864
  • শুধু মান্ডুরই নয়, মাভাল্লিপুরা গ্রামের লোকরাও আপত্তি জানাচ্ছিলেন অনেকদিন ধরে। ব্যাঙ্গালোরে শহরের যত্তো আবর্জনা রোজ শয়ে শয়ে লরিতে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হত মান্ডুর, মাভাল্লিপুরায় ফেলে আসার জন্য। ফলে এই গ্রামগুলির আশপাশের গ্রামের মানুষদের পক্ষেও নিঃশ্বাস নেওয়া দায় হয়ে উঠছিল। গুন্ডুর, কাম্মাসন্দ্রা, মারাসন্দ্রা, কাটিগেনাহাল্লি, বোমনাহল্লি, ব্যপ্পানাহাল্লি এইসব গ্রামের লোকরা দাম দিচ্ছিল ব্যাঙ্গালোরবাসীদের সাফসুতরো জীবনযাপনের। মাভাল্লিপুরা ল্যান্ডফিল মাঝে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু গত আগস্টমাসে ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ঘোষণা করেন যে মাভাল্লিপুরা ল্যান্ডফিল খুলে দেওয়া হচ্ছে, আবার নিয়মিত ব্যবহার করা হবে ঐ ল্যান্ডফিল। মাভাল্লিপুরার লোকরা বেঁকে বসেন। কিছুতেই না। ব্যাঙ্গালোরের পাপের দায় আমাদের নয়। আমাদের জল বিষিয়ে যাচ্ছে, ফসল বিষিয়ে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে চর্মরোগ, ফুসফুসে রোগের ছায়া। আমাদের মাপ কর।
    মান্ডুরের লোকেরা বলে, আমাদেরও ঐ এক কথা। আমাদের খোলা জায়্গা দেখে সেখানে শহরের বিষ ফেলে যাবে, আর আমরা মরব, তা কিছুতেই হতে দেব না। আমাদের গ্রামের কুয়োর জল এক গ্লাস তোমরা খেয়ে দেখ। খেতেও হবে শুধু গন্ধ শুঁকলেই চলবে। ডায়ারিয়ায় রোজ লোক মরে। অনেক হয়েছে আর না। এগুলো আমাদের চাষের জমি ছিল। তার উপর ব্যাঙ্গালোরের প্লাস্টিক ফেলে যেতে দেব না।
  • | 24.97.228.100 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:৫৯547865
  • তারপর
    ?
    ??
    ???
    ?????
    ??????
    ??????
  • ব্যাং | 132.167.93.89 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:৫৯547866
  • বাবা গো! এত তাড়া!! প্রশ্নচিহ্ন দিয়ে একদম ভরিয়ে দিয়েছে। জানো না, আমি ধীরস্থির মানুষ! আমার একটু সময় লাগে।
  • kumu | 132.176.32.39 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৫:৩৪547868
  • এই যে টই-
  • ব্যাং | 132.167.223.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৫:৩৮547869
  • থ্যাংকু কুমুদি।
  • ব্যাং | 132.167.223.190 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৫:৪৯547870
  • তাদের আপত্তিতে কর্ণপাত করলেন না শহরের দন্ডমুন্ডের কর্তারা। ফলে আপত্তি হয়ে গেল প্রতিবাদ। প্রতিবাদও যখন কেউ শুনতে রাজি হল না, তখন প্রতিবাদ হয়ে গেল বিক্ষোভ। কয়েকশো লোক রাস্তা অবরোধ করলেন। শহর থেকে আসা জঞ্জালভর্তি ট্রাকগুলোকে ঢুকতে দেওয়া হল না ল্যান্ডফিলে পৌঁছোনোর রাস্তায়।
    ট্রাকড্রাইভাররাই বা কী করে! সে বেচারারা কোথায় যায়! তারা তো জঞ্জালভর্তি ট্রাক নিয়ে ফিরতে পারে না শহরে। তাদের যে দিনে মিনিমাম সাত-আট ট্রিপ খাটতেই হয়, নয়তো পাওনা টাকা আটকে দেয় মালিকেরা। এ কী গেরো! ফলে অবরোধকারীদের সাথে ট্রাকড্রাইভারদের শুরু হল লুকোচুরি খেলা। ল্যান্ডফিলে ফেলতে দিবি না? ঠিকাছে এই নে, তোদের পুকুরে ফেললাম। তারা যেখানেই খোলা জায়্গা দেখে, জলা দেখে, সেখানেই ফেলে দেয় শহরের জঞ্জাল। অব্স্থা বেগতিক হয়ে ওঠে। ট্রাক্ড্রাইভাররা আর নির্দিষ্ট গন্তব্য অব্দি পৌঁছানোর চেষ্টাও করেন না। নিরিবিলি দেখলেই ট্রাকের ডালা উল্টে দেন। নরকের পরিসীমা বাড়তে থাকে।
  • sch | 125.241.148.195 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:২৫547871
  • বেশ। জব্বর গোল পাকিয়েছে
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.210.214 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২৩:৫৮547872
  • ব্যাঙ আমার একটা প্রশ্ন আছে। একটা সময়ে ইন্টারিম স্টেপ হিসেবে ঠিক করা হয়েছিল কিচেন ওয়েস্ট মুখবাঁধা প্লাস্টিকের ব্যাগে করে বাগানের গর্তর ভিতরে ফেলে আসবে, মালিরা মাটি চাপা দিয়ে রাখবে। ঠিক তো?

    প্রশ্ন হল, প্লাস্টিকের ব্যাগ কি বায়োডিগ্রেডেবল?
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.210.214 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:২০547873
  • মিষ্টির দোকানে যে ট্র্যান্সপ্যারেন্ট ছোট ব্যাগ দেয়, সেটা কি বায়োডিগ্রেডেবল?
  • ব্যাং | 132.167.66.251 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৬:৫৩547874
  • ম্যাক্সিমিনদি, আপনার দুটো প্রশ্নেরই উত্তর, "না"
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.216.100 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৪:০২547875
  • এই তো ব্যাং উত্তর দিয়েছ। লেখাটা পুরোটাই পড়ে নিয়েছি। পড়তে ভালো লাগছে।
  • Abhyu | 85.137.1.117 | ২৬ মে ২০১৩ ০৮:৪৮547876
  • তুলে দিলাম
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ১৬ জুন ২০১৩ ০৬:২৭547877
  • ব্যাঙদি অনেক দিন লেখো না এখানে
  • | 24.96.182.29 | ১৬ জুন ২০১৩ ২৩:১০547880
  • হেঁইয়ো
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ২৪ জুন ২০১৩ ০১:১৩547881
  • যদিও খুব একটা রিলেটেড নয়, তবু এখানেই দিই
  • kd | 47.228.106.241 | ২৪ জুন ২০১৩ ১৬:৪৫547882
  • প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে প্রশ্ন ৷
    আমরা ওখানে ট্র্যাশ ব্যাগ কিনতুম যেগুলো পেট্রোলিয়াম প্রডাক্ট নয়, সেলুলোজ না কি বেসড ৷ ও'গুলো বায়োডিগ্রেডেবল বলে লেখা থাকতো ৷ দাম যৎসামান্য বেশী, মজবুত কম মনে হয়নি (আমরা ট্র্যাশ-কমপ্যাক্টারেও ব্যবহার করতুম, ছেঁড়ে নি) ৷ ওই টাইপের ব্যাগ (যদি সত্যিই বায়োডিগ্রেডেবল হয়), এই দেশে বানানো যায় না?
  • byaang | 132.167.229.36 | ২৪ জুন ২০১৩ ১৮:২৮547883
  • কাবলিদা এদেশেও তৈরি হয়। আমরাই তো আর্থসৌলের কম্পোস্টেবল ব্যাগ ব্যবহার করি। তবে বাজারে যেসব বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ পাওয়া যায় তার থেকে ১০০% কম্পোস্টেবল ব্যাগের দাম বেশি বলে বাজারে তেমন চাহিদা নেই। এদেশে যেগুলো বায়োডিগ্রেডেবল বলে বিক্রি করা হয় সেগুলো ১০০% কম্পোস্টেবল নয়।
  • ব্যাং | 132.178.194.207 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ০০:৪৫547884
  • সেই যে বলেছিলাম না নরকের পরিসীমা রোজ বাড়তেই থাকে! ল্যান্ডফিল ছাড়িয়ে আরো অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে শহরের মানুষের তৈরি আবর্জনার পাহাড়। মাভাল্লিপুরা-মান্ডুরের বাসিন্দারা এক জোট হয়ে এবার মামলা করেন। এভাবে আমাদের চাষের জমি নষ্ট হচ্ছে, আমাদের স্বাস্থ্যের কথা তো ছেড়েই দিন, গরীবের আবার অসুখ! কিন্তু চাষের জমিতে আর চাষ না করা গেলে আমরা খাব কী? বিষ আর কত দূর ছড়াবে? কিছু একটা করুন?
    মামলা করলেই তো আর হল না, মামলার ম্যাঁও-ও সামলাতে হয়। তো এই লড়াইয়ে তারা পাশে পায় কিছু এনজিওকে। মামলা চালানোর খরচা তারাই দেয়। আশপাশের আরো অনেক গ্রামের লোকেরাও এগিয়ে আসে। তারা বলে, বিষ তো আর শুধু তোমাদের জমির নীচেই থেমে থাকবে না, চুঁইয়ে আসবে আমাদের কুয়োয়, আমাদের ফসলের শেকড়ে। এখানে আর কিছুতেই আবর্জনা ফেলতে দেব না।
    জজসাহেবরাও বলেন, আপাতত কিছুদিনের জন্য মান্ডুর-মাভাল্লিপুরার ল্যান্ডফিলে আবর্জনা ফেলা যাবে না। পরবর্তী শুনানি অব্দি ঐখানে আবর্জনা ফেলার উপর স্থগিতাদেশ দিলাম।
    সোয়াস্তি। বাঁচা গেল। কিছুদিনের জন্য তো মুক্তি। ল্যান্ডফিলের আশপাশের বাসিন্দারা একটুপ্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার কথা ভাবে।

    সোয়াস্তি!! মুক্তি!!! মানে? আমাদের আবর্জনা তাহলে কোথায় ফেলা হবে? কোথায় ফেলব আমরা? শহরের আয়তন তো বেড়েই চলেছে। লোক বাড়ছে পিলপিল করে। তারা কি কিছুই খাবে না, কিছুই ব্যবহার করবে না, কিছুই কিনবে না? শহরের দন্ডমুন্ডের কর্তাদের মাথায় হাত। এইবার? শুরু হয় তাদের তর্জন-গর্জন। মেয়র বলেন, এত বড় আসপদ্দা! মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রোসো, নতুন ল্যান্ড্ফিলের জায়্গা খুঁজে দিচ্ছি। হবু মন্ত্রীরা ভাবেন, এই হল গিয়ে আমাদের কাজ দেখানোর সুযোগ।
  • ব্যাং | 132.178.194.207 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ০০:৫৭547885
  • পাড়ায় পাড়ায় আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করা বন্ধ হয়ে যায়। আর ব্রুহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকের ট্রাক আসে না ময়লা কুড়োতে। বাসিন্দারা দেখেন এ কী রাস্তায় পা রাখলেই এ যে সাক্ষাৎ নরক। হ্যাঁ বাপু, বিবিএমপি এই জন্য কি তোমাদের ট্যাক্স দিই? ভালোয় ভালোয় এ আপদ সরাবে তো সরাও, নয়তো আমরাও মামলা করতে জানি। রোগ ছড়াবে নাকি আমাদের পাড়ায়! আমাদের ছানাপোনাগুলোর যে এবার অসুখ হবে। দ্যাখো দিকি নি, ভ্যাট ছাড়িয়ে আবর্জনার পাহাড় যে ওদের স্কুলবাসের স্টপ অব্দি এগিয়ে এসেছে। এ তো চলতে দেওয়া যায় না।
    মন্ত্রীরা বলেন চলতে দেওয়া যায় না, নেতারা বলেন চলতে দেওয়া যায় না, বাসিন্দারা বলেন চলতে দেওয়া যায় না। শহরবাসীদের আর্তনাদ, হুঙ্কার, মিনতি, কোনো কিছুতেই আদালতের মন গলে না। শুনানির পর শুনানি চলে কিন্তু স্থগিতাদেশ বহাল থাকে। ঐ ল্যান্ডফিলে আবর্জনা ফেলা যাবে না, যতদিন না রায় বেরোচ্ছে।
  • ব্যাং | 132.178.194.207 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ০১:২২547886
  • এদিকে এই দুই দলের টানাপোড়েনে বেকার হয়ে যায় আরো কিছু লোক। যাদের কাজ ছিল ল্যান্ডফিলে গিয়ে আবর্জনা ফেলে আসা। শুধুই তারাই নয়, যারা ল্যান্ডফিল থেকে প্লাস্টিক কুড়িয়ে বোতল কুড়িয়ে আরো না জানি কর্ত কী কুড়িয়ে কিছু লোককে বিক্রি করত, তাদেরও তো কাজ নেই। আর যারা কিনত, তারাই বা কী করে এবার?

    এদিকে হয়েছে কী, পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডও বলে বসেছে ঐ মাভাল্লিপুরার রামকি ল্যান্ডফিল একদম বন্ধ করে দিতে হবে, আর ওখানে কখনো কোনো আবর্জনা ফেলা যাবে না।

    বাঃ ভালো খবর। নিশ্চিন্তি। ভারি খুশি হয় লোকগুলো। খবরের কাগজের লোকদের ডেকে বলে, জানেন আমাদের কী অবস্থা! চাষের জমি তো গেছেই। এমনকি আমাদের গ্রামের গরুদের দুধও আর কিনছে না আপনাদের ব্যাঙ্গালোরে মিল্ক ডেয়ারি। বলে কিনা আমাদের গরুর দুধ ওরা পরীক্ষা করে দেখেছে, ঐ দুধ খেলে নাকি শহরের মানুষদের শরীরে রোগের বীজ ছড়াবে! আমরা গ্রামশুদ্ধু মানুষ কি বিনা দোষে অনাহারে মরব? জানেন গত তিন মাসে শুধু এই দূষিত বাতাস, দূষিত জল, দূষিত খাবারের কারণে মারা গেছে চার-চার জন লোক!

    ডেয়ারি কর্তারা বলেন, হ্যাঁ কথাটা সত্যি। ঐ দুধ আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি। খুবই নীচু মানের। হবে না কেন? গরুগুলো তো ওখানকার মাটির ঘাষ খায় আর ওখানকার জল। ওদের থেকে আমরা দুধ নেব না।

    ওমা, তাহলে গ্রামশুদ্ধু লোকগুলো এবার করে কী? নিজেদের জমি, নিজেদের ভিটে, নিজেদের পেশা, নিজেদের পরিচিতি সব ছেড়ে শহরে এসে ভাড়া দিয়ে বস্তিতে থাকবে? মহিলারা শহরের মানুষদের বাড়ি পরিষ্কার করবে আর পুরুষরা শহরের মানুষদের বাড়ি তৈরির কাজে নাম লেখাবে? শহর বড় হচ্ছে যে!
  • ব্যাং | 132.178.194.207 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ০১:৪০547887
  • যাই হোক, আপাতত তো ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন। আদালতও রায় দিয়ে দিয়েছে ল্যান্ডফিল বন্ধ করে দিতে হবে। ওখানে আর আবর্জনা ফেলা যাবে না। নিশ্চিন্তি।

    মানুষ যখন দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্তি হয়, কে একটা যেন মুচকি হাসে, বলে, "রোসো। দেখাচ্ছি।"

    একদিন রাতে ঘুম ভেঙে মানুষগুলো দেখল কালো ঝাঁঝালো মোটা পুরু ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে সবকিছু, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, দম নেওয়া যাচ্ছে না, চোখ খোলা যাচ্ছে না, সবকিছু বড্দ গরম আর ভারি, গরমটা যেন বেড়েই যাচ্ছে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসে তারা কোনোক্রমে। দেখে, ল্যান্ডফিলে আগুন লেগে গেছে।
  • ব্যাং | 132.178.194.207 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ০১:৫৭547888
  • কে আগুন লাগিয়েছে? কেউ জানে না। শুধু সবাই আন্দাজ করতে পারে। আন্দাজ করতে পারে কারা লাগিয়েছে, কেন লাগিয়েছে। আন্দাজ করার সময়ই বা কোথায়? আর সাধ্যই বা কোথায়? গরম সীসেভরা বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে হয় তাদের পরের কয়দিন ধরে।

    মহামান্য হাইকোর্টের এবার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। ওনারা সাফ বলে দেন, মান্ডুর এবং মাভাল্লিপুরা দুই ল্যান্ডফিলেই আর আবর্জনা ফেলা যাবে না কোনো অবস্থাতেই। কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ঐ দুই ল্যান্ডফিলের আবর্জনা সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

    আর কর্তৃপক্ষ! কর্তৃপক্ষের কর্তাদের ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। হুজুর মাইবাপ, রায় যখন দিলেন, তখন রায়ের সঙ্গে দয়া করে এটা বলে দিন যে শহরভর্তি লোকের রোজ রোজ কয়েকহাজার টন আবর্জনা কোথায় ফেলব আমরা? মান্ডুর আর মাভাল্লিপুরার ল্যান্ডফিলের আবর্জনা তুলে এনে পরিষ্কার করে দিতে হবে তো ওখানকার জমি, তা বেশ কথা, নিশ্চয়ই তুলে আনব, পরিষ্কার করে দেব। কিন্তু তুলে এনে সেই আবর্জনাই বা ফেলব কোথায় হুজুর?
  • sch | 126.202.221.28 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ০২:৫৫547889
  • তারপর?
  • kd | 47.228.107.1 | ০৬ জুলাই ২০১৩ ১৭:১৭547891
  • ব্যাং, সল্যুশন হয়তো আছে, তবে "পাওয়ার গেম"এর দৌলতে কতটা অ্যাপ্লিকেবল হবে জানিনা ৷
    প্রতিটি কম্যুনিটির নিজস্ব ডাম্প থাকবে (মানে ভবানীপুর, কালিঘাট, নিউআলিপুর, যোধপুর পার্ক, সল্টলেকের প্রতিটা সেক্টর etc.) ৷ অবিস্যি তাতে ডাম্পগুলো ছোট ছোট হবে (-ve) তবে রেসিডেন্টরা নিজেরাই ময়লা ফেলে আসতে পারবে, শহরের কোন ইনভলভমেন্ট থাকবে না (+ve) ৷ যেহেতু পিকচারে সরকার নেই, প্রসেসটা সেল্ফ-মনিটর্ড হবে ৷ মানে উল্টোপাল্টা জায়গায় ময়লা ফেলা চলবে না, ওয়েস্ট-সেগ্রিগেশন, কমপোস্টিং ইত্যাদিতে নেবারহুডের সকলেই নিজেদের স্বার্থেই সিরিয়াস হবে (তুমি বেকার হয়ে যাবে :))
    সবচেয়ে বড় কথা, বড়লোকেরা নিজেদের জঞ্জাল আর গরীবদের মাথায় চাপাতে পারবে না, nimby বলা বন্ধ হবে ৷

    জানি, আকাশকুসুম ব্যাপার ৷ বাজারে naysayers তো প্রচুর! আর, সত্যিকারের টেকনিকাল অসুবিধে কী হবে, সে সম্বন্ধে তো আমার কোন জ্ঞানই নেই ৷
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন