এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অথ বুনো মোষ তাড়ানোর কথা

    π
    অন্যান্য | ১৫ জুন ২০১২ | ৪৫৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.96.81.159 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০৬548007
  • হুঁ বাকীটা বাড়ী ফিরে দেখব তো।

    তারপর?
  • sch | 132.160.114.140 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০৬548006
  • ব্যং দিদি - আমি পরিষ্কার এর থেকে খান দুয়েক অসাধারণ কনফারেন্স পেপার দেখতে পাচ্ছি, যেটা পড়ে আপনি হাসি হাসি মুখে বেরিয়ে আসছেন আর আপনার পেছনে মিডিয়া ছুটছে - লিখতে থাকুন - ছাপান - তারপর আমি আপনার পছন্দমতো জায়গায় গিয়ে পেটানি খেয়ে আসবো -
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০৯548008
  • শিখছি। লিখে যাও, আমরা নীরবে পড়ছি
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:১০548009
  • তারপরটা ওবেলায় লিখব দমু, এখন আর টাইপাতে ল্যাদ লাগছে।
    sch, (দাঁত কিড়মিড়ানোর স্মাইলি)
  • sch | 132.160.114.140 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:১৭548010
  • যত পড়ছি ব্যাংদিদি আর তার ভলান্টিয়ার গ্রুপের প্রতি মন শ্রদ্ধায় ভরে যাচ্ছে। কিন্তু একটা জিনিস আমি ধরে নিচ্ছি যে আপনারা kitchen waste এর মধ্যে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট ইত্যাদি রাখতেন না। শুধু readily biodegradable waste থাকতো। আর বাকি ওয়েস্ট মানে কার্ডবোর্ডের বাক্স, কাগজের প্যাকেট আর প্ল্যাস্টিকের প্যাকেট একসাথেই থাকতো - তাই তো?

    পরের বার কোনো হাউসিং য়ে কাজ আরম্ভ হলে - তারা শুরু করবেন এই হাউস মেইডদের ট্রেনিং দিয়ে। আর একটা ইনফো লাগবে যে কটা বিন কত ক্যাপাসিটির থাকে পার বিল্ডীং
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:২১548011
  • sch হ্যাঁ। কিচেন ওয়েস্টে আমরা শুধু তরি-তরকারি ফলমুলের খোসা বীজ, নষ্ট খাবার, মাছ-মাংসের কাঁটা-হাড়গোড় আর ডিমের খোসা ছাড়া আর কিছু রাখতে মানা করেছিলাম। আর যাদের বাড়িতে বাগান আছে, মানে গাছের টব, তাদের গার্ডেন ওয়েস্ট মানে শুকনো ফুল-পাতা।

    বিনের ক্যাপাসিটির কথা পরে লিখছি।
  • ব্যাং | 132.167.219.205 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:২৭548012
  • টাইমাপ ।

    আবার ওবেলা।
  • dd | 120.234.159.216 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৩৯548013
  • না মোটেই কেউ বোরড হচ্ছে না। আমি সকলের কথাই জানি - তাই লিখে দিলাম।
  • kumu | 132.160.159.184 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৪৪548014
  • ভাটপাতায় কেউ মিসায় না? কে কইল এমন অসৈরণ কথা?
  • de | 69.185.236.53 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৪৮548016
  • আমরা সবাই তোমায় মিসাই --

    খুব ভালো লাগছে -- সময় নিয়ে ডিটেলে লেখো -- আরো জানতে চাই তোমাদের এই প্রচেষ্টার কথা--
  • pi | 127.194.8.29 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৮:৩৩548017
  • ভাগ্য ভাল আমাকে ক্যালাবে বলেনি ঃ)

    আমাদের এখানে মিউনিসিপালিটি থেকে দু'রকম রঙের ট্র্যাশ ক্যান দিয়ে গেছে বাড়ি বাড়ি। কিন্তু সেগ্রিগেশন নিয়ে কারুরই মাথা ব্যথা নেই, না বাড়ির লোকেদের, না কালেক্টরদের। দুই রঙের ট্র্যাশ ক্যান হয়ত দুই ঘরে শোভা পাচ্ছে, এমনি। বল্লাম, আলাদা ক'রে ফেলতে কিন্তু শাশুড়ি বল্লো তাতে আর লাভ কী, সেই তো কালেকশনের সময় সব মিশিয়ে নেবে !

    কোলকাতা কর্পোরেশন ও কি এমনি কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে নাকি ?
  • sch | 132.160.114.140 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ১৮:৫৭548018
  • নাহ ব্যাং দিদি - এত জিনিস এখানে হয় না। biomedical waste এর সেগ্রিগেশান করতেই জান কয়লা হয়ে গেছে সব্বার -
  • jhumjhumi | 127.194.245.62 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ২০:২১548019
  • ব্যাংদি পড়ছি, মোটেই বোর হচ্ছি না। একটা কথা, বায়োডিগ্রেডিবল ওয়েস্ট যেটা তোমরা আলাদা করে সবুজ বিনে রাখতে, সেটা থেকে সার বানানোর কাজ টা কারা করতো? ওগুলো কি সেরকম কোন সংস্থা নিয়ে যেতো, নাকি মিউনিসিপ্যাল সব মিশিয়ে নিয়ে যেতো?
    তোমরা যে কাজটা করছো তার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
  • | 24.99.193.254 | ০৭ নভেম্বর ২০১২ ২০:২৭548020
  • সে তো বাগানের এককোণে গর্ত খুঁড়ে ফেলতে ফেলতে গর্ত ভরে গেলে মাটি চাপা দিয়ে ৩ মাস রাখলেই বেশ ভাল কোয়ালিটির সার তৈরী হয়। ওটা হাউসিঙ কমপ্লেক্সের মধ্যে বাগান থাকলেই করা যাবে।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৫৩548021
  • ঝুমঝুমি, কিচেন ওয়েস্ট বাগানে মাটি চাপা দিয়ে রেখে সার বানানোর পরিকল্পনাই ছিল আমাদের প্রথমে, দমু যেমনটা বলল। কিছুদিন সফলও হয়েছিলাম। কিন্তু দিনে দিনে পাড়ায় নতুন নতুন বাড়ি উঠতে লাগল, সেগুলো ভরে যেতে লাগল এবং প্রায় প্রতি মাসেই কম করেও একশোটা ফ্ল্যাটের ভাড়াটেরা অন্য কোথাও যেতে লাগলেন, এবং সেই সব ফ্ল্যাটে নতুন ভাড়াটেরা আসতে লাগলেন। প্রতি মাসে ভলান্টিয়ারদের পক্ষে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। যতই বাড়ি বাড়ি ফ্লায়ার পাঠানো হোক সেগ্রিগেট করার পদ্ধতি বুঝিয়ে, ইমেলগ্রুপে মেইল পাঠানো হোক পিপিটি অ্যাটাচ করে। নতুন রেসিডেন্টরা কিচেন ওয়েস্ট সেগ্রিগেট করার কাজটা কিছুতেই করলেন না ঠিক করে। ফলে নীল আর সবুজ বিন দুটোতেই সব রকমের মেশানো আবর্জনা পাওয়া যেতে লাগল। রেসিডেন্টরা মেইডদের হাত দিয়ে একটা করেই ব্যাগ পাঠাতে লাগলেন আর তারাও নির্দ্বিধায় দুটো বিনেই সেগুলো ফেলতে লাগল। একদিন দেখা গেল সেই যে ইওয়েস্টের জন্য কালো বিনগুলো রাখা হয়েছিল। সেগুলো উধাও। অত বড় বড় বিন কোথায় গেল রে? কী করে কেউ অত বড় বিন চুরি করে নিয়ে যেতে পারে? সিকিউরিটি তোমরা কী করছিলে?
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:০৮548022
  • যেটা বলতে ভুলে গেছি, সেটা হল এই দশ বছরের পুরনো পাড়ায় প্রথম থেকেই রেসিডেন্টদের সঙ্গে বিল্ডারের মনোমালিন্য চলছিল। বিল্ডার কোনো নিয়মই না মেনে অবাধে নতুন নতুন ব্লক বানিয়ে যাচ্ছিল বাচ্চাদের খেলার মাঠ, বাসকেটবল কোর্ট ইত্যাদি কেড়ে নিয়ে। এবং তারা আজ অব্দি পাড়ার মেন্টেনান্সের কাজটি রেসিডেন্টদের হাতে বা অ্যাসোসিয়েশনের হাতে ছাড়ে নি, পাড়ার হাউসকিপিং স্টাফরাও আজ অব্দি বিল্ডারদেরই এমপ্লয়ি। সিকিউরিটি স্টাফরাও।
    রেসিডেন্টরা বিভিন্ন কারণে বিল্ডারের সঙ্গে যত বেশি মামলা-মোকদ্দমায় জড়াতে লাগল। হাউসকিপিং স্টাফ, সিকিউরিটি স্টাফদেরও বলা হতে লাগল রেসিডেন্টদের সঙ্গে কোনোরকম সহযোগিতা না করতে।
    ফলে কালো বিনগুলি চুরি যাওয়ার পরে সিকিউরিটির থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া গেল না, বিনগুলো কোথায় গেল তার। হাউস্কিপিং স্টাফ, তোমারাই তো রোজ বিনগুলো আনলোড কর ডাম্প-ইয়ার্ডে, তোমরা বল কালো বিনগুলো কোথায়? দেখা গেল তারাও কিছু জানে না।
    ভলান্টিয়াররা রেগেমেগে মেন্টেনান্স ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে বলল, আমাদের বিন কোথায়?
    মেন্টেনান্স ম্যানেজার অপরাধী মুখে ইতস্তত করে বলল, আমাকেও তো প্রোজেক্ট ম্যানেজারের আন্ডারেই কাজ করতে হয়। এই প্রশ্নের উত্তর ওনার জানা আছে, ওনার কাছে যান।
    যাওয়া গেল। প্রোজেক্ট ম্যানেজার বললেন। কালো বিনগুলো অধিকাংশ সময়ই ভরত না, শুধু শুধু বেশি জায়গা নিত বেসমেন্টে, তাই আমরা ওগুলো সরিয়ে নিয়েছি।
    সরিয়ে নিয়েছ? তোমরা ওগুলো দিয়েছিলে? আমরা ভলান্টিয়াররা নিজেরা পকেট থেকে টাকা দিয়ে ওগুলো কিনেছিলাম, ওগুলোর দাম জানা আছে? আমাদের পকেট থেকে গেছে পুরো টাকাটা? ভালো চাও তো ফেরত দাও বলছি!
    ম্যাডাম আপনারা হাউসকিপিংয়ের কাজটা নিজেদের হাতে তুলে নিলেনই বা কেন? আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই, যান, আমাকে কাজ করতে দিন।
    ভলান্টিয়ারদের দলের দুই-তিনজন মহিলাকে প্রোজেক্ট ম্যানেজার বিলক্ষণ ভয় পেতেন। তাদেরই একজন গলার শির ফুলিয়ে বললেন, কালো বিন আজ বিকেলের মধ্যে পাওয়া না গেলে তোর ঐ সাড়ে পঁচ ফুট বডি কাল সকালে সবুজ বিনে খুঁজে পাওয়া যাবে। তোর জামাকপড়গুলো আশা করি বায়োডিগ্রেডেবল।
  • i | 147.157.8.253 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:১৩548023
  • ইয়ে কি বলে আমি ঠিক বলছি কি না জানি না-
    তবে এই ওয়েস্ট সেগ্রেগেশনের ব্যাপারে সচেতনতা আনার জন্য বাড়ির বাচ্চাদের দিয়ে উদ্যোগটা নিলে কাজ দিতে পারে অনেকগুণ। কোনটা বায়ো ডিগ্রেডেবেল -ফলে সার হিসেবে ব্যবহার হলে পরিবেশ উপকৃত হয়, কোনটা নয়, কোনটা রিসাইকল করা সম্ভব, ইত্যাদি বিবিধ ব্যাপারগুলো বয়স্করা ঠিকঠাক নিতে পারেন না/ চান না। তার হরেক কারণ।
    কিন্তু বাচ্চাদের ব্যাপারটা একদম আলাদা।

    বাচ্চাদের কোনোভাবে ইনভল্ভ করা যাবে কি ব্যাং?

    আর ইয়ে খুব মিসাই। যারপরনাই।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:১৪548024
  • বিনগুলোর দাম নেহাত কম ছিল না। একেকটা বিন আড়াইহাজার টাকা দাম ছিল সেই সময়ে। বিনগুলোর দাম পুরোআই ঐ ভান্টিয়াররা নিজেদের পকেট থেকে দিয়েছিল। বিকেল অব্দি কোনো সদুত্তর পাওয়া গেল না। পরের দিনও না। প্রোজেক্ট ম্যানেজারকে ঘেরাও করতে গিয়ে শোনা গেল তিনি নেই, তিনি ছুটিতে গেছেন।

    বোঝা গেল ওগুলো আর কোনোদিনই ফেরত পাওয়া যাবে না।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:১৬548025
  • ছোটাই, বাচ্চাদের সচেতন করার জন্য বেশ কয়েকটা ইভেন্ট করেছিলাম আমরা, বাচ্চারাও উৎসাহী ছিল, কিন্তু আজও আমারাই তো বাচ্চাদের কন্ট্রোল করি, তাই আমরা কেউ চাই না, তারা পড়া-নাচের ক্লাস-পিয়ানো ক্লাস-টিউশন ছেড়ে এসবে মাথা গলাক। ছোটরা মুখ খুললেই তাদের ধমকে দাবড়ে চুপ করিয়ে দিতে আমাদের থেকে ভালো কে আর জানে?
  • প্পন | 126.203.149.210 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:২৭548027
  • এটা বেশ ভালো লাগছে। আমাদের এখানেও এরকম প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, তবে খুব সদ্য। দেখা যাক সেশপর্যন্ত কী দাঁড়ায়।
  • প্পন | 126.203.149.210 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:২৯548028
  • বিনের কাছে আর ফ্ল্যাটের লবিতে সিসিটিভি বসিয়েছে। সেইখান থেকে দেখা হবে কাজের লোক আবর্জনা ফেলছে কিনা। ফেললে আর সেটা ধরা পড়লে বাড়ির মালিককে পেনাল্টি দিতে হবে।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৩১548029
  • যাই হোক, ভলান্টিয়াররা বেশ দমে গেল রাতারাতি অতগুলো বিন উবে যাওয়ায়। প্রোজেক্ট ম্যানেজার ছুটি থেকে ফিরে এলেন, মহিলাদের দয়া করে ক্লাব হাউসের সামনে একটা বালতি বসিয়ে তার গায়ে লিখে দিলেন ই ওয়েস্ট। মহিলাদের বললেন, যার বাড়িতে যত সিডি , ফ্লপি ইত্যাদি ছিল সবই তো এতদিনে সাফ হয়ে গেছে, এখন তো পেন ড্রাইভের যুগ, সে আর কত জায়গা নেবে!
    মহিলারা তেড়িয়া হলেন, বললেন "আর ব্যাটারি? পুরনো তার? পুরনো মোবাইল ফোন সেট? সেগুলো? সেগুলো জায়গা নেয় না?"
    প্রোজেক্ট ম্যানেজার বললেন, "আপাতত এর বেশি কিছু করা সম্ভব নয়"
    কালো বিনগুলো অদৃশ্য হওয়ার কারণ হিসেবে বললেন, এক হাউসকিপিং সুপারভাইজর ওগুলো মায়া করে দিয়ে কাজ ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছে।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৩৬548030
  • ভলান্টিয়াররা হাল ছেড়ে দিল না এর পরেও। তারা নিজেদের মধ্যে মিটিং ডাকল। সেখানে ঠিক করল, কিচেন ওয়েস্ট থেকে সার তৈরির কাজ এবার থেকে নিজেদের বাড়ির ভিতরে হবে, আপনি আচরি ধর্ম শিখাও ইত্যাদি।
    জয়নগর ফোর্থ ব্লক মার্কেট থেকে তারা কিনে আনলা বিচিত্র এক যন্ত্র, তার নাম কাম্ভা।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৩৭548031
  • কাম্ভা ব্যাপারটি এরকম

    http://dailydump.org/products/kambha
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৩৮548032
  • প্রায় সবারই বাড়িতে তিনটে বা দুটো করে বারান্দা, বারান্দাগুলোয় কম করেও দু-তিনটে করে গাছের টব, ফলে কাম্ভা আর গাছের টব পাশাপাশি ঠাঁই পেয়ে একে অপরের সুখদুঃখের সঙ্গী হল।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৪৫548033
  • ভলান্টিয়াররাঐ কাম্ভার ছবি দিয়ে মেইল পোস্ট করতে লাগল ইয়াহুগ্রুপে। রেসিডেন্টদের সচেতন করার কাজটা তারা থামাল না। উৎসাহ দিতে লাগল "সেগ্রিগেশন অ্যাট সোর্স" ব্যাপারটি সবার মনে গেঁথে দিতে।
    বেসমেন্টের সবুজ আর নীল বিনে কোনো ফারাক রইল না। না না প্পনকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলি নি। বলছিলাম যে সবুজ আর নীল বিন দুটোতেই বায়োডিগ্রেডেবল আর ননবায়োডিগ্রেডেবল একসাথে মিশে যেতে থাকল। তার সাথে মিশতে থাকল ব্যাটারি, সিডি ইত্যাদি।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৪৭548034
  • তখনও ভলান্টিয়ার গ্রুপ জানে না, তাদের এরকম এত সচেতন একটা প্রচেষ্টা কেন এস্টেট ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট করল না, একটুও সহযোগিতা করল না, প্লাস ই ওয়েস্টও আলাদা করতে দিল না কেন।
    এই প্রশ্নের উত্তর তারা ইদানিং পেয়েছে, হালেই, খুব বেশি হলে দেড় মাস আগে।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৫২548035
  • ইতিমধ্যে নানারকম সংস্থা মুখ দেখাতে লাগল, মেয়েদের ভলান্টিয়ার গ্রুপের সাথে মিটিং করতে লাগল। কম বেশি সবারই বক্তব্য এক - কিচেন ওয়েস্ট তোমরা আমাদের সেগ্রিগেট করে দাও, একটা জায়গা দাও, খোলা জায়্গা মানে এক টুকরো জমি, সেখানে আমাদের কমপোস্টিং প্লান্ট বসানো হবে। এই প্লান্ট উইথ ম্পোস্টিং ইউনিট অসম্ভব দামী, বারো থেকে পনেরো-কুড়ি লাখ টাকা দাম, পার হাউসহোল্ড দুই থেকে আড়াইহাজার টাকা করে দিলে আমরা দুইহাজার পরিবারের কিচেন ওয়েস্টের ভার নিতে পারি। আর বাকি ড্রাই ওয়েস্টও ডিজপোজ করার দায় আমাদের।
    মেয়েরা জিগায়, কিচেন ওয়েস্ট আলাদা করবে কী করে তোমরা, আমরা এত বছর ধরে চেষ্টা করেও আজ অব্দি ১০০% সেগ্রিগেটেড কিচেন ওয়েস্ট কালেক্ট করতে পারি নি রেসিডেন্টদের থেকে।
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৫৩548036
  • প্লান্ট উইথ কম্পোস্টিং ইউনিট
  • ব্যাং | 132.172.253.128 | ০৮ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৫৮548038
  • সংস্থাগুলোর মধ্যে সাহসের কথাই বলি, যেহেতু তারা সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখিয়েছিল আর সায়ন অলরেডি এপাতায় এদের কাজের কথা উল্লেখ করেছে।

    মেয়েদের প্রশ্নের উত্তরে এরা বলল "আমরা সবাইকে একটা করে বায়োডিগ্রেডবল ব্যাগ দেব, বাড়ি বাড়ি গিয়ে। সেই ব্যাগে শুধুই কিচেন ওয়েস্ট ভরতে হবে, পরের দিন সেই ব্যাগগুলো বিনে এলে সেখান থেকে শুধু এই আমাদের লোগো লাগানো ব্যাগগুলো পিকাপ করে হাউসকিপিং স্টাফরা আমাদের কমপোস্টিং ইউনিটে নিয়ে আসতে হবে। তবে হ্যাঁ, ব্যাগগুলো একেকটার দাম দুই থেকে তিনটাকা করে পড়বে, মানে মাসে ষট থেকে নব্বইটাকা মতন খরচ করতে হবে প্রতিটি পরিবারকে"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন