এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নির্মোহ ব সিরিজ - কত নং জানিনা

    pi
    নাটক | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ৮২৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 117.197.67.221 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:৫৫532031
  • তন্ত্রে, তাই-
    এবং এই সুখলাভের পর পার্থিব সুখদু:খ আর স্পর্শ করে না- মানুষ সাংখ্যের মুক্ত পুরুষের ন্যয় প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে যায়। তখন সে স্বয়ং শিব
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:০৪532032
  • গোলা তো ! তার মানে একেবারে ভুল জানতাম না। খালি লোকেশনটা ঠিক ছিল না। :-)
  • d | 14.96.11.12 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:২৪532033
  • ইন্দ্রাণী, দেখুন উনি যেমন কে কার বর, বউ, কে আগে কোন নামে লিখত এইসব অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে বলেন, আমিও অনলাইন থেকে জানা তথ্যই ব য়বহার করেছি। তাতে আপনারা কেউ কেউ দ্বিমত হতেই পারেন, সেটা আপনাদের ব্যপার।

    কানামাছি খেলাটা আমার বরাবরই মজার লাগে। আমি নাচার।
  • omnath | 117.194.200.112 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:৩৮532034
  • পিনাকী-দাকে রাজযোগ রেকমন্ড করলাম। আপাতত বিবেকানন্দের লেখা মালটা পড়লেই চলবে। (এবার শিবুদা আমায় খিস্তি করলে আগেই বলে দিই, আমি রাজযোগে বিশ্বাস করি কি করি না তার সাথে এই রেকো-র কোনো লিংক নাই) আর, "বা: বী: বিদ্যা অবিদ্যা" বাদ দিলেও পিনাকীদার কি মনে হয় জগতে ভালো মেয়ে - বাজে মেয়ে কিংবা ভালো ছেলে খারাপ ছেলে এরকম কোনো ক্যাটেগরি নাই? মানে পলিটিকাল কারেক্টনেসের কারণে সমস্ত গ্রে এরিয়া সমেতই বললাম। রঞ্জনদাকেও এই একই প্রশ্ন।
  • tatin | 117.197.67.221 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:৪৫532036
  • রানির হাটে কে কার বাপ?
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:৪৫532035
  • আরে ধুর, সে থাকবে না কেন? সেটা সহজে বল্লেই তো মিটে যায়। তাই বলে বিদ্যা মায়া, অবিদ্যা মায়া - এসব বল্লে জটিল লাগে কি না। আর দেখাই তো যাচ্ছে 'বাজে ছেলে' বলে কোনো ক্যাটেগরি নাই ঐসব মায়ার আলোচনায়।

    কিন্তু রাজযোগ কি বাংলায় অনলাইন এভেলেবল?
  • omnath | 117.194.200.112 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৭:৫৩532037
  • মায়ার আলোচনা কাটাও। রাকৃ নিয়ে হচ্ছিল। রাকৃ বাজে মেয়েদের থেকে ভালো ছেলেদের সাবধানে থাকতে বল্লে সেটা ভালো মেয়েদের গায়ে কেন লাগবে? আর বাজে মেয়েদের গায়ে লাগলে তারা রাকৃ কে খিস্তি কারলে কী আসে যায়? এ বিষয়ে কিছু বলার আছে?
  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:২০532038
  • ওমনাথকে,
    বাস্তবে কেন থাকবে না? প্রশ্ন হচ্ছে ( আমার ও পিনাকীর) রা কৃর ভোক্যাবে বাজে ছেলে ক্যাটেগরি নেই কেন? তাদের থেকে ভাল মেয়েদের সতর্ক করা নেই কেন?
    সবসময় রা কৃ'র ভোক্যাবে বাজে মেয়েদের শুধু নয়, ভালো মেয়েদের থেকেও সতর্ক করা কেন? মেয়ে ভক্ত হলেও তাদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ কেন?( কোট করেছি)
    তার মানে মেয়ে, ইন জেনারেল, কামের সঙ্গে জড়িত এবং বোকাসোকা পুরুষদের বিপথে চালিত করতে চাইছে এমন ক্যাম্পেন কেন? অর্থাৎ, শুধু বাজে মেয়ে নয়, মেয়েজাতি নিয়েই সমস্যা ওনার। নইলে প্রেম নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মেয়েজাতির শরীর নিয়ে তাচ্ছিল্য কেন? পুরুষের শরীরেও তো একই জিনিস রয়েছে। কাজেই শুধু বাজে মেয়েদের কথা বলেছেন ব্যাপারটা আদৌ এমন নয়। শিউধু তাই হলে কারো কিছু বলার থাকতো না।
    দুখে,
    না, মণি সন্ন্যাসী নন, কিন্তু শুধু আমার দিকে মনোযোগ দাও বলায় ওনাকে ""ত্যাগ'' করার উপদেশ দেয়া হয়েছে। কথামৃত বিরোধাভাসে ভরা।
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:৪১532039
  • :-)

    পুরোটা দেখেশুনে আমার মনে হল না রামকৃষ্ণ 'ভালো মেয়ে' বলে কোনো ক্যাটেগরি আদৌ আছে বলে মনে করতেন। পুরোটাই পুরুষের দেখার উপর নির্ভরশীল। ঈশ্বরলাভের আগে পুরুষের চোখে যে মেয়ে কামিনী, ঈশ্বরলাভের পর তার মধ্যেই দেখা যাবে জগন্মাতাকে। এক্ষেত্রে মেয়েটি একচুয়ালি কামিনীই রইল। বদলে গেল পুরুষের দেখার দৃষ্টিভঙ্গিটা। ঈশ্বরলাভের আগে একরকম পরে আর এক রকম। রাকৃ যেহেতু ঈশ্বরলাভ করে ফেলেছেন তাই তিনি বেশ্যাতেও জগন্মাতা দেখেন, কিন্তু বেশ্যা বেশ্যাই থাকে, এবং হ্যাঁ, ডেরোগেটরি সেন্সেই।

    যদি ব্যাপারটা উল্টো হত, অর্থাৎ, নারী মানেই আসলে কামিনী নয়, আসলে জগন্মাতার অংশ, তাহলে পুরুষের মোহোমুক্তি সেইটা বলেই ঘটানো যেত। বেশ্যার হাগুমুতুর উদাহরণ দিতে হত না। সেক্ষেত্রে ফোকাসটা থাকত, মেয়েরা আসলে জগন্মাতার অংশ, আসক্ত পুরুষই তাকে কামিনীরূপে দেখে।

    এদুটো দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। একটা শুরু হয় 'মেয়েরা ইϾট্রনজিক্যালি কামিনী' - এই অ্যাজাম্পশনটা থেকে, আর একটা শুরু হয় 'মেয়েরা ইϾট্রনজিক্যালি জগন্মাতার রূপ/অংশ' - এই অ্যাজাম্পশনটা থেকে। দ্বিতীয়টা হয়নি, কারণ ভারতীয় দর্শনের লিগ্যাসি সেটা নয়। তাতিন প্রকৃতি ও পুরুষ নিয়ে যেটুকু লিখেছে তাতে আমি তাই বুঝেছি।

    আমি এই বুঝেছি। অন্য কেউ অন্য কিছু বুঝে থাকতে পারে। তাতে আমার কিছু বলার নাই।

    কিন্তু এত কিছুর পরেও আমি মোটের উপরে রাকৃ বা বিবুদার প্রগতিশীল ভূমিকাকেই বড় করে দেখি। এইসব পুরুষতান্ত্রিক বিচ্যুতিগুলো পার্ট অফ দ্য গেম। আমরা এত ডায়লগ দিয়ে এত 'আলোকপ্রাপ্ত' হয়েও যা থেকে বেরোতে পারি না, সেটা আজ থেকে একশো বছর আগের এক দার্শনিকের কাছ থেকে আমি খুব একটা আশাও করি না। আমার সামগ্রিক মূল্যায়নও সেটা দিয়ে তাই খুব একটা প্রভাবিত হয় না।
  • tatin | 117.197.67.221 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:৪৯532041
  • বিদ্যার স্ত্রী ঈশ্বরের দিকে নিয়ে যায়, একটি বা দুটি সন্তানের পর ভাইবোনের মত থাকবে, দুজনে সর্বদা ঈশ্বর চিন্তা করবে-- ইত্যাদির মানে কী তাহলে?
    আর, ঈপ্সিতাদির দেওয়া গৌরিমা-কে বলা কথাগুলো লিংক ঘেঁটে না দেখে ইন্টার্প্রিটেশন নামিয়ে না ফেললেই কি নয়?
  • tatin | 117.197.67.221 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:৫২532042
  • তাছাড়া প্রকৃতি আর পুরুষ == মেয়ে ছেলে নয়। অবিদ্যার ছেলে কনসেপ্ট ও আছে (প্রসংগ বিদ্যাসাগরের বাড়িতে দ্যাখা দুটি ছেলে)
    এবং, পিনাকীদার লজিকেই, ঈশ্বরলাভের পরই তো মোহমুক্তি ঘটেছে- ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হয়েছে। তখন যে রূপে যা যা দ্যাখা যাচ্ছে, তাই তো প্রকৃত স্বরূপ হওয়ার কথা। নিউটন'স ল পড়ার আগের বোঝা আর পরের উপলব্ধির মধ্যে কোনটি সত্যের বেশি কাছাকাছি হবে?
  • Somnath | 117.194.200.112 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৮:৫৯532043
  • রঞ্জনদা,
    বাজে ছেলে ক্যাটেগরি আছে। "অবিদ্যার ছেলে" কথাটা কথামৃতে আছে। বিদ্যাসাগরের সাথে দেখা করার চ্যাপ্টারেই ছিল এক পীস। কেউ কিছু কোট ও করল বোধহয়। আরো আছে, পিডিএফ সার্চ করে দেখতে হবে।

    তাদের থেকে ভালো মেয়েদের সতর্ক করা নেই কেন, এ নিয়েও কথা হয়েছে। ১- মেয়েদের সতর্ক করা যে হয়েছে, তার লিংক দেওয়া হয়েছে। ২- মেয়েদের দেওয়া তার উপদেশ কথামৃতে বিশেষ নেই। কারণ ক) শ্রীম বা অন্য পুরুষ ভক্তদের সামনে তিনি মেয়েদের উপদেশ দেননি। খ) মেয়েদের মধ্যে কোনো শ্রীম ছিল না তার মেয়েদের প্রতি উপদেশাবলী লিপিবদ্ধ করার জন্যে। গ) যদি কিছু থেকেও থাকে ইনস্ট্যান্ট মনে নেই, কথামৃত ঘাঁটতে হবে। ছোটাই ঘাঁটছে, পেলে জানাবে নিশ্চয়ই। ঘ) মেয়েদের দেওয়া তার উপদেশ বেসিকালি সারদাদেবীর উপদেশাবলীতে দেখতে হবে। সে বিষয়েও বলা হয়েছে।

    ভালো মেয়েদের থেকেও সতর্ক করা - হবু সাধুদের। যারা ভবিষ্যতে সন্ন্যাসি হবে তাদের সমস্ত নারীদের থেকেই দূরে থাকার পরামর্শ। শুধু রামকৃষ্ণ নয়, ন্রহ্মচর্যাশ্রমের বেসিক নিয়ম।

    ক্যাম্পেন কেন নিয়েও বলেছি। সেকালের সমাজিক অবস্থায় মেয়েদের ইন জেনেরেল কামের সাথে জড়িয়েই দেখা হত। সেখানে কামে কিসুই মহৎ আনন্দ নেই এই ক্যম্পেনই সবচেয়ে জরুরি ছিল। এটা নিয়ে ডিটেলস বলেছি।

    পুরুষ ভক্তদের যখন বাণী দিচ্ছেন, কামজয়ের, কামত্যাগের কনসেপ্ট বোঝাচ্ছেন, তখন কাম্য বস্তুকেই তো ডি-ইলিউশনাইজ করতে হবে, নাকি। তখন খামোকা তোমার নিজের শরীরেও রক্ত, হাগু হিসি কফ আছে বললে পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের ঢাক পেটানোই হবে শুধু। লোকশিক্ষেটা কী হবে? শিক্ষক হিসেবে আনপ্যারালেল ছিলেন, সেই নিয়ে কোনো দ্বিমত তো নেই?

    রঞ্জনদা পুরো টইটা পড়েছেন বলেই আমার মনে হচ্ছিল।
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:০০532044
  • অবিদ্যার ছেলে রঞ্জনদার ব্যাখ্যা অনুযায়ী অবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত ছেলে।

    প্রকৃতি পুরুষের মধ্যে পুরুষ যদি জেন্ডার সেন্সে পুরুষ না হয় তাহলে সেটা কি?

    আর সত্য যদি এইটা হয় যে সব মেয়ে জগন্মাতার অংশ, তাহলে তো সিম্পলি এইটা বল্লেই মিটে যেত যে ছেলেরা তোমরা মায়ায় আবদ্ধ বলে জগন্মাতাকে কামিনী বলে ভুল করছ। দৃষ্টি থেকে আসক্তি কাটাও।

    শুধু ইন্টারপ্রেটেশন নির্ভর তক্কো চালাতে আমার ইন্টারেস্ট নেই। এর মধ্যে আর যুক্তি কোনো জায়গা থাকছে না। এখন পুরোটাই কে কোনটা কিভাবে বুঝছে - তার উপর।

    আর ভারতীয় দর্শনের লিগ্যাসি পুরুষকেন্দ্রিক নয়?
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:০৮532045
  • আমার যুক্তিবুদ্ধি এটাই বলে যে আমি যদি মনে করতাম সব মেয়ে জগন্মাতার অংশ, তাহলে আমি লোকশিক্ষে দিতে হলে লোককে মোহোমুক্তির জন্য বলতাম ওরে বেশ্যাকে লাগানোর সময় মনে কর নিজের মাকে লাগাচ্ছিস।

    তাতে অনেক বেশী মোহোমুক্তি হত বলে আমার মনে হয়। ঐসব হাগু হিসুর চেয়ে।

    সবাই মনে হওয়ার উপর খেলছে, আমিও একটু মনে হওয়া বল্লাম।
  • Sankhya | 59.93.197.94 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:০৯532046
  • মানব জীবন মায়ায় আচ্ছন্ন, তাই বিবিধ শোকের হাত থেকে তাহার পরিত্রান নাই। সমস্ত দু:খ সুখ অনুভুতির জন্য মানবকে নির্ভর করতে হয় বহির্জগতের ওপরে। তাই মুক্তির একমাত্র রাস্তা হলো এই বহির্মুখী নির্ভরতাকে সম্পুর্ন রুপে ত্যাগ করে অন্তর্মুখী আনন্দের খোঁজ করা। যে মানুষ সেই আনন্দের খোঁজ পান, তিনি ঈশ্বরঙ্কÄ লাভ করেন, তখন তিনি ই নির্বিকার, নিরাসক্ত হয়ে ওঠেন। অসীম আনন্দের সাগরে তিনি পরম ব্রহ্মে মিলিত হন। জাগতিক শোক, তাপ তাহাকে স্পর্শ করে না।

    এই ঈশ্বরঙ্কÄ লাভ করাটাই ভারতী সাধকদের মুল উদ্দেশ্য, ঈশ্বর কে দেখা নয়। যাহা দেখা যায়, তাহা ঈশ্বর নয় অথবা গৌন ঈশ্বর মাত্র।

    কুন্ডলিনী সর্পের নয় একটি প্যাঁচ মাত্র যাহা সুষুন্মার অন্তে থাকে। কিন্তু আদতে ইহা একটি চেতনা মাত্র, physically ইহার কোনো existance নাই। কুন্ডলিনী জাগরনের সাথে বীর্যধারনের কোনো linear সম্পর্ক নাই। জীবনের বহু সময় কুন্ডলিনী জেগে ওঠে নিজে থেকে। গভীর আনন্দ (ইদা: নর নারির স্বেচ্ছামিলন) থেকে শুরু করে গভীর শোক তাপের সময়েও কুন্ডলিনী জেগে ওঠে। যোগীর কাজ শুরু হয় এখন থেকে। এই কুন্ডলিনী কে সুষুম্না বরাবর ওপরে নিয়ে যাওয়া টাই যোগসাধনার মুল। বহু সময় ধরে নির্দিষ্ট পদ্ধতি তে সাধনা করলে তবে এই কাজ সম্ভব। বিভিন্ন গুপ্ত যৌগিক পদ্ধতিতে এই সাধনা হয়, এবং ইহা সম্পুর্ন গুরুমুখী। হিন্দু দেবদেবী মুর্তি আদতে সাধকের এই যোগক্রিয়ার প্রতিরুপ মাত্র, বা symbol বলা চলে।
    সুষুম্না বরাবর চক্র গুলো এইরুপে অবস্থান করে,

    মুলাধার চক্র
    স্বাধিষ্ঠান চক্র
    মনিপুর চক্র
    অনাহত চক্র
    বিশুদ্ধ চক্র
    আজ্ঞা চক্র

    সাধন যখন পুর্ব চক্র গুলিকে জয় করে মনিপুর চক্রে এসে অবস্থান করেন তখন নানা প্রকার দৃষ্টি বিভ্রম (!) ঘটে অথবা সাধক বহু জিনিস দেখতে পান। তখনই ঈশ্বর দর্শন ঘটে (রামকৃষ্ণের ঈশ্বর দর্শন), যাহা আদতে শুধু দৃষ্টি পরিবর্তন মাত্র। এর পর গুরুর সাহায্যে শিষ্য এই পরিবর্তন কাটিয়ে পুনরায় সাধনায় রত হন। এর পরে একসময় আজ্ঞা চক্রও জয় করেন সাধক। এরপরের ঘটনাই হলো ঈশ্বরঙ্কÄ প্রাপ্তি। সহস্রার অবস্থানে পৌঁছে যান সাধক। তখন চেতনায় (নাকি) সহস্র পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়। সাধকের সাথে বহির্জগতের আর কোনো সম্পর্ক থাকে না। সাধক সম্পুর্ন অন্তর্মুখী হয়ে যান। নির্বিকার, নিরাকার ... নিজেকে চেনা জানার মাধ্যে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের স্বরুপ জানা, ঈশ্বরঙ্কÄ লাভ।
  • tatin | 122.252.251.244 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১৬532047
  • এই মানুষে হবে মাধুর্য ভজন
    তাতে মানবরূপ গঠলেন নিরঞ্জন
    কত দেব-দেবতা গণ
    করে আরাধন
    জন্ম নিতে এই মানবে--
  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:১৮532048
  • ওমনাথ, পিনাকী, আকা, রিমি, তাতিন, পি এম ও দুখে,
    আমরা কী নিয়ে গত ক'দিন ধরে কোমর বেঁধে লেগে এটাকে সবচেয়ে বেশি হাইজ্যাকিত টই করে ফেল্লাম?
    একটু সাম আপ্‌ করার চেষ্টা করছি যাতে দাড়িদাদুতে ফিরে যাওয়া যায়।
    শুরু হয়েছিল কথামৃত গ্রন্থে নারীসম্বন্ধিত বক্তব্যগুলো যথেষ্ট ইনসাল্টিং কি না এই নিয়ে।
    দুটো মত বেরিয়ে এল স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে।
    এক, মূলধারার মতবাদ।
    দুই, হেরেটিক দৃষ্টিভঙ্গী।

    ১)বিক্তর্ক বা বিতন্ডা শুরু করলেন হেরেটিকরা। ওনাদের বক্তব্যের সার হল সর্বত্র কামিনীকাঞ্চন ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। শুধু কাম নিয়ে কথা হলে কোন আপত্তি নেই, কেননা শব্দটা জেন্ডার নিউট্রাল।
    ২)যথারীতি মূলধারার অনুযায়ীরা , প্রত্যাশিত ভাবেই, দেখাতে চাইলেন। কথামৃত গ্রন্থে নারীদের প্রতি অবমাননাকর কিছু নেই। কোন কনট্র্যাডিকশন নেই।
    সমস্যা হেরেতিকদের সংকীর্ণ ব্যাখ্যা, কেউ কেউ একটু এগিয়ে বল্লেন-- কথামৃত এত সহজ নয়। বুঝতে গেলে হেরেটিকদের আগে অনেক ক্লাস-টাস করে আসতে হবে। নইলে ওদের অধিকার নেই এসব নিয়ে চর্চা করার। আবার কোন বামমার্গী দর্শনের ঝোঁকের প্রতিও ইশারা করা হল।
    ৩) হেরেটিকরা, প্রত্যাশিত ভাবেই, আপত্তি জানালেন কথামৃতের মত সর্বসাধারণের জন্যে লিখিত গ্রন্থ নিয়ে আলোচনাকে এলিতিস্ত বা স্পেইঅলিস্ত লেভেলে নিয়ে যাওয়ার বা আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে সার্টিফিকেট দাবী করার।
    কিন্তু, হেরেটিকদের মধ্যেও কেউ কেউ জড়িয়ে পড়লেন "" বিদ্যা-অবিদ্যা'', সাংখ্যের প্রকৃতি-পুরুষ তঙ্কÄ ইত্যাদি নিয়ে স্পেইঅলিস্ত আলোচনায়।:)))।
    স্বভাবত:ই এতে টইয়ের অন্য চন্ডাল-চন্ডালীরা যৎপরোনাস্টি বোর হলেন।
    ৪) দাঁড়াল কি?
    একই ঘটনার ""পলিটিক্যালি করেক্ট'' দল আর ""হেরেটিক দল'' দুই রকম ব্যাখ্যা করচেন।
    সবচেয়ে ভালো উদাহরণ "" বুড়ি বেশ্যা'' ধামা-পোঁদ ইত্র্যাদি বাক্যটি। ""সিদ্ধাই'' যে কত খারাপ সেটা বোঝাতে গিয়ে ঠাকুর ওই উদহরণ দিয়েছেন, এও বলেছেন এই দৃষ্য ওনাকে মা স্বয়ং দেখিয়েছেন।

    হেরেটিকের দল এতে নারীবিরোধী জেন্ডার-বায়াস দেখলেন। কিন্তু প্রথম দল এতে with all sincerety অত্যন্ত সঠিক উপমা দেখলেন। কারণটা জেনুইন।
    বাস্তব ভারতীয় সমাজে বেশ্যার বিপরীতলিঙ্গী শব্দ
    ব্যবহারে নেই যে! কাজেই এর চেয়ে ভালো মেটাফর কি হতে পারে!
    কথাটা সত্যি বটে! এই সমাজে নারী বেশ্যা হয়। ঘরের বার হলে আর ঢোকার অধিকার থাকে না। কিন্তু পুরুষ দালালেরা বা গমনকারীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:২৬532049
  • আর হ্যাঁ, সমানে বলা হচ্চে, ঈপ্সিতার দেওয়া কোটটা, মানে ঐ গৌরীমার কথা। সেখানে কি আছে যা দিয়ে বোঝা যাবে ছেলে মাত্রই ডিস্ট্র্যাকশন? পুরুষ কাঞ্চন থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। তার মানে কি এইটা বোঝায় যেভাবে গড়পড়তা সব মেয়েই ইন জেনারেল 'কামিনী', সেরকম সব ছেলেই তাই?

    ওমনাথ যেটা বলছে, অর্থাৎ কাম থেকে বা ডিস্ট্র্যাকশন থেকে দূরে থাকতে বলা, মেয়ে সাধক দের ছেলে থেকে, ছেলে সাধকদের মেয়ে থেকে দূরে থাকতে বলা - এ তো ছিলই। সেটা বাদেও মেয়েদের ক্ষেত্রে ডিস্ট্র্যাকশনের অবজেক্ট হিসেবে যেভাবে জেনারালাইজ করা হয়েছে, যা পুরুষতান্ত্রিক ওভারটোন সেখানে, সেরকম ছেলেদের সম্পর্কে তো নেই। এ তো দেখাই যাচ্ছে। শুধু এইটুকুকে স্বীকৃতি দিতে প্রবলেমটা কোথায়?
  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৫532050
  • ৫) ওমনাথের কথার জের টেনে।
    পিনাকীর সঙ্গে একমত। পাইয়ের কোট দুটো ইন্টার্প্রিটেশন। কথামৃত ডায়রেক্ট কোট।
    সিপিএম এর নেতারা যখন হাড়গোড় কান্ডে বন্দী হন, তখন সিপিএম নেতৃত্বের স্টেটমেন্ট তো এই হবে-- চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। তেমনি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জনিত মার্ডার নিয়ে ববি হাকিমকে প্রশ্ন করলে শুনতে হবে, প্রত্যাশিত ভাবেই, এর সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই, সব সিপিএমের চক্রান্ত।
    কথামৃতের নারীবিরোধী বক্তব্যের প্রশ্নে পাইয়ের কোট করা দুটো সার্টিফিকেটের স্ট্যাট্যাস আমর চোখে ওপরের বেশি নয়।
    আর টেনে হিঁচড়ে এক 'অবিদ্যার ছেলে'' কে অবিদ্যা-পুরুষ বলা ছাড়া পুরুষের ইϾট্রন্সিক নষ্টামি নিয়ে উদাহরণ কোথায়? বরং কামিনীকাঞ্চন নিয়ে উদাহরণ ভুরিভুরি।
    তার চেয়ে ওমনাথের, তাতিনের, দুখের এবং পিনাকীর এই বক্তব্য অনেক সার্গর্ভ যে সেই সময়টাকে বুঝতে হবে, আজকের হিসেবে বললে চলবে না। ঠিক কথা।
    ওমনাথ ঠিক বলেছে যে অএই সময় কাম আর কামিনী প্রায় সমার্থক ছিল। তাই একজন গ্রামীন ব্রাহ্মণ সাধারণ লোককে বোঝাতে এইসব উদাহরন দেবেন তাতে এত চিল-চিৎকার জোড়ার কি হল? একদম ঠিক।
    অনেকে এটাও সঠিক ভাবেই বলেছেন যে বুদ্ধ, যীশু বা
    রবীন্দ্রনাথ কেউ আজকের বিচারে সম্পূর্ণ ভাবে জেন্ডার নিরপেক্ষ বলা যায় কি?
    না, অবশ্যই বলা যায় না।
    তবে?
  • pi | 72.83.80.169 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৪০532053
  • জেটল্যাগের সাথে সাথে জেটল্যাদও হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। অনেক পোস্ট পড়েই লিখতে হাত উশখুশ করে, এদিকে লিখতে হবে ভাবলেই গায়ে জ্বর !

    তবু রঞ্জনদাকে একটা কথা না বলে পারছিনা। সেটা অন্য কিছুজনের কিছু প্রশ্নের সাথেও রেলিভ্যান্ট মনে হয়। রেলিভ্যান্ট মনে হয়েছিল বলেই গৌরীমাকে বলা কথাটা দিয়েছিলাম।

    অনেকের অনেক আলোচনা পড়ে মনে হয়েছে, অনেকেরি অন্যতম মূল আপত্তির জায়গা এই জায়গাটাতে: মেয়েদের যা নিয়ে উনি আপত্তি তুলেছেন,ছেলেদের বেলাতেও তো সেগুলো আপত্তিযোগ্য , তো সেই কথা কেন বলেননি ইত্যাদি।

    গৌরীমার বলা কথা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বলেছেন।

    এবার আপত্তি আসছে, কথামৃতে কেন সেরকম কিছু সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পয়েনটাতে আমি ঘেঁটে গেলুম।

    এখানে আলোচ্য বা প্রশ্নাদি কী নিয়ে ?
    রা কৃ এর কথা নাকি রা কৃ এর ক মৃ তে বলা কথা নিয়ে ?
    যদি প্রথমটাই হয়, তাহলে ঐ কথা ক্যানো গণ্য হবেনা ?

    এবার যদি প্রশ্ন হয় সেকথা কেন কথামৃতে নেই, তার অনেক ব্যাখ্যা থাকতে পারে। এরকম উপদেশ দেওয়া যায়, সেরকম মহিলা ভক্ত কম ছিলেন , আর সেসময় সেটা কিছু আশ্চর্যের নয়। আর যাঁরা ছিলেন তাঁদের সর্বসমক্ষে কি শ্রীমর অবগতিতে দেওয়া হবে, এমনটা ধরে নেবার কী অর্থ?

    ইন ফ্যাক্ট, কথামৃতে এটা ডকুমেন্টেড না হওয়া তো আরো এই সম্ভাবনা তৈরি করে যে, গৌরীমাকে বলা কথার মত আরো অনেক কথাই হয়ত আছে, যেগুলো হয়তো কোনোভাবেই ডকুমেন্টেড নয় !

    এনিয়ে যা যা উদা: তোলা হয়েছে, তার সবই প্রায় পুরুষ ভক্তদের বলা, যাঁরা বিশেষভাবে ঈশ্বরলাভ পেতে ইচ্ছুক টিচ্ছুক। সেখানে ডিস্ট্র্যাক্টকারিণী কামিনী প্রসঙ্গ এসেছে। কেন এসেছে বুঝতে অসুবিধে হয়না।
    বিশেষভাবে ঈশ্বরলাভ পেতে ইচ্ছুক
    মহিলা ভক্তদের অনুপাতিক সংখ্যাই যদি কম হয়, তাহলে এরকম উপদেশের সংখ্যাও কম হওয়া তো খুব আশ্চর্যের কিছু নয়।

    এবার ওঁর যে গৌরী মা র মত মহিলা শিষ্যাও ছিলেন ( এবং আরো কয়েকজন ছিলেন , এখানে দেখা যেতে পারে : http://www.belurmath.org/women_disciples.htm), সেই ফ্যাক্ট টা ইটসেল্ফ প্রমাণ করে কাম কাঞ্চন নিয়েও উনি বলেছেন। কারণ সন্ন্যাসের ভিত্তিই তো এই !
    (আমাদের ইস্কুলের ব্রহ্মচারিণী সন্ন্যাসিনীদের এটা অতিমাত্রায় পালন করতে দেখতাম। আমাদের স্কুলের চৌহদ্দিতে একটা জায়গার পর পু: প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। হ্যাঁ, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যতিরেকে এমনকি বাবাদের আসাও মানা ছিল :))

    এবার দ্বিতীয় যে উদা: টা দিয়েছিলাম, বিবেকানন্দের চিঠির কিছু অংশ , সেগুলো কিন্তু বিবেকানন্দের নিজের মতামত নয়। মানে উনি অন্তত: রেফার করছেন, এগুলো মহিলা ভক্তদের নিয়ে রা কৃ এর মত বলেই। তাহলে সেগুলৈ বা কেন গণ্য হবেনা ?

    আরেকটা কথা। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের মধ্যে তফাত অবশ্যই আছে। কিন্তু ঐ যত মত তত পথ কি শিবজ্ঞানে জীবসেবা কি ঐ বটবৃক্ষের মত হতে বলা এগুলো কিন্তু রা কৃ এর থেকেই।

  • tatin | 122.252.251.244 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৪০532052
  • প্রতিটি জীবই পুরুষ, বুদ্ধিসম্পন্ন প্রানই পুরুষ। আর প্রকৃতি জড়রূপ সম্পন্ন (শক্তি)।
    কপিল যে সময় পুরুষ-প্রকৃতি কনসেপ্ট এনেছেন তখন সম্ভবত: নর-নারী অর্থে এর ব্যবহার ছিল না। যেমন অধুনা কিছু দার্শনিক জেন্ডারের অন্য ব্যবহার করে থাকেন, সেরকম আদিতে জেন্ডরমূলক শব্দ অন্যার্থেই নির্মিত হয়েছিল।
    পুরুষ শব্দের ডিকশনারি অর্থ অনেক: আমরা উত্তম্পুরুষ, প্রথম পুরুষ, তৎপুরুষ এসব ব্যাকরণে পড়েছি। পুরুষের একটি অর্থ আত্মাও। পৃ ধাতু থেকে পুরুষ আসে, পৃ যেখানে স্থিত হয় তাই পৃষ্ঠ, পুরুষ কে সে হিসেবে কর্মের আধার বলা যায়। কর্ম যার দ্বারা সম্পাদিত হবে। আর, প্রকৃতি মানে কৃ-এর ভাব প্রকৃষ্ট যাতে, যা কর্ম করাবে (এনার্জি?)।

    প্রকৃতি ও পুরুষ্কে উৎপাদিকা শক্তি ও উৎপাদক এরকমও দ্যাখা যায় হয়তো। উৎপাদন সম্পর্ক কার হাতে সেইটা নিয়ে কনফিউশন, মূল সাংখ্য কিছু ন্যাচারাল ল-র মতন করে সেই ব্যাপারটাকে ডিফাইন করেছে, যে উৎপাদন সম্পর্ক এমনই যে উৎপাদক সর্বদাই দু:খ কষ্ট পাবে। ফলে উৎপাদনের চক্র থেকে বেরিয়ে আসলেই মুক্তি। গীতা আবার ঐ চক্র থেকে বের করে নি, উৎপাদনের ফল কৃষ্ণকে সমর্পণ করতে বলেছে। তাতেই দু:খ/বঞ্চনার নির্লোপ।

    গীতা বা বৈষ্ণবে একজন ঈশ্বর (পরমপুরুষ) ধরা হয়েছে, এবার তন্ত্রে প্রকৃতিকেও চেতন (পরমাশক্তি) ধরা হয়েছে, সেখানে প্রকৃতি আদ্যাশক্তি, মহামায়া এসব হয়ে গ্যাছেন। তন্ত্র, বৈষ্ণব, বৌদ্ধ সবই সাংখ্যর ডেরিভেটিভ।

    সাংখ্য কিন্তু নিরীশ্বর দর্শন, শুরুই হচ্ছে ঈশ্বর-অসিদ্ধ সেই বলে। সাংখ্যের অদিবিদ্বান কপিলের নামে বুদ্ধদেবের জন্মস্থানের নাম হচ্ছে কপিলবাস্তু বা কপিলাবস্তু

    *** পিনাকিদাকে ওর পড়ানোর স্টাইলে বোঝানোর চেষ্টা করলাম*** :প

  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৪৭532055
  • ৬)
    সত্যিকথা হচ্ছে রা কৃ ছাড়া কেউ, রিপিট কেউ, যীশু-বুদ্ধ-গান্ধী-রবীন্দ্রনাথ লোকশিক্ষা দিতে গিয়ে মেয়েদের নিয়ে এতটা ভালগার বা এতটা অবমাননাকর মন্তব্য করার দরকার বোধ করেন নি। ওনার আগেও না, পরেও না। বিবেকানন্দও না, অভেদানন্দও না। আরেক বৈদান্তিক অরবিন্দও না। আপত্তিটা সেই খানে
    আর ব্যাখ্যা নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে। ব্যাপারটা এখানেই ছেড়ে দেয়া যাক না। লেট আস এগ্রি টু ডিসএগ্রি।হয়েই থাকে।
    রামকৃষ্ণের শিষ্য হয়েও অভেদানন্দ বিবেকানন্দ থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে বেদান্ত মঠ স্থাপন করলেন। নিবেদিতা বেলুড় থেকে আলাদা হয়ে উদ্বোধন খুললেন। স্বামী তপানন্দ পুরুলিয়ায় শ্রীরামকৃষ্ণ তারক মঠ খুলেছিলেন।
    মার্ক্স অনুগামী ন্‌কমিউনিস্টরা ভারতে কটা পার্টি বানিয়েছেন? এম,অনকি নকশালপন্থীদেরও ভারতেব্‌কটা পার্টি? কাজেই রাজনীতি ও ধর্মে সর্বত্রই ভক্ত ও হেরেটিক আলাদা পথে চলবে। এতে মনান্তর হবে কেন?
    আর রামকৃষ্ণের চিন্তাধারা ও বিবেকানন্দের প্রয়োগ করতে গিয়ে ভিন্ন এমফ্যাসিস নিয়ে বহু সমাজতাঙ্কিÄক ও ঐতিহাসিক আলোচনা করে গেছেন। সেসব ভকতজনের জন্যে অবশ্যই আউট অফ সিলেবাস।
    এইবার দাড়িদাদু?
  • khya | 59.93.197.94 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৪৭532054
  • সমস্যা হয় যখন কোনো সাধককে সমাজ সংস্কারক বলে ধরে নিয়ে অনেক কিছু এক্সপেক্ট করা হয়। রামকৃষ্ণ সাধক (সিদ্ধ কি !) ছিলেন। ওনার কাজ ছিল ওনার কাছে যারা আসেন তাঁদেরকেও সেই পথ দেখানো। তার জন্য উনি ব্যাক্তি কেন্দ্রিক নানা উপদেশ দিতেন এবং নানা রকম কথা বলতেন। যার যা ঔষধ। সেই জন্যই তার উপদেশে নানা স্ববিরোধিতা দেখা যায়।
    জগতের জন্য universal উপদেশ দেওয়া কোনো সাধকের পক্ষে সম্ভব নয়, যতদুর জানি।
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৫৩532057
  • না, পাই, আপত্তিটা (আমার অন্তত:) কথামৃতে উল্লেখ আছে কি নেই সেই নিয়ে নয়। আপত্তিটা হল পুরুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা জেনারাইলাইজড নয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে 'মেয়েমাত্রই কামিনী' - এরকম একটা সেন্স এসেছে ডায়রেক্ট না হলেও ইনডায়রেক্ট। যেটা পুরুষের ক্ষেত্রে অত স্ট্রংলি আসে নি। মেয়েদের সম্বন্ধে উক্তিগুলো ইন জেনারেল একটা ডেরগেটারি টোন ক্যারি করছে বলে আমার মনে হয়েছে। মেয়েমাত্রই জগন্মাতা - এইটা যদি আমার ভিতরের বিশ্বাস হয়, এবং সেটা যদি একটা শ্রদ্ধার জায়গা হয়, তাহলে ঐ উক্তিগুলো তার সাথে যায় না। এটা আমার মত।
  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৫৩532056
  • পাই,
    ছেলেমেয়েদের আলাদা ব্রহ্মচর্যাশ্রম ভারতে অনেক পুরনো পরম্পরা। আমার আগের পোস্টটা দেখ। ছেলেদের নিয়ে ভালগার উদাহরণ? তোমার কোটেশনে তো পাইনি। আপত্তি সেখানেই।
  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৫৪532058
  • khya এর বক্তব্য নিয়ে একমত। আপত্তি শুধু--।
  • ranjan roy | 14.97.191.214 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৫৬532059
  • পিনাকী আমার মূল বক্তব্য সুন্দর ভাবে রেখেছে,
  • pi | 72.83.80.169 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৯:৫৭532060
  • আরে, ওমনাথ অনেকগুলোই লিখে দিয়েছে।
  • pinaki | 85.231.137.225 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:০৩532063
  • আর সবচেয়ে বড় কথা, যেটা কেউ বলল না, একটা মেয়েকে দেখে যদি একটা ছেলের ডিস্ট্র্যাকশন হয়, সেটা কার প্রবলেম? ছেলেটার না মেয়েটার? ডেরোগেটরি ইন্ডিকেশনটা এখানে মেয়েটার প্রতি কেন থাকবে? 'অবিদ্যা' দ্বারা সেক্ষেত্রে কে প্রভাবিত? অবিদ্যা মায়া তো সেক্ষেত্রে ছেলেটার ভুলভাল দেখার চোখ সম্বন্ধে প্রযোজ্য হবে।
  • khya | 59.93.197.94 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২০:০৩532061
  • -- ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন