এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বি এস এফ ভারতের জাতীয় কলঙ্ক

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ২০ জানুয়ারি ২০১২ | ১৫২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplab Pal | 69.250.67.136 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ০৭:৪২514394
  • বছর খানেক আগে ১৬ বছরে এক কিশোরীকে মরা পাখীর মতন কাঁটাতারের বেড়াতে ঝুলিয়ে দেওয়ার রেশ শেষ না হতেই বি এস এফের, আরেক ভিডিও ভারতের জাতীয় লজ্জার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

    এই ভিডিওতে যেখা যাচ্ছে , বি এস এফের ১০ জওয়ান , বাংলাদেশের এক গরু চোরাচালানকারী হাবু শেখকে উলঙ্গ করে পেটাচ্ছে:

    http://www.youtube.com/watch?v=wGptKuEqmX8

    সীমান্তে গরুর চোরাচালান একটি বিশেষ সমস্যা। এবং এর পেছনে যদি কেও দায়ী থাকে- সেটা হচ্ছে বি এস এফ নিজে। এরাই এই সব গরু চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয় এবং গরুর চোরাচালানের সব থেকে বড় পার্টনার। বাংলাদেশের এই হাবু শেখ বা হতভাগ্য গরীব লোকগুলি হচ্ছে “ক্যারিয়ার”- যারা পেট চালাতে এপার কার মাল ওপারে করে থাকে। এই চোরাচালানের আসল কেষ্ট বিষ্টু হচ্ছে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কিছু মহাজনি ব্যক্তি-যারা এই ব্যবসাতে টাকা খাটায় এবং হাবু শেখের মতন হত দরিদ্রদের ক্যারিয়ার হিসাবে নিয়োগ করে-বি এস এফ এবং বিডিয়ার কে ম্যানেজ করে।

    আমি সেই প্রসঙ্গে আসছি না। প্রশ্ন হচ্ছে একটি পেশাদারি বাহিনী যদিও কোন চোরাচালান ধরেও ফেলে, পৃথিবীর কোন আইনেই তাকে এই ভাবে নৃশংস ভাবে পেটাতে পারে না। সীমান্তে চোরাচালানের বিরুদ্ধে আইন আছে এবং আইন মোতাবেক তাকে পুলিশের কাছ হস্তান্তর করে কোর্ট তোলা উচিত ছিল। এই ভাবে একজন গরীব লোককে পেটানোর মধ্যে আদিম আদিবাসী “মব” মানসিকতা কাজ করে। এই সব নৃশংসতা, শুধু ডকুফ্লিমের মাধ্যমে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান এবং জার্মান সেনাবাহিনীর মধ্যে দেখতে অভ্যস্ত আমি। ভাবতে পারছি না-কিভাবে একটা পেশাদার সেনাবাহিনী এই ধরনের কাজ করতে পারে।

    বি এস এফের মানবিকতা বিরোধি কার্যকলাপের লিস্টটা দীর্ঘ। গত দশ বছরে প্রায় ৭০০ জন বাংলাদেশী এবং ২০০ ভারতীয় বি এস এফের অত্যাচার ও গুলির শিকার হয়েছে।

    কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে দিল্লী বি এস এফকে শোধরানোর চেষ্টা করছে না। বছর খানেক আগে কানাডা কোন এক বি এস এফ অফিসারের ভিসা বাতিল করেছিল এই গ্রাউন্ডে যে এটি একটি কুখ্যাত প্যারামিলিটারী ফোর্স যারা অপেশাদার এবং মানবাধিকার মানে না। এই ঘটনায় দিল্লী কানাডাকে চাপ দিতে থাকে-পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বি এস এফের হয়ে সাফাই গাইতে থাকেন এবং কানাডা যেহেতু ভারতের মতন বৃহ্‌ৎ শক্তির বিরুদ্ধে যাবে না, শেষমেশ কানাডা এই নিশেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এই অবস্থায় এস এম কৃষ্ণা নিজের কর্তব্য করেছেন-কিন্ত তার সাথে সাথে বি এস এফের এত দুর্নাম কেন বাজারে সেটা নিয়ে কোন তদন্ত কমিশন বসাতে পারতেন। তাহলেই বুঝতেন এমন অপেশাদার সেনাবাহিনী আফ্রিকার যুদ্ধবাজ জমিদারদের ও নেই। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশানালের কাছে এটি একটি “কালো সংগঠন”

    তবে বি এস এফের এই ঘটনাকে ভারতে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা হিসাবে দেখতে রাজী নই। গত দুই সপ্তাহে পশ্চিম বঙ্গে ছাত্ররা আরাম করে নিজেদের কলেজের প্রিন্সিপালকে পিটিয়ে হাঁসপাতালে পাঠিয়েছে। আর হাবু শেখত কোন এক অন্যদেশের গরীব গরুচোর। আসলে জনসংখ্যার প্রচন্ড চাপে বিরাট অসহিষ্ণু হয়ে বড় হচ্ছে এক প্রজন্ম। তাদের যারা শিক্ষাদিক্ষা দিতে পারত-সেই সব শিক্ষক সমাজ এত অধপতিত যে ছাত্ররা পারলে শিক্ষকেই যখন খুশী পেটাতে পেছ পা হয় না। রাজনৈতিক দলগুলি আবার তাতে ইন্ধন যোগায়। বি এস ফের জওয়ানরা আসে ভারতের সেই সব নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি থেকে যেখানে এই ধরনের অসহিষ্ণু পরিবেশে তারা বড় হয়েছে। ফলে, হাতে ইনস্যাস রাইফেল পাওয়া মাত্রই তার অপব্যবহার করতে ছারে না। বর্ডার এলাকাতে ধর্ষন, দোকান লুটপাট কিছু এরা বাকী রাখে নি। আর এই ব্যপারে ভারতের আইন ও অসহায়। এদের জন্যে আলাদা মার্শাল আইন। ফলে অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় বি এস এফ। এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষামন্ত্রকে অভিযোগ জানালে তবে “কোর্ট মার্শাল” হতে পারে!

    প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে বি এস এফের বিরুদ্ধে ভারতের মানবাধিকার কমিশন ও সোচ্চার। বি এস এফের এই পেটানোর ঘটনায় মমতা ব্যানার্জি ও ক্রুদ্ধ হয়ে বি এস এফের হাই কমান্ডের কাছ থেকে উত্তর চেয়েছেন। ফেসবুকের অনেক বাংলাদেশী দেখলাম, এই ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি বাতিল-ইত্যাদির দাবী তুলেছেন। তারা ভুল করছেন। বি এস এফের বিরুদ্ধে ভারতের মানবাধিকার কমিশন থেকে আরো অনেকেই সোচ্চার। অমানবিকতার দেশ হয় না-অত্যাচারীর ও দেশ হয় না। এইসব ঘটনায় ভারত এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা একসুরে বি এস এফকে না চাপ দিলে, ফয়দা লুটবে ভারত আর বাংলাদেশের ধর্মীয় জাতিয়তাবাদিরা। ভারতের জাতীয়তাবাদিরা এই ঘটনায় খুশী-কারন একটা মুসলমান গরুচোরকে পেটানো গেছে। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদিরাও খুশী-কারন ভারত বিরোধিতার সুযোগ এসেছে।

    মানবতাবাদি হিসাবে আমি ভীষন অখুশী-কারন এই ধরনের ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর ছায়া ফেলবে। এবং তার জন্যে দিল্লীর বিরাট দায় আছে। এই বি এস এফ বাহিনী জাতীয় কলঙ্ক এবং অপেশাদার মানতে বাধা কোথায়? এদের আরো ট্রেনিং দরকার, দরকার কাউন্সেলিং-দরকার এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল আরো বেশী করে বসানো।
    নইলে বি এস এফ, ভারতের লজ্জার আরো অনেক বেশী কারন হবে।
  • a | 208.240.243.170 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৫৬514410
  • বিপবাবুকে ক্ক
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৫৩514411
  • এটা কোন হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। গুরুতেই বুলবুলভাজায় বিএসএফএর অত্যাচার নিয়ে মাসুমের বহু রিপোর্ট বের হয়েছে।
    এবার ভিডিওটি প্রছরিত হওয়ায় বড় কত্তাদের টনক নড়েছে। দিল্লী আবার এটার পেছনে পাকিস্তানের হাত দেখছে।
    দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।
  • kd | 59.93.198.227 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:২২514412
  • এই ব্যাপার নিয়ে হঠাৎ সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়লো কেন বুঝতে পারলুম না। কেচ্ছাটা ইন্টারন্যাশালি জানা হয়ে গেছে বলে? পঞ্চাশ বছর আগেও দেখেছি, দু'বছর আগেও দেখলুম পাশের বস্তিতে পুলিস এসে সার্চের নামে লাঠি চালাতে, মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে ঘর থেকে বের করে আনতে। আমি (আগের বার বাবা) প্রশ্ন করাতে তুইতোকারি করে চলে যেতে বলেছে, নাহ'লে ""অন্দর কর দেগা''।

    বিশাস হয় না এ'সব তোমাদের/আপনাদের কারুর চোখে পড়ে নি। পুরো সিস্টেমটাই এই, শুধু বিএসেফকে দোষ দেওয়া কেন?
  • siki | 123.242.248.130 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:২৮514413
  • ঠিক্কথা।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৪:৫০514414
  • কাব্লি। বেশ কিছু মানুষ ও সংগঠন এসব নিয়ে বহুদিন ধরে ব্যস্ত। মানবাধিকার সংগঠনগুলো, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর এক্সট্রা জুডিশিয়াল কাজকম্মো নিয়ে চেঁচিয়ে গলা ভেঙ্গে ফেলেছে। গুরুর বুলবুলভাজা, খবর্নয় প্রভৃতি পাতায় এরকম অজস্র খবর আছে। এই সব সংগঠনগুলোর (মানবাধিকার ও গুরু জাতীয়) গলার জোর কম, তাই কেউ বিশেষ পাত্তা দেয় না। মামলা হয় ও পড়ে থাকে। কোন নিষ্পত্তি হয় না। এবার প্রযুক্তি কামাল করেছে। সেল ফোনে তোলা ভিডিও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে, তাতে বড় মিডিয়ার টনক নড়েছে, তাইতে এতো হল্লা। তবে, আমার মনে হয় হল্লা হওয়াটা উচিৎ ও ভালো।
    এবার কে কাকে ""অন্দর"" করে দেখা যাক।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:১৭514415
  • এছাড়া, এখনো অনেক মানুষ বিশ্বাস করতে চান না যে এমনও হয়। অনেকের কাছে সেনা বাহিনী এখনো পবিত্র গাভী। তাদেরও তো জানা দরকার।
    প:ব:এর মতো জায়্‌গায় এরকম ঘটছে। কাশ্মীর আর উ:পূতে যেখানে আফস্পা আছে সেখানে কি ঘটে তা ভাবা যায় না। সেসবের দিকে মানুষের নজর ফেরাতে মহ্লাদের জামা-কাপড় খুলে প্রতিবাদ করতে হয়, তবে কানে জল ঢোকে।
    আন্না সাতদিন অনশন করলে হৈ হৈ হয়। হোক, হওয়া ভালো। কিন্তু শর্মিলা ইরমএর নামই অনেকে শোনেনি।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:১৮514416
  • * মহিলাদের
  • kd | 59.93.198.227 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:৩৫514395
  • আরে কল্লোল, এখানে এই নিয়ে এত পড়ি বলেই তো আরও খারাপ লাগে। আমার নিজের চোখে দেখা পঞ্চাশ বছরেও তো কোন ফারাক দেখলুম না। সরকারও তো দু'টো আলাদা। এই সব সংগঠনগুলো এ'সব নিয়ে চেঁচায়, বুশ ইরাকে বোম ফেল্লেও চেঁচায় - দু'টোই ইকুয়ালি এফেক্টিভ।

    কেনই বা কিছু পাল্টাবে? আম জনতা তো পাশে নেই - যতক্ষণ না নিজের পিঠে পড়ছে, ততক্ষণ এরাও পুলিশি অত্যাচারের পক্ষে (জেনেই বলছি, আমি আপত্তি জানাতে পাড়ার লোকেরাই আমায় টেনে সরিয়ে এনেছে উইথ স্টেটমেন্ট লাইক ""এরা সব শালা খচ্চর, দু'ঘা না দিলে...'')।

    একবার একটা টই খোলার ইচ্ছে ছিলো, ১৫ই আগস্টের আগে ও পরে। আমার তো মনে হয় আগেকার ভালোগুলো হারিয়ে গেছে আর খারাপগুলো এক্সপোনেন্সিয়ালি বেড়েছে।

    সরি, দেবুবাবুর মতো আমারও আবেগের বেগ এসে গিয়েছিলো। ডিলিট করতে গিয়ে শেষমেষ সাবমিট মেরেই দিলুম।
  • maximin | 59.93.164.226 | ২০ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:৩৯514396
  • ফ্যালানির কেসে বাংলাদেশিরা না বললে জানতেই পারতাম না। আমাদের কাগজরা রিপোর্ট করেনি। রিপোর্ট করল তখন, যখন বাংলাদেশ থেকে আমাদের সরকারকে অফিশিয়ালি বলা হল। গুরুতে ঠিক কবে রিপোর্ট করা হয়েছিল, সেটা অবশ্য জানিনা।
  • pi | 72.83.83.28 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ১১:৫০514397
  • একটা কথা জাস্ট জানিয়ে রাখি। গুরুর ফেস্বুক গ্রুপে যেহেতু বাংলাদেশের প্রচুর বন্ধুবান্‌ধ্‌ব আছেন, এই সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুদেশে লোকজন, নানা রাজনৈতিক মতের সমর্থক, বিরোধীদের মধ্যে অনেকদিন ধরেই আলোচনা, তর্ক বিতর্ক চলছে। এই ইস্যু নিয়ে তো বিশেষভাবে হচ্ছে। লিখতে অসুবিধা হয় বলে অনেকেই এখানে লিখছেন না। ওখান থেকে সংকলন করে এখানে সব আনা সম্ভব নয়।
    কেউ এনিয়ে আগ্রহী হলে দেখতে পারেন ।

    https://www.facebook.com/groups/guruchandali/
  • ameen qudir | 203.76.151.124 | ২২ জানুয়ারি ২০১২ ২০:১৭514398
  • আবুগ্রাইবের অত্যাচারও হার মেনেছে বিঈসফ’র কাছে
    আমীন কাদীর
    একবিংশ শতাব্দীর এই সভ্য দুনিয়াকে আবারও লজ্জা দিয়েছে বিএসএফ। এবার বর্বরতা, নৃশংসতা, পাশবিকতার এমন কলঙ্কজনক নজির দেখাল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—আধুনিক বিশ্ব ইতিহাসে যার তুলনা মেলা ভার। শেম! শেম! কিংবা লজ্জা লজ্জা। কোনো উচ্চারণই আর তাদের ধিক্কার জানানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আবুগ্রাইব কারাগারে বন্দিদের ওপর মার্কিন সেনাদের নিষ্ঠুরতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে হয়েছিল তোলপাড়, ঘৃণা-ধিক্কার ও প্রতিবাদের ঢেউ জেগেছিল বিশ্ববাসীর মাঝে। সেই আবুগ্রাইবের অত্যাচারের দৃশ্যাবলীকেও হারিয়ে দিয়েছে বিএসএফের নগ্ন নিষ্ঠুরতা। সম্প্রতি এক বাংলাদেশীকে উলঙ্গ করে বিএসএফ কর্তৃক নিষ্ঠুর নির্যাতন সমকালের সবচেয়ে ঘৃণ্য কলঙ্কতিলক। আবুগ্রাইব কলঙ্ককাণ্ড হয়েছিল কারাগারের ভেতরে; চার দেয়ালের ঘেরাটোপে। আর বিএসএফ মহাকলঙ্কের ঘৃণ্যতম দৃষ্টান্তটি দেখাল খোলা আকাশের নিচে; প্রকাশ্যে—একদল রক্ত উন্মাদ নেকড়ের সশব্দ উল্লাসে। একদিকে হিংস্র নেকড়ের উপর্যুপরি অত্যাচার; তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হায়েনাদের অবিরাম হাসি। আর সেই বিকট-বীভত্‌স উল্লাসের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশী তরুণ বিবস্ত্র হাবিবুরের করুণ গোঙানি ও বাঁচার আকুতি।
    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুয়াশাছন্ন শীতের দিনে ওরা বধূবেশী কিশোরী ফেলানীকে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করেছিল। তারপর লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিল সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায়। ফেলানীর সেই লাশ ছিল অরক্ষিত বিপন্ন অনিরাপদ সীমান্তের জ্বলন্ত সাক্ষ্য। বিশ্ব বিবেক ক্ষুব্ধ, লজ্জিত অবমানিত হয়েছিল সেই ঘটনায়। তার রেশ না কাটতেই ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএসএফ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সতের রশিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানকে উলঙ্গ করে যে কায়দায় তার ওপর নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে—তা হার মানিয়েছে মধ্যযুগীয় পাশবিকতাকে। হিটলারের নাইস বাহিনীর অত্যাচারও তার কাছে তুচ্ছ।
    এরই মধ্যে এই ‘বিএসএফ ব্রুটালিটি’ নিন্দা ও ঘৃণার ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। ভারতীয় স্যাটেলাইট গণমাধ্যম এনডিটিভি সম্প্রতি ঐ নৃশংসতার যিকঞ্চিত কিছু মুহূর্তের ফুটেজ সম্প্রচার করাতেই আহত ক্ষতাক্ত রক্তাক্ত বিশ্ববিবেক। একবার ভাবুন, এই নির্যাতন চলেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। একটানা পেটানো হয়েছে প্রায় ১ ঘণ্টা। তারপর থেমে থেমে বসিয়ে বসিয়ে প্রবল মজাদার ভঙ্গিতে বিএসএফ চালায় অত্যাচার। কিভাবে আরও কঠিন ‘আজাব’ দেয়া যায় তা নিয়ে হানাদাররা চালিয়েছে গবেষণা। টর্চারের সব রকম অসভ্য পদ্ধতি তারা প্রয়োগ করে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে। তাদের এ টর্চার উদ্ভাবন ক্যাম্পে বাংলাদেশী হাবিবুর ছিল অসহায় গিনিপিগ। এ টর্চারের টার্গেট কোনো ব্যক্তি হাবিব নয়। টার্গেট সীমান্ত জনপদের অরক্ষিত অনিরাপদ কোটি বাংলাদেশী। তারা সবাই মৃত্যু-ঝুঁকির মুখে। সুশৃঙ্খল সুনিয়ন্ত্রিত ট্রেইন্ড বিএসএফ সদস্যরা জোর গলায় সাফাই দিয়েছে বাংলাদেশীদের ‘সবক’ দিতেই এ নিষ্ঠুর জঘন্য শাস্তি। সবক-এর মাধ্যমে তারা পরিষ্কার ম্যাসেজ পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশের নিরীহ নিরস্ত্র নাগরিকদের অস্ত্রবাজ বিএসএফ কোন নজরে দেখছে। তাদের দৃষ্টিতে নিরস্ত্র বাংলাদেশীমাত্রই যেন টর্চার সেলের গিনিপিগ।
    নির্যাতিত হাবিবুর ১৯ জানুয়ারি আমার দেশ সহ বাংলাদেশী মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেছে সেদিনের ঘটনা। সে জানায়, ৫ ঘণ্টা ধরে চলে অমানুষিক নির্যাতন। বিএসএফের বর্বরতার সচিত্র ফুটেজ এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে মোবাইলে মোবাইলে। ইউটিউবসহ ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে এ ঘটনার বিস্তারিত ভিডিও।
    যাদের হৃদয় দুর্বল, যারা নিষ্ঠুরতা সহ্য করতে পারেন না—তাদের জন্য আগাম হুশিয়ারি জানিয়ে রাখি, বিএসএফ ব্রুটালিটি (BSFBRUTality) শিরোনামের ১১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই বীভত্‌স নৃশংসতা তাদের না দেখাই ভালো। দেখে আপনি হয়ে পড়তে পারেন গুরুতর অসুস্থ। যা আপনার মননে শরীরে ডেকে আনবে অশনি।
    গত ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পবা উপজেলার খানপুর সীমান্ত দিয়ে গরু আনার সময় হাবিব বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হয়।
    এখনও শরীরে ক্ষত নিয়ে দু:সহ জীবনযাপন করছে সে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে হাবিবুর বড়। তার বাবা সাইদুর রহমান হতদরিদ্র কৃষিজীবী। নিয়মিত গরু আনার জন্য রাজশাহী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় যেত হাবিবুর। ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর খানপুর সীমান্ত দিয়ে গরু আনার জন্য আরও কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভারতে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার চর মৌরুসি বিএসএফ ক্যাম্পের কয়েক জওয়ানের হাতে আটক হয় হাবিবুর। ‘তার কাছে মোবাইল ফোন সেট, টর্চ লাইট ও ১ হাজার টাকা দাবি করে বিএসএফ সদস্যরা। এসব দিতে অসম্মতি জানালে জওয়ানরা তাকে একটি ট্রাক্টরে তুলে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ৬-৭ জওয়ান মিলে টানা ১ ঘণ্টা ধরে মারধর করে। তারপরও মারধর চলতে থাকে, তার পরনের লুঙ্গিও খুলে নেয় তারা।’ জীবন রক্ষার্থে সে বিএসএফ সদস্যদের কাছে কাকুতি-মিনতি করলেও শেষরক্ষা হয়নি। তার ওপর প্রায় ৫ ঘণ্টা অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মৃত ভেবে তাকে সীমান্তবর্তী রানীনগর এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশে একটি খেলার মাঠে ফেলে রেখে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা। পরে তার জ্ঞান ফিরে এলে সে কোনো রকমে ঐ সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসে।
    বিবস্ত্র-সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছিল হাবিবুরের ওপর। সেই নৃশংসতা আজও তার কাছে কবর আজাব-এর মতো দু:স্বপ্ন। লজ্জায় ঘৃণায় আতঙ্কে এখনও বাড়ির বাইরে যেতে ভয় পায় সে।
    কিন্তু সাংবাদিকদের কাছে ৯ ডিসেম্বরের সেই বর্বরতার কাহিনী কিছুই তেমন বর্ণনা করতে পারেননি বাকরুদ্ধ হাবিবুর।
    ইউটিউবের ১২ মিনিটের ভিডিওতে যা দেখেছি- তা অবিশ্বাস্য অকল্পনীয়। হাবিবুরের পক্ষে তো নয়ই— নিপুণ কোনো কথাশিল্পীর পক্ষেও তার বিবরণ লেখা অসাধ্য।
    বিএসএফ ব্রুটালিটির ভিডিও-তে আমরা দেখতে পাই—কয়েকজন বাংলাদেশীকে ধাওয়া করছে বিএসএফ। একপর্যায়ে মুরগি ধরার মতো কয়েকজন মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরে ফেলে হাবিবুরকে। এ যেন মানুষ শিকারের দৃশ্য। ট্রাক্টরে করে বিএসএফ টর্চার ক্যাম্পে আনার পর তাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। হাবিবুরের তখন অসহায় অভিব্যক্তি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় সে। আতঙ্কে জড়ো সড়ো। তার ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে—তার কিছুই আন্দাজ করতে পারে না সে। তার চোখে মুখে ক্রমশ গাঢ় ভয় দানা বাঁধতে থাকে। ও দিকে এক অসহায় বাংলাদেশীকে শিকার করতে পেরে বিএসএফের সদস্যদের কণ্ঠে উল্লাস। বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন কটূক্তি শ্লেষ মাখানো সংলাপ। মাদার চোদ ইত্যাদি গালি বারবার উচ্চারণ করতে থাকে তারা। সর্বভারতীয় নানা জনপ্রিয় চ্যানেলে যে হিন্দি সিরিয়ালগুলো দেখে আমরা নিত্য আপ্লুত, আবেগাক্রান্ত- সেই হিন্দিতেই উচ্চারিত হয় বাংলাদেশ, মুসলমানবিরোধী নানা খিস্তিখেউর।
    জবাইয়ের আগে যেভাবে গরুকে বাঁধা হয় হাবিবুরের পা সেভাবে রশি দিয়ে বাঁধা হয়। পা বাঁধা অবস্থায় লাথি দিয়ে বলা হয়—হাঁট শালা হাঁট। হাবিবুর অসহায় ভঙ্গিতে হাঁটার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে লাথি। এ পর্যায়ে মোটরসাইকেলের আওয়াজ। উন্মত্ত-উল্লসিত বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও একজন টর্চার এক্সপার্ট। নির্যাতনস্থল ক্যাম্পটি সীমান্তবর্তী খোলা জায়গায়। এ পর্যায়ে নির্যাতনের ধরন নিয়ে হানাদারদের মাঝে বাইচত চলে। তারা চা খেতে খেতে চূড়ান্ত করে কোন পদ্ধতিতে টর্চার হবে। একপর্যায়ে হাবিবুরের যৌনাঙ্গে পেট্রোল বা গরম কিছু ঢেলে দেয় তারা। আতঙ্কে ককিয়ে ওঠে হাবিবুর।
    এ পর্যায় হাবিবুরকে লাথি গুঁতা চলতে থাকে। কেউ একজন শিকার হাবিবুরকে চা খেতে দেয়া যায় কিনা তা নিয়ে রসিকতাপূর্ণ মন্তব্য ছুড়ে দেয়।
    উচ্চহাস্য সহকারে আরেক বিএসএফ সদস্য হিন্দিতে জবাব দেয়—শালা মুসলমান। এ শালারা গরু জবাই করে খায়। এই শালাদের ‘চা মাত পিলা’—অর্থাত এগুলোকে চা খাওয়াস না।
    নিষ্ঠুর নির্যাতকদের চা পান পর্ব শেষ। এরই মধ্যে হাবিবুরের লুঙ্গি জামা অন্তর্বাস সব খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করা হয়েছে। ভিডিওতে পা বাঁধা হাবিবুরের যৌনাঙ্গসহ সবকিছু খোলামেলা দেখা যায়। দাঁড়াতে বলা হয় তাকে। হাঁট হাঁট। হাঁটার উপায় নেই হাবিবুরের। তখন এক বিএসএফ সদস্য তার পরনের লুঙ্গি ছিঁড়ে পাকিয়ে রশি বানায়। একজন অন্তর্বাস দেখিয়ে নানা অশ্লীল মন্তব্য খিস্তি করে।
    হাবিবুরের দু’হাত পেছনে নিয়ে পিঠমোড়া করে বাঁধা হয় বানানো রশি দিয়ে। তারপর বাঁধা হাতের ফাঁক গলিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হয় বাঁশ।
    আবারও হাঁট হাঁট নির্দেশ। লাথি গুঁতা মারতে মারতে ঘানির বলদের মতো হাঁটানোর চেষ্টা চলে তাকে। কৌতুক তামাশার আসর বসে হাবিবুরকে নিয়ে। একজন উল্লসিত কণ্ঠে বলে, পায়ে ওর রশি; হাঁটবে কেমনে শালা। রশি খোল। লাথি দিয়ে ফেলে দেয়া হয় হাবিবুরকে। হ্যাঁচকা টানে পায়ের রশি খুলে দেয় একজন। হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে হাবিব। তারপর শুরু কয়েকজন বিএসএফ সদস্যের সম্মিলিত হামলা। বিরামহীনভাবে বিবস্ত্র হাবিবুরকে পেটাতে থাকে তারা। পেটাচ্ছে আর পেটাচ্ছে। এ নিষ্ঠুরতা যেন থামার নয়। হাবিবুর তখন গুমরে কাঁদছে। গোঙাচ্ছে। চিত্‌কার করে মাকে ডাকছে। বলছে—মা রে, মাগো, মোরে মাইরা ফালাইল। গোঙাতে গোঙাতে বলে, সে আর কখনও আসবে না। মায়ের নামে কসম কাটে। বলে, কেন আমি এদিকে আসলাম।
    একদিকে নির্যাতন চলছে, আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে হাবিবুর কাঁদছে, অন্যদিকে বিএসএফ সদস্যরা একদল নেকড়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিকারের ওপর। অন্যরা হায়েনার মতো হেসেই চলেছে। পিটুনি থামছে না। হাসিও থামছে না। গোঙানিও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
    শোনা যাচ্ছে নানা ভর্‌ত্‌সনামূলক সংলাপ—হাবিবুর যে ঘুষ দেয়নি তা নিয়ে বিএসএফের খেদোক্তি।
    বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই বীভত্‌স নির্যাতনের সময় বিএসএফের একজন পরিচালকও ছিল সেখানে। তার নির্দেশে চলছিল পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতা। ওদিকে নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করা হচ্ছিল। ভিডিওকারীকে নিয়ে হাসিঠাট্টা চলে। বলা হয়, ভিডিও করা থামিয়ে তাকে পেটানোর কাজে যোগ দিতে। তবুও চলতে থাকে ভিডিও করা। এখানে আবুগ্রাইব অত্যাচারের ভিডিও ধারণের সঙ্গে মিল লক্ষণীয়। আবুগ্রাইবেও ইরাকি বন্দি অত্যাচারের ভিডিও ধারণ করেছিল মার্কিন দখলদার নির্যাতকরা।
    একপর্যায়ে টর্চার টিম লিডার অর্ডার দেয় পিটুনি থামাতে। সামান্য বিরতি। ওরা আলোচনা করে নেয় নতুন কিভাবে টর্চার হবে। এরই ফাঁকে ফাঁকে হাবিবুরের যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে, গুহ্যদ্বারে লাঠির গুঁতা চলতে থাকে। দেখা যায়—তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রক্তাক্ত। এক পর্যায়ে হাবিবকে শোয়ানো হয়। এক বিএসএফ তার বুকের ওপরে চেপে বসে। বিএসএফ সদস্যটি হাবিবুরের দু পা বেঁধে দু’পায়ের তালু এক করে ধরে। আবার শুরু হয় তালুতে ভয়ংকর পিটুনি। গোঙাচ্ছে তরুণটি। নিষ্ঠুরতার চরম পর্যায়ে তার জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার জোগাড়। শোনা যায় চাপা কান্না।
    এখানেই শেষ নয়। টর্চার পরিচালনাকারীর নির্দেশে এরপর উল্টানো হয় হাবিবুরকে। আবার উপর্যুপরি পিটুনি।
    নির্যাতনের এই ভিডিওটি যেন শেষ হওয়ার নয়। দৃশ্যাবলী দর্শন ও সহ্য করা যে কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষেই দুষ্কর।
    ভিডিওটি দেখেছেন- এমন একাধিক খ্যাতিমান কবি, সাংবাদিক-সাধারণ দর্শক জানিয়েছেন- দেখতে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নানা দৈহিক মানসিক পীড়নের শিকার হয়েছেন।
    বিশিষ্ট কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজের অনুভূতি- এটি দেখে আমি অসুস্থতা বোধ করছি। বাংলাদেশীদের ওপর প্রতিবেশী ভারতের সীমান্তরক্ষীরা এইভাবে বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা চালাতে পারে- তা ভেবে আমি আতঙ্কে শিহরিত হয়ে উঠেছি।
    ভিডিওটি যারা দেখেছেন তাদের অনেকেরই এ অনুভূতি হয়েছে নরকযন্ত্রণার মতো অনিমেষ এ নির্যাতন। এ যেন সবকিছু উজাড় করে দিয়ে নি:স্ব রিক্ত হয়ে পড়া বাংলাদেশের প্রতি বিশাল গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নিত্য ‘ভালোবাসা’র কৌতুকপ্রদ চিত্র।
    প্রতিদিনই সীমান্তের জনপদে পাখির মতো গুলি করে মারা হচ্ছে বাংলাদেশীদের। ভারত বড় গলায় বলছে, এরা ক্রিমিনাল, চোরাচালানি। তাদের এই গোয়েবলসীয় প্রচারণার দৃষ্টান্ত মিলেছে গতকাল। কুমিল্লা সীমান্তে কথিত চোরাকারবারি প্রচারণার ডামাডোলে বিএসএফ অপহরণ করে নিয়ে গেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি’র হাবিলদারকে।
    ২০১১-এর ৭ জানুয়ারি তারা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর স্মারক হিসেবে বর্ষ শুরুর উপহার দিয়েছিল কাঁটাতারের ঝোলানো কিশোরী ফেলানীর লাশ। তারপরও আমরা একের পর এক কাঁধে তুলে নিয়েছি অসংখ্য লাশ। বিএসএফের হামলায় আহত পঙ্গু হয়েছে হাজারও বাংলাদেশী। সুদৃঢ় মৈত্রীচুক্তির সম্মানার্থে বারবারই বসেছে পতাকা বৈঠক। হয়েছে ঢাকা-দিল্লি বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ বৈঠক।
    বিএসএফের পাবলিক সার্ভেন্ট ডিজি প্রতিবার অম্লান কণ্ঠে বলেছেন, কোনো বাংলাদেশীকে আর গুলি করে হত্যা করা হবে না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে নো কিলিং জোন করার কথাও সাড়ম্বরে বলেছেন। বিজিবি ডিজি সেই প্রতিশ্রুতির মাল্য গলায় বয়ে এনে আত্মতৃপ্তিতে ভুগেছেন। কিন্তু থামেনি হত্যাকাণ্ড। থামেনি নিষ্ঠুর নির্মম অত্যাচার। বছরের শুরুতে উপহার পেয়েছি লাশ। বছর শেষে মিলেছে হাবিবুরকে উলঙ্গ নির্যাতন কাণ্ডের মতো ‘সবক।’
    সীমান্তের বাংলাদেশীদের গিনিপিগ বানিয়ে এই সবক ও লাশ ফেলা সহসা থামছে না বলেই ধারণা বাংলাদেশ-ভারত আন্ত:সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্যের গতকালের তাত্‌পর্যপূর্ণ মন্তব্যই এখানে প্রমাণ হিসেবে প্রণিধানযোগ্য। নড়াইলে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ও সুসম্পর্কের বর্তমান ধারা ১০০ বছরের মধ্যে সেরা।
    আবার একই অনুষ্ঠানে তার ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যও আমলে না নিয়ে উপায় নেই। যখন ফেলানী হত্যা ও হাবিবুর নির্যাতন কলঙ্ক নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় ঠিক তখনই তিনি সাফাই গাইছেন সীমান্তে যাদের মারা হচ্ছে তারা ক্রিমিনাল। অর্থাত নিষ্পাপ কিশোরী ফেলানীই হোক কিংবা হতদরিদ্র হাবিবুর — এরা সবাই ক্রিমিনাল। এরা সকলেই গুলি করে হত্যার যোগ্য। এরা সবাই বিএসএফ টর্চার ক্যাম্পের গিনিপিগ।

  • kallol | 115.184.83.0 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:০৮514399
  • Dear friends,

    The Asian Human Rights Commission (AHRC) has received information
    from MASUM concerning yet another case of torture by the Border
    Security Force (BSF), stationed along the Indo-Bangladesh border. In
    this case too, it is alleged that the BSF has tortured a civilian. The
    victim in the case is Mr. Tabibar Molla, is a resident of North 24
    Parganas district of West Bengal and a farmer. It is alleged that the
    BSF tortured the victim while he was on his way to his farm. The
    victim suffered serious injuries in the incident.

    CASE NARRATIVE:

    The incident happened on 13 December 2011 at about 1pm. Four BSF
    officers stationed at outpost number three, under the jurisdiction of
    Tarali border outpost near Tarali FP school road crossing stopped
    Molla while he was on his way to his farm. The officers accused Molla
    of pelting stones on the previous night and prevented him from
    leaving. Molla protested and claimed that the accusation is wrong.

    The officers however refused to agree. They then detained Molla and
    started assaulting him with wooden baton and with rifle butts. Molla
    suffered serious injuries on his head, ears, legs and on his backside
    in the incident. The injuries caused blunt marks from trauma on Molla.

    Molla shouted for help. Some persons in the locality heard Molla's
    cry for help and arrived at the scene. They helped Molla to be rescued
    from the BSF officers. They helped Molla to be taken to a medical
    practitioner on the same day. It is alleged that the BSF officers also
    shouted filth at Molla in Hindi, while they assaulted him.

    Molla lodged a written complaint against the BSF officers at the
    office of the Sub-Divisional Police Officer, Basirhat, on 16 December
    2011. It is alleged that the officer did not take any action till date
    despite receiving the complaint.
    Molla alleges that persons namely Mr. Bapi Mondal, Mr. Ainuddin
    Sardar and Ms Hamida Bibi were witnesses of the incident. Molla also
    claims that it is these people who rescued him from the BSF. Molla has
    narrated this in his complaint to the Sub-Divisional Police Officer.
    Molla has also provided to the officer adequate identification details
    of the BSF officers who allegedly assaulted him. Molla has identified
    one officer having a nametag bearing the name 'Prem Singh'.
  • kallol | 115.184.83.0 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১১514400
  • ADDITIONAL INFORMATION

    This is yet another example of the atrocities committed by the BSF.
    The AHRC and MASUM together have reported about 800 cases of custodial
    violence committed by the BSF during the past eight years. All these
    cases with narrative details of the incident and that of the persons
    involved in the incident have been transmitted to the authorities in
    India calling for actions. The AHRC has noted that the BSF enjoys
    absolute impunity in India, a fact reiterated by the lack of criminal
    as well as disciplinary actions against the officers involved in each
    case. At the very minimum, a statutory requirement of investigating a
    complaint and recording the statements of the victim/s as well as the
    witness/s is not usually complied by the Indian authorities, despite
    the fact that each case involves a clear breach of law, often
    punishable under the Indian Penal Code, 1860.

    The Border Security Act, 1968 and its Rules 1969, regulates the
    conduct of the BSF. According to Section 28 (a) of the Act, any person
    unnecessarily detains a person in arrest or confinement without
    bringing him to trial, or fails to bring his case before the proper
    authority for investigation … shall, on conviction by a Security
    Force Court, be liable to suffer imprisonment for a term which may
    extend to one year or such less punishment as is in this Act
    mentioned. Section 40 of the Act provides that any person subject to
    the act who is guilty of any act or omission which, though not
    specified in the 2004 Act, is prejudicial to good order and discipline
    of the force shall, on conviction by a Security Force Court, be liable
    to suffer imprisonment for a term which may extend to seven years or
    such less punishment as is in this Act mentioned. Section 41 (f) of
    the Act mandates that a BSF officer who commits any offence against
    the property or person of any inhabitant of, or resident in, the
    country in which he is serving to be punished with seven years of
    imprisonment.
    The Indian Penal Code, 1860 provides punishment for voluntarily
    causing hurt or injuries to a person. Section 326 of the Code
    prescribes punishment by way of imprisonment for a term of ten years
    to a person who voluntarily causes hurt by dangerous weapons or means.
    Section 357 mandates one year imprisonment for a person who attempts
    to wrongfully confine a person. Section 307 mandates punishment for a
    term of ten years for a person who attempts to murder another person.
    In addition, Article 21 of the Constitution guarantees protection of
    life and personal liberty of every citizen.

    The Supreme Court of India in Shivprasad Pandey v Central Bureau of
    Investigation, New Delhi, reported in 2003 All India Reporter 1974 has
    criticized the BSF for the torture committed by them and has convicted
    officers found guilty of the offence.

    Had the BSF been operating in compliance with the Border Security
    Force Act, 1968 and its Rules 1969, such incidents would not have
    happened. It shows that discipline and commitment to duty is not
    ensured within the rank and file in the force. Violence by the BSF
    against unarmed civilians and other forms of corruption and crimes
    committed by the BSF with impunity is a threat to the border security
    of the nation. Such a BSF is a threat to the entire country.

    SUGGESTED ACTION:

    Please write to the authorities listed below asking for their urgent
    intervention in this case. The AHRC is also writing a separate letter
    to the UN Special Rapporteur on Torture calling for an intervention in
    this case.

    To support this appeal, please click here:
    http://www.urgentappeals.net/support.php?ua=AHRC-UAC-007-2012

  • kallol | 115.184.83.0 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৭514401
  • We demand :
    1. That the complaints of torture in this case be investigated by an
    independent agency;

    2. That the statements of the witnesses to the incident recorded
    immediately by a judicial officer;

    3. The alleged officers placed on immediate suspension and their case
    immediately referred to the BSF court or to a civilian court;

    4. Should the case be adjudicated by a BSF court, the victim and the
    witnesses adequately represented in such proceedings by a lawyer of
    their choice;

    5. That victim and the witnesses in the case provided immediate
    protection;

    6. The entire investigation supervised by a judicial officer and the
    victim or a member of their family is informed about the progress of
    the investigation;

    7. The union government pay an interim compensation to the victim
    pending the final disposal of their complaints by a court of law.
  • kallol | 115.184.83.0 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৯514402
  • PLEASE SEND YOUR LETTERS TO:

    1. Mr. U. K. Bansal (IPS)

    Director General - Border Security Force

    Government of India

    Block 10, CGO Complex

    Lodhi Road, New Delhi -03

    INDIA

    Fax: +91 11 24360016

    E-mail: [email protected], [email protected], [email protected],
    [email protected]

    2. Director General & Inspector General of Police

    Government of West Bengal

    Writers Buildings, Kolkata-1

    West Bengal

    INDIA

    Fax: +91 33 2214 4498 / 2214 5486

    Email: [email protected]
    3. Chief Secretary

    Government of West Bengal

    Writers' Building, Kolkata, West Bengal

    INDIA

    Fax: + 91 33 22144328

    Email: [email protected]

    4. Additional Chief Secretary (Home)

    Government of West Bengal

    Writers' Building, Kolkata, West Bengal

    INDIA

    Email: [email protected]

    5. Ms. Mamata Banerjee

    Chief Minister

    Government of West Bengal

    Writers' Building, Kolkata, West Bengal

    INDIA

    Fax: + 91 33 22144328

    Email: [email protected]

    6. Mr. P. Chidambaram

    Home Minister

    Government of India

    Ministry of Home Affairs

    North Block, New Delhi 110003

    INDIA

    Fax: + 91 11 23093750 / 23092763

    Email: [email protected]

    7. Chairperson

    National Human Rights Commission

    Faridkot House, Copernicus Marg

    New Delhi 110001

    INDIA

    Fax: + 91 11 2338 4863

    E-mail: [email protected]

  • kallol | 115.184.83.0 | ২৬ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২৮514403
  • সকলের কাছে অনুরোধ। উপরের পোস্টগুলো পড়ে চিঠি দিন/মেইল করুন।
  • pi | 128.231.22.249 | ১৪ মার্চ ২০১২ ২৩:২৪514404
  • etapelam.

    পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার একটি সীমান্ত চৌকিতে কয়েক মাস আগে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্যাতনের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাত সদস্যকে ৮৯ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সবাই কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া হেড কনস্টেবলের পদাবনতি হয়েছে। পাশাপাশি আগামী কয়েক বছর তাঁর বেতন বৃদ্ধি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব...লে বিবিসি জানিয়েছে।
    শাস্তিদানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের ইন্সপেক্টর জেনারেল রবি পোনোঠ। তিনি আজ বুধবার বলেন, ‘ঐ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকেরই সাজা হয়েছে। হেড কনস্টেবলের পদাবনমন হয়েছে। আর অন্যদের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কার কী শাস্তি হয়েছে, সেটা জানানো উচিত নয়। কারণ, সেটা প্রত্যেক বিএসএফ সদস্যের কর্মজীবনের গোপন নথিতে উল্লেখ থাকে।’
    বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মহাপরিদর্শক জানান, দোষী বিএসএফ সদস্যদের ঐ সময়ের জন্য বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত রেশন ছাড়া আর কিছুই পাবেন না।
    বিএসএফ সূত্র জানায়, সামরিক আদালতের মতৈ বিএসএফের আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত একটি নিজস্ব আদালতে ঐ আট সদস্যের বিচার হয়।
    আদালতে প্রথম সাতজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিকে নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। অন্যজন ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
    বিএসএফ সূত্র জানায়, বেশ কয়েক দিন আগেই তাঁদের বিচারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন তাঁরা সাজা ভোগ করছেন। কিন্তু শাস্তি লাভের বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়নি।
    ---- বিবিসি ও প্রথম আলো ।
  • pi | 137.187.241.6 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪৮514406
  • হয়েই চলেছে।

    To

    The Chairman

    National Human Rights Commission

    Faridkot House

    Copernicus Marg

    New Delhi-110001

    Respected Sir,

    We have conducted our fact finding on the recent incident of brutal physical assault by the perpetrator BSF personnel upon the victim Mr. Chhanarul Mondal from District-Murshidabad, West Bengal. The incident reveals that the victim not only subjected to murderous assault by the perpetrator BSF personnel but he was also denied of his right to get proper medical treatment and right to get justice against the perpetrators due to unholy nexus among the BSF, medical practitioner and the police of local police station (Jalangi Police Station). The incident also establishes that Jalangi Police Station is not even willing to take any step against the perpetrators till date even after receiving written complaint from the victim’s father. Jalangi police also took no step against the BSF personnel even after observing the critical health situation of Chhanarul. Our attached fact finding report gives details of the incident.

    The perpetrator BSF personnel misused their authority to shield their crime by influencing medical practitioner and also the local police station either to manufacture false records or to remain inactive. The victim was denied of his human rights as defined under the Protection of Human Rights Act, 1993 and also his right to life and equal protection before the law has been violated.

    Hence we seek your urgent intervention in this matter in the following manner:-

    · The whole matter must be investigated by one neutral investigating agency appointed by the Commission. We demand that the Commission should not cause any enquiry to be conducted either by BSF or by police.

    · That the perpetrator BSF personnel must be booked immediately under criminal prosecution by registering a First Information Report(FIR) against them on the basis of the complaint submitted by the victim’s father before the police(Jalangi Police Station) on 3.3.2012.

    · An independent enquiry should also be conducted on the alleged role played by Dr. Krishnendu Roy of Sadhikhardiar Primary Health Centre, Jalangi, Murshidabad.

    · We demand that the Officer-in-Charge of Jalangi Police Station must be condemned for omission of duty in the matter of the victim and punished accordingly.

    · The victim must be provided with proper compensation and necessary protection.

    Text Box: Thanking you,

    Yours truly,

    Kirity Roy

    Secretary, MASUM

    &
    National Convener, PACTI
  • pi | 137.187.241.6 | ০৪ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪৯514407
  • Particulars of the victim:- Mr. Chhanarul Mondal, son of Mr. Chaharuddin Mondal, aged about 20 years, by faith-Muslim, by occupation- day labourer, residing at village-Ramnarayanpur, Police Station-Jalangi, District-Murshidabad, west Bengal, India.

    Particulars of the perpetrators:- The involved BSF personnel of Jalangi BSF Company Head Quarter, Singhpara BSF Company Head Quarter and Farajipara BSF BOP Camp

    Place of the incident:- On the Border Road in front of Jalangi BSF Company Head Quarter near Jalangi Padma Bhaban under Police Station-Jalangi, District-Murshidabad.

    Date & time of incident: - On 29.2.2012 at about 5 am and thereafter

    Fact Fining Details:-

    It is revealed during the fact finding that Mr. Janmohammad Seikh lives in village-Biswaspara under Police Station-Jalangi, District-Murshidabad. He is a relative of the victim and his residence is located near Indo-Bangladesh border. On 29.2.2012 the victim went to his house for a visit. In the early morning at about 5 am on 2.3.2012 the victim went to attend nature call to a nearby area beside the road (Karimpur – Baharampur) in front of Customs Office. The place was few distance away from his aforesaid relative’s house. While he was returning he was caught on the Border Road in front of Jalangi BSF Company Head Quarter by four BSF jawans of Jalangi BSF Company Head Quarter who were returning at that time from border patrolling. The said BSF jawans started assaulting the victim jointly by their lathi (wooden sticks) and rifle butts. He was then brought at Jalangi BSF Company Head Quarter where he was confined in a room. Then the Company-in-Charge of the said BSF Company Head Quarter came with a BSF jawan and again they started assaulting the victim mercilessly.

    On the same day at about 11 am the victim was brought at Singhpara BSF Company Head Quarter in a BSF vehicle (Maruti-Gypsy Car). Then at about 3.30 pm the Company-in-Charge of both Jalangi BSF Company Head Quarter and Singhpara BSF Company Head Quarter accompanied with 12/13 BSF jawans took the victim in an isolated place beside the bank of river Padma which is about 3 kilometres away towards east from Singhpara BSF Company Head Quarter. The aforesaid BSF personnel again assaulted the victim and made preparation to kill him there on the spot. The victim vigorously cried before them not to kill him. The perpetrator BSF hearing his cry suddenly changed their mind and brought him again to Farajipara BSF BOP Camp at about 4.30 pm. Then at about 5 pm the victim was taken to Sadhikhardiar Primary Health Centre from the said BSF camp by the Company-in-Charge of Jalangi BSF Company Head Quarter and 4/5 BSF jawans. The perpetrator BSF personnel obtained an Inspection Report (Medically fit certificate) of the victim from one doctor namely Dr. Krishnendu Roy of the said medical centre without any medical examination of the victim. Thereafter the victim was brought at Jalangi Police Station by BSF personnel with intention to hand him over to police. The on-duty police officer refused to take custody of the victim considering his severe physical condition and asked the BSF personnel to arrange proper medical treatment to the victim. Then the BSF personnel again brought the victim to Sadikhardiar Primary Health Centre where he was admitted for treatment. On the next day (3.3.2012) the victim was referred to Berhampore New General Hospital where he was admitted for 7 days for medical treatment. On 3.3.2012 the victim’s father went to Jalangi Police Station with a written complaint narrating the whole incident and he urged in the written of legal action against the perpetrator BSF personnel. The police though received the said written complaint but did not take any action till date on the same. On 7.3.2012 the victim was discharged from the hospital and he returned home. He is still undergoing medical treatment by staying at home.

    In the meantime the police of Jalangi Police Station informed the victim that one criminal case vide Jalangi PS Case No. 144 / 2012 dated 2nd March 2012 has been registered against him under section 12 P.P. Act (The Passport Act, 1967) on the basis of one complaint filed against him by Mr. N. S. Negi, Inspector, ‘B’ Company of 91 BN BSF. Though Chhanarul was apprehended by the BSF near Customs Office and BSF Company Head Quarter building but in the complaint before police BSF stated that Chhanarul was apprehended from Border Post No. 157/17 R. We came to know that Chhanarul does not possess passport. The allegation made against the victim was fully fabricated.

    On 12.3.2012 the victim surrendered himself to Jalangi Police Station and from there he was sent to Berhampore Chief Judicial Magistrate Court. On the same day the victim got bail from the court.

    On 20.3.2012 at about 1 pm our fact finding team met with Dr. Krishnendu Roy of Sadhikhardiar Primary Health Centre and asked him about the first Inspection Report (medically fit certificate) of the victim and again the admission of the victim in the said health centre after few hours. The said doctor could not give any cogent explanation.

    After getting detailed information, we found that Chhanarul was so injured and traumatized, he cannot move alone. He was then shifted and admitted to Sramajibi Hospital, Belur, Howrah. There he was treated for another 3 days. He was kept at Shelter run under UNVFVT (United Nations Voluntary Fund for Victim of Torture) project. Now also he is in hospital. We took his interview in Bangla language, which was uploaded in youtube.



  • Nim | 72.89.203.109 | ২৩ এপ্রিল ২০১২ ০৫:০৯514409
  • আমার কিন্তু এখনো মনে হয়, BSF সমস্যার মূল নয়, মূল হোলো বর্ডার স্বয়ং ! :(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন