এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৪২২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ধুরন্ধর ঝাঁট | ১২ মে ২০১৪ ২২:৫৯508804
  • উত্তরে

    ঝাঁক বেঁধে সন্ধেরা জ্বলে ওঠে ফোঁটা
    ফোঁটা ,আকাশের গায়ে ।ঘুড়িরা গোটায়
    সুতো নিজস্ব লাটাইয়ের কোণে কোণে ।
    কলতলা কোলাহলে জাগে বন্যা অনেক
    মুখে লেগে থাকে জলছবি, শেষ প্রহরের
    আলো।ধীর ধীর লয়ে উদ্দেশহীন শহুরে
    ছাদে তুলসীদাসী পিদিমের আহ্নিক গতি
    মায়াঞ্জনে ঘেরা থাকা আজানু প্রণতি ।

    জোয়ালের শেষে খুশ ঠোঙ্গা হাতে
    চেনা গলি পথ বেয়ে জান্নাত ।
    অকুলীন পাখি ডেকে হাল্লাক
    কাঠচাঁপা পায়ে ফুলে ঢেকে থাক
    অপ়েক্ষা ক্রমে মুঠো নিক ভরে ,
    জমা থাকা রং । রাতের মুকুরে
    মুখর ঢেউ ফেলে যায় , মেঘ মল্লার রুদ্রবীণা
    চাঁদের কুচি ,উপচে পড়া তারার ঝাপি আকাশলীনা ,
    নৈশব্দের টাপুর টুপুর , যত্নে লুকাই পরাগ কণা ।
  • শ্ব | 24.99.179.249 | ১৭ মে ২০১৪ ০৪:১৮508805
  • দাস স্পেক য়কাসতে

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    বহুদিন ধরেই আমরা শান্তি চাইছি
    বহুদিন । বহুদিন ধরে আমরা শোবার ঘরে খুলে
    ঢুকছি চটি ,
    প্রাতরাশের টেবিলে বসে
    পাল্টে দিচ্ছি দুর্ভিক্ষের খবর । রান্নায় হলুদ দিচ্ছে
    ন্যাট জিওর সিংহরা ,
    আমাদের হায়না রা ক্যামেরা দেখলে
    বলছে : হ্যালো ! মাইক টেস্টিং ! এক - দুই - তিন ,
    করে' গুনতে গুনতে আমরা উঠে
    যাচ্ছি সিঁড়ি ধরে
    আর বিল্ডার কে আড়ালে ডেকে বলছি : ওই বস্তি ফেসিং ফ্ল্যাট টা দেবেন্না
    আপনার বৌদির আবার ওসব দেখলে মুড খারাপ হয় । আমরা তো
    চাইবই বলো !
    আমাদের খেলনা হোক খেলনারা দামী হোক
    আর রাতে শান্তির ঘুম স্পষ্ট সকাল আহা সেতু বাহা রাজপথ ।
    কোন সন্তান আজ থাকে শুধু দুধু- ভাতে ?
    এই সামান্য চাওয়া
    এইটুকু বাঁচা এটুকু চাইলে যদি রক্তের টীকা লাগে গায়ে
    এ আরে এমন কী , পৃথিবীর গতিপথে আরও বড় ক্লেদ জমে আছে ।।
  • সিকি | ১৭ মে ২০১৪ ১৩:৩১508806
  • টুপি খুললাম।
  • sosen | 125.242.190.151 | ১৭ মে ২০১৪ ১৯:৫৯508807
  • ওরা বলল নিমিত্তের কথা।
    ওরা বলল, বাঁকা পথ, মরুভূমি ঘিরে যেতে যেতে
    অসীম প্রান্তরে কোনো,হাড়গোড়, পোড়া মাংস, ইতিউতি পেয়ে যাবে ঠিক
    শকুনের ঝাঁক সব ঘিরে বসে আছে মৃত্যুকথা।
    ওরা বলল, হ্যালোজেন আরেকটু চড়া হলে পর
    মুখের নরম মেদ গলে গলে ঝরে পড়বে মোমের মতন
    ভেতরে মুখ টিপে মৃদু হেসে যাবে সাদা খুলি।
    মেক আপের দরকার নেই আর।

    সেদিন থেকেই যাত্রা শুরু
    নাকের পালিশপাত টেনে ছিঁড়ে দিলে
    রক্তের থেকেও কিছু গল্পকথা বড় হয়ে ওঠে, তুমি জানো ?
    লাঠির বাড়ির চোটে জলের দু ফাঁক হওয়া, অথবা পর্দার নিচে

    আয়েষার কোল জুড়ে পোড়া ভ্রুণ, দুহাতে আঁকড়ে ধরে
    পাগলের মত সেই দুলে যাওয়া, দুলে দুলে যাওয়া।
  • শ্ব | 24.96.101.197 | ১৭ মে ২০১৪ ২২:৩২508808
  • নাল্যু লিপকার

    _________________________

    ফেসবুকে ঢুকে দেখি সবাই কিসব বলছে
    কিছু নাকিছু বলছে কিন্তু বসে বসে বলছে আর
    কান করে শুনলে পরে শোনা যাচ্ছে ওদের বক্তব্যের
    বাক্তব্বিক হলো হেবি মুত পেয়েছে বস গাড়িটা থামা বা বল
    বাথরুম টা কোথায় কিন্তু কেও চেয়ার ছেড়ে উঠছেনা আর বলেই যাচ্ছে
    বলেই যাচ্ছে বলেই যাচ্ছে বলেই যাচ্ছে বলেই যাচ্ছে আকাঁড়া সময় জুড়ে সকলেই
    ক্রমাগত বুলিয়ে দিচ্ছে চুলকে দিচ্ছে খোঁচা দিচ্ছে খুঁজে দিচ্ছে পুরনো কঙ্কাল
    ভুতের বাপের প্রো বাপের খাপের শ্রাদ্ধ হচ্ছে নিমন্ত্রিত আবার সবাই কিন্তু
    মোদ্দা কথা হলো সকলেরই চেপে থেকে থেকে থেকেফেটে যাচ্ছে ঘেঁটে
    যাচ্ছে মাথার ভিতর আর বাপু এতো দিক খ্যাল
    রেখে কথা বলাযায় কোন শালা বল বাথরুম টা কোথায়
    কেও তবু চেয়ার ছেড়ে উঠবেনা উঠে দেখবেনা বালকবেলার নেশা ! যদি
    কেও টের না পায় তাহলে চুপি চুপি চুপি চুপি প্যান্টেই মুতে ফেলা যায় :)
  • শ্ব | 24.99.73.133 | ১৯ মে ২০১৪ ০৪:৫৮508809
  • ক্রমণ

    ~~~~~~~~~~~

    দিন দিন ছোট হচ্ছি
    সুচের মধ্যে দিয়ে একদিন
    দেখে নিও চলে যাব হেলদোলহীন । টিফিনবাক্সে
    শোব জ্যাম লেগে যাবে সারা গায়ে , হবো হচ্ছি ,
    শ্রাদ্ধের লুচি ফেলে তুলে নিচ্ছি
    ময়দার সাপ ,
    দিন দিন ছোট হচ্ছি । সংখ্যামৌলিকে বসে পা ঝুলিয়ে ধারে ,
    অমলদা কে ডাক দিচ্ছি
    স্যার স্যার আঁকাহয়ে গেছে স্যার
    এদেখুন খাতা জুড়ে তেরো খানা চড়াই এর ডিম !
    এইবার ছুটি স্যার !
    আপনার সঙ্গে থাকব কিন্তু কিচ্ছু করব না শুধু গল্প , হ্যা ?
    স্যার শুনে হাসছেন
    ভারী চশমার ফাঁকে , ওনার ও তো সন্ধ্যে হলো ।
    হবে , এই সব খুব শীঘ্র হবে । আপাতত পারমিশন নেই কিনা তাই ।।
  • শ্ব | 24.99.215.80 | ২২ মে ২০১৪ ০৭:৪৯508810
  • ধ্বে

    ~~~~

    ক্রমশভাষার মত গড়ে ওঠে আদানপ্রদান এবং ক্রমান্বয়ে ভাষাগত নিজস্বতা গুলি ভুল বলে আদালতে ওঠে সকাল
    দুপুর হয় বাজারের থলে হাতে চলে যাই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সস্তা উকিল ধরি শুনানির শেষে গুটি গুটি হেঁটে যাই কাবুলের
    চায়ের দোকান একটি হাঁসের ডিম নুনছরা একটু মরিচ তাও আজকাল বলতে লাগেনা কিছু সেখানেও বাড়ন্ত
    ক্রমে খুচরো ও শালপাতা বিনিময়ে অপনেয তোবড়ানো জল অন্তিমে টাকরায় লেগে থাকে মিহিন কুসুম এইমত
    মুর্ধাবর্ণ হয়ে তুমি আসো আঁশটে নরম এপিগ্লোটিসে আর গুঁড় কম্প্ল্যানের মত চুমু চেটে নিয়ে বলো : দুপুরে খেয়েছ ?
    আর রবিসঙ্গীত থেমে সমস্ত সিগনালে বেজে ওঠে কুক কুক কুক কুক যতছিলো যত আছে লাকপিং প্রকৃতিপ্রতিম
    সব কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক কুক ।।
  • dd | 132.171.76.11 | ২২ মে ২০১৪ ০৮:৪৯508811
  • ওঃ। শ্ব বাবু ক্রমেই ফাটাচ্ছেন। ক্ষী ল্যাখে!
  • ফরিদা | ২৪ মে ২০১৪ ২০:২৩508812
  • বৃষ্টি লেখা খাতার আবার ধুয়ে যাচ্ছে
    ভ্রমন বিলাস মন্থরগতি লালচে আলো
    জ্বলছে কোথাও ওই ঘর যার নেই ঠিকানা
    উড়ো কথা জানলা দিয়েই ফের পালালো

    আমায় ছেড়ে দূরে কোথায় যাচ্ছ তুমি
    লেবুপাতা কচলে দেওয়া ভাতের থালা
    অফুরন্ত হাওয়ায় কিছু কথার সাঁকো
    গড়তে গিয়ে উঠল দেওয়াল নাট্যশালা।

    বলার ছিল যা তাকে সব ঘিরছে সবাই
    অস্বস্তিকর প্রশ্ন কিছু লাগছে ছ্যাঁকা
    ফের অযথা এই নাটুকের ভ্রমন বিলাস
    কান্না লিখেও বদলে দিয়ে বৃষ্টি লেখা।
  • ফরিদা | ২৬ মে ২০১৪ ২২:২৫508814
  • জলের গন্ধ মাখা হাওয়া দিল বলে-
    ঝড় ভেবে জানলাটি খুলে তুমি
    এলোমেলো হলে আমার কি দোষ বল?
    পাখিরা এমন খেলা খেলে জানি –
    ধুলোতে গড়িয়ে যায় খুশি হলে
    পালক ফুলিয়ে তার অহংটি দেখে নেয় জলে।

    অযুহাত ভেবেছিলে নাকি?
    চোখবাঁধা একলা জোনাকি তুমি
    ধাওয়া করে এতদিন পরে
    নিজের দরজা তুমি নিজেই ভেঙেছ আর
    পাহাড়ে পাহাড় সেজে বেড়িয়েছ ঘুরে,
    দেখেছ নদীর রঙ, গাঢ় হলে
    গাছের পাতারা কত কাছাকাছি আসে –
    তোমাকে পাঠানো কিছু শব্দরা ধরা পড়ে গেলে
    সব বলে দিয়ে - মুখ টিপে হাসে।
  • nina | 78.37.233.36 | ২৭ মে ২০১৪ ০৬:২০508815
  • অপূর্ব্ব--ফরিদা---কি স্নিগ্ধ লেখা ! বাহ!
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | ২৮ মে ২০১৪ ২২:৪৬508817
  • ঘুম উপত্যকা (Asleep in the Valley by Rimbaud)

    সবুজের উপত্যকা , বয়ে যায় ঝোরা মন্থর

    রুপোলির ছিটে লেগে বেড়ে ওঠে ঘাস

    পাহাড়ের চূড়া বেয়ে সূর্যের কর

    আলো হয়ে ছুঁয়ে যায় নুড়ি অবকাশ

    শুধু এক সৈনিক , এক মুখ বিস্ময়

    ফার্ণের অপরূপ বালিশ মাথায়

    শুয়ে থাকে টানটান |গুল্ম আশ্রয়

    সবুজ নকশা কাটে রোদেলা কাঁথায়|

    তার পায়ে ডুবে থাকে ফুল, স্মিতহাস

    যেন কোনো শিশু মৃদু নিষ্পাপ |

    হে পৃথিবী মধুর হোক এই পরবাস

    মুছে যাক শীতলতা দাও সুখ তাপ|

    বুকে এক হাত রাখা, স্থির নিরাসক্ত

    রোদ মেখে বিশ্রাম | পোকাদের গুনগুন

    আড়ালেই থেকে যাক শেষের অব্যক্ত

    বুলেটের দুটি ক্ষত আর তাজা খুন|
  • Ekak | 24.96.115.102 | ২৯ মে ২০১৪ ০৬:২২508818
  • এটা কি অনুবাদ ? এত পাখির নীড় থেকে চিড়িয় কি খোসলে হয়ে গ্যাছে :( অনুবাদ টই তে দিলে কথা হবে । এখানে আর বাড়ালুম না । ডিসকারেজ করছিনা কিন্তু অনেক যত্নবান হওয়া উচিত ছিল ।
  • তাপস | 233.29.202.56 | ২৯ মে ২০১৪ ১১:২৩508819
  • কাল ধুরন্ধর ঝাঁট নামে এক কবি মেসেজ করে আমাকে শ্ব - এর কবিতার খুব প্রশংসা করে সে কথা জানাতে বলে দিয়ে গেছেন । এখানেই জানিয়ে রাখলুম ।
  • sosen | 24.139.199.11 | ২৯ মে ২০১৪ ১২:৪৭508820
  • ঘুম থেকে উঠে দেখি, পাশে ছেড়ে রাখা আছে ভোর।
    মুখেতে আঙ্গুল পুরে, বহতা শ্বাসের ওঠানামা
    আলো ছুঁয়ে গেছে কবে ঠোঁট তার, চুমু চুমু খুলে আছে
    পাপড়ির নরম গাল, আচ্ছন্ন চায়ের কাপে
    মৃত্যুর পাশেই ঠিক, রাখা থাকবে বিস্কুটের টিন।
    ফ্রিজে থাকবে বাসী ভাত, শিশুটি গড়িয়ে যাবে খাটে
    পুজোর মতন করে ক্রসওয়ার্ড পূর্ণ করবি তুই
    রোজকার কাগজের মধ্যে ঝুঁকে পড়ে। রোজদিন? কতদিন?
    মালারা শুকিয়ে যায় আজকাল, রজনীগন্ধারা
    ফুটতে বললে চেঁচামেচি করে। নিয়ম বলতে
    বুকের ভিতরে শুধু,
    খুঁড়ে রাখা গর্ত ভরে বৃষ্টি পড়ে, সকাল দুপুর।
  • san | 52.104.24.71 | ২৯ মে ২০১৪ ১৪:০৪508821
  • :-(
  • সিকি | 131.241.127.1 | ২৯ মে ২০১৪ ১৪:২৬508822
  • অন্য কোনও একটা জগতে নিয়ে গেল যেন কবিতাটা। যে জগতটাকে আমি খুব চিনতাম, কিন্তু এখন কেমন যেন চিনতে পারছি না। কোথায় যেন বাধো বাধো ঠেকছে।
  • aranya | 154.160.130.16 | ২৯ মে ২০১৪ ২০:৩১508823
  • অসাধারণ
  • সায়ন | 59.200.242.181 | ৩০ মে ২০১৪ ০০:৩৭508825
  • এতটা পথ অতিক্রম করে এলে
    পরতে পরতে জমে থাকা কত পলি বইছিলে একা
    সংকোচের মত জড়বুদ্ধি
    স্নেহশীল ও নির্মম
    বলে না-ফেলার মত বোকামির খেসারত দিতে
    আজ মৃত্যুবেশ পরে শুয়ে ছিলে তুমি
    যেমন থাকে নিথর শবেরা
    নিয়ন্ত্রিত গতিবিধির কানাচে
    গমনপথের ওইপারে এমন অশেষ টান
    উপেক্ষিত অমোঘতা
    পায়ের পাতা থেকে চাদর সরে যাওয়া
    এইসব, এরকমই কিছু শেষচিহ্ন
    ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়ে গেল এপারের ত্রিসীমানায়
    খন্ড খন্ড ছড়িয়ে ছিল কান্না
    যা কিছু অন্যায়, তার প্রতিবাদ
    উদ্‌ভ্রান্ত উচ্চারণভাষা
    'চ্ছাড়! ছেড়ে দে আমাকে
    একবার যেতে দে ওই যে চলে যাচ্ছে
    তাকে শেষ দেখা দেখবার' -
    কেমন রাজসিক সাজে তুমি চলেছ
    চান্দ্রেয় চতুর্দোলায়
    হিম যদি ছুঁয়ে যায় তোমার নিথর মাথা
    বন্ধ চোখের অনেক গভীরে
    এইসব দেখে নিও নিঃসাড়ে
    অনেক পাথরকুঁচি,
    প্রগাঢ় কান্না বিলাপ
    বাদবাকি জীবনের শেষ প্রলোভন
    আর এসো না ফিরে, আর দেখো না স্বপ্ন
    ক্লান্ত কাঁধ থেকে যা কিছু রাখবার মত নামিয়ে রেখো
    নিজের শব থেকেও নেমে এসো
    মৃত্যুর গরিমা নিজের হাতে নাও এবার
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | ০১ জুন ২০১৪ ১৬:২৫508826
  • ব্যোম ভোলে

    বহুদিন বাদে আজ একা ফুটে পদ্ম
    গেরুয়াকাশ তাই দৈবপলোব্ধ
    ঘুমঘোরে তাঁকে দেখি ভোর ভোর স্বপ্নে
    রামদেব ডেকে ক'ন ভালো করে দম নে ।
    ফুসফুসে জমে আছে কবেকার কালী ঝুল
    ধরা ধামে বেঁচে থাকা কি যে ব্যয় সংকুল !
    তার চে ' হাতে নাও প্রাচীন এই পত্র
    শুখা এই সাহারায় একা জলসত্র
    ব্যোম ভোলে বলে যদি এক দম মারলে
    ড্রেড লক নেড়ে যান খোদ বব মার্লে

    হাটে মাঠে ঘাটে একাসনে জোটে শান্ত কিম্বা তেরিয়া,
    নবীন বা ধাড়ি ,ক্রুশ টিকি দাড়ী এবং রাস্তাফেরিয়া
    জেল খোলা সারে সারে প্রহরী কয়েদী
    কোণে কোণে দি থেকে বিদগ্ধা বনেদী
    সুশীতল হাওয়া বয়, ল্যাদ খায় সৈনিক
    প্রাচীন ওষধি টানে দেশী ,পাকি ,চৈনিক
    কালো নেই ,অনাবিল রংধনু ধোঁয়া
    যৌথ খামারে দুলে দুলে মারিজোয়া
    এই বলে হাতে দিয়ে দু পিস রিফার
    ধোঁয়া হয়ে উড়ে যান নদীয়া কি পার
  • ফরিদা | ০৩ জুন ২০১৪ ২১:২৯508827
  • নগরে ব্যস্ততা ছুটিতে জমকালো
    মেঘলা বুদবুদে আস্থাহীন,
    প্রকৃত গাঢ় রঙে তোমার কথা এল
    হঠাৎ সন্ধেটি শব্দহীন-

    যেমন কথাদের ঠিকানা থাকে আজো
    কিম্বা বৃষ্টির পুর্বাভাস
    অলীক চুপকথা ছিল সে অনিকেত
    নিবিড় ছায়াময় অমলতাস –

    তাদের শ্রোতা হতো, যেসব ঝরা পাতা
    হাঁটলে তুমি কিছু শব্দপ্রাণ
    প্রকৃত গাঢ় রঙে তোমার কথা এলে
    ইচ্ছে বেলাইন শোনায় গান।

    তাও সে মুখড়াটি শেষেই থেমে যাবে
    সেই যে তেতলার বারান্দায়
    তোমাকে দেখে ফের তুতলে ফেলেছে সে
    হোঁচট খেলে দেখ অন্তরায়।

    এদিকে নানা কাজে ব্যস্ত সেজে সেজে
    লুকিয়ে রাখা এই কথার ঝাঁপ
    বাদলা হাওয়া দিলে ঢাকনা খুলে ফেলে
    খেলনা ফণা তোলা রবার সাপ।
  • শিবাংশু | ০৩ জুন ২০১৪ ২৩:৪৮508828
  • দেখো
    -----
    রাতের লালটেন জ্বেলে চাঁদ
    শুতে গেলো
    কার্নিশ ভেঙে ঝরে যাচ্ছে
    জোছনার পলকাটা কুচি

    মৃত্যু মহরত হবে এরকম
    কখনও ভেবেছো

    অলক চূর্ণ ভরা আনশব্দ
    তীব্র সিঁদুরের লাল
    সন্ধেসকাল
    ক্রিস্টালপাত্রের মতো
    অজপা জীবন, তুমি কি
    ম্যাটিনি দেখো

    ট্রেন থেকে ছেড়ে দেওয়া
    হাতের স্পর্শ মেখে
    সবুজ দোচালা

    বটগাছে ফেঁসে থাকা হলুদ
    ঘুড়ির সুতো, ফুরোনো
    ওষুধ শিশি,
    গোলাপি ইনিংস জোড়া
    মহোত্তম সপাট স্ট্রাইক

    সুখ
    ক্রমে আসিতেছে

    হে জীবন
    আরো একবার যদি ....

    ভেবে দেখো...
  • nina | 78.37.233.36 | ০৪ জুন ২০১৪ ০৭:১৬508829
  • কবিরা আজ মুডে আছে---অহো !
  • Ranjan Roy | ০৬ জুন ২০১৪ ০০:১৭508830
  • হাত
    ----
    অনেকদিন আগেই আমার মাথার থেকে সরে গেছল ছাত,
    অনেকদিন আগেই ওরা পিঠের থেকে সরিয়ে নিল হাত,
    অনেকদিন আগেই আমার ঠোঁটের থেকে ঠোঁট গিয়েছে সরে,
    ভুলেই গেছি কবে আমার রোদ্দুরকে গিলে নিয়েছে রাত।

    অনেকদিন ধরে আমার জুটছে শুধু শুকনো কলার পাত,
    অনেকদিন কেউ পুছে না নাম-গোত্র, কিংবা আমার জাত।
    অনেকদিন নাকের ফুটোয় গোঁজা আছে স্মৃতিভ্রংশের তুলো,
    ভুলেই গেছি ঘোড়ার চালে কি করে হয় এমন কিস্তিমাৎ।

    কিন্তু আজো খুঁজে চলি লম্বা আঙুল, শিরা ওঠা হাত,
    বাজিয়ে চলি ঢোলক, হাতে চুটকি দোহার কাওয়ালি আর নাৎ।
    ভুলেই গেছি অনামিকায় পানের মত আংটিটা কি ছিল?
    আবার যদি ছুঁতে পারি, রক্তে জলদ,হাত তো কেয়াবাৎ।।
  • nina | 78.37.233.36 | ০৬ জুন ২০১৪ ০২:৫৮508831
  • কেয়াবাৎ ভাউ!
  • ফরিদা | ১০ জুন ২০১৪ ২১:৩৩508832
  • মুদ্রণপ্রমাদ

    লেখা নয় খেলা নয়, ভেবে নিও কিছু অবসাদ
    ফিরে আসা দরজা আগলে দগদগে মুদ্রণপ্রমাদ।
    মিথ্যেটি যথাযথ ছিল, রূপ, রস, গন্ধ প্রভৃতি
    ছলা ছিল ষোলকলা বর্ষাতে মোহিত প্রকৃতি,
    ঠিক ছিল কথাগুলো - সাজানো পাপড়ি থাকে ফুলে
    হঠাৎ দমকা ঝড়ে যদি কিছু যাই আমি ভুলে
    অন্য কথাও ছিল কাছাকাছি পাড় করে দিত আমি জানি
    তোমাকে ভুলতে গিয়ে আয়োজনে খামতি রাখিনি।

    কথা ছিল হেঁটে যাব, কুশল প্রশ্ন শেষে হেসে ফিরে আসা
    অন্য কোথাও নেই তুমি - প্রহসন, নেই ভালোবাসা
    সেইমতো লিখে গেছি আমি, সেই মতো ওই ঠিকানায়
    মুদ্রণপ্রমাদ হয়ে একা থেকে যাই তোমারই খাতায়।
  • ফরিদা | ১৫ জুন ২০১৪ ১৯:৪১508833
  • প্রতিবেশী বেড়াতে গিয়েছে

    প্রতিবেশী বেড়াতে গিয়েছে
    আলো নেই যেন ওই ঘরে
    সে কি সব গুছিয়ে নিয়েছে
    দিনমানে পাতা শুধু ঝরে।

    ঘরের ভিতর ঘর তোলপাড়
    মাঝে কিছু রাস্তা নেমেছে
    দরজা একলা হলে ছারখার
    বাকি সব আগল দিয়েছে।

    আমিও গিয়েছি হেঁটে বহুদূর
    ভিতরে যোজন পথে পাড়ি
    এদিকে বৃষ্টি নেই বহুকাল
    এদিকে ওঠেনি কোনো বাড়ি।

    এদিকে বেড়াতে এলে বুঝি
    আলো নিয়ে চলে আসা ভালো
    এখানেও প্রতিবেশী খুঁজি
    যদি কেউ সদরে দাঁড়াল।
  • ফরিদা | ১৫ জুন ২০১৪ ২০:০৮508834
  • যখনি রৌদ্র লিখি

    যখনি রৌদ্র লিখি, মেঘ করে
    খাতায় আঁচড় যেন বলিরেখা
    কলম থামল দেখে লেখা যায় সরে
    স্তবকে তোমার পেলে দেখা।

    যখনি গল্প লিখি ছেদ পড়ে -
    গান ভেসে এসেছে দেখছি
    তোমাকে লিখতে গিয়ে ধূম জ্বরে
    আজীবন দাগ কেটে গেছি।

    যখনি কথায় শুধু ঝড় নামে
    চুপ কথা লিখে গেছি আমি
    অশনি রেখেছি সারা দিনমানে
    অলিখিত এ সালতামামি।
  • ফরিদা | ১৫ জুন ২০১৪ ২১:১০508836
  • এখন পাগল কোনো কাজ নেই আর
    বৃথা দিন ছারখার কীট দংশন
    মাঝের আকুতিটুকু ভাঙা-জোড়া খেলা
    পড়ে থাকে গাঢ় নীল ঢিমে জংশন।

    একদা উথাল নদী ডিমভরা ঘ্রাণে
    অলস বেলাতে মেঘ দেরি করে এল
    এখন কোলের কাছে ঝোল টানে আলো
    ভিতর বাড়িতে বুঝি সন্ধ্যাটি দিল-

    সদরে বিবাগী ফের একাকার ঘুম
    মাঝনদী পাশ ফিরে একলা নিঝুম
    এখন পাগল কোনো কাজ নেই আর
    বেলুনওয়ালার কাছে আনন্দ ভ্রূণ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন