এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৩৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৪ মার্চ ২০১৪ ১০:১২508737
  • হুঁ সুষেণের 6 Mar 8:20 AM এমন অদ্ভুত অসাধারণ!!
  • b | 135.20.82.164 | ১৪ মার্চ ২০১৪ ১৪:২৩508738
  • সৌমেনবাবু, আপনার সুন্দর ছন্দের স্বছন্দ দোলায় হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। আরো লিখুন।
  • sosen | 125.242.195.66 | ১৪ মার্চ ২০১৪ ১৯:৫৪508739
  • সেই বনের মেঝে বরাবর শ্যাওলা আর পিটুলিগোলার আলপনা
    তুমি হেঁটে যাচ্ছ সদ্যপ্রসবিনী। সেই একটা স্বপ্ন, যেখানে তোমার গায়ে
    লেগেছিল জ্বলজ্বলে ধুলিকণার গয়না। আর তোমার সেই আকখুটে বাচ্চাটা
    কেঁদে কেঁদে লাল হয়ে গেলো
    যার পেটের মধ্যে সেলাই করে বারুদ ভরে দিয়েছিলো ওরা।
    তুমি পাশে দাঁড়িয়ে থাকো কাঁচুমাচু, প্রহরায় স্থির
    ডায়াপার বদলাতে গেলেই যদি ফেটে টুকরো টুকরো হয়ে যায়
    একরত্তি রক্তের দলা

    আমি খুব নিচু হই, ঠাকুর, প্রসাদকণিকার মত ছোট
    আরো ছোট ছোট জলের ফোঁটা
    পাহাড়ি নদীর মত আমার আকাশ থেকে মন্দাকিনী নামে
    ধুপ জ্বলে, কোশাকুশি, সবাই পা টিপে টিপে চলে
    সবুজপর্দারা ঝোলে ইতিউতি
    সাদা এপ্রন পরে কারা যেন খুটখুট ঘোরাঘুরি করে।

    আমি জোরে কথা বলতে ভয় পাই। পেটে হাত রেখে
    ফিসফিস করে বলি

    "চটিটা ওই বাইরে ছেড়ে আসবে? ঘরে ঠাকুর আছেন।"
  • sosen | 125.242.250.59 | ১৫ মার্চ ২০১৪ ২৩:৩৪508740
  • প্রতিধ্বনি, গহ্বর,মৃত্যুকুয়ো। সিঁড়ি নেমে যাবে অনি:শেষে
    কখনো ধাপের পরে উঠে যাবে ধাপ। পুরনো শহরে
    হাতের অনতিপরে হাত মেশে, তীব্র চেনা, কিন্তু
    ততটাও তীব্র নয়, যতটা সন্ধ্যার দুধ-চায়ে
    মিশে থাকে নামাজ-আওয়াজ।রেলগন্ধ ও আতর
    পাশাপাশি।
    নদীপাশে, মাস্তুলআগায়, পুরনো গির্জার নিচে
    মিটমিটে আলো বেয়ে সোহো নেমে আসে ফুটপাথে।
    অচেনা শহরও আসে। বেঁকেচুরে, চাবুকের মত
    সাপটে সাপটে, লাল লাল গ্রাফিতির দাগে
    কলিজা ছিন্ন করে ঢুকে যায়। তখনই তো
    একলা নবাব
    আঁতুড় প্রাসাদ ছেড়ে পালানোর পথে নামে,
    কালো ভিখারীর দেওয়া কালো রুটি বুকে চেপে ধরে
    রাধিকা পালাতে থাকে গৃহাশ্রয়ে,তারা ছেড়ে দুরে

    ডানার পালকগুলি পড়ে থাকে পথে।

    বসন্ত এখন দূর,পরিযায়ী। এখন এ বরফ শহরে
    শুধু
    শীত্ক্লান্ত ইঁদুরের আনাগোনা, খালজলে রতি মিশে আছে।
  • সায়ন | 59.249.62.183 | ১৬ মার্চ ২০১৪ ০১:০২508741
  • 'বহ্‌ দিন হাওয়া হুএ যব খলীল খাঁ ফাকতা উড়ায়া করতে থে' -
    আমাকে গল্প শোনান বৃদ্ধ গাইড
    যাঁর কাছে আট কুঠুরি নয় দরজার প্রতিটা কোণে বসে
    তূণীরের তিরে শান দেন আসফ-উদ-দৌলার নিহত প্রেত

    একটা করে শহর নগর পার হয়ে এসেছি মুসাফির বেফিকর
    এখন আর পায়ের শব্দ শুনলে চমকে উঠি না কোনওভাবেই
    এখানে জল অনেক স্থির, জানান দিয়ে যায় চেনা স্বর
    ঘুরপাক খেয়ে সিঁড়ি উঠে যায় শহরবর্তী ভুলভুলাইয়ায়
    শীর্ষে বসে স্নিগ্ধ হাসেন ওয়া আলিয়ুন ওয়ালিয়ু আল্লাহ্‌

    আমাকে হয়রান করে ডুবে যায় শহরের নানা পথ
    আমাকে বিপন্ন করে তোলে রূপসীর কন্ঠস্বর
    আলোকস্তম্ভে উদগ্রীব হয়ে জ্বলতে থাকে উচ্ছ্বল বাতি
    তার চারপাশে দেখি সেইমুহূর্ত্তের অন্ধকার-ছুঁয়ে-ফেলা সময়

    আমি ঝুঁকে পড়ে দেখি গালিচা মজলিশ, শেরোঁ শায়র
    কবুতর আর আশরাফি ওড়ে বিগত দিনের
    তালি বাজান নবাব শাবাশি দেন কুন ফায়াকুন -
    ওয়ক্ত নে যো কিয়া থা বহ্‌ হসীন সিতম
    'টাইম হো গয়া সাব' - ইতিহাস থমকে গেছে কোন সন্ধ্যেয়

    অগুন্তি তারার নীচে কাকে খোঁজে একলা মেয়েটি
    কাকে মনে করে সে নির্বাপিত দাঁড়ায় ক্ষণিকের তরে
    এই শহরের অলিগলি আবছায়া আজ তার অসম্পূর্ণ সহচর
    এখনও অশেষ প্রাণ, এখনও অসীম প্রান্তর
  • achintyarup | 69.93.255.80 | ১৬ মার্চ ২০১৪ ২২:১৩508742
  • স্বপ্নের মত, নয়?

    দেয়াল বেয়ে ঝরনার মত নেমে আসা সুর, আশ্রয়ের
    ওম দেওয়া মোমবাতি আর ঝমঝমে সন্ধ্যা।
    অথচ কারুকাজ করা উঁচু দরজা হঠাৎ হাওয়ায় খুলে গেলে
    ছিটকে এসে পড়ে গনগনে রোদ।
    তেতে ওঠা বালি আর রুখু হাওয়া চোখে এসে লাগে।

    বলাই তো হল না কখনো,
    এখানে আড়াল নিস, খুকি
    এইখানে, ভাঙ্গাচোরা দেয়ালের নিচে
    পেতে রাখা আছে দ্যাখ
    কেয়ারি করা ছোট্ট বাগান,
    কেমন আলতো করে ছাঁটা ঘাস, প্রজাপতি
    আর ইস্কুল শেষের হইচই।

    এখন
    হঠাৎ হাত বাড়ালে
    কেমন নিরুত্তাপ হয়ে ওঠে চোখ,
    আঙ্গুল বাড়ালে বয়স্ক দেয়ালের ছোঁয়া
    ঝরনার মত নেমে আসা সুর
    চমকে থেমে যায়, আর ছিটকে এসে পড়ে
    গনগনে রোদ্দুর।
    তেতে ওঠা বালি আর রুখু হাওয়া চোখে এসে লাগে।
  • π | ১৬ মার্চ ২০১৪ ২৩:৪৭508743
  • আজকালকার বিকেলগুলো আধময়লা।
    ছবি তুলবো কি, দেখলেই বিরক্তি ধরে যায়।
    অবসাদও ।
    একাবোকা রোজ রোজ দেখতে না হলেই ভাল হত।
    দুপুরের পরে ঝপ করে সন্ধে।
    ড্রাই আইসের মত একটা ফেজ স্কিপ।
    কিন্তু এব্যাপারে পদার্থবিজ্ঞান আমাকে কোন সাহায্যই করবেনা বলে জানিয়েছে।
    কাচাকুচি করেও বিশেষ কোন লাভ নেই।
    কারণ আসলেতে রংটাই চটে গেছে।
    ওদিকে ফেলতেও পারবোনা।
    অনেক স্মৃতি।
    ভাবছি বিকেলটাকে আজ তোমার কাছে পাঠাবো।
    একটু রং দিয়ে দিও।
    বেশ কায়দা করে।
    লালের বেস, তার উপরে দু আঙ্গুল দিয়ে হলুদ পোঁচ।
    একটু আধটু ঝুরো সবুজ।
    ছবিগুলো যেন ভাল আসে।
    ফেসবুকে লাইক চাই।
  • শ্ব | 132.167.67.176 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ০২:৫৮508744
  • রম

    ~~~~~~~~

    আজ নাকি রং ! কী বলি এমনিতেই রঙে রঙে অন্ধ হয়ে আছি ।
    তোমাকে বলেছি সেই আশ্রয়ে মত সবুজ মসের দেয়ালে আমাদের আলম বাজারের
    বাড়িতে রঙে রং হয়ে লেপ্টে থাকত একটা ইয়াব্বড় গেঁড়ি ! আর প্রথম যেবার
    রক্ত দেখলুম মায়ের হাত বঁটি তে কেটে গ্যাছে উফ পালংশাকে
    অত লাল জীবনে দেখিনি ! আর এদিকে আমাদের দেয়ালগুলো ছিল
    রঙে ভরা জানো ভ্যাপসা নীল আর ধূসর সবুজ এর মাঝে আমি
    কত মুখ দেখেছি যাদের অনেক অনেক গল্প ছিল আমি জানি কুলোকে
    বলবে এ কল্পনা তুমি জানো তা নয় এই তো হয়ে এসেছে গ্রাফিত্তি তো এভাবেই বাঁচে
    বা মরেও যায় এই যেমন আমাদের এখনখার ঘরে কত পেন্টিং কিন্তু কোনো রং নেই তার ।
    আমি যতবার চোখ বুজেছি রঙ্গীন ব্যাকট্রিও যোদ্ধারা সার দিয়ে দৌড়ে গেছে বেজিয়ার কার্ভ
    ধরে জামগাছ চুঁয়ে পরা রসে , একদিন ডাক্তার বাবু দেখে বললেন আপনার জলে কিছু অদ্ভূত ব্যাপার আছে
    মশাই কিছুনেশার জিনিস মিশিয়েছেন নিশ্চই ; এবার ,আমার জল আমি তাতে কী
    মেশাব সেত আমার ব্যাপার তুমি কে হে এই বলে তাদের খেদিয়ে দিলুম বলে তারা
    ক্রমশ রক্তাক্ত হয়ে প্রচন্ড পেন্টিং এঁকে ছবি তুলে রং করে রঙ্গ দিয়ে
    ভরে জঙ্গলের বাইরের গ্রিল ধরে প্রবল ঝুলোঝুলি করে দাবিকরছে অন্তত আজকের দিনটা তারা রঙ্গীন আর আমার বাগানের রং আমি কেন মেনে নিচ্ছি না ।।
  • শ্ব | 132.167.67.176 | ১৭ মার্চ ২০১৪ ০৩:০৪508745
  • রম

    ~~~~~~~~

    আজ নাকি রং ! কী বলি এমনিতেই রঙে রঙে অন্ধ হয়ে আছি ।
    তোমাকে বলেছি সেই আশ্রয়ের মত সবুজ মসের দেয়ালে আমাদের আলম বাজারের
    বাড়িতে রঙে রং হয়ে লেপ্টে থাকত একটা ইয়াব্বড় গেঁড়ি ! আর প্রথম যেবার
    রক্ত দেখলুম মায়ের হাত বঁটি তে কেটে গ্যাছে উফ পালংশাকে
    অত লাল জীবনে দেখিনি ! আর এদিকে আমাদের দেয়ালগুলো ছিল
    রঙে ভরা জানো ভ্যাপসা নীল আর ধূসর সবুজ এর মাঝে আমি
    কত মুখ দেখেছি যাদের অনেক অনেক গল্প ছিল আমি জানি কুলোকে
    বলবে এ কল্পনা তুমি জানো তা নয় এই তো হয়ে এসেছে গ্রাফিত্তি তো এভাবেই বাঁচে
    বা মরেও যায় এই যেমন আমাদের এখনখার ঘরে কত পেন্টিং কিন্তু কোনো রং নেই তার ।
    আমি যতবার চোখ বুজেছি রঙ্গীন ব্যাকট্রিও যোদ্ধারা সার দিয়ে দৌড়ে গেছে বেজিয়ার কার্ভ
    ধরে জামগাছ চুঁয়ে পরা রসে , একদিন ডাক্তার বাবু দেখে বললেন আপনার জলে কিছু অদ্ভূত ব্যাপার আছে
    মশাই কিছুনেশার জিনিস মিশিয়েছেন নিশ্চই ; এবার ,আমার জল আমি তাতে কী
    মেশাব সেত আমার ব্যাপার তুমি কে হে এই বলে তাদের খেদিয়ে দিলুম বলে তারা
    ক্রমশ রক্তাক্ত হয়ে প্রচন্ড পেন্টিং এঁকে ছবি তুলে রং করে রঙ্গ দিয়ে
    ভরে জঙ্গলের বাইরের গ্রিল ধরে প্রবল ঝুলোঝুলি করে দাবিকরছে অন্তত আজকের দিনটা তারা রঙ্গীন আর আমার বাগানের রং আমি কেন মেনে নিচ্ছি না ।।

    [অপ্রয়োজনীয় অক্ষর ভুলের জন্যে নিঃশর্তে ক্ষমাপ্রাথী , একটা বেশি স্পেস খেলুম । আবার সরি ]
  • শ্ব | 132.167.155.34 | ২২ মার্চ ২০১৪ ০১:২৫508747
  • সাংসারিক # ৭.৫
    --------------------

    এক পাঁজা বাসন মেজে উঠে দেখি বাইরে গ্যাদ
    গেদে রাত একটা ভোঁশটা মেঘ দুটো কলাই করা
    চাঁদ ফাটল বারান্দায় কেলিয়ে পরে থাকা কটা ফুলের
    টব পুং কেশর গর্ভ কেশর হাত পা ছড়িয়ে জড়িয়ে মরিয়ে
    ধুর্ধুর বলে দৌড়ে ঘরে ঢুকে দেখি ফ্রিজে রক্ত শেষ কাঁচা
    লঙ্কা বরবটি সব এক স্বাদ সমস্ত দেয়ালে প্রতিটা ইঞ্চিতে
    লেখা এই বর্গইঞ্চি জুড়ে লেখা জোকা আঁক কষা সমস্ত
    বারণ আর কোটি কোটি আরসোলা প্রবল তারস্বরে
    ডাইনোসর সম্মানের দাবি নিয়ে হৈহল্লা কাইমাই কিচির
    মিচির এর মধ্যে কি কী কবিতা লেখা যায় বলুন ?!
  • শ্ব | 132.166.178.122 | ২২ মার্চ ২০১৪ ১৮:২৮508748
  • বহ

    --------------------

    ঘটনা কী পোলিস স্টেট অপছন্দ করি বলে আমার
    কোনো কম্পিউটারেই কখনো এন্টিভাইরাস রাখিনা
    এবার এভাবে একমাস যায় দুমাস ছয় বছর দুয়েক ও
    এতদিন যারা আমার টুকটাক ফাইল টাইল সরাচ্ছিল তারা টাকা
    পয়সা চুরি করার চেষ্টা করে এবং এতদূর তবু সহ্য করা
    যায় কিন্তু শেষদিকে : ভুরুতে উকুন হলে আমাদের কোম্পানির
    বিশেষভাবে সংগৃহীত রক্ত চন্দন বাটা দিন আসুন আসুন এই
    কিনুন ওই বেচুন শুরু করলেই মাথাটা কী বলব
    জেনেরেটর হয়ে দাও দাও দাও দাও বলতে থাকে আর না দিলে
    জবরদস্ত এন্টিভাইরাস লেলিয়ে দি ল্লে লেল ল্লে ল্লে লে লে ব্যাস
    ও আমাকে তোমার রেজিস্ট্রি পড়তে দাও চিঠি পর্বে একটু
    দাঁড়াও এই ফাইলে মামদো আছে এইযা খিদে পাচ্ছে আপডেট
    আপডেট ফের সেই ঘ্যানর ঘ্যানর খুট খুরর্রর ঘ্র্যা ঘ্র্যযায়া আমি
    তোমার পুলিস তুমি আমার খিদে এই বলে পরাক্রমে পাড়াময়
    শিমুলের তুলো তাই ফের বিরক্তে পশ্চাল্লাথে একদিন পলিসি বিদায় .....
  • ধুরন্ধর ঝাঁট | 127.194.26.148 | ২২ মার্চ ২০১৪ ১৯:০৫508749
  • অসুখ

    মুখের ভিতর তিক্ত সহবাস ,
    মাথার মোড়ে ঊর্ণনাভ জাল ।
    টেবল জুড়ে বড়ির দীর্ঘশ্বাস ,
    শরীরে আজ বিষন্ন হরতাল।

    রামধনুর জব্দ জামানত ,
    পাখির কোরাস বিরস বেসুর স্কেলে ।
    সময় যেন স্তব্ধ তথাগত ।।।।
    অপেক্ষমান শেষের প্রদীপ জ্বেলে ।

    গোধূলি মেদুর অভিবাদন জাগে,
    জানলা ঘিরে মেঘের চূড়া ধরা ়
    শয্যা জুড়ে সন্ধে নাবার আগে
    যায় কি আবার যাত্রা শুরু করা ?
  • ranjan roy | 24.96.110.122 | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০১:২৪508750
  • বাহ্‌ ধুরন্ধরবাবু বাঃ!
  • Swati | 76.135.100.194 | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২৩:৩৩508751
  • একটা সেফটিপিন--

    চৈত্রের প্রথম ঝড়টা কাল
    কালবৈশাখী হতে পারল না।
    ভেবেছিলাম
    আজ জিনস ছেড়ে শাড়ি পরব।
    তাও হল না-
    একটা সেফটিপিনের অভাবে
    শাড়ি পরা হল না।
    অবান্তর
    জিয়ানো-ই থাকে দিনগুলো
    কইমাছের হাঁড়িতে, ওদিকে
    একটা গোটা প্লেন হারিয়ে যায়
    আকাশের ফাঁক গলে কখন,
    ওয়ালেট থেকে পড়ে যাওয়া
    আনমনা আধুলিটার মত!
    এক হাঁড়ি উদ্বৃত্ত কইমাছ
    আমার, এই নাও।
    বিনিময়ে
    স্রেফ সেই হারানো আধুলিটা যদি চাই
    অথবা একটা সেফটিপিন -
    দেবে?
  • san | 133.63.112.113 | ২৫ মার্চ ২০১৪ ১৭:১২508752
  • সোসেনদির কবিতাগুলো কী অসা হয়েছে !
  • sosen | 125.241.42.125 | ২৭ মার্চ ২০১৪ ১৯:৩৮508753
  • কড়িখেলা বলছিল কেউ, কেউ আংটি
    কমলা বেনারসির উপর সূর্য উঠছিল
    আর সুমি আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল
    একটা রোগা ছেলের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিতে
    কি বৃষ্টি, কি বৃষ্টি
    তেলে বেগুনি পড়ছিল ছ্যাঁক ছ্যাঁক আওয়াজে
    ভালোদাদা প্যান্ডেলের পিছনে লুকিয়ে সিগারেট খাচ্ছিল
    আমাকে দেখে মাটিচাপা

    মাটির নিচেই
    কড়ি হারিয়ে গেছে। আলতা-মাটি- জলে
    ছোটঠাকুমা ওদের হাত ধরে ডুবিয়ে দিচ্ছিল
    টকটকে সিঁদুরের গোলা কপালে।
    ছোটঠাকুমা নেই।
    ভালোদাদা বাড়ি থেকে একদিন চলে গেলো
    আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। বা: , এই রকম হয় তো
    রেল লাইন পেরোতে গিয়ে ওই দুজনের বাবা চাপা পড়ে গেলো, ভাই-বোন
    ওদের নাম ভুলে গেছি।
    পুকুরের মধ্যে আঁকি বাঁকি নারকেল গাছ
    লেক মনস্টারের ঘাড় ঘোরানোর শিরশিরে ভয়
    ভাইয়ের চামড়ার নরম।

    আর কিছু নেই।
    এখন চারদিক বিরক্তিতে সস্বেদ। ওরা আমার কেউ না
    নারকেল ঝাড়ু আর চামড়ার ঘষাঘষিতে
    আমার গা এখন লাল, ছড়ে, ফোস্কা পড়ে কাঁচা ঘা
    জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে না। বৃষ্টির দুপুরে
    ভাঙ্গা নীল এফ এম থেকে একসাথে বেসুরো গান
    রেগে গিয়ে ছুঁড়ে ফেলা থালার ভাত
    ঠাস করে চড়।

    কিছু নেই, কিচ্ছু না
    মায়া শুধু দূরগামী। গলার কাছে এসে আটকে যায়
    ভাগ করতে ইচ্ছে করে না
    মা, তোমার সাথে টিভির সামনে বসব বলে সিঁড়ি অব্দি এসে দাঁড়িয়ে থাকি
    টিপি টিপি ফিরে যাই আবার। ভুরু কুঁচকে থাকে
    পার্লারের দিদি হাত দিয়ে টেনে টেনে
    সুতো ঠোঁটে চেপে রেখে সব সোজা করে দেয়। কুড়ি টাকা
    স্পর্শ কিনতে যেতে হয়। লাল চামড়া, ভিখিরির মত
  • sosen | 125.242.166.53 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৫৯508754
  • অন্ধ বলেছিল রং। গাছ তার পাতাপুতা
    ছালমাটি দিয়ে
    গানের সুরাহা দিল। রাস্তার ওপাশে
    জলছত্রে মজলিশ, এদিকে টিকিট।
    খেলার আরেক নাম সন্তর্পণে এঁকে বেঁকে যাওয়া
    শতবার ভেবে নেওয়া। গায়ে কোনো দাগ লাগেনি তো?
    কোথাও কখনো কোনো সই করিনি তো ভুলক্রমে?
    তারপর নিশ্চিন্ত এ গ্যালারিতে বসে
    সভ্যতা কাটানো। মাঝে মাঝে আঁচড়ের ভয় আছে, তাই
    তোর ঠিক পিছনেই বসে আছি। আগুন আওয়াজ হলে
    তোকেই সামনে ঠেলে দেবো, প্রাসঙ্গিক।
    তোর ঠোঁট প্রিয়, কিন্তু চুমু খেতে গেলে
    নিজের জিভের চেয়ে বেশি ভালোবাসা? বোকা নাকি? আমি তো তেমন প্রিয়তমা
    ছিলামনা, সই-ও তো করিনি কখনো
  • সায়ন | 59.249.33.218 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ২১:৩০508755
  • বাপ্‌রে!
  • Sambuddha Acharyya | ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৩৪508756
  • লীলাময়ী পাশে এসে বস,
    চেয়ে দেখো পাকস্থলিতে নেই ডায়েটের প্ল্যান,
    জীবনের থেকে বেশি দামী রংচঙে হয় বনেটের স্ক্র্যাচ।
    ফালতু ভিক্ষুকের দিনে-
    রাস্তায় আইসক্রিম গলে যায় কোনো আশ্বিনে।
    শিবের মাথায় মাখা দুধ চেটে বড় হবে বিদ্যাসাগর।
  • AP | 24.139.222.45 | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:০৯508758
  • ফুল ফুটুক না ফুটুক আমি বারান্দার টবগুলোয় জল দিয়ে চলি
    মাটি খুঁড়ে দিই সময়মতো সার আর মাপমত ভালোবাসা মিশিয়ে দিই
    মাটিতে যাতে ফুল ফুটুক না ফুটুক গাছের কোনো অভিমান না থাকে
    আমার পরিপাটি আদর বিন্দু বিন্দু জলকণা পৌঁছে যায়
    দেখতে না পাওয়া শেকড়ের কাছে অব্যর্থ
    অদৃশ্য সমঝোতা বেড়ে চলে সমান্তরালে
    ফুল কিম্বা পাতা নয় গোটাগুটি গাছটার সঙ্গে
    কিন্তু মাটি কিঞ্চিৎ দ্বিধাগ্রস্ত তার অঙ্গীকার কার কাছে--
    আমি গাছগুলোর গোড়ায় জল দিয়ে চলি মাটি খুঁড়ে দিই সার মেশাই আর ভালবাসাও পরিমাণমত
    শুধু গাছ আর আগাছায় এখন আর তফাৎ করতে পারি না ।।
  • অরিন্দম | 69.93.240.173 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:১৪508759
  • বাহ। বেশ লাগল।

    "শুধু গাছ আর আগাছায় এখন আর তফাৎ করতে পারি না "
    এই লাইনটা পড়া মাত্র মাথায় বিদ্যুৎ চমকের মত এল-

    "... সেই থেকে আমি
    কাছাকাছি মানুষের সুদূর রহস্যে মিশে আছি।"- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
  • তাতিন | 127.197.75.22 | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ১১:৫২508760
  • বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে চারলাইন
    ===============

    বেলেঘাটা ট্যাংরা পুঁটিয়ারি নামের ইতিহাস যখন জেনে গেছি
    তিনটে গ্রাম জুড়ে কলকাতা গড়ে ওঠার রোম্যান্স আর লিখে ফেলতে পারিনা-
    এভাবেই নষ্ট হয়ে যাই,
    প্রভু, আমি আঙুল থেকে বিষাদ ঝেড়ে ফেলি, আর সূত্র মেনে দেখছি নামছে না।
    হাঁড়িঝি চণ্ডীর কিরা, তবু এই বিষের বাসনা,
    পুঞ্জীভূত ক্ষয় ও ক্রোধ, বিলাসবাসিনী হয়ে রেলিং জড়িয়ে প্লাস্টিক

    বিগত সত্যের গায়ে ঢ্যাঁড়া কেটে লিখে দিচ্ছি- আজ তাহা অচল ও মিথ্যা
  • Tim | 12.133.62.95 | ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:২৩508761
  • টেবিলে বেতের ঘন কাজ, ঘরজোড়া সুচারু
    সময়। ফিনফিনে হাওয়া হয়ে ধোঁয়া কুন্ডলী
    পাক খেয়ে উঠে গেছে গাছের কোটরে--তার
    নরম কাদার গায়ে পোষমানা জীবন্ত কীট
    লালা দিয়ে স্নেহ দিয়ে আতস কাচের নিচে ব্যস্ত জীবন

    কাচটা সরিয়ে নাও, ফুলে ঢাকা পড়ে গেছে
    বাঁকানো ধনুর মত ঠোঁট, তীক্ষ্ণ, প্রস্তুত।
  • শ্ব | 24.96.62.69 | ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৪২508762
  • দ্ধ

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    গলার মধ্যে বাতাস আটকে রয়েছে , আল জিহ্বা
    ঘুরে বলছে :না ; শব্দ নয় একাকী সারথী বেকার
    ট্যাক্সি নিয়ে মিটার ডাউন করে ঘুমিয়েছে কৌরব দ্বিধায় ।
    স্নায়ুগুলো ডেকে বলছে কে বল্লো ঘুমঘরে যেতে ? ছুটি নিয়েছি মানে
    এইবার আমরা আমার ; তরুণী গালের মতো সরব সমরে
    শেফিল্ডের খুর হয়ে বয়ে যেতে দ্বিধা নেই কোনো । আমিই মলম ।
    আমি প্রতিবার চোখ উল্টে গেলে পর মিনিট চারেক বাদে সামনে এগিয়ে দি
    তৃষ্ণার কৌটো বাঁধা জল ,এইসব দাবিদাওয়া একদিকে ; অন্য পারে
    পুরোনো ঠেকের পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে হ্যা হ্যা হো হো কুচ্ছয়
    মেতেছে একদল ট্যাক্সি ওয়ালা । এইসব , আটকে থেকে যায় ।।
  • ফরিদা | ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০০:২৪508763
  • আঙুলেই ইচ্ছেডানা

    এই কম, আবার বাড়ে
    খিদে এক চাঁদের কলায়
    আমাদের ইচ্ছে তাতে
    নেশাতেও ঘুম ধরে যায়
    শব্দের হাত পা টলে
    যা খুশি বলছে ফেলে
    সে যদি বুঝলে না আর
    আঙুলেই প্রহর ঘনায়
    প্রহরের ঘণ্টাধ্বনি
    মেলাতে নাগরদোলায়
    দোলে খড় ঘাস বিচালি
    প্রায়শই জাবর কাটায়।

    কাটে তার ইচ্ছে ধুলো
    মাঠে ধান বর্গি হানা
    হানাদার খুনখারাবি
    রক্তের পলাশডাঙা
    ডাঙাময় হাড় হাভাতে
    কুড়োতে শস্য স্বাধীন
    কানে ফোন গান বেজেছে
    খিদে পেট নাচছে তাধিন
    ধিনতা তাগ গেরে নাগ
    দীনতা দেখছে না কেউ
    কান চোখ কাপড় ঢাকা
    পরনে নেই কিচ্ছু –

    ইচ্ছের হাত পা বাঁধা
    ভেঙেছে শিরদাঁড়াটাও
    চেঁচাবে তা জো টি নেই
    জিভ তার বেবাও উধাও
    আঙুলেই জলের আখর
    তাতে রাত প্রহর ঘনায়
    ডাকে ভোর সম্বৎসর
    নেশাতেও ঘুম ছুটে যায়।

    তুমি ওই চাঁদের পাশে
    ও খিদে ইচ্ছে হলে
    আঙুলের প্রহর শেষে
    নেশারাত কাটলো বলে
    যাও ফের মেঘলা আকাশ
    গুটিকয় শব্দ দানা
    ছড়িয়ে যাবই আমি
    আঙুলেই ইচ্ছেডানা।
  • ধুরন্ধর ঝাঁট | ১০ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:২২508764
  • পাঁচিল

    ইঁটের লাল মাংসে থাবা বসিয়েছে বটের শেকড়

    দ্রুতই খসে পড়ছে সময়ের পরচুলো

    পাঁজরের শিক ক্রমেই অবলম্বনহীন ।

    বাদামী বয়স্ক ঠোঁটে শুধু লেগে আছে

    আদর হেলান , উদাসী কনুই ,সইয়ের আঁচড়

    নিদেন পক্ষে নুনছাল স্মৃতি ।

    ভুলে গেছে ঠিক কদ্দিন আগে

    তারই শরীরের মাঝে বেড়ে উঠে নবজাত বট

    মহীরুহ হতে চেয়েছিল নিজের শেকড়ের খোঁজে ।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | ১০ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৪৯508765
  • রন্জন রোয় ধন্যবাদ ঃ)
  • ranjan roy | 24.99.214.122 | ১১ এপ্রিল ২০১৪ ২২:৫২508766
  • বীরভূমের গাঁ
    -------------
    [ এ'সপ্তাহে বীরভূমের গাঁয়ে চৈত্রশেষের চড়া দুপুরে ঘুরতে ঘুরতে যা মনে হল]

    রাগী মোষের চোখের পাকে বিষম খেল দিকু,
    ধান মাপতে হিসেব গেল ভুলে।
    সিদ্ধেশ্বরী -বক্রেশ্বর বুকের ভেতর চড়া,
    কোপাই ধরা পড়ল লোহার জালে।

    শাল-পিয়ালের বনের ফাঁকে আগুন ধরায় কারা?
    ছাইয়ের গাদায় করবে জুম চাষ?
    দুমকা পাহাড় মামুদপুরে ই-এফ-আরের পাড়া,
    --মান্ডি মেয়ের এমন সব্বোনাশ!

    ঘাসফুল আর পদ্মফুলে ছেয়ে গেছে বাগান,
    কোথাও আজও কাস্তে ঝিলিক মারে।
    বড়কা মাঝি চোখ কুঁচকে বিড়িতে দেয় টান,
    পোষা ময়না বসল বুঝি দাঁড়ে।

    রাজনগরে কিস্কু মেয়ে যাচ্ছে হেঁটে স্কুল,
    বুড়ো হেকিম টেরচা চোখে দেখে।
    শিলের ঘায়ে এই অকালে ঝরবে কি মুকুল?
    নতুন শিকার? ধূর্ত চোখে মাপে।

    দোকনগুলোয় ঝাঁপ ফেলা আজ, শান্ত দুকুরবেলা,
    সত্যি নাকি, সাতদিনেতে ভোট?
    শুনলি নাকি বিষ খেয়েছে বাঁশপাহাড়ির এলা?
    ওরে অতীন, এবার জেগে ওঠ।।
  • dd | 132.172.66.225 | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১০:৫১508767
  • রঞ্জনের পদ্য দিব্যি লাগলো।

    এটা আমি বহুদিন ধরেই খ্যাল রাখছি যে ভাম বা উত্তর ভামেদের পদ্যে একটা স্নিগ্ধ টেস্ট থাকে। কিন্তু ইয়ংরা বড্ডো রেগে মেগে লাখে। প্রেম টেম করার কথাও যখন কইবে তাতেও ক্যামন দাঁত খিঁচিয়ে ওঠে।
  • অবন্তিকা পাল | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০৭508769
  • [আমার এই পদ্যখানায় কেউ সুর দিয়ে দিলে আহ্লাদিত হবো]

    পোড়া মন মন কি জানে মনের কথা
    মনের ঘরে উথাল পাথাল
    একটা নদী দশটা নদী খরস্রোতা ।
    পোড়া মন বাঁও মেলে না নৌকো কোথায়
    ডুব দিয়েছে দানবপ্রমাণ ঢেউয়ের জলে
    পোড়া মন অবুঝ ভীষণ খামখেয়ালে একলা চলে ।

    কে আবার ডাক দেবে কোন নিরুদ্দেশে
    কে আবার দুঃখী রাজার ছদ্মবেশে
    খোঁপাতেই পরিয়ে দেবে লাল করবী
    রাজা তুই সঙ্গে যাবি ?

    মেয়েটির চালচুলো নেই নেইকো উনুন ভাতের হাঁড়ি
    কিছু পথ জিরিয়ে নিলেই ক্লান্ত পায়ে
    ওইখানে দ্যাখ ছাউনি দেওয়া পাতার বাড়ি ।
    বাড়িতেও পালঙ্ক নেই প্রাচুর্য নেই
    আর যা ভালো থাকতে লাগে
    ঠোঁটে ঠোঁট রাখলে হৃদয় অনুক্ষণে তুমুল জাগে ।

    ফুরোলে পোষ ফাগুনের কান্না হাসি
    যাবি চল অচিনপুরে
    এক পা দু পা দশ পা ঘুরে
    যেখানে নুড়ির সড়ক দু'ভাগ হয়ে আবার মেলে
    পোড়া মন আর কিছু না ভালবাসাই
    আর কি লাগে বাঁচতে গেলে ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন