এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৭২৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • AP | 24.139.222.45 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:৫০508670
  • সান্টাক্লজ-কে

    আমার শৈশবে তুমি কোথায় ছিলে সান্টাক্লজ !
    প্রতিটি ডিসেম্বর জুড়ে পাশমার্কের হিমেল কাঁটাতার
    পেরিয়ে যেতে গিয়ে বারে বারে হোঁচট খেয়ে
    সাদা-লাল-কালো মূর্তিদের পায়ে মাথাকুটে মরার সময়
    তুমি হাসিমুখে কেন আসোনি সান্টাক্লজ ?

    তখনও বিশ্বাস ছিল, যাদুদন্ড শক্তিমান ছিল
    ওপারের ফুটপাথে তোমাকে দেখতে পেলে আমি
    ডেকে উঠতেও পারতাম “দাঁড়াও’!
    বিশ্বাসে মেলানো সেই দিনগুলোয় তুমি আসোনি সান্তাক্লজ---
    আমি নিঃশেষ হয়ে গেলাম। এইখানে এসে
    রাস্তার দুপাশ ছুঁয়ে তুমি উড়ে চলো, ঝকঝকে রোদ্দুর
    সাদা চুল দাড়ি অলীক লাল রঙ
    কখনও অজান্তে লেগে যায় নিবন্ত দুপুরের চোখে
    আমি অন্যমনে হাত রাখি কাঁটাতারে। অব্যর্থ রক্তপাতে
    তোমার অলীক আলখাল্লা ভিজে যায়
    যন্ত্রণা হারিয়ে ফেলা এই উদাসীন দিনরাতে
    আজ তুমি কেন এলে সান্টাক্লজ !
  • b | 135.20.82.164 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৬:০০508671
  • চমৎকার। শেষ ছ লাইনের মধ্যে অলীক বিশেষণটি দু বার এলো, এটা বাদে, দারুণ।
  • ফরিদা | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ ২০:৩৯508672
  • যাও পালিয়ে অন্তরীক্ষে ফের হারিয়ে ঘুড়ির কাগজ
    জলের কাছে খুঁজতে চললে শক্ত জমি ভিত রাখবে
    লিখতে গিয়েও বলে ফেলছ ইচ্ছা বুঝি অন্যরকম
    ধরা পড়লে সাফাই নাকি মামলা চালাও যাবজ্জীবন?

    অনিচ্ছুক দুই বেড়ালের সামনে রাখা কেকের টুকরো
    ছুটির সময় মুখ ঘুরিয়ে পালিয়ে যাওয়া শহর পিছু
    নিচ্ছ বুঝি বোকার মতো- জুতোয় পেরেক বুকের ক্ষত
    উড়িয়ে দিলে অন্তরীক্ষে - ঘুড়ির কাগজ, ভিজবে কত?

    যাও পালিয়ে........
  • ফরিদা | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ২২:৪২508673
  • কী জন্য শহরের পথ অপারগ, তাও নাকি দোটানায়
    তোমার মতোই যেন বহুদূর প্রথম দেখাটি তার নদীময়
    ক্রমশঃ তুমিও নাকি অপরূপ যাবে নাকি আবার বদলে
    রাতের প্রতিটি রেখা চেনো তুমি বুঝি উত্তাপ হেরফের হলে।

    এ জন্ম নদী নয় – নয় কোনো ছায়া কথা, নয় উপশম
    তোমাকে প্রায়শঃ দেখা তটভূমি জুড়ে সারস উড়ান বিভ্রম
    ভুলে থাকো, যদি মনে হয়, নদী মাখো গায়ে – ঝুরো বালি
    তোমাকে বলার কিছু ছিল তাই কিছু নিছক হেঁয়ালি
    রেখে যায় দাগ, জ্বোরো অরুচির অবসাদ ভাবো প্রাকৃতিক
    বিপন্ন শহুরের কাছে ঠিকানা খোঁজার ফলে পথহারা এক পদাতিক।
  • মোহর | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:৪০508674
  • পীঠনায়িকা

    ব্রাহ্মণের বিধবাটি শহরে বন্দরে এসে নৌকা হয়।
    এসো গান এসো অভিনয়, মৌনচীর, বিমুখ নগরী
    আদ্যন্ত ফুটেছে ফুল পা রেখেছ যেখানে অচলা
    কারো শেষ, অন্যমন, কারো দাগ, সমুদ্রমেখলা

    আরও কিছু ব্রত আছে, সবিতর্, আছে কিছু পাপ
    আশ্বস্ত ধ্বনির পর পরিচিত ধাতব কূজন
    এতো ক্ষয়, অপলাপ, এতোদূর এলে বিপর্যয়
    আমিও বুঝিনি কিছু, রোদ, জল, তারাও বোঝেনি
  • ফরিদা | ০৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:০৮508675
  • চাঁদের কথায় মনে পড়ল, তোমরা যখন খেলতে আসতে
    রঙীন ডানার চাদর থেকে উড়তে থাকে পাখপাখালি
    পাখির কথায় মনে পড়ছে স্টেশন কলে ঠোঁট বুলোচ্ছে
    একাই শালিখ অন্যটিকে খুঁজতে গিয়ে দুরদুরান্ত
    দূরের কথায় ট্রেন চলে যায় - রুমাল উড়ছে, খবর দিও –
    ফেরার পথে রাস্তাজুড়ে মুখের আদল তোমার মতো
    সেদিন থেকে তোমার কথাই মনে পড়ছে, সব উপমায়
    দেখতে থাকা, শুনতে পাওয়া ঘরের কোণায় ইচ্ছেমতো।
  • ফরিদা | ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:১৮508676
  • তেতোমুখ বোবায় ধরেছে এই উৎসবে আজ
    মহারাজ, ভুলে গেছ তুমি, মনে আছে যেখানে মিছিল শব্দ পেলে নবজাত
    কথা বলা শিখে নিত, ভাত পুড়ে গেছে কতদিন তোমাদের চলাফেরা দেখে
    আমি ভেবে গেছি, কোনোদিন দেখা হলে পাতা থেকে অক্ষর টেনে টেনে
    ছড়িয়ে দিতেই থাকি পথে – তোমাদের লেখা থেকে।

    সেইসব সকাল গিয়েছে বহুদিন, সেইসব কথাগুলি
    পোকায় কেটেছে বই কবেকার, আজকাল সাদাকালো ছবি নিয়ে তোলপাড় করো
    শুধুই দরজা দেখে দাগ দাও - দেখে আমি ঘরের বাইরে চলে গেছি
    আর দেখ, এখনো বলিনি আমি রাত হলে – তোমার চলে যাওয়া রাস্তায়
    পড়ে থাকা কথার জঞ্জালে পথঘাট অগম্য হল – কাকেও ছোঁয় না তাকে।

    -“এখন অসুখ কত? রাত কত হল?” বলে কেশে যাও তুমি
    আজন্ম লালিত মুখপত্রখানি পিকদানি ধরে আর উগরিয়ে দাও থুতু
    মহাপ্রাসাদের মতো বিজ্ঞাপিত হতে দেখে লালায়িত হও বারবার।
    মহারাজ, এই কারবার এখন মানায় তবে? তাই হোক -
    মুছে যাও চিল চিৎকারে – শান্তিতে লিখে যাক বাইরের লোক।
  • সায়ন | 59.249.100.208 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:৪৫508677
  • এত দুঃখ ভরা চিঠি আমার খোলা হাতে রেখেছ বনভোজনের স্মৃতি
    বোতাম খোলার মত তুলে রাখ
    কৈশোরের চুপিছোঁয়া, জলখেলা, আঙুলে আঙুলে স্তাবকতা...
    কাটা, না-কাটার দিন, জন্মজন্মান্তর পুড়ে যায়
    ঠোঁটে চুলে প্রত্যয় স্বচ্ছ্বতা নিয়ে কবিতার মতন
    কেন ছিলে অক্ষরের বিষন্ন ঘুমে
    এতকাল, দীর্ঘকাল আমার কাঁধে মাথা রেখে
  • সায়ন | 59.249.100.208 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:৫০508678
  • লুকনো জীবন আর গোপন প্রেম
    মুখোমুখি দেখা হয়েছিল একবারই
    যে গর্তে সাপ নেই, শুধুই খোলস পড়ে থাকে
    মাঝে মাঝে বাচ্চারা পাখীদের ডিম রাখে ছুটির দুপুরে
    শেয়ালের ছায়া পড়ে -
    লুকনো জীবন আর গোপন প্রেম
    জড়াজড়ি করে পড়ে আছে একরত্তি ঘরে
  • সায়ন | 59.249.100.208 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:০৪508680
  • শ্রাবণের মধ্যরাতে মেঘ ছিঁড়ে চাঁদ বেরিয়ে এল
    ভ্রূকুটি কুটিল হল সপ্তর্ষি কৃত্তিকা
    মেঘের আড়ালে সরে গিয়ে বলল সে -
    তুই নষ্ট, নষ্ট তুই চাঁদ
    চাঁদেরই ভ্রূক্ষেপ নেই শুধু,
    সে তমনই মোহগ্রস্ত
    তাকিয়ে রইল নিষ্পলক
    তারার গমনপথে।

    হু হু করে হাওয়া ছুটল,
    ক্ষুধার্তদের পাড়ায় এই খবর পাচারে।
  • সায়ন | 59.249.33.214 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:৪৪508681
  • খুব দূরে কোথাও একটা জোছনা উঠেছে
    অনেককালের পুরবো একটা তামার চাঁদ
    এই বারান্দাটাতে বসলে
    টের পাই তার ভিজে ভিজে কাঁপা কাঁপা আঙুল
    ঠান্ডা শাদা রেলিংগুলো ঘন হয়ে কোল ঘেঁষে আসে
    ওদের মধ্যে সবচাইতে শান্তটিকে
    আরও কাছে টেনে নিয়ে বলি
    আয় তোদের রূপকথা শোনাই
  • সায়ন | 59.249.33.214 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২১:১৭508682
  • মৃতশঙ্খের মত মন্দিরে মর্মরে পড়ে থাক
    আমাদের অনারূদ্ধ সন্ধ্যাছায়ায়
    কী মিলিত রূপ কীভাবে রেখেছ গড়ে
    কে তুমি? ছায়ার দেবতা?
    অথবা গর্ভহীন প্রহর?
    একটি মিলিত নির্জনে নিয়ত
    মুখরিত নৈঃশব্দ
    এরপর থেকে একটু একটু করে ভুলে যাব তোমাকে
  • সায়ন | 59.249.33.214 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:০৩508683
  • তোমার ভয়ে তাকে মুছেছি দু'হাতে
    আজ সেই খড়িমাখা হাত এই এলোমেলো ভরাপূর্ণিমা ছাদে
    মনে করেছি প্রাণপণ...
    ধাবমান এ সময় আমাকে ছাড়িয়ে যাবে অনেক দূরে
    নৈঃশব্দে প্রদীপ জ্বলে
    কীভাবে এই পথ তার চোখে পড়েছে
    যে আমার মধ্যে তাকে খুঁজে চলতে অবিরত,
    দৃষ্টির বিদ্যুতে
    ওর কাব্যরীতি ভেঙে গেছে কত
    আমার তো শ্রুতিমাত্র সার... বারবার তুমি
    কুশপুতুলের মত দাহ করেছ চোখের হুতানলে
    এতসব সৌরবছরের দু-এক অনুপল
    বেছে নিয়ে শেষে
    এই মন আবীরের মত জ্বেলে দিলে আজ
    তুচ্ছ এই সত্বাকে পোড়াতে
    সেই থেকে নীল
    নীল রঙে ডুবে আছি
    তাই তোমাকে বারবার বলেছি নীলের কথা
    তোমার সাজানো টবে অপরাজিতাও নীল
    ফনীমনসার তীক্ষ্ম কাঁটাও জড়াজড়ি
    হায়া লজ্জাহীন এই রূপক
    আর নয়
    শুধু নীল বিষে তোমাকেই বিষাক্ত করেছি মনে মনে
  • ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:১৫508684
  • স্বপ্ন ছিল
    --------------------

    স্বপ্ন ছিল বুকের মাঝে
    যত্ন করে গাঁথা ;
    স্বপ্ন যে হায় পাখির মত
    যায় কি তারে বাঁধা ?
    ভেবেছিলেম সোনার খাঁচায়
    শিকল দিয়ে ধরে
    রাখব তারে সারাজীবন
    কেবল নিজের করে !
    মুক্ত পাখি গায়ের জোরে
    বন্দী করা যেই
    বদ্ধ হলেম নিজেই যেন
    সেই কারাগারেই ;
    “ লালন করা স্বপ্ন তুমি
    বাঁধন হয়ে শেষে
    এলে আমার জীবন জুড়ে
    দুঃস্বপনের বেশে ?
    কেন তবে এমন করে
    চেয়েছিলেম তোমায় ?
    দুলিয়েছিলে হৃদয় কেন
    এমনি দুরাশায় ? ”।।

    উড়িয়ে দিলেম বন্দী পাখি
    মুক্তি পাওয়ার আশায় ,
    কঠিন কঠোর বাস্তবেতেই
    যুঝতে হবে আমায় ;
    থাক না পাখি বনের মাঝে
    থাক না অমনি ছাড়া -
    জানলা দিয়ে দেখব তারে
    নাই বা দিল ধরা ?
    ভালবেসে নিজেই যদি
    আসে আমার তরে,
    বরণ করে নেব তখন
    নেব আপন করে । ।।

    --- ঈপ্সিতা মন্ডল
  • - ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ ১৫:০৫508685
  • মাটির টানে
    ----------------------

    বাদল ঝরা দিনের শেষে মেঘবালিকা এসে,
    বললে আমার কানে কানে, বললে আমায় হেসে,
    `আসো যদি আমার সাথে ওই পাহাড়ের চূড়ায়,
    তোমায় নিয়ে উধাও হব পাগল মেঘের ভেলায়;
    রামধনুকের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে শেষে,
    হাজির হব আমরা দু'জন ইন্দ্রদেবের দেশে;
    শোক-দুঃখ-আঘাত-ব্যথা নেই তো সেথায় কিছু,
    সারাটা দিন কাটিয়ে দেব মেঘের পিছু পিছু !
    সূর্যদেবের রথে চড়ে ঘুরব সারা আকাশ;
    কিংবা নেব মনের সুখে পারিজাতের সুবাস ।
    তোমার তরে নদির তীরে রইব অপেক্ষায়, –
    পক্ষীরাজে উডিয়ে নেব একটি লহমায় !'
    মেঘবালিকার কথা শুনে সইল না আর তর, –
    রাঙামাটির পথটি বেয়ে চললেম নদী-চর । ।।

    গোধুলিবেলার আকাশ তখন খেলছে রাঙা সিঁদুর; –
    এমন সময় শুনতে পেলেম করুণ বাঁশির সুর !
    সে যে আমার রাখাল ছেলে – ডাক দিয়েছে আমায় , –
    তারে ছেড়ে যাচ্ছি আমি কোন সে সুখের আশায় ?
    সেই তো আমার ইন্দ্রধনু , সেই তো আমার পারিজাত,
    তারই স্পর্শে ভুলব সকল শোক-দুঃখ-আঘাত;
    তার মধুর হাসি ভাসাবে মোর জগৎ-পারাবার,
    তার বাঁশির সুরে দেব পাড়ি তিন-ভুবনের-পার !
    ছুটব দু'জন হাওয়ার সাথে তেপান্তরের মাঠে;
    সাঁঝের বেলা কাটবে মোদের কাজ্‌লাদিঘির ঘাটে; –
    কাজ্‌লাদিঘির কালো জলে দেবে তখন ধরা,
    স্বর্গলোকে আছে যত চন্দ্র-গ্রহ-তারা ! ।।

    --- ঈপ্সিতা মন্ডল
  • শ্ব | 132.172.244.251 | ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:০১508686
  • ধুসশালা লেখা আসছেনা

    ------------------------------------

    এঃ
    প্রচন্ড কালো
    কিছুই তো দেখতে পাচ্ছিনা
    ক্রমশ লেন্সের ধার ধরে ধরে আলো নেই
    প্রচন্ড খাবার ।
    এত জোরে চেপে ধরছে কেন ? সমস্ত কালোগুলো
    চিউইং গামের মত চিবিয়ে চিবিয়ে আমি তো রাবার ।
    নেহাত বিরক্তিতে থু থু করে ফেলে দিলে
    আলোগুলো ফুটে ওঠে, চেনা যায় ;
    মুহুর্তে ব্রাশ দিয়ে কালো রং করে দি আবার ।।
  • শ্ব | 132.172.244.251 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:২০508687


  • ----------

    ধরো ফুলগাছের টাব থেকে এক খাবলা মাটি তুলে
    মুখে পুরে দিলে ,বা বাথরুমের কমোডে মুখ ডুবিয়ে
    বললে ধুর ধুর ধুর আর ভালো লাগে না ,

    যদ্দুর যাওয়া যায় গোল গোল হাঁটলে অনেক এইভাবে ,
    এইযে উঠোন থেকে নাবলেই অনিক্সের ঝোপ , ওই দেখো
    পাশ ধরে ফুটে আছে কঠোর টগর , সুতো কাটা ডানা

    ধরো সেই ফুলগাছের টাব থেকে এক খাবলা মাটি তুলে
    মুখে পুরে দিলে ,বা বাথরুমের
    জানলার সার্সি ফাটিয়ে বল্লে : আবার বেড়িয়ে পরা যাক ..।।
  • শ্ব | 132.172.244.251 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:৫০508688
  • ভ্র

    ~~~~~~~

    ঘুরে ফিরে তো সেই একই জায়গায় আসবো
    তবু চলো একটু বেরোনো যাক । তাকিয়ে দেখো
    হলুদের ঝোপে ফুল এসেছে ,
    কাল রাত্তিরে যে আওয়াজ শুনে উঠে বসলে
    আমাদের চৌকিদারের রান্নাঘরের চাল ভেঙ্গে পড়ল খুঁটি সুদ্ধু ।

    ফিরে গিয়ে তো সেই ডিমের ঝোল বা
    চিকেন গরম করে নেওয়া , ব্যালকনি তে দাঁড়িয়ে দুটো সিগারেট
    পরশু বিকেল চারটে ছাপান্ন মিনিটে যেন কী
    নিয়ে তর্ক স্থগিত থেকে গেছিল ? আমাদের

    মনে করা খুব দরকার । চিনেমাটির খরগোশ দুটো
    হাতে মাথা রেখে বাতাস কামড়ে ধরছিলো মরার আগে
    আমরা ওদের নাম দিয়েছিলুম আতু আর পুতু ।।
  • ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০০:২৬508689
  • অনুভব
    -----------------

    ধূলি-ধূসর আঁধার রাতে,
    দেখা হল তোমার সাথে;--
    জাদুর কাঠি মনের ছোঁয়ায়
    ভেসে গেলেম মাতাল হাওয়ায়;
    চেয়ে দেখি, “ একি হল ?
    আঁধার রাত মিলিয়ে গেল !”
    সপ্তরঙের রামধনু ভোর
    এঁকে দিলে দুই চোখে মোর !
    তোমার আলোর অমলধারা
    ভাঙল বুঝি রুদ্ধ কারা,
    শুনতে পেলেম পাখির কূজন,--
    ছিঁড়ল শিকল টুটল বাঁধন;
    দুঃস্বপনের সুপ্তি শেষে
    এলেম যেন হাসির দেশে !
    জগৎজোড়া খুশির মাঝে
    নিজেকে আজ পেলেম খুঁজে । ।।

    আজকে আমায় ডাক দিয়েছে
    সাগরপারের দিগন্ত,--
    আজকে আমার মনের মাঝে
    চিরনবীন বসন্ত;
    আজকে আমি মুক্ত পাখি
    বাধা-বাঁধন ছাড়া,
    আজকে আমায় স্বপ্ন দেখায়
    দূর আকাশের তারা;
    আজকে আমার মনের কথা
    শঙ্খ-চিলের পাখায় পাখায়
    নীলাম্বরের বক্ষপটে
    মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ায় !
    তোমার স্নিগ্ধ করস্পর্শে
    সাজল জগৎ নতুন সাজে,
    আজকে তোমায় আপন করে
    পেলেম আমি নিজের মাঝে । ।।

    --- ঈপ্সিতা মন্ডল
  • শ্ব | 132.172.244.251 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:১২508692
  • কচ
    ~~~~~

    চোখের মধ্যে মাঝের আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘিলুর মধ্যে
    আয় আয় করে ডেকে সব গলেচিঁড়ে হয়ে নখে চিনি
    নখে রক্ত অক্ষর শর্করা জল টক দই থাকলে একটু মন্দ লাগত না ।।
  • ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:৪৬508693
  • স্বপ্নের ভোর
    -------------

    দীপ্ত সূর্য বাজাও তূর্য ঘুচাও কুজ্ঝটিকা,--
    আর যেন মোরে ডরাতে না পারে আঁধারের বিভীষিকা;
    হে প্রভাকর দাও এই বর তব মঙ্গল আলোকে,
    অন্ধ-তমসা দুখের অমানিশা না রহে এ ধরালোকে;
    হে জ্যোতির্ময় করিবারে জয় মিথ্যার কালরাত্রি,
    ঘুচাও মূঢ়তা জাগাও দৃঢ়তা কর সত্যের যাত্রী । ।।

    যেদিকে তাকাই ধূসর কালো,
    দিকে দিকে শুধু নিবিছে আলো,--
    হে দেব, পুনঃ প্রদীপ জ্বালো
    অন্ধ হৃদয়-গহ্বরে;
    চক্ষু মোদের স্বপ্ন-বিভোর ঃ--
    আসবে কি সেই ``স্বপ্নের ভোর” ?
    গুনগুনিয়ে উঠবে ভ্রমর
    রুক্ষ মনের কন্দরে !
    উদিত হও হে নবারুণ,
    ছড়াক ধরায় অরুণ কিরণ,
    ঊষার আলোয় “সোনার বরণ”
    প্লাবিত হোক ধরিত্রী;
    হিংসার আজি হোক পরাজয়,
    পুষ্পের রঙে রাঙুক হৃদয়,
    মানবজীবনে হোক অক্ষয়
    প্রেম-ভালবাসা-মৈত্রী । ।।
    --- ঈপ্সিতা মন্ডল
  • ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০০:৪২508694
  • সাদা-কালো
    -------------

    জানালা দিয়ে চাইলেই দেখা যায় --
    বিস্তীর্ণ প্রান্তর, সাদা বরফে ঢাকা;
    তারই কোণে ক'টি পর্ণমোচী বৃক্ষ,
    বরফের পরতে মোড়া তাদের কৃষ্ণবর্ণ শাখা ।

    মধ্যে মধ্যে সে প্রলেপ ঝরে পড়ে,
    উস্কানি দেয় তীব্র হিমেল হাওয়া;
    খামখেয়ালী ভাঙন যেন ছোট্ট সাদা প্রাচীরে;
    ভ্রুক্ষেপহীন কাঠবিড়ালির ক্ষিপ্র আসা-যাওয়া ।

    মাঠের অন্য প্রান্তে চোখে পড়ে,
    সগর্বে মাথা উঁচিয়ে গগনচুম্বী আবাসন;
    বেড়ার গায়ে মোটরগাড়ির সারি,
    তাদের দেহেও সাদা বরফের পুরু আস্তরণ।

    এরই মাঝে আবার শুরু হয়
    দমকা হাওয়া, নতুন তুষারপাত;
    তুলোর পরতে আবার ভরতে থাকে
    সযত্নে সাফ করা আবাসন-ফুটপাথ । ।।

    --- ঈপ্সিতা মন্ডল
  • ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:২৫508695
  • চেতনা

    “ত্রাহিমাম্‌ ! ত্রাহিমাম্‌ !”,
    কান পেতে ওই শোন্‌ –
    “ত্রাহিমাম্‌ ! ত্রাহিমাম্‌ !”
    নিদারুণ ক্রন্দন;
    লাঞ্ছনা হাহাকার
    শুনি দিকেদিকে,
    আঘাত হেনেছে ভাই
    ভাইয়েরই বুকে !
    হা ঈশ্বর ! ছুটেছি কোন
    মরীচিকার পিছে,
    এ ভীষণ মারণখেলায়
    মেতেছি কেন মিছে ? ।।

    “জয় হোক জয় হোক”,
    মানুষেরই জয় !
    “জয় হোক জয় হোক”,
    নাশো সব ভয়;
    “লড়ব না আর মোরা
    নিজেদের মাঝে",
    এ শপথ নাও আজি
    বিবেকের কাছে;
    খমতা-পিয়াষী নয়,
    নয় শুধু ভোগী,
    স্বার্থের উর্ধে উঠে
    হও মহা ত্যাগী । ।।

    “দ্রিমি তাক্‌ দ্রিমি তাক্‌ ”,
    দুন্দুভি বাজে !
    “দ্রিমি তাক্‌ দ্রিমি তাক্‌ ”,
    সাজো রণ সাজে;
    বাজে রণভেরি,
    প্রলয়-বিষাণ,
    এক হও দুনিয়ার
    মজুর-কিষাণ; –
    আঁখি মেলো, ওঠো, জাগো
    জগতবাসী,
    হাতে হাত ধরে নাও
    সকলে আসি । ।।

    আমরা সংগ্রামী, ভাই,
    আমরা সংগ্রামী,
    “ সত্যমেব জয়তে, সত্যমেব জয়তে ”,
    আমরা সংগ্রামী;
    লড়ব আমরা অন্যায় আর
    অত্যাচারের বিরুদ্ধে ,
    লড়ব আমরা অসাম্য আর
    অবিচারের বিরুদ্ধে ,
    লড়ব আমরা শোষণ আর
    দুর্নীতির বিরুদ্ধে ,
    লড়ব আমরা মানবতার
    অপমানের বিরুদ্ধে ;
    হিংসা-ঘৃণার হাতিয়ারে নয়,
    ভালবাসার বন্ধনে,
    গাইব মোরা সবাই মিলে
    মানবতার বন্দনে;
    থামবে না কভু মোদের চলা,
    সইব সকল আঘাত, –
    যুদ্ধের আঁধার ঘুচিয়ে আনব
    শান্তির সুপ্রভাত । ।।

    --- ঈপ্সিতা মন্ডল
  • ঈপ্সিতা মন্ডল | 34.114.29.174 | ২৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:২৬508696
  • তুষারদেশে
    ---------------

    বৃষ্টির টুপটাপ নয়,

    শুধুই নিঃশব্দে ঝরে যাওয়া,

    প্রকৃতি যেন সাদা-কালো ক্যানভাস --

    সূর্য-মেঘ আঁকে আলো-ছায়া ।

    মেতে যখন ওঠে পাগল হাওয়া

    সে স্তব্ধতা হঠাৎ ভেঙে যায়;

    ধূসর কালির আবছায়াতে মুড়ে,

    সব কিছু সে উড়িয়ে নিতে চায় ! ।।

    তারই মধ্যে দুর্দমনীয় মানুষ,

    চলেছে তার দৈনন্দিন কাজে;

    শৈত্য প্রবাহ হোক না যতই প্রবল

    অকর্মণ্য স্থবিরতা কি সাজে ?

    অসহায় হয়ে থাকেনি সে বন্দী,

    হিমেল হাওয়ার কঠোর নাগপাশে;

    প্রকৃতিকে তার নিজের করে নিয়ে,

    জয় করেছে নিতান্ত অনায়াসে । ।।

    সুবিস্তৃত তুষার ক্ষেত্র মাঝে

    যন্ত্র পায়ে বরফের বুক চিরে,

    দাপিয়ে বেড়ায় প্রবল উল্লাসে

    পাখির মত হাওয়ায় ভর করে !

    বরফ জমা শীতল ঘেরাটোপ

    হয়েছে তার গতির মাধ্যম, --

    হার-না-মানা প্রাণশক্তির কাছে

    কিছুই যেন নয় আর দুর্গম । ।।

    --ঈপ্সিতা মন্ডল
  • ফরিদা | ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ ২১:০১508697
  • শীতকাল

    মাটি থেকে অল্প লাফিয়ে শরীর একটু হেলিয়ে দিলেই দিব্যি ভেসে থাকা যায়। শুরুর দিকে এতে একটু অসুবিধা হয় বটে। তাই প্রথম প্রথম সিঁড়ি বেয়ে নামার সময়ে তিন চারটে সিঁড়ি বাকি থাকতেই এটা করা উচিত, শ্বাস নিয়ে চেপে রেখে অল্প একটু লাফ, কিছুটা ওপরে উঠে শরীরটা নেমে আসবে, আস্তে থাকবে তখন হাতদুটো পিছনে টেনে দিতে হবে – দম ছাড়া যাবে না কিছুক্ষণ ঠিক মাটি ছোঁয়ার আগেই দেখা যাবে ভেসে থাকা যাচ্ছে। প্রথম দিকে তিন ফুট, চার ফুট – পরে আরো বেড়ে যেতে থাকবে। হাত দুটো ঠিকঠাক চালালে ভেসে ভেসে বাঁক ঘোরাও যায়। অভ্যেস হয়ে গেলে শ্বাস নেওয়াও যায় হালকা করে। ঘুমের মধ্যে বলে এতে পরিশ্রমও বিশেষ নেই।


    সবকটা রাস্তাতেই কিছু না কিছু ফেলে আসি আমি। যেহেতু বাড়ের বয়স আর নেই, তাই প্রতিটি রাস্তা পেরোলেই আরো ছোটো হয়ে যাই যেন। আর তাতেই বুঝি পরের রাস্তাটা আরো বড় বড় লাগে। কিম্বা এমনও তো হতে পারে যে আমি নিজেকে এক জায়গায় ফেলে রেখেই বেড়াতে বের হই। এখন অর্ধেক পৃথিবী হয়ে এলো – উলটো দিকে যাওয়ার কোনো মানেই হবে না – কিন্তু বাকি রাস্তাগুলো এত বড় হয়ে উঠছে যে পৌনে পৃথিবী পেরোলেই শূন্য হয়ে যাব – না হলে বেশ হত – দেখা যেত সত্যি সত্যি ছোটো হয়েছি কিনা, পৃথিবীটা গোল কিনা সেই প্রশ্নেরও স্থায়ী মীমাংসা হতে পারত।


    আলো জ্বালানোর পর আর কোনো কাজ থাকে না বিশেষ। দেখার বলে কিছুই তো আর বিশেষ বাকি নেই। অন্ধকারে হলেও মুশকিল- হাঁটাচলা দায়, শুধু ঠোক্কর লাগে, তাই একটা কাজ বাড়ে। এত চেনা চারপাশ – অন্ধকারেই সব ঠিক নখ দাঁত বের করে ফেলে।


    শীত পড়লেই টের পাই বয়স হচ্ছে। জুবুথুবু জ্যাকেটের ফাঁক ফোকর দিয়ে ঘাড়ে, গলায় ছুঁচ ফোটায় হাওয়া। হাতের আঙুল কাঠের মতো লাগে। হলদে ডুম আর হ্যাজাক জ্বালিয়ে আনাজপাতির হাট বসে বুধবার করে। রাত আটটা নাগাদ গাড়ি পার্ক করে গুটি গুটি পায়ে হাটে পৌছলেই হাতছানি দেয় ডাঁই করে রাখা কড়াশুঁটির পাহাড়, হা হা করে হাসতে থাকা ফুলকপি আর গোমড়া মুখো বাঁধাকপিরা। মাটি মাখা খোসা ওঠা আলু দেদার বিকোচ্ছে। আর টকটুকে ট্যমেটোরা দেমাকি – তাও সস্তা। দশটাকা কিলো আলু আর পনের টাকা কিলোর কড়াইশুটি পেলে এত ভালো লাগে – বোঝা যায়, বয়স হচ্ছে।
  • Tim | 12.135.57.19 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ ২৩:০১508698
  • জীবন একের পাঁচ গোল্লায় ঘুরেফিরে
    এসেছে আবার। প্রায় মাঝরাতে, ভারি
    কোন পাখিডাকে ঘুম ভেঙে উঠে
    সারসার জুতোছাপ, গভীর ক্ষতস্থানে
    দেখি, ঝুরো বরফের মত জমেছে অতীত-
    সেই ছাপে পা ফেলে ফেলে, সেই তুষারের
    মায়া, কোলাহল, প্রাচুর্য্য-- পিছনে সরিয়ে
    রেখে চলে গেছে শীত। প্রায় মাঝরাতে, ভারি
    কোন পাখিডাকে, জীবন একের পাঁচ গোল্লায় -
    ঘুরেফিরে এসেছে আবার।
  • Tim | 12.135.57.19 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ ২৩:২৪508699
  • একখানি প্রেমের কবিতা, প্রেয়সীকে
    বহুদিন লেখা হয়না। বহু-বহু দিন, পুকুরের
    ঢেউ যেন ছোঁয়না সে সবুজালী পাড় - পয়সা
    জমিয়ে কেনা সুতো প্রতি টিউশনি জুড়ে।
    বহুদিন পরিপাটি হাওয়া, বৃত্তের পরিমিতি
    ভৌত বৈষয়িক পরিকল্পনায়, শস্তা খামের রং
    পাল্টেছে দেশ কাল সময় হিসেব।
    বহুদিন মায়ের মতন, হয়ত গভীর রাত এলোমেলো
    ভাব করে ঘুমিয়েছে যেন, কোমরে সজাগ কোন চাবি
    নড়চড়ে জাগিয়ে দেয়নি আর, বহু বহুদিন কোন
    সন্ধ্যায় জট পড়া চুলের গোলায়, উনুনের আঁচের
    গন্ধ লেগে মনে হয়নি - এইসব আমার ভেতরে
    জমে আছে, মজ্জাগত।
  • nina | 78.37.233.36 | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৪৫508700
  • আমার প্রিয় কবি---ফরিদা আর টিম্ভাই---এবর শুধু একটু হুতো কে চাই--ব্যাস থ্রি মাস্কেটিয়ার্স অফ পোয়েট্রি----
    আহা দিল বাওড়ো হো গয়ো!!
  • শিবাংশু | 127.197.245.147 | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:৩৭508701
  • পীট
    --------------

    ফুলেরা কোথায় গেছে
    খুঁজে পেলে

    সময়ের তাঁত বোনা
    সুর
    আইরিন শুনেছিলো
    আমরাও আজন্ম শুনেছি
    মথিব্যান্ডের ঢোলবাঁশি
    হাতুড়ির সুসমাচার

    হে প্রিয়, তোমার কুড়ুল আর
    গিটারের মন্দ্র কর্ড
    তোশি শুনেছিলো
    একা একা

    আমরা সড়কছাপ
    ভিড়ের
    ভিতর থেকে, জলের ভিতর থেকে
    তাও তো শুনেছি

    সুর কি আগুন হয়
    কেউ কি ভেবেছে
    আগুনপ্রলেপ মেখে
    আমাদের
    জ্বর সেরে গেলো

    ঘুরে যাও
    মৃত্যুর মতো
    বিষুবরেখার ঋতু
    যদি প্রেম
    বাদাম নৌকা হেন
    ঘুরে যেতে থাকে
    চোরাস্রোতে

    সময়ের তাঁত বোনা সুর
    হলুদ পাতার গায়ে লাল

    সব ফেলে শেষে যেতে হলো
    যাও তবে
    ফেরাতে যাবোনা

    আমরাও একদিন
    তোমার পিছনে যাবো
    ফুলের নতুন দেশ

    হাডসন ভ্যালির ঘন্টাঘর
    হলুদ গিটার থেকে সি-মেজর
    শুনে যাও

    টার্ন, টার্ন, টার্ন
  • pradip | 24.96.94.225 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:২১508703
  • ইপ্সিতা এতো লেখ কি করে? দু'একটা বেশ ভালো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন