এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • এখন কি পড়ছেন?

    Bratin
    বইপত্তর | ২৩ নভেম্বর ২০১১ | ৪৫৩৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দ্রি | 2390012.160.230112.168 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:২৯502313
  • পুরো বইটায় মরুৎএর আলোচনা একটু বাড়াবাড়ি রকমের আছে এটা আমিও খেয়াল করেছি। আর আছে সায়নের কথা। পাতায় পাতায় শুধু সায়ন আর সায়ন। সাড়ে চারশো পাতায় বইয়ের প্রায় দেড়শো পাতাই প্রিফেস।

    রেফারেন্স? ও বলার নয়, দেখার নয়, শুধু কলম দিয়ে লেখার। তবে সত্যি সত্যি রেফারেন্স চেক করলে অনেক সারপ্রাইজ পাওয়া যায়।
  • dd | 670112.51.0123.240 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:৩৪502314
  • আচ্ছা দ্রি সাহেব, অ্যাকবার দ্যাখেন তো। সায়নাচার্য্যের কোনো বই আছে ইংরাজীতে?
  • PT | 015612.129.7867.92 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:৩৭502316
  • আলোর গতি সম্পর্কে সংস্কৃত ও প্রাচীন বিজ্ঞান শাস্ত্রে পন্ডিত এক অধ্যাপকের অভিমতঃ

    "I don't think any ancient scripture mentions the speed of light. Neither would it be reasonable to expect it from them because such a knowledge cannot be gained empirically, nor is it intuitive."
  • দ্রি | 2390012.160.230112.168 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:৩৭502315
  • পাইনি, খোঁজার চেষ্টা করেছি।

    মনে হয় ইংরিজিতে হবে না। একবারে তুখোড় সংস্কৃততে কিছু থাকতে পারে। অথবা তিব্বতের গুফায় কোন পালি ভার্শান টাশান ...
  • dd | 670112.51.0123.240 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:৪০502317
  • এখন মনে হচ্ছে এই আলোর গতি নিয়ে সায়নের টীকা, সেটা মোক্ষ বাবুর উল্লেখ - এটা পুরোটাই একটা hoax।

    ঋগ্বেদ আর মোক্ষমূলার চেক করা যায়। কিন্তু সায়ণের ভাষ্য বই হিসেবে পাবেন কোথায়?
  • দ্রি | 9004512.36.4567.8 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২৩:০৪502318
  • ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্মেন্টের পাবলিক লাইব্রেরী ডিস্পেসে পাওয়া গেল রিগ্বেদের ওপর সায়নের কমেন্টারীর ভলিউম ৪ আর ভলিউম ৬। বিশুদ্ধ সংস্কৃতে। এক্সক্লুসিভলি সংস্কৃত পন্ডিতদের জন্য।

    তবে সে আমি তুর্কিতে লেখা বাবরনামাও পেয়েছি। ডিডিদা লাগলে বলবেন।
  • একক | 3445.224.9002312.50 | ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৫:২৬502319
  • বানারস টকিজ । সত্য ব্যাসের লেখা । নতুন লেখক , চমত্কার ফিকশন বিএইচইউ র পটভূমিকায় । জমাটি সিনেমা হতে পারে একটু ভালো পরিচালকের হাতে পড়লে ।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৭502320
  • সায়নের ঐ কমেন্টারি সংস্কৃতে পড়ে পড়ে ইংলিশে বা বাংলায় তর্জমা করতে পারবেন কেউ? তাহলে একটা ধরতাই পাওয়া যেত।
  • PM | 2345.110.234512.11 | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১০:৫৬502321
  • দ্রি সহেবের কাজে মন দিচ্ছেন না মোট্টে। আগামীর অবয়ব এত দ্রুত পাল্টাছে এদিকে গুরুতে কোনো আপ্ডেট নেই
  • | 453412.159.896712.72 | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১১:৫১502323
  • এদিকে বন্ধুদের প্রবল প্ররোচনায় আমি Tinker Tailor Soldier Spy পড়তে শুরু করলাম। থারুর সয়েবকে একটানা পড়া যাচ্ছে না, বোর হয়ে যাচ্ছি।

    আর হ্যাঁ কাল ফাইনালি চৌ-চ অর্ডার করলাম মূলতঃ ব্ল্যাংকির ফীডব্যাকে। সে বই কাল রাতেই রওনা হয়েছে। কাজেই আগামীকাল নাগাদ হাতে পেয়েই যাব।
  • | 342323.191.3423.234 | ১৭ জুলাই ২০১৮ ২২:২৮502324
  • souvik ghoshal | 342323.191.4523.82 | ২৩ জুলাই ২০১৮ ২১:৫২502325
  • প্রীতম বসুর পঞ্চাননমঙ্গল
    ------------------------------------------------------------------
    সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো প্রবাসী বাঙালি যখন ডুবুরীর মতো ভাষা সাহিত্যের সেই পণ্ডিতি গবেষণার উপাদানকে ব্যবহার করে রোমহর্ষক এক থ্রিলার তৈরি করে দিতে পারেন পাঁচমুড়ার পঞ্চাননমঙ্গলের মতো উপন্যাসে।
    আকর্ষনীয় কাহিনী বিন্যাস নিঃসন্দেহে পঞ্চাননমঙ্গল এর আবিস্কার ঘিরে এখানে দানা বেঁধে উঠেছে, কিন্তু সেটাই এই বইয়ের প্রধানতম আকর্ষণ নয়। আমাদের হারানো অতীতের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, যা ইউরোপের চোখে জগৎ দেখার বাইরের এক নিজস্বতাকে খুলে দিতে চায়, তাকে আমরা এই আখ্যানে পেয়ে যাই। কীভাবে লেখা হত পুঁথি, কেন কাগজ ব্যবহারে আমাদের এখানে অনেক লিপিকরের দীর্ঘদিনের আপত্তি ছিল, তুলোট পাতা আর তালপাতার পুঁথির পার্থক্য কোথায়, কাহিনীর অন্তর্গত উপাদান হিসেবেই প্রীতম আমাদের তা জানিয়ে দেন। তুলে আনেন বাংলা বর্ণমালার বিবর্তন সূত্রটি। এই আখ্যানের অন্যতম প্রধান দুটি চরিত্রই সারা জীবন ধরে পুরনো সাহিত্য নিয়ে দুভাবে কাজ করেন – সদানন্দ ভট্টাচার্য ও হরু ঠাকুর। প্রথমজনের যদি পারিবারিক ব্যবসা ও নেশা আগ্রহের সূত্রে জহুরীর চোখ তৈরি হয়ে থাকে তো দ্বিতীয় জনের রয়েছে পুঁথি নকলের ও পুঁথি দেখার প্রাতিষ্ঠানিক তালিম। সেইসঙ্গে স্বাভাবিক কবিত্ব যা সহজেই ধরে নিতে পারে পুরনো সাহিত্যের ভাষা ও প্রকাশভঙ্গীটিকে।
    বস্তুতপক্ষে হরু ঠাকুরের আড়াল থেকে লেখক প্রীতম বসু নিজেই এখানে একটি পরীক্ষায় নেমেছেন। চর্যাপদের ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের মাঝের সময়ের বাংলা ভাষাটি, যার কোনও প্রামাণ্য উপাদান আমাদের হাতে এসে পৌছয় নি অন্ধকার যুগের আড়াল ভেদ করে, সেই ১৪০০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ বাংলাভাষার রূপটি কেমন ছিল। গদ্য আখ্যানের পরতে পরতে মধ্যযুগের পুননির্মিত সেই ভাষায় দীর্ঘ দীর্ঘ পদ্য অংশ মিশিয়ে দেন প্রীতম, বিশেষত কাহিনীর মধ্যভাগ থেকে। আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করি দক্ষ আখ্যানকার প্রীতমের মধ্যেই কীভাবে মিশে আছে এক ভাষা গবেষক, ছন্দ বিশ্লেষক নিপুণ কবি।
    কুসুম কোঁঅলী তার ছিন্ডিআঁছে অলঙ্কার
    ছিন্ডিআঁছে যত মানভএ।
    গোরা তার দেহকান্ত আনুপাম বীর শান্ত
    দীঠি কৈল তারি মন জয়।
    ছিন্ন নিচোল ছিন্ন কেশ দেয়ি আপনা বেশ
    ঢাকিলেঁ তিরির লাজ
    পুরুষের বসনে জেন বনদেবী বনে
    অপরুব তার দেহসাজ।।
    বস্তুতপক্ষে ছিরিছাঁদ এর লেখক প্রীতম বাংলা ও সংস্কৃত ছন্দ নিয়ে কতখানি দক্ষ তার প্রমাণ এই আখ্যানের কয়েকটি চকিত মুহূর্তেও আছে। চর্যাপদের চৌপদীর থেকে বাংলা পয়ারের আদি পর্বের নির্মাণটিই শুধু নয়, সংস্কৃত কয়েকটি ছন্দের নিপুণ বিশ্লেষণ তিনি এখানে তুলে আনেন। এখানে আছে তোটক, তূণক, ভুজঙ্গপ্রয়াত প্রভৃতি ছন্দের দৃষ্টান্ত ও আলোচনা। প্রীতম একটি প্রশ্ন তুলেছেন, কিন্তু উত্তর দেন নি। সংস্কৃতে অন্তমিল নেই, বাঙালি তা পেল কোথা থেকে ? হয়ত মুণ্ডা ভাষার আলোচনা ও বাংলার ওপর তার প্রভাব থেকে এই প্রশ্নের উত্তরের দিকে এগনো যায়। তবে সে অন্য প্রসঙ্গ।
    পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গলের কাহিনীটি আকর্ষনীয়। গুডরিডস থেকে তা হয়ত অনেকেই পড়ে নিয়েছেন।
    “সদানন্দ ভট্টাচার্য পাঁচমুড়ো গ্রামের সঙ্গতিহীন জমিদার। কিন্তু বাংলার প্রাচীন সাহিত্য এবং পুঁথিপাটা নিয়ে ভদ্রলোকের বেশ নাড়াঘাঁটা আছে। বিদেশ থেকে এক ভদ্রলোক আসেন ওঁর কাছে,যাঁর নাম মিঃ ধাড়া। এঁর নাকি লন্ডনে একটা মিউজিয়াম আছে, সেখানে তিনি বাংলা সাহিত্যের পুরোনো সব পুঁথি সংগ্রহ করে রাখেন। এই পুঁথির কাজেই তাঁর এদেশে আগমন এবং সদানন্দ ভটচায্ এর কাছে নাড়া বাঁধা। কালাচাঁদ নামে এক পুঁথি চোর ধাড়াকে চন্ডীদাসের এক নকল পুঁথি বিক্রী করতে এসে সদানন্দের হাতে ধরা পড়ে। সদানন্দ যখন পুঁথির নকলনবীশীর ব্যাপারে জ্ঞান দিতে ব্যস্ত, সেইসময় খবর পাওয়া যায়, পাঁচমুড়ো গ্রামের প্রায় মজে যাওয়া পুকুর চয়নবিলের নীচে থেকে নাকি কিছু পাথর পাওয়া গেছে, যাতে পুরোনো কিসব অক্ষর খোদাই করা আছে। পাথরের ওপর খোদাই করা লেখা পাঠ করে সদানন্দ উত্তেজিত হয়ে উঠলেন – পঞ্চদশ শতাব্দীর বাংলা ভাষায় এক অনন্য রচনার অংশবিশেষ। এই পঞ্চাননমঙ্গলের অস্তিত্ব নাকি অনেকটা নেক্রোনমিকনের মত। আরব মুসলমানদের কাছে এই বই নাকি,‘শয়তানের পুঁথি’? মানে পঞ্চানন মঙ্গল? কিন্তু সেরকম তো কিছুর সন্ধান পাওয়া যায় না বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে....পঞ্চাননমঙ্গল আদৌ ছিল কিনা কে জানে?? কিন্তু এই কাব্য মোটেই অন্যান্য মঙ্গল কাব্যের মত গূঢ় জীবনদর্শন বা দেবস্তুতি নয়। এরমধ্যে লুকানো আছে ছন্দের মধ্যে অঙ্ক। গল্প এগিয়েছে এদিক ওদিক করে। কখনো ইতিহাস, কখনো বর্তমানকে ঘিরে। জালালুদ্দিনের সময়ের পঞ্চমুন্ডি গ্রামের ইতিহাসের ওপর ভর করে চলেছে পঞ্চানন মঙ্গল। তাতে যেমন এক বিয়োগান্তক মঙ্গলকাব্য আছে, তেমনি আছে এক অসম্ভব প্রতিভাবান বাঙালী কবিরাজের রচনায় গনিতের সাথে কাব্যের মেলবন্ধন। পড়লে চমৎকৃত হতে হয়। লুপ্ত এক মঙ্গলকাব্য ঘিরে এক অসাধারণ থ্রিলার”।
    পঞ্চাননমঙ্গল এর কাহিনীর অন্যতম আকর্ষণের দিক প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চার মণিমুক্তোগুলিকে তুলে আনতে পারা। যে কৃতিত্ত্ব আমাদের বিজ্ঞানীদের পাওয়া উচিত ছিল, অনেক সময়েই তাঁরা তা পান নি। আর্যভট্ট বা ব্রহ্মগুপ্তদের আবিস্কারগুলি আরবীয় অনুবাদের হাত ধরে পশ্চিমী জগতে পৌঁছেছে। কিন্তু সে ইতিহাসের অনেকটাই আড়ালে ঢাকা। প্রীতম বসু আমাদের সেই ইতিহাস এখানে আখ্যানের ফাঁকে ফাঁকে জানিয়ে দিতে চান। আটশো শতাব্দীর শেষভাগে ভারতীয় পণ্ডিতের হাত ধরে ভারতের সুপ্রাচীন গণিতবিদ্যা পৌঁছোয় বাগদাদের রাজসভায়,আরবিতে অনুবাদ করা হয় সেই পুঁথিগুলির। সেই সূত্রেই পরবর্তীকালে অল-খোয়ারিজমি ‘ভারতের সংখ্যা দিয়ে গণনাপদ্ধতি’ ব্যবহার করে “অ্যালগরিদম”এর জনক হিসাবে পশ্চিমী দুনিয়ার কাছে পরিচিত হন। (অল-খোয়ারিজম এর অপভ্রংশই আজকের অ্যালগরিদম)। আর তারপর নানা আফগানী তুর্কি আরবী শাসক, যাদের অন্যতম বক্তিয়ার খিলজি - ভারতের গর্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করেন এবং সুপরিকল্পিতভাবে তিন মাস ধরে পোড়ান হয় ভারতের মহামূল্যবান পুঁথিসমূহকে, যাতে কিনা ভারতের একান্ত নিজস্ব গণিতবিদ্যা আবিষ্কারের উজ্জ্বল ইতিহাস কালের গর্ভে চিরকালের মতো নিমজ্জিত হয়। আমরা জানতে পারি না অনেক আগেই ভারতে জানা হয়ে গিয়েছিল আলোর গতিবেগের পরিমাপ, 'পাই'-এর মান, অ্যালজেব্রা, ত্রিকোণমিতি, দশমিকের ব্যবহার, তথাকথিত ‘পিথাগোরাসের থিওরেম’ – পিথাগোরাসের জন্মের দুশো বছর আগেই।
    এই গণিত চর্চার ইতিহাস যেমন আমরা জানি না, ঠিক তেমনি আজকের বাঙালি সেভাবে জানেন ই না আমাদের এই বাংলা নৌ নির্মাণ থেকে কামানের ব্যবহারে কত দক্ষ ছিল। চিনের নৌ নির্মাতারা যেমন আসতেন এই দেশে, তেমনি এদেশের যুদ্ধে প্রথম কামান ব্যবহারের গৌরব যিনি পেয়ে থাকেন সেই বাবর স্বয়ং কীভাবে তাঁর আত্মজীবনীতে বাঙালির কামান চালানোর দক্ষতার প্রশংসা করে গেছেন।
    এই লেখা শুধু আমাদের অতীতের জন্য গর্বকেই জাগিয়ে তুলতে চায় না। সেই অতীত কীভাবে আরবীয় তুর্কী মুসলমান শক্তির হাতে ধ্বংস হল সেই মনস্তাপও তৈরি করে। এই জন্যেই এই লেখা নিয়ে সতর্ক হবার অবকাশ আছে। যাতে ইতিহাসের বদলার রাজনীতি, যা আমরা রাম মন্দির আন্দোলনে বাবরি ভাঙার ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি, তা এ থেকে জন্ম নিতে না পারে। সম্ভবত লেখকও এই বিপদটি সম্বন্ধে সতর্ক। তাই আমরা দেখি পঞ্চানন এর মন্দিরটি একদিনের মধ্যে অনেক সহকারী জুটিয়ে তৈরি করে দেন যে কুশলী কারিগর, তিনিও এক মুসলমান। এবং তার পূর্বপুরুষদের মন্দির ভাঙার প্রায়শ্চিত্ত যেন তিনি এই কাজের মধ্যে দিয়ে করে যান। পারিশ্রমিক গ্রহণ করেও তা ফিরিয়ে দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের নজির রাখেন।
    বাঙালির অতীত মনন চর্চার ইতিহাস এখানে আছে, আছে বিদেশী শক্তির হাতে পর্যদুস্ত হয়ে সেই ইতিহাসকে হারিয়ে ফেলার মনস্তাপও। আর রয়েছে নিজের শিকড়ে ফেরার টান। মন্দিরের চাতালে কবিগান, ঝুমুর গান, আখড়ার সংস্কৃতি ফিরে পাওয়ার আগ্রহ। বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এমন নান্দনিক উপস্থাপণা বাংলা কথাসাহিত্যের অঙ্গনে কমই হয়েছে।
  • সিকি | ২৩ জুলাই ২০১৮ ২৩:১২502326
  • না না, পাঁচমুড়ো তো আমি পড়ি নি, তাই বলতে পারব না সেই বই সম্বন্ধে, কিন্তু আমি চৌথুপীর চর্যাপদ পড়ে ফেলিচি। আমি সেটা নিয়ে লিখব। লিখবই লিখব।

    ব্ল্যাঙ্কি যখন বলল আগে নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা পড়ে নিয়ে তারপরে চৌথুপী পড়ো, ততক্ষণে আমি চৌথুপী বইটি অর্ধেক পড়ে ফেলেছি। হ্যাঁ, ব্যাক টু ব্যাক দুটো বইই পড়ে ফেলেছি এক সপ্তাহের মধ্যে, প্রথমে চৌ-চ, তারপরে না-প-ভি। তো, চৌ-চ পড়া শেষ করে প্রথ যে শব্দটি আমার মুখ থেকে বের হল, সেটা হচ্ছে,

    বাআল।

    মানে, কেন কিনলাম বইটা, কেন পড়্লাম এমন একটা অ্যাজেন্ডামূলক বই, কিসুই বুঝলাম না। কেউ যদি পড়তে চান, আমি ফ্রি-তে বইটা গিফট করে দিতে পারি, এমনিতেই পরের মাসে পুরনো খবরের কাগজের সাথে ওটাকে বেচে দেব ঠিক করেছি।

    এক তো কে এই প্রীতম বসু আমি ঠিক বুঝলাম না, কীসের তরে এত হাইপ। পড়তে বসে কখনও মনে হল শৈলেন ঘোষ পড়ছি, কখনও মনে হল সমরেশ মজুমদার, বাকি সময়টা ষষ্ঠীপদ চট্টো। চরিত্রগুলো একটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়, কেবল তাদের মুখ থেকে সময়ে অসময়ে ভুরভুরিয়ে জ্ঞান বিতরণ, পুলিশ তাড়া করছে, টেররিস্ট হাত পা বেঁধে ফেলে রেখেছে, কানের পাশে বন্দুক ধরে রেখেছে, সেই সব সময়েও মহিলা চরিত্রের মুখ দিয়ে ভসভস করে জ্ঞান বেরোচ্ছে। ঠিক অ্যাজেন্ডমূলক জ্ঞান। ব্যাদে সব ছিল, আমরা কী ছিনু, কী হনু, মাঝখানে মুসলমানরা এল, ওরা হচ্ছে হোমোজিনিয়াস জাত, ওদের এক হাতে তলোয়ার থাকে, আরেক হাতে কোরান থাকে, ইসলাম কবুল করানোটাই ওদের একমত্র কাজ, সে যে টাইপের মুসলমানই হোক না কেন, মুসলমান খুউব খারাপ, আর হিন্দু (বকলমে বৌদ্ধ, তা তারা তো হিন্দুর সবসেট বই আর কিছু নয় প্রীতম বসুর কাছে) জাস্ট জ্ঞানে গুণে ভরপুর একটা নিষ্পাপ জাতি। বৌদ্ধদের সাথে তাদের খুউব মিলমিশ ছিল।

    সবাই পড়েন নি, তাই বিশদে যাব না। কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলির মধ্যে একটাই মুসলমান চরিত্র আছে, তা তাঁকে কোন ক্যাটেগরিতে ফেলব কিছুতেই বুঝতে পারি নি। তিনি কার্বন ডেটিং জানেন না অথচ পুরাণের অন্যান্য ঐতিহাসিক উপাদান সম্বন্ধে অনেক কিছু জানেন। মুসলমান হয়েও ফটাফট হিন্দু বৌদ্ধ দেবদেবীদের সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন, মাঝেমধ্যে মা-কালীর দিব্যি টিব্যিও বলে ফেলেন, ভুলেও মুসলমানি কোনও লব্জ তাঁর মুখ দিয়ে বেরোয় না, এবং বহু ভালো-মন্দের মাঝেও লোকটির ওভারঅল ভালো রূপটিই বেরিয়ে অসে। আমি যখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচছি যে, যাক, একটা অন্তত ভালো মুসলমান পাওয়া গেছে, তখন জানা গেল উনি সহিহ মুসলমান নন। কবীর সুমন কেস। মুসলমান মেয়ের প্রেমে পড়ে ধর্ম পাল্টেছিলেন।

    অধ্যায়ে অধ্যায় ইসলামোফোবিয়া একেবারে ফুটে ফুটে বেরোচ্ছে। এবং কী বিস্ময়কর ব্যাপার! বৌদ্ধ ভিক্ষুণী খুব এলিমেন্টারি অঙ্কটঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মহাহারতে কুরুক্ষেত্রের উদ্ধ ঠিক কোন সালে কোন সময়ে হয়েছিল। তখনকার ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ একেবারে এক কথায় তাঁর ক্যালকুলেশন মেনে নিচ্ছেন এবং হার স্বীকার করছেন। চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণ সমস্ত মেপেজুপে যেভাবে ভিক্ষুণী কুরুক্ষেত্রের টাইম বের করে ফেললেন, পড়ে আমি বলেই ফেললাম "বাবার লুঙ্গি দেখোচো?"

    ভদ্রলোক পাতা ভরাতে জানেন, কিন্তু সাহিত্য লেখাটা ওনার ঠিক আসে না। কে ওনাকে বেস্টসেলার করল, খুঁজতে গিয়ে দেখলাম বইচই ডটকম। এখন বইচইয়ের মালিককে আমি চিনি কিনা, তাই বাকিটা বুঝতে আর বিশেষ কষ্ট হল না।

    না-প-ভি পড়ুন। তুমুল লেখা। তুমুল বই। পড়ে বুঝুন বাংলা ভাষায় উপন্যাস - বিশেষ করে ইতিহাস-আশ্রিত উপন্যাস কী করে লিখতে হয়।

    আর চৌ-চ কারুর লাগলে আমাকে কুরিয়ারের খরচাটা পাঠাবেন। বইয়ের দাম নেব না।
  • | 340112.211.3423.207 | ২৩ জুলাই ২০১৮ ২৩:৪৭502327
  • সিকি, আপনাকে ক+ :)
    চারদিকে কেমন একটা খাজা জিনিসকে মহৎ প্রতিপন্ন করার যুগ এসে গেছে। স্রেফ বাংলা বলে নয়, এই ভদ্রলোকের যিনি 'প্রেরণা', সেই ব্রাউন সাহেবও মার্কেটে কি সুন্দর একটার পর একটা খাজা উপন্যাস ছেড়ে চলেছেন, দিব্যি বিক্রিবাটাও হচ্ছে আর লোকে বলছে কি জ্ঞানগর্ভ লেখা! সিনেমার তো মোটামুটি অন্তর্জলী যাত্রা ঘটে গেছে। নোলান একখানা পাতি গপ্পোকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচি বের করে ফেলছেন, লোকে বলছে ওফ কি ফর্ম মাইরি! টারান্টিনো উদোম ভায়োলেন্স দেখিয়ে বলছেন 'লেঃ কি দিলাম!' আবার অনুরাগ কাশ্যপ সেই স্টাইলেই এই সেদিন নেটফ্লিক্সে মহাভারত নামালেন বালের 'দ্য সেক্রেড গেমস'। সবই মাইরি আর্ট, যুগান্তকারী আর্ট! হইহই করে চলছে, রইরই করে তার ওপর লোকে পোস্টকলোনিয়াল থিসিসও লিখে ফেলছে। মার্কেটকে নমস্কার _/\_ (বিপ পাল না এসে পড়েন!)
  • সিকি | 894512.168.0145.123 | ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৯:০৯502328
  • ক ওরফে ঋতবান (অথবা অন্য কেউ),

    দ্যাখো ভাই, গুরুতে তো আমি খুব নতুন নই, জন্মলগ্ন থেকেই আছি, আট দশ বছর আগের সেই টই আজও আমার মনে আছে, মোটামুটি পোস্ট বাই পোস্ট। তো হেঁয়ালি করে সার্কাজম জানিয়ে বিশেষ কোনও ব্রাউনি পয়েন্ট কেউই গেইন করবে না এখানে। অ্যাজেন্ডা ধরে ফেলায় ঠিক কোনখানে কার লেগেছে সে আমি সম্যক বুঝেছি। ব্যথাটা সরাসরি বললেই চলত, আকাশবাতাসট্যারান্টিনোঅনুরাগকাশ্যপ ইত্যাদি না আনলেও চলত।

    এত বছরেও অ্যাজেন্ডা থেকে সরে আসো নি দেখে বেশ ভালোই লাগছে। ভালো কমিটমেন্ট।
  • | 453412.159.896712.72 | ২৪ জুলাই ২০১৮ ১০:৫৪502329
  • 'নাপভি আগে পড়ো' এইটা আমি বলেছিলাম, ব্ল্যাংকি নয়। ব্ল্যাঙ্কি বলেছিল চৌ-চ পড়ছ পড়ো, তবে নাপভিও পোড়ো।

    যাই হোক ব্ল্যাঙ্কির স্ট্রং রেকোতে আমি চৌ-চ কিনি। পড়তে শুরু করেছি, শ'দেড়েক পাতা অবধি পড়েও ফেলেছি। আমার ভালই লাগছে। এখনকার অংশটুকু তেমন ভাল না, কিন্তু ১৪০০ সালের আশেপাশের অংশটা দিব্বি চমৎকার। রিমি-এন লিখেছিলেন ক্যাজুয়াল ইসলামোফোবিয়া, আমি সেটা নিয়ে সন্দিহান, ফোবিয়া বলব কিনা। পড়া শেষ হলে বিস্তারিত লিখব।

    আর এই দুটো বই একসাথে আলোল্চনা করার মনেই নেই। দুটো আলাদা জঁর। নাপভি নিয়ে 'এই সময়'এ বড় করে রিভিউ বেরিয়েছিল মার্চে না এপ্রিলে। রোবু লিখেছে কিছুদিন আগে। আমিও ফেব্রুয়ারীতে ছোট করে লিখেছিলাম। তো, ঐ আর কি এই বইদুটো একটাইপের নয়। প্রীতম বসুকে শরদিন্দুর উত্তরাধিকারী বলা যায়।

    ইন্দ্রানী বলেছিলেন প্রীতম বসু নাকি বহুকাল আগে একবার কি দুইবার গুরুতেও লিখেছিলেন, ছন্দ নিয়ে বোধহয়।
  • abcd | 4512.139.346712.181 | ২৪ জুলাই ২০১৮ ১৯:৩২502330
  • নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা, কোন প্রকাশনা থেকে বেরিয়েছে কেউ বলবেন? কলেজ স্ট্রিটে কিনতে পাবো?
  • | ২৪ জুলাই ২০১৮ ২০:০৩502331
  • ধানসিঁড়ি প্রকাশন। হ্যাঁ পাবেন। দেজ পাবলিশিং আর দে বুক স্টোর দুইয়েই পাবেন।
  • abcd | 4512.139.346712.181 | ২৭ জুলাই ২০১৮ ১৬:২০502332
  • শাংগ্রিলার খোঁজে, পরিমল ভট্টাচার্য-এর বইটা দে'জ পাবলিশিং-এ পাওয়া যাবে?
  • | 670112.210.232323.72 | ২৭ জুলাই ২০১৮ ১৭:১৪502334
  • আওয়া উচিৎ।
    তবে এই সবকটা বই নিশ্চিতই পাবেন 'ধ্যানবিন্দু'তে। কলেজ স্কোয়ারের গায়ে সুর্য সেন স্ট্রীটের মুখেই।
  • souvik ghoshal | ২১ আগস্ট ২০১৮ ২০:৩৫502335
  • সিকির কথার উত্তরে কয়েকটি কথা বলা দরকার। চৌথুপীর চর্যাপদ নিয়ে। বিস্তারিত পড়ে আলাদা করে লিখব রিভিউ এর মতো করে।
    সিকির একটা অভিযোগ ঠিক যে এখানে চরিত্ররা যে সিচুয়েশনে যেভাবে রি অ্যাক্ট করেছে, বিশেষত যোজনগন্ধা - সেটা বেশ সমস্যাজনক। স্বাভাবিকতার চেয়ে বেশ দূরে। সম্ভবত আখ্যানকার নিজেও শেষদিকে এসে সেটা বুঝেছিলেন এবং ক্যানসারের পাশাপাশি যোজনগন্ধার এক বিশেষ মানসিক রোগের কথা একেবারে শেষের দিকে এসে উল্লেখও করেন।
    দ্বিবেণীবদ্ধ এই উপন্যাসের সমসাময়িক আখ্যান ও চরিত্রায়ন সম্পর্কে আরো অনেক সঙ্গত অভিযোগই তোলা যায়। পুলিশের হাবিলদার চরিত্রায়ন সম্পর্কেও।
    কিন্তু উপন্যাসের মূল আকর্ষণ এই দিকটির জন্য নয়।
    গন্ধকালীর থেরী সঞ্জীবনী হয়ে ওঠা এবং সেখান থেকে আবার ঘটনাচক্রে প্রেমাস্পদের হাত ধরে গার্হস্থে ফেরার আখ্যানটি যথেষ্টই চিত্তাকর্ষক। সবই বেদে ছিল বলে সিকি এই আখ্যানের প্রতি যে কটাক্ষ হেনেছে, সেটাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, কিন্তু ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগ সম্পর্কে দু চারটি কথা বলার আছে। এই আখ্যান যে পটকে আশ্রয় করে রচিত, সেই তুরষ্ক আক্রমণের ঘটনাবলী বিবৃত করতে বা তার আবহ রচনার ক্ষেত্রে প্রীতম অতিরেক ঘটান নি। কেন তুর্কি বিজয়ের কাহিনীকে বিজেপি আর এস এস এর রমরমা ইসলামোফোবিক বর্তমান আবহে দাঁড়িয়ে কেউ উপন্যাসের বিষয় আদৌ করবেন, এমন অভিযোগ যদি সিকি না তুলতে চান তবে আলাদাভাবে এই আখ্যানের নিরিখ থেকে ইতিহাস বিচ্যুত ইসলামোফোবিয়া সিকি কোথায় পেলেন তা তাকে জানাতে হবে। মীনহাজ এর তবাকৎ ই নাসিরির বিবরণ ও অন্যত্র বিবৃত এই সময়ের ঐতিহাসিক সত্যকে প্রীতম কোথাও বিকৃত করেন নি।
    তুর্কি আক্রমণের সেই ক্ষণে প্রাচীন জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র ও পুঁথিপত্র ধ্বংস করা একটি নির্জলা সত্য ইতিহাস। আর সে সব কে রক্ষা করার আন্তরিক তাগিদটিও যে এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের থাকবে বা ছিল তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। ফলে সিকিকে আরেকবার ব্যাখ্যা করতে হবে এই ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগটি আখ্যানের এই নির্দিষ্ট কনটেক্সটে।
    চৌথুপীর চর্যাপদের দুর্বল অংশটি সমকালীন যোজনগন্ধা কেন্দ্রিক আখ্যানটি। কিন্তু গন্ধকালীর আখ্যান এর মধ্য দিয়ে সে যুগের বাংলার গ্রাম জীবনের আদলটিই হোক বা বৌদ্ধ সঙ্ঘের আবহটিই হোক - খুব ভালোভাবেই পুন:সৃজিত হয়েছে।
    আরো কথা পরে বলা যাবে। আপাতত সিকির প্রত্যুত্তরের জন্য অপেক্ষা করা যাক।
  • | ২১ আগস্ট ২০১৮ ২০:৪১502336
  • প্রীতম বসু থ্রিলারে দুর্বল। থ্রিলার কোশেন্ট গাদাগুচ্ছ ঢেলে পরের দিকে খেই হারিয়ে ফ্যালেন।

    ইসলামোফোবিয়া আমার লাগে নি। আমার বরং একটা এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছে হচ্ছে। 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' এর লেখকের নাম ব্লারড করে বইটা পড়ালে লোকে কী রিয়্যাক্ট করে দেখা।
  • b | 4512.139.6790012.6 | ২১ আগস্ট ২০১৮ ২১:১১502337
  • "আমরা জানতে পারি না অনেক আগেই ভারতে জানা হয়ে গিয়েছিল আলোর গতিবেগের পরিমাপ, 'পাই'-এর মান, অ্যালজেব্রা, ত্রিকোণমিতি, দশমিকের ব্যবহার, তথাকথিত ‘পিথাগোরাসের থিওরেম’ – পিথাগোরাসের জন্মের দুশো বছর আগেই।"

    ভারতে আলোর গতিবেগটা? সৌভিক বাবু?

    আর বাকিগুলো না, আগেই জানতাম। ক্লাশ ফোর এ পড়েছিলাম। বইয়ের নাম ছোটোদের বিশ্বকোষ। অসামান্য সিরিজ। ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য্য সম্পাদিত। প্রী-ব এসে প্রথম জানালেন তা তো নয়।
  • সৌভিক | 238912.66.2334.104 | ২৩ আগস্ট ২০১৮ ২৩:২১502338
  • বিশ্বকোষ এ তথ্যগুলো পেয়েছিলেন নিশ্চয়। কিন্তু একটা সময়কে রিক্রিয়েট করা, গন্ধকালী - থেরী সঞ্জীবনী আখ্যানে প্রীতম বসু যেটা করেছে, তার সাফল্য নিঃসন্দেহে স্বীকার্য। যোজনগন্ধা কেন্দ্রিক সমকালীন আখ্যানভাগটি দুর্বল স্বীকার করি, অনেক সময়ে একঘেয়েও। কিন্তু গন্ধকালী আখ্যানটি মূলত টানটান এবং সময়ের পুনঃনির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় টোনালিটিটা প্রীতম বসু হাজির করতে পেরেছেন। এটা আমার মনেই হয়েছে।
  • b | 562312.20.2389.164 | ২৪ আগস্ট ২০১৮ ০৮:৫৬502339
  • ঠিকই আছে। । অসুবিধা শুধু "আমরা জানতে পারি না এই শব্দবন্ধ নিয়ে। লিখতে পারতেন "আমি জানতাম না"।
  • | ৩১ আগস্ট ২০১৮ ১০:১৪502340
  • ইন ফ্রিডম'স শেড - আনিস কিদওয়াই (আজাদি কি ছাঁও মেঁ এর ইংরিজি অনুবাদ)
    ডার্ক, ডিপ্রেসিং। একটা গোটা চ্যাপ্টার একসাথে পড়তেও নার্ভে চাপ পড়ে।
  • | 237812.69.453412.140 | ০৭ আগস্ট ২০১৯ ২০:৫৯502341
  • স্যার যদুনাথ সরকারের রচনাবলী। শিবাংশু দা সাজেস্ট করেছেন।
    খুব ইন্টারেস্টিং
  • | 236712.158.8990012.183 | ২৫ আগস্ট ২০১৯ ২০:৫২502342
  • আমাদের পদবীর ইতিহাস/ লোকেশ্বর বসু/ আনন্দ
  • abcd | 236712.158.4512.39 | ২৫ আগস্ট ২০১৯ ২৩:২৫502343
  • মহাভারত, শান্তিপর্ব, হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ।
  • অর্জুন | 236712.158.566712.143 | ২৬ আগস্ট ২০১৯ ০১:৪৭502345
  • Understanding Kashmir and Kashmiris- Christopher Snedden
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন