এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • এখন কি পড়ছেন?

    Bratin
    বইপত্তর | ২৩ নভেম্বর ২০১১ | ৪৫৫৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রেফারেন্স | 781212.194.6790012.106 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ২২:০৩502279
  • https://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.267203
    বাবরনামা - প্রেমময় সেনগুপ্ত (ফার্মা কে এল এম)
  • pi | 4512.139.122323.129 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ২২:৩০502280
  • ব্ল্যান্ক, দ্রি সেদিন ভাটে এটা লিখেছিলেন, বাবুরনামা থেকে।

    "Late that afternoon I got into a
    little Bengali skiff and went to the place where the emplacements had been raised. Master Ali-Quh fired one large stone and then a few balista shots. The
    Bengalis have a reputation for fireworks. This time we tried them well. They do not aim at a particular place and fire but simply shoot any way."

    বাবুরনামা (অনুবাদঃ হুইলার থ্যাকস্টন)
    পেজ ৪৩৭

    'বাবরনামায় তিনরকম জিনিষের উল্লেখ আছে যার ইংরিজি তর্জমা হল মর্টার, ব্যালিস্টা এবং কালভারিন। এর মধ্যে মর্টার এবং কালভারিন রকমারি কামান। ব্যালিস্টায় করে পাথর, তীর ছোঁড়া হত (লং ডিস্ট্যান্স) অনেক আগে থেকেই। ঐ সময় সম্ভব্ত এক্সপ্লোসিভও ছোঁড়া শুরু হয়। এক্সপ্লোসিভ ঐসময়ে ছিল নতুন, কাটিংএজ টেকনলজি। লুকস লাইক, বাবরনামা বলছে, বাঙ্গালীরা ঐ ফায়ারওয়ার্ক্স ভালো বানাতো। কিন্তু সেই ফায়ারওয়ার্ক্সের প্রোজেক্টাইল পাথটা প্রপারলি কন্টোল করার উপায় খুঁজে পায়নি, সেটাও বলছে। বেসিকালি র‌্যান্ডম ফায়ার করে অ্যাডভান্সিং আর্মিকে বিরত করা, দুর্গে আঘাত করে ড্যামেজ করা এইসব হত'

    কামান প্রসঞ্গে,
    না, না বাঙ্গালীরা ব্যাবহার করেনি একেবারেই। করেছিল বাবরের আর্মি। যেমন এই যুদ্ধে আলি-কুলী ছিল বাবরের সেনাপতি। কিন্তু সেই কামানের মশলা সাপ্লাই করেছিল লোকাল বাঙ্গালীরা।
    কিন্তু বাঙ্গালীরা সম্ভবত ব্যালিস্টা ব্যবহার করেছিল পাথর ছোঁড়ার জন্য। বাঙ্গালীদের ছোঁড়া পাথরে এক মাঝির পা ভেঙ্গে যাওয়ার নদী পার হওয়ায় ডিলে হওয়ার কথা আছে বাবরনামায়।

    পরে আমিও পড়ে দেখছিলাম। এখান থেকে ঃ
    http://www.rarebooksocietyofindia.org/book_archive/196174216674_10154956199821675.pdf
    নিজেদের কামানকে তো কালভেরিন বলে উল্লেখ করেছেন। গান আর কালভেরিন এর আলাদা উল্লেখ আছে, একই বাক্যে। তো, বাংলার বেলায় তো কালভেরিন বলা নেই। ওখানে গান বলতে কামান বোঝাবেন ?
    ৬৭২ পাতায় আছে, দ্রি যা বলেছেন।

    আর এটাও পড়লাম,
    https://archive.org/stream/baburnamainengli01babuuoft/baburnamainengli01babuuoft_djvu.txt

    Much has been written concerning the early use of gun-powder in the
    East. There is, however, no well-authenticated fact to prove the existence of anything
    like artillery there, till it was introduced from Europe. Babur here, and in other
    places (f. 267) calls his larger ordnance Firingi, a proof that they were then regarded
    as owing their origin to Europe. The Turks, in consequence of their constant inter-
    course with the nations of the West, have always excelled all the other Orientals in
    the use of artillery ; and, when heavy cannon were first used in India, Europeans or
    Turks were engaged to serve them (Erskine). It is owing no doubt to the preceding
    gap in his writings that we are deprived of Babur's account of his own introduction
    to fire-arms. See E. & D.'s History of India, vi, Appendix On the early use of gun-
    powder in India.
  • দ্রি | 5634.0.782312.52 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ২৩:০৪502281
  • নুসরত শাহ সম্বন্ধে বাবরনামায় আছেঃ

    Nusrat Shah ruled by hereditary succession. There is an amazing custom in Bengal: rule is seldom achieved by hereditary succession. Instead, there is a specific royal throne, and each of the amirs, viziers, or officeholders has an established place. It is that throne that is of importance to the people of
    Bengal. For every place, a group of obedient servants is established. When the ruler desires to dismiss anyone, all the obedient servants then belong to whomever he puts in that person's place. The royal throne, however, has a peculiarity: anyone who succeeds in killing the king and sitting on the throne becomes king. Amirs, viziers, soldiers, and civilians all submit to him, and he becomes the padishah and ruler like the former ruler. The people of Bengal say, "We are the legal property of the throne, and we obey anyone who is on it." For instance, before Nusrat Shah's father, Sultan Alauddin, an Abyssinian killed the king, took the throne, and reigned for a time. The Abyssinian was killed by Sultan Alauddin, who then became king. Sultan Alauddin' s son has now become king by hereditary succession. Another custom in Bengal is that it is considered disgraceful for anyone who becomes
    king to spend the treasuries of former kings. Whoever becomes king must
    accumulate a new treasury, which is a source of pride for the people. In addition, the salaries and stipends of all the institutions of the rulers, treasury, military, and civilian are absolutely fixed from long ago and cannot be spent anywhere else.

    প্রশংসাই বলা যেতে পারে। নুসরতকে পরে ওয়ান অফ দা ফাইভ গ্রেট পদিশাহ বলা হয়েছে। ওনার ট্রেজারীর প্রতি কিছুটা আকাঙ্খাও প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু বাংলার সেলার আর গানারের কথা অন্তত হুইলারের অনুবাদে পেলাম না।

    প্রেমময় সেনগুপ্তের বাবরনামা প্যারাফ্রেজড এবং অ্যাব্রিজড। থার্ড পার্সনে লেখা। ওরিজিনাল বাবরনামা ফার্স্ট পার্সনে লেখা, ববর নিজেকে আমি বলেছেন। প্রেমময়ের ভার্শানে তো নুসরত শাহের উল্লেখই পেলাম না।

    রাজমালাটা ঘাঁটতে হবে।
  • দ্রি | 7834.187.9002312.166 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ২৩:৫০502282
  • রাজমালায় কামান কৈ রে বুনুয়েল?

    হোসেন শাহের সঙ্গে ধন্যমাণিক্যের যুদ্ধ তো?

    প্রথম এক্স্পিডিশানে, 'বহুল কটক, হস্তী, ঘোড়া, সৈন্য। সেকেন্ড এক্স্পিডিশানে এক শত হস্তী, পঞ্চ সহস্র ঘোটক, লক্ষৈক পদাতী ধানুকী। কামান কৈ?
  • Sumit Roy | ১০ জুলাই ২০১৮ ০২:৫৪502283
  • মোগলদের আগে বাংলায় কামান এর প্রচলনের বিষয়টি নিয়ে আমিও স্কেপটিক। এছাড়া বাংলার ইতিহাসে এই কামানের ব্যাপারটা যথেষ্ট গুরুতর। মোগল যুগের পূর্বে যদি বাংলায় কামানের ব্যবহার হত তাহলে বাংলার ইতিহাসটাই হয়তো পালটে যেত!!!

    এরকমটা বলার একটা কারণ আছে। Dietmar Rothermund এর গ্রন্থ An Economic History of India তে ব্যাপারটার আভাস পেয়েছিলাম। মুসলমান শাসনের পূর্বে বাংলা ছিল খণ্ডিত, আর রাজনৈতিক অবস্থা ছিল অস্থিতিশীল। বেশ কিছু কারণেই সমস্ত বাংলা বিজয় লাভজনক ছিল না, আর নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন ছিল। কিন্তু মুসলমান শাসনের নতুন সামরিক প্রযুক্তি প্রবর্তনের ফলে সর্ব-ভারতীয় সাম্রাজ্যের আইন-শৃৎখলা রক্ষার ক্ষমতা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে ভারতে সেনাবাহিনী ছিল পদাতিক। স্থানীয় ঘোড়া ছিল অপর্যাপ্ত এবং অশ্বারোহী বাহিনীর জন্য অনুপযুক্ত। ফলে, উচ্চ মূল্যে পারস্য ও আরব দেশ থেকে ঘোড়া আমদানি করতে হত। প্রথম দিককার মুসলমান শাসকদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব দ্রুত অশ্বারোহী বাহিনীকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। অশ্বারোহী বাহিনীর তুলনামূলক সুবিধা খর্ব হয়ে যায় যখন দিল্লি-ভিত্তিক সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দীরাও অশ্বারোহী বাহিনী ব্যবহার করতে শুরু করে। পরবর্তী পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আগত মোগলদেরকে আধিপত্য বজায় রাখার জন্য অধিকতর শক্তিশালী প্রযুক্তির প্রবর্তন করতে হয়। এই প্রযুক্তি হল যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য কামান, আর তার মূল্যও ছিল অত্যন্ত বেশি। নতুন ধরনের কামানের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে মোগল সাম্রাজ্যকে প্রায়শই 'বারুদ সাম্রাজ্য' বলে অভিহিত করা হয়। পদাতিক সেনাদল থেকে দ্রুতগামী অশ্বারোহী সেনাদলে উত্তরণ এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য কামান কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযান পরিচালনার ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করে৷ বাংলার মতো দূরে দূরে অবস্থিত এলাকাকে দীর্ঘদিন কব্জা করে রাখাকে তা সম্ভবপর করে তোলে।

    সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন ছিল। এই অঞ্চল এমন ছিল যে উন্নত সমর প্রযুক্তি ছাড়া পুরোপুরিভাবে এই অঞ্চলকে দখলে নেয়া ও দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ছিল না। এক্ষেত্রে সুলতানি আমলের শাসকেরা তাদের অশ্বারোহী বাহিনীর জোড়েই পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গকে দখল করে সমগ্র বাংলাকে একীভূত করতে সক্ষম হন, আর মোগলরা কামান ব্যবহারের মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণ নেন। যদি প্রাক-মোগল মুসলিম শাসকরা বাংলায় কামান ব্যবহার করত, বা বাঙ্গালিরা কামান ব্যবহারে যথেষ্ট পারদর্শী হত, তবে মোগলদের পক্ষে কামান নামক এই "অধিকতর শক্তিশালী প্রযুক্তির প্রবর্তনের মাধ্যমে" বাংলায় আধিপত্য তৈরি করা সম্ভব হত না, বাংলায় মোগলযুগও শুরু হত না।

    প্রাক-মুসলমান যুগে বাংলার খণ্ডিত অবস্থা ও মুসলমান যুগে বাংলার একীভূতকরণ সম্পর্কে এখানে একটু বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি... http://www.guruchandali.com/blog/2018/07/10/1531170343067.html?author=1948032591875835

    (এখানে এসেছিলাম কী বই পড়ছি সেটা নিয়ে দুটো কথা লেখার জন্য, শেষে ঢুকে গেলাম কামানে... :p )
  • Blank | 340123.132.451223.83 | ১০ জুলাই ২০১৮ ১৬:৫৭502284
  • দুটো রেফারেন্স দিয়ে যাই

    1. https://insa.nic.in/writereaddata/UpLoadedFiles/IJHS/Vol47_1_9_PKChattopadhyay.pdf
    The earliest use of the cannon in Bengal is recorded in the Rajamala
    of Tripura. It has been mentioned that the Bengal Sultan Hussein Shah used
    cannons while fighting against Dhanyamanikya in the early part of the 16th
    century AD (perhaps in 1513-14 AD). The troupes of the Sultan were defeated
    and a cannon made of brass was captured. We do not know where this
    cannon is located at present. Four cannons are preserved in Agartala State
    Museum. One cannon is preserved at Kaman Chowmohani of Agartala,
    which Dhanyamanikya had captured from Hussain Shah.

    2. file:///C:/Users/113835/Downloads/Pre-Mughal_Cannons_of_Bengal_A_Re-evalua.pdf

    There was also a long battle between
    Husain Shah and Dhanya Manikya (1490-1526
    ce) of Tripura. There is material evidence Husain
    Shah sent cannons to capture Tripura. One
    of the cannons located at Kaman Choumohani
    of Agartala city, was captured by Dhanya Manikya

    As regards to the early dated cannon of Bengal,
    one may mention the cannon of Bangladesh
    National Museum. The inscribed date
    on those cannon is ah 945 (1538 ce). However,
    that date is controversial in historical context.
    Our identification of that date is correct; Sher
    Shah reoccupied Bengal in 1539 ce (Tarafder
    1965: 88). The date on the cannon is prior to
    Sher Shah. Moreover muzzle on the cannons of
    Sher Shah are tiger faced therefore that cannon
    cannot belong to him. We are safely assumed that
    the cannon belong to Bengal Sultans, and specifically to Mahmud Shah.
  • | 2345.106.231223.65 | ১০ জুলাই ২০১৮ ১৮:১৩502285
  • এই যে 'পাঁচমুড়ো'র শেষে রেফারেন্সের এই একটাই পাতা আছে
  • দ্রি | 568912.107.45900.233 | ১০ জুলাই ২০১৮ ২২:৫৮502286
  • সেকেন্ড রেফারেন্সটা কী দিলি রে বুনুয়েল? ওটা কার সি ড্রাইভে রয়েছে?

    শোন, আমার মনে হয় তুই এইটা দিতে চেয়েছিস। ঠিক কী?

    http://www.academia.edu/9613935/Pre-Mughal_Cannons_of_Bengal_A_Re-evaluation

    যাই হোক, দুটো পেপারেই রয়েছে, হোসেন শাহের সেনাপতি ধন্যমাণিক্যর সাথে যুদ্ধে কামান ব্যবহার করেছিল বাবর আসার আগে (১৫১৩-১৪ নাগাদ), একথা রাজমালায় রয়েছে। কিন্তু এদের কেউই রাজমালাকে রেফারেন্স লিস্টে দেননি। রাজমালার কোন পাতায় কত নম্বর পংক্তিতে এটা রয়েছে সেটা না জানলে তো প্রাইমারি সোর্সটা পাওয়া গেল না। সেটা পাওয়া জরুরী।

    One cannon is preserved at Kaman Chowmohani of Agartala,
    which Dhanyamanikya had captured from Hussain Shah.

    এই লাইনটা খুবই চিত্তাকর্ষক। এটা কতটা প্রামাণ্য সেটা একটু পার্স্যু করার ব্যাপার আছে।

    এছাড়া এই দুটো পেপারে বাবরের কন্টেম্পোরারী কিছু কামানের কথা আছে। যেমন শের শাহের। এবং গিয়াসুদ্দীন মামুদ শাহের। এদের ক্ষেত্রে মেটিরিয়াল এভিডেন্স রয়েছে। অ্যাকচুয়াল কামানগুলো রয়েছে। বাবরের কামানের কোন মেটিরিয়াল এভিডেন্স নেই। একটা কামানও সারভাইভ করেনি। আছে শুধু লিটারারী এভিডেন্স।

    এবং দ্যাট গোজ টু শো যে কামান থাকলেই লোকে বিশ্বজয়ে বেরোয় না। গিয়াসুদ্দীন মামুদ তো বেশ আন্যাম্বিশাস, লেজি টাইপের সুলতান ছিলেন। দিৎমার রোদারমুন্ডের থিসিসটা ঠিক দাঁড়াচ্ছে না। কামানকে এম্পায়ার বিল্ডিংএর কাজে লাগিয়েছিলেন বাবর। তবে বাবরের কথাই আলাদা। উনি একাধারে তৈমুর লং এবং চেঙ্গিজ খানের বংশধর। উনি একটু সাম্রাজ্যবাদী হবেন সেটা এক্সপেক্টেড।

    পাইদির কোট করা টেক্সট বাবরনামার আরেক ট্রান্সলেটর অ্যানেৎ সুজান বেভারিজের ওপিনিয়ান। একটা ফুটনোট হিসেবে দেওয়া আছে।

    রাজমালার অরিজিনাল রেফারেন্সটা কিন্তু চাই। সেটা না হলে কোন ওপিনিয়ান ফর্ম করা একটু মুস্কিল।
  • দ্রি | 568912.220.120112.25 | ১০ জুলাই ২০১৮ ২৩:২৭502287
  • বেভারিজের অনুবাদেও এই লাইনটা আছে।

    The Bengalis have a reputation for fireworks.

    সাথে একটা ফুটনোটও আছে। ফায়ারওয়ার্কস কথাটা ওরিজিনাল তুর্কিতে ছিল 'আতিসবাজী'। তুর্কিতে এর অর্থ 'শুটিং'।
  • pi | 7845.29.893412.57 | ১১ জুলাই ২০১৮ ০০:১০502289
  • আরে! কামান চৌমুনীর কামানটা ঐ কামান!!

    এদিকে উইকিতে কোন সোর্স ছাড়া এটাঅ লিখে রেখেছে। এবার গেলে খোঁজ নিতে হবে।

    The name Kaman Chowmuhani derived from the Bengali word Kaman meaning "Tank" in Bengali. It so happened when the king of Tripura defeated the Arakhan soldiers in a battle and forfeited their tank and later it was set up in this place by which its name is derived. The place along with its object is a unique icon of Agartala.

    আর দমদি, লিখলাম তো কাল, এটা কোন সোর্সে পেয়েছেন লেখেননি।
  • pi | 7845.29.893412.57 | ১১ জুলাই ২০১৮ ০০:১১502290
  • মানে, বাবুরনামায় কামানের কথা আছে, সেটা।
  • Blank | 670112.203.124512.72 | ১১ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৬502292
  • সটীকা রাজমালা পেলাম না হাতের কাছে। উইকিমিডিয়া তে শুধু প্রথম লহরী টিকা সমেত আছে, তাতে টীকাকার আগ্নেয়াস্ত্রর কথা বলেছেন। কিন্তু প্রথম লহরী ধান্যমানিক্যের বাবাতে শেষ।
    'আতশবাজী ' কথাটা মুলত কামান বা মাস্কেটের জন্য ব্যাবহার হতো। বন্দুক এসেছে অনেক পরে।
    ---------------------
    বাবুরনামা
    traslated by ANNETTE SUSANNAH BEVERIDGE, Page 672

    Bengalis have a reputation for fire-working ; ^ we tested it now ; they do not fire counting to hit a particular spot, but fire at random.
  • দ্রি | 5667.19.786712.130 | ১১ জুলাই ২০১৮ ০৯:৪৬502293
  • এই নে, রাজমালা, সটীক ও সচিত্র। দ্বিতীয় লহরী। ত্রিপুরার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।

    http://www.tripura.org.in/rajmala2.htm

    একটু স্ক্রোল ডাউন করলেই হোসেন শাহের আক্রমণের বর্ণনা পাবি। কিন্তু কামান কৈ?
  • anag | 8990012.182.2356.26 | ১১ জুলাই ২০১৮ ০৯:৫৩502294
  • যাক বাবা, কিছু জনতা দেখছি ফাইনালি প্রী ব এর বইগুলো নেড়ে চেড়ে দেখছেন। আমি এখানেই লিখেছিলাম, কিন্তু পাত্তা পাই নাই।

    থ্রিলার হিসেবে দুর্বল। ওটা ভদ্রলোকের শক্ত জায়্গা নয়। আর ঐ পরিমাণ পদ্য লিখতে গেলে বেশি শক্তি ওখানেই খরচ হয়ে যায়।

    তাও আমার মনে হয় অন্তত আনন্দ পুরস্কার পাওয়া উচিত, আর একটু বেশি লোকের পড়া উচিত।
  • blank | 2345.110.013412.175 | ১১ জুলাই ২০১৮ ১১:৩৩502295
  • এটা সটিক না। এটা রীতিমতন ক্রুড ভার্সান। তার পর বেশীর ভাগ পেজের নীচের দিক কাটা, যেখানে কোনো কোনো ওয়ার্ডের মানে দেওয়া আছে।
    উইকিমিডিয়ার লহরী ওয়ান টা সটীক। ওখানে লেখক আগ্নেয়াস্ত্রর উল্লেখ করেছেন। ওনার লেখা লহরী ২ দেখি।
  • দ্রি | 2390012.160.230112.168 | ১১ জুলাই ২০১৮ ২১:৫৩502296
  • এটা কালীপ্রসন্ন সেন সম্পাদিত সটীক, ক্রুড কেন হবে। পেজগুলো কেটে গেছে। পিডিএফ নামিয়ে নিলে সেই প্রবলেমটা আর থাকবেনা। হোসেন শাহের ত্রিপুরা আক্রমণের টীকায় কামান কোত্থাও নেই। উকিমিডিয়ার রাজমালার সম্পাদক কে?
  • দ্রি | 2390012.160.230112.168 | ১১ জুলাই ২০১৮ ২১:৫৪502297
  • আরো কিউরিয়াস, চৌমুনির কামান উইকিতে কেন বলছে আরাকান সৈন্যদের থেকে পাওয়া!?
  • pi | 4512.139.122323.129 | ১১ জুলাই ২০১৮ ২১:৫৫502298
  • রাজমালা রাখা আছে, এবার গেলে দেখতে হবে।

    আবার রাজমালার সমস্যা নিয়েও একটা বই আছে। খুঁজে দেখতে হবে। আর কামান নিয়েও, মিউজিয়মে আর কি্ছু লোকজনকে জিগেশ করার আছে।
  • blank | 2345.110.892312.127 | ১২ জুলাই ২০১৮ ০১:১৪502301
  • নাহ এটাও কালীপ্রসন্নর। কিন্তু এটা ক্রুড ভার্সান। উইকিমিডিয়ার ভার্সানে লহরী ১ টা ৫০০ পাতাঅর ওপর। প্রতিটা টপিক নিয়ে আলাদা করে প্রবন্ধ আছে। পুরো বইটা মানে বই টাইপ। অমি এখনো ২য় লহরী পাই নি।
  • দ্রি | 45900.16.342312.176 | ১২ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩০502302
  • কালীপ্রসন্নর প্রথম লহরী ৫২৮ পাতা, দ্বিতীয় লহরী ৫৭২ পাতা। এবার বল তো প্রথম লহরীতে আগ্নেয়াস্ত্র পেলি কত পাতায়, কি কনটেক্সটে। একবার চেক করি।
  • | ১২ জুলাই ২০১৮ ১০:৩৯502303
  • এই 'রাজমালা' পড়তে হবে তো!
    এই বুনুয়েল (নামটা হেব্বি হইচে) জোগাড় করে দে।
  • blank | 2345.110.9002312.199 | ১২ জুলাই ২০১৮ ১৩:০৩502304
  • কত পাতা সেটা রাতে বাড়ি ফিরে দেবো। দেখো, মুল লেখার শেষে তখনকার ত্রিপুরার ধর্ম, কৃষি, যুদ্ধ এই নিয়ে ওনার নিজের লেখা আ্চে। ঐ যুদ্ধে দেখো। আর ২ন্দ লহরী পেলে আমাকে দাও।

    দমদি বাড়ি ফিরে লিন্ক পাঠিয়ে দেবো।
  • দ্রি | 90090012.195.015623.77 | ১২ জুলাই ২০১৮ ২০:৩৯502305
  • আগ্নেয়াস্ত্রের উল্লেখ রাজমালায় নেই। কিন্তু টীকাকারের ফলোয়িং নোট রয়েছেঃ

    "মহারাজ চেংথুমষ্ণার সহিত গৌড় বাহিনীর্যে তুমুল সংগ্রাম হয়, তাহাতে কেবল উক্ত অস্ত্রের * সাহায্যেই ত্রিপুরার জয়লাভ ঘটিয়াছিল, এমন নহে। এই সংগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহৃত হইয়াছিল, রাজমালা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব থাকিলেও ত্রিপুর বংশাবলীতে ** ইহার উল্লেখ পাওয়া যায়। মুসলমানগণের ধনুর্বাণ এবং খড়্গাদি ব্যবহারের প্রমাণ অনেক স্থলেই পাওয়া যায়, তাহাদের আগ্নেয় অস্ত্রও ছিল।"

    [শ্রীরাজমালা, প্রথম লহরী]

    * ধনুর্বাণ, খড়্গ, চর্ম্ম, জাঠা, ভল্ল (আগে বর্ণিত)
    ** ত্রিপুর বংশাবলীর রেফারেন্সটা টীকাকার দিয়েছেন

    তীর ধনু কামান বন্দুক গুপ্পী রায় বাঁশ।
    লইলেন বিষযুক্ত চোখা বোম বাঁশ।।

    [ত্রিপুর বংশাবলী]

    [দ্রি'জ নোটঃ গুপ্পী শব্দটাই বানান নিয়ে নিশ্চিত নই। প্রিন্টটা কিরকম জ্যাবড়া হয়ে গেছে এখানে। ওটা গুল্পীও হতে পারে, শুল্পীও হতে পারে]

    যাই হোক, তাহলে বোঝা যাচ্ছে, শ্রীরাজমালা নয়, প্রাইমারী রেফারেন্স হল ত্রিপুর বংশাবলী।
  • sm | 2345.110.894512.114 | ১২ জুলাই ২০১৮ ২১:৫৯502306
  • জুন্ডি ও হতে পারে, হুন্ডি ও হতে পারে।
    কিন্তু 'গুপী রায় বাঁশ', নামটি বেশ খাসা!
  • avi | 7845.11.230123.73 | ১২ জুলাই ২০১৮ ২২:১১502307
  • এই যুদ্ধক্ষেত্র থেকেই রায়বেঁশে নাচের উদ্ভব।
  • avi | 7845.11.230123.73 | ১২ জুলাই ২০১৮ ২২:১২502308
  • বাই এনি মিনস, ডিডিস্যরের কামান বিষয়ক নিবন্ধটি কি জিও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক্রমে রয়েছে?
  • দ্রি | 2390012.160.230112.168 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:০৯502309
  • @ডিডিদা

    "মূলে তো গতি ফতির কথা কিসু নেই।যদি সায়ণের টীকা ,যেটি নাকি মোক্ষোমূলার মেনশন করেছেন - বলেছেন এই লেখক, সেটা তো পড়ি নি। মোক্ষমূলারের লেখার ইংরাজী ভার্শন কি নেটে পাওয়া যায়?"

    পাওয়া যায়। "রিগ্বেদ সংহিতা - দ্য সেক্রেড হিম্‌স অফ ব্রাহ্মণস"। তাতে কিন্তু প্রথম মন্ডলের ফিফটিয়েথ সূক্ত নেই। আছে ৬, ১৯, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৬৪, ৮৬, ৮৭, ৮৮, ১৬৫ এবং ১৬৬ নং সূক্তের আলোচনা। এগুলোতে কি আলোর গতির কোন আভাস থাকতে পারে?
  • dd | 670112.51.0123.240 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:২১502310
  • ৬, দেবতা ইন্দ্র
    ১৯ অগ্নি ও মরুৎ
    ৩৭,৩৮,৩৯ মরুৎ (যাস্ট ট্রিভিয়া, ৩৮ সূক্তে নিঋতি দেবীর কথা আছে)
    ৬৪ মরুৎ
    ৮৬,৮৭,৮৮ মরুৎ
    ১৬৫ ইন্দ্র ও বায়ু
    ১৬৬ মরুৎ

    সূর্য্যের কথাই নেই। তো আলোর গতি আসবে কোদ্দিয়ে ? আসলে এটা আমি অনেক যায়গাতেই দেখেছি"বৈদিক সাহিত্য" বলে লোকে ঝুলিয়ে দেয় বা টেনে টুনে একটা vague রেফারেন্স দিয়ে দেয়, জানা কথাই কেই তো আর সত্যি সত্যি বই ঘেঁটে চেক করবে না।
  • dd | 670112.51.0123.240 | ১৩ জুলাই ২০১৮ ২২:২৬502312
  • ব্ল্যাং, এটা পড়তে পারিস The evolution of artillery in India । লেখক Romesh C Butalia।
    ওতে একেবারে গোড়ার কথা আছে।
    এটা গুগুল বুকসে আছে। প্রথম চ্যাপটার গুলো প্রিভিউতে পড়া যায়।

    আর ইনি মিলিটারী হিস্টোরিয়ান - কোনো "বৈদিক" এজেন্ডা নেই। তোর ভাল্লাগ্তে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন