এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • এখন কি পড়ছেন?

    Bratin
    বইপত্তর | ২৩ নভেম্বর ২০১১ | ৪৫৬০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Hrym | 670112.203.787812.224 | ২৭ জুন ২০১৮ ১৩:৫৪502246
  • গুণিচি নাকি? আমার মাথা জ্যাম হয়ে গেছে...
  • রুকু | 12.187.894523.125 | ২৭ জুন ২০১৮ ১৫:৩৮502247
  • ইতিহাস আর থ্রিলের মেলবন্ধন

    বই কেন পড়ি? কীসের জন্য পড়ি?
    বিবিধ উত্তর আসবে। তার মধ্যে অন্যতম একটা উত্তর, এস্কেপ রিয়েলিটি। আরেকটা উত্তর মনের খিদে। একটা ভাল বই পড়ার পর চোখের দৃষ্টি নরম হয়ে যায়, পৃথিবীটা আরেকটু সুন্দর মনে হয়। আর মনে হয়, বিষয়টা নিয়ে আরেকটু পড়াশুনো করি। যে বই মনের মধ্যে এই টান জাগিয়ে তুলবে, ধরে নেওয়াই যায় সে বই সেই এস্কেপ রিয়েলিটির রাস্তা চেনে। অথবা, মননের মগজের সূক্ষ্ম শিরা উপশিরার খিদে মেটাতে পারে।
    চৌথুপীর চর্যাপদ ঠিক সেই শ্রেণির বই।
    নাম শুনে একটু খটোমটো লাগবে, চর্যাপদ শুনে আগ্রহ কমে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, প্রথম পাতা পড়তে শুরু করার পর "অবগাহন" শব্দটির অর্থ নতুন করে চেনা যায়।
    আচ্ছা, বাংলা নাজি না হয়েই জিজ্ঞেস করছি, বাঙালির ইতিহাস কী? কেমন ছিলাম আমরা?
    শরদিন্দু, রমাপদ বসুর কলমে ফুটে ওঠে আমাদের ইতিহাস। একটা জাঁকজমক পূর্ণ, যাকে ইংরেজিতে বলে গ্র‍্যাঞ্জার ফুটে ওঠে সেকালের বাঙালি জীবনের। চৌথুপী ঠিক একই পর্যায়ভুক্ত। এ কি শুধুই থ্রিলার ? নাকি সন্ধাভাষার দু'রকম অর্থের মতো থ্রিলারের আড়ালে গভীর গবেষণা?
    হ্যাঁ, থ্রিলার হিসেবে সমালোচিত করলে এ উপন্যাস খানিক দুর্বল, নেই থ্রিলারের সঠিক ছাঁচ। ইতিহাসের আকর্ষণ না থাকলে হয়ত অত আগ্রহভরে পড়ার ইচ্ছেও চলে যেত। কিন্তু সেই দুর্বলতা ঢেকে যায় চর্যাপদ, বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত একের পর এক মোড়ক উন্মোচনে। গন্ধকালী কে? কে-ই বা সঞ্জিবনী? কীসের জন্য তাঁর পুঁথি লুকিয়ে রাখার এই ব্যাকুলতা? সম্পদের প্রকৃত অর্থও লেখক তুলে ধরেছেন সহজ ভাবে।
    অতীত বর্তমানের ভারসাম্য রেখে উপন্যাসের নৌকোটি তরতর করে এগিয়ে গিয়েছে, একটুও টাল খায়নি। চরিত্রচিত্রণে কোনও অতিনাটকীয়তা নেই। হাফি- হাবিলদার, যোজনগন্ধা কোথাও গিয়ে আমাদের পরিচিত মানুষের অবয়ব হয়ে ওঠে। বিমলার জন্য চোখের কোণ ভিজে ওঠে। তবে উপন্যাসের শেষ দিকে তাড়াহুড়োর ছাপ স্পষ্ট, আর কে না জানে তাড়াহুড়ো করার অর্থই ভুল, বিচ্যুতি। কোথাও কোথাও হয়ত উপন্যাসের কাঠামো বিশ্বাসযোগ্য করতে লেখককে কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়। কোথাও কোথাই বিচ্যুতি হয়েইই যায়। কোথাও বিশ্লেষণই বিশাসযোগ্য লাগেনা। প্লট হোল দেখলে চোখ ঠেরে যাব কি যাবনা একান্তই পাঠকের ব্যক্তিগত অভিরুচি তখন।
    বৃষ্টি, মুষলধারে বৃষ্টি, এক কাপ গরম চা নিয়ে এই বইয়ের সঙ্গে কাটিয়ে ফেলা যায় অনেকটা সময়। একবার নয়, বারবার। ইতিহাসের প্রতি নির্বিকার মানুষকে ইতিহাসমুখী করে তোলার ক্ষমতা রাখে চৌথুপীর চর্যাপদ।

    ফার্স্ট রিডের পর এটা মনে হল
  • রুকু | 12.187.235623.141 | ২৭ জুন ২০১৮ ১৫:৩৯502248
  • বাই দ্য ওয়ে, ইসলামোফোব ব্যাপারটা এই উপন্যাসেও বর্তমান
  • রুকু | 12.187.235623.141 | ২৭ জুন ২০১৮ ১৫:৪১502249
  • *রমাপদ চৌধুরি
  • | 2345.108.9004523.23 | ২৭ জুন ২০১৮ ২১:১৫502250
  • বেশ।
    বুঝলাম।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.015612.110 | ২৮ জুন ২০১৮ ২৩:৪২502251
  • এখন পড়ছি

    Worshiping False Gods: Ambedkar and the facts which have been erased?- Arun Shourie

    আরব বেদুইন- বিক্রমাদিত্য
  • pi | 7845.29.671223.179 | ২৯ জুন ২০১৮ ০০:২৯502252
  • দমদি, 'একটু' ইস্লামোফোব?আমার তো একটুর বেশিই লাগছে।
    তার সাথে ব্যাদে সব আছে সিন্ড্রোম মনে হচ্ছে। আচ্ছা, এর মধ্যে ঐতিহাসিক সত্য কতটা আছে? মানে ঐতিহাসিক যা যা রেফারেন্স এসেছে বা ভাষার যা যা বিবর্তন চিহ্ন দেখানো হয়েছে?
    ডিডিদা পড়ে ফিডব্যাক দিলে ভাল হত।

    বেশ কিছু অসংগতি আছে কিন্তু। ধাড়া এদের যেভাবে ছেড়ে দিল, বা আরব শেখের নজরদারি এড়িয়ে প্রথমদিন সবাই পাঁচমুড়ো হাজির হল!

    আর ঐ জমিদার চোর দৃশ্যগুলো বড্ড শীর্ষেন্দুগন্ধ। বহু জায়গায় বড় টেনেটুনে গোঁজামিল দিয়ে নানাকিছু মেলানো।

    তবে ছড়াগুলোর প্রশংসা করতেই হয়, আর গদ্যও বেশ ঝরঝরে তরতরে। তথ্যগুলো আগ্রহজনক কিন্তু সত্য কতটা?
  • | 2345.108.452323.20 | ২৯ জুন ২০১৮ ০৯:১৭502253
  • ফিকশানের খুব একটা সত্যের দায় থাকে না পাই।
  • গবু | 2345.110.784512.0 | ২৯ জুন ২০১৮ ০৯:২৫502254
  • প্রণয় লালের লেখা INDICA পড়ছি। দুর্দান্ত ঝরঝরে লেখা, বুড়ো-ছুঁড়ো সবার জন্য সহজপাচ্য ভাবে ভূপ্রাকৃতিক ইতিহাস লেখা বেশ কঠিন ব্যাপার, কিন্তু ভদ্রলোক দারুন লিখেছেন।

    আমাজন-এ মাঝেমাঝেই ডিল দিয়ে 500র আশেপাশে দিচ্ছে।

    Indica: A Deep Natural History of the Indian Subcontinent https://g.co/kgs/bL8o4R
  • pi | 7845.29.343423.174 | ২৯ জুন ২০১৮ ১৪:৪২502256
  • কিন্তু লোকের এত ক্রেজ তো ইতিহাস, ইতিহাসের প্রতি আকর্ষণ, ইতিহাসমুখী করা নিয়ে।
    ঐতিহাসিক পটভূমিতে লিখলে কাল্পনিক চরিত্র অবশ্যই আসে, ঘটনাও, কিন্তু কিছু ঘটনার ফ্রেমওয়ার্ক, রেফারেন্স তো ঠিক থাকাতে হয়, সেগুলো ঠিক আছে কিনা জানার।
    ভাষার বিবর্তন যা দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে প্রামাণ্য পুঁথি, কাব্য এসব তো বিস্তর আছে।
  • রুকু | ৩০ জুন ২০১৮ ২৩:০২502257
  • The flavours of Nationalism
    Recipes for love, hate and friendship
    by Nandita Haksar
    Speaking tiger publishing pvt ltd

    ইন্সটাগ্রামের দৌলতে একটা হুজুগ উঠেছে এখন, #ফুড_ফটোগ্রাফি। প্রায় সব মিলেনিয়ালরাই এখন 'ফুডি' এবং প্রায় সকলেই বিভিন্ন রান্না করতে পারে, না পারুক বিভিন্ন রেস্তরাঁয় গিয়ে খেয়েদেয়ে ছবি আপলোড করে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু ঠিক কজন এই রন্ধনশিল্পর সঙ্গে আমাদের সোশিও-পলিটিক্যাল-ইকোনমিকাল যোগাযোগের কথা মাথায় রাখে?
    খাবারের স্বাদ, অভ্যেস আমাদের কাস্ট, রেস, জেন্ডার এবং ক্লাসকে নির্ধারিত করে, এবং কখনও কখনও ধর্মান্ধতাকেও। বিশেষ করে এই সময়কার রাজনৈতিক অবস্থায় টেবিলের ওপর রাখা খাবার যে আসলেই কতটা গুরুত্ত্বপূর্ণ তা আখলাখ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
    নন্দিতা হাকসর হিউম্যান রাইটস নিয়ে কাজ করেন। পেশায় উকিল এই মানুষটি ভারতব্যাপী নিজের কাজের জন্য ঘুরে বেরিয়েছেন। স্বাদ নিয়েছেন বিভিন্ন রান্নার, জেনেছেন তাদের ইতিহাস, সংকীর্ণতা, ঔদার্য।
    তারপর ব্যক্তিগত মেমোয়ার হিসেবে নথিবদ্ধ করেছেন তা "দ্য ফ্লেভারস অফ ন্যাশনালিজম" নামক বইতে।
    এই বইয়ের পাতা উল্টোলে দেখা যায় অনায়াসে ছোট ছোট ব্যক্তিগত গল্পের সঙ্গে দেশের চিরকালীন জাত-পাত- ধর্মর সমস্যা তুলে মিশিয়ে দিয়েছেন তিনি। কনজিউমারিজমের জন্য দেশীয় জিনিসের নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে আরম্ভ করে বাড়ির কাজের মেয়েদের ওপর হওয়া অন্যায়...সর্বত্র ব্যাপ্ত তাঁর কলম। সবথেকে ইন্টারেস্টিং লাগে "ফেমিনিস্ট ফিউরিজ" নামক চ্যাপ্টারটা। যেখানে তিনি দেখিয়েছেন তথাকথিত প্রগতিশীল, এমনকি কোথাও কোথাও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরাও ম্যাটার অফ ফ্যাক্টলি ধরেই নিয়েছিলেন মিটিং - এর সময় চা আসলে তা সার্ভ করবে মেয়েরাই!
    নন্দিতা চেষ্টা করেছেন, ভারতের মতো বৈচিত্রপূর্ণ দেশের খাদ্যাভ্যাস, রন্ধনপ্রকৃয়া এবং তার সঙ্গে জড়িত ধর্ম- বিশ্বাস- রাজনীতিকে দুই মলাটের মধ্যে তুলে ধরতে। তার লেখায় উঠে এসেছে নর্থ ইস্টের মানুষদের বাকী দেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারার সমস্যা। শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন বলে তাদের প্রতি সমাজের-সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণ। ব্যক্তিগত জীবনে একজন নাগাল্যান্ডের মানুষকে বিয়ে করায় নন্দিতাকেও যার বিরুদ্ধে বারবার লড়াই করতে হয়েছে।
    বইটার সবথেকে আকর্ষক ফিচার, অদ্ভুত "উমামি" ভাষায় লেখা। প্রত্যেকটা গুরুগম্ভীর বিষয়কে এত যত্ন নিয়ে সিজনিং করে পেশ করা যে পড়তে পড়তে একবারও মনে হয় না কঠিন কিছু পড়ছি। বরং প্রতি চ্যাপ্টারের শেষে মুখের মধ্যে থুড়ি মনে তার স্বাদ লেগে থাকে। তারিয়ে তারিয়ে পরেও যাকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা যায়। নিঃসন্দেহে বইটা ভালোবাসা, ঘৃণা আর বন্ধুত্ত্বের রেসিপিতে তৈরি। পড়া শেষ হলে নন্দিতার মতো স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে এমন এক দিনের যেদিন ভারতের সমস্ত ধর্মের জাতির মানুষ একে অপরের খাবার সহাস্যে ভাগ করে খাবে, আমাদের পার্ক সার্কাসের মতো চমনের পর্কের দোকানের পাশেই থাকবে বিফের দোকান। নিরামিষাশী পাশে বসা আমিষভোজীর দিকে নাক কুঁচকে তাকাবে না। আর তার থেকেও বড়, এদেশে ফুড- সিকিওরিটি আসবে। নয়জনের মধ্যে একজন ভারতীয় খালি পেটে ঘুমোতে যাবেনা।

    সাজেস্ট করে গেলাম।
  • | ০১ জুলাই ২০১৮ ১০:০৮502258
  • হ্যাঁ নন্দিতা হাকসারের বইটার কথা খুব শুনছি বটে। দেখি কখনো পড়তে হবে।
  • | 453412.159.896712.72 | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৯:৪৮502259
  • ব্ল্যাঙ্কিও রেকো দিয়েছে। চৌ-চ অর্ডার করে দিই।

    অজ থেকে শুরু করব
    Inglorious Empire - Shashi Tharoor
  • pi | 7845.29.781223.57 | ০৫ জুলাই ২০১৮ ২৩:৩৬502260
  • নাঃ, যত এগোচ্ছি, তত বেশি অসংগতি আর ভুলভাল চোখে লাগছে ঃ(
    বেশ কিছু জায়গা বড় তাড়াহুড়ো আর ছেলেমানুষী যেন।
    ছড়া আর ঝরঝরে গল্পের মুগ্ধতা কেটে যাচ্ছে। হয়তো ছোটবেলায় পড়লে খুব ভাল লাগত।
  • Dibyendu Singha Roy | ০৮ জুলাই ২০১৮ ১১:০৫502261
  • ইতিহাসের আকরে লেখক যদি কিছু কল্পনা মিশিয়ে নিজ মুন্সিয়ানায় উপস্থাপন করেন তাহলে তা যে কত উপভোগ্য হয় ঐতিহাসিক গল্প উপনাস্যের পাঠক মাত্রই তা জানেন। "ঐতিহাসিক উপন্যাস" শব্দ দুটি একসাথে উচ্চারিত হলে যে লেখকের কথা আমার মতো অনেকেরই প্রথমে মনে আসে তাঁর নাম শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। শরদিন্দু বাবু তার ঐতিহাসিক রচনাকে ফিকশনালাইজড হিস্ট্রির বদলে হিস্টোরিক্যাল ফিকশন বলেছেন। যা জেনে আমার মনে হয়েছে হয়তো শরদিন্দু বাবুর লেখায় ঐতিহাসিক উপাদানের তুলনায় কাল্পনিক উপাদান বেশি। ইতিহাস যেখানে ভীষণ নির্মম লেখকের কলম হয়তো সেখানে কিছুটা সহানুভূতিশীল হয়েছে। আপাত নিরীহ ঘটনা লেখকের কলমের জাদুতে রোমহর্ষক কাণ্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা যা পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছি , আনন্দ পেয়েছি , বেদনা বোধ করেছি।
    ঐতিহাসিক গল্প উপন্যাসের প্রতি ভালোবাসার শুরু এখানথেকেই।
    শরদিন্দু বাবুর লেখা দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে পড়েছি আরো অনেক ঐতিহাসিক উপন্যাস যাদের মধ্যে বাণী বসুর মৈত্রেয় জাতক , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জলদস্যু , সুচিত্রা ভট্টাচার্য্যের ভাঙা ডানার পাখি , দ্বৈপায়নের মীরজাফর , দীপক চন্দ্রের সচল জগন্নাথ শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য অতন্ত্য প্রিয়। সর্বশেষ এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলো রমাপদ চৌধুরীর লালবাঈ।
    সপ্তদশ শতকের কথা , মুঘল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর যখন আওরঙ্গজেব। মুঘল সাম্রাজ্যের ব্যাপ্তি তখন সর্বাধিক সে সাথে প্রজাপীড়ণ ও ধর্মীয় নির্যাতন চরমে উঠেছে। সে সময়ই বাংলার প্রায় স্বাধীন এক রাজ্য মল্লভূম , নামমাত্র শর্তে মুঘলদের সাথে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ। সমগ্র ভারতকে এক ধর্মের ছাদের তলায় এনে মুঘল সাম্রাজ্য নিস্কন্টক করতে বদ্ধপরিকর আওরঙ্গজেব চূড়ান্ত নির্যাতন শুরু করেছেন বিধর্মীদের উপর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেবালয়। সংগীত, বাদ্য, নৃত্য, চিত্রকলা নিষিদ্ধ হয়েছে। বৈষ্ণব ধর্মীয় মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তখন সংগীতের পীঠস্থান। আশ্রয় দিয়েছে একাধিক সংগীতজ্ঞকে। সে সময় বিষ্ণুপুর আসেন তানসেন ঘরানার বংশদীপ বাহাদুর খান। তার সান্নিধ্যে ধীরে ধীরে সংগীতের যে উৎকর্ষতায় পৌঁছায় বিষ্ণুপুর তা থেকেই জন্ম নেয় বিষ্ণুপুর ঘরানা।
    সতেরো শতকের বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি ও মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুরের সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক উত্থান পতন এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
    উপন্যাসের নাম লালবাঈ হলেও এই উপন্যাসের মূল চরিত্র তাকে বলা যায়না। উপন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো এর কেন্দ্রীয় চরিত্র রাজনীতি। রাজনীতিতে যেমন চিরশত্রু বা চিরবন্ধু বলে কিছু হয়না তেমনি এই উপন্যাসের কোনো চরিত্রকেই ভালো ও খারাপের শ্রেণীবিভাগে আলাদা করে রাখা যায়না। কোনো এক মুহূর্তের লোভ লালসা মত্ত চরিত্র পরের মুহূর্তে ভীষণ মানবিক গুন্ সম্পন্ন হয়ে উঠেছে। প্রজাহিতকারী রাজা কখনো হয়ে উঠেছে প্রজা পীড়ণকারী অত্যাচারী।
    মানব চরিত্রের এই দ্বিমুখী রূপকে অসাধারণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।

    উপন্যাসটি শেষ করার পরে তথ্যগুলো নিয়ে ইন্টারনেটে একটু খোঁজাখুঁজি করে যা জানলাম তাতে মনে হলো কল্পনার তুলনায় এতে ঐতিহাসিক উপাদান ভরপুর। তবে কি এই উপন্যাসকে ফিকশনালাইজড হিস্ট্রি বলাযায় ? এই ব্যাপারে শেষ কথা আমার সহপাঠকেরাই বলবেন।
  • dd | 670112.51.90012.198 | ০৮ জুলাই ২০১৮ ২২:৩৪502262
  • "ফাইদির সৌজন্যে "পাঁচমুড়ার পঞ্চাননমংগল"পেয়ে অতীব আহ্লাদে আদ্ধেকটা প্রায় এক নিঃশ্বাসে শেষ কল্লেম। অ্যাতো নতুন ধরনের লেখা ভাবাই যায় না। এদানী তো আর ফিকশন পড়া হয় না। এটি খুবই প্রফুল্লকর।

    দু যায়গায় খুব খটকা লাগলো - এক তো উনি বার বার আর্য্যভট্ট লিখছেন কেনো? এ তো ইশকুলের ছেলেরাও জানে উনার নাম ছিলো আর্য্যভট। ভট্ট নয়, ভট। এটা ওনার অজানা?

    আর একবার (৭৬ পাতায়) লিখেছেন ঋগবেদে (উনি লিখেছেন ঋক বেদ !!)"সুর্য্যের স্তোত্র ১.৫০'র ৪র্থ স্তবকে আলোর গতির কথা সায়ণাচার্য্য লিখেছেন"।
    এক তো ঋগবেদ'র ঋক কেউ ও ভাবে উল্লেখ করেনা। প্রথম মন্ডল ৫০ সূক্ত চতুর্থ ঋক , চালু রীতি হচ্ছে ১/৫০/৪ বলে লেখা। সেটা মানলেও ঐ দুই লাইনের অনুবাদ তুলে দিচ্ছি হে সুর্য্য। তুমি মহৎপথ ভ্রমণ কর, তুমি সকল প্রাণীদের দর্শনীয়,তুমি জ্যোতির কারণ, তুমি সমস্ত দীপ্যমান অন্তরীক্ষে প্রভা বিকাশ করছ।"

    মূলে তো গতি ফতির কথা কিসু নেই।যদি সায়ণের টীকা ,যেটি নাকি মোক্ষোমূলার মেনশন করেছেন - বলেছেন এই লেখক, সেটা তো পড়ি নি। মোক্ষমূলারের লেখার ইংরাজী ভার্শন কি নেটে পাওয়া যায়?

    একটু কেমন কেমন লাগছে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪০502263
  • কিন্তু আলোর গতির কথা তো নেই ঋকটিতে! সূর্যের আপাতগতির কথা বলা হচ্ছে কি? "হে সূর্য্য, তুমি মহৎপথ ভ্রমণ কর" বলতে কি রাশিচক্রের মধ্য দিয়ে সূর্যের চলার পথ বলছে?
  • | 340112.211.3423.212 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ০৬:২০502264
  • আরে, এইটে তো ফলাও করে ছিল এইচ সি ভার্মার বইতে, পড়েন নি? বেশ হিসেব কষে দেখানো যে, ঋকবেদে আলোর বেগ ৩ x ১০^৮ মিটার/সেকেন্ড। একদম খাপে খাপে মিলে যায়। তবে ব্যাপারটা কোইন্সিডেন্স। সেটা ভার্মাবাবু চেপে গিয়েছেন (কেন জানি না), কিন্তু সুভাষ কাকের একটি পেপারে বিস্তারিত আলোচনা আছে এটা নিয়েঃ https://arxiv.org/pdf/physics/9804020.pdf
  • pi | 4512.139.122323.129 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১০:১০502265
  • ডিডিদা, প্রথমে পড়তে গিয়ে আমিও চমকেই গেছিলাম, আর মুগ্ধও হচ্ছিলাম। শরদিন্দু আর শীর্ষেন্দুর দারুণ ককটেলের সাথে ব্যাপক সব ছড়ার মিশেল, পদে পদে বহু ইন্টারেস্টিং অজানা বা ভুলে যাওয়া তথ্য। সবমিলিয়ে দারুণ ঝরঝরে, টানটান তো বটেই।

    কিন্তু তারপরে, মোট্টামুটি মাঝপথের একটু পর থেকে নানা জায়গায় হোঁচট খেতে থাকলাম। জানিনা কিছু মিস করছি কিনা। আপনি তো সদ্য পড়েছেন, মিস করলে একটু বলে দিন না।
    অনেক অনেক খটকা জেগেছে, আপাতত খালি দুটো বলি। এদুটো ক্লিয়ার হলে, বাকি।

    ৯৮ পাতায় লেখা, চোদ্দশ সালের পুঁথি তালপাতার হবে না, তেডেলে লেখা হবে। তালপাতা আর তেডেলের বহু পার্থক্য বলাই আছে, যা কিনা চিদানন্দের মত পোড়্খাওয়া লোকের নজরে পড়বেই। বলাই হয়েছে, তালপাতায় লেখা পুঁথি মানেই নকল পুঁথি বোঝা যাবে। তা, হরুঠাকুরের স্টকে তো তালপাতা ছিল, তেডেল যোগাড়্র কোন কথাও বলা হয়নি। এমনকি শেষের দিকে সব তালপাতায় লেখাই বলা হয়েছে, এটা কীভাবে মেলানো হল ? এমনকি কার্বন ডেটিং করেও মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে বলা হয়েছে নিজেদের থেকেই তো সেই কনফিডেন্স নিশ্চয় ছিল, যে মেলালে ধরা পড়বেই, যদি না সেই সময়ের তেডেল হয়। হরুঠাকুরের কাছে পুরানো তালপাতা থাকার কথা লেখা আছে, তেডেল না, উল্টে প্রশ্ন ছিল, তেডেল আর তালপাতার পার্থক্য জানার পরে, হরুঠাকুরের কাছে কি তেডেল আছে, তাহলে কী হবে ? সেই উত্তর তো পাওয়া গেলনা, শেষে দেখান গেল, তালপাতায় লেখা হচ্ছে ! এমনকি ঐ একবার, কেন তালপাতা ঐসময় হতেই পারেনা বলার পর থেকে পুরানো কথা যতবার এসেছে, বলা হয়েছে, ঐসময়, ঐ চোদ্দশ সালে তালপাতায় লেখা হচ্ছে ! ১২১ পাতাই দেখুন। ২০৭ পতায় লেখা, ১৪০০ সালের পুঁথি তালপাতার হবে না তো কী !

    ১৬২ পাতায় খুব স্পষ্ট লেখা আছে, চয়নবিল থেকে পাথর ওঠানোর পরে সরকার রাতারাতি মন্দির বানিয়ে দিয়েছে। ধাড়ার প্রথম দিন আসা, আর পরের বারে , কত দিনের তফাত ? শেখ তো সাতদিনের সময় দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে টেনেটুনেও ১৫-২০ দিনের বেশি তো হয়না। তো, সেই মন্দির যখন একদিনে বানানো হচ্ছে, তখন তাকে এত পুরানো, বটগাছ গজিয়ে যাওয়া দেখানোর জন্য এত চেষ্টা কেন ? চোদ্দশ সালের মূর্তিতে নাহয় আলুমিনিয়ম থাকলে চলবে না, মন্দির যখন সরকার এই দু'দিন আগে বানাচ্ছে তো তাতে আলুমিনিয়ম দিয়েছে কিনা তাই নিয়ে চিন্তা কেন ?

    যদিও শেখের খুনে শাকরেদ আর ধাড় এর মধ্যেই এসেছিল, যেদিন হরুঠাকুরকে চয়নবিলের ওখানে পাথত দেখতে এসে মারতেও চায়, তো, সেদিনও তো মন্দির ছিল না ! যে শেখ এতই হিংস্র আর খুনি , যে কালাচাঁদের বাড়ির পাশেই পাহারা বসায়, সে নাকি মূল জায়গা চয়নবিলে বা জমিদারবাড়ির ওখানে কোন পাহারা বসাল না ! এমনকি হরুঠাকুর তাদের গাড়ির হাওয়া খিলে দিছ্হে দেখে খিনের হুকুম দেওয়ার পরেও !! এরকম অসংগতি আরো পাতার পতার পর পাতা ধরে লিখে যেতে পারি, যার যেকোনোটাই গল্পকে পুরো ভেঞ্গে দিতে পারে। অবশ্য, যেখানে একেবারে ছোটখাট জিনিস নিয়ে যুক্তি তর্ক তথ্যের এত বাছ্বিার, সেখানে মূল গল্পই দাঁড়িয়ে আছে ব্যাখ্যাহীনভাবে পুরো গল্প স্বপ্নের ঘোরে পাওয়া নিয়ে। মানে এরকম ফিকশন হতেই পারে, কিন্তু যেখানে সেই নিয়ে বা বাকি বহু কিছু বড়্সড় চালুনির মত ফাঁক কোন প্রশ্ন তোলা হয়না, ওদিকে অন্য নানা তুচ্ছা ব্যাপারে সুঁচের মত ফাঁক নিয়ে এত তর্ক , ব্যাখ্যা চলে, এদুটো একসাথে মিশ খাওয়া অন্তত আমার কাছে খুব চাপের গোঁজামিল লেগেছে। হযবরল কি আলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড কি নানাবিধ ম্যাজিক রিয়েলিজম, সুর্রিয়েলিজম নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই, বরং অত্যন্ত পছন্দ করি। আশা করি, এখানে সেসব দিয়ে জাস্টিফাই করা হবেনা।
    এখনো আরো মেজর কিছু খটকা তাও বলিইনি। অন্ত্যমিল আর গোঁজামিল দুটৈ খুব ভাল এ বইতে।

    এরপর কামান। ভাটে জিগেশ করছিলাম, বাবরনামায় বাঙালির কামান ব্যবহারের রেফারেন্স আছে কিনা। বইয়ে ১৯৪-৯৫ পাতা দেখুন। স্পষ্ট লেখা, ' বাবুরনামা পড়েছেন ? বাবর তার আত্মজীবনীতে বাঙালিদের কানাল চালানোর প্রশংসা করেছেন'
    আরো লেখা, 'অনেকের ভুল ধারণা আছে যে ভারতবর্ষে প্রথম কামান ব্যবহৃত হয় পাণিপথের যুদ্ধে। কিন্তু এ ধারণা পুরোপুরি ভুল, চতুর্দশ শতাব্দী থেকে ভারতে নানা যুদ্ধে কামান ব্য়্বহৃত হয়। বাঙালিরা দু'টো ব্যাপারে ভারতের সকলকে টেক্কা দিয়ে এসেছে-প্রথমটা হল কামান চালানো আর দ্বিতীয়টা হল নৌবিদ্যা'।
    পাণিপথের যুধ্ধ্হের নয় বছর আগে চট্টাগ্রামের শাসনকর্তার কামান দাগা, জানিনা সে সত্য কিনা, আপনারা ভাল বলতে পারবেন, কিন্তু সেদিন ভাটে দ্রি বাবরনামা থেকে যা যা কোট করলেন, বা আপনারা যা আলোচোনা করলেন, তাতে তো কামান চালানোর কথা নেই। ফায়ারওয়ার্ক্স নিয়ে লেখা ছিল দেখা গেল।

    আরো অনেক কিছু, ঐ পাতাতেই ও অন্যত্র, এখন আর টাইপ করতে পারছিনা, এসব কিন্তু সত্য বলে, ইতিহাদের পুরো রেফারেন্স দিয়ে , শেষে রীতিমত তথ্যসূত্র দিয়ে বলা।
    আলোর গতি, আলজেবরা, আলগরিদম নিয়ে খটকা নিয়ে নাহয় এসবের উত্তর পেলে আসব। বিশেষ করে 'আলগরিদম' নিয়ে। আরো নানাবিধ অসংগতি নিয়েও।

    অনেককিছুই ছিল, থাকতে পারে, যা জানিনা, না জানা খারাপ, জানলে খুব ভাল হয়, জানতে পারলে খুব ভাল লাগে, এসবই ঠিক আছে, কিন্তু সেটা সঠিক তথ্যনির্ভর হলে তবেই। মিসকোট বা মিসইন্টারপ্রিটেশন কি ওভারইন্টারপ্রিটেশন বিপজ্জনক লাগে। বেদে অনেক কিছুই আছিল মানে বেদে সব ছ্যাল কি এই আমাগো বাংলায় সব ছেল, এরকম প্রবণতা ও তৎপরতা দেখলে সিঁদুরে মেঘ সিনড্রোমে ডরাই আর কি। রীতিমতন ইস্লামোফোবিয়া টোবিয়ার প্রসংগ তো আনিইনি।
    এবার এসবই কেবল ফিকশনের দোহাই দিয়ে পার মোটেও পায়না, কারণ ইন্টারেস্ট তৈরিই করা হচ্ছে ইতিহাসের নামে বিল কেটে, তাকে রীতিমত সত্য বলে দাবি করে, ঐতিহাসিকভাবে সত্য নানা ঘটনা, নানা এক্সিস্টিং বইয়ের রেফারেন্স কোট করে। আর শুধু গল্প ভাবলেও , বললাম তো, এত অসঙ্গতি , ফাঁকফোকর আর তার বেশিরভাগ না বুঁজিয়ে রেখে দেওয়া, আর কিছু গোঁজামিল দিয়ে, নানা ছড়ার অন্ত্যমিল যতটা চমৎকৃত আর মুগ্ধ করে, এগুলো ঠিক ততটাই বিরক্তির উদ্রেক করে। ভাললাগাটা নালিফায়েড হয়ে যায়।
    এত সম্ভাবনা ছিল, পুরো অন্যরকম একটা আইডিয়া, এত নতুনত্ব, মৌলিকত্ব ছিল , লেখকের যা ক্যাপাবিলিটি ছিল, কল্পনা, ভাষা , ছন্দের উপর দখ্ল ছিল, তার সদ্ব্যবহার হয়নি মনে হয়।
  • | 340112.242.8990012.122 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১১:২৭502267
  • প্রীতম বসুর বই তিনটে সম্পর্কে আগ্রহ জন্মেছিল।কিন্তু একজনের লেখায় পড়লাম হাল্কা ইসলামোফোবিয়ার কথা।তার রিভিউ বেশ ঠিকঠাক।তাই আর কিনিনি।বরং নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা কিনলাম।বইমেলা থেকে কেনা মাস্টার ও মার্গারিটার একটা সটীক অনুবাদ পড়ছি।ওটা শেষ হলেই ধরবো। এই বইটার খুব যত্ন নিয়ে অনুবাদ করা।
    একটা বহুপ্রচলিত বিখ্যাত বই পড়লাম।ইরাবতী কার্ভের যুগান্ত।আগে পড়া হয়নি এইটা।
  • Blank | 2345.110.892312.151 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১২:৩১502268
  • বাঙ্গলার প্রথম ডকুমেন্টেড কামান চালানো হুসেন শাহের সময়। রাজমালায় এর উল্লেখ আছে। ত্রিপুরা অভিযানে কামানের ইউজ হয়েছিল। আরো পুরনো রেফারেন্স থাকতেও পারে।
    আর বাঙ্গালার নেভী চিরকালই বেশ ভাল। গঙ্গারিডি থেকে প্রতাপ সবার নৌ বাহিনী বেশ ভালো। যুদ্ধের জন্য নৌকা বার্মা থেকেও ইমপোর্ট করা হত।
    এনার লেখা চৌথুপীর চর্চাপদ বেশ ভালো লাগলো পড়ে। বাঙ্গলার ড্যান ব্রাউন বলাই যায়। লেখা পড়ে অন্তত ইসলামোফোব লাগে নি। নালন্দা বা বিক্রমশীল ডেসট্রয় করা আর অজস্র বৌদ্ধ হত্যা করা, এত সত্য ঘটনা।
    খিলজীর বর্বরতার সাথে শুধু স্প্যানিশ দের বর্বরতার তুলনা করা যায়।
  • | 453412.159.896712.72 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১২:৪৩502269
  • কোন্নগরেও জাহাজ বানানো হত ভুলিস নে। বলাগড়ে তো নৌকো বোধহয় এখনও হয়।
  • Blank | 2345.110.892312.151 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১২:৪৭502270
  • হ্যা। এই নিয়ে মোটাসোটা বই পত্তর ও আছে।
  • pi | 7845.29.238912.13 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৩:৪০502271
  • ব্ল্যান্ক, এখানে খুব স্পষ্টভাবে কামান নিয়ে বাবুরনামার রেফারেন্স দেওয়া আছে। তো রেফারেন্স যা দেওয়া, সেটা তো মেলাতে হবে, নাকি?
    তুই কি পড়েছিস বইটা?

    আর বাকিগুলোর উত্তর? দমদিও তো পড়েছে, বলতে পারবে হয়তো।
    ইস্লামোফোবিয়া নিয়ে তো আসিইনি,আমি উল্লিখিত অসঙ্গতি বা তথ্যসূত্রের সাথে মিসম্যাচ নিয়ে জানতে চাই। নৌ নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন ছিলনা, ওটা কামান নিয়ে কোটের পার্ট হিসেবে এসেছে।
  • Blank | 340123.132.451223.83 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৭:১৩502272
  • বাবরনামা পড়িনি। এটাও পড়িনি। কিন্তু বাঙালীর কামান যে বাবর আসার আগে তৈরী সেটা সত্য সেটাই বলে গেলাম। বাবরনামাতে রেফারেন্স আছে কিনা জানিনা।
    আর ফিকশানে কেউ রেফারেন্স নিয়ে অত ভাবে নাকি !!
  • pi | 4512.139.122323.129 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৭:১৬502273
  • রেফারেন্স দেওয়া হলে, আর আলাদা করে রেফারেন্স সেকশন করে দেওয়া হলে ভাববেনা কেন।
  • Blank | 340123.132.451223.83 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৮:০৭502274
  • বাবুরনামা তে নুসরত শাহের শাসনের প্রশংসা করেছেন বাবর। তার সাথে বাংলার সেলর আর গানার দের প্রশংসা আছে। এখানে গান বলতে কামান। বন্দুক জিনিসটা তখনো আসে নি এদিকে।
  • | ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৯:১০502275
  • হ্যাঁ আমি।পড়েছি, ভালই লেগেছে। এই টইতে লিখেওছিলাম। ড্যান ব্রাউনের দ্য ভিঞ্চি কোড - সবটাই ত সত্য নয়। থ্রিলারগুলো যেমন হয় বা বলতে পারি যেমন হলে পড়তে ভাল লাগে।

    কথা হল বাবুরনামা আদৌ রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করেছেন কী? রেফারেন্সে ত একটা পাতা তাতে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ছিল সুকুমার সেনও। বাবুরনামা ছিল বলে মনে পড়ছে না। বাড়ী গিয়ে দেখছি বইটা।
    চরিত্রদের মুখে তো বসানোই যায়।
  • pi | 4512.139.122323.129 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ২১:০১502276
  • নাঃ, সব সত্যি হতে হবে তো বলেনি। কিন্তু শুধুই থ্রিলার হিসেবে পড়লে তো এই গোছা গোছা অসঙ্গতি, এত ফাঁকফোকর , গোঁজামিল নিয়ে খটকা লাগবেই। তালপাতার বা মন্দিরের ব্যাপারটা খেয়াল আছে কি ? মিস করে গেছি ? যেখানে নকল ধরা যাবেনা কীকরেই অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য, তার জন্যেই এত কিছু, সেখানে প্রথমেই যেটা নকল কিনা ধরার, আসল উপায় বলে বলা, সেখানে সেটাই অনুসরণ না করা , যদি কিছু মিস না করি, তো থ্রিলার হিসেবে দেখ্লে এরকম ফাঁক মেনে নেওয়া বেশ চাপের। আর এরকম কিন্তু আরো অনেক আছে।

    ড্যান ব্রাউন যা পড়েছি , তাতে লাগেনি।
    বাবুরনামা চরিত্রের মুখ দিয়েই বলেছিলেন, তথ্যপঞ্জীতে সেকেন্ডারি রেফারেন্স হিসেবে কোনটা ব্যবহার করেছেন জানিনা।

    ব্ল্যান্ক, লিখছি।
  • blank | 2345.110.013412.31 | ০৯ জুলাই ২০১৮ ২১:১২502278
  • আরে সে তো কোনো লেখা কারোর ভালো লাগবে, কারো লাগবে না সেটাই স্বাভাবিক। আমার যেমন শরদিন্দুর ঐতিহাসিক পড়তে খুব বাজে লাগে।
    এবারে রেফারেন্স - বাবুরনামা নিয়ে যা বলেছে বই তে সেটা সত্য। বাকি রেফারেন্স বই পড়লে বুঝবো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন