এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সোমবারের বুলবুলভাজা (৩)

    Guruchandali
    অন্যান্য | ০১ জুলাই ২০১১ | ২৬৪৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SRISUVRO | 141.0.8.210 | ০৪ অক্টোবর ২০১১ ১৮:৩৩478485
  • "থীম পূজো না পূজোর থীম" না বাঙালির পূজোর থীম সত্যই পাল্টে গেছে. আসলে উল্টে গেছে. ধর্মীয় পূজোর ভক্তির দিন গেছে চলে. এখন পূজোর থীম বিনোদন আর পুরস্কার জয়!
    দূর্গা এখন উপলক্ষ্য! লক্ষ্য থীমের শিরোনামে নাম ওঠানো আর শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা!
    ব্যবসাটা জমেছে ভালো.
    রবি এবং দূর্গা দুই ঠাকুরেরই কব্জির জোর ছিল বটে!
  • Sushanta | 117.198.53.224 | ০৪ অক্টোবর ২০১১ ১৮:৩৫478486
  • পুজোর থীম নিয়ে লেখাটা দারূন লাগল। বোঝা গেল লেখক দারুণ উৎসবের মেজাজে রয়েছেন! নাগাল্যাণ্ডে উন্নতি !
  • siki | 117.194.6.68 | ০৪ অক্টোবর ২০১১ ২০:৪৫478487
  • ভক্তিটা অ্যাকেবারে চলে গেলেই ব্যাপক হয়। ঐটুকুই যা চোনা :)
  • Guruchandali | 117.194.37.45 | ০৪ অক্টোবর ২০১১ ২০:৪৯478488
  • --------------------------------------
    প্রকাশিত হল চারদিনে চাট্টি সিরিজের দ্বিতীয় লেখা: পুজোর হুজুগ ২ -- পুজোর রিলিজ
    --------------------------------------
  • Nina | 12.149.39.84 | ০৪ অক্টোবর ২০১১ ২১:১৭478489
  • একেবারে ফাট্টা ফাট্টি !! ডিলা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস! এমন রিভ্যু আমি কোথও পড়িনি---এত্ত মজেদার --সিন্মার চেয়ে ঢাইগুণা বেহতর!!
    রিভ্যু পড়ে "নেত্য" কত্তেই হবে, হবেই হবে!! আরও চাই ই ই ই ই ই ই ই ই
  • Tim | 198.82.23.54 | ০৪ অক্টোবর ২০১১ ২১:৫৮478490
  • ভালো হয়েছে, তবে অনেক টাইপো হ্যাজ। সেগুলো ইপিস্তা ঠিক করে দিক।
    "" আমরা হলাম গে মধ্যবিত্ত"" -- এইটা কি অনিচ্ছাকৃত পান? ;-)
  • i | 137.157.8.253 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ০৬:৩৪478491
  • পুজোর রিলিজ দারুণ লাগল।পড়েছি তো আগেও। কিন্তু সব মিলিয়ে চমৎকার এফেক্ট। খিঁচড়ে যাওয়া মন পলকে ফুরফুরে। এমন লেখা আরও চাই। সত্যি দারুণ।
  • kumu | 122.162.52.68 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ০৯:২২478492
  • অতি মচৎকার লাগল।
  • siki | 117.194.0.17 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ১০:০৯478493
  • ইন্দ্রাণীদি, এ তো সবে প্রিল্যুড। এখনও প্রচুর এমন লেখা

    আসিতেছে
    আসিতেছে
    আসিতেছে।
  • Sushanta | 117.198.53.130 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ১১:২৭478495
  • হা হা, পুজোর রিলিজ দারুণ লাগল। বক্স অফিস হিট করিয়ে দেবেন দেখছি!
  • kd | 59.93.193.249 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ১১:৩৩478496
  • কেন? কেনো? কেনোও? আমি কেন বুলবুলভাজা পড়তে পারছি না? মানে সহজে আর কি। চেষ্টা করলে হয়তো পারবো - ওই \bn\, ছোট ছোট গুল্লি ইত্যাদির ফাঁক দিয়ে, কিন্তু ফন্টটাও বড্ডো ছোট। কী কেরামতি (বা মেরামতি) করতে হবে যদি কেউ বলে দাও।

    এই প্রথম আমার অসুবিধে হ'লো গুরুতে। এতদিন কেমন মজাসে পড়তুম/লিখতুম। এই কি গুরুর ""উন্নতি''র প্রথম ধাপ? তাহ'লে সেরেছে!!! ও পাই, শুনচো?

    (পাইদিদি, দিল পে মৎ লো। লেগপুল করছি তোমার:) )
  • siki | 117.194.0.17 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ১১:৪২478497
  • এখন ঠিক আসছে কি?
  • de | 203.199.33.2 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ১২:০৭478498
  • নেতাই, বেঁচে থাকো বাছা, মানিব্যাগ ফুলে ফেঁপে উঠুক -- আরো নতুন রিলিজ দ্যাখো আর লেখো! খুব হাসলাম!
  • Guruchandali | 14.96.27.56 | ০৫ অক্টোবর ২০১১ ২৩:৩৬478499
  • --------------------------------------
    প্রকাশিত হল চারদিনে চাট্টি সিরিজের তৃতীয় লেখা: পুজোর হুজুগ ৩ -- পুজোয় চাই
    --------------------------------------
  • SRISUVRO | 141.0.9.127 | ০৬ অক্টোবর ২০১১ ১৯:০৯478500
  • পূজোর রিলিজ(২) তে যে
    তিনটি ছবির আলোচনা দেখলাম সে তিনটিই বোম্বে ফিল্ম ইনডাস্ট্রির হিন্দী সিনেমার!!!

    এর সাথে বাঙালির শারদ উৎসবের কি যোগ থাকতে পারে বুঝলাম না!

    মনে হল শারদীয়া দেশ প্রকাশিত হয়েছে হিন্দী সাহিত্যের সম্ভার নিয়ে!

    এই পর্বে আরও অনেক ভারতীয় ভাষাতেও ছবি মুক্তি পেয়েছে! সেগুলিও পূজোর রিলিজ তবে?
  • SRISUVRO | 141.0.9.127 | ০৬ অক্টোবর ২০১১ ১৯:১০478501
  • পূজোর রিলিজ(২) তে যে
    তিনটি ছবির আলোচনা দেখলাম সে তিনটিই বোম্বে ফিল্ম ইনডাস্ট্রির হিন্দী সিনেমার!!!

    এর সাথে বাঙালির শারদ উৎসবের কি যোগ থাকতে পারে বুঝলাম না!

    মনে হল শারদীয়া দেশ প্রকাশিত হয়েছে হিন্দী সাহিত্যের সম্ভার নিয়ে!

    এই পর্বে আরও অনেক ভারতীয় ভাষাতেও ছবি মুক্তি পেয়েছে! সেগুলিও পূজোর রিলিজ তবে?
  • mita | 64.191.211.55 | ০৬ অক্টোবর ২০১১ ২২:৫৭478502
  • পুজোর রিলিজ তো টুউউ মাচ!! সত্যি মনটা ফুরফুরে হয়ে গ্যালো :)
    তবে পুজো শেষ মানে রিভ্যু শেষ যেন না হয়। On public demand আগামি রিলিজ গুলোর রিভ্যু চলতে থাকুক।
  • Guruchandali | 14.96.213.167 | ০৬ অক্টোবর ২০১১ ২৩:২৫478503
  • --------------------------------------
    প্রকাশিত হল চরদিনে চাট্টি সিরিজের শেষ লেখা: পুজোর হুজুগ ৪ -- সাবেকি পুজো
    --------------------------------------
  • Biplob Rahman | 117.18.229.11 | ০৮ অক্টোবর ২০১১ ১৩:০২478504
  • সহব্লগার আসিফ মহীউদ্দীনের ঘটনা আবারো প্রমান করলো যে, ব্রিটিশরাজের পুলিশবাহিনী এখনো প্রকৃত অর্থে 'জনগণের বন্ধু' হয়ে উঠতে পারেনি; বরাবরই তাদের ভূমিকা ক্ষমতাসীন সরকারের পেটোয়া লাঠিয়াল বাহিনীর মাত্র!

    প্রশ্ন জাগে, দেশটা কী শেষ পর্যন্ত সত্যিই পুলিশী রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে? মহাজোট সরকারের এই ঘৃণ্য আক্রোশমূলক কর্মকাণ্ড আবারো প্রমান করে, আমাদের ক্ষমতাসীনরা মুখে যতৈ গণতন্ত্রের বুলি আউরান না কেন, তারা আসলে বন্দুক-বুট-বেয়নেট-লাঠির শাসনেই বিশ্বাসী।...

    ---
    NOTE:http://unmochon.net/node/961
  • susmita chakravarty | 59.93.206.137 | ০৯ অক্টোবর ২০১১ ০৩:৫১478507
  • গুরুচন্ডালীতে এই আমার প্রথম মন্তব্য। দীপঙ্করবাবুর লেখাটি পড়েছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল। আজ হঠাৎ করেই দেখলাম অর্কুটের একটি কমিউনিটিতে আমি কী লিখেছি এখানে সেটা নিয়ে কথা উঠেছে।

    লিখেছিলাম "গান শেখাতেন খুব যত্ন করেই। আর ওঁর প্রত্যাশার মাপটা ঠিক কীরকম ছিল তারও কিছু আন্দাজ পেয়েছিলাম। 'আজি শ্রাবন ঘন গহন মোহে’ গানটা যেদিন দিলেন, সম্মানিত বোধ করেছিলাম। আশ্চর্যের কথা এই যে, এই গান আমাকেও ঠিক এমনি করে গাইতে হবে এতসব ভেবে চাপ অনুভব করিনি। উনি কিন্তু খুবই চাইতেন আমি ওঁর মত করে গাইব।"
    কী হিসেবে কথাটা বলেছিলাম? আমার লেখাতে দু-একটা উদাহরণ ছিল। "গান যত এগোচ্ছে, ওঁর গলা ততই নম্র হয়ে আসছে। একসময়ে সেই লাইনটি এল -- সন্ধ্যায় মলিন ফুল উড়ে যায় বনে বনে। ঠায় লয়ে গাইছেন, অর্থাৎ লয়কে খুব ধ'রে রেখে -- 'ফুল'-এ একটা সুরের কাজ আছে ছোট্ট, সেই কাজটা কী যে সুন্দর গাইলেন, একেবারে হন্টিং!"

    হ্যাঁ দেবব্রত বিশ্বাস চাইতেন যে আমিও এমনি করে গাইব।

    "স্পষ্ট এবং অর্থবহ উচ্চারণ" "গানের বক্তব্যটিকে যথাসাধ্য আত্মস্থ করা' -- এইসব পরামর্শ আমাকে শুনতে হয়নি। এগুলোকে জ্ঞান দেওয়া বলে। দেবব্রত বিশ্বাস জ্ঞান দিতেন না। (স্নেহপ্রবণ মানুষটিকে খুবই মনে পড়ে।)
  • kd | 59.93.241.242 | ০৯ অক্টোবর ২০১১ ০৪:৫৪478508
  • সুস্মিতাদেবী, আপনিও কিছু লিখুন না। দেবব্রত বিশ্বাস এত বিরাট যে দীপঙ্করবাবু চেষ্টা করলেও তা কভার করতে পারবেন না। আমরা যারা শুধু ওনার গান শোনার বাইরে আর কিছু পাইনি, তারা কিন্তু আপনাদের, যারা ওনাকে কাছে থেকে দেখেছেন, শিখেছেন, নিজস্ব অভিজ্ঞতা শোনার জন্যে খুবই উৎসুক। উনি আমাদের মধ্যে সব সময়েই থাকবেন।
  • Indira Mukerjee | 115.242.35.109 | ০৯ অক্টোবর ২০১১ ১৭:৪১478509
  • সইকত বন্দ্যোপধ্যয়ের লেখর তুলোন নেই! অসধরোন লগ্লো।।।
  • susmita | 59.93.197.227 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ০৩:৪০478510
  • গানের ঝর্নাতলায় আগেও পড়েছিলাম, আজ আবার প্রথম থেকে পড়লাম। আবারও মুগ্‌ধ হলাম।
  • susmita | 59.93.197.227 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ০৩:৫৫478511
  • kd -- আগে তো গুরুচন্ডালির বিভাগগুলোতে একটু ঘুরে বেড়াই, তারপর নাহয় লিখব।
  • Biplob Rahman | 202.164.212.14 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ২০:৩৭478512
  • উরি বাপ্রে!কি জব্বর লেখাই না লিখেছে সৈক. বন্দো.!! হা হা প গে কে ধ...=))
  • rupankar sarkar | 116.203.161.146 | ১০ অক্টোবর ২০১১ ২২:৫০478513
  • Amar ' Avro ' bikol, taiRoman.Pujorhujug -3, SaikatBandyo - Osadharon
  • Rupsa | 202.78.175.199 | ১২ অক্টোবর ২০১১ ১০:৪৯478514
  • amiprasenjiterlekhaageoporechirormukhthekeanekkobitasunechi...amitabeetaashakorinijotobhalogolpobakobitalekhetotobhaloprobondhoulikhtepare....sottiamihotochokito...prasenjitchaliyeja...!!! goodgoing.
  • DB | 115.187.39.223 | ১২ অক্টোবর ২০১১ ১৮:২৪478515
  • সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের লেখাটি বেশ উপভোগ্য লাগল।
  • rupankar sarkar | 14.96.146.210 | ১২ অক্টোবর ২০১১ ২০:২৬478516
  • পূজোর হুজুগ - ৪ দীপ্তেনবাবুর বেশ তথ্যবহুল লেখা, ভাল লেখা। কিন্তু পুরাকালে মুনিঋষিরা হুলিয়ে 'গরু, ঘোড়া, মহিষ' খেতেন যে লিখলেন, তাতে সমস্যা হল, 'গরু' অর্থে - ফিমেল অফ দা বোভাইন স্পিসিস, না, দি এন্টায়ার স্পিসিস ? গরু কেউ খেতেন না। খেতেন ষাঁড়। আর ভারতে গোহত্যা নিয়ে গোলমালের মূলেও কিন্তু আদিতে এই মুদ্দা, যেটা এখন এন্টায়ার স্পিসিসে দাঁড়িয়ে গেছে। আমরা, যারা 'মাট্‌ন' ভক্ষণ করি, তারা ছাগল কোনওদিন খাই কি? আগে পাঁঠা খেতাম, এখন অমিল হওয়াতে খাসি। ছেলেবেলায় দেখেছি, কোনও মাংস বিক্রেতা ছাগল কেটেছে শুনলে তার দোকানের ধার কেউ মাড়াতনা, তার ব্যবসায় লালবাতি এমনি জ্বলত। দীপ্তেনবাবু সম্ভবত: 'গরু' বলতে গোজাতিকেই বুঝিয়েছেন, কিন্তু পাছে পড়ে কনফিউশন হয় তাই একথা বললুম।
  • Sushanta | 117.198.56.83 | ১২ অক্টোবর ২০১১ ২১:৪০478518
  • বাহ! বেসিমারির ঘটনা নিয়ে কিছু লিখব লিখব ভাবতেই দেবর্ষি দাস দারুণ শুরু করলেন। বোঝাই গেল তাঁর ঐ এলাকা নিয়ে বেশ পরিচয় আছে। বোধহয়, তাঁর প্রবাসজীবনের জন্যে লড়াইয়ের বৃত্তান্তটা তিনি খুব একটা লিখতে পারনে নি। "বন্ধুদের চাপা আনন্দ দেখলাম! মিঞাগুলারে যা দিছে না!" এই নিতান্তই দরিদ্র, সস্তা মজুরদের নিয়ে এটাই গোটা অসমের হিন্দু উচ্চবর্ণ মানসিকতা। অসমিয়া বাঙালি নির্বিশেষে। এদের অবস্থানের জন্যেই অসম কাশ্মিরের পরেই দ্বিতীয় বৃহ্‌ৎ মুসলমান অধ্যুসিত রাজ্যে পরিণত হয়েছে। মনে মনে কেউ চায় না , এরা রাজ্য থেকে চলে যাক, কিন্তু এদেস্র এই সংখ্যা যদি উচ্চবর্ণের রাজনৈতিক আধিপত্যকে প্রত্যাহ্বানের মুখে ঠেলে দেয় এই আতঙ্ক স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, এখনো আছে। যদিও এখন এদের রাজনৈতিক প্রকাশ অনেক জঙ্গী, আর পড়ে পড়ে মার খেতে রাজী নন এরা। হিন্দু বাঙালিরা এদের বাঙালি বলে ভাবেন না। বাংলার কোনো গল্পে উপন্যাসে, কবিতাতে এদের কথা নেই বললেই চলে। এদের হয়ে গান করেন না কোনো গণশিল্পী। এদের কথা জানেন না গোট ভারত, গোটা বিশ্ব। হিন্দু বাঙালিরা এদের বাঙালি বলে ভাবেন না, কিন্তু ওরা কেন নিজেদের অসমিয়া বলে এই নিয়ে ওদের বেইমান বলবার সময় বাঙালি কলম অতিদক্ষ। অসমিয়ারা ওদের 'বাংলাদেশি'ই বলেন অথবা মিঞা। মশা মাছির মতো ওরা যদি মারা যায়, তাতেও উচ্চবর্ণের হিন্দু সমিয়ার কিছু যায় আসেনা, ততক্ষণ যতক্ষণ ওদেরস সংখ্যা অসমিয়াদের রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ করে রাখতে সাহায্য করে।, তাই জনগননাতে ওরা যাতে নিজেদের অসমিইয়া বলে লেখান এটা নিশ্চিত করে অসমিয়া কাগজ , এমন কি বামবিপ্লবীরাও। তাই কেউ চায় না মনে মনে এরা অসম ছেড়ে চলে যাক। বাকি সময় এদের ভুলে থাকাই নিয়ম। ওদের বাংলাদেশি বলে যেখানে সেখানে মারধোর করা, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া, জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো দেখলে সভ্যতাকে লজ্জা পাওয়া উচিত। আফ্রিকার নিগ্রোদের উপর চলা বর্ণবৈষম্য নিয়ে কবিতা লিখতে রাজি আছেন বিপ্লবী সামাজিক দায়বদ্ধ কবি, এদের নিয়ে ? ছ্যা! কেন? সোজা জবাব, যেকারণে আফ্রিকার থেকে দাসেদের আমিরিকা নিয়ে নিয়ে নিয়ে গেলেও সাদারা কখনৈ আপন করে নেয়নি নিগ্রো কালো দাসেদের। এট সস্তা মজুর গোটা ভারতে আর মিলবে কই? দরদাম করবার ওরা সাহসই করতে পারে না। বিশ্বহিন্দু পরিষদ মন্দির তৈরির বেলা ওদেরই মেয়েবৌ বাচ্চাদের কাজে লাহিয়ে ইট সিমেন্টেরে বোজা বওয়ায়, ওদের হাতেই গড়ে উঠে সুদৃশ্য মন্দির, তারপর সেই মন্দিরে উচ্চারিত হয় অসমকে বাংলাদেশি মুক্ত করবার প্রার্থণা! দ্বিচারিতার এমন নগ্নতা দেখতে অসমে আসতেই হবে! হ্যা, মূলত পাতচাষী হয়েই এদের আগমন, সঙ্গে ধান। আজকাল জনস্ফিতি, বন্যা ইত্যাদি কারণে ওরা চাষাবাদ ছেড়ে কায়িক শ্রমে নামছেন আর দেশান্তরী হচ্ছেন। যেখানেই যাচ্ছেন বাংলাদেশি বলে গালমন্দ মারধর খাচ্ছেন। গতকাল পুলিশ শুধু মুখে বন্দুক ঢুকিয়ে গুলি করেনি, গরুর মতো টেনে নিয়ে গেছে ওদের ভ্যানে শবদেহ গুলো। এটা আশ্চর্য হলেও আজই দেখলাম কংগ্রেসের সমর্থক চেনেল নিউজ লাইভে।অএটা করেছে, বোঝাই যায় মধ্যবিত্তের মনে বাহবা কুড়িয়ে নিতে। বা যে ঘৃণার চাষ রোজ হচ্ছে এই রাজ্যে এটা এরই এক মৃদু প্রকাশ। মনে রাখবেন নেলি ১৯৮৩ র কাছে এটা কিছুই নয়, এমন কি ২০০২এর গুজরাট দাঙ্গাও এর কাছে নস্যি। দীর্ঘদিন ধরে ওরা পাটের বাজারদর বাড়াবার দাবি তুলছিলেন। কে শোনে কার কথা? না শোনাই নিয়ম। কিন্তু কর্তারা বোঝেননি দিনকাল পালটাচ্ছে। ঘটনা এই। প্রতিমন পাট এরা মাত্র ৫৪০টাকাতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছিলেন। তাদের দাবি ছিল সেই মূল্য ৮৪০টাকা করা হোক। সরকার ৬২০টাকাতে রফা করতে চাইছিল। পরশুও এরা পাট নিয়ে গেছিলেন বাজারে। দরকষাকষি করতে গিয়ে তর্ক বাঁধে , উত্তেজনাতে এরা পথাবরোধ করে বসেন। পুলিশ বাধা দিতে এলে পাথর ছুড়াছুড়ির ঘটনা এই গুলি অব্দি এগোয়। চারজন মারা গেছেন , আহত অনেক।অকালই সারা অসম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা দরং জেলা বন্ধ ডাকে এর প্রতিবাদে। দেখবার ছিল অসমের খ্যাতনামা কৃষক সংগঠন কৃষক মুক্তি সমিতি কী করে। কটন কলেজের স্নাতকোত্তর, সিপিয়াই এমএল (পিসিসি)র প্রাক্তন সদস্য এবং এখন আন্নার দলে জাতীয় স্তরের সহযোগীঅখিল গগৈর নেতৃত্বাধীন কৃষক মুক্তি সমিতি মূলত তথ্য জানার আইনকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে কৃষক আন্দোলনকে গেল ক'বছরে মন এক জায়গাতে নিয়ে গেছেন যার গুরুত্ব নন্দিগ্রাম, সিঙ্গুর থেকে কমতো নয়ই, বরং বেশি এর জন্যে যে তাঁর আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে গটা রাজ্যে। আজকাল বৃহ্‌ৎ নদীবাঁধ বিরোধী আন্দোলন তাঁর নেতৃত্বে এমন এক জায়গাতে গেছে যে স্বাধীনতার পর এই প্রথম অসমে জাতীয়তাবাদী আসু, আলফার মতো সংগঠনগুলো প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হইয়ে পড়েছে নতুবা দ্বিতীয় তৃতীয় স্তরে চলে গেছে। তারপরেও তিনি জাতিয়তার কথা কিন্তু বলেন। কারণ, জাতি গঠনকে পবিত্র দায় মনে করবার দীক্ষা অসমে অনেক বামপন্থীদের মধ্যেও রয়েছে। ফলে আসুকেও তার কাছে কাছে ঘুর গুর করতে দেখা যায়। এবং বরাক উপত্যকা , ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল বা পাহাড়ি জেলা দুটোতে তাঁরস সমর্থক ভিত্তি থাকলেও সংগঠন সেভাবে গরে তোলবার উদ্যোগ দেখা যায় নি। বিদেশি/ বাংলাদেশি / বা আলফা প্রশ্নে এতোদিন তাঁকে নীরব থাকতেই দেখা গেছে। তাই, ভাবছিলাম এখন তিনি কী করেন দেখতে হবে। সুখের কথা, ঘটনার দিন তিনি ছিলেন জোরহাটে আরেক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে। পরদিনই তিনি বেসিমারিতে পৌঁছুতেই হাজার হাজার মানুষ বেরিয়ে পড়েন পথে। যেখানেই অখিল, সেখানেই সাহস, সেখানেই উদ্যম, সেখানেই প্রতিবাদ এটা এক সাম্প্রতিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে অসমে। এই নিয়ে অসম রীতিমত গৌরব করতে পারে। সেই সঙ্গে এমন বৈশিষ্টের কারন অনুসন্ধানটাও এক চিত্তাকর্ষক কাজ হতে পারে। মনে হচ্ছে আগামি দিনের সমগ্র ভারতেই এমন প্রতিবাদ আরো আর দেখা যাবে। অসমের মানুষ তুষ্ট যে অখিলের লড়াই অসমের ভাবমূর্তী পাল্টাতেও অনেকদূর সাহায্য করেছে। যাই হোক অখিলের সংগঠন ইতিমধ্যে নিহতদের 'জাতীয় শহীদ ' ঘোষণা করেছে। পাটের মুল্য প্রতি কুইন্টালে ৪৫০০টাকা বেঁধে দিতে দাবি জানিয়েছেন। আজ বুধবার এই সব দাবিতে সমগ্র অসমের জেলা সদর গুলোতে ধর্ণা দিয়েছে তাঁর সংগঠন। এটা নিছক মুখের জবান হবে না, বলে বিশ্বাস করবার কারণ আছে। কেননা আজ অব্দি অখিল যা ধরেছেন তা মাঝ পথে ছেড়ে যাবার নজির নেই। সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা আপাতত তার সংগঠনের সঙ্গে এই প্রশ্নে জোট বেঁধেছে। এই প্রথম রাজ্যের প্রকৃত কৃষকের কাছে গিয়ে পৌঁছুলেন অখিল , হয়তো মনে মনে দীর্ঘদিন ধরে এমন এক সুযোগের জন্যে দিন গুনছিলেন তিনি। এই জোট বহুদূর যাবে এবং অসমের রাজনীতি চেহারা পালটে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন