এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সোমবারের বুলবুলভাজা (২)

    Guruchandali
    অন্যান্য | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ | ৪০৬৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৬ জুন ২০১১ ১০:২০465714
  • যেসব কথা পড়ে ক্লান্তি মনে হয়েছে তা বোধয় একটু খোলসা করা উচিত।
    ক্লান্তি নয়, আমার মনে হচ্ছে আমার বক্তব্য আমি বোঝাতে পারছিনা, তো একটু রিফ্রেজ করা উচিত। এদিকে আমি নিশ্চিত, এই তক্কোটা আমরা কেউই জেতা বা হারানোর জন্যে করছি না। তো বারবার বক্তব্য রিফ্রেজ করে একটা গোলপোস্ট সরানো ধরনের ইন্টেনশন মনে হতে পারে, তো সেটা আমি এড়াতেই চাই। তাছাড়া, আমাদের বক্তব্যের অবস্থান গুলিও সত্যিই আলাদা। আমি বোধয় যুক্তিগুলো অগ্রাহ্য করে একটু বেশী আবেগ থেকে দেখছি। তো, দুটো মোটামুটি সমান্তরাল পথে চিন্তাভাবনা চলছে।
    কাশ্মীর ইত্যাদি নিয়েও আমার বক্তব্য নেই। হতেই পারে, কে জানে। ভারতের দাদাগিরির বাসনা নিয়েও নেই, আগেও বলেছি। যুদ্ধ নিয়েও নেই, সেও আগে বলেছি।
    আমার বক্তব্য শুধুই জেনোসাইড এড়ানো নিয়ে। ভাষা দেওয়ারও দাবী নেই, শুধু, নিতান্ত বেঁচে থাকুক।
    এবং ভারতের ইন্টারভেনশনে সেই জিনিসটা হয়েছিল। এবং মুক্তি সেনার নেতৃত্বে দুরদৃষ্টিসম্পন্ন রেলবাজ লোকেরাও ছিলেন, যারা কেবল নিরুপায় হয়ে ভারতের দাদাগিরি মেনে নেন নি, রক্তক্ষয় এড়াতে চেয়েছিলেন। তো, ভারতের নিছক দাদাগিরিতে বিপ্লব বেহাত হয়ে গেল, বা তার থেকেও বেশী নমাসের বিপ্লব নবছর টেনে নিয়ে গেলে স্বপ্ন সফল হতো, এবং ইতিহাসে বিরল তুলনার জেনোসাইডকে চলতে দেওয়ার যৌক্তিকতা খোঁজা নিয়ে আমার আপত্তি। যেসব কারনে বিপ্লব বেহাত বলে মনে হচ্ছে, তার পেছনে ভারতের দাদাগিরির থেকে অনেক বেশী দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিজের নেতৃত্বের। এবং সাতে পাঁচে না থাকা নিরীহ মানুষের বিপুল রক্তক্ষয় এড়াতে পারার পর মেরুদণ্ড গঠনের কাজ সম্ভব হতেই পারতো। একাত্তরের পরে দাদাগিরি থাকলেও বহুনিন্দিত প্রত্যক্ষ ইন্টারভেনশন তো ছিলনা। ভারত রাষ্ট্রকে ডিফেন্ড করার আমার কোন দায় বা বাসনা নেই, আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু রাষ্ট্র চিরকালই বদের বাসাদের কুক্ষিগত। কিন্তু ভারতের দাদাগিরিতে নমাসের বিপ্লব নবছর টানা গেলনা বলে সকলি গরল ভেল, তা আমি মানতে পারিনা, কারন সেই, ভাষাহীনের রক্তক্ষয়।

    আমার প্রশ্ন ছিল, দাদাগিরি সম্ভাবনার অনৈতিহাসিকতা এড়াতে লক্ষ লক্ষ ভাষাহীনের নিরুপায় রক্তপাত বেছে নেওয়া শ্রেয় কিনা, যখন তা অন্য অপশন আছে। জয় হার ইত্যাদি যে মানুষেরা বোঝেনা, ভোট কিংবা আদমসুমারীতে, দৈবাৎ থাকলেও।

    সেই গোলগোল ঘুরলাম, এবং আমি নতুন কিছু বলিনি। তো, ক্লান্তিকর না হলেও অ্যাভয়েডেবল তো বটেই।

    এবং রিকন্সিলিয়েশন বিষয়ে, আবারো, হ্যাঁ, একমত।

    আর আমি "বোঝার ক্ষমতা কম' ইত্যাদি বললেও যে তা নিতান্ত রেটরিক নয়, তার প্রমান নানা টইয়ে ছড়ানো আছে। মাঝে মাঝেই আমি নানা জায়গায় তক্কো করতে গিয়ে বকাঝকা খেয়ে আসি। তো বড় দু:খ হয়। এমনিতে দু:খ জিনিসটা ভালো, একবার হলেই দুটো পদ্য লেখা যায়। কিন্তু আজকাল পদ্য হচ্ছে না। তো নিস্ফলা দু:খ আমি এড়িয়ে চলি। কিন্তু এবার বোধয় কিছু করা গেলনা।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৬ জুন ২০১১ ১০:২৯465715
  • হনুকে একটা প্রশ্ন ছিল। শিশি-বোতল নরম করার জন্য।

    কালকে লিখেছিলে - প্রগতি (সুশোভন সরকার) আর দুর্গতি(অশীন দাশগুপ্ত) দুই নিয়েই সরকার।

    লাইনতা খোলসা কর। মানে প্রগতি/দুর্গতি-র সাথে কীভাবে দুজনের কাজকে যুক্ত করা হচ্ছে?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৬ জুন ২০১১ ১০:৩২465716
  • আমার মনে হচ্ছে, হুতোর কথা বারবার পড়ে, কোথাও এটার যুক্তি আছে।
    ঠিক আছে, মেনেই নেওয়া গেলো মুক্তিবাহিনী আরও রক্তক্ষয় এড়াতে ভারতের সেনাবাহিনীর মদত চেয়েছিলো। কিন্তু ভারতও সেই সুযোগ নিয়ে দাদাগিরি করতে ছাড়ে নি।

  • h | 203.99.212.54 | ১৬ জুন ২০১১ ১০:৪০465717
  • এই সিভিল বিতর্কের প্রকৃত অবসান হতে পারে একমাত্র বিশুদ্ধ
    'মিশ্রণ-বিশেষজ্ঞ-র গৌরবে' ;-) আমরা এ ব্যাপারে ভেবে দেখবো, জমি বিতর্ক যেমন ব্যক্তিগত জমি-ব্যবসায়ীর শক্তিবর্ধনে গিয়ে পর্যবসিত হয়েছে , তেমনি আমাদের মুক্তিচেতনা ও তৎসংক্রান্ত আকুলি-বিকুলি কে সামান্য বাতানুকুল আশ্রয় দিয়ে শুঁড়িগণ যদি দু পয়হা করে করুক, কেড়েছো মুকের কথা তাই বলে কি গ্লাস দেব না ইত্যাদি :-)
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৬ জুন ২০১১ ১০:৪৮465718
  • :D
  • h | 203.99.212.54 | ১৬ জুন ২০১১ ১০:৫৪465719
  • সংসার, সংসার সরকার না :-) সরকারে এসেচে এক মাশ হল, এখনি তাকে সংসার করে ছাড়লো :-)

    সুশোভন সরকারের 'ইতিহাসের ধারা' বলে একটা বই ছিল পড়েছো তো? এইটা আমাদের পার্টি ক্লাসে প্রথম দিন পড়তে দিয়েছিলেন সন্তোষ বসু, তাতে ঐ মার্কসিস্ট ইতিহাস দর্শনে 'প্রগতি' র ধারণা নিয়ে ক্লাসিকাল অবস্থান টা বলা আছে। অশীন দাশগুপ্ত, আমাদের দেশের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক, তিনি ইতিহাসের দর্শন নিয়ে চিন্তা কম করার কথা বলতেন, অন্তত সেটাই গসিপ শোনা যায়। মজা করে নাকি বলতেন, আমি প্রগতির না দুর্গতির ইতিহাস লিখি। মালাবার কোস্ট এবং জেনেরালি আরব সাগরের মেরিটাইম ট্রেড নিয়ে ওনার সুবিখ্যাত কাজ। এই ভদ্রলোক এবং ইরফান হাবিব এবং একটু জুনিয়র দের মধ্যে দিকে বোধহয় মুজফ্‌হর আলম এবং জ্ঞানেদ্র পান্ডে , এঁরা পি এইচ ডি ডিগ্রী পাওয়ার ঢের আগে নিজ নিজ বিষয়ে এক্সপার্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

    অশীন দাশগুপ্ত র ইতিহাস আলোচোনার পদ্ধতি তে সাংঘাতিক ডিটেল পাওয়া যায়, আনালিস্ট দের মতো, আর মারক্সিস্ট ঐতিহাসিক রা অনেকেই ইতিহাস রচনার দর্শন নিয়ে লিখেছেন।

    আমি বলতে চেয়েছিলাম, দুটি দৃষ্টিভংগী, বিষদ, minute details এবং একটা প্যাটার্নের সন্ধান দুই নিয়েই রাজনৈতিক ইতিহাস আলোচনা করলে আখেরে লাভ হয়। অবভিয়াসলি এর তার টুকে টুকে বললাম, কার থেকে টুকলাম, সেটা এত টুকেছি আর আত্তীকরণ করেছি এটা আর মনে নেই। হুতো কে ভালো মানুষ পেয়ে এই সব পেশীপ্রদর্শন করতে গেসলাম, তুমি এসে কেস টা ভুঁড়ি প্রদর্শন এ পর্যবসিত করলে। খুব খারা, এমন কথা ছিল না:-)
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৬ জুন ২০১১ ১২:০৩465720
  • (ভুল কিছু লিখিনি, সব সরকারই কিছু প্রগতি আনে, কিছু দুর্গতি। :-))

    হ্যাঁ, "ইতিহাসের ধারা"। পোকায় কাটা, পুরোন এক কপি ছিল/আছে, মণীষা গ্রন্থালয়ের, হার্ড কভার, খয়েরী মলাট। পার্টি ক্লাসে পড়ান হবে স্বাভাবিক, কারণ পার্টি ক্লাসে পড়ানোর জন্যই বইটা লেখা হয়েছিল। এবং আমি পার্টির কেউ না হয়েও, মনে পড়ে, মানুষের সমাজ বিবর্তনের ধাপগুলো, ঐ বই থেকে মুখস্থ করার চেষ্টা করেছিলাম !

    অশীন দাশগুপ্তর লেখায় দেখেছি, ইতিহাস কীভাবে লেখা হবে বলতে গিয়ে তিনটি সময়ের কথা বলছেন - বড় সময়, ছোট সময় আর ব্যক্তিগত সময়। উদাহরণ হিসেবে আনছেন টলস্টয়ের "ওয়ার এণ্ড পীস", আর ফরাসী Annalesস্কুলের লেখাপত্তরের প্রসঙ্গ। বক্তব্য মোটামুটি এরকম, টলস্তয়ের লেখায় আছে ঐ তিনটি সময়ের কথাই আর Annales ধর্মী ঐতিহাসিকদের লেখায় আছে ছোট সময়ের কথা, যারা ফ্রান্সের অখ্যাত গ্রাম নিয়ে, সেখানকার লোকজন, ঘর-বাড়ী, তাদের আত্মহত্যার হিসেব ইত্যাদি নিয়ে লিখছেন। অশীনবাবুর বক্তব্য মনে হয় এরকম যে ছোট সময়ের ইতিহাস লিখলে সেই ইতিহাস সাহিত্যের কাছাকাছি পৌছোবে, যদিও ব্যক্তিগত সময়ের ইতিহাস রচনা করা ঐতিহাসিকের পক্ষে সম্ভব না, সেটি সাহিত্যিকরাই করতে পারবে। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল, দেবেশ রায় প্রায় বছর পনের আগের এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, উপন্যাস আর কিছুই নয়, "ব্যক্তির ইতিহাস" কিংবা "ব্যক্তির ঐতিহাসিকতা"। অশীনবাবুর মতের সাথে মিলিয়ে পড়লে বলতে পারি, উপন্যাস "ব্যক্তিগত সময়ের" আখ্যান।
    (আমার হয়ত পক্ষপাত আছে এই ছোট/ব্যক্তিগত সময়ের ইতিহাসের দিকে, তার একটা কারণ হতে পারে, আমি হয়ত সাহিত্যর দিক দিয়ে আর সব কিছুর দিকে আসি)।

    এখন সমস্যা, আমার মনে হয় "ব্যক্তিগত সময়" - এই ধারণাটা নিয়ে। হুতো যে কথাগুলো বলছে,অন্তত আমি যেভাবে বুঝছি, তাতে মনে হয় বড় সময়ের/বড় ইতিহাসের চাপে পড়ে ব্যক্তি মানুষ কী অবস্থায় দাঁড়াচ্ছে বা তার ব্যক্তিগত সময় কী আকার পাচ্ছে, যার মধ্যে ঢুকে পড়ছে ভয় আর আতংক - সমস্যা সেটা নিয়েই। কিংবা আমি যখন ইউলিসিস কোট করছি, যেখানে ইতিহাস দু:স্বপ্ন হিসেবে আসছে, তখন আমারও মাথায় আছে "বড় সময়"-র কথা, যে বড় সময়ের সংস্পর্শে এসে ব্যক্তিগত সময় দাঁড়াচ্ছে "নৃমুন্ডের হেঁয়ালী" হিসেবে। এই অবস্থায় বড়জোড় বলতে পারি - অশীনবাবুর মতকে ব্যবহার করে - এই "ব্যক্তিগত সময়"- এর কাছাকাছি ইতিহাস পৌছোতে পারবে না, সাহিত্য পৌছোতে পারে, আর সেই জন্য হুতোর লেখায় আবেগ ইত্যাদি এসে যায় এবং হুতো ভাল বাংলা লেখার ক্ষমতা দেখাতে পারে।

    আরও এককদম এগিয়ে বলতে পারি, ইতিহাস যেখানে পৌছোতে পারছে না, সেটা প্রকাশ করাকে আদৌ "অনৈতিহাসিক" বলা যায় কি?

    (একমাসের লেখা লিখলাম। ওফ্‌ফ। অন্যদিকে অচিন্ত্য আবার "তারপর?" দিয়েছে।)
  • h | 203.99.212.54 | ১৬ জুন ২০১১ ১৭:১৩465721
  • 'মুখস্থ', 'পুরোনো' , 'পোকায় কাটা' এই সব কথা গুলো ত্মি সু স সম্পর্কে ব্যবহার করলে, অথচ অদাগু আর দেরা সম্পর্কে এই মেটাফোর গুলো ব্যবহার করলে না :-)
    এতে তোমার এই পোস্টের রচনাশৈলী সম্পর্কে আমরা একটা কার্টেন রেজার পেলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে, স্কুল মাষ্টার কে প্যাঁক দিলে, আবেগের ধর্মে সইবে তো? :-)

    যা বলেছো তার একটা ফ্যাক্ট একটা প্রশ্ন। ফ্যাক্ট হল ইতিহাস রচনার বিভিন্নতা। বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস কে দেখেছেন। নামজাদা ঐতিহাসিক রা তাঁদের আমলের predominant historiography কে হয় উৎকর্ষের অন্যস্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, বা নতুন রচনাশৈলী তৈরী করেছেন। এতো ফ্যাক্ট, দ্বিমতের প্রশ্ন ওঠে না।

    সাহিত্যে আগ্রহ তোমার একথা আমরা জানি। সেটা মাইরি তোমার সীমাবদ্ধতা নয়। আর যাই হোক। তবে তুমি যে প্রশ্নটা তুলছো সেটা হল, বিষয় হিসেবে ইতিহাসের সীমাবদ্ধতার কথা। ব্যক্তিগত ইতিহাস যত বিশদেই পৌঁছক ইতিহাস, এমনকি history of mentality ও সেই জায়্‌গায় পৌঁছতে পারে কিনা। এবং সেই হিসেবে ইতিহাসের সীমবদ্ধতা কে যে রচনা address করছে তাকে অনৈতিহাসিক বলা যায় কিনা।

    সঙ্গত প্রশ্ন। আমার মনে হয় প্রেক্ষিত টা গুরুঙ্কÄপূর্ণ। দেবেশ রায়, জোগেন মন্ডল উপন্যাসে যেটা করছেন, যে পদ্ধতির দিক থেকে মূলত মেমোয়ার এবং স্মৃতি কে ব্যবহার করেছেন।
    কিন্তু সেটা করেছেন ধর ৪২ সালে জোগেন মন্দল আর দুর্গা সেন এর একটা কথোপোকথন কে কনস্ট্রাক্ট করার জন্য বা একটা কোর্টের বার কাউন্সিলের বক্তৃতা কে ব্যাখ্যা করার জন্য
    বা নেতাজির একেকেটা সফরের সময়কার উত্তেজনা কে ধরার জন্য। অর্থাৎ একটা ইভেন্ট কে ধরতে পাঠক কে সাহায্য করার জন্য। উপন্যাসটা খেয়াল করে দেখো, একেবারেই প্রথাগত
    অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইতিহাসের ব্যবহার। তবে উদ্দেশ্য প্রথাগত নয়, উদ্দেশ্য হল এক unsung hero কে গুরুঙ্কÄ দেওয়া, এবং একজন নীচু জাতের লোক কে 'বুঝ'/'বোধ এর দিক থেকে বা radical সম্ভাবনার দিক থেকে
    টাওয়ারিং পার্সোনালিটি হিসেবে তুলে ধরা। সাধু উদ্দেশ্য সন্দেহ নেই। মূল সুর 'অসমাপ্ত' বিপ্লব :-)

    এই পদ্‌দ্‌ধতি তা একটু বদলে যাচ্ছে ধর রোহিন্তন মিস্ত্রি র বেলায়। দিনা দালাল বা দর্জি দ্বয় প্রোটাগনিস্ট কিন্তু মূল নায়ক হল দুটো বছর ১৯৭৫-৭৬।

    ইলিয়াসের পদ্ধতি তা আরেকটু আলাদা। এতে একজন লোক লার্জার দ্যন লাইফ হিরো হচ্ছে না, কিন্তু একটা হেরো দের রেজিস্টন্স এর স্বপ্ন এবং তার কন্টিনিউটি র কথা বলছেন। তমিজের স্বপ্নে ঘোড়সওয়ার
    বাবা ঠাকুর আসছেন। এই হেরো উইসডম এর প্রতিনিধি সেই ভুতের বইটা খুঁজে পেতে, লোকাল ল্যান্ড শার্ক ভদ্রলোক এত ডেস্পারেট যে কুলসুম কে আক্রমণ করে ফেলছেন,
    যারা জিতছে তাদেরো resistance এর wisdom নিয়ে একটা হিংসে মতন হচ্ছে, ভুতের বই হাতে না পেলে, lejitimesi তৈরি করতে অসুবিধে হচ্ছে। এর প্যারালেল গল্প টা অনেক দেবেশীয়।
    ১৯৪৬ এর নিউজ হেডলাইন দিয়ে জে ভদ্রলোকীয় রিয়েলিটি তৈরি হচ্ছে।

    আমরা একটাঅ অন্যায় অলরেডি করে ফেলেছি, একটা ব্লগের কয়েকটা পোস্ট কে সম্পূর্ণ উপন্যাসের সঙ্গে আলোচনায় আনি্‌ছ।

    হুতো লেখক হিসেবে অনন্য। হুতো ব্যক্তিগত ইতিহাস ধরতে গিয়ে, যে মানুষের যে যন্ত্রনার জায়্‌গাটা ধরছে ইনটারভেন্‌শনে অনেক জায়্‌গাতেই যে সেই যন্ত্রনার নিরসন হয় নি এটা মানতে
    চাইছে না। এটা দেবেশ রায় এর সমস্যা র ঠিক উল্টো ;-) উপাদানের দিক থেকে এবং শৈলীর দিক থেকে পদ্ধতিগত ভাবে radical (যদি ইতিহাস রচনা হচ্ছে ধরে নি), কিন্তু শেষ পর্যন্ত
    হিরো 'কে' হবে জানার জন্য আমার দুটো মার্সেনারি দলের আপেক্ষিক শক্তি র উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে। এটা চাপের বলে আমার মনে হয়েছে।

    আমার এও মনে হয়েছে হুতো মেনলি কবি বলে এটা হয়েছে। কবিতায় বিষয়ের সঙ্গে এক জাতীয় কবির নিজের বোধ মায় জীবনযাত্রার প্রায় কোন পার্থক্যা থাকে না।
    কিন্তু নভেলিস্ট দের একটা সিগ্নিফিকান্ট অংশ একটা অবজেকটিভিটি নিয়ে চলেন। এমনকি ম্যাজিকাল রিয়েলিস্ট রাও প্রায়শ প্রথম পুরুষে লেখেন না,
    প্রথম পুরুষে লিখলে নাম দেন না। (meloncholy whores)। ওরেটোরিও লেখেন না সেরকম না, তবে তাঁদের মধ্যে আমাদের চেনা নাম করা ভদ্রলোক কবি। (bolano)

    অবস্থানটা ব্যাপক জেউনিন হলেও সমস্যা হল, এই সচেতনতা তাতে আমি দেখতে পাচছি না যে ইন্টারভেনশন ,
    বিশেষত প্রোফেশনাল আর্মি র ইনটারভেন্‌শন কখনই বিপন্মুক্ত না। এমনি্‌ক নিপীড়িত মানুষের প্রতিনিধি যদি তারে ডেকে পাঠায় তাও না। ইতিহাস সেটা বলছে না।

    এটা কনসিড করতে আমার অসুবিধে নেই, যে ঘর পুড়লে তঙ্কÄ পোশায় না, কিন্তু না পোশালে যদি অতিথি এসে পুনরায় ঘর পোড়ানোর হিস্টরিকাল এভিডেন্স রয়েছে থাকে তাকে অস্বীকার করা কেন?

    জাক কাটাও। এইবার দুকথা শোনালেই বিদেয় নিতে পারি :-)
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৬ জুন ২০১১ ১৮:১৯465722
  • (হনু কি ক্ষুণ্ন হোল?)

    মাইরী বলছি, আমি ঠিক জানতাম "ইতিহাসের ধারা" বইটা নিয়ে যা লিখেছি, তুমি আপত্তি তুলবে। কিন্তু ভেবে দেখ, আমার বইটা পড়ার বিশেষ ইচ্ছে ছিল, কোথাও পাইনি, শেষ পর্যন্ত হঠাৎ করে এক কপি পেয়ে যাই। এবং যেমন লিখেছি ঠিক তেমন অবস্থাতেই, পোকায় কাটা, পুরোনো। মেটাফর একদমই নয়। আর বললে বিশ্বাস করবে কি , আরও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য গ্যামাক্সিন দিয়েও রেখেছিলাম, লক্ষ্য করেছি তাতে পাতাগুলো আরও নষ্ট হয়নি। একে কী মেটাফর বলবে? :-) মুখস্থ করা? সে এক সময় ছিল, যখন এ সব করতাম, তর্ক করার জন্য। শুধু এই বই নিয়েই নয়, শোপেনহাওয়ারের দর্শনও "মুখস্থ" করার চেষ্টা করেছি। মুখস্থ মানে, মনে রাখা। আর কিছুই নয়।

    এটা মেনে নিতে আমার কোন আপত্তি নেই, যে ইন্টারভেন্‌শন কখনই বিপন্মুক্ত নয়। বরং আমার কাছে নেপোলিয়নের রাশিয়া আক্রমণ, রাশিয়ার বিপ্লব, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বিবিধ জায়্‌গায় বড় রাষ্ট্রের ইন্টারভেন্‌শন, মায় end of history ঘোষণাও ঐ বড় ইতিহাসেরই অঙ্গ। এবং কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল সেসবের হিসেব নিকেশ খুবই জটিল ব্যাপার। আর জটিল বলেই, অত সহজে এসবকে ছকে ফেলা যায় না বলেই, ছোট সময়, ব্যক্তিগত ইতিহাস ইত্যাদির প্রসঙ্গ আসে।

    নিয়তিবাদের মত শোনাতে পারে, কিন্তু আমার ধারণা, এই বড় ইতিহাস আর ছোট ইতিহাসের দ্বন্দটা চলবেই, এর থেকে বেরোনো সম্ভব নয় । আর সেটা হবে না বলেই, ইতিহাস আর সাহিত্য দুটিই নিয়েই কাজকারবার চলতে থাকবে।
  • h | 203.99.212.53 | ১৬ জুন ২০১১ ১৮:২৭465724
  • একদম ই ক্ষুন্ন হই নি। কি আশ্চর্য্য মাইরি। তুমি/হুতো/কল্লোলদা(আঅগে ও পরে) যা বলেছো, পারফেক্ট। আমি শেষ পোস্টা টা বেশ দুর্বল করেছি। সেটা কারেকট করে নিতে আর পোসাচ্ছে না।

    আমার পজিশন এর মূল সমালোচনা টা একটু অন্য সেটা খেয়াল কাল করেছিলাম, তোমরা হয়ে্‌তা মায়া করে বলো নি। সেটা হল, যে একটা জাতীয়তাবাদ কে আমি 'আবেগ' বলছি, আর বলছি আরেকটা জাতীয়তাবাদ এর দোহাই দিয়ে, সেটা হল প্রোগ্রেসিভ ওয়েলফেয়ার স্টেট
    :-)
    মানে ডাইরেক্ট না, তবে এটা একটা সুর।

    বাকি যা বলছো পারফেক্ট, সেই তঙ্কÄ কে সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্য আমি একটু ইমপারফেকশনের কালো দিলাম ;-)
  • kallol | 115.241.62.150 | ১৭ জুন ২০১১ ০০:১৭465725
  • এটা লাজবাব। একদম আবদুর রহমানের জুতো পালিশ।
  • lcm | 192.12.84.112 | ১৭ জুন ২০১১ ০৪:০৭465726
  • হয়েছে। হয়েছে। r2h-এর বাংলায় কাজ হয়েছে! কল্লোলদা মেনে নিয়েছেন যে মুক্তিবাহিনীর আমন্ত্রণে ভারত যুদ্ধে যোগ দেয়। নইলে যেভাবে লিখেছিলেন "...ভারত নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধ শুরু এবং শেষ করে...' - দেখে বেশ কনফিউজ্‌ড হয়ে গেলাম। যুদ্ধের শেষটা তো সকলেই জানে, কিন্তু শুরুটা যে কিভাবে ভারত করেছিল...
    এর আগেই কল্লোলদা বলে দিয়েছেন যে ভারত ১৯৭৫-২০১১ তে বাংলাদেশের ওপর দাদাগিরি করে নি। তাহলে বাকী রইল ১৯৭১-১৯৭৫। এটুকু... কে জুড়বে?
  • lcm | 128.48.254.26 | ১৭ জুন ২০১১ ০৪:৪০465727
  • বিশ্ব শান্তির প্রতীক মহান ভারত - সবে শুরু হচ্ছিল, শিন্নি খেতে খেতে সুইস উকিলের সাথে ভাটের গপ্পো শুনিয়ে শিবুদা জল ঢেলে দিল।
  • M | 59.93.198.85 | ১৭ জুন ২০১১ ০৮:৩০465728
  • //
  • ranjan roy | 122.168.44.242 | ১৭ জুন ২০১১ ১৯:২৮465729
  • অতি উপাদেয় এবং---
    আমার ময়মনসিংহের স্কুলের বার্ষিক উৎসবে একদা খানসাহেবের ভাষণ মনে পড়ল-- এতক্ষণ বিজ্ঞজনেরা যাহা বলিলেন তাহা অত্যন্ত হৃদয়ঙ্গম ও চিন্তাশীলতা।:))))
    আমার মনে হয় ( অবশ্যি অশীন দাশগুপ্তের বইটা পড়ে) ইতিহাসের বড় সময় এবং ছোট সময় নিয়ে দ্বন্দ্বাতুর সম্পর্ক চলতেই থাকবে। ( যেমন সৈকত বলেছেন)। আর এটা কাম্য, কারণ দুটো মিলে কমপ্লিমেন্টারি।
    আর মূলত: হনুর বক্তব্য ( মিলিটারি ইন্টারভেন্‌শন রক্তক্ষয়ী প্রক্রিয়াকে অল্পকালীন এপিসোডে বদলে দিতে পারে এটা অতি সরলীকরণ) নিয়ে একমত।
    আমি খালি দুটো আমার সময়ের ঘটনা নিয়ে একটু বলতে চাই।
    বাংলাদেশ ১৯৭১:
    --------------------
    প্রথম মত: ভারতের হস্তক্ষেপ করা ছাড়া কোন অপশন ছিল না।
    সীমান্তে টেনশন, সমানে বর্ডার দিয়ে রিফ্যুজি আসছে। সিভিক এবং সোশ্যাল প্রবলেম বাড়ছে, আর্থিক ব্যাপারটা ছেড়ে দিলেও মর্মান্তিক জেনোসাইড! খারাপ লাগছে কিন্তুতখন না করলে ন'মাসের জায়গায় ন'বছর লাগতো।
    দ্বিতীয় মত:
    প্রত্যক্ষ মিলিটারি অ্যাকশন ছাড়াও অপশন ছিল। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ভারতের বিরাট ভুখন্ড ডিঙিয়ে লাগাতার পূর্ব পাকিস্তানের বিশাল ভুখন্ডে অপারেশান চালানো শুধু অত্যন্ত ব্যয়-সাপেক্ষ নয়,লজিস্টিক্যালি প্রায় অসম্ভব। প্লেন গুলো রি-ফুয়েলিং করতো চীন থেকে? শ্রীলংকা থেকে?
    ভারত সীমান্ত বন্ধ করে আন্তর্জাতিক ফোরামে ক্যাম্পেন করে পাকিস্তানের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে পারতো।
    কিছুদিনের মধ্যে ইকনমিক স্যাংশন আর ব্যয়্‌বহুল যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের ইকনমি ভেঙে পড়ত। কে বলেছে নয় বছর যুদ্ধ চলতো?
    মুক্তিবাহিনীর আমন্ত্রণে ভারত হস্তক্ষেপ করেছিল! স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের রাজধানী কোথায় ছিল? বেতার কেন্দ্র কোথায় ছিল? কোলকাতায় নয়?
    ও কি সার্বভৌম সরকার ছিল? তাজউদ্দিন আহমেদরা কোথায় থাকতেন?
    ১৯৭১ এর মে-জুন মাস থেকেই সমানে পূর্ব সীমান্তে ট্রাক ভরে ভরে ফৌজ যাচ্ছিল, মবিলাইজেশন হচ্ছিল--- নিজে দেখেছি।

    আভ্যন্তরীণ সামরিক অভিযান
    --------------------------------
    অপারেশন ব্লুস্টার(অমৃতসর-স্বর্ণমন্দির):
    -------------------------------------------
    প্রথম মত: বেশ করেছে। খালিস্তানীরা সীমা ছাড়িয়ে গেছল।
    হরমন্দির সাহিবে গোলা পড়েছে এর জন্য শেষ বিচারে ওরাই দায়ী। ওই পরিকল্পিত আক্রমণ খালিস্তানীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের কোমর ভেঙে দেয়।

    দ্বিতীয় মত:
    ------------
    অপশন ছিল। মিলিটারি দিয়ে স্বর্ণমন্দির ঘিরে রেখে সাপ্লাই বন্ধ করে দিলে একটু সময়ের পর ভেতরে থাকা খালিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করতো।
    ইন্দিরা সামনে ইলেকশান কে নজরে রেখে হিন্দু মেজরিটি ভোট দেখছিলেন। সফল হলেন। আর এস এস এর নানাজী দেশমুখরা খোলাখুলি ইন্দিরাকে সমর্থন জানালেন। শঙ্করাচার্য্যদের আশীর্বাদ পেলেন।
    ওদিকে বাবরী মসজিদ কান্ডের পর মুসলিম সমাজের মূল ধারার থেকে এয়ি্‌লয়েশনের মত শিখ সমাজ অপমানিত বোধ করতে লাগল। পরের মর্মান্তিক ইতিহাস সবারই জানা।
    ওইসব মিলিটারি হস্তক্ষেপের হাতে গরম রাজনৈতিক ফায়দা দেখে রাজীব ও শ্রীলংকায় আই পি কে এফ পাঠালেন। আবার সেই--।
  • r2h | 198.175.62.19 | ১৭ জুন ২০১১ ১৯:৩৯465730
  • ন'বছর - বর্তমান তক্কেই কেউ একটা বলেছেন, এখন আর ফিরে পড়তে পারছিনা, কিন্তু ন'মাসের জায়গায় ন'বছর চললেও নিজেদের বিপ্লব নিজেরা শেষেষ করা বাঞ্ছনীয় ছিল, এই মতটা ছিল।

    আর, আমার দাবী হল, নমাসের জায়গায় যদি নমাস একদিনও বেশী রক্তপাত হয়, আমি সেই রক্তপাত এড়াতে চাইবো। একটিও মানুষের প্রাণ যে উপায়ে বাঁচে, আমি সেই রাস্তাতেই যাবো।

    ভারত দাদাগিরি করেনি, বা দাদাগিরি/ইন্টার্ভেন না করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতনা তা আমি অন্তত, একবারও বলিনি। আর যা বলেছি তা তো লেখাই আছে :)
  • a | 14.99.89.121 | ১৭ জুন ২০১১ ২০:২১465731
  • সিকি, আমার Date:09 Jun 2011 -- 08:25 PM
    এর প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলুমনা। (লোকজন পুরনো প্রশ্নসব ঝালিয়ে নিচ্ছেদেখে আমারোমনে পড়ল)
  • lcm | 192.12.84.112 | ১৭ জুন ২০১১ ২১:৪০465732
  • নাহ্‌! দুটো কথা বলতে গেলুম -
    ১) ভারত বাংলাদেশের ওপর দাদাগিরি করে নি
    ২) ভারত অন্য রাষ্ট্রের ওপর দাদাগিরি করে - এই দাবী অনৈতিহাসিক

    বালতি বালতি জল ঢেলে ধুয়ে দিল...। অ্যান্টিএস্‌ট্যাবলিশমেন্ট সুরে কথাবার্তা না বললে গুরুতে ধুয়ে মুছে সাফ।
  • rupankar sarkar | 116.203.129.149 | ১৭ জুন ২০১১ ২২:৪৫465733
  • শ্রীমতি প্রতিমা দত্ত-র লেখাটির ওপর কেউ কিছু বলুন প্লীজ।
  • r2h | 67.96.80.214 | ১৯ জুন ২০১১ ১০:২২465736
  • আবার, রিকন্সিলিয়েশন সম্পর্কেও দুকথা।
    যুক্তি বুদ্ধি ইত্যাদি দিয়ে দেখলে রিকন্সিলিয়েশন কাম্য, অস্তর্থক চিন্তা বা অনুভূতি দিয়ে ইতিহাস নির্মান তো ভালোই। কিন্তু ঐতিহাসিক কারনেই সেটা বোধয় খুব বাস্তব সম্ভাবনা, এমনকি বিনাশর্তে উচিত আকাঙ্খাও নয়। দূরে দাঁড়ানো তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যতটা সহজ, দেশ, গ্রাম শহর ভাষা সূত্রে লক্ষ লক্ষ আত্মীয়ের বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে রিকন্সিলিয়েশন, ক্ষীণ দুর্বলতা না প্রতিপন্ন হয়। নিপীড়ক রাষ্ট্রের ক্ষমা প্রার্থনা, অপরাধ স্বীকার ইত্যাদির অপেক্ষায় না থেকে। এই ঘৃনা থেকে মুক্তি পেতে হলে ইতিহাসবিস্মৃত হতে হয়, যে ইতিহাস অত্যন্ত ব্যাক্তিগত, অত্যন্ত নিকট গন্ডীর মধ্যে প্রকট, যে ইতিহাসের দাগ এখনো দৃশ্যমান।
    রিকন্সিলিয়েশন কাম্য, কিন্তু শর্তনিরপেক্ষ নয়, আর নিপীড়নের ইতিহাস নিয়ে যখন সন্দেহের অবকাশ নেই, আমি কারন, মাত্রা, উস্কানি, দাদাগিরি ইত্যাদির আখ্যান উপেক্ষা করে নিপীড়িতের বক্তব্যকে বেশী গুরুত্ব দেওয়ার জন্যে চীৎকার করবো।

    আরো পাঁচকথা লেখার বোধয় আছে, কিন্তু কিঞ্চিৎ অফলাইন উস্কানী ও টুকিটাকি সম্পর্কিত পাঠ্য বিষয় পেয়ে যাওয়াতে লিখে দিলাম।

    রিকন্সিলিয়েশনের জন্যে নিপীড়ককে ক্ষমা করতে হবে, কিন্তু তার আগে ক্ষমা চাওয়াটা প্রয়োজন, না হলে তো সেটা মেনে নেওয়া, বা চোখ বুঁজে, ইতিহাসকেই উপেক্ষা করা হয়। আর আমার অনেকখানি ইতিহাসবিমুখতা এর সঙ্গে নাও যদি মেলে, আবেগের জায়গা থেকে এ আরোই অসম্ভব।

    হলে ভালো হতো, উপায় খুঁজে পেলে ভালো, কিন্তু তা ঐ, ক্ষীণ দুর্বলতা বা ইতিহাসবিস্মৃতি বা মৃতদেহের স্তুপ কে উপেক্ষা করে না হওয়াই কাম্য।
    এই কিন্তু গুলোই জুড়বার ছিল।
  • kc | 194.126.37.78 | ১৯ জুন ২০১১ ১০:৫৬465737
  • শক্তি দত্ত রায়ের লেখা গুরুচন্ডালির পাতায় দেখে চমকেই উঠলাম। কবিতা নয়, আস্ত একখান গল্প। আমার এক প্রিয়জনকে লেখাটার কথা আর লেখিকার নাম করতেই তিনি তাঁর স্মৃতির ঝাঁপি একটু খুললেন। অনেকদিন আগেকার ত্রিপুরার গল্প। তাঁর নিজের কাছে থাকা মিনিপত্রিকা, যেখানে প্রথম ছাপা হয়েছিল লেখিকার একটি কবিতা, নাম ছিল কবিতাটির "" মরূপ''। রাধার ভূমিকায় তাঁর অভিনয়প্রতিভা। মিনি পত্রিকাটির কপি লেখিকা তাঁর স্বভাবঅগোছালতার কারণে নিশ্চয় হারিয়েছেন। সন্তানেরা এই অধমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বয়ো:বৃদ্ধদের একটা রিইউনিয়ন হলেও হতে পারে।

    শ্রীমতি দত্ত রায় ভাল থাকুন। তিনি আরও লিখুন। হ্যাঁ গল্পও।
  • shakti datta roy er thikaanaa | 67.96.80.214 | ১৯ জুন ২০১১ ১১:২৬465738
  • :) [email protected]
  • siki | 122.162.75.163 | ১৯ জুন ২০১১ ২২:৪৬465739
  • এতক্ষণে খুঁজে পেলাম।

    অয়ন, তোমার নাদান বালকসুলভ প্রশ্নের উত্তর অন ডিম্যান্ড দিতে আমি অপারগ। তুমি ৯ জুন পরবর্তী পোস্টেই লিখেছিলে তুমি আর এই তর্ক আর তার actorদের বিষয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছো, তাই আমিও আর কথা বাড়াই নি। ক্লান্তি লাগে তোমার প্রশ্নের উত্তর লিখতে।

    তবু লিখি।

    ১। দেশকে গাল দেবার জন্যে কি দেশের সম্পাদকের নাম জানার খুব দরকার হয়? আনন্দবাজারকে গাল দেবার জন্যে কি অভীক সরকারের নাম জানাটা খুব জরুরি?

    গুরুচন্ডালির সম্পাদকীয় টিমে পাই নেই। বাজারচলতি "সম্পাদক', "ম্যাগাজিন', "সম্পাদকীয় টিম', "সম্পাদকমণ্ডলী' বলতে যা বোঝায়, তার সাথে গুরু খাপ খায় না। সৈকত এই সাইটের ডেভেলপার, তথা সম্পাদক। বিভিন্ন বিভাগের কাজকর্ম সৈকতের একার পক্ষে করা সম্ভব হয় না, তাই আমরা অনেকেই সৈকতকে সাহায্য করি। লেখা বাছাই, সেটাকে বাংলাপ্লেনে কনভার্ট করা, আপলোড করা, মিলিয়ে মিশিয়ে আমরা করি। গুরুতে লেখা না-লেখা অনেকেই করে। নিয়মিত এবং অনিয়মিতভাবে। আমি ও পাই তাদের মধ্যে দুজন। এখন তার মানে যদি হয় আমি বা পাই সম্পাদকমণ্ডলীতে আছি, সেটা মনে করে যদি তোমার আমাদের গাল দিতে সুবিধা হয়, তো দাও। নয় তো সৈকতকেই গাল দাও। তেড়ে কষে দাও।

    ২। বুবুভা ইত্যাদি বিষয়ে মতামত দেবার জন্য আছে টইপত্তরের বুলবুলভাজা থ্রেড। পুরো টইপত্তরের মতই এটাও আনমডারেটেড। এই এখন যেখানে আমার লেখাটা পড়ছো। এখানেই। প্রাণ খুলে গালাগাল দিতে পারো, কেউ আটকাবে না।

    আশা করি বোঝাতে পারলাম। না বুঝলে বোলো, আরেকবার চেষ্টা করে দেখব।
  • a | 208.240.243.170 | ২০ জুন ২০১১ ০১:০২465740
  • শমীকবাবু, আপনি যেটা বলছেন, সেটা আইডিয়াল সিনারিও, খুব ভালো লাগল জেনে যে এইভাবে গুরুর কাজকর্ম হয়।

    আমি অন্তত এর এই মানে করলাম যে x একটা লোক/মহিলা যিনি লেখা বাছাই করেন, কিন্তু যদি সেই লেখা সম্পর্কে কোন প্রতিবাদ ওঠে তখন সেই দায় নিতে বাধ্য নন। অথচ প্রয়োজনে তিনি স্বনামে বা বেনামে এই বিষয়ে পূর্ণ মতামত দিতে পারেন!!!

    হাস্যকর বল্লেও কম বলা হয়।

    দেশে বা আনন্দবাজারের প্রসঙ্গ তুল্লেন যখন, তখন বলি, কোনদিন সাগরময় বাবুকে স্বনামে কোন লেখা ডিফেন্ড করতে দেখেছেন, প্রকাশের ১-২ বছরের মধ্যে? না সম্ভবত:। কারণ সম্পাদক হলে কিছু দায় নিতেই হয়, আর সেটা স্বীকার করার গাটস থাকতে হয়।

    আপনার একটা লাইন তুলি:
    ,
    আমার ২য় প্রশ্নটা এর রেস্পেটে করা, বুবুভা হল মডারেটেড সেকশন, সেখানে আমি কিভাবে সম্পাদকের সাথে ডায়লগ চালাব বুঝলাম না। যথা, কল্লোলদা আর বিপ্লববাবু সম্পাদকের মতামত চেয়েছেন টইতে, তো তার উত্তর দেবার দায় কার?

    আসলে কি জানেন, আপনি যেমন আছেন শুরু থেকে, আম্মো আছি প্রায় তখন থেকেই। তাই প্রশ্ন হাজার আছে, কিন্তু উত্তর দেবার মানসিকতা আপনাদের নেই এটা এখন সবাই জানে। সুতরাং গুডলাক টু ইয়োর ড্যাম সাইট!!!
  • r2h | 67.96.80.214 | ২০ জুন ২০১১ ০১:৩০465741
  • একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। আমি বোধয় 'সবাই" এর মধ্যে পড়িনা। তার মানে কি আমি ৫? নাকি গুরুতে ৫? কূট চিন্তা।
  • siki | 123.242.248.130 | ২০ জুন ২০১১ ১০:৫৯465742
  • অয়নবাবু,

    "গুডলাক টু ইয়োর ড্যাম সাইট' বক্তব্যের মাধ্যমে এতদ্বারা কি আপনি বোঝাতে চাইলেন যে আপনি আর এই সাইটে কোনওদিন পা-ই রাখবেন না? যেমতি অনেক লোকই রেগে গিয়ে এমতি স্ট্যান্স নেয়? মানে ঐ দীপ্তেন্দার রুলবুকে যে রকম লেখা আছে?

    যদি তাই হয়, তাইলে গুড লাক টু আপনাকেও, কোনও কথা নাই, মন ভালো হলে, রাগ কমলে আবার আসবেন, তখন কথা হবে।

    আর যদি তা না হয়, আপনি কথা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক হন, তাইলে আমার প্রতি-বক্তব্যগুলো পয়েন বাই পয়েন করে সাজিয়ে দিই।

    আপনার কালকের ১:০২ নাগাদ করা পোস্টের জবাবে --

    ১। যদি গুরুর প্রথম দিন থেকেই গুরুর চরিত্র ফলো করে এসে থাকেন, তা হলে এটা নিশ্চয়ই জানেন, গুরুতে "লেখা বাছাই' ব্যাপারটা কীভাবে করা হয়। অনেকবার এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই নন্দীগ্রামের আমল বা তারও আগের সময় থেকে। যদি মনে না থাকে, তা হলে আমি আরেকবার ঝালিয়ে নিই: "গুরুতে বুলবুলভাজা সেকশনে প্রায় সমস্ত ধরণের লেখাই পাঠানো যেতে পারে। নিতান্ত খাজা না হলে সে লেখা তুলে দেওয়া হয়। এখন, সেই লেখা নিয়ে যদি কারুর কোনও বিরুদ্ধ বক্তব্য থাকে, লিখে পাঠিয়ে দিন গুরুচন্ডালির ঠিকানায়, নিতান্ত খাজা না হলে সে লেখাও তুলে দেওয়া হবে।'

    "নিতান্ত খাজা'র সঠিক মাপকাঠি আমাদের কারুর কাছেই নেই। তবে খাজার খাজাত্ব নির্ধারণ করার সময়ে আমরা মোটামুটি বাক্য গঠন, লেখাটির পাঠকের সঙ্গে কমিউনিকেশন করতে পারার সামর্থ্য ইত্যাদি বিচার করে থাকি। খিল্লিমূলক থেকে গুরুগম্ভীরতম টপিক সমস্তই আমরা পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবার চেষ্টা করি, নিতান্তই পাতে দেবার অযোগ্য না-হলে। বাকি কাটাছেঁড়া পাঠকেরাই করেন। কোনও লেখা সিলেকশন বা রিজেকশনের সময়ে আমরা লেখাটির রাজনৈতিক রং দেখি না, কোনওভাবেই নয়। জয়দেব বসু আর সৌমিত্র বসু একইসঙ্গে শোভা পায় কেবলমাত্র গুরুচন্ডালীর পাতাতেই।

    সিপিয়েমকে ব্যাশিং বা তৃণমূলকে ব্যাশিং যখন করা হয় সেটা করা হয় ভাটিয়ালি বা টইপত্তরে, সেটা আনমডারেটেড সেকশন। সেখানে কেউ সম্পাদক নয়, কেউ নীতিনির্ধারক নয়। খুব আপত্তিজনক শব্দ না টাইপ করা হলে কখনও কোনও লেখা ইরেজ করে দেওয়া হয় না। সুতরাং সেখানে ব্যক্তিমানুষ, ইন্ডিভিজুয়াল তার নিজস্ব মতামত রাখতেই পারে, তাতে কোনও মহাভারত অশুদ্ধ হয় না। তার সেই "মানসিকতা'র প্রভাব কোনওভাবেই মডারেটেড সেকশনের লেখা সিলেক্ট করর সময়ে ব্যবহৃত হয় না। সেটা আজকাল বা গণশক্তি বা জাগো বাংলা টাইপের পত্রিকার নীতি হতে পারে, গুরুচন্ডালীর নয়।

    ২। কোনও লেখা সম্পর্কে যখন প্রতিবাদ ওঠে তখন কেউ তার দায় নিতে অবাধ্য হয়েছেন, এমন কোনও ইনস্ট্যান্স কি পাওয়া গেছে? প্রতিবাদ জানানোর জন্য যখন খোলা আনমডারেটেড পাতা বেছে নিয়েছেন, সেখানে সম্ভাব্য উত্তরদাতারও সম্পূর্ণ রাইট আছে উত্তর না দেওয়ার, পাতি ইগনোর করার। আপনার যেমন সম্পূর্ণ রাইট আছে রেগে গিয়ে "গুড লাক টু ইয়োর ড্যাম সাইট' বলার। আমি যে এই এতগুলো লাইন লিখছি, আমারও সম্পূর্ণ রাইট আছে কিছুই না লিখে আপনাকে সম্পূর্ণ ইগনোর করার, কিন্তু করছি না আপাতত। যতক্ষণ পারব কথাটা চালিয়ে যাবার চেষ্টা করব।

    মডারেটেড সেকশনে বেরনো কোনও লেখার সম্পর্কে আপনার প্রতিবাদ আপনি কি কখনও [email protected] বা [email protected] ঠিকানায় অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করেছেন? সেখান থেকে কি রিপ্লাই মেলে নি? প্লিজ টাইমস্ট্যাম্প সমেত সেই মেলের কপি এখানে প্রকাশ করুন, এ রকম কিছু হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দু:খিত। চেষ্টা করা হবে যথাশীঘ্রসম্ভব আপনার প্রতিবাদ অ্যাড্রেস করার।

    ৩। সাগরময়বাবুর কেসটা ঠিক বুঝলাম না। এমন তো কোনও কথা হয় নি যে গুরুচন্ডালি দেশ বা আনন্দবাজারের মডেল ফলো করে চলবে! সাগরময়বাবু "প্রকাশের ১-২ বছরের মধ্যে' কোনও লেখা ডিফেন্ড করেন নি তার কারণ হয় তো করার দরকার পড়ে নি। সম্পাদক হতে গেলে কিছু দায় নিতে হয়, একদম ঠিক। গুরুচন্ডালীর সম্পাদক ঠিক কোন জায়গাটায় তাঁর দায় অস্বীকার করেছেন, গাট্‌সের অভাব দেখিয়েছেন একটু জানাবেন? সম্পাদক যখন যেখানে দরকার হয়েছে সেখানে সম্পাদকের টুপি মাথায় চড়িয়ে তাঁর বক্তব্য বলেছেন, যখন যেখানে ইচ্ছে হয়েছে, সেই টুপি সরিয়ে পাতি পাবলিকের টুপি পরে পাতি ভাট দিয়েছেন, খিল্লি করেছেন, ও পোবোন্ধো লিখেছেন।

    একটা বেসিক তফারেন্স কী জানেন, সাগরময় ঘোষ, অভীক সরকার, অশোক দাশগুপ্ত ইত্যাদিদের সঙ্গে গুরুর সম্পাদকের? ... ঐ সমস্ত পত্রিকার সম্পাদকেদের সেই সম্পাদকের চেয়ারটাই চাকরি, সেই কাজটা করার জন্য তাঁরা পয়সা পেতেন, পান, পেয়ে থাকেন। আমাদের গুরুর সম্পাদকের কিন্তু গুরুর সম্পাদনাটা ফুলটাইম চাকরি নয়। তিনি অন্য একটা চাকরি বাকরি করে রুটি মাখন রোজগার করেন, ঠিক যেমন আমি করি, আপনি করেন। এখানে ভাটাতে আসা প্রায় প্রতিটা মানুষ করেন। গুরুতে আমরা আসি, হাসি, রেগে যাই, তক্কো করি, জাস্ট বাংলা ভাষাটাকে ভালোবেসে, আমাদের নিজস্ব অক্সিজেনটুকু খুঁজে নিতে। এখানে সম্পাদনা করার জন্য, লেখা বাছার জন্য কেউ পয়সা তো পায়-ই না, এমনকি সময়ও পায় না। অফিসের কাজের সময় চুরি করে, ঘরে সংসারের সময় চুরি করে, কীভাবে যে সময়ে সময়ে একেকেটা লেখা ঝাড়াই বাছাই প্রুফ রিডিং এডিটিং করে সময়মতো তুলে দেওয়া হয় গুরুর পাতায়, সেটা যারা করে, কেবলমাত্র প্যাশন থেকেই করে। এর ওপরে থাকে অফিসে কাজের চাপ, লেট সিটিং, নাইট আউট। সব সামলে তারপরে পাতার পর পাতা টইপত্তরের পোস্ট ব্যাকট্র্যাক করে প্রশ্ন খুঁজে তার উত্তর লেখার ধকল অনেক সময়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। এটা কেবল সম্পাদক নয়, যে কারুর ক্ষেত্রে সত্যি। রোজ এতশত পোস্ট পড়ছে সমস্ত থ্রেডে, কীভাবে সম্ভব কে কোথায় অনুযোগ করল তার খতিয়ান রাখা? যদি একটা নির্দিষ্ট চ্যানেলে এগিয়ে দিতে পারেন আপনার অনুযোগ, যেমন ওপরে লিখলাম, ইমেলের মাধ্যমে, তা হলে সেটা ট্র্যাক রাখা অনেক সহজ হয়, সময়মতো উত্তরও দিয়ে দেওয়া যায়।

    আমিও এত লম্বা লেখা লিখে ফেললাম আপিসের অনেকটা সময় নষ্ট করে। আপনিও পড়বেন, অনেকটা সময় নষ্ট হবে। তার চেয়ে কাটান দিন। অবসরে পড়বেন, সময় করে উত্তর লিখবেন, নইলে গুড লাক টু ইয়োর ড্যাম সাইট বলে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন, দীপ্তেন্দার রুলবুকের মত। :-)
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২০ জুন ২০১১ ১২:৫০465743
  • আম্মো কি ৫ ? নাকি 'সবাই' ৫ ? রহস্য ক্রমে ঘনীভূত হইতেছে ।
  • I | 14.99.64.42 | ২০ জুন ২০১১ ১২:৫৬465744
  • ৫-এর কেসটা কী?
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২০ জুন ২০১১ ১৩:০৩465745
  • ৫ এক প্রাচীন অরণ্য প্রবাদ ।
    শোনা যায় আম আদমি ৯৫, প্রকৃষ্ট আঁতেল ৫ ।
    ৫ আদতে এলিট, প্রান্তিক, অ্যাবোরিজিনাল জনগোষ্ঠীর প্রতীক । মূলস্রোতের বাইরে ।
    ক্ষেত্রবিশেষে 'সবাই'-এরও বাইরে ।
  • siki | 123.242.242.16 | ২০ জুন ২০১১ ১৩:১৬465747
  • এইবারে বুঝলাম! মানে, মনে পড়ল।

    আমি এতক্ষণ ছাগলের পাঁচ নম্বর বাচ্চা ভেবে টেবে ছন্দ মিলছে না ক্যানো বলে হাঁফিয়ে মরছিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন