এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে: আঁধার মাণিক্যের দেশে

    Samik Mukherjee
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০১০ | ৩৪২৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 122.172.54.197 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ২০:৫৮459009
  • দেখিস তো, ক্যালাস না কেনে?
  • Lama | 203.99.212.53 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ২১:০১459010
  • অন্য দোকানে যদি চাকরি করতাম, তাহলে ক্যালাতাম। এখানে ক্যালালে এইচ আর এর কানে চলে যেতে পারে।
  • Nina | 64.56.33.254 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ২৩:১৯459011
  • লামা, বেশ করে কম্বলে আপাদ-মস্তক বুনুটাকে জড়িয়ে তাপ্পর ক্যালাও---গায়ে দাগ হবেনি আর এইচ আরও কিচু কত্তে পারবেনি--
  • pi | 128.231.22.87 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ০১:৫৭459012
  • কিন্তু তাতে করে তো ক্যালানির কোনো এফেক্ট ও হবে নি । আমাকে কম্বল বেঁধে পেটালে মনে হয় আরাম ই লাগতো। অনেকগুলো সোয়েটারের উপর মার খাবার একটা দুটো এক্সপেরিয়েন্সকে কম্বলে এক্সট্রাপোলেট করে বলছি। বুনানের কী হবে অবশ্য জানিনা। একটা ট্রায়াল ক্যালের পর লামাদা আর বুনান দুজনেই আমাদের জানাক।
  • Tim | 198.82.30.188 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ০২:০১459013
  • লামাদা নিজের আপাদমস্তক কম্বল জড়িয়ে বুনুকে ক্যালালেই সমস্ত দিক বজায় থাকে।
  • Tim | 198.82.30.188 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ০২:০৫459014
  • আন্দামান ভ্রমণের টই ক্যালাকেলির টইতে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। তাচ্চে শমীক লেখাটা শেষ করুক। তাপ্পর ক্যালাকেলি হবে।
  • pi | 128.231.22.87 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ০২:০৮459015
  • হুম। তাছাড়া এটা ক্যালাকেলি না, কোলাকুলির মরশুম।
  • til | 210.193.178.129 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ০৬:২৯459016
  • ক্যালানো শব্দটা দেখছি জাতেউঠেছে! আম্মো ছোটবেলায় এর অন্য মানে জানতুম!
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১০:০৬459017
  • পাই বোধ হয় কম্বল ধোলাই টার্মটা শোনে নি। ওটা এক বিশেষ ধরণের পুলিশি মার। শরীরের ভেতরে রক্ত জমে যায়, বাইরে থেকে টের পাওয়া যায় না।

    কল্লোলদা বলতে পারবে ভালো।

    গল্প শেষ করছি, আগে পরের দিনের ছবির ক্যাপশনগুলো বসিয়ে নিই।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১১:১১459019
  • নর্থ বে-র ছবি নিয়ে কাল একটা প্রশ্ন করেছিলাম। কেউ কি বলতে পারবে?

    চতুর্থ দিনের ছবি ২৫১ থেকে ৩৫০। বিবরণ আসছে পরে।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১২:১৪459020
  • লাইটহাউসে ভরপেট খেয়ে এসে কোনও কথা নয়, লাইট নিভিয়ে ঘুম। পরদিন যাবো বারাটাং আইল্যান্ড, মাড ভলক্যানো আর লাইমস্টোন কেভ দেখতে। আর যাওয়া হবে জারোয়াদের রিজার্ভ ফরেস্টের ভেতর দিয়ে। কাল জলে নামার নেই, তাই জামাকাপড়গুলো না শুকোলেও চলবে। কিন্তু বাস আসবে ভোর চারটেয়। অনেক দূরের রাস্তা। মানে, ভোর তিনটেয় উঠে রেডি হতে হবে। রাস্তায় ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চ দেবে। সন্ধ্যেবেলায় ফেরৎ।

    -- ** -- ** --
    রবিবার, ১১ অক্টোবর, চতুর্থ দিন

    অ্যালার্মের শব্দে ভোরবেলায় ঘুম ভাঙল। ধীরেসুস্থে তৈরি হয়ে গেলাম, পৌনে চারটে নাগাদ আমরা হোটেলের নিচের তলায়। চারটেতেই বাস এল। বিরাট লাক্সারি বাস। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে বারাটাংয়ের দূরত্ব প্রায় ১১০ কিলোমিটার। মাঝে এক জায়গায় ফেরিতে সমুদ্র পার হতে হবে।

    বাসের ভেতরটা বেশ কোজি। জুত করে বসে, কন্যেকে কোলে নিয়ে অবার ঘুমিয়ে গেলাম। কিন্তু বেশিক্ষণ ঘুমনো হল না। আন্দামান যেহেতু অনেক পূর্বে, তাই এখানে সূর্যও ওঠে অনেক তাড়াতাড়ি। পাঁচটার মধ্যে বেশ পরিষ্কার আলো ফুটে গেল। ঘুমও ভেঙে গেল। বৃষ্টি কালও সারারাত ঝরেছে, এখনও থামার নাম নেই।

    পৌনে ছটার মধ্যে বাস এসে দাঁড়াল একটা চেকপোস্টের সামনে। সামনে একটা ফরেস্ট শুরু। এখানেই জারোয়ারা থাকে। জিরকাটাং রিজার্ভড ফরেস্ট। এখানে জাস্ট দুটো গুমটি চায়ের দোকান, একটা হিসিখানা। আমাদের আগেপিছে অনেক বাস, টাটা সুমো, কোয়ালিস, ইত্যাদি দাঁড়িয়ে আছে। সবাই পারমিট নিচ্ছে সামনের চেকপোস্ট থেকে। আমরা ছাতা মাথায় গিয়ে হাল্কা হয়ে এলাম।

    এর আগে তিন চারটে ট্র্যাভেলগে এই ট্রিপ নিয়ে পড়েছি, অজানা কিছুই নেই, তাই জানি যে, এখান থেকে সমস্ত গাড়ি ছাড়বে সকাল সোয়া ছটায়, কনভয় হিসেবে যাবে। পুরো জঙ্গলের প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নো ওভারটেকিং। স্ট্রিক্টলি নো-নো। রাস্তায় অনেক জারোয়া দেখা যাবে, এরা ভীষণভাবে চায় সভ্য মানুষের সঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করতে, কিন্তু সরকারের তরফে এদের এথনিক পিওরিটি বজায় রাখার জন্য এদের জঙ্গলের বাইরে আসতে দেওয়াও হয় না, তথাকথিত সভ্য মানুষকেও এদের সাথে মিশতে দেওয়া হয় না। জারোয়াদের ছবি তোলা বারণ, অবশ্য তুললেও কেউ দেখতে যাচ্ছে না, কিন্তু নন-স্টপ গাড়ি চলছে, তাতে ছবি তোলা খুব মুশকিল।

    অনেক যুগ কেটে গেছে। জারোয়ারা আর নরখাদক নেই। এখন তারা ভীষণভাবে চায় সভ্য মানুষের সাথে মিশতে। দিনে দশ বারোবার কনভয় পাস করে তাদের পাড়ার ভেতর দিয়ে, লোকে ছুঁড়েও দেয় উচ্ছিষ্ট খাবারের প্যাকেট, কাপড়, ঝিনুকের মালা, তাতে জারোয়াদের সভ্যসমাজের প্রতি লোভ বেড়ে যায় আরো। যদিও এসব করা বারণ, কিন্তু ভারতীয়দের তো বেসিক নেচারই যেটা বারণ, সেটাই বেশি করে করা। জারোয়ারা জঙ্গলেই স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনযাপন করে, শিকার করে বুনো শুয়োর, জঙ্গলের ফল ইত্যাদি খায়। জায়গায় জায়গায় পিডব্লুডির নোটিসবোর্ড লাগানো, পুরো জঙ্গল ধরে পাকা পিচরাস্তা, সভ্যতার থেকে দূরে রাখতে চাইলেই কি দূরে রাখা যায়? জারোয়ারা তাই কিছু কিছু হিন্দি কথা শিখে গেছে। "পান দো', "খানা দো', "কাপড়া দো'। কিন্তু সভ্যতা বলতে আরও যা কিছু আমরা বুঝি, তা শেখে নি। খাবারের প্যাকেট কুড়োতে তারা চলন্ত গাড়ির চাকার সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগলে যে তার কী হতে পারে, সেই বোধ নেই।

    এইভাবে জোর করে একটা কমিউনিটিকে, কেবলমাত্র তাদের এথনিক পিওরিটি ধরে রাখবার দোহাই দিয়ে সভ্য সমাজের কাছ থেকে ডিটাচ করে রাখার ব্যাপারটা একটা ডিবেটেব্‌ল টপিক হতে পারে। কিন্তু সরকারের এটাই স্ট্যান্ড। এই সবের জন্যেই ঐ ফরেস্টের মধ্যে গাড়ির জানলা খোলা নিষেধ, জারোয়াদের দিকে খাবারের প্যাকেট ছোঁড়া নিষেধ।

    জঙ্গলের পথে গাড়ি গড়াবার দশ মিনিটের মধ্যেই দেখা হয়ে গেল প্রথম তিনটি জারোয়াদের সঙ্গে। মিশমিশে কালো গায়ের রং, স্পষ্ট আফ্রিকান চেহারা, আপাদমস্তক একটা কারুর বাতিল করা রং জ্বলে যাওয়া খাকি শার্ট প্যান্ট পরে ঐ বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, কনভয়ের দিকে হাত পেতে। মুখে আওয়াজ, খানা দো, কাপড়া দো। রাস্তার অন্য ধারে আরো দুজন জারোয়া, তাদের খালি গা, পরণে বার্মুডা, গলায় ঝিনুকের মালা আর পুঁতির মালা। আলো ঠিকরোচ্ছে বার্নিশ করা কালো শরীর থেকে।

    আরও আধঘন্টা পরে এক দঙ্গল জারোয়া দেখলাম। ছেলে মেয়ে বড় বাচ্চা নির্বিশেষে সবাই উলঙ্গ, কারুর কারুর কোমরে হাফপ্যান্ট বা হোগলাপাতার আচ্ছাদন। একজন তো সামনের একটা টাটা সুমোর জানলা ধরে ঝুলে পড়ল, কেউ নিশ্চয়ই খাবার ছুঁড়েছিল ওখান থেকে। ড্রাইভার চলন্ত অবস্থাতেই এক থাবড়া মেরে ছাড়ালো, পরক্ষণেই আমাদের বাস বিশাল একটা ব্রেক কষল, এক জারোয়া মেয়ে ছুঁড়ে দেওয়া কলার ছড়া কুড়োতে এসে পড়েছিল একেবারে বাসের সামনে।

    যাত্রাপথে অনেক অনেক জারোয়া দেখলাম। এক জায়গায় এক দঙ্গল মেয়ে, কারুর পরণে কাপড় নেই, কেবল একটা মেয়ে টকটকে একটা লাল নাইটি পরে আছে।

    ছবি তোলার ইচ্ছে হয় নি। জংলি একটা কমিউনিটির আবরণহীনতাকে চিড়িয়াখানায় দেখা জন্তুর মত ক্যামেরাবন্দী করে সভ্য সমাজের সামনে রিপ্রেজেন্ট করার মানসিকতা আমার নেই।

    অবশেষে বেলা আটটায় শেষ হল আমাদের জার্নি, সমুদ্রের ধারে এসে। সামনে একটা মিনি জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের বারাটাং নিয়ে যাবে। কনভয়ের সামনে ছিল দুটো আন্দামান নিকোবর স্টেট ট্র্যান্সপোর্টের বাস। তারা দিব্যি পরপর গড়গড়িয়ে চড়ে পড়ল জাহাজের ডেকে। জাহাজের ওপরে বসার জায়গা। আমরা খাড়াই সিঁড়ি বেয়ে চড়ে পড়লাম জাহাজের দোতলার কেবিনে।

    আবার জলের হাইওয়ে, দুপাশে ম্যানগ্রোভের বন। কুড়ি মিনিটের মধ্যে এসে পড়লাম বারাটাং।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১২:৫৫459021
  • জিরকাটাং অনওয়ার্ডস আমাদের মোবাইল মৃত। ওখানে কেবল বিএসএনএলের টাওয়ার আছে, আর কারুর নেই।

    বারাটাংয়ে একটা জিপ নিয়ে গেল মাড ভলক্যানোর সাইটে। যেখানে দাঁড়ালো, সেখান থেকে তিনশো মিটার চড়াই রাস্তা পেরিয়ে ভলক্যানোর সাইট। ২৮৩ নম্বর ছবিতে এর ইতিহাস দেওয়া আছে ছোটো করে। ২০০৩-এ এটা প্রথম আবিষ্কার হয়, সেদিনকার এক্সপ্লোশনে একটা গোটা গ্রাম তলিয়ে গেছিল। আগুন নয়, এই ভলক্যানো থেকে বেরোয় প্রচুর ন্যাচারাল হাইড্রোকার্বন গ্যাস। বারাটাংয়ের এই অংশটা আসলে একটা লাইভ ভলক্যানো।

    ক্রেটারের চারদিকটা বাঁশের ব্যারিকেড করে রাখা। চারদিকে ঘিরে রেখেছে তালগাছের জঙ্গল। ব্যারিকেডের ভেতরে থিকথিকে কালচে কাদার মধ্যে ঐ যে একটুখানি জলভরা গর্ত দেখা যাচ্ছে, ওটাই ক্রেটার। তাকিয়ে থাকো সোজা, দেখবে প্রতি পনেরো সেকেন্ডে একটা করে বাব্‌ল উঠছে ভেতর থেকে। ওখানে কিছু সিসমিক যন্ত্রপাতি লাগানো আছে, ঐ ভলক্যানোর নেচার স্টাডি করে ভূমিকম্প বা সুনামির আগাম খবর জানবার চেষ্টা করা হয়।

    বারাটাংয়ের জেটিতে আবার ফিরে এলাম যখন, তখন বাজে পৌনে দশটা। এইবার বেশ খিদে পেয়েছে। এখান থেকে স্পিডবোট নিয়ে যাবে লাইমস্টোন কেভের সাইটে। স্পিডবোটে চাপতেই আমাদের ধরিয়ে দেওয়া হল ব্রেকফাস্টের প্যাকেট। প্যাকেট খুলে আমরা তো উল্লসিত। ওতে আছে টিপিকাল বাঙালি স্টাইলে ভাজা পাঁচটি লুচি আর ঘুগনি। সাথে নরকোলের চাটনি, ঐ ধোসার সাথে যেটা দেয়।

    কুড়িজন ছিলাম স্পিডবোটে। প্যাকেট ছিল পঁচিশ তিরিশটা মত। লজ্জার মাথা খেয়ে এক প্যাকেট শেষ করে পরের প্যাকেট তুলে নিলাম আবার। দু প্যাকেট পেটের ভেতর ঠুসে, তবে শান্ত হলাম। খেতে আমি বড় ভালোবাসি :-)

    স্পিডবোট চলেছে অনেক দূর। জলপথ কখনও চওড়া হচ্ছে, কখনো সরু। দুপাড়েই ম্যানগ্রোভের বন। কমলা রঙের স্পিডবোট ঝাঁকুনিবিহীনভাবে চলেছে। জলে হাত দিতেই একজন বারণ করল। ম্যানগ্রোভ এলাকায় অনেক সময়ে কুমীর এসে পড়ে। যদিও কুমীর খাড়ির প্রাণী, মাঝসমুদ্রের দ্বীপে থাকার কথা নয়, তবুও এখানকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের জন্যই মাঝেমাঝে কুমীর এসে পড়ে, তারা এখানে বেশ অ্যাট হোম ফীল করে আর কি!

    প্রায় চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ মিনিট চলার পরে হঠাৎ বোট বাঁদিকে বাঁক নিল। আর সাথে সাথে সে কী অপূর্ব দৃশ্য!! এলোপাথারি ম্যানগ্রোভের শিকড় জল থেকে উঠে গেছে ওপরে, পরস্পরের সাথে আঁকিবুঁকি কেটেছে যথেচ্ছভাবে, আর মাঝখান দিয়ে একটা সরু জলপথ বানিয়ে ওপরে শিকড়ের তোরণ বানিয়ে দিয়েছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা এই তোরণের নিচ দিয়ে ছুটে আমরা পৌঁছলাম আরেকটা পুলের সামনে। এটাই লাইম স্টোন কেভে যাবার এϾট্র। এখান থেকে প্রায় দু কিলোমিটার ট্রেক।

    প্রথমে তো গিন্নি বলল, পারবো না, কাটিয়ে দে। তুই মেয়েকে নিয়ে চলে যা, আমি এখানে বসে আছি। খানিক এগিয়ে পেছন ফিরে দেখি, সে-ও আসছে। হুঁহুঁ বাওয়া, ইফ কত্তা ইজ দেয়ার, ক্যান গিন্নি বি ফার বিহাইন্ড?

    পুরো রাস্তাটাই বেশ দুর্গম। কোথাও ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে জল বাঁচিয়ে আল দিয়ে যাওয়া, তার পরেই উঁচুনিচু পাহাড়ি পাথুরে রাস্তা। রাস্তা জুড়ে হয় কাদা, নয় শ্যাওলা। অনেকে চটি খুলে হাতে নিয়ে খালিপায়ে যাচ্ছে, তাতেও ঝামেলা কমছে না। একমাত্র আমিই স্টেডি, কারণ আমার পায়ে উডল্যান্ডের জুতো। এতদিনে বুঝলাম উডল্যান্ড্‌স কেন এই রকম জুতো বানায়। ঘ্যামা সার্ভিস দিল।

    খুব বাজে রকমের জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হাঁটার পরে কয়েকটা ছাউনি দেওয়া জায়গা মিলল। সেখানে একটা মেয়ে বসে লেবু জল বিক্রি করছে। পার গ্লাস দশ টাকা। তিনজনে চোঁ চোঁ করে তিনগ্লাস লেবু জল মেরে দিলাম। গায়ে বল এল। খানিকক্ষণ বসে থেকে লাইমস্টোন কেভের ভেতরে ঢুকলাম।

    বিস্তারিত ইতিহাসে যাবো না। উইকি করলেই পেয়ে যাবে সব্বাই। ছোটো করে বললে ঐ স্ট্যাগলামাইট ক্যালামাইট আর কী কী সব টাইপের পাথরে তৈরি একেবারে ন্যাচারাল গুহা এটা। আগে অনেক বড় ছিল। প্রায় তিরিশ মিলিয়ন বছরের পুরনো এই গুহা। ক্রমশই চুন জমে জমে কোথাও উল্টানো পদ্মের শেপ নিয়েছে, কোথাও মানুষের নাক, কোথাও হাতি ইত্যাদি। প্রতিদিন কিছু কিছু করে জল চুঁইয়ে পড়া চুনাপাথর জমে জমে গুহার এখনকার সাইজ, মানে মানুষের অ্যাক্সেস রিজিয়ন অনেক কম। তবু তাতেই যা দেখলাম, অপূর্ব। এত কষ্ট করে এতদূর আসা, সার্থক।

    তারপর সেই রাস্তাতেই আবার ফেরৎ, স্পীডবোটের উদ্দেশ্যে।

    এখানে একটা কথা না বললেই নয়, এই প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা, কন্যে পুরোটাই নিজের পায়ে হেঁটে কভার করেছে। একবারও পিছলে পড়ে নি, হোঁচট খায় নি, পায়ে ব্যথা করছে বলে নি, কোলে নাও- বলে নি। মেয়ে আরও বড় ট্রিপের জন্য প্রায় তৈরি :) বেড়াতে গিয়ে ওকে নিয়ে সত্যি কোনও ঝামেলা নেই। আমাদের সাথেই সেই সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে উঠেছে, মাঝে বাসে একটু ঘুমিয়েছে আমাদের সাথে। এখনও ফ্রেশ।

    এর পর স্পিডবোটে করে আবার বারাটাংয়ের জেটিতে ফেরৎ। সেখানে একটা লোকাল হোটেলে আমাদের লাঞ্চের ব্যবস্থা। ম্যাগো, সে কি অখাইদ্য লাঞ্চ! একটা তো দেখলাম কাঁচকলার তরকারি, আরেকটা যে কী শাক না অন্যকিছুর তরকারি ছিল, বুঝলাম না। দুতোর কোনওটাই আমি খাই না। ডাল ভাত আর পাঁপড়ভাজা দিয়ে খেলাম কোনওমতে। জলের গ্লাসে তাকিয়ে আরো আঁতকে গেলাম। ছোট গ্লাসে জল এত ঘোলা যে গ্লাসের নিচটা দেখা যাচ্ছে না। লোকটাকে ডাকলাম। এটা কী দিয়েছো আমাদের? লোকটা নির্বিকার: হামারে নল সে তো অ্যায়সা হি পানি নিকলতা হ্যায়।

    এই প্রত্যন্ত এলাকায় সমস্ত সার্ভিসই পোর্ট ব্লেয়ার ডিপেন্ডেন্ট। তক্কো করে লাভ নেই। মেয়ের জন্য বিসলেরি রাখা ছিল, তাই খেয়েই তেষ্টা মেটালাম। কাছে একটা দোকানে দেখলাম বিসলেরির বোতল বিক্রি হচ্ছে, প্রায় দেড়গুণ দাম। একটা কিনে নিলাম।

    তারপরে আবার সেই বাস বওয়া জাহাজে করে জিরকাটাংয়ে ফেরৎ। সেখানে আমাদের বাস অপেক্ষা করছিল।

    বাস ছাড়ল বিকেল তিনটেয়। ফেরার পথেও অনেক জারোয়া আবার দেখলাম, সে গল্প আর নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্লান্তিতে চোখ বুজলাম।

    চারঘণ্টার বাসজার্নি। শ্রোতাবন্ধুদের কাছে বরং আজ অন্য গল্প করা যাক। আন্দামান নামটা কী করে এল!
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৩:৩০459022
  • পৌরাণিক লোককথা অনুযায়ী, গন্ধমাদন পর্বত বয়ে নিয়ে আসার পথে হনুমান এই দ্বীপে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেন। তিনি এত মুগ্‌ধ হয়ে গেছিলেন এখানকার সৌন্দর্যে, যে ভবিষ্যতে এই জায়গাকে তাঁর রাজধানী বানাবার প্রতিশ্রুতি দেন স্থানীয় লোকজনকে এবং লাফ দিয়ে ফেরৎ যান। সেই "হনুমান', "হন্ডুমান' "হন্ডামান' ইত্যাদি পরিবর্তিত হয়ে নাকি আজকের নাম: আন্দামান।

    আগেই বলেছি বহু বহু প্রাচীন কালে এই দ্বীপপুঞ্জ এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল। যখন থেকে মানুষ জলপথে পৃথিবী পাড়ি দিতে শুরু করেছে, তখন থেকে আন্দামানের কাছাকাছি এসেছে বহু জাহাজ, কিন্তু কেউই সঠিকভাবে এর অস্তিত্ব সম্বন্ধে কিছু জানত না। কখনও সাইক্লোনের প্রভাবে, কখনও পথ হারিয়ে, কখনও পানীয় জলের খোঁজে অনেক জাহাজ এই সব দ্বীপে চলে আসত আর এখানকার অসভ্য জংলীদের হাতে কচুকাটা হত। তারা ছিল নরখাদক। ফলে লোকমুখে নাবিকদের সোসাইটিতে এই দ্বীপপুঞ্জ সম্বন্ধে অনেক ভীতিপ্রদ কাহিনি ছড়িয়ে গেছিল, লোকে যথাসাধ্য চেষ্টা করত এই দ্বীপপুঞ্জকে এড়িয়ে চলতে।

    আন্দামান সম্বন্ধে প্রথম ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায় দ্বিতীয় শতাব্দীতে ক্লডিয়াস টলেমি-র ভ্রমণকাহিনি থেকে। তিনি একজন পর্যটক ছিলেন। তিনি বঙ্গোপসাগরের বুকে কয়েকটি দ্বীপের উল্লেখ করেছিলেন, তাদের নাম দিয়েছিলেন "আগমাটি' ...

    এর পরের উল্লেখ নবম শতাব্দীতে, কিছু আরব পরিব্রাজকের ডায়েরিতে। তাঁরা জলপথে ভারত থেকে চীন যাচ্ছিলেন, পানীয় জলের সন্ধানে এখানে এসে পড়েন ও জংলিদের হাতে তাঁদের মাঝিমাল্লা কিছু মারা যায়। বাকিরা প্রাণে বেঁচে আসে। তাঁরা লিখেছেন, "এখানকার অধিবাসীরা দেখতে অতি ভয়ংকর, রঙ গাঢ় কৃষ্ণবর্ণ, ঘন কোঁকড়ানো মাথার চুল, কুৎসিত ও ভয়াবহ মুখাকৃতি। মানুষগুলি বন্য ও নগ্নকায়, মাংসাশী জন্তুর মত শিকারের কাঁচা মাংস ছিঁড়ে খায়।'

    কেটে গেল আরও চারশো বছর। মার্কো পোলোর লেখা থেকে আরো কিছু জানা গেল এই দ্বীপপুঞ্জ সম্বন্ধে। তিনি এদের উল্লেখ করেছিলেন Angaman নামে। অধিবাসীদের সম্বন্ধে একই বিবরণ।

    ১৮৫৩ সালে মাস্টার সিজার ফ্রেডরিক মালাক্কা থেকে গোয়া যাবার পথে নিকোবরে এসে পড়েন। তিনি লিখেছেন, নিকোবর থেকে পেগু (আজকের রেঙ্গুন / মায়ানমার) পর্যন্ত অনেক ছোটো ছোটো দ্বীপ আছে, যাদের বলে land of andameons। সেই সব দ্বীপে কিছু মানুষ বাস করে যারা জাতে প্রাগৈতিহাসিক। এক উপজাতির লোক অন্য উপজাতির লোককে হত্যা ক'রে কাঁচা খায়। কোনও জাহাজ যদি ভুল করে ওখানে গিয়ে পড়ে তো কেউ প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারে না।

    আরও আগে, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে সম্রাট অশোকের সময়ে একদল হৃতসর্বস্ব বণিক সিংহল থেকে পাটলিপুত্রে ফিরে এসে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানায়। পথে এক দ্বীপে তাদের নৌবহর থেমেছিল, সেখানকার কুৎসিত উলঙ্গ কৃষ্ণকায় অধিবাসীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে অকথ্য অত্যাচার করে ও সবকিছু কেড়ে নেয়, কোনওমতে তারা প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছে। তাদের বিবরণে এই অজানা দ্বীপের নাম ছিল "আঁধার মাণিক্য'। কে জানে, এইখান থেকেই আন্দামান নামের উৎপত্তি কিনা!

    বোঝাই যাচ্ছে, বহু বহু প্রাচীন কাল থেকেই এখানে লোকবসতি ছিল যারা বাকি পৃথিবী থেকে ছিল সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। যখন সারা পৃথিবী একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে মহাদেশ থেকে মহাদেশে, লোকে আস্তে আস্তে উন্নত, আরও উন্নত হচ্ছে, তখন সারা পৃথিবের চোখের আড়ালে এইখানে কিছু উপজাতি, যারা নৃতাত্বিক হিসেবে তো হোমো স্যাপিয়েন্স, কিন্তু আচার ব্যবহার জীবন যাপনের দিক থেকে সেই প্যালিওলিথিক নিওলিথিক যুগেই পড়ে আছে, সভ্যতার সংস্পর্শে তারা এতটুকুও আসে নি, সভ্য মানুষকে এরা শত্রু ভেবে সাথে সাথে মেরে ফেলে কাঁচা খেয়ে নিত।

    ব্রিটিশরা এখানে ভেঞ্চার শুরু করে ১৭৭০ সালে। পরে ক্যাপ্টেন আর্চিবল্ড ব্লেয়ার এই দ্বীপপুঞ্জের মানচিত্র বানান। তাঁর নামেই পোর্ট ব্লেয়ার। কয়েক বছর থাকার পরে মূলত অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়া, জংলীদের আক্রমণ ইত্যাদি কারণে ব্রিটিশরা এই উপনিবেশ ত্যাগ করে। অনেক পরে, ১৮৫৭ সালে যখন সিপাহি বিদ্রোহ হল, তখন পৃথিবী আরও বেশি অ্যাক্সেসিবল হয়ে গেছে জলপথে, ব্রিটিশরা এই দ্বীপপুঞ্জের সামরিক গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে এবং আবার এখানে উপনিবেশ স্থাপনের কথা ভাবতে শুরু করে। শুরু হয় রস আইল্যান্ডে কলোনি গড়ার কাজ।

    ২৩ মার্চ, ১৯৪২। জাপানিরা ভোর চারটের সময়ে চ্যাথাম দ্বীপ আর পোর্ট ব্লেয়ার আক্রমণ করে, টেলিগ্রাফ আর বেতার কেন্দ্র উড়িয়ে দেয়, আন্দামানের দখল নেয় তারা। বহু ব্রিটিশ বন্দী হয়, তাদের বন্দী করা হয় সেলুলার জেলে। ততদিনে সেলুলার জেলের সেই ভয়ংকর সময় অতীত। ১৯৩৭ সালের পরে রাজনৈতিক বন্দীদের ধীরে ধীরে মুক্তি দেওয়া হচ্ছিল, অমানুষিক নির্যাতন তখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছিল।

    সেই স্মৃতি আবার ফিরিয়ে আনল জাপানিরা। তাদের চোখে তখন দ্বীপ অধিবাসী মাত্রেই ব্রিটিশদের চর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কাউকে ছাড়ে নি। আর চরের একমাত্র শাস্তি, মৃত্যু। মাথা কেটে, পেট ফেঁড়ে দিয়ে (হারাকিরি স্টাইল)। জাপানিরা এই সেলুলার জেলের দুটো উইং বম্বিং করে ধ্বংস করে দেয়। বাকিদের ওপর এমন অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছিল যে সেই বিবরণ পড়লে ব্রিটিশরাও লজ্জা পাবে।

    ১৯৪৪-এর ফেব্রিয়ারি মাসে নেতাজি দুদিনের জন্য এখানে আসেন। জাপানি গভর্নমেন্ট তখন আন্দামানকে আজদ হিন্দ ফৌজের হাতে তুলে দেবার কথাবার্তা চালাচ্ছে। কিন্তু কোনও সাধারণ মানুষকে নেতাজির কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয় নি। সেলুলার জেলের ত্রিসীমানায় নিয়ে যাওয়া হয় নি নেতাজীকে। ফলে জাপানিদের করা অমানুষিক অত্যাচারের কিচ্ছুটি তিনি জেনে যেতে পারেন নি।

    ১৯৪৫ এর আগস্ট মাসে পর পর দুটি অ্যাটম বোমের ধাক্কায় বিধ্বস্ত জাপান আত্মসমর্পণ করে মিত্রপক্ষের কাছে। আন্দামানের অধিকার আবার ফিরে আসে ব্রিটিশদের হাতে।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৪:১৬459023
  • দুখে কি ফাইনালি কিছু ডিসাইড কল্লেন? নাকি আরো একটু অপেক্ষা করবেন?
  • SB | 14.96.59.46 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৪৭459024
  • শমিকের লেখাতে আরেকবার নতুন করে আন্দামান ভ্রমণ হয়ে যাচ্ছে! দারুন!!
  • Nina | 64.56.33.254 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৯:২৮459025
  • এই লেখাটা সুন্দর করে গুছিয়ে একজায়গায়--একসঙ্গে করে রাখলে বড় ভাল হয়। সবদিক দিয়ে একটি চমৎকার লেখা--সঙ্গে কিছু ছবি দিয়ে---কলেকটেবল আইটেম!
    শমীক, তোমার কলম দীর্ঘজীবি হোক।

    স্বদেশীবাবুদের কম্বলধোলাই করা বৃটিশদের এক অতি কমন ব্যাপার ছিল বলে শুনেছি।

  • rimi | 168.26.215.135 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০০:০৬459026
  • শমীকের লেখাটা অসম্ভব ভালো লাগছে পড়তে। অনেক কিছু জানতে পারছি যা আগে জানতাম না। আর আন্দামান যাবার জন্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হচ্ছি ক্রমশ।

  • Samik | 122.162.75.149 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০০:৩৬459027
  • যাবে, যাবে, নিশ্চয়ই যাবে। আমি পৃথিবী দেখি নি প্রায় কিছুই, কিন্তু আমাদের হাতের কাছে ভারতের মধ্যেই যে এমন সুন্দর জিনিস আছে, এ জীবনে একবার না দেখলে বৃথা।
  • Mmu | 92.102.50.70 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০১:৪৮459028
  • SAMIK আমি কিন্তু দেখেছি আন্দামান। অপূর্ব এই দ্বীপ । না গেলে ভাবাই যায় না।
    অবশ্য আপনার লেখাটাও দারুন লাগল।
  • Tim | 198.82.28.17 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০২:০০459030
  • ক্ষি মিল ক্ষি মিল! ভাবা যায়না!
  • pi | 128.231.22.87 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০২:১৬459031
  • :))
  • rimi | 24.42.203.194 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০৯:০৬459032
  • শমীক, সত্যিই। আর সবচেয়ে ভাল লাগল তুমি জায়গাটা নিয়ে রীতিমতন রিসার্চ করেছ। সে জন্যেই লেখাটা এত ইন্টারেস্টিং।
  • Samik | 122.162.75.111 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ০৯:১৮459033
  • :-)))
  • Mmu | 92.102.50.70 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ১৭:১৩459034
  • আবার বলছি। samik- আপনি সত্যিই জিনিয়াস ।

  • Mmu | 92.102.50.70 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ১৭:২২459035
  • আন্দামান ঘোরা আর তৎসহ জারোয়া আইল্যান্ড............ ভাবাই যায় না কি অসাধারন ।
    আমি যখন গেছিলাম তখন জারোয়া আইল্যান্ড যাওয়া সম্ভব ছিলনা। তা শমিকের সালটা কত ? আমি গেছিলাম 1988 তে ।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৩২459036
  • বেথে কই? ওর সালটা বলে গেলনা! আমরা বেথের সাল জানতে বড়োই উদগ্রীব।
  • Mmu | 92.102.50.70 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৪৬459037
  • আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন , আমাদের শ্রধ্যেয় PT দা কোথায় ? উনি তো এক্কেবারে হাওয়া । উনি না থাকলে একদম জমে না। উনি কি খুবই রেগে আছেন ? নাকি অন্য কিছু। যদিও আমি অনেক দিন পরে আবার join করেছি, যাই হোক PTদা আসলে খুব ভালো লাগত।
    PT কোথায় আপনি, আসুন.................
  • Mmu | 92.102.50.70 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ২০:০৫459038
  • PT দার খোজ পেলে জানাবেন।
    কোনো tea stallএ অথবা গড়ের মাঠে অথবা নিউ মর্কেটে, কোথাও যদি দেখেন তাকে অবশ্যই বলবেন যেন তিনি আবার আসেন।
    রাগ করে চলে গেলে চলবে না, আসতে হবে তাকে ।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ২১:০৯459039
  • নিউ মার্কেটে না পেলেও মেট্রো রেলে পাবেন পিটিদাকে। :)
  • Samik | 122.162.75.185 | ২৩ অক্টোবর ২০১০ ২১:৩৮459041
  • আমার সাল? ২০১০

    :-))))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন