এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে: আঁধার মাণিক্যের দেশে

    Samik Mukherjee
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০১০ | ৩৪১৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 122.162.75.89 | ২০ অক্টোবর ২০১০ ২১:৩৩458976
  • সাতাশিটা বেস্ট কালার উঠেছে। ওটাকেই অ্যালবাম কভার করলাম তো!
  • Nina | 64.56.33.254 | ২০ অক্টোবর ২০১০ ২১:৪৭458977
  • হা হা হা হা শমীক করে ফ্যালো-- আসছিতো দিল্লীতে ১৯শে নহেম্বর পৌছুব--২৪শে যাব কলকাতা আবার ৫ই ডিসেম্বর ভায়া দিল্লী ব্যাক টু আম্রিগা।
    যতীন্দ্রনাথ আমাদের কলকাতার বাড়ীতে ছিলেনও কদিন শুনেছি। পাটনার বাড়ীতে লম্বা বারান্দায় দুপাশে অনেক মনিষীদের ছবি টাঙানো থাকত আর যতীন্দ্রনাথের ছবিটা বাবা-মার শোবার ঘরের দেয়ালে থাকত। বাবা খুবই ক্লোজ ছিলেন ওঁর সঙ্গে, একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১০:১৭458978
  • শমীক আরেকটু উস্কোলেই আমি আন্দামানে সেটল করে যাব । মাইরি ।
  • r.h | 203.99.212.54 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১০:৩৫458979
  • হুঁ, আম্মো।
    আরেকটু কম বয়সে যে এসব গল্প কেন কেউ বলেনি।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১০:৫২458980
  • ফু: । পুরুষমানুষের আবার বয়স !
  • Samik | 121.242.181.2 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১১:৩৮458981
  • যা-তা! :-))))))
  • Samik | 121.242.181.2 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১১:৪০458982
  • তৃতীয় দিনের ছবি: ১২৮ থেকে ২৫০। গল্প আজ বলব।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৫:২০458983
  • (ধারাবিবরণী: গতকালকের পর)

    স্নরকেলিংয়ের পর আবার লঞ্চে করে ফেরৎ ওয়ান্ডুরে, এবং সেখান থেকে গাড়িতে করে হোটেল।

    এদিকে হোটেলে খাওয়া আর পোষাচ্ছিল না। কোথায় ভেবে এসেছিলাম আন্দামানে নিশ্চয়ই রাস্তার মোড়ে মোড়ে তাজা মাছভাজা বিক্রি হবে, আর আমরা তাই খেয়ে পেট ভরাবো। তা এখনও পর্যন্ত কিছু তো পেলাম না। হোটেলে মাছ বলতে কেবলই সুরমই মাছ। না চিংড়ি আছে, না কাঁকড়া আছে। ধুত্তেরি!

    আন্দামানের খুব বেশি ট্র্যাভেলগ মার্কেটে পাওয়া যায় না, তাও নেটপত্র ঘেঁটেঘুঁটে কয়েকটা ট্র্যাভেলগ বের করে পড়ে ফেলেছিলাম। এটা জানি যে পোর্ট ব্লেয়ারের মূল বাজার এলাকা হল অ্যাবের্ডিন বাজার (Aberdin Bajaar)। ওখানে কিছু রেস্টুরেন্ট তো নিশ্চয়ই থাকবে। একটা অটো নিয়ে বরং চলে যাই। ... কোনও একটা ট্র্যাভেলগে পড়েছিলাম "আইসি-স্পাইসি' রেস্টুরেন্টের কথা। অটো-ওলাকে বলতেই সে নিয়ে গেল আইসি-স্পাইসিতে, বাজারে ঠিক নয় সেটা, একটু অন্যদিকে, কিন্তু নেমে ভাড়া মেটাতে গিয়ে গ্লো-সাইন দেখে বিষম খেলাম। পিওর ভেজিটেরিয়ান!!!!!!

    মুখ দিয়ে প্রায় মাতৃভাষা বেরিয়ে পড়েছিল নিজের উদ্দেশ্যে। তা অটোওলাকেই বললাম, ভাই, বাজারের দিকেই নিয়ে চলো, নন ভেজ রেস্টুরেন্ট ওখানে নিশ্চয়ই পাবো। সে মাথা নেড়ে আমাদের বাজারের ঠিক সেন্টারে, ক্লক টাওয়ার বলে একটা মোড় আছে, অনেকটা আমাদের চুঁচড়োর ঘড়ির মোড়ের মত, সেইখানে নামিয়ে দিল। সেখন থেকে চারদিকে চার রাস্তা গেছে। একে ওকে তাকে জিজ্ঞেস করে একজন মোড়ের মাথায় দেখিয়ে দিল গগন রেস্টুরেন্ট। ভেতরে মালিক কর্মচারি, সব্বাই বাঙালি। গেলাম, চিংড়ি মাছ ভাতের অর্ডার দিলাম। সাথে মাছভাজা।

    খুব শস্তার জায়গা। কিন্তু কুচো চিংড়ির ঝোল খেয়ে কি আশ মেটে? লবস্টার, কাঁকড়া রাখেন না? কর্মচারি একগাল হেসে বলল, না দাদা, ওসবের অনেক দাম, আমরা ঠিক ওসব রাখি না, আমাদের কাছে ছোট চিংড়ি পাবেন, আর এই কুকারি মাছের ভাজা পাবেন, সমুদ্রের ফ্রেশ মাছ সব ...

    মাত্র দুশো টাকার খেলাম আড়াইজনে। কিন্তু সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল। না:, ট্র্যাভেলগগুলোর প্রিন্টাউটও আনি নি, আর কোনও রেস্টুরেন্টের নামও ছিল বোধ হয়, এখন আর কিছুতেই মনে পড়ছে না।

    হোটেলে ফিরে একপ্রস্থ চেঁচামেচি করলাম, কেন আমাদের প্লাস্টিকের প্যাকেটে খাবার দিয়েছিল, ওদের তো জানা উচিত ছিল রেড স্কিনে প্লাস্টিক নিয়ে যেতে দেয় না! লোকগুলো খুব ভালোমানুষ, অনেক করে ক্ষমা চেয়ে টেয়ে জানালো, আর এমন ভুল হবে না, আসলে সকালে লোক ছিল না, এই হয়েছে, সেই হয়েছে ...

    পরদিন আমাদের থ্রি আইল্যান্ড ট্যুর। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বেরোতে হবে। লাঞ্চ লঞ্চে দেবে। সারাদিনের প্রোগ্রাম।

    ইন্টারনেটের তো বালাই নেই হোটেলে, মোবাইলের জিপিআরেস চলছিল। তাই দিয়ে মেল টেল চেক করে ঘুমোতে গেলাম।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৬:০১458984
  • -- ** -- ** --
    শনিবার, ৯ অক্টোবর, তৃতীয় দিন

    আগেরদিনের তারিখ লিখতে গিয়ে (20 Oct 2010 -- 01:17 PM)কেন মঙ্গলবার লিখেছিলাম, জানি না, ওটা ছিল শুক্রবার।

    আজকের ট্রিপ, থ্রি আইল্যান্ডস। রস, ভাইপার, আর নর্থ বে। কাল সারারাত ঝমঝমিয়ে উত্তাল বৃষ্টি হয়েছে। স্নরকেলিং করে যা যা জামাকাপড় ভিজেছে, একটাও শুকোয় নি, আজও জলে নামার কথা আছে, কন্যের সুইমিং কস্ট্যুম আর আমার নেংটিটুকু প্লাস্টিকে পুরে নিয়ে বেরোলাম। বৃষ্টি এখন হচ্ছে না, তবে আকাশের মুখ ভার।

    এজেন্ট বলল, আপনারা পৌঁছে যান, এই হল গাড়ি, জেটিতে অপেক্ষা করুন, আমি আরও একটা পার্টিকে নিয়ে ওখানে পৌঁছচ্ছি, টিকিট ওখানে দিয়ে দেব।

    পৌঁছনো গেল। জেটি বলতে, আসলে, রাজীব গান্ধি ওয়াটার স্পোর্টস কমপ্লেক্স। তার একপাশে জেটি। পৌঁছে দু-চাট্টে ফটো তুলতে-না-তুলতেই ঝেঁপে বৃষ্টি এল। কন্যের রেনকোট তো ছিল, আমরা দুজনে একটা ছাতায় কোনওরকমে মাথা বাঁচালাম।

    জেটিতে পাশাপাশি গায়ে গা লাগিয়ে চারটে লঞ্চ দাঁড়িয়ে। শুভক্ষণে আমাদের এজেন্ট এসে জানালো, প্রথম দুটো লঞ্চ টপকে আমাদের তৃতীয় লঞ্চে পৌঁছতে হবে। জলে ভাসমান অবস্থায় একটা লঞ্চ টপকে পরের লঞ্চে পা রাখা যে কী জিনিস, যে না করেছে, সে বুঝবে না। আমার কথা আলাদা, আমি তো অ্যাকে স্মার্ট গাই, তায় সাঁতার জানা লোক, জলে ভয়টয় নেই। কিন্তু সঙ্গে গিন্নি-কন্যের তো বিলক্ষণ ভয় আছে। সে যাই হোক, কোনওরকমে হাঁচোড়পাঁচোড় করে তাদের পাঠানো হল, তারপরে আমি গেলাম তাদের পিছুপিছু। এজেন্ট আমাদের হাতে একটা সবজেটে টিকিট ধরিয়ে দিয়ে হাওয়া হয়ে গেল। ওদিকে একটা বদখত টাইপের দেখতে লোক এসে প্রথমেই হাঁকড়ে বলল, কৌন কৌন দর্শন ট্র্যাভেলস কে হ্যায়, মেরি জিম্মেদারি সির্ফ উন লোগোঁকে লিয়ে হ্যায়, বাকি লোগোঁকে লিয়ে দিখানে কা, খানে কা, কোই ভি কাম কা জিম্মেদারি হাম নেহি লেগা।

    লে হালুয়া। দর্শন ট্র্যাভেলস্‌টা আবার কী জিনিস? সব্বাইকার টিকিট দেখাতে বলল, বলল, যাদের যাদের নীল টিকিট, তারা দর্শনের নয়। গোলাপি নীল সব রকমের টিকিটই বেরলো সবার পকেট থেকে, আমাদেরটা আবার সবজেটে নীল (না না, আপনেরা আমাকে একেবরে রংকানা বলবেন না। আমি রং খুব ভালো চিনি, ওটা সবুজ আর নীলের মাঝে একটা রং ছিল, ঠিক নীল টিকিটের মত নয়)। বদখত লোকটা সেই টিকিট দেখে বলল, ইয়ে তো গ্রিন টিকিট হ্যায়, ঠিক হ্যায়, বাকি জো লোগোঁ কে পাস বুলু টিকিট হ্যায়, ও লঞ্চ সে উতার জাইয়ে, উনকে লিয়ে দুসরা লঞ্চ হ্যায়।

    এইবারে বেশ একটা খলবলে সিচুয়েশন তৈরি হল, যারা অলরেডি দুটো লঞ্চ টপকে নীল টিকিট নিয়ে এসে বসেছিল, তারা আর লঞ্চ টপকাতে রাজি নয়, সঙ্গে বাচ্চা আছে, ব্যাগপত্র আছে, বারবার টপকানো কি মুখের কথা? শেষমেশ বদখত লোকটা হাল ছেড়ে দিয়ে বলল, ঠিক হ্যায়, জানা হ্যায় তো জাইয়ে, লেকিন, খানা আপলোগোঁকো নেহি মিলেগা। আপলোগোঁ কা লঞ্চ ইসকে পিছে পিছে আ রহা হ্যায়, রস মে উতারকে চেঞ্জ কর লেনা। উধার হি খানা মিলেগা।

    লঞ্চ ছাড়ল, দেখলাম, জেটি থেকে দূরে যে আইল্যান্ডটা দেখা যাচ্ছিল, সেটাই রস আইল্যান্ড। খুব তাড়াতাড়ি এসে পৌঁছে গেলাম। অপূর্ব সুন্দর ছোট্ট দ্বীপ, পুরো পাড়টা বাঁধানো, লাল পাথর দিয়ে, দ্বীপের সমস্ত স্ট্রাকচারই লাল রঙে রাঙানো। আর সবুজ নারকোলগাছের সারি। সামনে সমুদ্রের নীলচে জল, ক্ষণে ক্ষণে সেই নীলের শেড পাল্টে যাচ্ছে।

    ব্রিটিশদের প্রথম উপনিবেশ স্থাপনের সময়ে এই রস আইল্যান্ড ছিল ব্রিটিশদের হেডকোয়ার্টার্স। অনেক পরে, ১৯৪১-এ এক ভূমিকম্পে যখন রস আইল্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন ব্রিটিশরা পোর্ট ব্লেয়ারকে তাদের কাজের জায়গা বানায়। তবে শুরু সেই ১৮৫৭ সালে। যখন ব্রিটিশরা হার্ডকোর রাজদ্রোহীদের দ্বীপান্তরে পাঠাচ্ছে, সেই সমস্ত শিকলবাঁধা কয়েদীদের দিয়ে এই ছোট্ট দ্বীপের বনজঙ্গল সাফ করিয়ে বানাচ্ছে নিজেদের জন্য কলোনি। লাইব্রেরি, বেকারি, পাওয়ার হাউস, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, চার্চ, কোয়ার্টার, স্কুল, সুইমিং পুল, কমিশনার্স রেসিডেন্স। অমানুষিক অত্যাচার, অমানুষিক খাটুনি। রাতের অন্ধকারে কত কয়েদি চেন পায়ে নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে সমুদ্রে, ব্রিটিশ দেখতে পেলে গুলি করে মেরেছে, কেউ সাঁতার জানত না -- জলে ডুবে মরেছে, কেউ অন্য পাড়ের কোনও দ্বীপে উঠে গিয়ে জারোয়াদের হাতে মরেছে। কেউ খবর রাখে নি তাদের।

    ১৯৪২-এ আন্দামান যখন জাপানিদের হাতে চলে আসে, তখন জাপানিরা এই দ্বীপকে তাদের স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল। জেটির মুখেই জাপানিদের বাঙ্কার এখনও রয়েছে। নেতাজি, তখন আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক, দুদিনের জন্য আন্দামান সফরে এসেছিলেন, রস আইল্যান্ডে এসে তিনি ছিলেন।

    আজ সমস্ত ইতিহাস। ব্রিটিশদের চাবুকের নাচনে বানানো প্রায় প্রতিটা বিল্ডিংকে আজ আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে বটের ঝুড়ি আর শিকড়। নারকোলগাছের বন তাদের চারদিক থেকে ঢেকে রেখেছে। রস আইল্যান্ডে কোনও জনবসতি নেই। এটা এখন ইন্ডিয়ান নেভির একটা বেস স্টেশন। দিনের বেলায় ট্যুরিস্টরা আসে, আমরা যেমন এসেছিলাম। ইতিহাসকে যারা ভালোবাসে, তারা সবাইকে লুকিয়ে দু ফোঁটা চোখের জল ফেলে। বটগাছের চাপে ধুলিসাৎ একের পর এক বিল্ডিং দেখতে দেখতে, গিন্নির মুখ থেকে আপনা-আপনিই বেরিয়ে এল একটা অমোঘ উক্তি।

    Absolute power corrupts absolutely

    ব্রিটিশ শিশুদের জন্য স্কুল তৈরি হয়েছিল। তাদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি হয়েছিল পার্ক, নিয়ে এসে এখানে ছেড়ে রাখা হয়েছিল কিছু হরিণ। সেই সব হরিণের বংশধরেরা আজও আছে। মানুষ দেখে তারা ভয় পায় না, দিব্যি কাছে এসে আদর খেয়ে যায়, পাতা, ডাবের খোলা দিয়ে চেটে খেয়ে নেয়।

    ফোটোগ্রাফি যাদের প্যাশন, তাদের ছবি তোলার জন্য সুন্দর জায়গা এই রস আইল্যান্ড।

    ঘন্টাখানেক বাদে আবার জেটিতে ফেরৎ, আবার লঞ্চ ডিঙিয়ে লঞ্চে চাপা। পরের স্টপেজ নর্থ বে আইল্যান্ড।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:০৪458986
  • নর্থ বে যেতে খানিক সময় লাগবে, তাই লঞ্চে তখনই লাঞ্চ প্যকেট দিয়ে দিল। সকাল সাড়ে এগারোটায়। এত তাড়াতাড়ি কে খাবে? এদিকে আমি ততক্ষণে প্যাকেট খুলে ফেলেছি, হরিবোল, ভেজ বিরিয়ানি!

    ধুর, খিদে পেয়েছে, খানিক খেয়ে নিই। অর্ধেক প্যাকেট খালি করে ফেললাম। বাকিটা পরে। লঞ্চে তখন শোরগোল চলছে, সবাই প্যাকেট ফেরত দিচ্ছে, এত তাড়াতাড়ি লাঞ্চ খাওয়া হয় নাকি? পরে দেবে না-হয়;

    বদখত দর্শন ট্র্যাভেল্‌স তেমনি বদখত ভাবে জানালো, খাবার এখন গরম আছে। পরে কিন্তু লঞ্চে গরম করার ব্যবস্থা নেই। ফেরত দিতে পারেন, আমি রেখে দিচ্ছি, কিন্তু পরে ঠান্ডা খাবারই খেতে হবে। নর্থ বে-তে কিছু খাবার পাবেন না।

    তাতেও সবাই প্যাকেট ফেরত দিয়ে দিল। এদিকে আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলেছি বলে আমার প্যাকেটটা আর দিলাম না, গিন্নিও নিজের প্যাকেটটা নিজের ব্যাগেই রেখে দিল।

    নর্থ বে ঢুকল প্রায় চল্লিশ মিনিট বাদে, দূর থেকে ঐ নারকোলের বন আর লাইটহাউসের চূড়া, যেটা দেখা যাচ্ছে, এটার একটা বিশেষত্ব আছে। এখানে কেউ বলতে পারবে, এই বিশেষত্বটা কী?

    ... এখানেও স্নরকেলিং হয়। দুশোটা করে টাকা, যারা যারা স্নরকেলিং করবে, তাদের কাছ থেকে আগেই নিয়ে নেওয়া হল। গিন্নি কন্যে জলে নামবে না, তাদের জামাকাপড় শুকোয় নি, আমি নেমে পড়লাম কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হয়ে। যারা নামবে না, তাদের জন্য ঐ গ্লাস বটম বোট। আমাদেরও নিয়ে যাওয়া হবে, বাকিরা বোট থেকে কঁচের ভেতর দিয়ে কোরাল দেখবে, আমরা দেখব জলে মুখ ডুবিয়ে। নর্থ বে বিচে একটা দোকানে ব্যাগপত্র জমা রেখে আমরা বোটে চেপে বসলাম। বোট জলে ভাসামত্র ঝেঁপে বৃষ্টি শুরু হল। কন্যে এদিকে এতক্ষন রেনকোট পরে পরে ছবি তুলে খুব বিরক্ত হয়ে রেনকোট ছেড়ে রেখে এসেছে বিচে। ছাতা একটিই।

    অগত্যা আমাকেই ত্যাগস্বীকার করতে হল। এমনিতেই টপলেস হয়ে বসে আছি, খানিক বাদেই জলে নামব, এখন আর বৃষ্টির জল থেকে বেঁচে কী লাভ? গিন্নি-কন্যে দুজনে একটি ছাতায় দুটি মাথা কোনওরকমে বাঁচাতে লাগল, আমি ভিজতে লাগলাম অঝোরধারে।

    নৌকো পৌঁছলো গভীর সমুদ্রে। এদিকে কাঁচের ভেতর দিয়ে কিছুই দেখা যায় না, কিছু মেটে মেটে কোরাল দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তেমন রং টং নেই। আমি নামলাম। এখানে আবার এদের পয়সা রোজগারের এত লোভ, একেকবারে দুটো টিউব ভাসিয়ে দুটো লোককে স্নরকেলিং করাচ্ছে। এক দড়ির টানে চারশো টাকা রোজগার আর কি! আমার কপাল এবার বেশ মন্দ। একে তো সঙ্গে যে মালটা স্নরকেলিং করছিল, সে ভীমের ছোটো সংস্করণ, আর টিউবের ওপরে ভেসে থেকেও, বারবার মানা করা সত্‌ত্বেও সে হাত পা ছুঁড়ে সাঁতার কাটার চেষ্টা করে যাচ্ছে, ফলে জল ঘুলিয়ে যাচ্ছে, আমার গায়ে তার গোদা পায়ের লাথি পড়ছে, সে এক পুঁদিচ্চেরি কেস। নিচে মুখ ডুবিয়ে দেখি, কোথায় কালকের সেই কালারফুল রেড স্কিনের বিচ? এ তো পুউরো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! যেদিকেই চোখ যায়, খালি গ্রে কালারের কোরাল। কিছু গ্রে কালারের বা কালারলেস মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর বেশি কিছু দেখাও গেল না ঐ ভীমের বাচ্চা এত পা ছুঁড়ছে।

    বেজায় হতাশ হয়ে বোটে উঠতে গিয়ে দু জায়গায় পা কেটে গেল। রক্ত বেরোচ্ছে, তাতে নুন-জলের ঝাপটা। ওপর থেকে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি। সমুদ্রে ঢেউয়ের সাইজও আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, নৌকো দুলছে ভালোই, ওদিকে দুই মাঝি তথা গাইডের পাত্তা নেই, তারা দড়ি ধরে চারশো টাকার খেপ খাটছে, নৌকো ভর্তি একগাদা লোক, তাদের বেশির ভাগই সাঁতার জানে না।

    জলকেলি শেষ হল দুপুর দুটোয়। উঠে জামা পরারও সময় দিতে রাজি নয় বদখত দর্শন ট্র্যাভেলস। আভি লঞ্চ ছুটেগা, জলদি জলদি আ জাও।

    সবাইকে তুলে লঞ্চ ছাড়ল আড়াইটেয়। এইবার সবাই তাদের আমানত লাঞ্চ প্যাকেট ফেরৎ চাইল। প্যাকেট খুলে সবার মাথায় হাত, ঠান্ডা বিরিয়ানি খেতে শুরু করে দিয়েছে পিঁপড়ের দল। মাঝসমুদ্রে পিঁপড়ে কোথা থেকে এল কে জানে! নিশ্চয়ই লঞ্চেই ছিল। এইবার লোকে খেপচুরিয়াস হয়ে গালিগালাজ শুরু করল, তখন আবিষ্কার করলাম ঐ বদখত দর্শন ট্র্যাভেল্‌স আসলে বাংলাভাষী। আপৎকালে সবার মুখেই মাতৃভাষা আসে কিনা!

    আমরা তো খবার ফেরৎ দিই নি, ভাগ্যিস, তাই আমাদের খাবার ঠান্ডা, কিন্তু তাতে পিঁপড়ে নেই। এদিকে বৃষ্টিতে ভিজে, স্নরকেলিং করে সকলের বিস্তর খিদে পেয়েছে, কিন্তু ঐ দের প্যাকেট বিরিয়ানিতে আড়াইজনের কী হবে! দেখতে দেখতে উড়ে গেল।

    আরেক সারেং ছিল, সে বোধ হয় দক্ষিণ ভারতীয়। সে টুটাফুটা হিন্দিতে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। অফার দিল, সবার খাবার ফেরৎ নিয়ে ও ওপর থেকে পিঁপড়ে বেছে দেবে। অনেকে খাবার ফেরৎঅও দিল। এই ফাঁকে আমিও চিল্লামিল্লি শুরু করে দিলাম, এখন তো আর ট্রেস নেই, কে খাবার পেয়েছে, কে পায় নি। দক্ষিণ ভারতীয় এসে আমাকে খুব দূ:খ দূ:খ মুখ করে সান্ত্বনা দিতে লাগল। আপ গুস্‌সা হোগে তো আপকো ভি আচ্ছা নেহি লাগেগা, হামকো ভি আচ্ছা নেহি লাগেগা, আপনে খানা লিয়া নেহি?

    আমি বললাম, আমি খাবার আগেই খেয়ে নিয়েছি, লোকটা বিলকুল ন্যাড়া হয়ে গিয়ে বলল, নেহি নেহি আপ তো গুস্‌সা কর রহে হ্যায়, আপকো খানা ম্যায় দেতা হুঁ, উসমে চিটি নেহি হোগা। তখন হল মজা, আমি যত বলি যে আমি খেয়ে নিয়েছি, আমাদের সবার খাওয়া শেষ, ও তত বলে আমি রাগ করে খাচ্ছি না, ও আমাকে খাবার এনে দেবেই দেবে। শেষমেশ বললাম, ঠিক আছে, এনেই দাও। তখন লোকটা আরেকটা খাবারের প্যাকেট আনতে গিয়ে আরেকটা লোকের সাথে নাম অভিমানের পালায় জড়িয়ে পড়ল। আমার কথা ভুলেই গেল। আমার আর এক্সট্রা প্যাকেট পাওয়া হল না।

    পোর্ট ব্লেয়ারের অন্যপ্রান্ত দিয়ে, চ্যাথাম আইল্যান্ডের পাশ দিয়ে লঞ্চ চলল। আমাদের শেষ গন্তব্য, ভাইপার আইল্যান্ড।
  • Shibanshu | 59.93.85.194 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:০৭458987
  • মনের জানালায় ক্যামেরা রেখে বাহিরকে দেখা, ভালো লাগছে।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৩৪458988
  • তাহলে কী দাঁড়াল ? সেটল করব ? কিন্তু খাওয়াদাওয়ার এত কষ্ট । আরেকটু দেখে নিই ।
  • r.h | 203.99.212.54 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৪১458989
  • কষ্ট তো ট্যুরিষ্টদের।
    সেসব কষ্ট উদ্যম এবং পুরুষকার দিয়ে সহজেই জয় করা যায়।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৪৭458990
  • আমি ইতিহাসের ছাত্র নই, তবু ইতিহাস আমাকে খুব টানে। মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান, তার আরেক নীরব সাক্ষী এই ভাইপার আইল্যান্ড।

    দ্বীপান্তরিত কয়েদীদের প্রথম যখন পাঠানো হত, তারা ছিল হাতগুনতি। রস্‌ আইল্যান্ডেই রাখা হত তাদের। কনস্ট্রাকশনের কাজ করানো হত। পরে যখন কয়েদীদের সংখ্যা বাড়ল, নতুন জেল তৈরি করার দরকার পড়ল। কয়েদীদের পাঠানো হল এই ভাইপার আইল্যান্ডে। কবে কোন বিস্মৃত অতীতে এখানে ভাইপার নামে একটি জাহাজ ভেঙে ডুবে গেছিল, সেই থেকে এই দ্বীপের নাম ভাইপার আইল্যান্ড। সেইখানে কয়েদীদের দিয়ে বানানো হল নতুন জেল। পোর্ট ব্লেয়ার, বা সেলুলার জেল তখনও কল্পনাতেও আসে নি।

    সেই একই রকম সৌন্দর্য। নারকোলের সারি দিয়ে ঢেকে রাখা ভয়ংকর অত্যাচারের ইতিহাস। সেই জেল আজ আর নেই, রয়ে গেছে ফাঁসির মঞ্চটুকু। জেটি থেকে এগিয়েই একটা ছোট্ট হিলক্‌, তার মাথায় একটা গম্বুজঘর। একসাথে দু-তিনজনকে পাশাপাশি ফাঁসি দেওয়া হত। দিয়ে, মৃতদেহ সো-জা ছুঁড়ে ফেলা হত নিচের সমুদ্রে।

    সম্ভবত, এত কষ্টকর শেষকৃত্যও ব্রিটিশ শাসকের বাহুল্য মনে হয়েছিল। তাই পরে সেলুলার জেলের ফাঁসিমঞ্চ বানানো হয় এমনভাবে, যাতে দড়ি কেটে নিচে দেহ ফেলে দিলে, পরে জোয়ারের জল এসে নিজেই ভাসিয়ে নিয়ে যেত সেই পবিত্র মৃতদেহ। শাসকদের হাত লাগাতে হত না আর তাতে।

    ফিরে আসি ভাইপারে। হিলকের নিচেই একটা কোর্টঘর, সেটা এই ২০০৪-এর সুনামিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এই কোর্টঘরে ফাঁসির আসামীকে তার শেষ মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানো হত। তারপরে সিঁড়ি বেয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হত ফাঁসিঘরে।

    জেলখানা আর নেই। সেলুলার জেল তৈরি করার সাথে সাথে এই জেলকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ফাঁসির মঞ্চ আজও রয়ে গেছে। সুনামির ঢেউও তাকে নষ্ট করতে পারে নি। সম্ভবত এত সৌন্দর্যের মাঝে একটুখানি মাথা নুইয়ে আমাদের নীরবতা পালনের সুযোগ করে দিতেই।

    অপরিসীম সৌন্দর্য! চারদিকে। জলে স্থলে আকাশে। দেখেছি আর ভেবেছি, এই সৌন্দর্য, ক্যামেরার সাধ্য নেই একে ধরে রাখে, এত বিশাল ল্যান্ডস্কেপ, এত রঙের খেলা, এর মাঝে কয়েক দশক ধরে তারা কী করে পেরেছিল এই রকমের নারকীয় কাজ করে যেতে? প্রকৃতি কি তাদের মনে একটুও রং লাগাতে পারে নি? কী করে মানুষ, মানুষের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারে?

    -------

    আন্দামান যদিও চলে ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী, কিন্তু অনেকটা পূর্বদিকে। বিকেল চারটেতেই এখানে আলো কমে আসে, সাড়ে চারটেয় সূর্য ডুবে গেল। আমরা যখন পোর্ট ব্লেয়ার ফিরলাম, তখন ঘন নীল রঙে ঢেকে গেছে চারদিক। আলো জ্বলে উঠছে এখানে ওখানে। সেই নীল রঙের মধ্যে পেছন ফিরে তাকিয়ে রস আইল্যান্ডের একটা ছবি তুললাম, জেটিতে দাঁড়িয়ে। ২৪৯ নং ছবি। এই ছবির রংটা একেবারে ন্যাচারাল রং। এই ছবিতে কোনও কারিকুরি নেই।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৫৭458992
  • রাতে খাবার ঝক্কি। এই হ্যাডো এলাকায় চারপাশে কোনও রেস্টুরেন্ট নেই, আমাদের হোটেলটা ছাড়া। যেতে হবে সেই অ্যাবের্ডিন বাজার। কিন্তু আগেরদিন সেখানে গগনে খেয়ে তেমন ভালো লাগে নি। আর কি নন ভেজ জায়গা নেই?

    আজ তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়লাম। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে খুব শিক্ষে হয়েছে। একটা বাড়তি ছাতা কিনতেই হবে। (কিন্তু কী আশ্চর্য! কী অসাধারণ ওয়েদার, দিনের পর দিন বৃষ্টিতে ভিজে ঘুরেও আমাদের কারুর ঠান্ডা লাগে নি, সর্দি কাশি হাঁচি কিচ্ছু হয় নি)।

    হোটেলের সামনে থেকে একটা অতো ধরে প্রথমেই বললাম, দাদা, নন ভেজ, মাছ-প্রন-ক্র্যাব খাবার জন্য ভালো রেস্টুরেন্ট কী আছে এখানে, নিয়ে চলুন তো! অটোওলা বলল, তা হলে চলুন লাইটহাউস রেস্টুরেন্টে, আর তক্ষুনি আমার মনে পড়ে গেল। রাইট। লাইটহাউস রেস্টুরেন্ট। এর কথাই পড়েছিলাম ট্র্যভেলগে।

    অ্যাবের্ডিন বাজারের মাঝে ঐ ক্লক টাওয়ার, তার একদিকের মোড়ে সেই গগন রেস্টুরেন্ট, যেখানে কাল খেয়েছিলাম, অন্যদিকের রাস্তায় দু-পা এগোলেই দোতলায় লাইটহাউস রেস্টুরেন্ট।

    ঢুকে দেখি, কিছু সাদা চামড়ার ব্যক্তি সেখানে বসে খাচ্ছেন। অজান্তেই হাত চলে গেল পার্সের দিকে। কত খসবে কে জানে!

    বেশ খাতির করে বসালো। খাতির দেখে আমার আরও অস্বস্তি শুরু হল। প্রন ক্র্যাব পাওয়া যাবে? কত দাম? লোকটা আমাদের ডেকে নিয়ে গেল একপাশে। কাঁচের বাক্সে সারি সারি রাখা মাছ-চিংড়ি-লবস্টার-কাঁকড়া। যেটা পছন্দ হাত দিয়ে দেখিয়ে দাও, সেটাই রান্না হবে।

    লবস্টারের চেহারা দেখে ঠিক সাহস হল না। আমরা টাইগার প্রন নিলাম। সাথে নুডলস আর মাছের একটা থাই প্রিপারেশন।

    এর পর পঁয়তাল্লিশ মিনিট নৈ:শব্দ্য। শুধু খাবার আওয়াজ। একেবারে একঘর উইথ সাউথ ফেসিং ব্যালকনি কেস।

    বেশি না, টিপ্‌স মিলিয়ে আটশো টাকায় আড়াইজনে গলা পর্যন্ত বোঝাই করে আবার অটোয় চেপে হোটেলে ফিরলাম।

    তৃতীয় দিন শেষ।
  • Nina | 64.56.33.254 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৫৭458991
  • বাহ! শমীক , অপূর্ব্ব।
    মানুষই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু আবার মানুষই মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হতে পারে---শুনরে মানুষভাই
    সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই!!
  • Manish | 59.90.135.107 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৫৮458993
  • ছবি ন: ১০৬

    খুব ভালো
  • Blank | 170.153.65.102 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:০২458994
  • ১৯৫ আর ২৫০ টা ভালো লাগছে বেশী। কোনো একটা ছবির কালার টেম্পারেচার খুব বেশী লাগলো। হোয়াইট ব্যালেন্স সেট হয় নি ঠিক মতন।
    আর আকাশ যখন ফ্যাটফ্যাটে সাদা থাকবে তখন ওটা কাটিয়ে ছবি তুলবে। অন্য ভাবে ফ্রেম টা ভেবে নেবে। সাদা আকাশ বড় বাজে লাগে
  • Blank | 170.153.65.102 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:০৪458995
  • ১০৬ টা কি সিপিয়া টোনে তোলা নাকি পরে সিপিয়া করা হয়েছে?
  • Manish | 59.90.135.107 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:১৬458997
  • ছবি ন: ২৪৮
    কীভাবে সম্ভব ?

    ছবি ন: ২৪৯

    ছবিটা অসা।
  • Manish | 59.90.135.107 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৩২458998
  • সুনামীর ক্ষত দেখে শমীকের থেকে অন্য একটা প্রসঙ্গে জানতে ইচ্ছে করছে।
    শুনেছি
    সুনামী শুরু হবার ঠীক আগে যখন সমুদ্রের জল হু হু করে রিসিড করতে থাকে, তা দেখে বেশীর ভাগ aborigins সুনামী আচঁ করতে পেরে উচু জায়গায় (টিলা বা পাহাড়) চলে যায় এবং প্রানে বেঁচে যায়।

    কাথাটা কি সত্যি।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৩৬458999
  • ছবির ব্যাপারে আমি একেবারে অজ্ঞ। ১০৬ নংটা সেপিয়া করা হয়েছে পিকনিক দিয়ে, পিকাসা অ্যালবামের ভেতরে। ন্যাচারাল সেপিয়া টোন হয় নি একেবারেই। কেবল শার্পনেসটা একটু বাড়িয়ে দিয়েছি। বাকি ঐ যে কালার টেম্পারেচার হোয়াইট ব্যালান্স ইত্যাদি বলছিস, কিছু কিছু ছবিতে সেগুলো চটকে গেছে। পিকনিক দিয়ে ঠিক সুবিধে হচ্ছিল না। অরিজিনালগুলো আছে আমার কাছে, পরে অন্য কোনও টুল দিয়ে করে দেখব। আমাকে এক্স্যাক্ট নম্বরগুলো পাঠিয়ে দিস।

    ২৪৮, ২৪৪, ২৪১ পার্টলি সাদাকালো, পার্টলি কালার। এগুলো পিকাসায় করেছি। কাল রাতে বসে বসে। আনাড়ির ঘাঁটাঘাঁটি আর কি :-)
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৩৮459000
  • না মনীশ, এটা আমি শুনি নি। তাই ভেরিফাইও করি নি কারুর কাছ থেকে। তবে হতেও পারে, কারণ, সুনামিতে কোনও অ্যাবরিজিনের জীবন নষ্ট হয়েছে বলে তো শুনি নি।
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৩৯459001
  • পিকাসার ভেতর দুভাবে ছবি প্রসেস করা যায়। এডিট ইন পিকনিক, আর, এডিট ইন পিকাসা। দুটোই ঘেঁটেঘুঁটে দেখলাম। পিকাসাটাই বেশি ম্যাচিওর্ড লাগল।
  • Blank | 170.153.65.102 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৪৭459002
  • ক্যামেরাতেই সিপিয়া সেট করে তুললে আলো ছায়া বেটার হয়
  • r.h | 203.99.212.54 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৫১459003
  • অ। আর তুঙ্গনাথের সর্ষেটাকে কি করলে ভালো হয় শুনি?
  • Samik | 121.242.177.19 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৫২459004
  • রাইটো, পরে একটা মাত্র ছবি তুলেছিলাম ক্যামেরাতেই সিপিয়া সেট করে। কিন্তু সে ছিল অলস মুহূর্তের ছবি, এই ছবিগুলো সব পরপর তুলে যাওয়া, তখন ক্যামেরার সেটিংসে গিয়ে সিপিয়া সেট করে ছবি তুলতে গেলে বেশ কিছু ছবি মিস হয়ে যেত। আবার চেঞ্জ করে নর্মাল টোনে ফেরা, তাতে আরও সময় যেত। বল্লাম না, পাতি ক্যামেরা, ওসব সহজে করার মত কোনও অপশন নেই।
  • Blank | 170.153.65.102 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৮:৫৮459005
  • সব হবে, সব হবে :)
  • Tim | 198.82.30.188 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ২০:৩২459006
  • হুতোর মত অলস লোকজনকে দিয়ে কি আর কাজ হয়? কলকেতায় থেকেও এট্টু কষ্ট করে ব্ল্যাঙ্কিকে কেলিয়ে না আসতে পারলে আর কিসু বলার নেই। উত্তাল ক্যাল দরকার। হ্যায় কৈ?
  • Lama | 203.99.212.53 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ২০:৫৬459008
  • ব্ল্যাংকিকে তো নিত্যি দেখি আপন চক্ষে পরিষ্কার
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন