এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rupankar sarkar | 110.227.82.204 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২১:২০452638
  • এইবার পরের মত(অমত)যিনি দিলেন। আমি আবার বৃদ্ধ বয়সের দরুন অপরিচিতের প্রথম নাম না ধরার কু-অভ্যাস এখনও ত্যাগ করতে পারিনি।
    ১) এক সময় প্রাচ্যবাসীরা অলস ছিলো – হ্যাঁ, অবশ্য ছিল।
    ২) লোধা শবররা সম্প্রদায় হিসাবেই সরকারী “চোর ও ডাকাত” ছিলো। - আমার পদবী ‘সরকার’ হলেও সরকারী ধারনা সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে বক্তব্যের সারবত্তা একেবারেই নেই এমন দাবীও করতে পারিনা।অচূনী কোটালকে উত্যক্ত করে যারা তার ঐ পরিনতির জন্য দায়ী তারাও যেমন ক্ষমার অযোগ্য, শুধু দারিদ্রের দোহাই দিয়ে যারা কুকর্মে লিপ্ত হত তারাও ভারতের/বাংলার বাকি অঞ্চলের দরিদ্রদের কাছে নিশ্চয়ই আদর্শ নয়।
    যেহেতু উপরুক্ত দুই গোষ্ঠী আমার আলোচনায় ছিলনা, এদের সংশোধনী প্রক্রিয়ায় সামিল করা যাবেনা এমন কথা কোথাও বলেছি বলে স্মরণ নেই।
    ৩)এক সময় বাঙ্গালী ব্যবসা বিমুখ ছিল, একথা কে কোথায় বলেছেন জানা নেই। আমার স্বচক্ষে দেখা – বই মেলায় রামদুলাল দে-র জীবনী মুহূর্তে নি:শেষ হওয়ার দৃশ্য।
    যারা ‘সংশোধনের অতীত’ তারা কারা জানতে পারলে তাদের সম্পর্কে ধারণা একটা করা যেত, ব্যাপারটা হাইপথেটিকাল(যদি কেউ-ইত্যাদি) রাখা হয়েছিল বলে আমার প্রত্যয়।

  • ranjan roy | 122.168.213.239 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২২:৫৭452639
  • রুপংকর এবং কল্লোলকে,
    আমার ব্যক্তিগত মত হল ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দিয়ে ডেটারেন্ট হিসেবে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্রাইম আটকানো যায় না। আমেরিকা সবচেয়ে বড়
    উদাহরণ। তাই আমি প্রাণদন্ডের বিরুদ্ধে।
    কিন্তু রূপংকরবাবুর বক্তব্যে এই কথাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না যে আজ কোন প্রমাণিত অপরাধী লাগামছাড়া থাকলে নিরীহ শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের সুরক্ষা বিপন্ন হতে পারে।
    ওনার প্রেস্ক্রিপশন গ্যাংগ্রিনের মত কেটে বাদ দেয়া বা পোকা খাওয়া দাঁত তুলে ফেলা। তাই অ্যাদ্দিন হয়ে এসেছে।
    কিন্তু আজকাল তো অনেক উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি বেরিয়েছে।
    দাঁত না তুলে রুট ক্যানাল থেরাপি করা হয়।
    তাই দাগী অপরাধীকে ""ইনোকুয়াস'' পজিশনে রাখতে লাইফটার্মে আপত্তি কী? কেন প্রাণ নিতেই হবে? কেন খুনকা বদলা খুন?
  • rupankar sarkar | 110.227.84.159 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫১452640
  • রঞ্জনবাবুর বক্তব্যেরও একটা প্রত্যুত্তর দেয়ার লোভ সম্বরণ করা বড়ই কঠিন মনে হচ্ছে।“তাই অ্যাদ্দিন হয়ে এসেছে”। তাই কী ?ধনঞ্জয় চ্যাটার্জীর বেলায় “তাই” তো নয়-ই, সম্ভবত: রঙ্গা-বিল্লার বেলাতেও নয়।অকথা হচ্ছে, উচ্চতম (সুপ্রীম)আদালতের রায় প্রকাশের পর সব বক্তব্য-ই কনটেম্পট ধার্য হতে পারে, তাই অনেক কিছু বলার থাকলেও, যাবেনা। তবে সঞ্জয়-গীতা চোপড়ার ঘটনার সময়কালীন ‘ইলাস্ট্রেটেড উইকলি কারও কবলে থাকলে, স্ফটিক স্বচ্ছ (ক্রিস্টাল ক্লিয়ার)ঘটনার আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। এদেশের মজাটাই সেখানে। অন্যদিকে বারংবার অপরাধ করার পরও দুর্বল ‘প্রসিকিউশন’(ইচ্ছাকৃত কিনা কে জানে) জনিত কারনে ছাড়া/জামিন/প্যারোল পাওয়ার পর কত নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে, সে সব নিউজপেপার ক্লিপিং আমার কাছে আছে, তা পেশ করার জায়গা এখানে নেই। ‘লাইফ-টার্মে’ আপত্তি আছে একথা কোথাও বলিনি, শুধু বলেছি সেই টার্ম যেন কারাগারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, যা এদেশে হয়না, আক্ষরীক অর্থে আজীবনও হয়না, সবে উচ্চ পর্যায়ে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
  • I | 14.96.222.243 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ০০:৩৪452641
  • রঞ্জনদা ব্যাপক।
  • sana | 58.106.156.197 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ০৬:২০452642
  • ধনঞ্জয় বা দেবযানী বনিক খুনের অপরাধীদের মতো অপরাধীরা সমাজে অগের মতো-ই ঘুরে বেড়াক, এমন কি কেউ চাইতে পারে? কিন্তু,এদের প্রানদন্ড হলেই অপরাধের শাস্তি হয়ে গেল বলে আমার মনে হয় না। সেই শাস্তি কি এদের মনে একবারও জাগায় সেই বোধ,যে,কী ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ এরা করেছে,যে অপরাধ কে ঘেন্না করলেও বেশী মনে হয়? যে অপরাধের কথা শুধু জানলেই মস্তিষ্ক বধির হয়ে যায় রাগে?
  • kallol | 115.184.125.196 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৪৮452643
  • না, প্রাচ্যবাসীরা অলস ছিলো না। প্রাচ্যবাসীরা অলস হলে দুনিয়া সিল্ক, মসলিন, মশলা, শূণ্য, আল-জেবরা, তাজমহল, বারুদ, বোরোবুদুর, নৌ বাণিজ্য, কয়েক হাজার প্রজাতির ধান, চা, যন্ত্র গণক পেতো না।
    কেমন করে "অলস" হলো তার একটা নমুনা পেশ করি।
    পাশ্চাত্যের মানুষ প্রাচ্যে ছলে-বলে-কৌশলে উপনিবেশ গড়ে নিদান দিলেন - সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা নাকি "কাজের সময়"। অথচ প্রাচ্যের মানুষদের কাজের সময় সূর্যোদয় থেকে বড়োজোর বেলা ১১টা-১২টা। তারপর বাড়িতে বা মাঠে খেয়েদেয়ে বিশ্রাম/ঘুম। আবার রোদ পড়ে এলে কাজ শুরু। সূর্যাস্তের পর কাজ বন্ধ। শুধু ঘরের ভিতরের কাজ হলে (প্রশাসনিক কাজ) সন্ধে বেলাতেও কাজ চলতো।
    তার বদলে বিশ্রামের সময় কাজ করালে মানুষ "অলস" তো হবেই।
    লোধা/শবরদের নিয়ে আপনি যে মত দিলেন, তা আপনার মত। সেই মতের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলবো যে ওটা পাশ্চাত্যের ঔপনিবেশিক ধারনা। আপনি সেই ধারনাকে সত্য বা কিছু সত্য মনে করতেই পারেন। যেমন ঐ একই ধারনায় স্বদেশী সশস্ত্র আন্দোলনে বিশ্বাসীদের ডাকাত বলা হতো।
    সেই মতে বিশ্বাসী হলে বলতে হয় সব দরিদ্রই চোর ও ডাকাত। কোন কোন দারিদ্র পীড়িত (লোধা/শবর জাতীয় সম্প্রদায়ের বা অন্য যে কোন সম্প্রদায়েরই হোক না কেন) সম্প্রদায়ের কেউ কেউ (বা তর্কের খাতিরে অনেকেই) কুকাজ করলে গোটা সম্প্রদায় দায়ী হবে কেন? যেমন এখন চালু হয়েছে ইসলামী সন্ত্রাসবাদী কথাটা।

    বাঙ্গালী ব্যবসা বিমুখ - একথা আপনি শোনেন নি বলে বলেছেন। কীই বা বলার আছে। আমি তো বহু শুনেছি।

    যারা বা যাদের আপনি ""সংশোধনের অতীত"" বলে ভাবছেন, আমি তাদেরই বোঝাতে চেয়েছি। সেটা কারা, তা আপনিও স্পষ্ট করে বলেননি। তাই আমি আর স্পষ্ট করবো কি দিয়ে। আমি তো তা মনেই করি না।

    এই উদাহরণগুলো আমি দিয়েছিলান নানা রকম ""ধারনা"র উদাহরণ হিসাবে, যা আমি মনে করি আজ ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে।

    আপনার ভালো লাগেনি তাই নাম ধরলাম না। তবে আমি কোন অশ্রদ্ধা দেখাতে চাই নি। যদি আনমনে তা করে থাকি, তবে ক্ষমাপ্রার্থী।

    রঞ্জন - মানুষের দেহের একটা বা একাধিক অঙ্গের সাথে গোটা মানুষকে তার শারীরিক ও মানসিক স্বত্তা নিয়ে তুলনা করাটা একটা বহু পুরোনো অভ্যেস। তফাৎটা অনেক। একটা বড় তফাৎ মন। গ্যাংগ্রিন বা ক্যানসারগ্রস্ত ফুসফুস, গলা, হাত বা পায়ের বা এমনকি হৃদয়েরও কোন হৃদয় নাই। মানুষের হৃদয় আছে। নৃশংতম খুনি বা ধর্ষণকারীরও আছে (মঁসিয়ে ভের্দু দ্রষ্টব্য)।
    তাই................

  • Samik | 122.162.75.139 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৫৫452644
  • কাল সবার চোখের আড়ালে রুচিকা গিরহোত্রা মামলার সিবিআই রিপোর্ট বেরোল। রুচিকা এমনি এমনিই সুইসাইড করেছিল। কেউ তাকে প্ররোচিত করে নি, এস পি রাঠৌর নির্দোষ। তিনি এতই নির্দোষ, রুচিকার ভাইয়ের ওপরেও তিনি কোনও টর্চারিং করেন নি। ভাইটা এমনি এমনিই কোর্টে মামলা ঠুকেছিল। প্রমাণ করতে পারে নি।

    http://www.indianexpress.com/news/CBI-finds-no-proof-in-Girhotra-family-s-charges-against-Rathore/709506

    প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
    বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে ...
  • sana | 58.106.156.197 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১০:১৫452645
  • হ্যাঁ,এই কথাটা,এই হৃদয় আছে বলেই কারাগার হওয়া উচিৎ প্রকৃত অর্থে সংশোধনাগার। তাদের অন্যায় যে কতো বড়ো অন্যায় সেটা অপরাধী দের বুঝিয়ে তাদের পরিতাপ,চরম পরিতাপ হওয়ানো টাই আসল শাস্তি বলে আমার মনে হয়।
  • rupankar sarkar | 110.227.145.100 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১২:২১452646
  • আমি ভাসুর-ভাদ্রবৌ –এর সম্পর্কে বিশ্বাস রাখিনা, নাম ধরাতে আমার কোনও আপত্তির কারনই নেই। শুধু সব বৃদ্ধদের মত বয়সের অহমিকা জনিত মানসিক রোগের শিকার। তার ওপর আছে সম্বোধনের অভিমান, আমি যাঁকে –বাবু বলে অ্যাড্রেস করলাম, তিনি আমাকে রূপঙ্কর কেন ডাকবেন, এই রকম। তিনি বয়সে নবীন না প্রবীন কিছুই তো জানলামনা।অতা ছাড়া যাঁর পাশ্চাত্য ধ্যান ধারণায় এত আপত্তি, তিনিই বা কেন প্রথম নাম ব্যবহার করার মত পাশ্চাত্য রীতি গ্রহণ করবেন? বাকি ব্যাপারগুলো নিয়ে ক্রমাগত একমুখী বক্তব্য পেশ হচ্ছে। হয়তো আমি নিজেও সে দোষে দুষ্ট,তাই এখানেই ইতি টানাই শ্রেয় বোধ করি।
  • sana | 58.106.156.197 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৪:১৯452648
  • খুব দুর্ভাগ্য জনক,খুবই দুর্ভাগ্যজনক,শমীক।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৬:২৪452649
  • রূপঙ্করবাবু - চটেন ক্যানো। আমাদের বয়সী যারা (মধ্য পঞ্চাশ), তাদের কারুর কারুর এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। প্রথম নামে সম্ভাষন করেও আপনি বলা। এটা আমাদের সময়ে যদুপুরে চালু হয়েছিলো। তাই............
    আর তর্কটা নিয়ে তাহলে আমরা দ্বিমত হতে একমত হলাম। তাই তো?
  • ranjan roy | 122.168.40.74 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৮:০৬452650
  • আরে কি হোলো?
    রূপংকরবাবু! এমন সুন্দর ব্যালান্‌স্‌ড আলোচনা করছিলেন! একমত না হলেই কি আছে?
    এই দেখুন, আমি ৬০ পেরোলাম। নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। অনায়াসে সবার সঙ্গে ইয়ার্কি দিয়ে বেড়াচ্ছি, আপনি প্লীজ চলে যাবেন না।

    আপনি ধনঞ্জয় ইত্যাদির উদাহরণ দিয়ে যা বল্লেন সেগুলো হোলো মিস্‌ক্যারেজ অফ জাস্টিসের উদাহরণ।
    আমি বলছিলাম যে আজ অব্দি, ইন জেনারেল, যাদের প্রাণদন্ড হয়েছে, সেইসব কেসে ওই "" এদের বাঁচিয়ে রাখলে বৃহত্তর সমাজের বিপদ'' ম্যাক্সিম মেনেই হয়েছে। ব্যস্‌, এইটুকু।
    ফিরে আসুন আড্ডায়।
  • rupankar sarkar | 110.227.108.230 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৮:৫৮452652
  • কল্লোলবাবু, ইতি টানতে বাধা যখন পড়লই, তখন আর একটু এগৈ, মধ্য পঞ্চাশের উল্লেখে বিবেকদংশন থেকে মুক্ত করলেন। না: তাও অনেকটাই তফাত।অআপনাদের যদুপুরের রীতিরেওয়াজের সঙ্গে সম্যক পরিচয় আছে, কেননা আমিও দক্ষিণাবর্ত। এ প্রথা যদুপুরে চালু হয়নি, আমার মামা মাসিরা, যারা ততকালীন ইনটেলেকচুয়াল মহলে পরিচিত নাম ( তখন ঐ প্রাণীটি হাতে গোনা ছিল তো ) তাদের মহলেও ব্যাপারটা দেখেছি শিশুকালেই। কিন্তু বয়সের একটা যাকে বলে কনসিডারেবল তফাত হলে, দাদা টাদা বলার রেওয়াজ তখনও ছিল, যদুপুরেও ছিল, এখনও আছে। এখন প্রশ্ন হল, তফাত কতটা, বুঝব কি করে? তা হল প্রতিদ্বন্দীর চাল চলন ভাল করে রপ্ত না করলে যুদ্ধ যেতা যায়না (তর্কযুদ্ধও যুদ্ধ বটে)। আগেরবার যখন অন্য ইস্যুতে একটি নাটকের উল্লেখ করেছিলাম, আশা করেছিলাম, নজর কাড়বে। যাকগে, এবার দ্বিমত হতে একমত হবার প্রশ্ন। ব্যাপারটা অনেকটা ইস্কুল, কলেজ, এমনকি অফিসে প্রোমোশনের ক্ষেত্রেও যখন আমরা ডিবেট যুদ্ধে অংশ নিই, পক্ষে বলব, না বিপক্ষে বলব আগে থেকে ঠিক করা থাকে। পক্ষে বলতে বলতে বিপক্ষের যুক্তি জোরালো হলেও আমাকে সেদিকে যাবার উপায় নেই, কেননা আমি কমিটেড। তখন সেই উক্তিগুলো বাইপাস করে যেতে হয়। আর আমার পক্ষের যুক্তি(যে কটা আছে) যদি আমারই দলের কেউ আগে বলে দিয়ে থাকে, তবে তো আরৈ বিপদ।অদ করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আলোচনাটা প্রথম থেকে আর একবার পড়ুন। আমি দৃষ্টান্তমূলক প্রাণদন্ডের ( পড়ুন-ধনঞ্জয়) বিরোধী। সেই আমি কিছু লোকের বেঁচে থাকার বিরোধী (পড়ুন- এম,এস,পি)(শেষ নামটি, মানে, পি- শ্রবনে ব্যাঘ্র জাতীয়, তবে আসলে বরাহ নন্দন)।
  • rupankar sarkar | 110.227.108.230 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ২০:০৪452653
  • রঞ্জনবাবু, ওয়েলকাম টু দ সিনিয়র সিটিজেন্স ক্লাব। আমি বেশ ক-বছর ধরেই এ সমিতির সদস্য। আপনার বক্তব্যর সঙ্গে তো খুব একটা দ্বিমত ছিলনা আমার, শুধু দুটি বাক্য ব্যতিরেকে – ১) তাই অ্যাদ্দিন হয়ে এসেছে, এবং ২) খুন কা বদলা খুন। রঞ্জনবাবু, অ্যাদ্দিন খুন কা বদলা খুনই হয়ে এসেছে। আমি তার ঘোর বিরোধী। এরা বেঁচে থাকলে সমাজের কোনও ক্ষতি হতনা, এরা কখনই একাজের পুনরাবৃত্তি করতনা (আবৃত্তিটাই ডাউটফুল)। কিন্তু এম,এস,পি বেঁচে আছে, বহাল তবিয়তে (তার নাম নিতে পারবনা, চ্যালেঞ্জ করলে, মধুসূদন পাল বলে দেব)আইন ব্যবসায়ীরা নাটক করে জুতোর বাড়ি মেরেছিল প্রথমে, তারপর যৌনকর্মীর মত পদোন্মোচন করে লড়ে গেছে তার হয়ে। বেকসুর খালাস হয়ে গেছে বেবাক।অরঞ্জনবাবু, রিষড়ার শিবার নাম শুনেছেন? আশারাণী ঘোষ? বিচার হলে খালাস হয়ে যেত এম,এস,পি-র মত, শ্যামল কুন্ডু সে সুযোগ দেননি, কুত্তার মত গুলি করে মেরেছিলেন তাকে। সারা হুগলী জেলা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল তাঁকে। রুট ক্যানাল করে কতটা সারাতেন তাকে ? পুরনো কাগজ টাগজ ঘাঁটলে পেয়ে যাবেন এসব। আড্ডায় ফিরলাম রঞ্জনবাবু। পৃথিবীতে এত,এত লোক, প্রাণের কি এতই মূল্য, এরা বেঁচে থেকে অপরের ছেড়ে দিন, নিজেদেরই কি খুব উপকার করতো?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১১:৪৭452654
  • রূপঙ্করবাবু - আপনার পোস্টগুলো আবার পড়লাম। নাহ। বুঝতে ভুল কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না।
    আপনি কিছু কিছু মানুষের মৃত্যুদন্ডের পক্ষে (যাদের আপনি মনে করছেন সংশোধনের অতীত - যেমন এম,এস,পি)।
    আপনি বিচার ছাড়াই মৃত্যুদন্ডেরও পক্ষে (যেসব সংশোধনের অতীত মানুষকে বিচার করে প্রমানাভাবে শাস্তি দেওয়া যাবে না - যেমন এম,এস,পি, শিবা ইত্যাদি)।
    এদের আপনি ক্যানসার বলছেন। যেমন ক্যানসারগ্রস্ত অঙ্গ কেটে বাদ দেওয়া হয়, তেমনই এদের ""বাদ"" দিয়ে দেওয়া উচিৎ।
    আমার মনে হয় আমি আপনার বক্তব্য ঠিকই বুঝেছি। ভুল বললে ধরিয়ে দেবেন।
    তার পর আবাএ তর্ক চালু করা যাবে।
    আর হ্যাঁ, এই তর্কে হারজিতের ব্যাপার নেই। তাই খুব এঁড়ে তর্ক করতে উৎসাহী নই, নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

  • rupankar sarkar | 117.99.50.173 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৪:৩১452655
  • কল্লোলবাবু, আমাকে চটার কথা বলে, এবার দেখছি বেজায় চটেছেন আপনিই।অহ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আমি ঐ সবেরই পক্ষে ছিলাম। তবে মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়, আমারও হয়েছে।অসংশোধনী প্রক্রিয়ায় সর্বপ্রথম নিজেকেই সামিল করা উচিত আমার।
    এম,এস,পি আসলে মনিন্দর সিং পান্ধার। ভদ্রলোকের বেঁচে থাকা খুবই জরুরী, কারণ, এক নম্বর, সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই পায়নি,আর পাবেই বা কোত্থেকে, ঐযে, পিঙ্কি সরকারের বাবা যতীন( না, আমার কেউ হয়না)কানের কাছে ফিসফিস করে অচেনা লোক বারবার বারণ করা সত্বেও তথ্য প্রমাণ সব জোগাড় করছিল ব্যাটাচ্ছেলে। তাপ্পর যে গঙ্গায় সে হেলায় এপার ওপার করত, সেখানে হাঁটুজলে ডুবে মরলনা!দু নম্বর(আক্ষরিক অর্থে)হচ্ছে,সমীক্ষাই বলছে,নয়দার বাঙ্গালী মেয়েছেলেগুলো বড্ড ফার্টাইল।অগন্ডায় গন্ডায় বাচ্চা বিলোয়। এই রকম পপুলেশন এক্সপ্লোশনের যুগে বছরে গোটা তিরিশ-চল্লিশ করে কমিয়ে না দিলে তো দেশেরই ক্ষতি।অআর যারা পঞ্চত্ব প্রাপ্তই হবে, তাদের সঙ্গে একটু পেডোফিলত্ব না করলে এ কাজের মজুরী কোত্থেকে আসবে শুনি?
    সিবিআই অবশ্য রুচিকা গিরহোত্রা কেসেও মিসটার রাঠোরের বিরুদ্ধে কিছুই পায়নি।অতা ভালই করেছে। আসলে খেলাধূলোর জগতে ডবকা কিশোরীরা এলে সেক্রেটারি কাকু বা প্রেসিডেন্ট জেঠু একটু গায় মাথায় হাত বুলিয়ে উতসাহ না দিলে তারা উন্নতি করে কিকরে। কিছু বদ ছুকরি যদি এই স্নেহের স্পিরিট-টা বুঝতে না পেরে আপত্তি করে, তখন ইস্কুল-কলেজ থেকে তার নাম কাটা পড়বেই আর তার এঁচোড়ে পাকা ভাই টাই যদি এই সামান্য ব্যাপারটা ম্যাগনিফাই করার চেষ্টা করে তবে...যাকগে, শিবার গল্প এখন নিতান্ত অপারগ না হলে বলবনা, গা গুলোবে, বমি পাবে, কারো শরীর খারাপ করিয়ে তার সঙ্গে তর্ক বা অন্য কিছুই করতে আমি রাজি নই।
    কল্লোলবাবু, তর্ক করতে উতসাহ থাকা না থাকা সম্পূর্ণ আপনার ওপরই নির্ভরশীল। আমারও যে গোড়ার দিকে খুব একটা ছিল, তা নয়। এই ধরণের ঘটনা আগেও বহু ঘটেছে। আমার কাছে উতসাহী ব্যক্তিদের জন্য প্রচূর নিউজ-স্‌ক্‌র্‌যাপ জমানো আছে।অসিবি আই বিত্ত/ক্ষমতা-বান ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে গান্ধিজীর তিনটে বাঁদরের আদর্শ অনুসরণ করাই শ্রেয় মনে করে। সব শেষে, তুলাদন্ডধারিণী মহিলার চোখ সত্যি বাঁধা, না পি,সি,সরকারের মত কে জানে। তাহলে ?

  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৫:১৫452656
  • আমি তো চটিনি মোটেই।
    যাগ্গে। আপনি লিখেছেন ""আমি ঐ সবেরই পক্ষে ছিলাম""। ছিলাম কথাটায় ধন্দে আছি। এখোনো আছেন কি?
    না থাকলে কিছু বলার নেই। থাকলে আছে।
    এটা ঠিক যে নানান জায়গায়, নানান গুন্ডা বদমাইশের দল, রাজনৈতিক দাদাদের মদতে এমন সব ঘৃণ্য কাজ করে, যে মেরে ফেলার জন্য হাত নিশপিশ করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে উল্টো ফল হয়। কিন্তু তবু, তাকে বেআইনীভাবে শাস্তি দিলে, তার সাথে আমাদের তফাত থাকে না। জানি, এসবের উত্তর হয় - নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে জ্ঞান দেওয়া খুব সহজ। নিজের ঘাড়ে পড়লে তখন দেখা যাবে। বিশ্বাস করুন, সে পরীক্ষা পার হয়ে এসেছি কেওড়াতলা-কালীঘাট অঞ্চলে, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে।
    কিন্তু ঐ ব্যাক্তিটিকে সরিয়ে দিলেই সমস্যা মিটে যাবে কি? আমার অভিজ্ঞতা - না। তার শূণ্যস্থান ভরাট করতে কয়েকমাস লাগে মাত্র।

  • rupankar sarkar | 110.227.204.217 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৪৪452657
  • কল্লোলবাবু, মনিন্দরের শুণ্যস্থান পূরণের মত কাউকে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। রাঠোরএর মত লোক অবশ্য বহু ছিল এবং এখনো আছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, শিবা কে মেরে ফেলা হয়েছিল আশীর দশকের মাঝামাঝি। ও অঞ্চলে গুন্ডা বদমাস ছিনতাইকারী বহু ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু পঁচিশ বছর কেটে গেছে, ও জিনিস আর একটাও হয়নি। শুধু ওখানে নয়, পশ্চিম বাঙ্গলার কোথাওনা।অজিনি কাজটা করেছিলেন, তাঁর কেরিয়ার গেল, সম্মান গেল(সরকারী ভাবে)উন্নতির পথ গেল, কিন্তু কত মানুষ, বিশেষত: মেয়েরা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করল, তা জানলে...আপনি চাইলে সে কাহিনী বলব এক সময়ে।অকল্লোল বাবু, পাতি গুন্ডা বদমাসদের শূণ্যস্থান পূরণ হয়, রাজনৈতিক খুনীদের শূণ্যস্থান পূরণ হয়, এদের হয়না।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৬:২৩452659
  • ঠিক জানি না শিবা কি বস্তু ছিলো। তবে কেওড়াতলার ভীম, স্বপন, শ্রীধরদের দেখেছি। কসবার দেবাকে দেখেছি। এদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আপনার কথায় বুঝতে পারছি আপনাদের ঘৃণা আর অসহায়তার কথা।
    আর একটা কথা। আদালতের, এমনকি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেও মত প্রকাশ করা যায়, তাতে আদালত অবমাননা হয় না।

  • rupankar sarkar | 110.227.159.108 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৪৯452660
  • কল্লোলবাবু, স্বপন-শ্রীধর কী ছিল ? তোলাবাজ এবং গুন্ডা। খুব পরিমিত পরিধিতে তাদের চলাফেরা। কেওড়াতলা শ্মশানের আশেপাসে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা থাকত। তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল আমার। খুব একটা অসুবিধে তাদের হয়েছে বলে শুনিনি কখনও। দেবা তো আমার প্রায় পাড়ার ছেলে ছিল। তার হাত খোয়া যাওয়ার পেছনে যাদের হাত, সেই কলেজ স্ট্রীটের অলোক অশোক চন্দনদেরও চিনতাম। দেবারা পেটি ক্রিমিনাল। দেবা শুধু নয়, কসবায় সব ক্রিমিনালই নিজেদের মধ্যে মারামারি করেই একে একে মারা গেছে।অএদের আদালতের বাইরে শাস্তি দেওয়া বা মেরে ফেলার কথা স্বপ্নেও ভাববেনা কেউ।

    শিবা ছিল পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন শিব মন্দিরের সিঁড়িতে ফেলে যাওয়া এক শিশু। তাই থেকে নাম শিবা। পারিবারিক বন্ধন না থাকায় মানবিক কোনও প্রবৃত্তি ছিলনা তার। শুধু তাই নয়, বেজম্মা- কথাটা শিশুকাল থেকে শুনতে শুনতে পুরো সমাজের প্রতি আক্রোশ জন্মে গেছিল তার। এই অবধি শুনে তার প্রতি করুনা জন্মানো স্বভাবিক। যিনি তাকে মেরেছিলেন তাঁরও জন্মেছিল বলেই আশারাণী ঘোষের ঘটনার আগে পর্যন্ত তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। না কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বিশেষভাবে ছিলনা সে। দলবল নিয়ে গুন্ডামি তোলাবাজী যা অন্যরা করে, তাই করত, এ পর্যন্ত ঠিকই আছে, মানে, অন্যদের মত।
    অন্যদের সঙ্গে তফাতটা হল, শিবা শ্রীরামপুর রিষড়া অঞ্চলের নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত বাড়িতে দলবল নিয়ে হঠাত ঢুকে বলত, আজ আমরা এখানে খাব। প্রথমে মদের চাট বানাতে হত, পরে রাতের খাবার। এ জিনিসও আমরা দেখেছি মানিকতলার গৌরীবাড়ি লেনে। তারপর অতিষ্ঠ হয়ে পাড়াশুদ্ধ ছেলেবুড়ো মেয়েমদ্দর গনপ্রতিরোধও দেখেছি।অশিবা এখানে থামতনা। সে বাড়ির যত মেয়ে বৌ ছিল, তাদের গনধর্ষন চলত সারা রাত। একদিনে থামতনা সে অত্যাচার। ঘুরে ঘুরে আসত তারা সেই সব বাড়িতে মাসের পর মাস। পুরুষরা বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করলে আধমরা হত, প্রাণেও মরত। থানায় যাবার কথা উচ্চারণ করতনা কেউ, দেওয়ালেরও কান আছে।অখুব বেশী ডিটেল লিখছিনা, পড়লে গা গূলোবে। একটি ছেলে, সাধারণ ঘরের, রাজনীতি করত না, মারামারি করতনা, কলেজে পড়ত। সে একদিন সাহস করে থানায় যাওয়ার কথা বলেছিল পাড়ার লোকদের। ঐ যে বললাম, দেওয়ালেরও কান আছে, সে রাতে তাকে তুলে নিয়ে গেল তারা। হ্যাঁ, সঙ্গে তার মাকেও নিল। ভদ্রমহিলার নাম ছিল, আশারাণী ঘোষ। রিষড়ার একপ্রান্তে এক মাঠ ছিল। বেশীর ভাগ খুন খারাপী সেখানেই হত। সেখানে নিয়ে গিয়ে ছেলেকে বলল, এই দ্যাখ তোর মা-কে কী করি। কী সেটা আর লিখলাম না। সে কাজটা শেষ করে আশাদেবীকে বলল, এই দ্যাখ, তোর ছেলেকে কী করি। তালিবানরা ড্যানিয়েল পার্লের গলা কেটেছিল এক কোপে।
    শিবা গলাটা কাটল অনেকক্ষণ ধরে। আশাদেবীর গলাও কাটা হল এর পর।

    শ্যামল বাবু ঐ মাঠেই নিয়ে গিয়ে শিবাকে মারলেন ক-দিন পর।

    মণিন্দর সিং এর গল্প তো বেশী পুরনো নয়, নিশ্চয়ই কাগজে পড়েছেন। যতীন সরকার কী ভাবে মরল। তাও তো জানেন।
    এবার বলুন তো, হাইপথেটিকালি, শ্যামলবাবু শিবাকে না মারলে, বা আর মাস খানেক দেরী করলে ঐ অঞ্চলের আর কটা স্কুলবালিকা যৌনকর্মীতে প্রোমোশন পেত ? জানি, আপনি বলবেন, কেউ অভিযোগ না করলেও শ্যামলবাবু সুয়ো মোটো কেস করতে পারতেন। হয় আমাদের দেশে? ওপরোয়ালারা করতে দিতেন? কেস হলে সাক্ষী পেতেন ?

  • rupankar sarkar | 110.227.149.196 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ২১:২৩452661
  • হ্যাঁ, আর একটা কথা, আপনার পোস্টে অসহায়তা ইত্যাদির কথা পড়ে মনে হল, আপনি ভাবছেন আমি ঐ অঞ্চলের লোক। না, আমার জন্ম কোলকাতায়, থাকিও কোলকাতায়,ঐ অঞ্চলে যাতায়াত ছিল, আরো অনেক অঞ্চলেই ছিল।অনিজে হয়তো খুব একটা অসহায় নই, তবে অসহায় লোকেদের কথা ভাবি খুব।
  • y | 180.215.16.198 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ০৭:০৪452662
  • পুরো হুর হুর দাবাং দাবাং।
  • kallol | 115.184.43.132 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ০৯:১০452663
  • হ্যাঁ। আমি অসহায়তার কথা বলতে ব্যক্তি আপনার কথা শুধু বলিনি - আপনাদের কথা বলতে চেয়েছি, যারা আপনার মতোই অন্যায়ের প্রতিকার না করতে পেরে - শ্যামলবাবুর অপেক্ষায় থেকেছেন। গৌরীবারীতেও ঐ একই ব্যাপার ঘটতো (মহিলাদের উপর অত্যাচার সমেত। তার উপর সে (নামটা মনে পড়ছে না) ছিলো রুনু গুহনীয়োগীয় আশীর্বাদ ধন্য।
    আমার সত্যি কিছু বলার নেই। কেন রিষড়া আর একটা গৌরীবাড়ী হয়ে উঠলো না, আমি জানি না। তবে গৌরীবাড়ীর রাস্তাও একটা রাস্তা।
    আর ব্যতিক্রম তো ব্যতিক্রমই। আমি প্রাণদন্ডের বিরোধী। আপনিও। আমি হত্যার বিরোধী, আপনিও। তার মানে ব্যাতিক্রম থাকবে না - এমন নিশ্চই নয়। ব্যতিক্রমের একটাই মুস্কিল। সেটাকে মেনে নিলে, অন্যেরাও ঐ ব্যতিক্রমী রাস্তা ধরতে চাইবে। সেটা কাম্য নয়।
  • rupankar sarkar | 110.227.90.35 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ০৯:২৫452665
  • নামটা ছিল হেমেন মন্ডল।
  • rupankar sarkar | 110.227.90.35 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ০৯:২৫452664
  • নামটা ছিল হেমেন মন্ডল।
  • Biplob Rahman | 202.164.213.4 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ১৩:২৬452666
  • শাহেরীন আরাফ্‌ৎ-এর লেখাটি আটপৌরে গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের কাহিনী। খুবই মন খারাপ করা ঘটনা। ...
    তবে লেখাটিতে গুরুতর ত্রুটি আছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এ কোন পুলিশ নেই। এটি সেনা বাহিনীর কমাণ্ডো সদস্যদের দিয়ে তৈরি, যারা রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিধান করেন।
    এসএসএফ কর্মকর্তার বেসামরিক অন্‌চলে (যেমন ...নাখালপাড়ায়) বাস করার বিধান নেই।
    এছাড়া লেখাটি খুব মান সম্মত নয়। :(
  • rupankar sarkar | 110.227.86.9 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ১৩:৪৪452667
  • রেলপথ যেমন চিরকাল সমান্তরাল থেকে যায় হয়তো আমাদের আলোচনা বা তর্ক যা-ই বলা যাক সমান্তরালই থেকে যাবে, কেননা এত আলোচনার পরেও আমি টার্মিনেশনের (হত্যা বলা ঠিক হবেনা)স্বপক্ষে। রুনু গুহনিয়োগীর কথা যখন উঠলৈ, একটা কথা বলার লোভ সম্বরণ করতে পারলামনা। ইংরাজীতে অনেক শব্দেরই একাধিক অর্থ থাকে, কিন্তু Sanction শব্দের দুটি অর্থ সম্পূর্ণ বিপরীত। রুনু বাবুর হত্যাগুলির পিছনেও sanction ছিল, শ্যামলবাবুর টার্মিনেশনের পিছনেও বিপরীতার্থে sanction ছিল।অরুনুবাবুর শিকার অগুনতি, শ্যামলবাবুর বোধকরি শিবাকে ধরে ১৮/১৯। এ ধরনের কাজ আর যারাই করেছেন, যেমন, মুম্বাইয়ের দ নায়েক কিম্বা গুজরাতের বানজারা, সবাই রুনুগুহ। শ্যামলবাবুর মত লোক দেখিনা আর। আহা, নয়দায় যদি আর একটা শ্যামল কুন্ডু থাকত, কিংবা পাটনার সার্কিট হাউসে (পড়ুন সত্যেন্দ্র দুবে)। আপনার যুক্তি খুবই মনোগ্রাহী, জনসমীপে পেশযোগ্যও বটে।অতবে একটি প্রাণের বিনিময়ে যদি একাধিক প্রাণ রক্ষা হয়, আমি চিরকাল সেই দিকে আছি এবং আমৃত্যু থাকব।
  • rupankar sarkar | 110.227.86.9 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ১৩:৫৭452668
  • রেলপথ যেমন চিরকাল সমান্তরাল থেকে যায় হয়তো আমাদের আলোচনা বা তর্ক যা-ই বলা যাক সমান্তরালই থেকে যাবে, কেননা এত আলোচনার পরেও আমি টার্মিনেশনের (হত্যা বলা ঠিক হবেনা)স্বপক্ষে। রুনু গুহনিয়োগীর কথা যখন উঠলৈ, একটা কথা বলার লোভ সম্বরণ করতে পারলামনা। ইংরাজীতে অনেক শব্দেরই একাধিক অর্থ থাকে, কিন্তু Sanction শব্দের দুটি অর্থ সম্পূর্ণ বিপরীত। রুনু বাবুর হত্যাগুলির পিছনেও sanction ছিল, শ্যামলবাবুর টার্মিনেশনের পিছনেও বিপরীতার্থে sanction ছিল।অরুনুবাবুর শিকার অগুনতি, শ্যামলবাবুর বোধকরি শিবাকে ধরে ১৮/১৯। এ ধরনের কাজ আর যারাই করেছেন, যেমন, মুম্বাইয়ের দ নায়েক কিম্বা গুজরাতের বানজারা, সবাই রুনুগুহ। শ্যামলবাবুর মত লোক দেখিনা আর। আহা, নয়দায় যদি আর একটা শ্যামল কুন্ডু থাকত, কিংবা পাটনার সার্কিট হাউসে (পড়ুন সত্যেন্দ্র দুবে)। আপনার যুক্তি খুবই মনোগ্রাহী, জনসমীপে পেশযোগ্যও বটে।অতবে একটি প্রাণের বিনিময়ে যদি একাধিক প্রাণ রক্ষা হয়, আমি চিরকাল সেই দিকে আছি এবং আমৃত্যু থাকব।
  • ranjan roy | 122.168.204.241 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ০০:৫৫452670
  • রূপংকরবাবু,
    প্রথমে, আপনার সম্বোধন নিয়ে যা কিছু অস্বস্তি বা খারাপ লেগেছে তা নিয়ে।
    বিশ্বাস করুন আসলে সব দোষ গুরুচন্ডালির। মানে , গুরুচন্ডালির কালচারের; মানে ওই যে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায় ইত্যাদি। এখানে গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে ফক্কুড়ির স্টাইলে কথাবলা হয়। আবার আপাত: হালকা বিষয় নিয়ে আলোচনা পৌঁছে যায় সিরিয়াস পোস্ট মডার্ন দার্শনিক বিতর্কে।
    প্রথম জনরের উত্তম উদাহরণ রঙ্গন ও দময়ন্তীর "হুতোম ও বদ্যিবুড়ির''নামের আড়ালে লেখা টইটিতে উনবিংশ শতকের কোলকাতা কালচার ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে হলকা চালে গভীর মূল্যাংকন।
    দ্বিতীয়টি হল আই পি এল এ চিয়ার্স গার্লদের নিয়ে ইয়ার্কি দিতে গিয়ে ফিমেল এম্পাওয়ারমেন্ট হয়ে ক্ষমতার প্র্যাক্সিস এ পোঁছে যাওয়া--- তাতে একদিকে ঈশান , আর একদিকে স্যান ও হনু।
    উপরোক্ত দুটি বিতর্ক ও সমান্তরাল চিন্তা ভাবনা আমাদের মত দর্শক দের নান্দনিক আনন্দ ছাড়াও চিন্তার খোরাক দিয়েছিল।
    গুরুচন্ডালির সম্পাদকীয় ও ম্যানিফেস্টো দেখুন। গুচ সমস্ত স্বীকৃত সব ম্যাক্সিম, (ঈশ্বরবাদ/অবতারবাদ/মার্ক্সবাদ/ বাদহীনবাদ) সব কিছুনিয়ে খিল্লি করাকে উস্কে দেয়।
    এটাই আমার মত ছন্নছাড়া হরিদাসপালের কাছে গুচ'র বিশেষ আকর্ষণ।
    এখানে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে এমন সব শব্দ ব্যবহার করে যেগুলো আমাদের প্রজন্মের কাছে ""একান্তভাবে ছেলেদের'' আড্ডা ছাড়া অকল্পনীয় ছিল।
    এখানে আমার চেয়েও বয়োজেষ্ঠ হলেন সুব্রত মুখার্জি , মমতার পাড়ার কাব্লিদা।
    এখানে একজন গুরুমা একবার দেখিয়েছিলেন উনি কাব্লে বুড়ো বল্লেও রাগ করেন না।
    অবশ্যি এর মানে এই নয় যে আমি বা আপনি রাগ করতে পারবো না!
    এখানে বিষয় ছেড়ে ""ব্যক্তিগত'' আক্রমণ একেবারে স্ট্রিকটলি ''নো-নো'' জোন।
    যে কোন মত বা দলেরই হোন না কেন-- ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরোধিতা করা হয়। কখনো কখনো বন্ধুরাও করে। কখনো কেউ না করলে সম্পাদকমন্ডলী করে। সম্বোধন/ইয়ার্কি এসব উদ্দিষ্ট ব্যক্তির স্বীকৃতির সাপেক্ষে দাঁড়ায়। কাজেই যে ধরণের সম্বোধনে আপনি ( বা আমি ) অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তার ব্যবহার কাম্য নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন