এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে

    Riju
    অন্যান্য | ২৫ জানুয়ারি ২০০৬ | ৫২৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tanu2 | 198.74.20.73 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২৩:০৮450589
  • fantastic! আরও লেখো।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০০:০৫450590
  • ঈশ,ইন্দ্রাণীদি,এতক্ষণে দেখলাম লেখাটা।
    অসাধারণ। তবু আরো তৃষ্ণা রয়ে যায় সেই ধোঁয়া কুয়াশা আগুন পাহাড়ের জন্য।
    আরো লেখো,খুব ভালো।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৫:৪৮450591
  • বহু আগের যুগে,ছেলের অভিভাবিকারা বিয়ের সম্বন্ধ করতে গিয়ে পায়ের তলায় সর্ষে গড়িয়ে দিয়ে মেয়ে দেখতেন।সর্ষে গড়িয়ে বেরিয়ে গেলে মেয়ে বাতিল,আর না বেরোলে চান্স রইলো।
    এখনো এইসব প্রথা আছে নাকি গাঁ দেশে কেউ কি জানো?
  • baps | 203.199.41.181 | ২২ জানুয়ারি ২০০৯ ২১:৩৫450592
  • লেখা গুলো পরে বেশ ভালো ই লাগলো। আম্মো কিছু একটা লেখার প্লান করছি। দেখা যাক কতদুর কি করতে পারি।
  • baps | 203.199.41.181 | ২২ জানুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৮450593
  • সময় টা জুলাই ২০০৭। মুম্বাই এর লোকাল এ ধাক্কা খেতে ধাক্কা খেতে চলেছি। হাতে খবরের কাগজ। পরতে পরতে একটা ছোট্টো নোটিস এ হঠাৎ চোখ আটকে গেলো ......

  • siki | 122.160.41.29 | ২৩ জানুয়ারি ২০০৯ ১৫:১৫450594
  • দেড় বছর ধরেই কি তা আটকেই আছে?
  • baps | 203.199.41.181 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০১:৩১450595
  • ট্রেক করার ইচ্ছা অনেক দিনের। চাকরি পাওয়ার পর প্রথম যে জিনিষ টা কিনেছিলাম নিজের জন্য সেটি হল একটি রুকস্যাক। ঠিকঠাক স্‌ঙ্‌গী র অভাবে যাওয়া হয়ে ওঠে নি। Directorate of Mountaineering and Allied Sports (DMAS), আর Heemachal Tourism মিলে আয়োজন করছে "সারাহান - বাসাল' পাস ট্রেক। ভয় হল পারব তো? বিড়ি খাওয়া ঝাঁঝরা ফুস ফুস। আর ওজন তো কথাই নেই মাত্র 0.9 ট্‌ন। তড়ি ঘড়ি ফোন লাগানো গেলো DMAS দপ্তরে। না: আশ্বস্ত হওয়া গেলো। ব্যাপার টা আমাদের মত লোকেদের উৎসাহ দেওয়ার জন্যে। তবে রয়েছে আর একটি অনুমতির অপেক্ষা।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০৩:৫২450596
  • অনুমতি মানে এ যার তার অনুমতি নয়, সয়ং Home ministry মানে বউ। ব্যাপার টা পতীর পুণ্যে সতীর পুণ্য নয়। তিনি যে যাবেন না এ ব্যাপারে আমি সুনিশ্চত। কারণ টা না হয় উহ্য ই থাক। যাবেন যদি না তবে ব্যাগরা ই বা দেবেন কেন? না: ব্যাগরা দেওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সেটি হল ট্রেকিং এর দিন গুলি। যে চার দিন ট্রেকিং করতে ডাকা হয়েছে সেগুলি হল ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী। মানে বুঝতে ই পারছেন প্রস্তাব টি দেওয়া কত কঠিণ। কিন্তু এতদিনের সখ..... বারি ফিরে কপাল ঠুকে বলেই ফেললাম। জানি না রাগে না দু:খে না ভালোবাসায় বলে দিলেন যাও। আমিও আর দ্বীতিয় বার প্রশ্ন না করে লেগে পরলাম যোগারে।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০৪:৫৫450597
  • অনেক দিন পর বাঙলা লিখছি। কাজেই বানাণ ভুল ক্ষমা করতে হবে। আর ওজন টা লিখতে গিয়ে একটা শুণ্য কম দিয়েছি, ওটা হবে 0.09 টন।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০৫:২৪450599
  • জোগার মানে অনেক রকম জোগার। প্রথমেই কনফর্ম করতে হবে। বলে দিয়েছে, প্রথম ১৫ জন কে ই নেওয়া হবে। সক্কাল সক্কাল বস কে ভুজুং দিয়ে চললাম ড্রাফ্‌ট বানাতে। ড্রাফ্‌ট টা বানিয়ে মুম্বাই GPO থেকে speed post করে দেওয়া গেলো শিমলা র ঠিকাণায়। তিন দিন পর ফোণ কোরে কনফর্ম করে নেওয়া গেলো, পৌচেছে কি না? ভয়ে ভয়ে জিগালাম এখোনো পর্যন্ত কটা application পৌচেছে? বললো আমার টা ই নাকি প্রথ্‌ম। আবার জিগালাম " তাহলে cancel হওয়ার chance নাই তো'? ওধার থেকে জবাব এল " আপনার টাই প্রথ্‌ম, কোনো ক্রমেই cancel হওয়ার নয়। সুতরাঙ ইএ এ এ এ এ এ এ এ এ এ
  • baps | 203.199.41.181 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ০৫:৫৬450600
  • এর পরের জোগার হলো জুতো। এক অভিগ্য বন্ধুর পরামর্শ মত চললাম প্যারেল এর Woodlands এর দোকানে। কেনা হল জুৎসই জুতো। সেই পরে রোজ সন্ধায় ফিরে সুরু করলাম হাঁটা। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাকটিস বেরে হল দু ঘণ্টায় ১২ কিমি। বিড়ি খাওয়াও বন্ধ করা গেল। কিছু দিন পরে আর এক বন্ধু কইল "পাহাড়ে চলা আর সমতলে চলা এক নয়। পাহাড়ে চলা প্রাকটিস করো'। মুম্বাই এ পাহাড়ি রাস্তার অভাব নেই, সেরকমই একটা রাস্তায় শুরু করলাম অনুশীলন।
  • sayan | 115.108.25.26 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ১২:৩১450601
  • বাপ্‌স, একটু মলিন আনন্দ পাচ্ছি আপনার ভ্রমণকাহিনী পড়ে। একদিন আমিও বেরোব এমনি। শুধু ঐ 0.085 টন আর গৃহমন্ত্রালয় :((
  • baps | 203.199.41.181 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ ১৫:৪৮450602
  • চিন্তা করো না সায়ণ। মাত্র দু মাসের চেষ্টায় আমি চরতে পেরেছিলাম ১১৫০০ ফুট। Himachal Tourism প্রতি বছর ই আয়োজ্‌ন করে থাকে। web site এই পাবে।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ ০০:১৩450603
  • এবার আশা যাক সারাহান সম্পর্কে। সারাহান হল শিমলা থেকে ১৭৫ কিমি উত্তর পূর্বে অবস্থিত একটা ছোট্ট জায়গা। উচ্চতা ৭০০০ ফুট। সারাহান কে নিয়ে অনেক পৌরাণিক গল্প প্রচলিত। তার মধ্যে আমার সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল ঊষা আর অণিরুদ্ধ কাহিনি।

  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ০০:২১450604
  • পুরা কালে সারাহান এর নাম ছিল সোনিতপুর। সেথাএ রাজঙ্কÄ করতেন রাজা বাণাসুর। বাণাসুর এর ছিল এক পরমা সুন্দরী কণ্যা নাম ঊষা। ঊষা র ছিল এক ডাকাবুকো বন্ধু চিত্রলেখা। একদিন স্বপ্নে ঊষা এক সুদর্শন রাজপুত্র কে দেখে প্রেমে পরে। সকালে বন্ধু চিত্রলেখা কে বলে স্বপ্নের কথা। এবং এও বলে সে তাকে ছারা আর কাউকে বিবাহ ই করবে না। বন্ধু ঊষার মুখে বর্ণনা সুনে এক ছবি ও এঁকে ফেলে চিত্রলেখা সেই কল্পনার রাজপুত্রের। তার পর বন্ধুর বিরহ কাতর অবস্থা দেখে বেরিয়ে পরে সেই কল্পনার রাজপুত্রের খোজে। শান্তনা স্বরূপ বন্ধুর কাছে রেখে যায় সেই ছবি।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ০০:৪৪450605
  • আগেই বলেছি চিত্রলেখা ছিল ডাকাবুকো গোছের। বহু দেশ ঘুরে অবশেশে চিত্রলেখা দেখা পায় কৃষ্‌ণ পুত্র অনিরুদ্ধ র। যার সাথে ঊষা র বর্ণনা মিলে যায়। একদিন রাত্রে ঘুমন্ত অবস্থা তাকে চিত্রলেখা তুলে নিয়ে যায় ঊষা র কাছে।
    রোমহর্ষক তাই না! এমন কেন এখন হয় না আহা!!
    ঘটনা টা জানতে পেরে কৃষ্‌ণ সৈণ্য সামন্ত নিয়ে আক্রমণ করে বসে বাণাসুর এর রাজ্জ। বাণাসুর বেচারা মেয়ে র এই কির্তি কলাপ সম্বন্ধে কিছু জানত না। কৃষ্‌ণ র কাছে হেরে গিয়ে বন্দি হওয়ার পরে জানতে পারে। ডাক পাঠায় ঊষা কে।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ০০:৫৬450606
  • ঊষা র কাছে পুরো কাহিনি শোনার পর সর্বকালের সেরা -- বাজ কৃষ্‌ণ কি আর বিরুপ থাকতে পারে পুত্রের এই সৌ(?)ভাগ্যে? ধুম ধাম করে বিয়ে দিয়ে দ্যায় ছেলের সাথে ঊষা র। আর সাথে যৌতুক হিসাবে দান করে বিজিত রাজ্য সনিতপুর।
    যদিও ব্যাপার টা মাছের তেলে মাছ ভাজা কিন্তু লখ্য করুন সেই সময় ছিল কণ্যা পণ।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ০১:৩৫450607
  • অনুশিলন এবং গল্প শেষ। এবার যাওয়া। আগে থেকে কেটে রেখে ছিলাম সস্তায় মুম্বাই দিল্লি Go Air এর রিটার্ণ টিকিট। দিল্লি থেকে কালকা যাওয়ার যন্য শতাব্দী র টিকিট আর কালকা থেকে শিমলা যাওয়ার যন্য Himalayan Queen, Toy train এর জানালার ধারের টিকিট।
    নির্দিষ্ট দিন অফিস যাওয়ার পথে ই প্রয়জনীয় লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে পরলাম, বেরোনর সময় বউ কে একটা ধণ্যবাদ দিতে ভুললাম না।
    সেদিন রাত্রে দিল্লি পৌছে রাত্রি বাস এক বন্ধুর বারিতে। ফেরার পথে ও সেই বন্ধুর বারি হয়েই ফেরার প্লান। সুতরাং তার বারিতে রেখে গেলাম কিছু জামাকাপড়। যেগুলো ফেরার পথে কাজে লাগবে। পাহাড়ে চলতে গেলে সব সময় কম সে কম জিনিষ নিয়ে চলতে হয়। আর খালি রাখতে হয় দুটি হাত।
    পুরোনো বন্ধু, অনেক দিন পর দেখা, রাত্রে শুতে একটু দেরি ই হল। সক্কাল সক্কাল উঠে রওনা হলাম হজরত নিজামুদ্দিন ষ্টেসন এর উদ্দেশ্যে। সময় মতই পৌছে গেলাম। একা চলেছি। টেনশন একটু আছেই। টেনশন বা ভয় একটি কারণেই, কোনোরকম ঝামেলায় ফেঁসে যদি সময় মত পৌছোতে না পারি।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ০২:১৮450608
  • সঙ্গে মুল্লবাণ বলতে শুধু আমার মাস ছয় আগে কেনা camera আর অমুল্য শীতের পোষাক। camera তো আমার সঙ্গে কোমোরে এবং গলায় দুই পয়েণ্ট এ আটকানো। ভয় শুধু সঙ্গের ব্যাগ খোয়া যাওয়ার। আর এ ব্যাপারে দিল্লির বেশ সুনাম।
    যাই হোক। নির্বিঘ্নে ট্রেণ এ চড়া গেল হযরত নিযামুদ্দিন থেকে। ব্যাগ যথা স্থানে রেখে প্লান করলাম একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার। কারণ পরবর্তী ট্রেণ হিমালয়ান কুইণ এ ঘুমানো চলবে না। হিমালয়ান কূইণ এ চলেছি ই দেখতে দেখতে যাব বলে। নাহলে তাড়া তাড়ি উপরে যাওয়ার অনেক ব্যবস্থা ছিল।
  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ২০:৩৩450610
  • প্লান মত ঘুমান গেল শতাব্দি তে। ট্রেণ পৌছোবে বেলা ১২ নাগাদ কালকা। ১২:৩০ সেখান থেকেই হিমালয়ান কুইণ। connecting ট্রেণ সুতরাং মিস করার চান্স নাই। আরাম সে ঘুমিয়ে যখন জাগলাম ট্রেণ প্রায় পৌছে গেছে। ট্রেণ থামার পর ব্যাগ পত্র নিয়ে চললাম টয় ট্রেণ এর উদ্দেশ্যে। ছোট্ট দেশলাই বাক্সের মত কামরা। ব্যাগ পত্র নিয়ে নির্দিষ্ট কামরায় চড়ে দেখলাম আমার সখের জানলার ধার টি জুড়ে বসে আছেন এক মুটকি বাঙ্গালি বৌদি। সঙ্গে বেশ বড় গ্যাঙ। দেখলাম বাঙ্গালি বলে পরিচয় দিলে জানলার ধারের সিট টি মায়া হতে পারে। সাহেবের ভাষা তে ই কইলাম। বৌদি সঙ্গে সঙ্গে রই রই করে তিন চার দেওর গোছের পাবলিক কে ডেকে আনলেন। তারা রক্ত চক্ষু করে তেরে এলেও আমার size দেখে দমে গেলেন, তার পর এক এক করে গুনে গুনে যখন দেখলেন আমার দাবি ন্যাহ্য তখন বৌদি মাতৃ ভাষায় আমার মুণ্ড পাত করতে করতে উঠে গেলেন। আমার হাসি পেলেও আমার পরিচয় গোপণ রাখাই ঠিক করলাম। পরিচয় বেশ অনেক্ষণ গোপণ ছিল, আর আমি তাদের ফ্রাসটেসন ভেণ্ট করা টা বেশ উপভোগ করছিলাম। বিপদ হল যখন এক বাঙ্গালি বন্ধু ফোণ করে বসল আর আমি বেখেয়ালে বাঙলায় জবাব দিয়ে ফেললাম। তারপর সেকি জিভ কাটা।
  • ac | 130.88.237.217 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ২১:২০450611
  • খাসা হচ্ছে। তারপর??
  • baps | 203.199.41.181 | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৫450612
  • টয় ট্রেণ সফর বেশ ভালই চলছিল। হঠাৎ অণুভব করলাম প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। মনে করে দেখলাম সারাদিন কিচ্ছু খাওয়া হয় নি। আর এখন খাবার বলতে কিছু স্নাক্স, ভেজ কাটলেট, চিপ্‌স ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। তাই খেতে খেতে ট্রেণ যাত্রা উপভোগ করতে করতে চললাম।
    টয় ট্রেণ যাত্রা সত্তি উপভগ্য। গতি তো প্রায় নেই বল্লেই চলে। চার পাশের দৃশ্য ও অতি মনরম। আর মাঝে মাঝে যখন স্টেসন এ দাঁড়াচ্ছে তখন নেমে পরা। যাত্রাপথে প্রায় ১১৬ টানেল পার হতে হল। প্রতি টা টানেল এর entry আর exit point এ নাম্বার ও লেখা। মাঝে এক দুবার বৃষ্টি ও নামল।
    এই করতে করতে পৌছে গেলাম শিমলা। একটু দেরিই হল। তবে আমার সেদিনের টার্গেট হল শিমলা পৌছোন। সেটা প্রায় সমাপ্ত। এবার রাত্রে থাকার একটা ব্যবস্থা দেখতে হবে আর কিছু খেতে হবে। আর অভিগ্যতা বলে, পাহাড়ে সমস্ত কিছু চলে তার গতি তে। সেখানে জলদি বাজি করে কোনো লাভ নাই।
    যাই হোক শিমলা এ নেমে আর একটা কাজ আছে, সেটা হল কাল সকালে সারাহান যাওয়ার বাস কোথাএ পাওয়া যাবে সেটার খোঁজ নেওয়া।
    বাস ষ্টাণ্ড এর খোজ পাওয়া গেল। আর পাওয়া গেল শিমলা কালীবাড়ির খোজ। স্টেশন থেকে ১ কিমি র ও কম দুরত্বে শিমলা কালীবাড়ি। হাঁটতে শুরু করলাম পিঠে ব্যাগ নিয়ে। রাস্তায় প্রচুর কুলি উত্তক্ত করতে থাকল। তেনারা মাল বয়ে দিতে এবং হোটেল খুঁজে দিতে প্রস্তুত। তাদের এক নাছোড় বান্দা সাথি কে ডেকে বল্লাম, এই ব্যাগ টি আমাকে আরো ৩০ কিমি বয়ে নিয়ে যেতে হবে, তাই এক্ষণে আমাকে যেন কিনচিৎ প্রাকটিস করার সুযোগ দেওয়া হোক। আর থাকার ব্যাপারে আমার কালীবাড়ি তে ব্যবস্থা করা আছে। এটা অবশ্য মিথ্যা বললাম। তবে এতে দেখলাম কাজ হল, আর লোকজ্‌ন আমার পিছু ছারল।
  • d | 203.143.184.11 | ২৭ জানুয়ারি ২০০৯ ১৫:৪২450613
  • অভিজ্ঞতা লিখুন এইভাবে:: abhij`Nataa
    কিঞ্চিৎ লিখুন এইভাবে:: ki`Nchi`t
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৭ জানুয়ারি ২০০৯ ২১:১৪450614
  • ভাল হচ্ছে। হ্যাঁ, সিমলায় কুলির খোঁচা ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর।
  • Riju | 121.241.164.22 | ২৮ জানুয়ারি ২০০৯ ১৬:৫৪450615
  • সারাহানে ছিলেন কোথায়?ভীমাকালি মন্দিরের ধর্মশালায় না হিমচল ট্যুরিজমের শ্রীখন্ডে ?
  • baps | 203.199.41.181 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ০৯:১৯450616
  • যাই হোক। হাটতে হাটতে কালীবাড়ি পৌছে যাওয়া গেলো। থাকার ব্যাবস্থা খোঁজ করতে বলল যে ডর্মেটরি তে একটা বেড পাওয়া যেত পারে। ভারা ২৫ টাকা। ভালো ই ব্যাবস্থা। মাল পত্র রেখে, হাত মুখ ধুয়ে চললাম খাদ্যের সন্ধানে। জানা গেলো, ওখানেই পাওয়া যাবে খাবার। তবে আগে থেকে বলা না থাকলে ডিম ভাত বা ভেজ খেতে হবে। খিদে তে তখন আমার পেটে Tom & Jerry show চলছে। কে আর তখন অন্য উপায় দেখে। তাই খেতে চললাম। কালীবাড়ির ভিতর টা পুরো ভুল ভুলাইয়া। বার দু এক রাস্তা হারিয়ে পৌছোনো গেলো খাবার জায়্‌গায়। পেট ভরে ডাল ভাজা আর ডিমের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে পেল ঘুম। কিন্তু এক্ষুনি ঘুমালে চলবে না। কাল সকালে যাওয়ার জন্য বাস স্টান্ড আর বাস এর সময় জানতে হবে। পরের দিনের যাত্রা টাই কঠিন। ঐ রাস্তায় লোক জনের অভিজ্ঞতা কম। চললাম ম্যাল এর রাস্তায়। কিন্তু বিশেষ সুবিধা হল না। অত রাত্রে ম্যাল এ বিশেষ কেউ নেই। ফিরে এলাম। তবে বিশ্‌দ খোজ পেয়ে গেলাম ডর্মেটরি তেই। এক ষাটোর্ধ ভধ্রলোক আমাকে বিষ্‌দ বিবরণ দিয়ে দিলেন পথের। বাস স্টান্ডে যাওয়ার রাস্তা ও বললেন। শুধু বলতে পারলেন না বাস ছাড়ার সময়।

    পর দিন সক্কাল সক্কাল alarm দিয়ে উঠে কাজ কর্ম সেরে বেরিয়ে পরলাম। যেতে হবে আরো ১৭৫ কিমি। আগের দিনের খাওয়ার (অর্থাত না খাওয়ার) অভিজ্ঞতা দারুণ, কাযেই প্রথমেই এক জায়গায় গরম গরম আলু পরোটা খেয়ে নেওয়া গেলো। কিন্তু সেখানে ই হল বিপদ। বাস স্টান্ড এ গিয়ে জানতে পারলাম ১০ মিনিট আগে সারাহান এর একটা direct বাস চলে গেছে। পরের বাস ১০:৩০ টাএ। মাঝে কোনো direct বাস নেই। টিকেট কাউন্টার ভদ্রলোক বেশ হেল্পফুল। আমি প্রথম বার এবং একা যাচ্ছি শুনে বললেন ঐ ১০:৩০ র বাসে ই যান সুবিধা হবে। তখন বাজে ৭ টা। আগেই বলেছি পাহাড়ের পথে তাড়া হুড়ো করতে নেই। একটু চা টা খেয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে রইলাম।
  • baps | 203.199.41.181 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:০৫450617
  • ধৈর্য যে কত ধরে ছিলাম সে শুধু আমি জানি আর জানেন বাস স্টান্ড সেই ভদ্রলোক। শুধু এইটুকু বল্লেই কাফি হবে যে বাস আসার খবর আসা মাত্র সেই ভদ্রলোক জানালা দিয়ে মুখ বারিয়ে আমাকে ডাকলেন টিকিট নিয়ে যাওয়ার জন্য।
    বাস টি আসছে হরিদ্বার থেকে আর যাবে আমার গন্তব্য সারাহান। বাসে গিয়ে বসলাম। এখানেও সেই সিট নিয়ে ঝামেলা। তবে এবারে আর বঙ্গললনা নয়। এবার অবশ্য আমাকে কনডাক্টার এর সাহায্য নিতে হল। বাসের যাত্রী বেশীর ভাগ ই স্থানিয় আর সঙ্গে চলেছে একটা স্থানিয় গান গাওয়া পার্টি। তাদের সব্বাই স্টুডেন্ট, শুধু গার্জেন হিসাবে চলেছেন দুজন। তাদের সাথে ভালো ই সময় কাটল গান শুনে আর গল্প করে।
    বাস ছাড়ার পর উপরে উঠতে শুরু করল। আমি ক্যামেরা তে মনোরম সব দৃশ্য বন্দি করতে করতে চল্লাম। কিছুক্ষণ চলার পরেই দুর থেকে দেখতে পেলাম আমার গন্তব্য র সেই সারাহান এর শ্রীখন্ড চুরা। চক্‌ চক্‌ করছে বরফ আর রোদের খেলায়।
    বাস চরতে চরতে এক জায়গায় এসে দাঁড়াল। সেই গানের দল এর কাছেই জানতে পারলাম জায়গার নাম "নারকাণ্ডা'। ওটি নাকি ঐ অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু স্থান। আরো জানলাম নভেম্বর মাসে ওখানে গেলে নাকি স্কিয়িং করা যায়। আর জানতে পারলাম "নারকাণ্ডা' নামের উৎপত্তি।
  • baps | 203.199.41.181 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৪৩450618
  • নারকাণ্ডা শব্দের উৎপত্তি "নরমুণ্ডা' বা "নরমুণ্ড' থেকে। পরষুরাম যখন তাঁর কুঠার দিয়ে নিক্ষত্রিয় করেছিলেন বিশ্য। সেই সেই সময় তিনি নাকি সমস্ত মুণ্ডু নিয়ে এসে পুঁতেছিলেন ঐ জায়গায়। সেই নরমুণ্ড থেকেই "নারকাণ্ডা' নামের উৎপত্তি। ওখানে কোন এক মন্দিরে নাকি এখনো রাখা আছে সেই কুঠার। ঘটনার সত্যাসত্য জানিনা তবে ঐ জায়গায় একবার যাওয়ার ইছা রাখলাম আর মনে মনে সেই কুঠার এর উদ্দেশ্যে বললাম আর একবার পারনা জাগতে, পারনা এই পৃথীবী টাকে যুধ্যবাজ আর আতঙ্কবাদের হাত থেকে মুক্ত করতে?
  • baps | 203.199.41.181 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:২৩450619
  • নারকাণ্ডা ছাড়ার পর বাস নিচে নামতে লাগল। মাঝে বেস কয়েকবার এল বৃষ্টি। রোদ আর বৃষ্টির মাঝে বাস নিচে নামতে লাগল। নামতে নামতে এসে পৌছাল রামপুর বুশার। কিন্তু সেখানে এসে দেখি বাস থেকে সব্বাই নেমে যাচ্ছে। যাচ্চলে আমায় যে কইল এই বাস ই আমাকে পৌছে দেবে সারাহান?
  • Sudipta | 122.169.161.171 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১৫:৫২450621
  • অরিজিৎদা,
    যদি জলদাপাড়া যাও, তাহলে হলং ছাড়া থেকো না, জঙ্গল কিছুই পাবে না, জন্তু জানোয়ার ও তথৈবচ। আর যদি জলদাপাড়া যাও, হলং এ থাকো, তাহলে তিস্তা তোর্ষা সবচেয়ে ভালো ট্রেন। কারণ শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মাদারিহাট (জলদাপাড়ার প্রবেশমুখ) অনেকটা রাস্তা, বাসে বা গাড়িতে যেতে বোরড হবে। তার চেয়ে তিস্তা তোর্ষায় ফালাকাটা চলে যাও সিধে, ওখানে আগে থেকে হলং বাংলো-য় বলে দিলে ওরা গাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ৪৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে বাংলো-য়। ঐদিন সকালে ব্রেকফাস্ট করে খয়েরবাড়ি ঘুরে আসতে পারো ছোটো করে। তবে রেস্ট নেওয়াই ভালো, হলং এত সুন্দর জঙ্গলের মধ্যে, পায়ে হেঁটে একটু আধটু ঘুরেও দেখতে পারো, খয়েরবাড়িতে দু-একটা বন্দী লেপার্ড ছাড়া তেমন কিস্যু নেই। বিকেলে চলে যাও চিলাপাতা। বক্সার রেঞ্জের শুরু এখান থেকে; ভাগ্যে থাকলে হাতির পাল, হরিণ এমনকি চিতাবাঘ-ও দেখতে পারো। ৪ টে নাগাদ যাওয়া ভালো, আসার সময় সন্ধ্যে হয়ে হয়ে আসলে দেখার চান্স বেড়ে যায়। আমরা দুটো গন্ডার আর একটা হাতির পাল দেখেছিলাম। বিকেলে আর রাতে গন্ডার, গাউর (ভারতীয় বাইসন), হাতি দেখা প্রায় ধরা বাঁধা, ওখানেই হলং এর স্পেশালিটি। সামনের ময়দানে ওরা নুন ছড়িয়ে রেখে দেয়, সেই নুন চাটতে আসে সব দলে দলে। বললে বিশ্বাস করবে না, আমরা প্রায় ১১ টা গন্ডার একসাথে দেখেছিলাম। সঙ্গে নল রাজার গড় দেখতে ভুলো না। পরদিন ভোরবেলা এলিফ্যান্ট সাফারি করো ঘন্টা দেড়েকের। তারপর ব্রেকফাস্ট করে লোলেগাঁও চলে যাও। তিস্তা ব্রিজের ধারে হোটেলে লাঞ্চ করে নাও (যদি হাইজিন নিয়ে খুব মাথা ব্যথা না থাকে, শুধু জলটা সাবধান)। বিকেলের মধ্যে লোলেগাঁও পৌঁছে যাবে। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বাংলো বেশ ভালো, সুন্দর ফুলের বাগান আর পাহাড় নিয়ে, বাইরে রাস্তায় বের হলেই ঝাউ ঘেরা রাস্তা। বেশ নির্জন। ওখানে একটা পার্ক (উইথ হ্যাঙ্গিং ব্রিজ), সানরাইজ পয়েন্ট এইসব আছে। আর ওখান থেকেই ফেরার পথে লাভা হয়ে ফেরো। লাভায় ঐ মনাস্টেরিটা ছাড়া তেমন কিছু নেই। বরং নামার পথে কালিমপং এ প্রধানের নার্শারি টা দেখে নিও, ক্যাকটাসের যা কালেকশান আছে, অসাধারণ। ছবি দেখে নিতে পারো, লিঙ্ক দিলাম।

    http://picasaweb.google.com/sudipta.bhattacharya83/JaldaparaBhutanPelingLavaLoleaonKalimpong#

    আরো কিছু দরকার হলে বলো। রিষপ আমি যাই নি, বুনুদা খপর দিতে পারবে, ও গেসলো জানি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন