ঘ্যামা ঘ্যামা বইয়ের বড় বড় ব্যাপার, যেমন গড়ন, তেমনই দাম। ওদিকে নজর না দিয়ে আমরা বানিয়েছি সস্তা কাগজের চটি বই, যা সুলভ ও পুষ্টিকর।
গুরুচণ্ডা৯ চলতে শুরু করল ২০০৪ সালে। প্রথম চটি বই বেরোলো ২০১০-এ। বিজ্ঞাপনের কারবার নেই। নিজেদের লেখা, ছবি, ভিডিও, হাতে গড়া রুটির মতো, সামিজ্যাটের সাইক্লোর মতো ছড়িয়ে রাখি ইতিউতি
জালে (ওয়েব আর কী)। যে খুশি খুঁটে খান। তাতে খুব যে মারকাটারি বিশ্ববিজয় হয়ে গেছে তা নয়। কিছু বইয়ের হাজারখানেক কপি এক বইমেলায় শেষ হয়, কিছু বইয়ের হয় না। প্রথম চটি বইগুলোর কারো কারো
চার-পাঁচটা সংস্করণ হয়েছে, কারো দুটো। ওয়েবে কতজন পড়েন, সঠিক ভাবে মাপা মুশকিল। গ্রুপে কিছু হাজার, সাইটে কিছু। কুড়ি কোটি বাঙালির কাছে এসবই খুব বেশি কিছু না। তবে এই ক’বছরে সস্তায় পুষ্টিকর
চটি বইয়ের ব্যাপারটা বিলক্ষণ বুঝেছি। বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক নয়, মডেল সুন্দরীদের মার্জারচলন নয়, ঠোঙা নয়, মোড়ক নয়, লেখা তেড়ে সাইক্লো করুন, সুযোগ পেলে একটু হেঁকে নিন, ব্যস। লেখায় দম থাকলে চুপচাপ
ছড়িয়ে যাবে। ইহাই চটির ম্যাজিক। ঐতিহ্যমণ্ডিত চটি সিরিজ জিন্দাবাদ। জ্জয়গ্গুরু।
কামান বেবি - বিপুল দাস(৩৮) এই উপন্যাস আসলে জাদুবাস্তবতার আড়ালে এক আধুনিক পথের পাঁচালির আখ্যান নির্মাণের দিকে এগিয়ে গেছে, যেখানে ঘরপালানো বালক আবার উৎসের দিকে যাত্রা শুরু করে, হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি খুঁজে নেয় নিজস্ব ঠিকানা। বিপুল দাস এক আশ্চর্য গদ্যকার। নরম, তুলোর মত উড়ে যায় তাঁর যে শব্দরা, তারাই আবার তেজি অশ্বের মতো মাটিতে সজোরে পা ঠোকে। হ্রেষাধ্বনিতে ভেসে যায় চরাচর।
অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় দুঃখিত - শাক্যজিত ভট্টাচার্য(৩৭) কেমন ছিল ভুলে যাওয়া নব্বইয়ের দশক? তার সিনেমা, বাংলা সিরিয়াল, তার ফেলে আসা শুকিয়ে যাওয়া লাল পতাকা, তার বন্ধ কারখানা, তার প্রেম, বন্ধুতা আড্ডা? চিলেকোঠার জঞ্জাল ঘেঁটে খুঁজে পাওয়া এক চিলতে পুরোনো কৈশোর, যেখানে ছাদভর্তি অ্যান্টেনার কাঁটাতার থেকে অন্যমনে ঝুলে আছে এক পশলা অন্য নব্বই।
আদালত-মিডিয়া-সমাজ এবং ধনঞ্জয়ের ফাঁসি - দেবাশিস সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, পরমেশ গোস্বামী(৩৬) বারো বছর আগে রাজ্যে সর্বশেষ ফাঁসির ঘটনাটি ঘটেছিল আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে। চোদ্দো বছর সলিটারি সেলে রাখার পর ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ধনঞ্জয় আগাগোড়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। নাগরিক সমাজের একাংশও ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যাসত্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। সেই সংশয় আরও গভীর হয়েছে দেবাশিস সেনগুপ্ত, প্রবাল চৌধুরী, পরমেশ গোস্বামীর দীর্ঘ অনুসন্ধানে। প্রশ্ন উঠেছে তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া নিয়েও। সেই অনুসন্ধানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
বৃহৎ ন্যানোপুরাণ - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(৩৫) এখানে একটা কনফিউশন তৈরি হতে পারে, যে, ন্যানো প্রসঙ্গে বারবার ১৯৯৬ সালের কথা আসছে কেন। ন্যানো তো ২০০৬ সালের কারবার, বিশুদ্ধ নিউজ চ্যানেল সিদ্ধান্ত মতে যখন সিঙ্গুরের ইতিহাসের সূচনা হল। সিঙ্গুর বাজার থেকে মাইল দুই দূরে শুরু হল যুগান্তকারী টাটা কারখানার কাজ। টাই পরা কর্পোরেট জেন্টলমেনদেরকে ঝাঁটা ও জুতো নিয়ে তাড়া করল বিক্ষুব্ধ কৃষককুল। তৎপরবর্তী দুইবছরে কড়ক্কড় বাজ পড়িল, কুকুর-বিড়াল বৃষ্টি হইল, বঙ্গের ভাগ্যাকাশে লোডশেডিং হল, একযোগে শুরু হল শিল্পবিপ্লব এবং কৃষকবিদ্রোহ। কৃষি থেকে শিল্প হল, টিভিচ্যানেল ফুলে কলাগাছ হল, রাজায়-রাজায় জোরদার পাঞ্জা লড়াই শেষে ঘুড়ি উড়ল বাঙালিটোলায়, বেড়াবেড়ি-বাজেমেলিয়া-গোপালনগর-ছআনি-রতনপুর ইত্যাদি অশ্রুতপূর্ব বিচিত্র নামে ভরে গেল জগৎ চরাচর, চ্যানেলে চ্যানেলে দেখা গেল লাল-নীল ন্যানো গাড়ি আর বেচারাম মান্নার মুখ। কলকাত্তাইয়া আঁতেলদের মতে, এই হল সিঙ্গুরের ইতিহাসের সূচনাবিন্দু। বিগ ব্যাং। প্রথম আদি তব সৃষ্টি। ইহার পূর্বে ছিল অন্ধকার। মধ্যযুগ। অবাঙ্মনসগোচর ইতিহাসহীনতা। ব্ল্যাকহোল ও সিঙ্গুলারিটি। এইসব। এ হল লিমিটেড এডিশন ঠাকুরমার ঝুলি, বিশুদ্ধ ন্যানোপুরাণ, সিঙ্গুরবাসীদের জন্য লিখিত সিঙ্গুরবাসী বরদাচরণ রচিত সিঙ্গুরের ভূমিপুত্রের ইতিহাস, এ খাঁটি দিশি মাল টাগরায় জোর থাকলে তবেই খাওয়া যাবে। শারদীয়া প্রতিদিনে (২০১৬) প্রকাশিত উপন্যাস।
ওই মণিময়, তার কাহিনি - রবিশংকর বল(৩৪) "ভয়াবহ ভালো লেখা। একমাত্র মেটাফার পেঁজা তুলোর মতন উড়ন্ত – ভাসমান – তবু স্বাধীন নয় – নিজে উড়তে পারে না – তবু মনে হয় নিজেই উড়ছে – আসলে নিজে উড়তে পারে না – হাওয়ায় ওড়ায় " – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়।এমনি এমনিই তো কেউ দেখে ফেলতে পারে গাছের পাতার উল্টোদিক। কোনো না কোনো ভাবে। বহুকাল ধরে পড়ে থাকা অনড় পাথরের বুকে মাথা রেখে শুয়ে শুনে ফেলতেও তো পারে ইতিহাসের শতশতশতজলঝর্ণার ধ্বনি। সেখান থেকে কলরোল হৃৎবদলও তো হয়ে যেতে পারে। তেমন স্রোতের থেকে নিঃসৃত শব্দসমাহার একটি চরিত্রের কারণও তো হয়ে উঠতেই পারে। কিংবা ফলাফল। অথবা বহমানতা। এই সবই হয়ে ওঠে। হয়ে উঠছে, এই বিন্যাসটিতে।
অ(ন)ন্য মহীন - গুরুচন্ডালি(৩৩) ‘আমি আবার কাঁদব হাসব, এই জীবন জোয়ারে ভাসব, ... ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা’ – সলিলীয় এই গানটি, বাণীর দিক থেকে প্রায় যেন একই রকম কথা বলে। কিন্তু ভাব ও সুরে সলিলের এই গানে আছে তীব্র রোমান্টিক উদ্দীপনা, আর মহীনের ‘ফিরে আসব’তে সেই উদ্দীপনার জায়গা নেয় নিখাদ বিষণ্ণতা। এই বিষণ্ণতাই মহীন এবং সলিল চৌধুরির মধ্যের ছেদবিন্দু। এখানে দাঁড়িয়ে, ঠিক যেভাবে প্রায় একই কথা একদা সলিল নিজেই বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথকে, মহীন এবং তার পিতৃপুরুষ গৌতম চট্টোপাধ্যায় যেন সেই সুরেই সলিল চৌধুরিকে বলছেন, তুমি আমার পিতা, কিন্তু আমার পথ এবার আলাদা হল। কারণ আমার অন্ধকারের রঙও বদলে গেছে, আমার মধ্যে ঢুকে গেছে এই জীবনানন্দীয় বিষণ্ণতা। এখানে দাঁড়িয়েই জীবনানন্দ পরবর্তী সময়ে কাব্যের মধ্যে যে সুর, সেই সুর গানের মধ্যে ঢুকছে, তার কথার মধ্যে ঢুকছে। এর মধ্যে চিরন্তন ভালোবাসা, চিরন্তন বিচ্ছেদের সমস্ত দুঃখগুলো আছে, কিন্তু সেটা আর শুধু সাদা-কালোর দুঃখ নয়, এর মধ্যে আরও রং, অনেক শেড ঢুকে গেছে। এই উপচে পড়া বিষণ্ণতাই সেই জিনিয়াসের চিহ্ন, যার নাম মহীন।'
-দেবজ্যোতি মিশ্র
আশালতা - অমর মিত্র(৩২) এই বইয়ে আছে ১৯৮৪র কুলছুমের হাত। ওই সময়ে লেখা বছিরদ্দি ভূমি ধরিতে যায়, আর একটু পরের নদী ভূমি .....জমি নিয়ে বাঁচা মানুষের ইতিবৃত্ত। কুলছুম একটি বালিকা। তার বাবা ক্ষেত মজুর। কুলছুমের হাত ভাত না পেয়ে রেগে অগ্নিশর্মা বাবার মুখ চেপে ধরে তালাক উচচারণের মুহুর্তে। আশ্চর্য মানুষ আর জনজীবনের কথা এই বইয়ের সব গল্পে।
মহেঞ্জোদারো - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(৩১) "সময়টাই ভুলভাল। স্বাধীনতা সংগ্রাম, হাংরি, ভিয়েতনাম, নকশালবাড়ি, পথের পাঁচালি, বার্লিন ওয়াল, তিয়েন-আন-মেন স্কোয়্যার, এমনকি ইন্টারনেট অব্দি সব শেষ। এখন শুধু খুঁটে খাওয়া। পেডিগ্রি ছাড়া আর কিছু হবার নেই। আমি সেখানেও গোল্লা। থাকি কেষ্টপুরে। ফিল্ম ইনস্টিউটের গণ্ডি মাড়াইনি, জেএনইউ চোখে দেখিনি, ইপিডাব্লু আমার কোনো প্রবন্ধ ছাপেনি। বন্ধুবান্ধবরাই পাত্তা দেয়না তো বাইরের লোক। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একবার এক ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম। আর পাঁচ বছর বয়সে একবার জ্যোতি বসুর কোলে বসে ছবি তুলেছিলাম। ব্যস। পেডিগ্রি বলতে এই। কিন্তু সে ছবির নিচেও লিখে না দিলে আমাকে আমি বলে চেনা যাবে না।"
বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ এ কাহিনির সব ঘটনাই কাল্পনিক, কারণ, আয়নার মধ্যে কোনো জ্যান্ত মানুষ থাকেনা, আর মৃতের শহরে বেঁচে থাকে শুধু প্রত্নতত্ত্ব।
অবান্তর পাঠশালা - অনুবাদ: জয়া মিত্র(৩০) সত্তরের দশকে যখন সামাজিক ন্যায়ের দাবীতে উত্তাল আমাদের দেশ, তখন ওই একই দাবীতে একই রকম ঝড় আছড়ে পড়ছে লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনায়। হাজার তিরিশেক তরুণ-তরুণী 'নিখোঁজ' হয়েছিলেন ওই দেশে, নানারকম বন্দীশালায়। সেরকমই এক গোপন বন্দীশালার বিবরণ 'দা লিটল স্কুল'। লিখেছেন সেই নরকের এক অধিবাসিনী। যেন অন্য ভাষার আরেক হন্যমান, যা অনুবাদ করেছেন জয়া মিত্র।
নখদন্ত - মলয় রায়চৌধুরী(২৯) খুঁজে পাওয়া পুরোনো ডাইরির পাতায় তিনটি সমান্তরাল জবানিতে লিপিত হচ্ছে এই আখ্যান। ভারি বিক্ষিপ্তভাবে তার কিছু লেখা, খানিকটা যাত্রার বিবেকের মতন এসে পড়ছে বাকি ঘটনা পরম্পরার মধ্যে। ঘটনাক্রম মূলতঃ রতিক্রিয়াময়। এবং ক্রমশঃ দিয়েই শরীরী উচ্চারণ থেকে মননশীলতায় এসে পড়ছে এই আখ্যান, এবং আশ্চর্যভাবে হয়ে উঠছে সমসময়ের বিশ্বরাজনীতির কমেন্টারি।
মিছিলে বাদল সরকার - অদ্রীশ বিশ্বাস(২৮) এই সাক্ষাৎকার মূলত তাঁর দেশবিদেশে খ্যাতি অর্জনকারী নন-প্রসেনিয়াম থিয়েটার নিয়ে। অনেকে সহজ করে বলেন “থার্ড থিয়েটার”, উনি বলেন “অঙ্গনমঞ্চ”। সেই অঙ্গনমঞ্চ নিয়েই এই সাক্ষাৎকার। যার গুরুত্ব কখনওই দিইনি আমরা।এটাই একমাত্র সাক্ষাৎকার, যেটায় কেবলমাত্র অঙ্গনমঞ্চ ও তার পশ্চাদপট, ভাবনার গড়ে ওঠা, রাজনীতি ও রাজনীতির ফাঁদে-পড়া নাটক ও স্বয়ং বাদল সরকার।
অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি - সম্পাদনা: তুষার ভট্টাচার্য(২৭) কেবল একটি দ্বীপের নাম মাত্র নয়, মরিঝঝাঁপি প্রাণ ও অধিকার হত্যার একটি নিকৃষ্টতম উদাহরণ। মরিচঝাঁপি মানে নিরন্ন, অনিকেত মানুষের নতুন করে গড়ে তোলার লড়াই। মরিচঝাঁপি মানে প্রকৃতি ও রাষ্ট্র, এই দুই প্রবলতম প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। মরিচঝাঁপি মানে আক্রান্ত মানুষের জন্য বৃহত্তর জনসমাজের বরাদ্দ হওয়া নির্বিকার নীরবতা। এইসব টুকরোটাকরা, নীরবতার ইতিহাস, লড়াই ও পরাজয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই এই বই। এর নাম 'অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি', কারণ, মরিচঝাঁপির সম্পূর্ণ ইতিহাস এখনও অপ্রকাশিতই।
অসুখ সারান - ঈপ্সিতা পালভৌমিক(২৬) সমকামিতা সারুক বা না সারুক, সঙ্গে রাখুন এই হ্যান্ডবুকটি। স্কেপটিক্যালদের কথাকে গুলি মেরে পড়তে থাকুন আমাদের সাজেশনাবলী, সঙ্গে থাকুন একদম শেষ |
অরূপ তোমার এঁটোকাঁটা - মলয় রায়চৌধুরি(২৫) কাশী থেকে কলকাতা, বৈষ্ণবের খঞ্জনি থেকে জিমি হেনড্রিক্স। কেকাবউদি থেকে স্বর্ণকেশী ম্যাডলিন। এ এক অন্য আকাশে উড়ান, যা চেনা হলেও দূরবর্তী। কাল্পনিক হলেও বাস্তব।
খেরোবাসনা - সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়(২৪) শুনে কাইন্ডলি আঁতকে উঠবেন না, যে, মোটে ২০১০ সালে জন্ম হলেও এই আধাখেঁচড়া কাহানিটি আদতে সেই মেগা উপন্যাসেরই সহোদর, যার নাম কারুবাসনা...
অন্য যৌনতা – সংকলন - গুরুচন্ডালি(২৩) পুরুষ এবং নারীর একমাত্রিক যৌন আখ্যানের আড়ালে অজস্র দৃশ্যের জন্ম হয়। জন্ম হয় পাওয়া, অপ্রাপ্তি,নিঃসঙ্গতা এবং বেদনার। "আমার যৌনতা"র এই দ্বিতীয় সংস্করণে আরও বড়ো আকারে নিজেদের এসব অভিজ্ঞতা, অনুভূতির কথা লিখেছেন এইসব মানুষরা, যাঁরা "স্ট্রেট" নন।
প্রসঙ্গ ধর্ষণ – সংকলন - গুরুচন্ডালি (২২) অধিক বিবরণ নিষ্প্রয়োজন। ধর্ষিতা এবং ধর্ষিতদের (হ্যাঁ, পুরুষদেরও ধর্ষণ হয়), নিজস্ব উপলব্ধি, আর আরো কিছু অন্যান্য টুকরো-টাকরার সংকলন রইল এখানে।
বাংলা কাব্যগীতির অন্য ধারা – সংকলন - বিনয় চক্রবর্তী, গৌতম নাগ, কল্লোল, সম্বিৎ বসু (২১) সোপা থেকে নগর ফিলোমেল। সলিল চৌধুরি থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়। রঞ্জন প্রসাদ থেকে নাগরিক। এ হল কাব্যগীতির অন্যধারা। বাংলা গানের নতুন বাড়ি, যা শুধু ফুল ফল ও পাতা নয়। এ হল বাংলাগানের নতুন ঘরকন্না, নতুন এক ময়মনসিংহ গীতিকার ইতিবৃত্ত।
আমার কারাবাস শাহবাগ এবং অন্যান্য - আসিফ মহিউদ্দীন(২০) ফ্যাসিবাদ নয়, জরুরী অবস্থা নয়। ইতালি না, মধ্যপ্রাচ্য না। আন্তোনিও গ্রামশি নয়, নাজিম হিকমত নয়। জেলবন্দী ছিলেন আমাদের পাশের বাড়ির কজন। স্রেফ নাস্তিকতার "অপরাধ"এ। পড়ুন একবিংশ শতাব্দীর জেলখানার চিঠি।
প্রকাশ: ২০১৪
বর্ণসংকর - বিপুল দাস(১৯) গল্পের মরে যাওয়া নদীর বাঁকে এক পঙ্গু রমণী হুইল চেয়ারে বসে - হাতে আশ্চর্য পুষ্পমঞ্জরী- প্রখর রোদে শুকিয়ে যায়, ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে অথবা রোদ মেদুরে নতুন মঞ্জরী ফুটে ওঠে। কথার ঢালে পাহাড় নাচে, ঢেউ ভাঙ্গে দ্বিধা। ক্যামেরা যার হদিশ পায় না।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected] ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন