![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
Parthasarathi Giri প্রদত্ত সর্বশেষ দু পয়সা
লেখকের আরও পুরোনো লেখা >>
মহালয়া
মহালয়া
🌺
শহরে হেমন্ত আসে না। আসতে আসতে দু'দুটো ঢাউস জোড়া ব্রিজের মুখে সে কর্পুরের মতো উবে যায়। বিকেল নাগাদ একটা অজানা ঠাণ্ডা গন্ধ ছড়ায়। কারোর হঠাৎ মন কেমন করে। প্রয়োজনীয় কথার ফাঁকে ফাঁকে অকারণ ক্ষণবিরতি। এক মুহূর্তের কিছু বা বিস্মরণ। কোথাও কি যাবার ছিল? কেউ আসবে? কী জানি। পথচলতি লোকজন অকস্মাৎ একেকবার চোখ তুলে অকারণ আকাশ দেখে নেয়। কী দেখল কেন দেখল, জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না।
সেসময় রোদ মরে এলে ঘোষগিন্নি ফণিমনসার গাছের টব থেকে গতকালের বাসি প্রদীপ তুলে নিয়ে যে
দক্ষিণের কড়চা
গরু বাগদির মর্মরহস্য
➡️
মাঝে কেবল একটি একক বাঁশের সাঁকো। তার দোসর আরেকটি ধরার বাঁশ লম্বালম্বি। সাঁকোর নিচে অতিদূর জ্বরের মতো পাতলা একটি খাল নিজের গায়ে কচুরিপানার চাদর জড়িয়ে রুগ্ন বহুকাল। খালটি জলনিকাশির। ঘোর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে পচা লাশের মতো। যেহেতু এই খালে চার চারটি রাইস মিলের ধানসেদ্ধ জল পড়ে, তাই লোকমুখে নাম পচুয়াখাল। খালটি মাতলায় গিয়ে পড়েছে।
গরু বাগদির কথা কেউ কখনও শোনে না। অথচ সে বোবা, এমন নয়। অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। তার কথা মান্যতা পায় না বলে সেও কারুর কথা মানতে
➡️
মাঝে কেবল একটি একক বাঁশের সাঁকো। তার দোসর আরেকটি ধরার বাঁশ লম্বালম্বি। সাঁকোর নিচে অতিদূর জ্বরের মতো পাতলা একটি খাল নিজের গায়ে কচুরিপানার চাদর জড়িয়ে রুগ্ন বহুকাল। খালটি জলনিকাশির। ঘোর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে পচা লাশের মতো। যেহেতু এই খালে চার চারটি রাইস মিলের ধানসেদ্ধ জল পড়ে, তাই লোকমুখে নাম পচুয়াখাল। খালটি মাতলায় গিয়ে পড়েছে।
গরু বাগদির কথা কেউ কখনও শোনে না। অথচ সে বোবা, এমন নয়। অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। তার কথা মান্যতা পায় না বলে সেও কারুর কথা মানতে
দক্ষিণের কড়চা
(টিপ্পনি : দক্ষিণের কথ্যভাষার অনেক শব্দ রয়েছে। না বুঝতে পারলে বলে দেব।)
দক্ষিণের কড়চা
▶️
এখানে মেঘ ও ভূমি সঙ্গমরত ক্রীড়াময়। এখন ভূমি অনাবৃত মহিষের মতো সহস্রবাসনা, জলধারাস্নানে। সামাদভেড়ির এই ভাগে চিরহরিৎ বৃক্ষরাজি নুনের দিকে চুপিসারে এগিয়ে এসেছে যেন অ্যাডভেঞ্চারের লোভে। দুঃখের দিকে শরীর যখন এগোয় দ্বিধাদ্বন্দ্বে, দীর্ণ কে বা হতে চায় পত্রহীনে, অপুষ্পক আঁধারে! জারুল, আম, মুচকুন্দ গাব নারকেল গাছগাছালির কুঞ্জে তাই এইক্ষণে বৃষ্টি সর্বাত্মক ঝেঁপে এসেছে।
বেলা দশটা বাজতে চ
দক্ষিণের কড়চা
▶️
এখানে মেঘ ও ভূমি সঙ্গমরত ক্রীড়াময়। এখন ভূমি অনাবৃত মহিষের মতো সহস্রবাসনা, জলধারাস্নানে। সামাদভেড়ির এই ভাগে চিরহরিৎ বৃক্ষরাজি নুনের দিকে চুপিসারে এগিয়ে এসেছে যেন অ্যাডভেঞ্চারের লোভে। দুঃখের দিকে শরীর যখন এগোয় দ্বিধাদ্বন্দ্বে, দীর্ণ কে বা হতে চায় পত্রহীনে, অপুষ্পক আঁধারে! জারুল, আম, মুচকুন্দ গাব নারকেল গাছগাছালির কুঞ্জে তাই এইক্ষণে বৃষ্টি সর্বাত্মক ঝেঁপে এসেছে।
বেলা দশটা বাজতে চ
মাইনাস তিন ডিগ্রি
মাইনাস তিন ডিগ্রি
▶️
প্রতি সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে মাত্র কয়েক ফার্লং দূরে যশোর রোডের ডানদিকে দেড়তলা বাড়িটা অন্ধকারেই থাকে। রাত ন'টা নাগাদ পুট করে গেটের আলোটা জ্বলে ওঠে। কোলাপসিবল গেটে চাবি তালার খুট খুট ধাতব শব্দ। সিঁড়ির আলো জ্বলে। ডাইনিং প্লেস, বেডরুম, বাথরুমে যাবার প্যাসেজ এবং সবশেষে বাথরুমের আলোগুলো পরপর জ্বলে উঠতে থাকে।
আরামবাগের ফ্রোজেন চিকেন আরেকবার ডিপ ফ্রিজে ঢোকে। ব্রকোলি গাজর ক্যাপসিকাম স্টাফড্ মাশরুম হিমগর্ভে পরপর সজ্জিত হয়। বাথরুমের দরজার সাম
▶️
প্রতি সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে মাত্র কয়েক ফার্লং দূরে যশোর রোডের ডানদিকে দেড়তলা বাড়িটা অন্ধকারেই থাকে। রাত ন'টা নাগাদ পুট করে গেটের আলোটা জ্বলে ওঠে। কোলাপসিবল গেটে চাবি তালার খুট খুট ধাতব শব্দ। সিঁড়ির আলো জ্বলে। ডাইনিং প্লেস, বেডরুম, বাথরুমে যাবার প্যাসেজ এবং সবশেষে বাথরুমের আলোগুলো পরপর জ্বলে উঠতে থাকে।
আরামবাগের ফ্রোজেন চিকেন আরেকবার ডিপ ফ্রিজে ঢোকে। ব্রকোলি গাজর ক্যাপসিকাম স্টাফড্ মাশরুম হিমগর্ভে পরপর সজ্জিত হয়। বাথরুমের দরজার সাম
বইমেলা বইমেলা
বইমেলা বইমেলা
▶️
পরমেশ জোয়ারদারের আমাশা কোনোকালে ছিল না। কখনও কবিতা লেখেননি এবং দুই হাতের দশ আঙুলে সর্বসাকুল্যে আটটি জিএসআই সার্টিফায়েড মহার্ঘ পাথররাজি।
পরমেশ বাবু কোল ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট থেকে অবসর নেওয়ার কিছুদিন আগে মরিয়া হয়ে ছত্রিশ বছরের বিবাহিত পত্নীর সঙ্গে সেক্স করার চেষ্টা করেছেন। চাহিদা ও জোগানের সূত্র ব্রেকডাউন করে একটু দরকচা টাইপ হলেও, আদতে খুব একটা মন্দ ছিল না কম্মোটি। যদিও পত্নী সংযুক্তা দেবী এর জন্য তাঁকে বিস্তর বকাঝকা করেছেন, 'বুড়ো ভামের
বিকেলের রাঙা গল্প
বিকেলের রাঙা গল্প
*****************
একটা উধাও হাইওয়ের পাশে একটা ডোবা। ডোবার পাড়ে একটা ঝাঁকড়া শিরিষ গাছ। ছায়া পড়েছে জলে। এক টুকরো জল ঘিরে একটি ইকোসিস্টেম।
জল দেখলে, বিশেষত কাদামাখা ঘোলাজল দেখলে আমার কানকো খলবল করে ওঠে। পায়ের নখের ধার বরাবর, কানের লতির নিচে সুড়সুড় করে শিরিষ-ফুল-ভাসা ডোবা দেখলে। মাঝে মাঝে স্থির জল তিরতির করে কেঁপে উঠছে। মনে হয় ফিসফিস নাকি বিড়বিড়; ডোবার ঘরে আমার খলসে বউয়ের গা ভারি হয়েছে বলে গজগজ করে?
পুরুষজাতটাই তো বজ্জাত। বলিনি আমি? কতবার করে বা
দক্ষিণের কড়চা
দক্ষিণের কড়চা
▶️
অন্তরীক্ষে এই ঊষাকালে অতসী পুষ্পদলের রঙ ফুটি ফুটি করিতেছে। অংশুসকল ঘুমঘোরে স্থিত মেঘমালায় মাখামাখি হইয়া প্রভাতের জন্মমুহূর্তে বিহ্বল শিশুর ন্যায় আধোমুখর। নদীতীরবর্তী কাশপুষ্পগুচ্ছে লবণপৃক্ত বাতাস রহিয়া রহিয়া জড়াইতে চাহে যেন, বালবিধবার কুঞ্জে কিশোর রাখালিয়া। থাকিয়া থাকিয়া এমন শরতের নদী, বাতাস তাহার অববাহিকায় অস্ফুট জড়িমা, আমাকে যদি চাহ তবে মুখ ফুটিয়া কহো, দাও, নচেৎ পাপড়ি ছিঁড়িয়া করতলে পিষ্ট করিয়া শুঁকিয়া দেখ, শুঁটকি মাছের ঘ্রাণের ন্যায় সামুদ্রিক নির্বিকল্প।
▶️
অন্তরীক্ষে এই ঊষাকালে অতসী পুষ্পদলের রঙ ফুটি ফুটি করিতেছে। অংশুসকল ঘুমঘোরে স্থিত মেঘমালায় মাখামাখি হইয়া প্রভাতের জন্মমুহূর্তে বিহ্বল শিশুর ন্যায় আধোমুখর। নদীতীরবর্তী কাশপুষ্পগুচ্ছে লবণপৃক্ত বাতাস রহিয়া রহিয়া জড়াইতে চাহে যেন, বালবিধবার কুঞ্জে কিশোর রাখালিয়া। থাকিয়া থাকিয়া এমন শরতের নদী, বাতাস তাহার অববাহিকায় অস্ফুট জড়িমা, আমাকে যদি চাহ তবে মুখ ফুটিয়া কহো, দাও, নচেৎ পাপড়ি ছিঁড়িয়া করতলে পিষ্ট করিয়া শুঁকিয়া দেখ, শুঁটকি মাছের ঘ্রাণের ন্যায় সামুদ্রিক নির্বিকল্প।
ছায়া আবছায়ার গপ্পো সপ্পো
ছায়া-আবছায়ার গপ্পোসপ্পো
**********************
আমার বাবা শিকারে যেতেন। তাঁর লক্ষ্যভেদ অব্যর্থ এবং প্রায় অলৌকিক পর্যায়ের।
এই পর্যন্ত পড়ে মনে হবে আমি একটি জিম করবেটের নাতিসুলভ আখ্যানের ভণিতা শুরু করলাম।
আমার বাবাকে যারা চাক্ষুষ দেখেছেন বা কোনো সূত্রে পরিচিত তাদের অনেক ভালবাসা শ্রদ্ধা তাঁর পায়ের ওপর জমে আছে এযাবৎ।
****
প্রসঙ্গ : পশুপ্রেম, পৌরুষ কিংবা একটি সাদামাটা ভালোবাসার কথকতা।
****
সেই ভদ্রলোক, প্রদীপবাবু বা সকলের প্রিয় খোকনদা। চিরহাস্যময়,
**********************
আমার বাবা শিকারে যেতেন। তাঁর লক্ষ্যভেদ অব্যর্থ এবং প্রায় অলৌকিক পর্যায়ের।
এই পর্যন্ত পড়ে মনে হবে আমি একটি জিম করবেটের নাতিসুলভ আখ্যানের ভণিতা শুরু করলাম।
আমার বাবাকে যারা চাক্ষুষ দেখেছেন বা কোনো সূত্রে পরিচিত তাদের অনেক ভালবাসা শ্রদ্ধা তাঁর পায়ের ওপর জমে আছে এযাবৎ।
****
প্রসঙ্গ : পশুপ্রেম, পৌরুষ কিংবা একটি সাদামাটা ভালোবাসার কথকতা।
****
সেই ভদ্রলোক, প্রদীপবাবু বা সকলের প্রিয় খোকনদা। চিরহাস্যময়,
দক্ষিণের কড়চা
দক্ষিণের কড়চা
▶️
যদি ভাবো জবালা মেঘ সঞ্চরমান, তবে চোখ মুছে ফ্যালো ঘাসে, নদীঘাটের শরবনে।
যদি ভাবো জবালার কোলে জল, তবে চোখ মেলে দ্যাখো এই পূর্বাশা অন্তরীপ। এখন ঘন আলকাতরায় লেপে গেছে আকাশের মনস্তাপ।
মনস্তাপই তো। সাড়ে তেরো মাইল দূরে শেষ বাস এসে থেমে যায় তেলোর চকে। তারপর পায়ে হেঁটে রোজ জবা কাঁকড়ার ঝোড়া নিয়ে বাড়ি ফেরে, ফিরতে ফিরতে যেদিন তার ঋতুঃক্ষরণ হয়, মাতুয়া খালের জলে থাই ধুয়ে ছেঁড়া ন্যাকড়া পরে নেয়। কোমরের ঘুনসিতে মাদুলির মধ্যে হাড়গিলের হাড় নড়ে ওঠে। ধনেশ পাখির
▶️
যদি ভাবো জবালা মেঘ সঞ্চরমান, তবে চোখ মুছে ফ্যালো ঘাসে, নদীঘাটের শরবনে।
যদি ভাবো জবালার কোলে জল, তবে চোখ মেলে দ্যাখো এই পূর্বাশা অন্তরীপ। এখন ঘন আলকাতরায় লেপে গেছে আকাশের মনস্তাপ।
মনস্তাপই তো। সাড়ে তেরো মাইল দূরে শেষ বাস এসে থেমে যায় তেলোর চকে। তারপর পায়ে হেঁটে রোজ জবা কাঁকড়ার ঝোড়া নিয়ে বাড়ি ফেরে, ফিরতে ফিরতে যেদিন তার ঋতুঃক্ষরণ হয়, মাতুয়া খালের জলে থাই ধুয়ে ছেঁড়া ন্যাকড়া পরে নেয়। কোমরের ঘুনসিতে মাদুলির মধ্যে হাড়গিলের হাড় নড়ে ওঠে। ধনেশ পাখির
দক্ষিণের কড়চা
দক্ষিণের কড়চা
▶️
সুদাম গুছাইতের চোখে চালশে ধরা পড়েছে বছর আষ্টেক। তাও চশমা ধরণের কোনো বস্তু তার নাকের ওপর এখনও ওঠেনি। তার গতায়াত গঞ্জবাজারের সিডির দোকান অবধি। বাকিটা দিনগত।
নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের খড়ে ছাওয়া একখানি হলঘর। চারপাশে হিজল গেঁওয়া গাছগাছালির ছায়া পড়ে আছে আলগোছে। একটি ছোট ডোবাও রয়েছে। বাসন্তীর একটি বৈশিষ্ট্যহীন গঞ্জের দুটি বধু হাঁড়ি তিজেল নিয়ে গরাণকাঠের গুঁড়ির ওপর ঘাটের মায়ায় ধোয়াধুয়ি শুরু করলে ঠুং ঠাৎ শব্দ কানে আসে। ভরদুপুরে গা-লাগোয়া হাড়িয়ার ঠেকে অস্পষ্ট রবে
▶️
সুদাম গুছাইতের চোখে চালশে ধরা পড়েছে বছর আষ্টেক। তাও চশমা ধরণের কোনো বস্তু তার নাকের ওপর এখনও ওঠেনি। তার গতায়াত গঞ্জবাজারের সিডির দোকান অবধি। বাকিটা দিনগত।
নিউ শান্তি চিত্রমন্দিরের খড়ে ছাওয়া একখানি হলঘর। চারপাশে হিজল গেঁওয়া গাছগাছালির ছায়া পড়ে আছে আলগোছে। একটি ছোট ডোবাও রয়েছে। বাসন্তীর একটি বৈশিষ্ট্যহীন গঞ্জের দুটি বধু হাঁড়ি তিজেল নিয়ে গরাণকাঠের গুঁড়ির ওপর ঘাটের মায়ায় ধোয়াধুয়ি শুরু করলে ঠুং ঠাৎ শব্দ কানে আসে। ভরদুপুরে গা-লাগোয়া হাড়িয়ার ঠেকে অস্পষ্ট রবে
এদিক সেদিক যা বলছেনঃ

জয়গুরু জয়গুরু

এই কথ্য ভাষা দক্ষিণ ২৪ পনগণার নামখানা ইত্যাদি অঞ্চল থেকে পূবে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি দীঘা অবধি ছড়ান ...

হঠাৎ-আলোর ঝলকানি লেগে ঝলমল করে চিত্ত। 😋

প্রিয় পাঠকবন্ধুদের প্রীতি। লেখার বিষয়কে ইচ্ছাকৃতভাবে একটু লঘু করার চেষ্টা করেছিলাম, গুরু করে সুরাহা ...

একটি প্রকাশনা সংস্থা এই শিরোনামের সব লেখাগুলি মলাটবন্দী করবেন বলেছেন। তখন যদি উপশিরোনাম দেওয়া যায়, দ ...