![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল-২
Kallol Lahiri
বিউলির ডাল
ভাদ্রের যে এমন নাভিশ্বাসের গরম আছে ইন্দুবালা আগে কখনও জানতেন না। কিম্বা ঠাহর করতে পারেননি তেমন। বিয়ের পর ছেনু মিত্তির লেনে এসে বুঝতে পেরেছিলেন শহুরে দমবন্ধ করা পরিবেশ কাকে বলে। গায়ে গায়ে ঠেকানো বাড়ি। চৌকো খোলা ছাদ। বাড়ির ভেতর থেকে একটুস খানি আকাশ। করপোরেশান কলের ছিরছিরে জল। শ্যাওলা ওঠা স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল। বড় সোঁদা সোঁদা গন্ধ। আশে পাশে কোন নদী নেই। পুকুর নেই। তার বদলে বাড়ির সামনে আছে মুখ হাঁ করা বড় বড় নালা। তার দুর্গন্ধ। হুল ফোটানো মশা। গা ঘিনঘিনে মাছি। আর সন্ধ্যে হলেই টিমটিমে
ভাদ্রের যে এমন নাভিশ্বাসের গরম আছে ইন্দুবালা আগে কখনও জানতেন না। কিম্বা ঠাহর করতে পারেননি তেমন। বিয়ের পর ছেনু মিত্তির লেনে এসে বুঝতে পেরেছিলেন শহুরে দমবন্ধ করা পরিবেশ কাকে বলে। গায়ে গায়ে ঠেকানো বাড়ি। চৌকো খোলা ছাদ। বাড়ির ভেতর থেকে একটুস খানি আকাশ। করপোরেশান কলের ছিরছিরে জল। শ্যাওলা ওঠা স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল। বড় সোঁদা সোঁদা গন্ধ। আশে পাশে কোন নদী নেই। পুকুর নেই। তার বদলে বাড়ির সামনে আছে মুখ হাঁ করা বড় বড় নালা। তার দুর্গন্ধ। হুল ফোটানো মশা। গা ঘিনঘিনে মাছি। আর সন্ধ্যে হলেই টিমটিমে
জ্ঞানের বিপ্লব- মানব ইতিহাসের শুরু
Arijit Guha
জর্জ অরওয়েলের খুব বিখ্যাত একটি উপন্যাস আছে অ্যানিলাম ফার্ম বলে।আমার খুব প্রিয় বই এটি।কমিউনিস্ট বিরোধী প্রোপাগান্ডার মধ্যে একদম ওপরের সারিতে রয়েছে এই বইটি।বইটিতে রূপকের মাধ্যমে একটা কমিউনিস্ট দেশের আভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা দুর্বলতাকে তুলে ধরা হয়েছে।মূলত আক্রমণটা করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নকে।বইটার ন্যারেটিভের জন্য নয়, আমার ভালো লাগার কারন ফর্মটার জন্য।ম্যানর ফার্মের সব জন্তুরা একবার ওল্ড মেজর যে নাকি একটা শুয়োর ছিল তার নেতৃত্বে একটা মিটিং এ বসল।সেখানে মানুষকে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হল আর মিস্
শত্রুপক্ষ
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
আমাদের প্রথম শত্রু, বিধর্মীরা। টিভির দ্রৌপদী পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, এ দেশ হল হিন্দুদের। বাবর এসে দেহলির নাম করে দিয়েছেন দিল্লি, শাজাহান তেজঃমহলের নাম বদলে করেছেন, তাজমহল, সে অনাচার আর সহ্য করা হবেনা।সব বিধর্মী নাম বদলে দেওয়া হবে। মুঘলসরাই এর নাম হবে দীনদয়াল উপাধ্যায়, মোগলাই পরোটার নাম হবে শ্যামাপ্রসাদ । লালকেল্লা ইতিমধ্যেই ডালমিয়া কোম্পানির হাতে চলে এসেছে। যদিও বিশুদ্ধ হিন্দু সংস্থা, কিন্তু নামের শেষে 'মিয়া' থাকায় এখনও নাম বদলনো যায়নি, তবে চিন্তার কিছু নেই, শেষ দুটো অক্ষর বাদ দেবার সিদ্ধান্ত
ইন্দুবালা ভাতের হোটেল-১
Kallol Lahiri
কুমড়ো ফুলের বড়া
জানলার কাছে বসন্তের নরম রোদে সার দিয়ে সাজানো আছে কাঁচের বড় বড় বয়াম। মুখ গুলো ঢাকা আছে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের ফেট্টিতে। বয়াম গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তার মধ্যে কি রসদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু যারা এই বাড়িতে রোজ ভাত খেতে আসে তারা ঠিক জানে। ভাতের পাতে লেবু, নু্ন, লঙ্কা দেওয়ার পাশাপাশি উড়ে বামুন ধনঞ্জয় একটু করে শালপাতায় ছুঁয়ে দিয়ে যায় বয়ামের সেই লুকোনো সম্পদ। কামরাঙা, কতবেল, জলপাই কিম্বা কোনদিন পাকা তেঁতুলের আচার। নতুন কাস্টমাররা অবাক হয়ে যায়। আর পুরোনো লোকেরা ভাবে আজ ক
জানলার কাছে বসন্তের নরম রোদে সার দিয়ে সাজানো আছে কাঁচের বড় বড় বয়াম। মুখ গুলো ঢাকা আছে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের ফেট্টিতে। বয়াম গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তার মধ্যে কি রসদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু যারা এই বাড়িতে রোজ ভাত খেতে আসে তারা ঠিক জানে। ভাতের পাতে লেবু, নু্ন, লঙ্কা দেওয়ার পাশাপাশি উড়ে বামুন ধনঞ্জয় একটু করে শালপাতায় ছুঁয়ে দিয়ে যায় বয়ামের সেই লুকোনো সম্পদ। কামরাঙা, কতবেল, জলপাই কিম্বা কোনদিন পাকা তেঁতুলের আচার। নতুন কাস্টমাররা অবাক হয়ে যায়। আর পুরোনো লোকেরা ভাবে আজ ক
ফুলবাড়ি, লাল সেলাম!
বিপ্লব রহমান
আমরা তো ভুলি নাই শহীদ...
দিনাজপুর প্রতিনিধি খবর দেওয়ার আগেই ফুলবাড়ি গণবিদ্রোহে গুলি চালানো প্রথম খবর পাই আন্দোলনের বন্ধুদের কাছ থেকে। তখনো গুলি আর টিয়ার শেল বর্ষণ চলছিলো (২৬ আগস্ট, ২০০৭, বিকেল বেলা)। আমি খবরটি নিশ্চিত করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরে পরিচিত সাংবাদিকদের টেলিফোন করা শুরু করি। অফিসে জানাই, টপমোস্ট নিউজ রেডি হচ্ছে।
দিনাজপুরের সাংবাদিকরা তখন গুলিবর্ষণের খবরে মটর সাইকেলে ফুলবাড়ি রওনা হয়েছেন। পরিস্থিতির এতোটা অবনতি হবে তারা ভাবতেই পারেননি। তাই সেদিন সবাই দিনাজপুর সদরেই অবস্
দিনাজপুর প্রতিনিধি খবর দেওয়ার আগেই ফুলবাড়ি গণবিদ্রোহে গুলি চালানো প্রথম খবর পাই আন্দোলনের বন্ধুদের কাছ থেকে। তখনো গুলি আর টিয়ার শেল বর্ষণ চলছিলো (২৬ আগস্ট, ২০০৭, বিকেল বেলা)। আমি খবরটি নিশ্চিত করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরে পরিচিত সাংবাদিকদের টেলিফোন করা শুরু করি। অফিসে জানাই, টপমোস্ট নিউজ রেডি হচ্ছে।
দিনাজপুরের সাংবাদিকরা তখন গুলিবর্ষণের খবরে মটর সাইকেলে ফুলবাড়ি রওনা হয়েছেন। পরিস্থিতির এতোটা অবনতি হবে তারা ভাবতেই পারেননি। তাই সেদিন সবাই দিনাজপুর সদরেই অবস্
স্বাধীনতা, রাজনীতি, সং-এর গঠন, পিওর কটন, ইত্যাদি - স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ বিষয়ক কিছু চিন্তা (২)
Anamitra Roy
স্বাধীনতা, রাজনীতি, সং-এর গঠন, পিওর কটন, ইত্যাদি - স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ বিষয়ক কিছু চিন্তা (২)
এই লেখার উদ্রেক-এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। উদ্রেকই বলবো, কারণ নিতান্তই উদ্রেক না হলে লিখতাম না। লেখার সময় বিশেষ নেই এই মুহূর্তে হাতে। কিন্তু এই লেখাটা লেখা গত দুদিনে খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে এই লেখা একাধারে একজন ব্যক্তিমানুষের এবং অপরদিকে একজন সংগঠকেরও বটে। ফলতঃ কিছু কথা আসবে ব্যক্তিমানুষের তরফে এবং কিছু কথা সংগঠকের দিক থেকে। আশা করি পাঠক এই দু'ধরণের মন্তব্যের কোনটি কার
এই লেখার উদ্রেক-এর কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। উদ্রেকই বলবো, কারণ নিতান্তই উদ্রেক না হলে লিখতাম না। লেখার সময় বিশেষ নেই এই মুহূর্তে হাতে। কিন্তু এই লেখাটা লেখা গত দুদিনে খুবই জরুরী হয়ে উঠেছে। প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে এই লেখা একাধারে একজন ব্যক্তিমানুষের এবং অপরদিকে একজন সংগঠকেরও বটে। ফলতঃ কিছু কথা আসবে ব্যক্তিমানুষের তরফে এবং কিছু কথা সংগঠকের দিক থেকে। আশা করি পাঠক এই দু'ধরণের মন্তব্যের কোনটি কার
বুলবুল-এ-হিন্দ
Arijit Guha
পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম ভারত সফর।সাল ১৯৫২। প্রথম টেস্ট দিল্লিতে।পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারল না।ইনিংস ডিফিট।ভারত জয়ী এক ইনিংস সত্তর রানে।লখনৌর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান নামল ব্যাট করতে।প্রথম ইনিংসে তুলল ৩৩১ রান।নজর কাড়ল পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান নজর মহম্মদ।ওপেন করে পুরো ইনিংস শেষ হওয়া অব্দি নট আউট থেকে ১২৪ রানের দুর্ধর্ষ ঝকঝকে ইনিংস খেলে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিল তখন পুরো পাকিস্তান সেই ছেলেটাকে নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখলেও, এমনকি নিজেও নিজের কেরিয়ারের প্র
ক্যালাইডোস্কোপ- দুই
Baby Shaw
যে অঞ্চলে অভুক্ত অবস্থায় মৃত্যু সহজ একটি ঘটনা, যেখানে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে অভুক্ত শিশু, আবার যেখানে বৃদ্ধ মা বাবাকে পিটিয়ে মারে একমাত্র সন্তান -- সেখানে কবিতা কী! সেই দেশ কি এই একবিংশ শতকে দাবি করে এই পরিস্থিতিকে দূরে সরিয়ে শুধু ল্যাপটপ কিংবা স্মার্ট ফোনে লিখে ফেলতে কিছু ন্যাকান্যাকা পুচুপুচু প্রেমের কবিতা?"--- কথাটি ঝাড়গ্রাম শহরের একজন টোটো চালকের। যুবক। বয়েস তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশের মধ্যে। চোখে চশমা। ইংরেজি ভাষাতে তুখোড়। কথা বলে বুঝলাম, এমএসসি পাস। কিনা চাকরি নেই! তাই টোটো চালানোটাকেই পেশা
ঝুলন স্মৃতি
স্বাতী রায়
আজ ঝুলন| ছোটবেলায় আমাদের বাড়ীতে এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলো পুরোপুরিই ছোটদের খেয়ালখুশীর ছিল - এর কোন ধর্মীয় অনুষঙ্গ যে আদৌ আছে তাও জানতাম না| শুধুই আমাদের হাতে ছিল বলে, মজা ছিল অফুরান| তবে সম্বল খুবই কম| বিনাকার সঙ্গে পাওয়া সেই মিনিয়েচার জন্তুদের কথা অনেকেরই মনে আছে হয়তো | যখনই নতুন পেস্ট আসত, সযত্নে তাদের বার করে , তুলে রাখতাম একটা হরলিকসের ফাঁকা কৌটোয়| গন্ডারের সঙ্গে সিংহ, সিংহের সঙ্গে হরিণ সবাই মিলেমিশে সারাবছর থাকত সেই কাঁচের জারে| আর ছিল পুতুলের ঝুড়িতে মেলার থেকে কেনা পেটটি-নাদা বুড়োবুড়ি, আধবি
আমার দেবব্রত শোনা
ন্যাড়া
দেবব্রত বিশ্বাস খুব সম্ভবত: সর্বোচ্চ আলোচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। দিস্তে দিস্তে লেখা হয়েছে ওনার গান গাওয়া সম্পর্কে, তাঁর জনাদর সম্পর্কে, বিরুদ্ধতা ও তৎসহ তাঁর অভিমান সম্পর্কে। কিছু আমি পড়েছি।
ওনার গানের যে দুটো দিক নিয়ে আমি বিশেষ উৎসাহী, সে নিয়ে খুব লেখাপত্তর চোখে পড়েনি। এক, ওনার গানের যন্ত্রানুষঙ্গ ও বিন্যাস (arrangement) আর দুই, গানকে নিজের strength -এর জায়গা থেকে গড়ে নেওয়া।
প্রথমেই ধরুন যন্ত্রের ব্যবহার। শান্তিনিকেতনী ঐতিহ্যে রবীন্দ্র গানের সঙ্গে সঙ্গতে বেজেছে এসরাজ, তালে ক
ওনার গানের যে দুটো দিক নিয়ে আমি বিশেষ উৎসাহী, সে নিয়ে খুব লেখাপত্তর চোখে পড়েনি। এক, ওনার গানের যন্ত্রানুষঙ্গ ও বিন্যাস (arrangement) আর দুই, গানকে নিজের strength -এর জায়গা থেকে গড়ে নেওয়া।
প্রথমেই ধরুন যন্ত্রের ব্যবহার। শান্তিনিকেতনী ঐতিহ্যে রবীন্দ্র গানের সঙ্গে সঙ্গতে বেজেছে এসরাজ, তালে ক
আটানা-যুগ (বকুবাবুকে খোলা চিঠি)
Koushik Ghosh
যবে থেকে আটানা বিলুপ্ত হলো, বকুবাবু,
নদীমাতৃক সভ্যতার থেকে,
যবে থেকে বুনিয়াদী গোশালার ঠিকা নিলো রক্ষকবাহিনী,
যবে থেকে, বকুবাবু, গেরুয়ার মানে শুধু ভয়,
সেই থেকে, বকুবাবু, আমিও ভুলেছি ফুটানি।
সেই কবে বিশটাকায় খেয়েপরে লাগাতার স্বাচ্ছন্দ্য কিনেছি,
সে ছিল বিদিশাযুগ,
জীবন যখন ছিল মোটামুটি বাওয়ালসম্মত।
কিন্তু, ও বকুবাবু, শুনছেন...
যবে থেকে আটানা বিলুপ্ত হলো হরপ্পার ভাঙা ম্যাপ থেকে,
যবে থেকে তুমুল লগ্নির দাপটে আগুন লাগল ধানের গাদায়,
যবে থেকে সুলভ ম
নদীমাতৃক সভ্যতার থেকে,
যবে থেকে বুনিয়াদী গোশালার ঠিকা নিলো রক্ষকবাহিনী,
যবে থেকে, বকুবাবু, গেরুয়ার মানে শুধু ভয়,
সেই থেকে, বকুবাবু, আমিও ভুলেছি ফুটানি।
সেই কবে বিশটাকায় খেয়েপরে লাগাতার স্বাচ্ছন্দ্য কিনেছি,
সে ছিল বিদিশাযুগ,
জীবন যখন ছিল মোটামুটি বাওয়ালসম্মত।
কিন্তু, ও বকুবাবু, শুনছেন...
যবে থেকে আটানা বিলুপ্ত হলো হরপ্পার ভাঙা ম্যাপ থেকে,
যবে থেকে তুমুল লগ্নির দাপটে আগুন লাগল ধানের গাদায়,
যবে থেকে সুলভ ম
বেকারার দিল
Koushik Ghosh
বেহাল পাছায় তার দৈনিক বরাদ্দ লাথ,
তবু তার বেকারার দিল!
দিনগত যত পাপ ধুয়ে দেবে সন্ধ্যের লাজবাব দারু,
উপমাও এনে দেবে যথাযথ ইনসাফ
জমে গেলে তার মাহফিল।
তাকে সব ছেড়ে গেছে, কেননা এ-
মেহেঙ্গাবাজার
কাউকেই দেয়নি সেই স্বঘোষিত পাঙ্গাসুযোগ।
তবুও সে নির্বিকার, লড়ে যায়, হারামি এ-সভ্যতার খাল খিঁচে নেয়।
দ্যাখো তার সমূহ রগড়।
আ এমন ছায়াযুদ্ধ হাল ছেড়ে কখন সে অকারণ অশ্রুসজল,
তখন সে মুন্না আজিজ,
তখন সে মির্জা গালিব।
পারবে, বসন্তসেনা, মৃচ্ছকটিকের ছেঁড়া পা
তবু তার বেকারার দিল!
দিনগত যত পাপ ধুয়ে দেবে সন্ধ্যের লাজবাব দারু,
উপমাও এনে দেবে যথাযথ ইনসাফ
জমে গেলে তার মাহফিল।
তাকে সব ছেড়ে গেছে, কেননা এ-
মেহেঙ্গাবাজার
কাউকেই দেয়নি সেই স্বঘোষিত পাঙ্গাসুযোগ।
তবুও সে নির্বিকার, লড়ে যায়, হারামি এ-সভ্যতার খাল খিঁচে নেয়।
দ্যাখো তার সমূহ রগড়।
আ এমন ছায়াযুদ্ধ হাল ছেড়ে কখন সে অকারণ অশ্রুসজল,
তখন সে মুন্না আজিজ,
তখন সে মির্জা গালিব।
পারবে, বসন্তসেনা, মৃচ্ছকটিকের ছেঁড়া পা
বছর ছেচল্লিশ
Koushik Ghosh
এমনই গজদাঁতের মিনার, রূপ তেরা মস্তানা।
শুনেই ঈষৎ মুখ বেঁকালে : 'ধুস এত শস্তা না!'
সকল দামী, সালতামামি, শহরে ভিড় আজো।
যখন দুপুর, কিশোর-লতায় আঁধির সুরে বাজো।
হায় গো আমার দোখনো-হৃদয়, দুব্বো গজায় হাড়ে।
তোমার সঙ্গে বাজে বকায় কেবলই রাত বাড়ে।
চাল চাপিয়ে ফুঁকছি চুলো, এবার আব্বুলিশ।
ওপরচালাক ভিতরবোকা বছর ছেচল্লিশ।
শুনেই ঈষৎ মুখ বেঁকালে : 'ধুস এত শস্তা না!'
সকল দামী, সালতামামি, শহরে ভিড় আজো।
যখন দুপুর, কিশোর-লতায় আঁধির সুরে বাজো।
হায় গো আমার দোখনো-হৃদয়, দুব্বো গজায় হাড়ে।
তোমার সঙ্গে বাজে বকায় কেবলই রাত বাড়ে।
চাল চাপিয়ে ফুঁকছি চুলো, এবার আব্বুলিশ।
ওপরচালাক ভিতরবোকা বছর ছেচল্লিশ।
নাম (একটি সরল প্রয়াস)
Koushik Ghosh
চাপের নাম টরিসেলি, বাপের নাম খগেন।
লাফের নাম হনু-লুলু, বিবেকের নাম লরেন।
হাঁফের নাম কোলেস্টেরল, মাফের নাম যীশু।
আমার নাম জানতে চাও? ডেকো পিপুফিশু।
খাপের নাম পঞ্চায়েত, খাপের বাপ পঞ্চু।
বিরল খোয়াবনামায় নিদ যাচ্ছে হাঁসচঞ্চু।
সাপের নাম বালকিষণ, পাপের নাম লোভ।
রাঘব কিংবা বোয়াল জানে, কেঁচোর নাম টোপ?
গ্রাফের নাম অর্থনীতি, গ্রাফের নাম স্টেফি।
আদর ডাকে সোনা, রুপো, আয়রে আমার খেপি।
কি যায় আসে লাভের গুড় সাবড়ে দিলে ক্ষতি?
গোলাপ, চাই, অন্য
লাফের নাম হনু-লুলু, বিবেকের নাম লরেন।
হাঁফের নাম কোলেস্টেরল, মাফের নাম যীশু।
আমার নাম জানতে চাও? ডেকো পিপুফিশু।
খাপের নাম পঞ্চায়েত, খাপের বাপ পঞ্চু।
বিরল খোয়াবনামায় নিদ যাচ্ছে হাঁসচঞ্চু।
সাপের নাম বালকিষণ, পাপের নাম লোভ।
রাঘব কিংবা বোয়াল জানে, কেঁচোর নাম টোপ?
গ্রাফের নাম অর্থনীতি, গ্রাফের নাম স্টেফি।
আদর ডাকে সোনা, রুপো, আয়রে আমার খেপি।
কি যায় আসে লাভের গুড় সাবড়ে দিলে ক্ষতি?
গোলাপ, চাই, অন্য
জর্জদা
শিবাংশু
''.... সেই বাল্যকালে কবে থেকে গান গাইতে শুরু করলাম তা আমার মনেও নেই-- গান গাইছি-তো-গাইছি-তো-গাইছি। কোনো ওস্তাদ অথবা শিক্ষকের কাছে নাড়া বেঁধে বা রীতিমতো লেখাপড়া শেখার মতো করে গান আমি কখনও শিখিনি। ছোটবেলার দিনগুলি থেকে শুরু করে, বড় হয়েও শুধু গান শুনেছি আর গেয়েছি। কোনো সঙ্গীত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গান শিখবার সৌভাগ্য আমার অদৃষ্টে কখনও জোটেনি।''
১৯২৮ সালের গোড়ার দিকে পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এক সতেরো বছর বয়সের সদ্যোতরুণ কলেজ ছাত্র উত্তর কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ মন্দিরে প্রথম রবীন্দ্রনা
১৯২৮ সালের গোড়ার দিকে পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জ থেকে আসা এক সতেরো বছর বয়সের সদ্যোতরুণ কলেজ ছাত্র উত্তর কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ মন্দিরে প্রথম রবীন্দ্রনা
বিষয় জিকেসিআইইটি - এপর্যন্ত
Anamitra Roy
নিয়মের অতল ফাঁক - মালদহের গণি খান চৌধুরী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি - প্রথম কিস্তি (প্রকাশঃ 26 July 2018 08:30:34 IST)
আজব খবর -১
২০১৬ সালে একটি সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ভারতীয় সেনায় ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিতে গেলে সেনা আধিকারিকরা উল্টে তাকে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেন। কারণ পদপ্রার্থীর পেশ করা ডকুমেন্টে গন্ডগোল ছিল। ভারতীয় সেনার মতে ভুয়ো ডকুমেন্ট। ব্যারাকপুরের ঘটনা।
খবর - ২
২০১৮ সাল। ওই একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্র ভ
আজব খবর -১
২০১৬ সালে একটি সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ভারতীয় সেনায় ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিতে গেলে সেনা আধিকারিকরা উল্টে তাকে জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেন। কারণ পদপ্রার্থীর পেশ করা ডকুমেন্টে গন্ডগোল ছিল। ভারতীয় সেনার মতে ভুয়ো ডকুমেন্ট। ব্যারাকপুরের ঘটনা।
খবর - ২
২০১৮ সাল। ওই একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্র ভ
"নাহলে রেপ করে বডি বিছিয়ে দিতাম.."
Anamitra Roy
গত পরশু অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিন, মালদা জিকেসিআইইটি ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বাইকবাহিনী এসে শাসিয়ে যায়। তারপর আজকের খবর অনুযায়ী তাদেরকে মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ছাত্রদের বক্তব্য অনুযায়ী মারধর করছে বিজেপির সমর্থক এবং শিক্ষকরা। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামমনস্ক দলগুলির স্থানীয় কর্মীরা এবিষয়ে আঙ্গুল চুষছেন না বাতাসা খাচ্ছেন সেখবর এখনও নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়নি। সৌম্যদীপ চ্যাটার্জী নামক চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ জনৈক ল্যাব অ্যাসিট্যান্ট অত্যন্ত বীরত্বের সাথে ছাত্
উত্তর
Debasis Bhattacharya
[ মূল গল্প --- Answer, লেখক --- Fredric Brown। ষাট-সত্তর দশকের মার্কিন কল্পবিজ্ঞান লেখক, কল্পবিজ্ঞান অণুগল্পের জাদুকর। ] ......
সার্কিটের শেষ সংযোগটা ড্বর এভ সোনা দিয়ে ঝালাই করে জুড়ে দিলেন, এবং সেটা করলেন বেশ একটা উৎসবের মেজাজেই । ডজনখানেক দূরদর্শন ক্যামেরা তাঁর দিকে তাগ করে আছে, আর তাদের তোলা ছবিগুলো ঈথারবাহিত হয়ে মুহূর্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে ব্রহ্মাণ্ডের কোণে কোণে ।
তিনি এবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ড্বর র্যেন-এর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়লেন, তারপর স্যুইচের পাশে অবস্থান নিয়ে প্রস্তু
জাতীয় পতাকা, দেশপ্রেম এবং জুতো
Anamitra Roy
কাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট দেখছি, কিছু ছবি মূলত, যার মূল কথা হলো জুতো পায়ে ভারতের জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানানো মোটেও ঠিক নয়। ওতে দেশের অসম্মান হয়। এর আগে এরকমটা শুনিনি। মানে ছোটবেলায়, অর্থাৎ কিনা যখন আমি প্রকৃতই দেশপ্রেমিক ছিলাম এবং যুদ্ধে-ফুদ্ধে যাবো ভাবতাম, তখন ইশকুলে যতবার জাতীয় পতাকা উঠতো জুতো কিন্তু আমার পায়েই থাকতো বলে মনে পড়ছে। তাতে আমার বাচ্চা বয়সের দেশপ্রেম খুব একটা অপবিত্র হয়ে গেছে বলে তো কখনো মনে হয়নি। আমরা জানতাম মন্দিরে ঢুকতে গেলে জুতো খুলতে হয়। জুতো খুলতে হয় মসজিদের প্রার্
এতো ঘৃণা কোথা থেকে আসে?
Jyotishka Datta
কাল উমর খালিদের ঘটনার পর টুইটারে ঢুকেছিলাম, বোধকরি অন্য কিছু কাজে ... টাইমলাইনে কারুর একটা টুইট চোখে পড়লো, সাদামাটা বক্তব্য, "ভয় পেয়ো না, আমরা তোমার পাশে আছি" - গোছের, সেটা খুললাম আর চোখে পড়লো তলায় শয়ে শয়ে কমেন্ট, না সমবেদনা নয়, আশ্বাস নয়, বরং উৎকট, হিংস্র আস্ফালন ! যাঁরা টুইটার দেখেন নিয়মিত, তাদের কাছে এগুলো নতুন কিছু নয়, বরং এখন এতোটাই গা-সওয়া হয়ে গেছে যে খুব সহজে উপেক্ষা করে চলে যাওয়া যায় ব্যাস্ত ট্রাফিকের মাঝে পড়ে থাকা পথচারীর মতো ... তবুও এক একদিন একটু বেশী ভয় করে, একটু বেশী আতঙ্ক হয় !
সারে জঁহা সে আচ্ছা
স্বাতী রায়
আচ্ছা স্যার, আপনি মালয়েশিয়া বা বোর্ণিওর জঙ্গল দেখেছেন? অথবা অ্যামাজনের জঙ্গল? নিজের চোখে না দেখলেও , নিদেনপক্ষে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের পাতায়? একজন বনগাঁর লোকের হাতে যখন সে ম্যাগাজিন পৌঁছে যেত, তখন আপনি তো স্যার কলকাতার ছেলে - হাত বাড়ালেই পেয়ে যেতেন নিশ্চয়- দেখেন নি? কি আশ্চর্য ! তাহলে লিখলেন যে বড়, কোন দেশেতে তরুলতা সকল দেশের চাইতে শ্যামল ? এখনই তো পৃথিবীতে ১৯৫ খানা দেশ| আপনার সময়ে কটা ছিল জানি না , কম বেশি ১৭৫ টা মত হবে - এক্কেবারে অতগুলো দেশের মধ্যে তুলনা করে বলে দিলেন "সকল দেশের চাইতে শ্যা
ট্রেন লেট্ আছে!
Anamitra Roy
আমরা প্রচন্ড বুদ্ধিমান। গত কয়েকদিনে আমরা বুঝে গেছি যে ভারতবর্ষ দেশটা আসলে একটা ট্রেনের মতো, যে ট্রেনে একবার উদ্বাস্তুগুলোকে সিটে বসতে দিলে শেষমেশ নিজেদেরই সিট জুটবে না। নিচে নেমে বসতে হবে তারপর। কারণ সিট শেষ পর্যন্ত হাতেগোনা !
দেশ ব্যাপারটা এতটাই সোজা। ইউরোপিয়ানগুলো বোকা। তাই এই নমি ওই লজি নামে আঠাশরকম পড়াশোনার বিষয় বানিয়েছে। সব আমাদের মতো বুদ্ধিমান ভারতীয়দের ফেল করাবে বলে। ফেল না করাতে পারলে আমরা সব টকটকিয়ে মগডালে চড়ে গিয়ে ওদের সাইজ করে দিতুম কিনা! তখন কি আর ওদের এই দুনিয়াজোড়া আধিপত্য চলতো
দেশ ব্যাপারটা এতটাই সোজা। ইউরোপিয়ানগুলো বোকা। তাই এই নমি ওই লজি নামে আঠাশরকম পড়াশোনার বিষয় বানিয়েছে। সব আমাদের মতো বুদ্ধিমান ভারতীয়দের ফেল করাবে বলে। ফেল না করাতে পারলে আমরা সব টকটকিয়ে মগডালে চড়ে গিয়ে ওদের সাইজ করে দিতুম কিনা! তখন কি আর ওদের এই দুনিয়াজোড়া আধিপত্য চলতো
একটা নতুন গান
Anamitra Roy
আসমানী জহরত (The 0ne Rupee Film Project)-এর কাজ যখন চলছে দেবদীপ-এর মোমবাতি গানটা তখন অলরেডি রেকর্ড হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন আগেই। গানটা প্রথম শুনেছিলাম ২০১১-র লিটিল ম্যাগাজিন মেলায় সম্ভবত। সামনাসামনি। তো, সেই গানের একটা আনপ্লাগড লাইভ ভার্শন আমরা পার্টি সিকোয়েন্স-এ ব্যবহার করেছিলাম। অর্ঘ্য-র "শহরনামা" বা "বন্ধু" সেইভাবে রেকর্ড হয়নি কোনোদিন। ও তখন বাইরে বাইরে থাকতো। প্রথমে বেনারস, তারপর বরোদা। গিটার বাজিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করা গান সব। তারপর কয়েকবছর বাদে ল্যাপটপ-এ রেকর্ড করে ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশনে অ্
ভাঙ্গর ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে
Swarnendu Sil
এই লেখাটা ভাঙ্গর, পরিবেশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নানা স্ট্যাটাস, টুকরো লেখায়, অনলাইন আলোচনায় যে কথাগুলো বলেছি, বলে চলেছি সেইগুলো এক জায়গায় লেখার একটা অগোছালো প্রয়াস। এখানে দুটো আলাদা আলাদা বিষয় আছে। সেই বিষয় দুটোয় বিজ্ঞানের সাথে সাথে আমার রাজনৈতিক ভাবনা চিন্তাও জড়িত অবশ্যই, কারণ আর সব কিছুর মতই বিজ্ঞানও রাজনীতি মুক্ত বা রাজনীতি বহির্ভূত বিষয় নয়।
আমি মনে করি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষতিকারক।
এ কথা আমি ভাঙ্গর আন্দোলনে যখন পরিবেশ স
আমি মনে করি কেন্দ্রীভূত বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষতিকারক।
এ কথা আমি ভাঙ্গর আন্দোলনে যখন পরিবেশ স
বিদ্যালয় নিয়ে ...
Salil Biswas
“তবে যেহেতু এটি একটি ইস্কুল,
জোরে কথা বলা নিষেধ। - কর্তৃপক্ষ” (বিলাস সরকার-এর ‘ইস্কুল’ পুস্তক থেকে।)
আমার ইস্কুল। হেয়ার স্কুল। গর্বের জায়গা। কত স্মৃতি মিশে আছে। আনন্দ দুঃখ রাগ অভিমান, ক্ষোভ তৃপ্তি আশা হতাশা, সাফল্য ব্যার্থতা, এক-চোখ ঘুগনিওয়ালা, গামছা কাঁধে হজমিওয়ালা, শুক্রবারের ডবল টিফিন, চিলের ছোঁ, গোলপোস্টে জমা জল, বলশালী ডাকাবুকো সহপাঠীর ল্যাং, আর এক সহপাঠীর সাইকেল-পা, বাজি রেখে বিটনুন খাওয়া, লজেন্স-দিদিমণির ঝাঁঝাঁলো পেপারমিন্ট, টেবিলের নিচে লুকোনো গল্পের বই, অঙ্ক স্যারের বিখ্যাত
জোরে কথা বলা নিষেধ। - কর্তৃপক্ষ” (বিলাস সরকার-এর ‘ইস্কুল’ পুস্তক থেকে।)
আমার ইস্কুল। হেয়ার স্কুল। গর্বের জায়গা। কত স্মৃতি মিশে আছে। আনন্দ দুঃখ রাগ অভিমান, ক্ষোভ তৃপ্তি আশা হতাশা, সাফল্য ব্যার্থতা, এক-চোখ ঘুগনিওয়ালা, গামছা কাঁধে হজমিওয়ালা, শুক্রবারের ডবল টিফিন, চিলের ছোঁ, গোলপোস্টে জমা জল, বলশালী ডাকাবুকো সহপাঠীর ল্যাং, আর এক সহপাঠীর সাইকেল-পা, বাজি রেখে বিটনুন খাওয়া, লজেন্স-দিদিমণির ঝাঁঝাঁলো পেপারমিন্ট, টেবিলের নিচে লুকোনো গল্পের বই, অঙ্ক স্যারের বিখ্যাত
সমর্থনের অন্ধত্বরোগ ও তৎপরবর্তী স্থবিরতা
ফরিদা
একটা ধারণা গড়ে ওঠার সময় অনেক বাধা পায়। প্রশ্ন ওঠে। সঙ্গত বা অসঙ্গত প্রশ্ন। ধারণাটি তার মুখোমুখি দাঁড়ায়, কখনও জেতে, কখনও একটু পিছিয়ে যায়, নিজেকে আরও প্রস্তুত করে ফের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। তার এই দমটা থাকলে তবে সে পরবর্তী কালে কখনও একসময়ে মানুষের গ্রহণযোগ্য হয়।
এখন এই গ্রহণযোগ্যতাটি সাময়িক। প্রশ্ন তো সেই কয়েকটা হয়েই থেমে যায় না, নতুন প্রশ্নরা আসে স্বাভাবিকভাবেই, আসে নতুনতর ধারণারাও। এখন সেই গ্রহণযোগ্য আগের ধারণাটি যারা অবলম্বন করে থাকেন, তারা তাকে চরম ধরে নিয়ে যখন নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন
এখন এই গ্রহণযোগ্যতাটি সাময়িক। প্রশ্ন তো সেই কয়েকটা হয়েই থেমে যায় না, নতুন প্রশ্নরা আসে স্বাভাবিকভাবেই, আসে নতুনতর ধারণারাও। এখন সেই গ্রহণযোগ্য আগের ধারণাটি যারা অবলম্বন করে থাকেন, তারা তাকে চরম ধরে নিয়ে যখন নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন
ভি এস নইপাল : অভিবাসী জীবনের শক্তিশালী বিতর্কিত কথাকার
souvik ghoshal
ভারতীয় বংশদ্ভূত নোবেল বিজয়ী এই লেখকের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদে, ১৯৩২ সালের ১৭ অগস্ট। পরে পড়াশোনার জন্য আসেন লন্ডনে এবং পাকাপাকিভাবে সেতাই হয়ে ওঠে তাঁর আবাসভূমি। এর মাঝে অবশ্য তিনি ঘুরেছেন থেকেছেন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ, ভারত সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে। শুধু পর্যটকের মতো করে ঘোরেন নি, থেকেছেন মাসের পর মাস। ভারতে তিনি টানা প্রায় এক বছর ছিলেন। আফ্রিকাতেও কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন। আর এগুলো তাঁর লেখালেখির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে গিয়েছে।
নইপাল এর প্রথম উল্লেখযোগ্য লেখা এ হা
নইপাল এর প্রথম উল্লেখযোগ্য লেখা এ হা
আবার ধনঞ্জয়
রৌহিন
আজ থেকে চোদ্দ বছর আগে আজকের দিনে রাষ্ট্রের হাতে খুন হয়েছিলেন মেদিনীপুরের যুবক ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। এই "খুন" কথাটা খুব ভেবেচিন্তেই লিখলাম, অনেকেই আপত্তি করবেন জেনেও। আপত্তির দুটি কারণ - প্রথমতঃ এটি একটি বাংলায় যাকে বলে পলিটিকালি ইনকারেক্ট বক্তব্য, আর দ্বিতীয়তঃ কেউ কেউ বলতে পারেন যে যেহেতু সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছিল অতএব এই কথা আদালত অবমাননার সামিল।
দ্বিতীয় আপত্তির জবাব আগে দিই। না, আদালতকে অবমাননা করার মত কোনরকম ইনটেনশন আমার নেই - খুন কথাটা বললে তা আদালত অবমাননা হয় না এট
দ্বিতীয় আপত্তির জবাব আগে দিই। না, আদালতকে অবমাননা করার মত কোনরকম ইনটেনশন আমার নেই - খুন কথাটা বললে তা আদালত অবমাননা হয় না এট
সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে এখনো শ্রমদাস!
বিপ্লব রহমান
"সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আমরা অন্যের জমিতে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে মজুরি (শ্রম) দিয়ে আসছি। কেউ মজুরি দিতে না পারলে তার বদলে গ্রামের অন্য কোনো নারী-পুরুষকে মজুরি দিতে হয়। নইলে জরিমানা বা শাস্তির ভয় আছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভয় যেকোনো সময় জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার।"
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ঢালে প্রায় ১০ হাজার ত্রিপুরা জনজাতির শ্রম দাসত্বের চিত্রটি এভাবেই ফুটিয়ে তুললেন ছোট কুমিরা নামক আদিবাসী পল্লীর নিকুঞ্জ ত্রিপুরা (৭০)।
কিছুদিন আগে পেশাগত কারণে সেখানের ছোট কুমিরা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ঢালে প্রায় ১০ হাজার ত্রিপুরা জনজাতির শ্রম দাসত্বের চিত্রটি এভাবেই ফুটিয়ে তুললেন ছোট কুমিরা নামক আদিবাসী পল্লীর নিকুঞ্জ ত্রিপুরা (৭০)।
কিছুদিন আগে পেশাগত কারণে সেখানের ছোট কুমিরা
অনুপ্রদান
ফেকু পাঁড়ে
শিক্ষাক্ষেত্রে তোলাবাজিতে অনিয়ম নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত গত কিছুদিনে কলেজে ভর্তি নিয়ে তোলাবাজি তথা অনুদান নিয়ে অভিযোগের সামনে নানা মহল থেকেই কড়া সমালোচনার মুখে পরে রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন সাংবাদিকদের জানান অনিয়ন্ত্রিত তোলাবাজিতে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং তিনি অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারী হস্তক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, মা মাটি মানুষের সুবিধের জন্য তারা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নবান্ন থেকে তোলাবাজির টাকার পরিমা
শিক্ষামন্ত্রী এদিন সাংবাদিকদের জানান অনিয়ন্ত্রিত তোলাবাজিতে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং তিনি অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারী হস্তক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, মা মাটি মানুষের সুবিধের জন্য তারা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নবান্ন থেকে তোলাবাজির টাকার পরিমা
গুজবের সংসার
Muhammad Sadequzzaman Sharif
গুজব নিয়ে সেই মজা নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু চারটা লাশ আর চারজন ধর্ষণের গুজব কি গুজব ছিল না? এত বড় একটা মিথ্যাচার, যার কারনে কত কি হয়ে যেতে পারত, এই জনপথের ইতিহাস পরিবর্তন হয়ে যেতে পারত অথচ রসিকতার ছলে এই মিথ্যাচার কে হালকা করে দেওয়া হল। ছাত্রলীগ যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা অস্বীকার করার কোন রাস্তা আছে বা সরকার যে তরীকায় অগ্রসর হল শেষের দিকে তা কোন মতেই কাম্য নয় কারো কাছে। কিন্তু লাশের গুজব ভিন্ন জিনিস। যখন লাশের সাথে তুলনা হবে লাঠির বাড়ি তাহলে তখন লাঠি পেটা অনেক সহনীয় মনে হবে। না চাইতেও একটা স্বস্তি
মহামূর্খের দল
Debasis Bhattacharya
মূল গল্প : আইজ্যাক আসিমভ
রাইগেল গ্রহের যে দীর্ঘজীবী প্রজাতির হাতে এই গ্যালাক্সির নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের ভার, সে পরম্পরায় নারন হল গিয়ে চতুর্থজন ।
দুটো খাতা আছে ওনার কাছে । একটা হচ্ছে প্রকাণ্ড জাবদা খাতা, আর অন্যটা তার চেয়ে অনেকটা ছোট । গ্যালাক্সির সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণিদের নাম ওঠে ওই বড় খাতাটায় । আর ছোট খাতায় স্থান পায় শুধু সেই সমস্ত প্রজাতিরা যাদের সভ্যতা খানিকটা পরিণত হয়েছে, এবং সেই সুবাদে যারা গ্যালাক্টিক ফেডারেশনে স্থান পাবা
রাইগেল গ্রহের যে দীর্ঘজীবী প্রজাতির হাতে এই গ্যালাক্সির নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের ভার, সে পরম্পরায় নারন হল গিয়ে চতুর্থজন ।
দুটো খাতা আছে ওনার কাছে । একটা হচ্ছে প্রকাণ্ড জাবদা খাতা, আর অন্যটা তার চেয়ে অনেকটা ছোট । গ্যালাক্সির সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণিদের নাম ওঠে ওই বড় খাতাটায় । আর ছোট খাতায় স্থান পায় শুধু সেই সমস্ত প্রজাতিরা যাদের সভ্যতা খানিকটা পরিণত হয়েছে, এবং সেই সুবাদে যারা গ্যালাক্টিক ফেডারেশনে স্থান পাবা
মানুষ মানুষের জন্য?
শক্তি দত্তরায় করভৌমিক
স্মৃতির পটে জীবনের ছবি যে আঁকে সে শুধু রঙ তুলি বুলিয়ে ছবিই আঁকে, অবিকল নকল করা তার কাজ নয়। আগেরটা পরে, পরেরটা পরে সাজাতে তার একটুও বাঁধেনা। আরো অনেক সত্যের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনস্মৃতির আরম্ভেই এই ধ্রুব সত্য মনে করিয়ে দিয়েছেন। কথাটা মনে রেখেই শৈশবস্মৃতির প্রথম ছায়া -আভাসে সাঁতার কাটতে চেষ্টা করছি। তখন কি আর সন তারিখ জানি? নিজের বয়স কতো জানি? উঁহু, না, কিছুই বুঝি না। এখন একটু হিসেব করি, মনে হয় তিন বছর কি সাড়ে তিন বছর হবে হয়তো। ঝাপসা মনে পড়ে বিজন দুপুরে কি ঘুমছুট শেষরাতে।
আরও পড়ুন...
আরও পড়ুন...
আয় খিস্তি ঝেঁপে
Anamitra Roy
প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে বুদ্ধবাবু বা সিপিএমকে নতুন করে এতো বছর বাদে খিস্তি করার জন্য এই লেখা নয়। এবং অবশ্যই বলে রাখা দরকার যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে এই লেখার দূরদূরান্ত অবধি কোনো সম্পর্ক নেই। সেরকম কারো মনে হলে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।
পটভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের অশ্লীলতা নিয়ে আশেপাশে অনেকেই বেশ ভাবিত হয়ে পড়েছেন যা দেখছি। এই "নেতাচোদা" বা পুলিশকে "চ্যাটের বাল" বলা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি হচ্ছে। আমার তো বেশ মজা লাগলো দেখে। তুমি আমায় মারছো, তার ওপর তোমার আবার
পটভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের অশ্লীলতা নিয়ে আশেপাশে অনেকেই বেশ ভাবিত হয়ে পড়েছেন যা দেখছি। এই "নেতাচোদা" বা পুলিশকে "চ্যাটের বাল" বলা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি হচ্ছে। আমার তো বেশ মজা লাগলো দেখে। তুমি আমায় মারছো, তার ওপর তোমার আবার
আচ্ছে দিন আব আয়ে রে
ফেকু পাঁড়ে
আচ্ছা আপনি কি ভারতবাসী? না মানে সেটা ততটা জরুরী নয় – মানে আপনি কি দেশপ্রেমিক? না না সেটাও ততটা জরুরী নয় – মানে আপনি কি জাতীয়তাবাদী? ইয়ে, মানে এমনকি সেটাও বেশী জরুরী নয় – কথাটা হল, আপনি কি একজন ভক্ত? যদি হন, তাহলে আপনি নিশ্চয় বিশ্বাস করেন যে আচ্ছে দিন এসে গেছে? কী বললেন, টের পাচ্ছেন না? আপনি সেকু মাকু নয় তো? না হয়ে থাকলে টের পাবেন অবশ্যই। অবশ্য সেকু মাকুরাও টের পাবেই – একদম হাড়ে হাড়ে টের পাবে যে আচ্ছে দিন কাকে বলে। পাইয়েছি টের ওই অতুল মঞ্জরেকরকে – কত্তবড় সাহস, গান ছেড়েছে কি না “আচ্ছে দিন কব আয়েঙ্
দক্ষিণের কড়চা
Parthasarathi Giri
দক্ষিণের কড়চা
▶️
যদি ভাবো জবালা মেঘ সঞ্চরমান, তবে চোখ মুছে ফ্যালো ঘাসে, নদীঘাটের শরবনে।
যদি ভাবো জবালার কোলে জল, তবে চোখ মেলে দ্যাখো এই পূর্বাশা অন্তরীপ। এখন ঘন আলকাতরায় লেপে গেছে আকাশের মনস্তাপ।
মনস্তাপই তো। সাড়ে তেরো মাইল দূরে শেষ বাস এসে থেমে যায় তেলোর চকে। তারপর পায়ে হেঁটে রোজ জবা কাঁকড়ার ঝোড়া নিয়ে বাড়ি ফেরে, ফিরতে ফিরতে যেদিন তার ঋতুঃক্ষরণ হয়, মাতুয়া খালের জলে থাই ধুয়ে ছেঁড়া ন্যাকড়া পরে নেয়। কোমরের ঘুনসিতে মাদুলির মধ্যে হাড়গিলের হাড় নড়ে ওঠে। ধনেশ পাখির
▶️
যদি ভাবো জবালা মেঘ সঞ্চরমান, তবে চোখ মুছে ফ্যালো ঘাসে, নদীঘাটের শরবনে।
যদি ভাবো জবালার কোলে জল, তবে চোখ মেলে দ্যাখো এই পূর্বাশা অন্তরীপ। এখন ঘন আলকাতরায় লেপে গেছে আকাশের মনস্তাপ।
মনস্তাপই তো। সাড়ে তেরো মাইল দূরে শেষ বাস এসে থেমে যায় তেলোর চকে। তারপর পায়ে হেঁটে রোজ জবা কাঁকড়ার ঝোড়া নিয়ে বাড়ি ফেরে, ফিরতে ফিরতে যেদিন তার ঋতুঃক্ষরণ হয়, মাতুয়া খালের জলে থাই ধুয়ে ছেঁড়া ন্যাকড়া পরে নেয়। কোমরের ঘুনসিতে মাদুলির মধ্যে হাড়গিলের হাড় নড়ে ওঠে। ধনেশ পাখির
মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন, ২০১৮
Punyabrata Gun
প্রত্যেকটা রাজ্যে একটা করে মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে আর একটা মেডিক্যাল কাউন্সিল আছে জাতীয় স্তরে। জাতীয় স্তরে যে মেডিক্যাল কাউন্সিল সেটাকে বলা হয় মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আর প্রত্যেকটা রাজ্যে একটা করে স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিল থাকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের নাম হচ্ছে West Bengal Medical Council। স্টেট মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে কাজ সেটা প্রধানত হচ্ছে যে MBBS বা আধুনিক চিকিৎসার অন্যান্য ডিগ্রি বা ডিপ্লোমাধারী যে ডাক্তাররা আছেন তাদের একটি রেজিস্টার মেন্টেন করা আর এছাড়া
এনআরসি -- বামপন্থীদের অবস্থান
Sakyajit Bhattacharya
১। এনআরসির দাবী সর রাজনৈতিক দলের । একমাত্র বিজেপি এই দাবীর সঙ্গে সহমত ছিল না।
২। সিপিআই(এম)-এর স্ট্যান্ড হল সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে ১৯৭১ সালের কাটঅফ ডেট ধরে এনআরসি হোক। কেন? কারণ এই ডি লেবেল, অনাগরিক, এই সব ইস্যু দূর হবে এতে।
৩। পার্টি যেটা নিয়ে বারবার স্ট্রং স্ট্যান্ড রাখছে সেটা হল যে এনআরসি ধর্মের ভিত্তিতে করা যাবে না। বিজেপি সেটাই করতে চাইছে। এবং এটা নীতিগত ভাবেও। কেন, সেটা পরে বলছি।
৪। ২০১২ সালের কোঝিকোড় কংগ্রেসের নেওয়া রেজোলিউশন অনুযায়ী বাঙালী শরনার্থীদের নাগর
২। সিপিআই(এম)-এর স্ট্যান্ড হল সুপ্রিম কোর্টের তত্বাবধানে ১৯৭১ সালের কাটঅফ ডেট ধরে এনআরসি হোক। কেন? কারণ এই ডি লেবেল, অনাগরিক, এই সব ইস্যু দূর হবে এতে।
৩। পার্টি যেটা নিয়ে বারবার স্ট্রং স্ট্যান্ড রাখছে সেটা হল যে এনআরসি ধর্মের ভিত্তিতে করা যাবে না। বিজেপি সেটাই করতে চাইছে। এবং এটা নীতিগত ভাবেও। কেন, সেটা পরে বলছি।
৪। ২০১২ সালের কোঝিকোড় কংগ্রেসের নেওয়া রেজোলিউশন অনুযায়ী বাঙালী শরনার্থীদের নাগর
স্বপন-পারের ডাক শুনেছি~
বিপ্লব রহমান
সরকারি নথিপত্র থেকে বেমালুম গায়েব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশাল পৈতৃক জমিদারি এপার বাংলার সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর তথা শাহজাদপুর ডিহি। একই সঙ্গে পুরোপুরি বেহাত হয়ে গেছে জমিদারির সম্পত্তি।
কিছুদিন আগে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেল, ঠাকুর পরিবারের নামে এখন শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়িটুকুই শুধু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রেকর্ডভুক্ত। বাকি জমির অধিকাংশই নানা ব্যক্তির কবজায় চলে গেছে। জমির মালিকানা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও রয়েছে বিস্তর।
রবীন্দ্র গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাচীন শাহজাদপুর এ
কিছুদিন আগে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেল, ঠাকুর পরিবারের নামে এখন শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়িটুকুই শুধু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রেকর্ডভুক্ত। বাকি জমির অধিকাংশই নানা ব্যক্তির কবজায় চলে গেছে। জমির মালিকানা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও রয়েছে বিস্তর।
রবীন্দ্র গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাচীন শাহজাদপুর এ