![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
ভয়েজার
Arkady Gaider
১৯৭১ সালে আমার বাবা এবং মা'র প্রথম একে অপরের সাথে আলাপ, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ছাত্র ফেডারেশনের মিটিংএ। মা কথা বলতো বাঙাল ভাষায় (হ্যা আমি সেই প্রজন্মের ব্যাক্তি যাদের ছোটবেলায় বাংলা আর বাঙাল দুটো আলাদা ভাষা ছিলো), বাবা কথা বলতো এক অদ্ভুত বাংলামিশ্রিত হিন্দিতে।
মা'র বাবা, মানে আমার দাদুর পরিবার, যাদের দেশ ফরিদপুর, আর বাবা'র বাবা, মানে আমার ঠাকুর্দার পরিবার, যাদের দেশ বরিশাল, কেউ সেই অর্থে ঘটি হারানো উদ্বাস্তু না। পার্টিশনের বহু আগে থেকেই এদের ওপারে দেশের বাড়ি আর এপারে কলকাতার বাড়ি (ওই যা
মা'র বাবা, মানে আমার দাদুর পরিবার, যাদের দেশ ফরিদপুর, আর বাবা'র বাবা, মানে আমার ঠাকুর্দার পরিবার, যাদের দেশ বরিশাল, কেউ সেই অর্থে ঘটি হারানো উদ্বাস্তু না। পার্টিশনের বহু আগে থেকেই এদের ওপারে দেশের বাড়ি আর এপারে কলকাতার বাড়ি (ওই যা
একই বৃন্তে দুটি ঢ্যাঁড়শ
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রশ্নটা স্রেফ এনআরসি নিয়ে নয়। "অবৈধ অনুপ্রবেশ"এর সন তারিখ ১৯৫১ বা ৭১ বা ৮১ বা ২০১১ যাই হোক না কেন, তাতে কিস্যু এসে যায়না, কারণ প্রশ্নটা সালতামামি নিয়ে নয়। প্রশ্নটা "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক একটি অদ্ভুত ধারণাকে নিয়ে। বলা ভালো "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক বস্তুটির বৈধতা নিয়েই। "অনুপ্রবেশ" শব্দটি নতুন। বৃটিশ ভারত এই শব্দটির অস্তিত্ব জানতনা। ভারতে তখন শাসক ছিল, শাসিত ছিল, শোষক ছিল, শোষিত ছিল, ঔপনিবেশিক ছিল, সায়েবসুবো ছিল, জমিদার ছিল, জাতপাত ছিল, চোর-চোট্টা-চিটিংবাজ ছিল, ধান্দাবাজ্ব রাজনীতিবিদ ছিল, বহু রকম উঁ
শান্তিগোপাল
Kallol Lahiri
গুটি গুটি পায়ে নেমে আসছে শীতের সন্ধ্যে আমাদের বালির বাসার দশ ফুট বাই দশফুটের উঠোনে। আজ একটু তাড়াতাড়ি মনি সন্ধ্যে দিয়েছে। শাঁখ বাজিয়েছে। ঠান্ডা লাগবে বলে মা আমাকে দুটো গেঞ্জির ওপর একটা ফুলহাতা সোয়েটার পরিয়েছে। ভালো করে মাথা, কান আর গলা ঢেকে জড়িয়ে দিয়েছে মাফলার। তারপরেও ব্যাগে রেখেছে একস্ট্রা একটা চাদর, পা ঢেকে বসার জন্যে। ডিবে ভর্তি করে সাজানো হয়েছে পান। মনি আর মা খাবে। ছোট্ট এ্যালুমনিয়ামের টিফিন কৌটোতে নেওয়া হয়েছে বিস্কুট। পিসির ভাজা নিমকি। আমি ঠাকুরের থালা থেকে গোটা কতক বাতাসাও লুকিয়ে রেখেছি স
ফ্রেইরি-চর্চা (২) কনসিয়েনটাইজেশন: বিশ্লেষণী চেতনা-উন্মেষ
Salil Biswas
ফ্রেইরি-র শিক্ষাচিন্তার মর্মস্থলে আছে কনসিয়েনটাইজেশন-এর তত্ত্ব। তাই এনিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।
কনসিয়েনটাইজেশন [Critical consciousness, conscientization, বা পর্তুগীজ ভাষায় conscientização (কঁসিচিযাঃসাও) বা বিবেকীকরণ বা বিবেকসংস্থান বা চেতনায়ন বা বিশ্লেষণী চেতনা-উন্মেষ ...] নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা করা যাক।
এই জটিল তত্ত্বটিকে আমি আলোচনা করব আমার নিজের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রে কাজের সময় বিভিন্ন শিক্ষাব্রতীর সঙ্গে আলোচনালব্ধ সূত্রগুলির আলোতে। মতের অমিল হলে আরো আলোচনা করা যেতে পার
কনসিয়েনটাইজেশন [Critical consciousness, conscientization, বা পর্তুগীজ ভাষায় conscientização (কঁসিচিযাঃসাও) বা বিবেকীকরণ বা বিবেকসংস্থান বা চেতনায়ন বা বিশ্লেষণী চেতনা-উন্মেষ ...] নিয়ে আরও বিশদ আলোচনা করা যাক।
এই জটিল তত্ত্বটিকে আমি আলোচনা করব আমার নিজের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রে কাজের সময় বিভিন্ন শিক্ষাব্রতীর সঙ্গে আলোচনালব্ধ সূত্রগুলির আলোতে। মতের অমিল হলে আরো আলোচনা করা যেতে পার
বুয়েনোস আইরেস ডায়ারিজ
Parichay Patra
১ম পর্ব
এই জার্নি মাসে ১-২ বার করে কাউকে করতে হলেই পঞ্চত্ব সুনিশ্চিত। এমিরেটস লাতিন আমেরিকায় দুটি উড়ান চালান, একটি, যাতে আমি এলাম, দুবাই থেকে ভায়া রিও বুয়েনোস আইরেস, অন্যটি দুবাই থেকে ভায়া সাও পাওলো সান্তিয়াগো, যেটার সময় আরও বেশি লাগা উচিত। প্রায় কুড়ি ঘণ্টা ফ্লাইটে বসে বসে (যার আগে মুম্বাই-দুবাই এবং দুবাইতে ঘণ্টা সাতেক বসে থাকা ছিল) মনে হচ্ছিল এইবারে নির্ঘাত মরুতীর্থ হিংলাজের কতদূর আর কতদূর গান ভেসে আসবে।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরে রিও এল। রিও দূরে মেঘের মতো ঘিরে থাকা পাহাড়ের উপত্যকায় ঘাপট
এই জার্নি মাসে ১-২ বার করে কাউকে করতে হলেই পঞ্চত্ব সুনিশ্চিত। এমিরেটস লাতিন আমেরিকায় দুটি উড়ান চালান, একটি, যাতে আমি এলাম, দুবাই থেকে ভায়া রিও বুয়েনোস আইরেস, অন্যটি দুবাই থেকে ভায়া সাও পাওলো সান্তিয়াগো, যেটার সময় আরও বেশি লাগা উচিত। প্রায় কুড়ি ঘণ্টা ফ্লাইটে বসে বসে (যার আগে মুম্বাই-দুবাই এবং দুবাইতে ঘণ্টা সাতেক বসে থাকা ছিল) মনে হচ্ছিল এইবারে নির্ঘাত মরুতীর্থ হিংলাজের কতদূর আর কতদূর গান ভেসে আসবে।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরে রিও এল। রিও দূরে মেঘের মতো ঘিরে থাকা পাহাড়ের উপত্যকায় ঘাপট
এইচইসিআই নিয়ে হইচই
Swati Moitra
আগামী সপ্তাহে খুব সম্ভবত সংসদে পেশ হতে চলেছে হাইয়ার এডুকেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এইচইসিআই) বিল ২০১৮। এই বিল পাশ হয়ে গেলে ১৯৫৬ সালের ইউজিসি অ্যাক্ট রদ হয়ে যাবে, এবং ইউজিসির পরিবর্তে গঠিত হবে একটি নতুন উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যার নাম এইচইসিআই।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাতে কী এসে গেল? বিশেষত শিক্ষাবিদরা যখন মাসে একবার ইউজিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে থাকেন, অতএব ইউজিসি ভেঙ্গে দেওয়া হলে তাঁদের আপত্তি কেন?
আপত্তি অনেক। প্রাথমিক স্তরে মাননীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভা
প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাতে কী এসে গেল? বিশেষত শিক্ষাবিদরা যখন মাসে একবার ইউজিসির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে থাকেন, অতএব ইউজিসি ভেঙ্গে দেওয়া হলে তাঁদের আপত্তি কেন?
আপত্তি অনেক। প্রাথমিক স্তরে মাননীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভা
এবার আমায় বাঁচায় কেটা বল - রৌহিন ব্যানার্জি
ফেকু পাঁড়ে
না গো দাদা, এভাবে তো আর পারা যাচ্ছে নি। সবাই, সব্বাই মিলে এমন করে আমাদের এই পরম পবিত্র, পরম প্রাচীন, পরম - ব্রত, না না – ব্রত না, দূর, ঐ পরম যাহোক একটা – সেই পরম ধর্মটার পিছনে কি এমন করে লাগতে আছে? মানে আপনারাই বলুন, কে না জানে যে অপরাধীদের ৯৫% ই মোছলমান (এই রে, এই ৫% এর জন্য আবার পেমেন্ট না কেটে নেয়)? তো সবাই যেখানে জানেই, সেখানে কত্ত মাথা খাটিয়ে, হাঁটু খাটিয়ে খবর কল্লাম যে ২০১৬ তে যত রেপ হয়েছে তার ৯৫% করেছে মুসলমানেরা, আর ৯৬% ধর্ষিতা হয়েছে হিন্দুরা – বলুন, ভুল কিচু বলিচি? আরে আমি নই, খোদ মহেশ
আজ কি তাজা খপ্পর – কাংরেস মুসলিম পার্টি
ফেকু পাঁড়ে
খপরে প্রকাশ, রাগা বলেছেন যে কাংরেস হল মুসলিম পার্টি। না না – পাইওনিয়ার বা নবভারতের খবর নহে – এমন কি রিপাবলিক টিভিও নহে – এই খবরের উৎস খোদ উর্দু কাগজ – ইনকিলাব। গত ১২ই জুলাই তারীখে ইনকিলাব পত্রিকার খবর, মুসলিম নেতাদের সাথে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে স্বয়ং রাহুল গান্ধী বলেছেন, “বিজেপি যদি বলতে চায় কংগ্রেস হল মুসলিম পার্টি, তবে তাই। কংগ্রেস মুসলিম পার্টি, কারণ মুসলিমরা বর্তমানে দুর্বল এবং কংগ্রেস সর্বদাই দুর্বলের পক্ষে” – মোদ্দা কথা, কংগ্রেস হল মুস্লিম পার্টি। সেই রাহুল গান্ধী, কিছুদিন আগেই গুজরাট নির্বাচ
বয়স
Swarnendu Sil
গত ৯ বছরের প্রবাসী জীবনের জ্বালায় গাদা গাদা মিছিলে পাশে থেকেছি শুধু মনে মনে আর অন্তর্জালের জগতে... শহর কাঁপানো হোককলরবের বৃষ্টিভেজা আগুনের দিনে ফেবুকে কটা সলিডারিটি পেজের মডারেশনের কাজ, অসংখ্য চ্যাট, স্কাইপ কল আর আইএসডি কলের বাইরে কিছুই করতে পারিনি, তাতে ওই মূহুর্তে ওইখানে না থাকতে পারার আপসোস, ছটফটানি সামলানো যায় না অথচ নিজের প্রবাসকে অভিসম্পাত দেওয়া ছাড়া খুব কিছু করারও থাকে না। এসবের মধ্যেই বেড়েছে বয়স, যত না শরীরের, তারও বেশী হয়ত বা মনের।
অন্তত তাইই ভাবতাম।
এতগুলো বছর বাদে
অন্তত তাইই ভাবতাম।
এতগুলো বছর বাদে
প্রতাপের বিরুদ্ধে প্রান্তিকতার জয়
Soumya Kanti Pramanik
" হ্যাঁ, অর্ক, কি চলছে রে তোদের কলেজে ? বাচ্চা গুলো এভাবে না খেয়ে আছে আজ দু দিন হলো ? কি দাবী ?"
" ওদের হোস্টেল নেই ।। প্রিন্সিপাল কে বার বার বলা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি।।।পুলিশ ঢুকে ছত্রভঙ্গ করেছে ।।।আর কিছু ওদের করার ছিল না ।।তুমি কোথায় আছো ? আসবে ? তোমাদের দরকার ! "
।।।।
ইতিহাস রচনার কোন ধারাবাহিক নিয়ম থাকেনা।।। আমাদের মুহুর্ত যাপন ইতিহাস রচনা করে।।। কিন্তু সবাই বলে, সে ইতিহাসের নাকি নানা রং হয়।।। বোধ হয় সেই রঙের বিকাশের উৎসব কেই ইতিহাস বলে।।।
রং বলতে মনে পরে, ইতিহাসের
প্রসঙ্গ: মেডিক্যাল কলেজ
Panchali Kar
ঘটনাটা হতে পারত আর পাঁচটা কলেজের সাধারণ ঘটনার মত: হোস্টেল দেওয়া নিয়ে ছাত্রদের সাথে কর্তৃপক্ষের বচসা, মতানৈক্য, তার জেরে দুই দিন নিজেদের দাবি নিয়ে ছাত্রদের অবস্থান, এবং সব শেষে একটি মধ্যস্থতায় আসা। ঘটনাটা ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে হয়ে উঠল একটা গণ-আন্দোলন, যা এই শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিচ্ছেদ যোগ করলো, আর আমাদের দিলো কিছু নতুন মুখ, কিছু নতুন আশা, যা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে যুব সমাজের মননে।
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা যখন স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সেলিংগের মাধ
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা যখন স্বচ্ছ হোস্টেল কাউন্সেলিংগের মাধ
প্রীতম বসুর পঞ্চাননমঙ্গল
souvik ghoshal
সাহিত্যের পাঠক কম বেশি সকলেই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ কেউ জহুরী। তাঁরাও পড়েন সাহিত্য, কিন্তু কেবল গল্পের টান বা ছন্দের তানের আকর্ষণে নয়। তাদের নজর চলে যায় সৃজনের অন্দরমহলের দিকে। পুঁথির পাতায়, অক্ষর বিন্যাসে। প্রাচীন বা মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রামাণিকতা নিয়ে আলাপ আলোচনায় এগুলি অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে সে আমরা জানি। আর এও জানি সাহিত্যের জহুরীদের এইসব পণ্ডিতি আলোচনা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম পেরিয়ে খুব কমই সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায় কড়া নাড়ে। কিন্তু কখনো কখনো একটা ব্যতিক্রম তৈরি হয়ে যায়। প্রীতম বসুর মতো
চলুন, দেখে নিই
ফরিদা
এ কথা প্রমাণিত ও প্রত্যক্ষ যে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস বলে যা রয়েছে তা চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক। সিলিং খসে পড়ে ছাত্র দের আহত হওয়ার খবরও আছে। আর এই অব্যবস্থা তো আর একদিনে হয় না, হয়ও নি। এর পিছনে ছিল কতৃপক্ষের উদাসীনতা। যা ইচ্ছাকৃত বলে ভাবলে তা খুব একটা ভুল হয় না। কিন্তু কেন?
কেন বারবার যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি মেডিকেলের ওপর কতৃপক্ষ এত উদাসীন? কেন সেখানে বারবার তুঘলকি ফরমান জারী করে ক্ষমতা দেখান হয় বা ন্যায্য দাবি কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়?
খেয়াল করে দেখবেন, পশ্চিমবঙ্গ রা
কেন বারবার যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি মেডিকেলের ওপর কতৃপক্ষ এত উদাসীন? কেন সেখানে বারবার তুঘলকি ফরমান জারী করে ক্ষমতা দেখান হয় বা ন্যায্য দাবি কে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়?
খেয়াল করে দেখবেন, পশ্চিমবঙ্গ রা
মেডিকেল কলেজঃ গত দুদিনে যেমন দেখলাম
রৌহিন
গতকাল, শুক্রবার দুপুরে গেছিলাম মেডিকেল কলেজ। যখন পৌঁছালাম, ওখানে বেশ কিছু লোক – যদিও সব মিলিয়ে দুশোর বেশী নয় অবশ্যই – পরিচিত মুখও দেখা গেল কিছু। কাবেরী বসু ছিল, অমিত দত্ত দা ছিলেন, কোয়েল, দেবিকা, আরো কয়েকজন। অরিজিত গুহ চলে এল আরেকটু পরেই। শুভদীপ অবশ্য তখন বেরিয়ে গেছে। ডাঃ অর্ক বৈরাগ্যকে শুধু ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারেই চিনতাম, দোলনচাঁপা আলাপ করিয়ে দিলেন। আর দেখলাম অনশনরত ছেলেগুলো শুয়ে আছে। অনিকেত চেনা মুখ, একপাশে ঘুমাচ্ছে দেখা গেল। দেবাশীষের সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়েছে – ওর মা পাশে বসে। বিপি প্রত্যেকে
আবার কাঠুয়া
Prativa Sarker
ধর্ষণের মামলায় ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের মুখ বন্ধ খাম পেশ করা হল আদালতে। একটা বেশ বড় খাম। তাতে থাকার কথা চারটে ছোট ছোট খামে খুন হয়ে যাওয়া মেয়েটির চুলের নমুনা। ঘটনাস্থল থেকে সিট ওই নমুনাগুলো সংগ্রহ করেছিল। সেগুলোর ডি এন এ পরীক্ষাও করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কোর্টে পেশ করার পর খাম খুলে দেখা গেল সব ফক্কা। কোন নমুনাই নেই তাতে।
কাঠুয়া মামলা সত্যিই খুব রহস্যময় হয়ে উঠছে দিন দিন।
শুধু এইই নয়। যথেচ্ছ ভয় দেখানো চলছে ধর্ষিতার আইনজীবীদের। দীপিকাকে তো বটেই, তার সহকর্মী পুরুষ আইনজীবীটিকে ডোমেস্টিক ভায়
কাঠুয়া মামলা সত্যিই খুব রহস্যময় হয়ে উঠছে দিন দিন।
শুধু এইই নয়। যথেচ্ছ ভয় দেখানো চলছে ধর্ষিতার আইনজীবীদের। দীপিকাকে তো বটেই, তার সহকর্মী পুরুষ আইনজীবীটিকে ডোমেস্টিক ভায়
ওই মালতীলতা দোলে
Samim Ahmed
২
আহাদে আহমদ হইল
মানুষে সাঁই জন্ম নিল
লালন মহা ফ্যারে পড়ল
সিরাজ সাঁইজির অন্ত না পাওয়ায়।
এক মনে জমিতে লাঙল দিচ্ছিল আলিম সেখ। দুটি জবরজঙ্গী কালো মোষ আর লোহার লাঙল। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। আজকাল আর কেউ কাঠের লাঙল ব্যবহার করে না। তার অনেক দাম। একটু দূরে আলিম সেখের খালাতো ভাই কদর সেখ বসে আছে বটগাছের ছাউনিতে। বৃষ্টি কমলে সে এসে লাঙল ধরবে। কাঠের লাঙলের বড় বেশি খরচ। নষ্টও হয় তাড়াতাড়ি। ভীষণ জোরে মেঘ ডাকছে। আজকাল এই এক হয়েছে। অঝোরে পানি নেমে দরিয়া ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে যাক, কিন্তু এই দ
আহাদে আহমদ হইল
মানুষে সাঁই জন্ম নিল
লালন মহা ফ্যারে পড়ল
সিরাজ সাঁইজির অন্ত না পাওয়ায়।
এক মনে জমিতে লাঙল দিচ্ছিল আলিম সেখ। দুটি জবরজঙ্গী কালো মোষ আর লোহার লাঙল। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। আজকাল আর কেউ কাঠের লাঙল ব্যবহার করে না। তার অনেক দাম। একটু দূরে আলিম সেখের খালাতো ভাই কদর সেখ বসে আছে বটগাছের ছাউনিতে। বৃষ্টি কমলে সে এসে লাঙল ধরবে। কাঠের লাঙলের বড় বেশি খরচ। নষ্টও হয় তাড়াতাড়ি। ভীষণ জোরে মেঘ ডাকছে। আজকাল এই এক হয়েছে। অঝোরে পানি নেমে দরিয়া ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে যাক, কিন্তু এই দ
শো কজের চিঠি
Arkady Gaider
প্রিয় কমরেড,
যদিও তুমি আমার একদা অভিভাবক ছিলে, তবুও তোমায় কমরেড সম্মোধন করেই এই চিঠি লিখছি, কারন এটা সম্পূর্নভাবে রাজনৈতিক চিঠি।
এই চিঠির মারফত আমি তোমায় শো কজ জানাচ্ছি। তুমি যে রাজনীতির কথা বলে এসেছো, যে রাজনীতি নিয়ে বেচেছো, যে রাজনীতির স্বার্থে নিজের জীবনের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করেছো, আজকে সেই রাজনীতির চাহিদা পূরন করতে তুমি ব্যর্থ হয়েছো। তবে এখন যদি ভাবতে বসি, তাহলে হয়তো তোমার ব্যর্থ হওয়ার কারন খুজতে গেলে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে। যেদিন তুমি আমায় বলেছিলে - 'সোভিয়েত আমাদের জন্যে একট
যদিও তুমি আমার একদা অভিভাবক ছিলে, তবুও তোমায় কমরেড সম্মোধন করেই এই চিঠি লিখছি, কারন এটা সম্পূর্নভাবে রাজনৈতিক চিঠি।
এই চিঠির মারফত আমি তোমায় শো কজ জানাচ্ছি। তুমি যে রাজনীতির কথা বলে এসেছো, যে রাজনীতি নিয়ে বেচেছো, যে রাজনীতির স্বার্থে নিজের জীবনের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করেছো, আজকে সেই রাজনীতির চাহিদা পূরন করতে তুমি ব্যর্থ হয়েছো। তবে এখন যদি ভাবতে বসি, তাহলে হয়তো তোমার ব্যর্থ হওয়ার কারন খুজতে গেলে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে। যেদিন তুমি আমায় বলেছিলে - 'সোভিয়েত আমাদের জন্যে একট
ক্যালাইডোস্কোপ ( ১)
Baby Shaw
ক্যালাইডোস্কোপ
১।
রোদ এসে পড়ে। ধীরে ধীরে চোখ মেলে মানিপ্যান্টের পাতা। ওপাশে অশ্বত্থ গাছ। আড়াল ভেঙে ডেকে যায় কুহু। ঘুমচোখ এসে দাঁড়ায় ব্যালকনির রেলিং এ। ধীরে ধীরে জেগে ওঠা শহর, শব্দ, স্বরবর্ণ- ব্যঞ্জন; যুক্তাক্ষর। আর শুরু হল দিন। শুরু হল কবিতার খেলা-খেলি। ততক্ষণে 'অরুণ প্রাতের' রোদ ভর্তি হয়ে গেছে চায়ের কাপে। ছলাৎ শব্দ তুলে বেজে উঠছে কলিং বেল। কাজের মাসি। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে লুচি ভাজার গন্ধ।
"তুমি তো আকাশ আঁকছ। শোনা যাচ্ছে ডানার আওয়াজ।
আমি পাখি
কোথায় সাঁতার
১।
রোদ এসে পড়ে। ধীরে ধীরে চোখ মেলে মানিপ্যান্টের পাতা। ওপাশে অশ্বত্থ গাছ। আড়াল ভেঙে ডেকে যায় কুহু। ঘুমচোখ এসে দাঁড়ায় ব্যালকনির রেলিং এ। ধীরে ধীরে জেগে ওঠা শহর, শব্দ, স্বরবর্ণ- ব্যঞ্জন; যুক্তাক্ষর। আর শুরু হল দিন। শুরু হল কবিতার খেলা-খেলি। ততক্ষণে 'অরুণ প্রাতের' রোদ ভর্তি হয়ে গেছে চায়ের কাপে। ছলাৎ শব্দ তুলে বেজে উঠছে কলিং বেল। কাজের মাসি। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসছে লুচি ভাজার গন্ধ।
"তুমি তো আকাশ আঁকছ। শোনা যাচ্ছে ডানার আওয়াজ।
আমি পাখি
কোথায় সাঁতার
শেষ ঘোড়্সওয়ার
I
সঙ্গীতা বেশ টুকটাক, ছোটখাটো বেড়াতে যেতে ভালোবাসে। এই কলকাতার মধ্যেই এক-আধবেলার বেড়ানো। আমার আবার এদিকে এইরকমের বেড়ানোয় প্রচণ্ড অনীহা; আধখানাই তো ছুটির বিকেল--আলসেমো না করে,না ঘুমিয়ে, বেড়িয়ে নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না। তো প্রায়ই এই টাগ অফ ওয়ারে আমি জিতে যাই, কিম্বা সঙ্গীতা আমাকে জিতিয়ে দেয়।
কখনো কখনো ওরও অবশ্য জিততে ইচ্ছে করে। সেইরকম এক রোববার সন্ধ্যায় আমাদের ইকো পার্ক যেতে হল। ইকো পার্ক বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূর না, কিন্তু যাতায়াত একটু ঝঞ্ঝাটে।তেঘরিয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো করে হলদিরাম, সেখান
কখনো কখনো ওরও অবশ্য জিততে ইচ্ছে করে। সেইরকম এক রোববার সন্ধ্যায় আমাদের ইকো পার্ক যেতে হল। ইকো পার্ক বাড়ি থেকে তেমন বেশি দূর না, কিন্তু যাতায়াত একটু ঝঞ্ঝাটে।তেঘরিয়া মোড় পৌঁছে সেখান থেকে অটো করে হলদিরাম, সেখান
পায়ের তলায় সর্ষে_ মেটিয়াবুরুজ
স্বাতী রায়
দিল ক্যা করে যব কিসিসে কিসিকো প্যার হো গ্যয়া - হয়ত এই রকমই কিছু মনে হয়েছিল ওয়াজিদ আলি শাহের। মা জানাব-ই-আলিয়া ( বা মালিকা কিশওয়ার ) এর জাহাজ ভেসে গেল গঙ্গার বুকে। লক্ষ্য দূর লন্ডন, সেখানে রানী ভিক্টোরিয়ার কাছে সরাসরি এক রাজ্যচ্যুত সন্তানের মায়ের আবেদন জানাতে চললেন তিনি। সঙ্গে আরেক ছেলে সিকন্দর হাশমত। অথচ যার জন্য করা, সেই নবাবই রয়ে গেলেন কলকাতায়। সাল ১৮৫৬। আসলে নবাবটি একটু অন্য ধাতের - যুদ্ধ বিগ্রহ রাজ্য শাসনের থেকে তাঁর মন বেশি গান- নাচ- কবিতা-প্রেম এই সবে।
সে বছরই রাজ্য হাতছাড়া হবার প
সে বছরই রাজ্য হাতছাড়া হবার প
ফুটবল, মেসি ও আমিঃ একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন (পর্ব ৩)
Ranajay Banerjee
ফুটবল শিখতে চাওয়া সেই প্রথম নয় কিন্তু। পাড়ার মোড়ে ছিল সঞ্জুমামার দোকান, ম্যাগাজিন আর খবরের কাগজের। ক্লাস থ্রি কি ফোর থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তাম হি-ম্যান আর চাচা চৌধুরীর কমিকস আর পুজোর সময় শীর্ষেন্দু-মতি নন্দীর শারদীয় উপন্যাস। সেখানেই একদিন দেখলাম ফুটবলের ওপর বই, অমল দত্তের “ফুটবলের অ-আ-ক-খ”, খুব ভুল না হলে নামটা তাই ছিল। কিনে ফেলা হল। ছোট্ট বই, একদিনেই শেষ করা গেল। ঐ বয়েসে মাঠে যাওয়ার অনুমতি বিকেলে এক ঘণ্টার বেশি ছিল না। তাই যা পড়লাম, তা প্র্যাকটিস করার জায়গা ছিল আমাদের ছোট্ট ঘরটাই।
আরও পড়ুন...
আরও পড়ুন...
ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি
Kallol Lahiri
অনেক সকালে ঘুম থেকে আমাকে তুলে দিল আমার ভাইঝি শ্রী। কাকা দেখো “ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি”। একটু অবাক হই। জানিস তুই, কাকে বলে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি? ক্লাস এইটে পড়া শ্রী তার নাকের ডগায় চশমা এনে বলে “যে বৃষ্টিতে ইলিশ মাছের গন্ধ বুঝলে? যাও বাজারে যাও। আজ ইলিশ মাছ আনবে কিন্তু।” বাইরের আকাশ আমার ঘর থেকে এখন আর দেখা যায় না। চারপাশে উঁচু উঁচু এ্যাপার্টমেন্ট। তবু চারদিকের বাড়ির গা বেয়ে ঝুরো ঝুরো জলকণা। কবে কারা যেন গঙ্গায় মাছ ধরতে যেত? কবে যেন ঘনি শিখিয়েছিল বৈঠা টানা? মাছের জাল বুনতে বুনতে কত গল্প করতো দয়ারামের দাদ
দুখী মানুষ, খড়ের মানুষ
Prativa Sarker
দুটো গল্প। একটা আজকেই ব্যাংকে পাওয়া, আর একটা বইয়ে। একদম উল্টো গল্প, দিন আর রাতের মতো উলটো। তবু শেষে মিলেমিশে কি করে যেন একটাই গল্প।
ব্যাংকের কেজো আবহাওয়া চুরমার করে দিয়ে চিৎকার করছিল নীচের ছবির লোকটা। কখনো দাঁত দিয়ে নিজের হাত কামড়ে ধরছিল, নাহলে মেঝেয় ঢাঁই ঢাঁই করে কপাল ঠুকছিল, সে কি আওয়াজ! রক্তপাত হবার সমূহ সম্ভাবনা। এক কাস্টমার মহিলা হঠাৎ বলে উঠলেন, ও তো বাইরে গেছিল।
মানে কাউন্টার থেকে টাকা নিয়ে বাইরে গেছিল। এখন কম পড়লে ব্যাংক দেবে কেন!
লোকটি পাগলের মতো নিজের জুতো খুলে গাল
ব্যাংকের কেজো আবহাওয়া চুরমার করে দিয়ে চিৎকার করছিল নীচের ছবির লোকটা। কখনো দাঁত দিয়ে নিজের হাত কামড়ে ধরছিল, নাহলে মেঝেয় ঢাঁই ঢাঁই করে কপাল ঠুকছিল, সে কি আওয়াজ! রক্তপাত হবার সমূহ সম্ভাবনা। এক কাস্টমার মহিলা হঠাৎ বলে উঠলেন, ও তো বাইরে গেছিল।
মানে কাউন্টার থেকে টাকা নিয়ে বাইরে গেছিল। এখন কম পড়লে ব্যাংক দেবে কেন!
লোকটি পাগলের মতো নিজের জুতো খুলে গাল
পুরীযাত্রা
Prativa Sarker
কাল রথের মেলা। তাই নিয়ে আনন্দ করার বয়স পেরিয়ে গেছে এটা মনে করাবার দরকার নেই। তবু লিখছি কারণ আজকের সংবাদপত্রের একটি খবর।
আমি তাজ্জব কাগজে উকিলবাবুদের কান্ডকারখানা পড়ে। আলিপুর জাজেস কোর্ট ও পুলিশ কোর্টে প্রায় কোন উকিলবাবু নেই, দু চারজন জুনিয়র ছাড়া। কি ব্যাপার, না সবাই রথে পুরী গেছেন। গত বছর তাদের কোন সহকর্মী রথের রশি ধরে টানাটানি করবার পর নাকি হঠাৎ তার পশার চতুর্গুণ বেড়ে যায়। ফোকটে পয়সা করবার এই উপায় ভারী মন টেনেছে যুক্তি নির্ভর উকিলবাবুদের। তাই একবছরেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে তিনশ। দূর দূরা
আমি তাজ্জব কাগজে উকিলবাবুদের কান্ডকারখানা পড়ে। আলিপুর জাজেস কোর্ট ও পুলিশ কোর্টে প্রায় কোন উকিলবাবু নেই, দু চারজন জুনিয়র ছাড়া। কি ব্যাপার, না সবাই রথে পুরী গেছেন। গত বছর তাদের কোন সহকর্মী রথের রশি ধরে টানাটানি করবার পর নাকি হঠাৎ তার পশার চতুর্গুণ বেড়ে যায়। ফোকটে পয়সা করবার এই উপায় ভারী মন টেনেছে যুক্তি নির্ভর উকিলবাবুদের। তাই একবছরেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে তিনশ। দূর দূরা
আমার বন্ধু কালায়ন চাকমা
বিপ্লব রহমান
প্রথম যৌবন বেলায় রাঙামাটির নান্যাচরের মাওরুম গ্রামে গিয়েছি সমীরণ চাকমার বিয়েতে। সমীরণ দা পরে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন। সেই গ্রুপ ছেড়েছেন, সে-ও অনেকদিন আগের কথা।
এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম।
কয়েকটি গ্রামের নানা বয়সী নারী-পুরুষ এসেছে সেই বিয়ের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা থেকে নিমন্ত্রিত ত
এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম।
কয়েকটি গ্রামের নানা বয়সী নারী-পুরুষ এসেছে সেই বিয়ের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা থেকে নিমন্ত্রিত ত
শুভ জন্মদিন শহীদ আজাদ
Muhammad Sadequzzaman Sharif
আজকে এক বাঙ্গালি বীরের জন্মদিন। আজকে শহীদ আজাদের জন্মদিন। মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার কিংবদন্তীর ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, রুমির সহযোদ্ধা এবং অবশ্যই অবশ্যই মোসাম্মাৎ সাফিয়া বেগমের সন্তান। শহীদ আজাদ হচ্ছেন এমন একজন মানুষ যার কথা বলতে গেলে তার মার কথা বলতে হয় অবধারিত ভাবেই। মার কথা বলব তার আগে আজাদের কথা বলি।
শহীদ আজাদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই। নিউ ইস্কাটনে থাকতেন। বাবা তৎকালীন সময়ের বড় ব্যবসায়ী ইউনুস আহমেদ চৌধুরী। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর আজাদ কে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু ক
শহীদ আজাদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১১ জুলাই। নিউ ইস্কাটনে থাকতেন। বাবা তৎকালীন সময়ের বড় ব্যবসায়ী ইউনুস আহমেদ চৌধুরী। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর আজাদ কে নিয়ে আলাদা থাকা শুরু ক
রামায়ণ, ইন্টারনেট ও টেনিদা (পর্ব ২)
Abhijit Majumder
ঘুগনীটা শেষ করে শালপাতাটা আমার দিকে এগিয়ে টেনিদা বললে, "বলতো, রামায়ণ কাকে নিয়ে লেখা?"
আমি অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলাম শালপাতায় কোণায় এককুচি মাংস লেগে আছে। টেনিদা পাতাটা এগোতেই তাড়াতাড়ি করে কোণে লেগে থাকা মাংসের কুচিটা মুখে চালান করে দিয়ে বললুম, "কেন, রামচন্দ্রকে নিয়ে।"
টেনিদা একটা পিলে চমকানো হাসি হেসে বললে, "ফুংসুক ওয়াংড়ুর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে আমিও তাই ভাবতাম।"
ফুংসুক ওয়াংড়ুর নাম শুনে দেখলাম সবজান্তা ক্যাবলাও চোখ পিটপিট করে ঘুরে বসল।
-মতলব, বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফুং
আমি অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলাম শালপাতায় কোণায় এককুচি মাংস লেগে আছে। টেনিদা পাতাটা এগোতেই তাড়াতাড়ি করে কোণে লেগে থাকা মাংসের কুচিটা মুখে চালান করে দিয়ে বললুম, "কেন, রামচন্দ্রকে নিয়ে।"
টেনিদা একটা পিলে চমকানো হাসি হেসে বললে, "ফুংসুক ওয়াংড়ুর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে আমিও তাই ভাবতাম।"
ফুংসুক ওয়াংড়ুর নাম শুনে দেখলাম সবজান্তা ক্যাবলাও চোখ পিটপিট করে ঘুরে বসল।
-মতলব, বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফুং
এক উন্মাদ সময়ের স্মৃতিকথন
দ
দেশভাগ, বাটওয়ারা, পার্টিশান – উপমহাদেশের চুপচুপে রক্তভেজা এক অধ্যায় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা, নির্মম কাটাছেঁড়া এই সবই ভারতে শুরু হয় মোটামুটি ১৯৪৭ এর পঞ্চাশ বছর পূর্তির সময়, অর্থাৎ ১৯৯৭ থেকে। তার আগে স্থাবর অস্থাবর সবকিছু ছেড়ে কোনওমতে প্রাণ নিয়ে পালানো মানুষজনও নিজেদের একান্ত আলাপচারিতায় এর হিংস্র ক্ষতবিক্ষত অংশটুকু সযত্নে এড়িয়ে যেতেন বা কোনও রূপকের (আগুনে ঝড় বা ভূমিকম্প) সাহায্যে বর্ননা করতেন। হ্যাঁ খুশবন্ত সিঙের ‘আ ট্রেইন ট্যু পাকিস্তান’ খুবই ব্যতিক্রমী ছিল। খুব সম্ভবত আউটলোক পত্রিকার বিস্তারিত আলোচ
মার্কসীয় চোখে শিল্প
Sumit Roy
(আজকের এক জায়গার আলোচনার প্রত্যুত্তরে লেখা... এখানে সংরক্ষণ করে রাখলাম...)
মার্কসীয় দর্শন বস্তুবাদী শিল্পতত্ত্ব বস্তুবাদী ভাবধারায় প্রবর্তিত। মার্কসবাদ শিল্প বিষয়ক আলোচনায় সর্বপ্রকার ভাববাদী ধারণা বর্জন করে। এই মতাদর্শ অনুসারে শিহিক্কল্পের সৃজন, মূল্য তথা শিল্পের উপভোগ, প্রচলন সবই বস্তুবাদী নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঐতিহাসিক বস্তুবাদি দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইতিহাসের যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে সেখানে শিল্পের উৎপত্তিও চিত্রিত হয়েছে মানুষের বস্তুগত জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে। এঙ্গেল
মার্কসীয় দর্শন বস্তুবাদী শিল্পতত্ত্ব বস্তুবাদী ভাবধারায় প্রবর্তিত। মার্কসবাদ শিল্প বিষয়ক আলোচনায় সর্বপ্রকার ভাববাদী ধারণা বর্জন করে। এই মতাদর্শ অনুসারে শিহিক্কল্পের সৃজন, মূল্য তথা শিল্পের উপভোগ, প্রচলন সবই বস্তুবাদী নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঐতিহাসিক বস্তুবাদি দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইতিহাসের যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে সেখানে শিল্পের উৎপত্তিও চিত্রিত হয়েছে মানুষের বস্তুগত জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে। এঙ্গেল
ফুটবল, মেসি ও আমিঃ একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন (পর্ব ২)
Ranajay Banerjee
বছর তিন বাদে সুকিয়া স্ট্রিটের পাড়ায়, বাড়ির ঠিক সামনের মাঠে চুপচাপ বসে দেখতে হত বড়দের খেলা, নিজে খেলার উপায় ছিল কম। বিকল্প হিসেবে ফুটবলের জায়গা হিসেবে নেওয়া হল পাড়ার বন্ধু বাজুর বাড়ির সরু গলি, সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট চওড়া, যেখানে আমি আর বাজুই শুধু দুটো দল, বল ছিল পয়সা থাকলে রাবার ডিউস ক্রিকেট বল আর না থাকলে সুতো বাঁধা প্লাস্টিকের ড্যালা।
একে অন্যকে ঐ সরু জায়গার মধ্যে টপকে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরের ভার পরিবর্তন, ভারসাম্য আর সব মিলিয়ে সামান্য জায়গায় ড্রিবলিং স্কিল তৈরির রান্নাঘর ছিল সেই
অগ্নিগর্ভ
শুভদীপ গঙ্গোপাধ্যায়
হাইনৎস লাইপম্যানের বিখ্যাত উপন্যাস অগ্নিগর্ভর অন্যতম প্রধান চরিত্র অটো আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা করেছিল কারন সব কিছু মেনে নেওয়া উদাসীন দুনিয়াটা কমিউনিস্ট অটোর কাছে অসহ্য ঠেকছিল, খুনীদের রক্তাক্ত হাতে হাত মিলিয়ে আপোষ করে বেঁচে থাকা তার কাছে অসহ্য লাগছিল। ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বিদেরমানের লাশ পাওয়া যায় রেল লাইনের ধারে, নাৎসি বিরোধী অভিনেতা হার্বার্টকে ধরিয়ে দেয় তার প্রেমিকাই, আর একদা সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা ম্যাক্স, লোভে অথবা ভয়ে কিংবা হয়তো দুটোর জন্যই যোগ দেয় নাৎসিদের সাথেই। কিন্তু তাতেও সব শেষ হয়ে
অগ্নিগর্ভ
শুভদীপ গঙ্গোপাধ্যায়
হাইনৎস লাইপম্যানের বিখ্যাত উপন্যাস অগ্নিগর্ভর অন্যতম প্রধান চরিত্র অটো আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা করেছিল কারন সব কিছু মেনে নেওয়া উদাসীন দুনিয়াটা কমিউনিস্ট অটোর কাছে অসহ্য ঠেকছিল, খুনীদের রক্তাক্ত হাতে হাত মিলিয়ে আপোষ করে বেঁচে থাকা তার কাছে অসহ্য লাগছিল। ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বিদেরমানের লাশ পাওয়া যায় রেল লাইনের ধারে, নাৎসি বিরোধী অভিনেতা হার্বার্টকে ধরিয়ে দেয় তার প্রেমিকাই, আর একদা সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা ম্যাক্স, লোভে অথবা ভয়ে কিংবা হয়তো দুটোর জন্যই যোগ দেয় নাৎসিদের সাথেই। কিন্তু তাতেও সব শেষ হয়ে
প্রাক-মুসলমান যুগে বাংলার খণ্ডিতাবস্থা ও মুসলমান যুগে বাংলার একীভূতকরণ
Sumit Roy
(বাংলায় কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্য সর্বপ্রথম মুসলমান শাসকগণই প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ তৈরি, বাংলা ভাষার বিকাশ সাধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এর পূর্বে ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাই ছিল বাংলার একটি বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সম্প্রতি এই ওয়েবসাইটের একটি আলোচনা দেখে মনে হল এই বিষয়ে আলোচনা করার অবকাশ রয়েছে। তাই কেন বাংলার প্রাক-মুসলমান যুগ "ওরকম" ছিল, আর কেন মুসলমান যুগে বাংলার রাজনৈতিক অবস্থা "এরকম" হল সেটা নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করছি...)
প্
প্
"একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই"
Muhammad Sadequzzaman Sharif
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। সহজ ও সোজা একটা কথা। কিন্তু এই সহজ ও সোজা কথাটার মাঝে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে আছে জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় গৌরব কে অবহেলায় ফেলে রাখার লজ্জা, আছে জাতি হিসেবে আমরা কতখানি নির্বোধ তার পরিচয়, এর মধ্যেই আছে রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা।
বিশ্বের বড় বড় গণহত্যার থেকে কোন অংশে কম হয়নি একাত্তর সালে এই বাংলায়। নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেলা।এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষ কে মেরে ফেলা, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই আর। সংখ্যাট
বিশ্বের বড় বড় গণহত্যার থেকে কোন অংশে কম হয়নি একাত্তর সালে এই বাংলায়। নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেলা।এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষ কে মেরে ফেলা, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই আর। সংখ্যাট
ফুটবল, মেসি ও আমিঃ একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন (পর্ব ১)
Ranajay Banerjee
সময়টা ছিল শরৎকাল, ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ আর উজ্জ্বল রোদের দিন, কিন্তু ক্লাস এইটের প্যাংলাপানা মোটা চশমা পরা ছেলেটা তার ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে সেসব কিছুই টের পাচ্ছিল না। টিফিন টাইম শেষ হয়ে আসছিল আর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সে ভাবছিল কোন পথে শেষ বেঞ্চে তার ব্যাগের দিকে গেলে, কোনো চাঁটি বা ঠ্যালা না খেয়ে পৌঁছনো যাবে। হেয়ার স্কুল থেকে এই হিন্দু স্কুলে আসার পর দু’বছর কেটে গেছে, অথচ তার ওপর চালিয়ে যাওয়া র্যাগিং থামেনি। সে ভাবতে পারে প্রচুর, কথা বলতে পারে কম আর মারতে পারে ঘোড়ার ডিম। প্রতিক্রিয়াহীন এই ক্রমাগত অত্যা
ওই মালতীলতা দোলে
Samim Ahmed
ওই মালতীলতা দোলে
শামিম আহমেদ
পিয়ালতরুর কোলে
১
কারবালার ময়দানে বনবন করে লাঠি ঘোরাচ্ছিল নুর আলম কলবলি। গায়ে তার ফুলতোলা স্যান্ডো গেঞ্জি আর লাল রঙের হাফ প্যান্ট। গেঞ্জিতে সবুজ সুতো দিয়ে আঁকা পাঞ্জাতন। পাঞ্জাতনের প্রসঙ্গ এলেই দু চোখ জলে ভিজে যায় নুর আলম কলবলির। নবিজি, হজরত আলি, নবিকন্যা মা ফতিমা, আলি-ফতিমার দুই ছেলে—হাসান আর হোসেন হলেন পাঞ্জাতন। নবিজিকে গোস্তের মধ্যে বিষ মাখিয়ে খাইয়েছিল কোনও এক প্রৌঢ়া নারী, নমাজ পড়া অবস্থায় বিষ মাখানো তরবারি নিয়ে আলিকে হত্যা করে এক খারিজি,
শামিম আহমেদ
পিয়ালতরুর কোলে
১
কারবালার ময়দানে বনবন করে লাঠি ঘোরাচ্ছিল নুর আলম কলবলি। গায়ে তার ফুলতোলা স্যান্ডো গেঞ্জি আর লাল রঙের হাফ প্যান্ট। গেঞ্জিতে সবুজ সুতো দিয়ে আঁকা পাঞ্জাতন। পাঞ্জাতনের প্রসঙ্গ এলেই দু চোখ জলে ভিজে যায় নুর আলম কলবলির। নবিজি, হজরত আলি, নবিকন্যা মা ফতিমা, আলি-ফতিমার দুই ছেলে—হাসান আর হোসেন হলেন পাঞ্জাতন। নবিজিকে গোস্তের মধ্যে বিষ মাখিয়ে খাইয়েছিল কোনও এক প্রৌঢ়া নারী, নমাজ পড়া অবস্থায় বিষ মাখানো তরবারি নিয়ে আলিকে হত্যা করে এক খারিজি,
ফ্রেইরি চর্চা
Salil Biswas
(‘নিপীড়িতের শিক্ষাবিজ্ঞান’ বইটির ভূমিকা লিখেছিলাম। সেই ভূমিকার নতুন রূপ এই লেখা। আমার ব্যাখ্যা যে সঠিক হবেই, তার মানে নেই। অন্য কেউ অন্য ভাবে ব্যাখ্যা দিতেই পারেন। আলোচনা কথোপকথন যত হবে, ততই ভালো। বিভিন্ন শব্দের বিস্তারিত আলোচনা আগামী দিনে করার ইচ্ছে রইল। এই লেখাটি এই মাসেই 'দুর্বার ভাবনা'-তে ছাপা হবে।
আমার অনুনয়, আসুন তর্ক জুড়ি।)
কোথায় যাবো আমরা আজকের এই নারকীয় পরিস্থিতিতে? সারা দেশের প্রতিটি “সূচ্যগ্র মেদিনী”তেই জারি রয়েছে নরক, রয়েছে শিশুঘাতী নারীঘাতী বিভৎসা। ধিক্কার হানতে পারেন এ
আমার অনুনয়, আসুন তর্ক জুড়ি।)
কোথায় যাবো আমরা আজকের এই নারকীয় পরিস্থিতিতে? সারা দেশের প্রতিটি “সূচ্যগ্র মেদিনী”তেই জারি রয়েছে নরক, রয়েছে শিশুঘাতী নারীঘাতী বিভৎসা। ধিক্কার হানতে পারেন এ
মাল্টিটাস্কিং-এ পুরুষের চেয়ে নারীরাই এগিয়ে, কিন্তু কেন?
Sumit Roy
কখনও একসাথে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করে দেখেছেন? কেমন লাগে এভাবে কয়েকটা কাজ একসাথে করতে? গোলমাল লাগে? নাকি লাগে না?
একসাথে কয়েকটা কাজ করাকে বলা হয় "মাল্টিটাস্কিং", আর কাজ করতে গিয়ে যে গোলমাল লাগে, গবেষকগণ তাকে বলছেন "ইন্টারফিয়ারেন্স"। কিন্তু গবেষকগণ হঠাৎ করে এই ব্যাপারগুলোর এরকম নামকরণ করতে গেলেন কেন? এটা নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কী? হুম হয়েছে বৈ কি... গত বছরেই এটা নিয়ে একটা পেপার দেখেছিলাম। সেদিন একজনের সাথে কথা হল, বললেন তিনি নাকি সবসময় মাল্টিটাস্কিং করেন, এটা নাকি তার বদ অভ্যাস। আমি বললাম,
একসাথে কয়েকটা কাজ করাকে বলা হয় "মাল্টিটাস্কিং", আর কাজ করতে গিয়ে যে গোলমাল লাগে, গবেষকগণ তাকে বলছেন "ইন্টারফিয়ারেন্স"। কিন্তু গবেষকগণ হঠাৎ করে এই ব্যাপারগুলোর এরকম নামকরণ করতে গেলেন কেন? এটা নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কী? হুম হয়েছে বৈ কি... গত বছরেই এটা নিয়ে একটা পেপার দেখেছিলাম। সেদিন একজনের সাথে কথা হল, বললেন তিনি নাকি সবসময় মাল্টিটাস্কিং করেন, এটা নাকি তার বদ অভ্যাস। আমি বললাম,
রামায়ণ, ইন্টারনেট ও টেনিদা
Abhijit Majumder
রামায়ন ও ইন্টারনেট (পর্ব ১)
টেনিদা একটু গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বলল, বুঝলি সেকালেও ফেসবুক, ইন্টারনেট ছিল।
ক্যাবলা চাপাস্বরে বলল, ওই শুরু হল ঢপের চপ।
টেনিদা হুংকার ছেড়ে বলল, "এ্যাই ক্যাবলা কি বললি রা?"
ক্যাবলা তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বলল, "আমি না, প্যালা বলছিল, আসার সময় দেখে এসেছে কালিকায় চপ ভাজছে। তাই বলছিলাম, একটু চপ টপ হলে এই বৃষ্টিতে ভালো হত।"
আমি সবে প্রতিবাদ করতে যাব, এমন সময় টেনিদা উদাস গলায় বলল, "নাহ্ চপ আর খাবো না। বরং নগেনের দোকান থেকে একটু পকোড়া নি
টেনিদা একটু গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বলল, বুঝলি সেকালেও ফেসবুক, ইন্টারনেট ছিল।
ক্যাবলা চাপাস্বরে বলল, ওই শুরু হল ঢপের চপ।
টেনিদা হুংকার ছেড়ে বলল, "এ্যাই ক্যাবলা কি বললি রা?"
ক্যাবলা তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বলল, "আমি না, প্যালা বলছিল, আসার সময় দেখে এসেছে কালিকায় চপ ভাজছে। তাই বলছিলাম, একটু চপ টপ হলে এই বৃষ্টিতে ভালো হত।"
আমি সবে প্রতিবাদ করতে যাব, এমন সময় টেনিদা উদাস গলায় বলল, "নাহ্ চপ আর খাবো না। বরং নগেনের দোকান থেকে একটু পকোড়া নি
রাজনৈতিক প্যারডি
Abhijit Majumder
কয়েকটি পলিটিক্যাল প্যারডি
1.
কখনো বদল আসে, সময় মুচকি হাসে,
চারিদিকে সব কিছু সাজানো ঘটনা,
দেখব না ভুলগুলো, কানেতে অহং তুলো,
শুনব না আমি কোনও সম-আলোচনা।
পার্ক স্ট্রীট-কামদুনি, গুন্ডা-মাফিয়া-খুনি,
ছাড়া পায়, ধরা পড়ে শিলা-মৌসুমি,
চোপ! চোপ! চিৎকার, বেয়াদব কোথাকার,
প্রশ্ন করলে জানি মাওবাদী তুমি।
সন্ধ্যে নিবিড় হতে, বারোভুতে লুটেপুটে
ছিঁড়ে খাক, তা হলেও মুখ খোলা মানা,
পুলিশ আজ্ঞাবহ, জীবন যে দুঃসহ,
ফেসবুকে পোস্টালে হবে জরিমানা,
চারিদিক
1.
কখনো বদল আসে, সময় মুচকি হাসে,
চারিদিকে সব কিছু সাজানো ঘটনা,
দেখব না ভুলগুলো, কানেতে অহং তুলো,
শুনব না আমি কোনও সম-আলোচনা।
পার্ক স্ট্রীট-কামদুনি, গুন্ডা-মাফিয়া-খুনি,
ছাড়া পায়, ধরা পড়ে শিলা-মৌসুমি,
চোপ! চোপ! চিৎকার, বেয়াদব কোথাকার,
প্রশ্ন করলে জানি মাওবাদী তুমি।
সন্ধ্যে নিবিড় হতে, বারোভুতে লুটেপুটে
ছিঁড়ে খাক, তা হলেও মুখ খোলা মানা,
পুলিশ আজ্ঞাবহ, জীবন যে দুঃসহ,
ফেসবুকে পোস্টালে হবে জরিমানা,
চারিদিক
সাম্প্রদায়িক আমি!
Muhammad Sadequzzaman Sharif
ছোটবেলা থেকেই হিন্দু বাড়ির অন্দরমহলে সহজেই ঢুকে যেতাম। বেশি ছোট বেলায় কেউ কিছু মনে করছে কিনা তা বুঝতেই পারতাম না। একটু বড় হলে বুঝতে পারি আমার হুট হাট করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাওয়াতে হয়ত উনাদের সমস্যা হচ্ছে। ভুলে খেয়ে ফেলতাম যা মনে হত তা। আবার আরেকদিন বেমক্কা গিয়ে হাজির হতাম। প্রশ্রয় ছিল বেশ ভাল ভাবেই, আর তাই আমার যা ইচ্ছা তা বা যখন ইচ্ছা তখন হুট করে কারো বাড়িতে হাজির হতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি।
আমার বাড়ির অগ্রজদের দেখতাম হিন্দুদের মত করেই মুরুব্বীদের মাসি, পিসি বলে ডাকতে। আমি সেসব ঝেড়ে ফে
আমার বাড়ির অগ্রজদের দেখতাম হিন্দুদের মত করেই মুরুব্বীদের মাসি, পিসি বলে ডাকতে। আমি সেসব ঝেড়ে ফে
'পত্থলগড়ি'
Jhuma Samadder
'পত্থলগড়ি'
ঝুমা সমাদ্দার।
রাঁচী থেকে তার পড়শী জেলা খুঁটির দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।
এ সব পাহাড়-জঙ্গুলে জায়গায় গ্রামের সাধারণ আদিবাসী মানুষ যেমন হয়ে থাকেন, এঁরাও তার ব্যতিক্রম নন, সহজ, সরল, নির্বিরোধী।
'পত্থলগড়ি' এখানকার বহু প্রাচীন প্রথা । কারও মৃত্যু কিম্বা গ্রামের সীমানা নির্দেশ অথবা বিশেষ কোনো ঘটনাকে মনে রাখার জন্য একটি বড় পাথরে বক্তব্য খোদাই করে বিশেষ বিশেষ স্থানে খাড়া করে রেখে দেওয়া হয়।
মাস কয়েক ধরে
ঝুমা সমাদ্দার।
রাঁচী থেকে তার পড়শী জেলা খুঁটির দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।
এ সব পাহাড়-জঙ্গুলে জায়গায় গ্রামের সাধারণ আদিবাসী মানুষ যেমন হয়ে থাকেন, এঁরাও তার ব্যতিক্রম নন, সহজ, সরল, নির্বিরোধী।
'পত্থলগড়ি' এখানকার বহু প্রাচীন প্রথা । কারও মৃত্যু কিম্বা গ্রামের সীমানা নির্দেশ অথবা বিশেষ কোনো ঘটনাকে মনে রাখার জন্য একটি বড় পাথরে বক্তব্য খোদাই করে বিশেষ বিশেষ স্থানে খাড়া করে রেখে দেওয়া হয়।
মাস কয়েক ধরে
আমের আমি আমের তুমি
Kallol Lahiri
“এমন সময় তাহার দিদি দুর্গা উঠানের কাঁঠাল তলা হইতে ডাকিল-অপু-ও অপু। সে এতক্ষণ বাড়ি ছিল না, কোথা হইতে এইমাত্র আসিল। তাহার স্বর একটু সতর্কতামিশ্রিত। মানুষের গলার আওয়াজ পাইয়া অপু কলের পতুলের মতো লক্ষ্মীর চুপড়ির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকাইয়া ফেলিল। পরে বলিল-কি রে দিদি? দুর্গা হাত নাড়াইয়া ডাকিল-আয় এদিকে-শোন-। দুর্গার বয়স দশ এগারো বৎসর হইল। গড়ন পাতলা পাতলা, রং অপুর মতো অতটা ফরসা নয়, চাপা। হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড়, মাথার চুল রুক্ষ-বাতাসে উড়িতেছে, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মতো চোখ গুলি বেশ ডাগর ডাগর। অপ