![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
আমি নস্টালজিয়া ফিরি করি- ২
রুকু
আমি দেখতে পাচ্ছি আমাকে বেঁধে রেখেছ তুমি
মায়া নামক মোহিনী বিষে...
অনেক দিন পরে আবার দেখা। সেই পরিচিত মুখের ফ্রেস্কো। তখন কলেজ স্ট্রিট মোড়ে সন্ধ্যে নামছে। আমি ছিলাম রাস্তার এপারে। সে ওপারে মোহিনিমোহনের সামনে। জিন্স টিশার্টের ওপর আবার নীল হাফ জ্যাকেট। দেখেই এমন ভাবে হেসে হাত নাড়লো..
- "এতো জ্বর নিয়ে কেউ বেরোয়? আমি জ্বর হলে থ্রিলার পড়ি শুয়ে, আর ব্ল্যাক কফি খাই।"
-"বয়সে তুই আমার থেকে অনেক ছোট তাই এসব করিস। বয়স বাড়লে জ্বর অন্য ভাবে সেলিব্রেট করতে হয় প্রিয় বালিকা। আসলে সবাই জানে না কেমন করে জ্বরে পড়তে হয়। যেমন সবাই প্রেমে পড়তে জানে না।"
কলকাতার রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে উত্তপ্ত শরীর। হাওয়া ফিসফিসিয়ে বলছে, এই তোমার বেশি বয়সের প্রেমিকা... যখন তুমি একা, যখন কেউই থাকে না তখন, ঠিক তখনই এ আসে। জড়িয়ে থাকে তোমাকে। গালে নাক ঘষে দেয়।
-"ভালোবাসা তো নিভৃত আদর প্রিয় পুরুষ। প্রিয় বন্ধুকেও যা বলতে নেই। আসলে একা না হলে কারোর কাছে জ্বর আসে না।ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় ঠোঁটে। বুঝতে পারি জ্বিভে ছড়িয়ে পড়ছে জ্বরের স্বাদ। অন্য কোনোকিছুর স্বাদ তাই পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁধে এলিয়ে দিই মাথা।"
-"এই কলকাতার ভেতরে যে কতগুলো কলকাতা আছে, তেমনই এক অজানা কলকাতা হলো জ্বরের শহর। জ্বরে না পড়লে এই শহরে প্রবেশ নিষেধ।"
-"কীভাবে যাওয়া যায় সেখানে? কোনরাস্তায়... আমায় নিয়ে যাবে তুমি? আমি তোমাকে হারিয়ে যাওয়া শব্দগুলো দিয়ে দেব। যেগুলো খুঁজে পাও না অনেক দিন... ক্লান্ত হয়ে পড়েছো.."
-" আয় তোকে নিয়ে যাচ্ছি আমিই। জ্বরের কলকাতা দেখতে গেলে তোর প্রথমে খুব জ্বর হতে হবে। তারপর হাঁটতে হবে, মানুষের সাথে, এক পা দু পা ফেলে.."
-"হাত ধরে কিন্তু.."
-"পাগলি"
হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার সব সোডিয়াম ভেপার ফিকে হয়ে আসবে। মাথা ঘুরে যাবে... অনুভূত হবে পা আর মাটিতে নেই। শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নীলচে কুয়াশা.... কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া ছুঁয়ে যাবে কানের লতি..
এভাবেই সময় মরে যায়। এভাবেই থেমে যায় দিন রাতের পরিবর্তন।
আর কলকাতায় তখন ডিসেম্বর মাস। কলকাতায় তখন সদ্য লাল টুকটুকে সোয়েটার, এইট বি বাস স্ট্যান্ডে লাজুক চোখের পুরুষটির সাথে দেখা হয়ে যায় তরুণীর।
তারপর এই শহরে কতবার ঈশ্বর এইভাবে সময় থামিয়ে দিয়েছে.. অবিশ্বাসী বালিকা, ভালোবাসা বোঝোনা? ভালোবাসা আসলে মৃত্যু মুহূর্তকে টেনে অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া..
সে কখনোই বেঁধে রাখেনা, তার আবার অভিমান!
বরং আলো নিভিয়ে দাও আলতো করে, ঠোঁট কামড়ানো সুখে।
ঠিক যে সময়ে আলো নিভে আসে, হাওয়া কমে যায় একদম, সেই পরম মুহূর্ত যেন ক্লাসিক্যাল মিউজিক হয়ে ওঠে।
সমে ফিরতে চেয়ে সে হাতড়াচ্ছে দুকূল।
অথচ এই শহর থেকে সম হারিয়ে গেছে। সে অভিমানী, সন্দেহ প্রবণ...ভীতু। সম না ফিরলে তাল থাকে না আর।
মুখরা নীরবে কষ্ট পায়, অপেক্ষায়।
সম ভাবে, আমি ফিরলে যদি মুখরা না ফেরে?
এই ভেবে ভেবে সম আর মুখরার কোনোদিন দেখা হলো না। হয় না। হবে না।
এই জ্বরের শহরে, এই অসহ্য সময়ে, এই চঞ্চল মৃত্যুতে, গানের পর গান উড়ে যায়.. সম মুখরার দেখা কোনোদিনই হয় না..
হয় না.. হয় না বলেই কবি অবিশ্বাসী.. হয় না হয় না বলেই বালিকা গলায় মুখ গুঁজে আদর খুঁজে নিয়েই সরে যায়..
আর একটা করে নতুন কবিতা লেখা হয়।
মায়া নামক মোহিনী বিষে...
অনেক দিন পরে আবার দেখা। সেই পরিচিত মুখের ফ্রেস্কো। তখন কলেজ স্ট্রিট মোড়ে সন্ধ্যে নামছে। আমি ছিলাম রাস্তার এপারে। সে ওপারে মোহিনিমোহনের সামনে। জিন্স টিশার্টের ওপর আবার নীল হাফ জ্যাকেট। দেখেই এমন ভাবে হেসে হাত নাড়লো..
- "এতো জ্বর নিয়ে কেউ বেরোয়? আমি জ্বর হলে থ্রিলার পড়ি শুয়ে, আর ব্ল্যাক কফি খাই।"
-"বয়সে তুই আমার থেকে অনেক ছোট তাই এসব করিস। বয়স বাড়লে জ্বর অন্য ভাবে সেলিব্রেট করতে হয় প্রিয় বালিকা। আসলে সবাই জানে না কেমন করে জ্বরে পড়তে হয়। যেমন সবাই প্রেমে পড়তে জানে না।"
কলকাতার রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে উত্তপ্ত শরীর। হাওয়া ফিসফিসিয়ে বলছে, এই তোমার বেশি বয়সের প্রেমিকা... যখন তুমি একা, যখন কেউই থাকে না তখন, ঠিক তখনই এ আসে। জড়িয়ে থাকে তোমাকে। গালে নাক ঘষে দেয়।
-"ভালোবাসা তো নিভৃত আদর প্রিয় পুরুষ। প্রিয় বন্ধুকেও যা বলতে নেই। আসলে একা না হলে কারোর কাছে জ্বর আসে না।ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় ঠোঁটে। বুঝতে পারি জ্বিভে ছড়িয়ে পড়ছে জ্বরের স্বাদ। অন্য কোনোকিছুর স্বাদ তাই পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁধে এলিয়ে দিই মাথা।"
-"এই কলকাতার ভেতরে যে কতগুলো কলকাতা আছে, তেমনই এক অজানা কলকাতা হলো জ্বরের শহর। জ্বরে না পড়লে এই শহরে প্রবেশ নিষেধ।"
-"কীভাবে যাওয়া যায় সেখানে? কোনরাস্তায়... আমায় নিয়ে যাবে তুমি? আমি তোমাকে হারিয়ে যাওয়া শব্দগুলো দিয়ে দেব। যেগুলো খুঁজে পাও না অনেক দিন... ক্লান্ত হয়ে পড়েছো.."
-" আয় তোকে নিয়ে যাচ্ছি আমিই। জ্বরের কলকাতা দেখতে গেলে তোর প্রথমে খুব জ্বর হতে হবে। তারপর হাঁটতে হবে, মানুষের সাথে, এক পা দু পা ফেলে.."
-"হাত ধরে কিন্তু.."
-"পাগলি"
হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার সব সোডিয়াম ভেপার ফিকে হয়ে আসবে। মাথা ঘুরে যাবে... অনুভূত হবে পা আর মাটিতে নেই। শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নীলচে কুয়াশা.... কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া ছুঁয়ে যাবে কানের লতি..
এভাবেই সময় মরে যায়। এভাবেই থেমে যায় দিন রাতের পরিবর্তন।
আর কলকাতায় তখন ডিসেম্বর মাস। কলকাতায় তখন সদ্য লাল টুকটুকে সোয়েটার, এইট বি বাস স্ট্যান্ডে লাজুক চোখের পুরুষটির সাথে দেখা হয়ে যায় তরুণীর।
তারপর এই শহরে কতবার ঈশ্বর এইভাবে সময় থামিয়ে দিয়েছে.. অবিশ্বাসী বালিকা, ভালোবাসা বোঝোনা? ভালোবাসা আসলে মৃত্যু মুহূর্তকে টেনে অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া..
সে কখনোই বেঁধে রাখেনা, তার আবার অভিমান!
বরং আলো নিভিয়ে দাও আলতো করে, ঠোঁট কামড়ানো সুখে।
ঠিক যে সময়ে আলো নিভে আসে, হাওয়া কমে যায় একদম, সেই পরম মুহূর্ত যেন ক্লাসিক্যাল মিউজিক হয়ে ওঠে।
সমে ফিরতে চেয়ে সে হাতড়াচ্ছে দুকূল।
অথচ এই শহর থেকে সম হারিয়ে গেছে। সে অভিমানী, সন্দেহ প্রবণ...ভীতু। সম না ফিরলে তাল থাকে না আর।
মুখরা নীরবে কষ্ট পায়, অপেক্ষায়।
সম ভাবে, আমি ফিরলে যদি মুখরা না ফেরে?
এই ভেবে ভেবে সম আর মুখরার কোনোদিন দেখা হলো না। হয় না। হবে না।
এই জ্বরের শহরে, এই অসহ্য সময়ে, এই চঞ্চল মৃত্যুতে, গানের পর গান উড়ে যায়.. সম মুখরার দেখা কোনোদিনই হয় না..
হয় না.. হয় না বলেই কবি অবিশ্বাসী.. হয় না হয় না বলেই বালিকা গলায় মুখ গুঁজে আদর খুঁজে নিয়েই সরে যায়..
আর একটা করে নতুন কবিতা লেখা হয়।
293
বার পঠিত (সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে)
শেয়ার করুন |
আপনার মতামত দেবার জন্য নিচের যেকোনো একটি লিংকে ক্লিক করুন