![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
এমন কত হয়
Srijita Sanyal Sur
এমন কত হয়
__
তিন নম্বর ঘুঁষিটা মারার আগে সব রাগটা মনে মনে এক করে আনতে হল। নইলে এত জোরে মারতে পারত না। ছিটকে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা একটা আওয়াজ করে উঠেছিল। মাথার মধ্যে হাজার একটা রাগ গুটিশুটি মেরে বসে আছে তার। বাবা অনুরাগের ছোঁয়া দেখে নাম রেখেছিল, তাপস। নিজের নামটা মনে আসতেই রাগটা গনগন করে ওঠে মাথায় আবার। এই হতচ্ছাড়া গুন্ডাগুলো তার থেকে অনেক বেশি তৈরি হয়ে এসেছে। শুধু নেহাত বোনটার মুখ মনে করে সে লড়ে যাচ্ছে। আজ বাড়ি ফিরে ওটাকেও পালিশ করতে হবে। এসব আপদ জোটে কি করে কে জানে।
পাড়ায় ঢুকে বেশ কদিন ধরে ঘুরছে এই মালকটা। আজ সান্তুদা ধরে তাকে বলল, বুল্টি কিসব জোটাচ্ছে রে। একটু সামলা। তখন থেকেই মাথা আগ্নেয়গিরি। মোড়ের মাথায় মাল চারটেকে বাইকে বসে থাকতে দেখে নিজেই বাওয়াল দিয়েছে সে। এবার সামলাতেও তাকেই হচ্ছে। একদম পেছনে থাকা নীলজামা পরা ছেলেটা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। সামনের তিনটের হেক্কড়বাজি সামলাতে সামলাতে সে ভাবছিল, ওর সাথে আপসে আসা যায় কিনা। বাওয়াল ভাল্লাগে না তার।
হঠাত নীলজামার হাতে একটা ছোটো রড দেখে মাথাটা বলে উঠল নিজেকে বাঁচা। রড কেড়ে নেওয়ার জায়গায় নেই সে। তার থেকে রড ধরা হাতটার ব্যবস্থা করাই একএকমাত্র পথ। সপাটে হাত চালানোর পরে দেখল ছেলেটা হাত চেপে বসে পরছে। ভাঙতে পেরেছে নিশ্চিত হয়ে সে একটু থমকাল। বাকি তিনটে ওই ছেলেটাকে নিয়ে ব্যস্ত। আস্তে করে সামনের পাঁচিলটা ডিঙিয়ে পাত্রদের মাঠ পেরিয়ে বাড়ির দিকে চলল, কলোনীবাগানের তাপস পাল।
__
তিন নম্বর ঘুঁষিটা মারার আগে সব রাগটা মনে মনে এক করে আনতে হল। নইলে এত জোরে মারতে পারত না। ছিটকে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা একটা আওয়াজ করে উঠেছিল। মাথার মধ্যে হাজার একটা রাগ গুটিশুটি মেরে বসে আছে তার। বাবা অনুরাগের ছোঁয়া দেখে নাম রেখেছিল, তাপস। নিজের নামটা মনে আসতেই রাগটা গনগন করে ওঠে মাথায় আবার। এই হতচ্ছাড়া গুন্ডাগুলো তার থেকে অনেক বেশি তৈরি হয়ে এসেছে। শুধু নেহাত বোনটার মুখ মনে করে সে লড়ে যাচ্ছে। আজ বাড়ি ফিরে ওটাকেও পালিশ করতে হবে। এসব আপদ জোটে কি করে কে জানে।
পাড়ায় ঢুকে বেশ কদিন ধরে ঘুরছে এই মালকটা। আজ সান্তুদা ধরে তাকে বলল, বুল্টি কিসব জোটাচ্ছে রে। একটু সামলা। তখন থেকেই মাথা আগ্নেয়গিরি। মোড়ের মাথায় মাল চারটেকে বাইকে বসে থাকতে দেখে নিজেই বাওয়াল দিয়েছে সে। এবার সামলাতেও তাকেই হচ্ছে। একদম পেছনে থাকা নীলজামা পরা ছেলেটা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। সামনের তিনটের হেক্কড়বাজি সামলাতে সামলাতে সে ভাবছিল, ওর সাথে আপসে আসা যায় কিনা। বাওয়াল ভাল্লাগে না তার।
হঠাত নীলজামার হাতে একটা ছোটো রড দেখে মাথাটা বলে উঠল নিজেকে বাঁচা। রড কেড়ে নেওয়ার জায়গায় নেই সে। তার থেকে রড ধরা হাতটার ব্যবস্থা করাই একএকমাত্র পথ। সপাটে হাত চালানোর পরে দেখল ছেলেটা হাত চেপে বসে পরছে। ভাঙতে পেরেছে নিশ্চিত হয়ে সে একটু থমকাল। বাকি তিনটে ওই ছেলেটাকে নিয়ে ব্যস্ত। আস্তে করে সামনের পাঁচিলটা ডিঙিয়ে পাত্রদের মাঠ পেরিয়ে বাড়ির দিকে চলল, কলোনীবাগানের তাপস পাল।
362
বার পঠিত (সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে)
শেয়ার করুন |
আপনার মতামত দেবার জন্য নিচের যেকোনো একটি লিংকে ক্লিক করুন