![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
শুভাশিষ দেবের মৃত্যু
Muradul islam
শুভাশিষ দেব তার বাবার মৃত্যুর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর এক বিকেলে পিতার মৃত্যুশয্যায় বলে যাওয়া কথাটির অর্থ বুঝতে পারলেন। তিনি চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে একটি হাসির গল্পের বই পড়ছিলেন এবং এই বই পড়তে পড়তেই হঠাৎ তার কেন যেন পিতার বলে যাওয়া শেষ কথাটি মনে পড়ল। আর সাথে সাথেই প্রায় বিদ্যুৎ চমকের মত তার মনে চমকে উঠল এই কথাটির মর্মার্থ। আশ্চর্য! তিনি এতদিন কথাটি এভাবে ভেবে দেখেন নি। শুভাশিষ দেবের শরীর ঘামতে শুরু করল। অসহ্য ভয় এবং অতি তীক্ষ্ণ বেদনা একরাশ পাশবিক হৃদয় নিংড়ানো ঘৃণার মোড়কে আবদ্ধ হয়ে শুভাশিষ দেবের উপর
“আপনাকে বলছি স্যার” – ফিরে দেখা (২)
Salil Biswas
“আপনাকে বলছি স্যার” – ফিরে দেখা (২)
হালিসহর সভা
সেই সভায় আলোচনার বিবরণ। প্রায় সম্পাদনা না করে। এটা দ্বিতীয় অংশ। আরো আসবে।
ওখানে বলা হয়নি এরকম কয়েকটা কথা এখানে যোগ করেছি।
তীর্থঙ্করঃ তবুও বোধ হয় একটা রাস্তা আছে। নেই কি?
সুমিতাঃ না, সবথেকে বড় কথা হচ্ছে এই সরকারই তাদের সিলেবাসে বড় বড় কথা ......।।
সলিলঃ এই … এই সবাই প্রশ্ন করবেন আমি উত্তর দেব এটা কিন্তু হবে না।
সুমিতাঃ না, এই বইটা পড়ে আমার খুব মনে হয়েছিল, এর বাংলা অনুবাদটা পড়ে দেখেছি আমরা, সহজ ভাষায় লেখা।
হালিসহর সভা
সেই সভায় আলোচনার বিবরণ। প্রায় সম্পাদনা না করে। এটা দ্বিতীয় অংশ। আরো আসবে।
ওখানে বলা হয়নি এরকম কয়েকটা কথা এখানে যোগ করেছি।
তীর্থঙ্করঃ তবুও বোধ হয় একটা রাস্তা আছে। নেই কি?
সুমিতাঃ না, সবথেকে বড় কথা হচ্ছে এই সরকারই তাদের সিলেবাসে বড় বড় কথা ......।।
সলিলঃ এই … এই সবাই প্রশ্ন করবেন আমি উত্তর দেব এটা কিন্তু হবে না।
সুমিতাঃ না, এই বইটা পড়ে আমার খুব মনে হয়েছিল, এর বাংলা অনুবাদটা পড়ে দেখেছি আমরা, সহজ ভাষায় লেখা।
There is always a method in madness
Sushovan Patra
নাসা যখন ঠিক করলো স্পেস শিপ থেকে চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখবেন নিল আর্মস্ট্রং, তখন এডউইন অলড্রিনের খুব হিংসে হয়েছিল। তাঁর 'নো ড্রিম ইজ টু হাই' বইয়ে অলড্রিন লিখেছেন এর বদলা নিয়েছিলেন চাঁদে পৌঁছে স্পেস স্যুটের মধ্যেই প্রথম পেচ্ছাব করে। চাঁদে প্রথম পা হয়ত রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রংই, কিন্তু চাঁদে প্রথম পেচ্ছাবটা করেছিলেন এডউইন অলড্রিন।
রেলগেটে অপেক্ষারত দু’দিকের আমজনতা যেন যুদ্ধ উদ্যত দু-দেশের বিশাল সৈন্যবাহিনী। ট্রেনের ৩৭টা বগির ৩৩টা পেরিয়ে গেলেই সবাই গাড়ি স্টার্ট দিয়ে রেডি। রেলগেট কিঞ্চিৎ উঠলেই
রেলগেটে অপেক্ষারত দু’দিকের আমজনতা যেন যুদ্ধ উদ্যত দু-দেশের বিশাল সৈন্যবাহিনী। ট্রেনের ৩৭টা বগির ৩৩টা পেরিয়ে গেলেই সবাই গাড়ি স্টার্ট দিয়ে রেডি। রেলগেট কিঞ্চিৎ উঠলেই
“আপনাকে বলছি স্যার” – ফিরে দেখা
Salil Biswas
“আপনাকে বলছি স্যার” – ফিরে দেখা
হালিসহর সভা
সেই সভায় আলোচনার বিবরণ। প্রায় সম্পাদনা না করে। এটা প্রথম অংশ। আরো আসবে।
আমরা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এই নিয়ে। “আপনাকে বলছি স্যার” বইটা তো বহুকাল আগেই বেরিয়েছে, অনেক মানুষ পড়েওছেন বইটা, কিন্তু বইটা সম্পর্কে কতগুলো ভুল ধারনাও তৈরি হয়ে আছে, আর কতগুলো জিনিস পরিস্কার করারও দরকার আছে বলে আমার মনে হয়েছে বারবার। সেই আলোচনাটা কলকাতায় করার কথা ভাবা হয়েছিল, তার আগেই এখানে হল। আমার আশা, এই আলোচনাটা হয়ত কলকাতাতে আমরা আরেকবার করব। সেখানে অন
হালিসহর সভা
সেই সভায় আলোচনার বিবরণ। প্রায় সম্পাদনা না করে। এটা প্রথম অংশ। আরো আসবে।
আমরা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম এই নিয়ে। “আপনাকে বলছি স্যার” বইটা তো বহুকাল আগেই বেরিয়েছে, অনেক মানুষ পড়েওছেন বইটা, কিন্তু বইটা সম্পর্কে কতগুলো ভুল ধারনাও তৈরি হয়ে আছে, আর কতগুলো জিনিস পরিস্কার করারও দরকার আছে বলে আমার মনে হয়েছে বারবার। সেই আলোচনাটা কলকাতায় করার কথা ভাবা হয়েছিল, তার আগেই এখানে হল। আমার আশা, এই আলোচনাটা হয়ত কলকাতাতে আমরা আরেকবার করব। সেখানে অন
দ থার্ড ল (অণুগল্প)
Sarit Chatterjee
দ থার্ড ল
সরিৎ চট্টোপাধ্যায় / অণুগল্প
ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর বেড়ালটা বো-টাই আর চশমা পরে ছড়ি নাচিয়ে চোখ পাকিয়ে বলছিল, এভরি অ্যাকশন, না হে, জুতা নহে, হ্যাস অ্যান ইকুয়াল অ্যান্ড - !
- কাট্!
- ওয়াই?
- তুমি শালা ক্যাট! তুমি লেকচার দেওয়ার কে হে?
- আ ক্যাট?
ধড়মড় করে উঠে জগা পাগলা তার কালো ছোপছোপ দাঁত বার করে হঠাৎ চেঁচাতে শুরু করে, কাট, ভাইঙা ফেল! সব শালা বেওয়ারিস মাল! দেখছস না সব জং ধরসে! ভাঙ শালা!
কয়েকজন পথচারী হাসে, বাকিরা বন্ধ হয়ে যাওয়া জুট
সরিৎ চট্টোপাধ্যায় / অণুগল্প
ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর বেড়ালটা বো-টাই আর চশমা পরে ছড়ি নাচিয়ে চোখ পাকিয়ে বলছিল, এভরি অ্যাকশন, না হে, জুতা নহে, হ্যাস অ্যান ইকুয়াল অ্যান্ড - !
- কাট্!
- ওয়াই?
- তুমি শালা ক্যাট! তুমি লেকচার দেওয়ার কে হে?
- আ ক্যাট?
ধড়মড় করে উঠে জগা পাগলা তার কালো ছোপছোপ দাঁত বার করে হঠাৎ চেঁচাতে শুরু করে, কাট, ভাইঙা ফেল! সব শালা বেওয়ারিস মাল! দেখছস না সব জং ধরসে! ভাঙ শালা!
কয়েকজন পথচারী হাসে, বাকিরা বন্ধ হয়ে যাওয়া জুট
রাজেন্দ্রলাল মিত্র: উনিশ শতকের ভারতবিদ্যা পথিক
Ashoke Mukhopadhyay
[এবছর ২৬ জুলাই ২০১৬ রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মৃত্যুর একশ পঁচিশ তম বছর সূচিত হচ্ছে। উনিশ শতকের ভারতের এই অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্রকে আমরা আজ ভুলে গেলেও তাঁর জীবনের কর্ম ও সাধনাকে যতটুকু স্মরণ করব সেই অনুপাতে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্য করতে ইচ্ছে হবে। সেই তাগিদ থেকেই এই রচনার জন্ম। ধাপে ধাপে কয়েকটি ক্রমে আমরা চেষ্টা করব স্মরণ করার ফাঁকে ফাঁকে এই মহৎ মানুষটিকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানের কিছু ভাগ অন্তত ফিরিয়ে দিতে। এবারে তৃতীয় পর্ব। সূত্রোল্লেখ শেষ পর্বে থাকবে।]
তৃতীয় পর্ব
।। ৫।।
ইউরোপীয় রেনেশাঁস এ
তৃতীয় পর্ব
।। ৫।।
ইউরোপীয় রেনেশাঁস এ
রাতপরীদের অভিশাপ
Sarit Chatterjee
রাতপরীদের অভিশাপ
আজকে আবার হাতছানি দেয় হাসনুহানা,
আজ, রক্তে আবার খুনের নেশা নিঝুম রাতে।
দেবযাণী তার ঘৃণার আতর মাখছে মাখুক,
ভরছে ভরুক বিষের থলি আপন হাতে।
জ্বলছে ধু ধু অভিমন্যুর চিতার আগুন,
পার্থ কাঁদুক! তুমিও কাঁদো যাজ্ঞসেনী!
কাঁদবে অনেক বীর্যশুল্কা অম্বা'র মত,
জাত্যভিমানে বধ্য নারীর কান্না যত।
ধর্মযুদ্ধে একেলাই হাঁটি, একলাটি মন,
ফণীর বিষেতে আজকে আমার কী যায় আসে?
ধর্ম! আর কি মুক্তি দেবে না, হাসনুহানা?
তবে মরুক! নিভবে জাতির চিতাও,
আজকে আবার হাতছানি দেয় হাসনুহানা,
আজ, রক্তে আবার খুনের নেশা নিঝুম রাতে।
দেবযাণী তার ঘৃণার আতর মাখছে মাখুক,
ভরছে ভরুক বিষের থলি আপন হাতে।
জ্বলছে ধু ধু অভিমন্যুর চিতার আগুন,
পার্থ কাঁদুক! তুমিও কাঁদো যাজ্ঞসেনী!
কাঁদবে অনেক বীর্যশুল্কা অম্বা'র মত,
জাত্যভিমানে বধ্য নারীর কান্না যত।
ধর্মযুদ্ধে একেলাই হাঁটি, একলাটি মন,
ফণীর বিষেতে আজকে আমার কী যায় আসে?
ধর্ম! আর কি মুক্তি দেবে না, হাসনুহানা?
তবে মরুক! নিভবে জাতির চিতাও,
ঈশ্বরের সংসার
Priyam Sengupta
ঈশ্বরের সংসার
কোনও এক প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে,
মাধ্যমিকের বাংলা কোয়েশ্চন পেপার হাতে পেয়ে তাতে চোখ বোলানোর আগে বিড়বিড় করে মানুষের নাম নিয়ে মাথায় কাগজটা ছুঁইয়ে নেয় ঈশ্বরের ভাইপো। মানুষের উদ্দেশে প্রণাম ঠুকে মনে মনে বলে, ‘প্লিজ, রচনাটা কমন পাইয়ে দিও!’
অফিসে বেরনোর আগে ভিজে গায়ে পরনে গামছা ঈশ্বরের দাদা দেওয়ালে টাঙানো মানুষের ছবিতে চট করে মাথা ছুঁইয়ে নেন! তারপরে স্ত্রী’কে উদ্দেশ্য করে বলেন, কই গো ভাত দাও! অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে তো! তারপরে ফের ছবির দিকে মাথা ছুঁইয়ে ফের বিড়বিড়িয়ে
কোনও এক প্যারালাল ওয়ার্ল্ডে,
মাধ্যমিকের বাংলা কোয়েশ্চন পেপার হাতে পেয়ে তাতে চোখ বোলানোর আগে বিড়বিড় করে মানুষের নাম নিয়ে মাথায় কাগজটা ছুঁইয়ে নেয় ঈশ্বরের ভাইপো। মানুষের উদ্দেশে প্রণাম ঠুকে মনে মনে বলে, ‘প্লিজ, রচনাটা কমন পাইয়ে দিও!’
অফিসে বেরনোর আগে ভিজে গায়ে পরনে গামছা ঈশ্বরের দাদা দেওয়ালে টাঙানো মানুষের ছবিতে চট করে মাথা ছুঁইয়ে নেন! তারপরে স্ত্রী’কে উদ্দেশ্য করে বলেন, কই গো ভাত দাও! অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে তো! তারপরে ফের ছবির দিকে মাথা ছুঁইয়ে ফের বিড়বিড়িয়ে
আমার ফিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে তোমায় চাইনি
Sumeru Mukhopadhyay
সেই যে বিষন্ন হনুমানটা ঘাড় ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল আর তো উঠল না, চারপাশে কলার কাঁদি জমা হয়েছে, মেনকা-রম্ভা-উর্বশী প্রোলোভন, সামনে বুঝি লোকসভা নির্বাচন, কিছুনা হলেও গান্ধীজী ঠিক হেঁটে যাবেন সমুদ্রের ধার দিয়ে। এই যে চিনা বটের তলায় মানিদা বসে। কেউ কেউ প্রশ্ন করছে, কেউ শ্রোতা। আমরা ভাই কেবল হৈচৈ তে আছি। কলাভবনে পড়িনা যে তার কথা শুনতে হবে, হৈচৈ বিভাগ, মদিরা বিশ্ববিদ্যালয়, নাম শুনেছ ভাইটি? আমাদের তাড়া আছে ভাই। আমরা কোন আশ্রমিক নই, গড়িয়াহাট থেকে কলাভবন এইভাবেই সুন্দরীদের ভিড়ে চাঁদ-সূর্যের আতসবাজি পোড়াতে পোড়াত
রাক্ষস (গল্প)
Sarit Chatterjee
রাক্ষস (গল্প)
সরিৎ চট্টোপাধ্যায়
- ওয়ে সরজু! অব ফির অপনা হাথ, জগন্নাথ! বলে হেসে গড়িয়ে পড়ে রামস্বরূপ সিং।
সরজুও হাসে। কিছু মানুষকে প্রথম নজরেই কেন জানি ভাল লেগে যায়। ফৌজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনই সরজু কে জানে কেন ভাল লেগে গেছিল এই ছেলেটাকে। সেদিন, যেদিন খাকি হাফপ্যান্টের ওপর খালি গায়ে পৈতে পরেই মাঠে এসে দাঁড়িয়েছিল আর ড্রিল সার্জেন্টের উদমা খিস্তি খেয়েও দাঁত বার করে হেসেছিল রাজস্থানের এক ছোট্ট গ্রামের উচ্ছল এই ছেলেটা।
কাল একমাসের ছুটি কাটিয়ে ফিরেছে সরজু। শাদি করে। এখ
সরিৎ চট্টোপাধ্যায়
- ওয়ে সরজু! অব ফির অপনা হাথ, জগন্নাথ! বলে হেসে গড়িয়ে পড়ে রামস্বরূপ সিং।
সরজুও হাসে। কিছু মানুষকে প্রথম নজরেই কেন জানি ভাল লেগে যায়। ফৌজে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনই সরজু কে জানে কেন ভাল লেগে গেছিল এই ছেলেটাকে। সেদিন, যেদিন খাকি হাফপ্যান্টের ওপর খালি গায়ে পৈতে পরেই মাঠে এসে দাঁড়িয়েছিল আর ড্রিল সার্জেন্টের উদমা খিস্তি খেয়েও দাঁত বার করে হেসেছিল রাজস্থানের এক ছোট্ট গ্রামের উচ্ছল এই ছেলেটা।
কাল একমাসের ছুটি কাটিয়ে ফিরেছে সরজু। শাদি করে। এখ
“সৃষ্টিকর্তার অট্টহাসি!”
Sinjini Sengupta
(১)
আমার বিয়ের সময় অনির্বাণের কয়েকজন বন্ধু বড়কাকাকে দেখে বেশ চমকে গিয়ে বলেছিলঃ “উরিব্বাস! ইনি কে জানিস? এ কে বাসু! ইউনিভার্সিটিতে সবাই এনাকে ভগবান বলে মানে।“ আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, “ধুর! ওটা তো বড়কাকা!” ১৮ই জুলাই ২০১৬ তে অর্থাৎ বড়কাকার কাজের দিন ঠিক সেই ব্যাপারটাই আবার হল। নানান ক্ষেত্র থেকে অতিথিরা এসেছেন যারা বড়কাকাকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন, তাঁরা “স্যর” বলে উল্লেখ করে নানা কিছু স্মৃতিমন্থন করছেন, অতীতচারণা – ইউনিভার্সিটির কথা, ওনার পড়ানোর কথা… আর আমার মনে হচ্ছে - “ধুর! ওটা তো বড়কাক
আমার বিয়ের সময় অনির্বাণের কয়েকজন বন্ধু বড়কাকাকে দেখে বেশ চমকে গিয়ে বলেছিলঃ “উরিব্বাস! ইনি কে জানিস? এ কে বাসু! ইউনিভার্সিটিতে সবাই এনাকে ভগবান বলে মানে।“ আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, “ধুর! ওটা তো বড়কাকা!” ১৮ই জুলাই ২০১৬ তে অর্থাৎ বড়কাকার কাজের দিন ঠিক সেই ব্যাপারটাই আবার হল। নানান ক্ষেত্র থেকে অতিথিরা এসেছেন যারা বড়কাকাকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন, তাঁরা “স্যর” বলে উল্লেখ করে নানা কিছু স্মৃতিমন্থন করছেন, অতীতচারণা – ইউনিভার্সিটির কথা, ওনার পড়ানোর কথা… আর আমার মনে হচ্ছে - “ধুর! ওটা তো বড়কাক
দীপঙ্কর বসু
Dipankar Basu
এক একটি গান হঠাৎ করে কেমন জানি পেয়ে বসে আমাকে । গানের শ্রোতাই বল , আর গাইয়ে বাজিয়েই বল,কম বেশি সবার ই এমনটা হয় মাঝে মাঝেই । ঘুরি ফিরি –সারাদিন সেই গান মনের মধ্যে একটানা বেজেই চলে । অনেক সময়ে দীর্ঘ দিন ধরে মগজে সে গানের কথাগুলি ,সুরের নানান বাঁক চোর হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে কোন এক অজানা রহস্য লোকের পানে । যেমন ,এখনি একটি গানের কথা মনে পড়ছে - “এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়” – কিশোর বয়সে গানটি আমাকে যে কি গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছিল সেই স্মৃতি আজও অম্লান হয়ে আছে । গানটির অর্থ বোঝার বয়স সেটা ছিল
নান্টু ফার্স্ট হয় নি
Soumyadeep Bandyopadhyay
রাজেন কলকাতা ছেড়ে গেছে প্রায় বছর দশেক | উত্তর কলকাতার গঙ্গার ধারের বাড়ী ছেড়ে তার নতুন আস্তানা ব্যাঙ্গালোরের সরজাপুর | বউ বাচ্চা , দু কামরা , গাড়ী মাঝে মাঝে অফিস টুরে বা সস্তা দামে বিদেশ ভ্রমণ , ছুটি ছাটায় মা বাবাকে এখানে নিয়ে আসা ইত্যাদি নিরুপদ্রব অভ্যস্ত জীবন যাপন চলছিল বেশ | শনিবারের বিকেল , টুটুল কে নিয়ে তার মা গেছে ক্রাফট স্কুলে | গাড়ী টাও নিয়ে গেছে | ওখানে ওকে পৌছে দিয়ে সরাসরি চলে যাবে বন্ধুদের গেট টুগেদারে | সুরমিতাও চাকরী করতো , কিন্তু টুটুল হবার পর থেকে সে এখন ফুলটাইম মা |
রাখ তোর শাইনিং ইন্ডিয়ার পিজ্জা ফিজ্জা
Manash Nath
একটা বড় তাওয়াতে প্রথমে উবুচুবু তেল ঢালা হল। তেল গরম হচ্ছে...... তেল গরম হচ্ছে.... ইতিমধ্যে একটি বড় জবজবে ময়েম দেওয়া ময়দার তাল নিয়ে বেলতে হবে। বেশ রুটির আকারে হলে সেটাকে হাতে তুলে নিতে হবে। এবারে সেটাকে দুহাতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অনেকটা রুমালি রুটি করার কায়দায় হাওয়ায় খেলাতে খেলাতে দুট আড়াই ফুট ব্যাসের করে ফেলতে হবে। সেই পাতলা ফিনফিনে জিনিষটা কায়দা করে একটা বড় পাথরের উপর ফেলে টানটান করে মেলে দিতে হবে। হলো তো, এখন একটা গেলাশে দুটো ডিম ভেঙে নিয়ে আগেই সেদ্ধ করে রাখা চিকেনের টুকরো অনেকটা ঝুরোঝুরো করে ভেজে র
রাজেন্দ্রলাল মিত্র: উনিশ শতকের ভারতবিদ্যা পথিক
Ashoke Mukhopadhyay
[এবছর ২৬ জুলাই ২০১৬ রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মৃত্যুর একশ পঁচিশ তম বছর সূচিত হচ্ছে। উনিশ শতকের ভারতের এই অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্রকে আমরা আজ ভুলে গেলেও তাঁর জীবনের কর্ম ও সাধনাকে যতটুকু স্মরণ করব সেই অনুপাতে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্য করতে ইচ্ছে হবে। সেই তাগিদ থেকেই এই রচনার জন্ম। ধাপে ধাপে কয়েকটি ক্রমে আমরা চেষ্টা করব স্মরণ করার ফাঁকে ফাঁকে এই মহৎ মানুষটিকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানের কিছু ভাগ অন্তত ফিরিয়ে দিতে। এবারে দ্বিতীয় পর্ব।]
দ্বিতীয় পর্ব
।। ৩।।
এই যে দেশকে সত্য করে জানা এবং দেশবাসীকে সেই
দ্বিতীয় পর্ব
।। ৩।।
এই যে দেশকে সত্য করে জানা এবং দেশবাসীকে সেই
আবু তুরাবের স্ত্রী নিখোঁজ হবার পর
Muradul islam
আবু তুরাব বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে কারণ এইমাত্র সে একটা ব্যাখ্যা পেয়েছে কেনো সে তার স্ত্রীকে খোঁজে পাচ্ছে না। যদিও ব্যাখ্যাটা তার কাছেই মনে হচ্ছে অযৌক্তিক কিন্তু অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং যেহেতু আর কোন ব্যাখ্যা সে পায় নি তাই এটাই তার মস্তিষ্কে গৃহীত হয়েছে। আবু তুরাব কিছুক্ষণ তার শোবার ঘরের বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে সবুজ ব্যাঙটাকে দেখল। ব্যাঙটি বিছানায় বসে স্থির ভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
বসার কক্ষে মোবাইল ফোন বাজছে। আবু তুরাব গিয়ে ফোন রিসিভ করল। তার মা ফোন করেছেন।
উদ্বিগ্ন কন্ঠে মা জিজ্ঞ
বসার কক্ষে মোবাইল ফোন বাজছে। আবু তুরাব গিয়ে ফোন রিসিভ করল। তার মা ফোন করেছেন।
উদ্বিগ্ন কন্ঠে মা জিজ্ঞ
মিছিমিছি খেলারা
π
মিছিমিছি খেলা।
মিছিমিছি খেলা বোধহয় আমাদের সবারই ছিল। ছোটবেলায়।
এই যেমন দরজার কড়া আর হুড়োকোতে টিউবওয়েলের মত ঘ্টাং ঘটাঁ করে জল বের করে কলসীতে জল ভরা , সেই কলসী কাঁখে নিয়ে, কত উঃ আঃ করে চলাফেরা করে রান্নাঘরে এনে তার থেকে গড়িয়ে বাড়ির সবাইকে জল দেওয়া, প্লাস্টিকের সবুজ স্টোভটাতে চা বসানো, প্লাস্টিকের লাল কাপ প্লেটে সবাইকে সেই চা দেওয়া, মা, বাবা , দাদা। ঠাকুমা, পিসি, মাসি, কাকা , মামারা এলে আবার প্লেট শর্ট পড়লে মেল থেকে কেনা কাঠের কাপের সেটটাও উদ্বোধন ক'রে ফেলা। সকালে আপিস যাবার অগে রান্না
মিছিমিছি খেলা বোধহয় আমাদের সবারই ছিল। ছোটবেলায়।
এই যেমন দরজার কড়া আর হুড়োকোতে টিউবওয়েলের মত ঘ্টাং ঘটাঁ করে জল বের করে কলসীতে জল ভরা , সেই কলসী কাঁখে নিয়ে, কত উঃ আঃ করে চলাফেরা করে রান্নাঘরে এনে তার থেকে গড়িয়ে বাড়ির সবাইকে জল দেওয়া, প্লাস্টিকের সবুজ স্টোভটাতে চা বসানো, প্লাস্টিকের লাল কাপ প্লেটে সবাইকে সেই চা দেওয়া, মা, বাবা , দাদা। ঠাকুমা, পিসি, মাসি, কাকা , মামারা এলে আবার প্লেট শর্ট পড়লে মেল থেকে কেনা কাঠের কাপের সেটটাও উদ্বোধন ক'রে ফেলা। সকালে আপিস যাবার অগে রান্না
পেরেক
Sarit Chatterjee
পেরেক
সরিৎ চট্টোপাধ্যায় (গল্প)
আচমকা এক পশলা বৃষ্টি এসে চুব্বুর করে ভিজিয়ে দিল দু'জনকে।
প্রিন্সেপ ঘাট। বিকেল পাঁচটা। লোকজনের ভিড় কমে এসেছে। হঠাৎ রিমি হেসে উঠল, এই, এবার চল তো, নাহলে এবার পুলিশ এসে ঘাড় ধরে তুলে দেবে!
- ইল্লি! মামারবাড়ি আর কি! ইউ আর নাও মাই ল-ফুলি ওয়েডেড ওয়াইফ অ্যান্ড, রাইট নাও আমার একটা চুমু খেতে খুব ইচ্ছে করছে।
- এই না! ধ্যাৎ। অসভ্যতা কর না, লোক রয়েছে।
- বিয়ের চারমাসের মধ্যেই সব প্রেম বাষ্প হয়ে গেল ম্যাডাম? ছাতাটা বার কর না -
- হ্যাঁ, কী শখ! এ
সরিৎ চট্টোপাধ্যায় (গল্প)
আচমকা এক পশলা বৃষ্টি এসে চুব্বুর করে ভিজিয়ে দিল দু'জনকে।
প্রিন্সেপ ঘাট। বিকেল পাঁচটা। লোকজনের ভিড় কমে এসেছে। হঠাৎ রিমি হেসে উঠল, এই, এবার চল তো, নাহলে এবার পুলিশ এসে ঘাড় ধরে তুলে দেবে!
- ইল্লি! মামারবাড়ি আর কি! ইউ আর নাও মাই ল-ফুলি ওয়েডেড ওয়াইফ অ্যান্ড, রাইট নাও আমার একটা চুমু খেতে খুব ইচ্ছে করছে।
- এই না! ধ্যাৎ। অসভ্যতা কর না, লোক রয়েছে।
- বিয়ের চারমাসের মধ্যেই সব প্রেম বাষ্প হয়ে গেল ম্যাডাম? ছাতাটা বার কর না -
- হ্যাঁ, কী শখ! এ
আরেকটু
Soumyadeep Bandyopadhyay
আরেকটু
প্রতিদিনের মতো আজো অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তি লাগছিল | আমার এক সুপার সিনিক বন্ধুর কথায় নাকি দূর থেকে সাদা জামা কালো প্যানট পড়ে আমাদের সবাইকে একেকটা পেঙ্গুইন এর মত লাগে | বউ আমার থেকেও আগে বেরিয়ে যায় অফিসে , নিজেকে নিজেই খিস্তি করছিলাম অগত্যা |এই বয়সেই বুড়ো? এত আলসে হয়ে গেলে চলে? একটু আগে ঘুম থেকে উঠলেই লাইন এ দাঁড়াতে হতনা | এইসব আত্মসমালোচনা করতে গিয়ে অফিস পৌছাতে একটু দেরীই হয়ে গেল | ঢুকতেই অভ্রদার সাথে দেখা | সোমবার ও সাধারনত ব্যান্কার্স শার্ট পরে আসে, আজ ও ব্যতিক্রম নেই| আমাকে দে
প্রতিদিনের মতো আজো অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তি লাগছিল | আমার এক সুপার সিনিক বন্ধুর কথায় নাকি দূর থেকে সাদা জামা কালো প্যানট পড়ে আমাদের সবাইকে একেকটা পেঙ্গুইন এর মত লাগে | বউ আমার থেকেও আগে বেরিয়ে যায় অফিসে , নিজেকে নিজেই খিস্তি করছিলাম অগত্যা |এই বয়সেই বুড়ো? এত আলসে হয়ে গেলে চলে? একটু আগে ঘুম থেকে উঠলেই লাইন এ দাঁড়াতে হতনা | এইসব আত্মসমালোচনা করতে গিয়ে অফিস পৌছাতে একটু দেরীই হয়ে গেল | ঢুকতেই অভ্রদার সাথে দেখা | সোমবার ও সাধারনত ব্যান্কার্স শার্ট পরে আসে, আজ ও ব্যতিক্রম নেই| আমাকে দে
অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর
Sushovan Patra
দিদির বিয়ে পিছিয়ে যাবার খবর দিতে আজ ফোন করেছিল নাজিদ। ‘নাজিদ বাশির’। ছিপছিপে, মিনমিনে, আড়ম্বরহীন কাশ্মীরি। এন.আই.টি শ্রীনগর থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসে ছিলো আমাদের আপিসে। কাজের ফাঁকে, চায়ের কাপে আড্ডাটা শুরু হত রোগান জোশ আর শিরমালের স্বাদে। কিন্তু অচিরেই পথ হারিয়ে ইন্সার্জেন্সি-শেখ আব্দুলহা-আকসাই চীনের পাহাড়ি দিয়ে যখন বাংলাদেশের সমতলের ‘হিন্দু’ খুন আর শার্লি এবদো'র কার্টুন নিয়ে আসর সরগরম, তখনই কেউ না কেউ এসে রণে ঠিক ভঙ্গ দিত। সতর্ক হয়ে চুপ করে যেত নাজিদ। ভয় পেতো বোধহয়। সবাই বলতো “ছেলেটার সাত চড়েও রা ন
ভারতে ক্যু
বাজে খবর
ভারতীয় আর্মির তরফে সংসদ ভেঙে দিয়ে ক্ষমতা হাতে তুলে নেওয়া হয়েছে। এয়ারমার্শালের নির্দেশে গতকাল দেশের সবকটি রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছে যাতে প্রধানমন্ত্রী দেশে না ফিরতে পারেন। রাষ্ট্রপতি আর্মি চিফের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন দেশে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যৌথভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন ও মার্শাল ল চলবে। তিনি সবকটি রাজ্যসরকারকে বরখাস্ত করতে রাজ্যপালদের আদেশ দিয়েছেন। শোনা গেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দী এবং জে এন ইউ বন্ধ করা হয়েছে। দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে একটি ব
রাজেন্দ্রলাল মিত্র: উনিশ শতকের ভারতবিদ্যা পথিক
Ashoke Mukhopadhyay
প্রথম পর্ব
সত্যিই খুব অদ্ভুত ব্যাপার। একশ পঁচিশ বছর আগেকার কথা। ঠিক তিন দিনের ব্যবধানে দুজন প্রখ্যাত মনীষী বাংলার বৌদ্ধিক মঞ্চ থেকে চিরবিদায় নিলেন। একজন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৯ জুলাই ১৮৯১)—যাঁকে আমরা মোটামুটি মনে রেখেছি; যাঁর জন্ম বা মৃত্যু দিবস কম বেশি অনেকেই নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যাপন করেছেন; দ্বিতীয় জন রাজেন্দ্রলাল মিত্র (২৬ জুলাই ১৮৯১)—যাঁকে আমাদের অর্ধশতকও লাগেনি পুরোপুরি ভুলে যেতে। মৃত্যুর দু এক বছর পর থেকেই তাঁকে নিয়ে কেউ কোথাও স্মরণ সভার আয়োজন করেনি। সুতরাং কিছু কিছু বিশেষজ
সত্যিই খুব অদ্ভুত ব্যাপার। একশ পঁচিশ বছর আগেকার কথা। ঠিক তিন দিনের ব্যবধানে দুজন প্রখ্যাত মনীষী বাংলার বৌদ্ধিক মঞ্চ থেকে চিরবিদায় নিলেন। একজন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর (২৯ জুলাই ১৮৯১)—যাঁকে আমরা মোটামুটি মনে রেখেছি; যাঁর জন্ম বা মৃত্যু দিবস কম বেশি অনেকেই নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যাপন করেছেন; দ্বিতীয় জন রাজেন্দ্রলাল মিত্র (২৬ জুলাই ১৮৯১)—যাঁকে আমাদের অর্ধশতকও লাগেনি পুরোপুরি ভুলে যেতে। মৃত্যুর দু এক বছর পর থেকেই তাঁকে নিয়ে কেউ কোথাও স্মরণ সভার আয়োজন করেনি। সুতরাং কিছু কিছু বিশেষজ
ভোজ-পুজো অথবা পুজো-ভোজ
সুকান্ত ঘোষ
ইস্কুলের সেক্রেটারীর কি মাহাত্ম্য সে বোঝার বয়স তখনো হয় নি, কিন্তু পটল বিষয়ীর মহিমা বোঝার মত বয়স হয়ে গিয়েছিল। সবে আনন্দমার্গ ইংরাজী মিডিয়াম স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মেমারী বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে ক্লাস ফাইভে ঢুকেছি – সেক্রেটারী কি জিনিস জানা নেই – পটল বিষয়ীকে চিনি না। এমন অবস্থায় দুরদার করে চলে এল হাইস্কুলে আমার প্রথম সরস্বতী পুজো আর তখনি একদিন দুম্ করে সেক্রেটারী পটল বিষয়ীর ব্যাপারটা ক্লীয়ার হয়ে গেল। এক সিনিয়ার দাদা ফিসফাস করে আমাদের জানালো পটল বিষয়ীর সেক্রেটারী রয়ে যাবার পিছনে মূ
মেনু
Soumyadeep Bandyopadhyay
মেনু
কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি আর প্রায় থামছেই না | কখনো সপসপে নায়িকা ভেজানো স্টাইল ,কখনো আবার ধজভঙ্গ বুড়োর হিসুর মত...টিপ টিপ টিপ টিপ | যে গলিটা বড়রাস্তা কে জুড়েছে , সেটা এই বস্তিকে ভুলে গেছে কবেই | সামনের পুরনো বাড়ীগুলোর কালচে লাল পাঁজর ফুঁড়ে আগে দিনের ঘন্টা দুএক রোদ পৌঁছাত | আস্তে আস্তে বাড়ীগুলো মরে ক্রমে ফ্ল্যাট হয়ে যাওয়ায় সে আলো কবেই বন্ধ | এখন এই বর্ষা কালে , কালো কালো তার জালি ঘেরা জানলায় শ্লেষ্মার মতো ধূসর পর্দা জড়িয়ে আছে | কোণের যে ফাটা জায়গাতে ছেলে ছোকরারা মুততো , সেই জায়গাটায় বৃষ্টি
কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি আর প্রায় থামছেই না | কখনো সপসপে নায়িকা ভেজানো স্টাইল ,কখনো আবার ধজভঙ্গ বুড়োর হিসুর মত...টিপ টিপ টিপ টিপ | যে গলিটা বড়রাস্তা কে জুড়েছে , সেটা এই বস্তিকে ভুলে গেছে কবেই | সামনের পুরনো বাড়ীগুলোর কালচে লাল পাঁজর ফুঁড়ে আগে দিনের ঘন্টা দুএক রোদ পৌঁছাত | আস্তে আস্তে বাড়ীগুলো মরে ক্রমে ফ্ল্যাট হয়ে যাওয়ায় সে আলো কবেই বন্ধ | এখন এই বর্ষা কালে , কালো কালো তার জালি ঘেরা জানলায় শ্লেষ্মার মতো ধূসর পর্দা জড়িয়ে আছে | কোণের যে ফাটা জায়গাতে ছেলে ছোকরারা মুততো , সেই জায়গাটায় বৃষ্টি
দেবতার গ্রাস
Soumyadeep Bandyopadhyay
রবীন্দ্রনাথ ও রাইটার্স ব্লকে তে ভুগেছেন জানতেন তো ় আরে না না , ওনার কোনো ফাইল লাল ফিতের চাপে আটকায় নি ় লেখা আটকে গেছিল ় উফ সেকি কষ্ট ় অমন শ্মশ্রুমন্ডিত ছিলেন , ছিড়তে ছিড়তে ( আপনাদের জন্য লেখাও যাবেনা মশাই ।।।।আরে দাড়ি ছেঁড়ার কথা হচ্ছে ) পুরো খন্ডিত অবস্থা ় গুরুদেবের এই শোচনীয় অবস্থায় এগিয়ে এলেন এক বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিত্সক ় তিনি সম্পূর্ণ প্রাচীন ভেষজ পদ্ধতি তে এর সমাধান করে দিলেন ় সেই বিশুদ্ধ পবিত্র ওষুধ সেবন করেই হড়হড় করে আবার জাগিয়া উঠিল প্রাণ উথলি উঠিল বারি , মানে ইমোশনাল আউটবার্স্ট
চীর্ণ
Sarit Chatterjee
চীর্ণ
সরিৎ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা হাই কোর্ট। রোহণ ভার্সেস দ স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল; অ্যাপট নং ১৫৪; ২০১৬।
ইন্সপেক্টর ত্রিদিব চৌধুরী কোন খুনের মামলায় আদালতে এত ভীড় আগে কখনো দেখেনি। খবরের কাগজ আর টিভির সংবাদ চ্যানেলের কল্যানে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এই কেস।
আজ, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট শশধর সান্যাল হত্যাকাণ্ডের শেষ শুনানি। রায় আজই বেরোতে পারে। রোহণের ডায়েরিটা ও যেদিন খুঁজে পায় কেউই বোধহয় ভাবতে পারেনি যে ওটা এই কেসে এতটা প্রভাব ফেলবে। কোর্টরুমে টানটান উত্তেজনা।
আরও পড়ুন...
সরিৎ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা হাই কোর্ট। রোহণ ভার্সেস দ স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল; অ্যাপট নং ১৫৪; ২০১৬।
ইন্সপেক্টর ত্রিদিব চৌধুরী কোন খুনের মামলায় আদালতে এত ভীড় আগে কখনো দেখেনি। খবরের কাগজ আর টিভির সংবাদ চ্যানেলের কল্যানে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এই কেস।
আজ, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট শশধর সান্যাল হত্যাকাণ্ডের শেষ শুনানি। রায় আজই বেরোতে পারে। রোহণের ডায়েরিটা ও যেদিন খুঁজে পায় কেউই বোধহয় ভাবতে পারেনি যে ওটা এই কেসে এতটা প্রভাব ফেলবে। কোর্টরুমে টানটান উত্তেজনা।
আরও পড়ুন...
অতিনাটকীয়
একক
অন্ধকারে দাঁড় করানো ভ্যাকুয়াম ক্লীনার । ধাক্কা লাগতেই ভোঁতা শব্দ করে উল্টে যায় । অন্ধকারেই হাতড়ে সোজা করে রাখে অসীম । বাঁদিকে টেবিল তারমানে । জল খায় । আরও জল । রান্নাঘরের অন্ধকারের দিকে হাঁটতে থাকে । বাসন পড়ার শব্দ । আদি জেগে ওঠে এবার । ফ্যাকাসে ডিম লাইট জ্বলে ওঠে । জল ভরে ঘরে ঢোকে অসীম ।
কীসের আওয়াজ ?
অসীম উত্তর দেয় না । চোখ বন্ধ করেই জল ঢালে গলায় । বিছানায় এসে শুয়ে পড়ে । অদিতি জলের বোতল নিয়ে বাকি জল অসীমের গায়ে মাথায় ঢেলে দেয় । বিছানা ভিজে যায় । নিজে উঠে গিয়ে সোফা তে শুয়ে প
কীসের আওয়াজ ?
অসীম উত্তর দেয় না । চোখ বন্ধ করেই জল ঢালে গলায় । বিছানায় এসে শুয়ে পড়ে । অদিতি জলের বোতল নিয়ে বাকি জল অসীমের গায়ে মাথায় ঢেলে দেয় । বিছানা ভিজে যায় । নিজে উঠে গিয়ে সোফা তে শুয়ে প
দ্রোণ পর্ব
dd
দ্রোণ পর্ব
***************
ভীষ্ম নিহত হলে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের দশম দিনের রাত্রে, রণাংগন থেকে রাত্রি হলে সঞ্জয় কুরুক্ষেত্র থেকে হস্তিনাপুরে পৌঁছালেন ধৃতরাষ্ট্রের কাছে। ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়কে প্রশ্ন করলেন ভীষ্মের মৃত্যু হলে দুই পক্ষে কে কী রকম আচরন করেছিলো?
সঞ্জয় জানালেন ভীষ্মের নিধনের পরেই পান্ডবেরা প্রচন্ড হতোদ্যম কুরুসেনাকে ছাড়খাড় করে দিচ্ছিলো। কৌরব পক্ষের রথীরাও নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে কেনো ভীষ্মের মৃত্যুবার্ত্তা শুনেই দ্রোণ তখুনি যুদ্ধ বন্ধে ঘোষণা করেছিলেন।
কৌরবের
***************
ভীষ্ম নিহত হলে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের দশম দিনের রাত্রে, রণাংগন থেকে রাত্রি হলে সঞ্জয় কুরুক্ষেত্র থেকে হস্তিনাপুরে পৌঁছালেন ধৃতরাষ্ট্রের কাছে। ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়কে প্রশ্ন করলেন ভীষ্মের মৃত্যু হলে দুই পক্ষে কে কী রকম আচরন করেছিলো?
সঞ্জয় জানালেন ভীষ্মের নিধনের পরেই পান্ডবেরা প্রচন্ড হতোদ্যম কুরুসেনাকে ছাড়খাড় করে দিচ্ছিলো। কৌরব পক্ষের রথীরাও নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে কেনো ভীষ্মের মৃত্যুবার্ত্তা শুনেই দ্রোণ তখুনি যুদ্ধ বন্ধে ঘোষণা করেছিলেন।
কৌরবের
পেয়ারাগাছ
Manash Nath
দোতালার রান্নাঘরের জানালা দিয়ে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় পিয়ারা গাছের ডালটাকে। তার লালচে কচিপাতা সাদা সাদা ফুল আর তীব্র সবুজ গুটিগুটি ফলগুলি আমাদের সামনেই বেড়ে ওঠে।
শহরে বড় গাছের জন্য জায়গা আর কোথায়? শহর উপকন্ঠে দু-তিন কাঠা জমিতে যে মধ্যবিত্ত বাড়ি বানায়, কর্পোরেশন এর সিলিং মেনে আর না মেনে হোক.... সে আর গাছ লাগানোর জন্য কেন মাথা ঘামাবে! যদিও বেঁচে থাকতে অক্সিজেন লাগে আর অক্সিজেন এর জন্য গাছ লাগে এ তাদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা দুলেদুলে মুখস্ত করে কিন্তু নিজের বাড়ি বানানোর সময় সে একটু
শহরে বড় গাছের জন্য জায়গা আর কোথায়? শহর উপকন্ঠে দু-তিন কাঠা জমিতে যে মধ্যবিত্ত বাড়ি বানায়, কর্পোরেশন এর সিলিং মেনে আর না মেনে হোক.... সে আর গাছ লাগানোর জন্য কেন মাথা ঘামাবে! যদিও বেঁচে থাকতে অক্সিজেন লাগে আর অক্সিজেন এর জন্য গাছ লাগে এ তাদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা দুলেদুলে মুখস্ত করে কিন্তু নিজের বাড়ি বানানোর সময় সে একটু
শরীরী গান্ধার ও কর্ণাটরাগিনী
শিবাংশু
"না উড়ে থেমেছো পাখি, সমস্তটা ওড়ো
কীভাবে উড়ছো তুমি, কীরকম বন্ধ হয়ে আছো
এভাবে পালকে ওড়ো
নানান আকারে একবার....."
(হাজারদুয়ার- স্বদেশ সেন)
--------------------------------
রাতের বেলা সুর যেন একটু অন্যভাবে কাছে আসে। নৈঃশব্দ্যের ফ্রেমে বাঁধানো থাকে সোনার রেখায় ফুলকারির আঁকিবুকি। মনে পড়ে কি শংকর জয়কিশনের স্প্যানিশে অমোঘ স্ট্রোকের পেলব মায়া। ধানি সারেগামাপা... ধা পা... রাজ কাপুর নেমে যান স্টুডিয়োতে সাজানো চাঁদজাগা ছায়াময় গাছগাছালির আঙিনায় হ্যামকটিকে দুলিয়ে দিয়ে... নর্গিস তাঁর দীর
কীভাবে উড়ছো তুমি, কীরকম বন্ধ হয়ে আছো
এভাবে পালকে ওড়ো
নানান আকারে একবার....."
(হাজারদুয়ার- স্বদেশ সেন)
--------------------------------
রাতের বেলা সুর যেন একটু অন্যভাবে কাছে আসে। নৈঃশব্দ্যের ফ্রেমে বাঁধানো থাকে সোনার রেখায় ফুলকারির আঁকিবুকি। মনে পড়ে কি শংকর জয়কিশনের স্প্যানিশে অমোঘ স্ট্রোকের পেলব মায়া। ধানি সারেগামাপা... ধা পা... রাজ কাপুর নেমে যান স্টুডিয়োতে সাজানো চাঁদজাগা ছায়াময় গাছগাছালির আঙিনায় হ্যামকটিকে দুলিয়ে দিয়ে... নর্গিস তাঁর দীর
সেই মেয়েটা
Prativa Sarker
এই সপ্তাহটাতেও মেয়েটার কথা কেউ বললো না। অথচ ঈদ ছিলো, ঈদের চাঁদ ছিলো, ছিলো,দাওয়াত ছিল, উৎসবের আমেজ ছিলো।আমার আশা ছিলো হয়তো আল্লার বান্দাদের হৃদয় পরিবর্তন হবে।
কিন্তু না, ফেসবুকের পাতা জুড়ে ব্রেক্সিট আছে, হিন্দু মুসলমানের লেঙ্গী মারামারি আছে, দিদির প্রশংসা, বিরোধীর মুন্ডুপাত, ইতিহাস, পরিবেশ, সওওওওব আছে, শুধু মেয়েটা নেই !!
কিন্তু মেয়েটা হাসলে গালে টোল পড়তো, ঘাড় অব্দি উজ্জ্বল ঘন চুল ছিল। বুদ্ধির দীপ্তি ছিল। ত্রিশের কোঠাতেই বয়স আটকে ছিল। আর ছিল দুরন্ত সাহস, মানুষের ভালো করার অদম্য ইচ্ছে
কিন্তু না, ফেসবুকের পাতা জুড়ে ব্রেক্সিট আছে, হিন্দু মুসলমানের লেঙ্গী মারামারি আছে, দিদির প্রশংসা, বিরোধীর মুন্ডুপাত, ইতিহাস, পরিবেশ, সওওওওব আছে, শুধু মেয়েটা নেই !!
কিন্তু মেয়েটা হাসলে গালে টোল পড়তো, ঘাড় অব্দি উজ্জ্বল ঘন চুল ছিল। বুদ্ধির দীপ্তি ছিল। ত্রিশের কোঠাতেই বয়স আটকে ছিল। আর ছিল দুরন্ত সাহস, মানুষের ভালো করার অদম্য ইচ্ছে
মার্কিন নির্বাচন, বার্নি স্যান্ডার্স এবং সমাজবাদ
souvik ghoshal
ফুটবলপ্রিয় বাঙালি এখন একইসঙ্গে মজে আছে কোপা আমেরিকা আর ইউরো কাপে। কিন্তু বাম মনস্করা কী সেভাবে খবর পাচ্ছেন ইউরোপ আমেরিকা জুড়ে বামপন্থার নতুন উত্থানের ? মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ হয়ত পাচ্ছেন। কিন্তু বাকীরা সেভাবে নয়। কারণ ই এস পি এন যেভাবে ইউরো কাপ বা কোপার লাইভ সম্প্রচার করছে, এমনকী ধারা বিবরণী আসছে বাংলা ভাষাতেও, পশ্চিমের রাজনীতির দুনিয়ায় বাম প্রভাবের খবর সেভাবে এখানকার জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল বা খবরের কাগজগুলিতে আসে না। গ্রীক সঙ্কটের সময় হয়ত সিরিজার দু এক চিলতে খবর এসেছে কিন্তু স্পেনের পোডোমস বা পর্তু
মহার্ঘ্য শিক্ষা
Sushovan Patra
আপনি আমিষাশী? মাছ-মাংস-ডিম খান? তাহলে প্রোটিনের জরুরী খাদ্যগুণে শরীর পুষ্ট হওয়া তো দূর, আপনার মিথ্যে বলার, লোক ঠকানোর, যৌন সুড়সুড়ি দেবার এমনকি মানুষ খুন করার প্রবণতাও বেশী -বলছে ক্লাস সিক্সের সি.বি.এস.সি'র টেক্সট বুক। মহারাষ্ট্রের বছর ১৪'র ছেলেমেয়েরা পড়ছে, 'হাউসওয়াইফ'রা গাধার মত। সারাদিন শুধু খেটে মরে। তবে গাধারা একটু হলেও বেশী ভালো। অভাব অভিযোগ করে না, রাগ করে বাপের বাড়িও যায় না। ছত্তিসগড়ের 'সোশ্যাল সায়েন্স'র ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা শিখছে, দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণ মেয়েদের চাকরি করা। দিননা