![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
কিউয়ি আর বাঙালী
অরিন
পৃথিবীতে ছোট বড় মিলিয়ে ২০০র' কাছাকাছি দেশ, তার প্রায় প্রতিটিতেই বাঙালীর পদধূলি পড়েছে। তবে নিউজিল্যাণ্ড নামে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একটি দ্বীপমালা আছে, সে দেশের সঙ্গে ভারতীয়দের তথা বাঙালীদের আশ্চর্য ও বিশেষ সব সম্পর্ক, অনেকে জানেন নিশ্চয়ই।
সে সব সম্পর্কের সূত্রপাত আজ প্রায় দুশো বছরেরও বেশী, ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে।
উনবিংশ শতকের গোড়ার দিক থেকে, যখন ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ারও যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি, তখন থেকেই ব্রিটিশ জাহাজের লস্কর হয়ে চট্টগ্রামের বাঙালী নাবিকরা নিউজিল্যাণ্ডে ন
সে সব সম্পর্কের সূত্রপাত আজ প্রায় দুশো বছরেরও বেশী, ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে।
উনবিংশ শতকের গোড়ার দিক থেকে, যখন ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ারও যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি, তখন থেকেই ব্রিটিশ জাহাজের লস্কর হয়ে চট্টগ্রামের বাঙালী নাবিকরা নিউজিল্যাণ্ডে ন
মহামহিম মোদী
Saikat Bandyopadhyay
মহামহিম মোদী নিঃসন্দেহে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। আজ থেকে পাঁচশো বছর পরে, ইশকুল-বইয়ে নিশ্চয়ই লেখা হবে, ভারতবর্ষে এমন একজন মহাসম্রাট এসেছিলেন, যিনি কাশ্মীরে টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে কাশ্মীরিদের উদ্দেশে টিভিতে ভাষণ দিতেন। যিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতবাসীকে টুইট করতেন। যিনি বাংলায় দশ কোটি লোককে রাষ্ট্রহীন করার কল বানিয়ে, তারপর তাদেরই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট না করার উপদেশ দিতেন।
তিনিই ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি পাকিস্তানকে মেরে ফেলব বলে হুঙ্কার
তিনিই ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি পাকিস্তানকে মেরে ফেলব বলে হুঙ্কার
পার্টিশানের অজানা গল্প ১
দ
এই ঘোর অন্ধকার সময়ে আরেকবার ফিরে দেখি ১৯৪৭ এর রক্তমাখা দিনগুলোকে। সেই দিনগুলো পার করে যাঁরা বেঁচে আছেন এখনও তাঁদেরই একজনের গল্প রইল আজকে। পড়ুন, জানুন, নিজের দিকে তাকান...
===================
‘আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা হিন্দুস্তানে জন্মায়, বড় হয়, সারাজীবন কাটিয়ে যখন মারা যায় তখন তাদের দাহ করে সেই ছাই গঙ্গানদীর পুণ্যপ্রবাহে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তারা বয়ে চলে গঙ্গার স্রোতধারায়, যদিও গঙ্গার জল শেষপর্যন্ত গিয়ে মেশে সাগরে, সে জল তখন আর শুধু হিন্দুস্তানের নয়। আমরা মুসলমানরা এদেশে জন্মাই, বড় হই, সার
===================
‘আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা হিন্দুস্তানে জন্মায়, বড় হয়, সারাজীবন কাটিয়ে যখন মারা যায় তখন তাদের দাহ করে সেই ছাই গঙ্গানদীর পুণ্যপ্রবাহে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তারা বয়ে চলে গঙ্গার স্রোতধারায়, যদিও গঙ্গার জল শেষপর্যন্ত গিয়ে মেশে সাগরে, সে জল তখন আর শুধু হিন্দুস্তানের নয়। আমরা মুসলমানরা এদেশে জন্মাই, বড় হই, সার
কাশ্মীরের ইতিহাস : পালাবদলের ৭৫ বছর
souvik ghoshal
কাশ্মীরের ইতিহাস : পালাবদলের ৭৫ বছর - সৌভিক ঘোষাল
ভারতভুক্তির আগে কাশ্মীর
১
ব্রিটিশরা যখন ভারত ছেড়ে চলে যাবে এই ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে গেল, তখন দুটো প্রধান সমস্যা এসে দাঁড়ালো আমাদের স্বাধীনতার সামনে। একটি অবশ্যই দেশ ভাগ সংক্রান্ত। বহু আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, বহু রক্তাক্ত হিংসা দাঙ্গার পর্ব পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল দেশভাগ হচ্ছেই। অবিভক্ত ভারত - ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় যে সমস্যাটি দেখা গেল সেটি হলো দেশীয় রাজ্যগুলির ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা নিয়
ভারতভুক্তির আগে কাশ্মীর
১
ব্রিটিশরা যখন ভারত ছেড়ে চলে যাবে এই ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে গেল, তখন দুটো প্রধান সমস্যা এসে দাঁড়ালো আমাদের স্বাধীনতার সামনে। একটি অবশ্যই দেশ ভাগ সংক্রান্ত। বহু আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, বহু রক্তাক্ত হিংসা দাঙ্গার পর্ব পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল দেশভাগ হচ্ছেই। অবিভক্ত ভারত - ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় যে সমস্যাটি দেখা গেল সেটি হলো দেশীয় রাজ্যগুলির ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা নিয়
গাম্বিয়া - মিয়ানমারঃ শুরু হল যুগান্তকারী মামলার শুনানি
Muhammad Sadequzzaman Sharif
নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস—আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গাম্বিয়ার মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আজকে। শান্তি প্রাসাদে শান্তি আসবে কিনা তার আইনই লড়াই শুরু আজকে থেকে। নেদারল্যান্ডের হেগ শহরের পিস প্যালেসেই আইসিজে অবস্থিত। হেগ শহরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট—আইসিসি) আরেকটি মামলা চলমান। তবে আইসিজের মামলার একটু আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। আইসিজে জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, মামলার রায় বাস্তবায়নে পরবর্তীতে জাতিসংঘর সাহা
রাতপরী (গল্প)
Sourav Mitra
‘কপাল মানুষের সঙ্গে সঙ্গে যায়। পালানোর কি আর উপায় আছে!’- এই সপ্তাহে শরীর ‘খারাপ’ থাকার কথা। কিন্তু, কিছু টাকার খুবই দরকার। সকালে পেট-না-হওয়ার ওষুধ গিলে, সন্ধেয় লিপস্টিক পাউডার ডলে প্রস্তুত থাকলে কী হবে, খদ্দের এলে তো!
রাত প্রায় একটা। এই গলির কার্যত কোনো জীবনযাত্রা নেই। ঘুণধরা জীবনগুলি স্মৃতিরও অতীত সময় থেকে যেন এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। তেলচিটে বিছানা। কালী, দুর্গা, বোম্বাইয়া নায়িকার ছবি আঁটা চুন-ঝরা দেওয়ালের খুপরিগুলির জলবায়ু চিরকালই স্যাঁতসেঁতে। ইতিহাস সবারই উনিশ-বিশ। কান পাতলে দীর্ঘশ্বাসদের ব
রাত প্রায় একটা। এই গলির কার্যত কোনো জীবনযাত্রা নেই। ঘুণধরা জীবনগুলি স্মৃতিরও অতীত সময় থেকে যেন এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। তেলচিটে বিছানা। কালী, দুর্গা, বোম্বাইয়া নায়িকার ছবি আঁটা চুন-ঝরা দেওয়ালের খুপরিগুলির জলবায়ু চিরকালই স্যাঁতসেঁতে। ইতিহাস সবারই উনিশ-বিশ। কান পাতলে দীর্ঘশ্বাসদের ব
রাতপরী (গল্প)
Sourav Mitra
‘কপাল মানুষের সঙ্গে সঙ্গে যায়। পালানোর কি আর উপায় আছে!’- এই সপ্তাহে শরীর ‘খারাপ’ থাকার কথা। কিন্তু, কিছু টাকার খুবই দরকার। সকালে পেট-না-হওয়ার ওষুধ গিলে, সন্ধেয় লিপস্টিক পাউডার ডলে প্রস্তুত থাকলে কী হবে, খদ্দের এলে তো!
রাত প্রায় একটা। এই গলির কার্যত কোনো জীবনযাত্রা নেই। ঘুণধরা জীবনগুলি স্মৃতিরও অতীত সময় থেকে যেন এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। তেলচিটে বিছানা। কালী, দুর্গা, বোম্বাইয়া নায়িকার ছবি আঁটা চুন-ঝরা দেওয়ালের খুপরিগুলির জলবায়ু চিরকালই স্যাঁতসেঁতে। ইতিহাস সবারই উনিশ-বিশ। কান পাতলে দীর্ঘশ্বাসদের ব
রাত প্রায় একটা। এই গলির কার্যত কোনো জীবনযাত্রা নেই। ঘুণধরা জীবনগুলি স্মৃতিরও অতীত সময় থেকে যেন এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। তেলচিটে বিছানা। কালী, দুর্গা, বোম্বাইয়া নায়িকার ছবি আঁটা চুন-ঝরা দেওয়ালের খুপরিগুলির জলবায়ু চিরকালই স্যাঁতসেঁতে। ইতিহাস সবারই উনিশ-বিশ। কান পাতলে দীর্ঘশ্বাসদের ব
বিনম্র শ্রদ্ধা অজয় রায়
বিপ্লব রহমান
একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অজয় রায় (৮৪) আর নেই। সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অধ্যাপক অজয় দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে মুক্তমনা ব্লগার-বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জঙ্গিরা কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অভিজিতের স্ত্রী, আরেক মুক্তমনা ব্লগার বন্যা আহমেদও জঙ্গি হামলায় আহত হন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই ব্লগ
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে মুক্তমনা ব্লগার-বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জঙ্গিরা কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অভিজিতের স্ত্রী, আরেক মুক্তমনা ব্লগার বন্যা আহমেদও জঙ্গি হামলায় আহত হন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই ব্লগ
আমাদের চমৎকার বড়দা প্রসঙ্গে
Simool Sen
ইয়ে, স-অ-অ-অ-ব দেখছে। বড়দা সব দেখছে। বড়দা স্রেফ দেখেনি ওইখানে এক দিন রাম জন্মালেন, তার পর কারা বিদেশ থেকে এসে যেন ভেঙেটেঙে মসজিদ স্থাপন করল, কেন না বড়দা তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুম ভাঙল যখন, চোখ কচলেটচলে দেখলেন মস্ত ব্যাপার এ, বড়দা বললেন, ভেঙে ফেলো মসজিদ, জমি ছিনিয়ে লাও, ওখানে মন্দির ছিল আর মন্দিরই হবে। দেশসুদ্ধু লোকের অবশ্য এত চমৎকার দিব্যদৃষ্টি ছিল না, তারা মৃদু স্বরে কুঁইকুঁই করে বলতে গেল, ইয়ে মানে চোখে তো দেখলাম না। বড়দা ঠাণ্ডা গলায় বললেন, বাবু, যা বলছি মেনে নে না। মন্দির ছিল, মন্দিরই হবে। ওখানে শা
ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ?
Samrat Amin
যেকোন নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে সামনে আসার পর নাগরিক হিসাবে আমাদের একটা ঈমানি দায়িত্ব থাকে। দায়িত্বটা হল অভিযুক্ত ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির দাবি করা। কঠোরতম শাস্তি বলতে কারোর কাছে মৃত্যুদন্ড। কেউ একটু এগিয়ে ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার কথা বলে। আবার কেউ আরও একটু এগিয়ে ধর্ষককে কুচিকুচি করে কেটে নুনলঙ্কা মাখানোর বিধান দেন । কাল একটা গ্রুপে দেখলাম একজন অতি দরদী নাগরিক বলেছে "শ্লা রেপিষ্টের মা বোনকে রেপ করা হোক, তবেই রেপিষ্ট বুঝবে জ্বালা"। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর 'প্রতিবাদ' করতে গ