ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ। ইংরেজ আমল। 1854 সালের বড়ি বন্দর থেকে থানে পরীক্ষামূলক ট্রেনের পরে ট্রেন লাইন পাতা হচ্ছে দেশের দিকবিদিকে। 1870 সালে পাতা হয়েছে হাওড়া এলাহাবাদ মুম্বাই লাইন। জুড়ে গেছে ভারতের দুই প্রান্ত। সেই সময়ে কোলহাপুর থেকে কলকাতায় বদলী হয়ে এলেন পোস্টমাস্টার গোপাল বিনায়ক জোশী। চৌঠা এপ্রিল। 1881। সঙ্গে ষোল বছরের বৌ। আনন্দী। সে বছরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে চেয়ে আবেদন করলেন দুটি কন্যা। ডি আবরু আর অবলা বোস। অনুমতি না পেয়ে তারা চলে গেলেন মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজে। মেয়েদের জন্য তারা দরজা খুলেছে 1875 সালে। আমাদের গল্পের আরেক কন্যা কাদম্বিনী তখন বেথুনের বি এ ক্লাসের ছাত্রী। অঙ্ক নিয়ে লড়াই চলছে। কে বলেছে মেয়েরা অঙ্ক পারে না?
কমিউনিস্ট বলতে জনমানসে এক বিচিত্র স্টিরিওটাইপ রয়েছে। তারা দুর্নীতিমুক্ত সৎ হবে, তারা বহুজনহিতায় জীবন উৎসর্গ করবে, তারা সর্ববিষয়ে আদর্শ হবে, তারা প্রতিস্রোত হবে, নীরব সেবাব্রতী হবে ইত্যাদি প্রভৃতি। সমস্যা হল সর্বগুণে গুণান্বিত সিপিএমের এই নব্যপ্রজন্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে নি। ফলে এই বিচিত্র স্টিরিওটাইপ তাদের অধিগতও নয়, আকাঙ্ক্ষিতও নয়। তারা অনেক বেশি বাস্তববাদী।
বোম্বের ক্যান্সার-কলোনিতে জীবন-মৃত্যুর মাঝে আটকা পড়েছে শৈশব। মৃত্যুই কি জীবনের শেষ, জীবনের পরিণতি? নাকি, তারপরেও
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ কিস্তিতে উঙ্গেরেঙ্গেরি নদী পার হয়ে মিকেসেহে নামের একটি গ্রামের অভিমুখে যাত্রার কথা। তরজমায় স্বাতী রায়।
খানা-সংস্কৃতি ভাই! ইদানীং ফ্যাশন ওইটাই! শুধু খেলে হাঁসফাঁস করে হবেনি কো, জানতে হবে ইতিহাস, ঝাড়তে হবে দেরিদা-ফুকো! কিন্তু যদি উলতো গাই? এ বাজারে এট্টু অপোসংস্কিতি ফলাই! রাখুন ও সব লবচবানি, রাঁধুন মাটন কেওরামি! কে বলে তাতে পড়বে ঢিঢি? রেসিপি দাতা স্বয়ং ডিডি
পঞ্চদশ ষোড়শ শতকের এক আশ্চর্য কুকবুক সুপশাস্ত্র। খিচুড়ির খোঁজে সেখানে আমাদের প্রবেশ করতেই হবে। কিন্তু তার আগে একটু সাঁতার ঘোর রহস্যময় সংস্কৃত শব্দ ‘সুপ’-এর সরোবরে। সত্যে ডুব দিয়ে কিছু মিথ ভাঙা দরকার। আর সেই সন্তরণেই আমরা পেয়ে যাই ভোজ কী হওয়া উচিত বাল্মীকি রামায়ণে তার আশ্চর্য সংজ্ঞা। নীলাঞ্জন হাজরা
শুরু অনেক আগেই হয়েছে। সে কারণেই সম্ভবত গুজরাট দাঙ্গার সময়ে যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেই কে আর নারায়ণন অবসরের পর বলেছিলেন, তিনি সব থেকে বেশি পীড়িত হয়েছিলেন এটা দেখে যে, এত বড় একটা গণহত্যা ঘটে গেল, সারা দেশ ছিল প্রায় নীরব। সেই সাক্ষাৎকারে ইউটিউবে যে কেউ দেখে নিতে পারেন।
এই যে বিভিন্ন দল এলজিবিটিকিউদের নিয়ে কথা বলে, তারা নিজেরা কতটা আন্তরিক? আপনি বলতেই পারেন, খেতে পেলে শুতে চায়। রাজনৈতিক সমাবেশে খান দুই রামধনু পতাকা ওড়াতে দিয়েছি, একজন বক্তা এলজিবিটিকিউদের জন্য একটা বাক্য বলেছেন, এই না কত। এটুকুই বা কে করে?
মানসিক প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে পুলিশ প্রথমত অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে, দ্বিতীয়ত অনেক সময় আদৌ নেওয়াই হয় না। পুলিশ চায় আপোষ মীমাংসা করে নেওয়া হোক, ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিটিয়ে ফেলা হোক। সুতরাং পুলিশি চিন্তা ভাবনারও বদল চাইছেন ওঁরা। চাইছেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।
কৌশিক মজুমদার লিখিত তোপসের নোটবুক বইটির আলোচনা।
কবি, গণসংগীত শিল্পী কফিল আহমেদ যেমন বলেন, "আধুনিক কালের আধিপত্যের মুখে প্রাকৃতজনের জীবনের অনেক গভীর সত্যই যে আজ তছনছ হয়ে গেছে। এতো কিছু হারাবার কালে মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের একশত বিশ/বাইশ বছর বয়সী জনিক নকরেক আচ্চু আজো তাঁর প্রাকৃত সাংসারেক জীবনধারায় অটল। প্রত্যয়ী। মধুপুরের চুনিয়া গ্রামের এই প্রবীন কিংবদন্তির বিশ্বাস আর মূল্যবোধকে নিয়ে চলচ্চিত্রভাষ্য 'গিত্তাল মি আচ্ছিয়া '।"
উপরে উদ্ধৃত কথাগুলি বলেছিলেন গালিলিও। বিজ্ঞানের অগ্রগতির এক মাইলফলক। তাঁরও পূর্বে মধ্যযুগ থেকে একেবারে আধুনিক কাল পর্যন্ত সে অগ্রগতির রূপরেখা দু-মলাটে ধরা সহজসাধ্য নয়। বাংলায় তো তেমন বই দুর্লভ। সেই বিরল সাধ্যসাধন করা হয়েছে একটি বইয়ে। তাও সাধরণ পাঠকের বোধগম্য সহজ ভাষায়। পড়লেন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
শ্রেষ্ঠ হিন্দি সাহিত্য অতি ক্ষুদ্র অংশেই পৌঁছোয় বাঙালি পাঠকের কাছে। তরজমার অভাবে। যদিও বহুধা প্রবাহিত সেই সাহিত্য প্রায়শই আন্তর্জাতিক সেরা সাহিত্যসৃষ্টির সঙ্গে তুলনীয়। গত শতকের প্রথম ছয় দশকে জন্ম, এমন নয় লেখকের এক ডজন গল্পের তরজমা। পড়লেন সাহিত্যিক ও তরজমাকার তৃষ্ণা বসাক
কার্ল মিকেল। জার্মানির সাহিত্যিক। কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক। শৈশব-কৈশোর কেটেছে নাৎসি দল ও হিটলারের উত্থান ও শাসনকাল দেখে। দেখেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা—নিজের শহর ড্রেসডেনের বোমারু বিমান-হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া। যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্বে দেখেছেন পূর্ব জার্মানিতে দমবন্ধ-করা সোভিয়েত-রাশিয়া সমর্থিত কমিউনিস্ট শাসন। তাঁর কবিতা পড়লেন ও জার্মান থেকে তরজমা করলেন কবি হিন্দোল ভট্টাচার্য
এতো সমৃদ্ধ এবং এতো প্রাচীন ভাষার নিজস্ব কোন লিপি নেই। সংস্কৃতের কন্যা নয়, অতএব উত্তরভারতীয় ভাষাগুলোর মতো দেবনাগরী-সম্ভূত লিপি গড়ে ওঠেনি সাঁওতালি ভাষার জন্যে। লিপিহীন এই কথ্য ভাষা তাই হোঁচট খেতে খেতেই চলতে বাধ্য হচ্ছে ভারতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতির জগতে। এই অবস্থার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালাচ্ছেন ভাষাবিদ এক শিক্ষিত লড়াকু সাঁওতাল, তাঁর নাম রঘুনাথ মুর্মু। শুধু লিপি তৈরি করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, ছাপাখানার কাজ শিখে, একটা একটা করে তৈরি করেছেন সাঁওতালি অক্ষর – জন্ম নিয়েছে অলচিকি লিপিমালা। তাঁর একনিষ্ঠ শিষ্যদের মধ্যে জলধর একজন, সে সাঁওতালি এবং বাংলা, দুটি ভাষাতেই সমান স্বচ্ছন্দ, দুটি ভাষাতেই কবিতা লেখে। রঘুনাথ নামে একটি মাসিক পত্রিকা চালায় সে, পত্রিকাটি দ্বিভাষিক – সাঁওতালি আর বাংলা – সে-ই সম্পাদক এবং প্রকাশক। এই পত্রিকায় মাঝে মাঝে লেখে নিলীন এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহকর্মী কয়েকজন।
পরের দিন সকালে কারারক্ষীরা বুড়োকে ছুটি হয়ে যাবার আদেশ শুনিয়ে বাইরে নিয়ে যাবার জন্য এল। তারা তাকে বিছানার এককোণে বিধ্বস্ত, এলোমেলো, অবস্থায় আবিষ্কার করল৷ সঙ্গে বদ্ধ উন্মাদের মত বুনো চাউনি। ডান হাতের আঙুলগুলো দিয়ে কিছু একটা গণনা করছিল সে, আর বাঁ হাতটা অনবরত এদিক সেদিক ঘোরাচ্ছিল৷
যে কোনও সময়কালে, যে কোনও প্রেক্ষাপটে সত্যিকারের প্রেম বা ট্রু লাভ সবসময় লারজার দ্যান লাইফ। নাহলে সেটা প্রেমই নয়, সম্পর্কের সমঝোতা মাত্র। ওয়েব সিরিজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমে, প্রেম যদি এভাবে, এত ঠুনকো হয়ে ধরা দেয়, তবে তা দুশ্চিন্তার।
সব একসময় কোনসময় লাইন হয় বিচ্ছেদ পেতে স্ট্যাম্প পেতে বালুঘড়ি নৌকাসফরেও প্রতিশব্দ অভিধান নেই অমিল একটা কাটাকুটি ঘর সুডোকু হচ্ছে না হাওয়া ভর্তি প্যাকেট ফাটিয়ে কটা ছড়ানো খাওয়া ফুলফল এই ভাঙা লেটারবক্স ছোঁয়া বিসিসিতে কয়েক লাইন মাত্র নীল গোলাপি পিল জড়িয়ে সাদাকালো ধূসর নোঙর পোঁতা পোর্ট পোর্ট পোর্ট পোর্ট পোর্ট একটা লক ডাইরি বন্ধ দেখা শতকরা শতাংশ ভগ্নাংশ মোরামজমা ঘষা স্ফটিক হাউই উড়ছে ক্যালেন্ডার লগঝোলা নতুন চাদর মাঠ বারান্দা বাঁধা জল ভাঙছে থিসিস ডিফেন্ড কীভাবে করা যাবে?
১৯৭৬ সালের ২৬ নভেম্বর। বাঁকুড়ার ছোট্ট মফস্সল শহর বিষ্ণুপুর থেকে বিশ্বভ্রণে বেরিয়ে পড়লেন দুই তরুণ। আফ্রিকা। একজন হাল ছাড়েন কিছু পরেই। অন্যজন চলতে থাকেন—১৭ বছর। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। ১৫৪ টি দেশ। আজও এ কীর্তিতে তিনি অদ্বিতীয়।এই প্রথম দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সে পরমাশ্চর্য সফরের অনুপুঙ্খ কাহিনি শোনাচ্ছেন জয় মণ্ডল। আলাপে নীলাঞ্জন হাজরা
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ কিস্তিতে কিসেমো নামের একটি গ্রামের অভিমুখে যাত্রার কথা। তরজমায় স্বাতী রায়
এখানে খিচুড়ি থেকে দু-দণ্ড সরে ঘিয়াৎশাহি সুলতানের হেঁশেলের ‘ভাত’ নিয়ে একটু চর্চা করার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছি না। এ কেতাবে যেসব বৈচিত্র্যময় ‘ভাতের’ কথা আছে তা ভেতো বাঙালিকে পদে পদে অপ্রস্তুত করবে! যেমন, চিনি মেশানো গোলাপজল কিংবা গোলাপ-গন্ধী চিনি (গুলশকর) দেওয়া ভাত, জংলি আঞ্জির দেওয়া ভাত, তালমিছরি দেওয়া ভাত, ‘দুটি সোনার মোহরের মাপে চাকা চাকা করে কাটা দশটি কলা আর দুই শের কিশমিশ দেওয়া ভাত’, সেঁকা ছোলা আর সেঁকা তিল দেওয়া ভাত, দুঘ কিংবা রস কিংবা সুগন্ধি জল কিংবা কুমড়োর রস মেশানো ভাত, সেঁকা তিল, মেথি, এলাচ, লবঙ্গ, লেবুর রস, নুন, ঘি এবং ঘিয়ে ভাজা হিং দেওয়া ভাত, দুঘ আর রসুন দেওয়া ভাত, বড়ি, মাংস আর লেবু দেওয়া ভাত, টক কমলার রস, কুমড়োর রস, লেবুর রস, মিষ্টি কমলার রস, পোমেলোর (সদাফল) রস কিংবা কামরাঙার রস মেশানো আলাদা আলাদা কিসিমের ভাত…
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখিত রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি বইটির আলোচনা।
কিছু লোককে আপনাকে জাস্ট জমি চাষ করার থেকে বাইরে বার করতে হবে। সেটা ঠিকই। কিন্তু তাদের আপনি ইন্ডাস্ট্রিতে এনে চাকরি দেবেন এটা আপনি অত্যন্ত বোকা বা কাণ্ডজ্ঞানশূন্য না হলে বলবেন না।
মনে করা যাক আজ থেকে ৫০০ বা ১০০০ বছর সেই সময়ের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা ধর্মীয় পরিস্থিতিতে যে নিয়ম তৈরি হয়েছিল তা আজকের বহু বহুগুণ বদলে যাওয়া সমাজে কেন মেনে চলতে হবে সে প্রশ্ন তোলা বা তা নিয়ে তর্ক করাটাও অনিয়মের মধ্যে পড়ে। ক্লাস টুর বাচ্চাটার গল্প থেকে একটু সরে আসা হয়েছে, তার কথাও এখানেই শেষ হতেই পারত, তবে কিনা এটা তো ঠিক গল্প নয়, তাই একটা "তার পর" রয়েছে। তবে আপাততঃ ওই শিশুর ছোট্ট জীবনে যে নতুন নিয়মটা যোগ হল তা হচ্ছে প্রশ্ন করতে নেই। আর বৃহত্তর সমাজে এরই অনুসিদ্ধান্ত হল প্রশ্ন করতে দিতে নেই।
সেডিজম্ ও সরস্বতী পুজোর খিচুড়ি প্রসঙ্গে
প্রথম যে জিনিসটা বোঝা দরকার, সেটা হচ্ছে ভারতবর্ষের কৃষির কোনো স্ট্যান্ডার্ড ফর্ম নেই। ভারতবর্ষের কৃষিব্যবস্থা প্রত্যেক জায়গায় বেশ কিছুটা আলাদা। যেমন ধরুন কেরালা। কেরালায় প্রায় প্রত্যেক কৃষকেরই একটা করে হোমস্টেড ল্যান্ড আছে। সবথেকে বোধ হয় বড় কাজ, যেটা সিপিএম গভর্নমেন্ট করেছিল সেটা হচ্ছে হোমস্টেড ল্যান্ড দেওয়া। ওয়েস্টবেঙ্গলে তার যে করেস্পন্ডিং কাজটা সিপিএম করেছিল, সেটা হচ্ছে গিয়ে যেটাকে বলে ওই জমিতে ভাগচাষিদের সত্তা দিয়ে দেওয়ার কথা। আমি যে সময়টায় ঘুরে দেখেছিলাম সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল নকশাল আন্দোলনের, পরে যাতে ভাগচাষিরা শুধু তাদের ভাগ পায় এমন নয়, তাদের জমিতে মোটামুটি একটা থাকার ব্যবস্থা হয়। আমি তখন প্রথম লক্ষ করি, আমার তখনকার কিছু পুরোনো ছাত্র, আমার প্রথম জেনারেশন ছাত্র, যাদের মধ্যে কয়েকজন তখন মন্ত্রীও ছিল, এদের কৃষি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
"সারা বাংলা জুড়ে যেভাবে ফ্যাসিস্ত আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াই। আগামী দিনে এই আন্দোলনকে আমরা কলকাতার বাইরে অন্যান্য জেলা ও গ্রামে পৌঁছে দিতে চাইছি প্রবলভাবে। এই দুঃসময়ে আমরা গুটিকয়েক সাংস্কৃতিক কর্মী ফ্যাসিবাদী হামলাকে প্রতিহত করতে পথে নেমেছি।"
নারী, পুরুষ, ছেলে, বুড়ো সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে ,কাঁদছে, আর্তনাদ করছে, ছবি তুলছে, শেয়ার করছে, লাইক দিচ্ছে ,কমেন্টস করছে কিন্তু কেউ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করছে না।
মাতৃভাষার সঠিক সংজ্ঞা নিয়ে ভাষাতাত্ত্বিকদের মধ্যে নানারকম বিতর্ক আছে। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তির প্রথম বুলিকেই তার মাতৃভাষা বলা যায়, তাহলে এই মহিলার মাতৃভাষা বাংলা। বাড়িতে বাবা এবং মায়ের সঙ্গে উর্দু এবং ইংরেজিতে কথা বললেও চট্টগ্রামে বাড়ির কর্মচারীদের কাছে বড় হওয়ায় এঁর প্রথম বুলি কিন্তু বাংলাতেই ফোটে।
বিশেষভাবে সক্ষম, ভিন্নভাবে সক্ষম বা "দিব্যাঙ্গ" —এর মধ্যে তো প্রকাশ পায় প্রতিবন্ধী মানুষদের এক উঁচু পেডেস্টালে তুলে দেওয়ার মনোভাব। প্রতিবন্ধীমাত্রই তার কিছু বিশেষ ক্ষমতা, ভিন্ন ক্ষমতা, দৈব ক্ষমতা ইত্যাদি থাকতে হবে। কারো যদি তেমন ক্ষমতা থাকে থাকুক, আপত্তি নেই, আমার তো নেই। হলফ করে বলতে পারি, অধিকাংশ প্রতিবন্ধী মানুষদেরই তেমন কোনো দৈব ক্ষমতা নেই। তবে কেন এই চাপিয়ে দেওয়া বিশেষণ?
যদিও রবীন্দ্রনাথকে ‘ভক্তি’র কবি বলা যায় না, তবু ‘ভক্তি’র সঙ্গে তাঁর যোগ কি অস্বীকার করা যায়? ছেলেবেলায় তিনি তুকারাম তরজমা করেছিলেন। মধ্যবয়সে করলেন কবির, ইভলিন আন্ডারহিল-এর সঙ্গে ইংরেজিতে। বিদ্যাপতির বেশ কিছু মৈথিলি পদও একসময় করেছিলেন। দুটি শিখ ভজন আছে তাঁর গানে অনূদিত। ‘গুরুগ্রন্থসাহেব’-এর একটি পদও বলা হয় তাঁর করা। অনুবাদ ছাড়াও তাঁর গভীর বোধ আছে ‘ভক্তি’ নিয়ে, বিশেষ করে কবির ও নানক নিয়ে। অতএব, তাঁর উনিশ শতক সঞ্জাত ও ক্রমান্বিত অভিজ্ঞতায় জারিত যে-আধুনিকতা তার সঙ্গে বোধকরি কোনো বিরোধ নেই ঐতিহ্যের।
আমরা ইদানীং যে নতুন যুগে পৌঁছেছি সেখানে এক নতুন বিজ্ঞানচেতনার সামনে আমাদের নিয়মিত দাঁড়াতে হচ্ছে। নারী সেখানে প্রায়শই ব্রাত্য। মহিলাদের শরীর নিয়ে অন্য আখ্যান তৈরি হচ্ছে, যেখানে সেটা বর্জ্য বস্তু হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। আবার নতুন প্রযুক্তি মহিলাদের হাতে তুলে দিচ্ছে এমন ব্যবস্থা যাতে নিজেই তারা নিজেদের অন্তরালবাসিনী বানিয়ে তুলতে পারে। লেখকর কথায় ‘প্রযুক্তি মেয়েদের হাতে তুলে দিচ্ছে নিজেদের শরীর নিয়ে ইচ্ছেমতো খেলার সুযোগ।’
ইনেশের কথায়—“আমরা যারা ঔপনিবেশিক যুদ্ধের হিরো আর বিশ্বায়ন-পরবর্তী স্টারদের মধ্যে সান্ডুইচ-প্রজন্মের, সেই আমরা যে যুগে ছোটো ছিলাম, পাত্তা না পাওয়াটাই ছিল আমাদের মন্দের ভালো। আমাদের পাত্তা পাওয়াটা কখনোই ভালোর জন্য হত না; আমাদের ভাগ্যে কোনো পুরস্কার জোটেনি; ঠিক আগের আর ঠিক পরের প্রজন্মের লেখকদের তুলনায় আমরা খুবই কম পুরস্কৃত হয়েছি।”
বাংলাদেশের কুইয়ার সম্প্রদায় দেশের অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা; নানা সামাজিক আর আইনী বাধাবিপত্তির মধ্যেই তাদেরকে জীবনধারণ করতে হয়। দেশে এমন কোন আইন বর্তমানে নেই যা এই সম্প্রদায়ের মানুষজনকে সামাজিক বিদ্বেষ-ঘৃণা আর নানা হয়রানির থেকে সুরক্ষা দেয়; উল্টো, যে আইনগুলো আছে সেগুলো এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সুরক্ষার শেষ সম্ভাবনাটুকুকেও নষ্ট করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কুইয়ার মানুষদের অনলাইন নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। এমনিতেই তাদের ডিজিটাল জীবন অত্যন্ত গোপনীয় এবং সংকুচিত; এর মধ্যে থেকেই তারা এতদিন ধরে কুইয়ার অধিকারের যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, এই আইন তার পথকেও রুদ্ধ করে দেয়।
আমি আর ঠাকুমা পা চালিয়ে সাহাপাড়া ছেড়ে গৌর-নিতাই আঙিনার দিকে এগোই। রাস্তার দু-পাশে তাঁতঘরে মাকুর টানা ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে। বসাকপাড়া ঢুকতেই পিসিঠাকুমার আঙিনা দেখা যায়। ওই তো কুটিপিসি উঠোনে চরকি নিয়ে বসে গেছে। কুটিপিসির কাছে এলেই সোনালি জরির ভাঙা ববিনটা আমার হয়ে যায়।
মনে পড়ে গেল পরের কথা। বলেই নিই। এখন ফেব্রুয়ারি চলছে। ২১ আসছে। আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা দিবস। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতার আগে যত না বাংলাচর্চা ছিল, এখন তা কমেছে। ক্রমশ কমেছে। বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ব কম আমাদের এখানে যত সরকার এসেছে, সকলের। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, বা বর্তমান সরকার কেউ বাংলা ভাষাকে আলাদা ভাবে মর্যাদা দেয়নি। ১৯৯৩ সাল ছিল বাংলা ১৪০০ সালের আরম্ভ। নতুন শতাব্দী। আমরা একটি আন্দোলন করেছিলাম, সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহার, কলকাতা সহ সমস্ত পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষা স্কুলশিক্ষায় আবশ্যিক করা, বাংলা ভাষাকে দূরদর্শনে হিন্দি ও অন্য ভাষার সম-মর্যাদা দেওয়া। তখন কেবল টিভি আসেনি। দূরদর্শন ভরসা। দূ্রদর্শনে বাংলার সময় কমিয়ে দিয়ে হিন্দির আধিপত্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই আন্দোলনের কথা লিখিত থাকা উচিত। আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক আশিস ঘোষ, এবং সমাজকর্মী রতন বসু মজুমদার ছিলেন আন্দোলনের নেতৃত্বে। আমি ছিলাম, আফসার আমেদ ছিলেন, প্রবুদ্ধ মিত্র, কবি গৌতম চৌধুরী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সব নাম এখন আর মনে নেই। ভাষা শহিদ স্মারক সমিতির উদ্যোগে এই আন্দোলন। আমরা দূরদর্শনের সামনে ধর্না দিয়েছিলাম মঞ্চ বেঁধে। স্মারকলিপি প্রদান করেছিলাম। দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে একটি অপূর্ব অনুষ্ঠান করেছিলাম। সেখানে আমজাদ আলি সরোদে ‘আজি বাংলা দেশের হৃদয় হতে কখন আপনি…’ বাজিয়ে মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন। এই আন্দোলন সমস্ত কলকাতায় ছড়িয়ে গিয়েছিল। আমি শিয়ালদা স্টেশনে পথসভায় বক্তৃতা করেছিলাম। আমাদের আন্দোলনের চাপে সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের এক উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তখন আমি আলিপুরে চাকরি করি সদর মহকুমা ভূমিসংস্কার আধিকারিকের দপ্তরে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (বর্তমান মুখ্যসচিব) ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলা শাসক ( ভূমি সংস্কার )। । তাঁর একটি অসামান্য গুণ, এক ঘণ্টা বক্তৃতা দিলেও একটিও ইংরেজি বা অন্য ভাষার শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এই কাজের দায়িত্ব। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি তাঁর সঙ্গে এই কাজে যুক্ত হতে চাই কি না। যুক্ত হয়েছিলাম। আমাদের প্রথম কাজ ছিল পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ব্লক অফিসে কত বাংলা টাইপ রাইটার লাগতে পারে এই কাজের জন্য, তা হিসেব করা। কম্পিউটার আসেনি তখন। তারপর পরিভাষা তৈরি। বাংলাদেশে পরিভাষা তৈরি আছে, তার সাহায্য আমরা নিতে পারি। কত মিটিং করেছি আমরা। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরেও গিয়েছি। তারাপদ রায় তখন ডিরেকটর অফ কালচার। তিনিও পরামর্শ দিতেন। কাজ অনেকটা এগিয়েছিল। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজে আমাকে যুক্ত করে রাইটার্স বিল্ডিং থেকে আদেশনামা বের করতে উদ্যোগী হলেন। এক সকালে অফিসে গিয়ে শুনি এডিএম (এলআর) আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এডিএম (জেলা পরিষদ) করে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
সুদেশের বাড়ি সারপেন্টাইন লেনে। মিনিট তিনেক হেঁটেই ওরা পৌঁছিয়ে যায়। ঠিক এরকম বাড়ি কখনও দেখেনি জয়ি। ছোট দরজাটা প্রায় রাস্তার ওপর। সেটা দিয়ে ঢুকলে সামনেই একটা সিঁড়ি। সিঁড়িটা সিমেন্টের, যথেষ্ট অপরিসর, এবং পুরোপুরি শুকনো নয়। সিঁড়িটার আংশিক ভিজে থাকার কারণটা বুঝতে সময় লাগে না। সিঁড়ির পাশেই একটা খোলা জায়গা, জায়গাটা ভিজে, এবং সেখানে দু-তিনটে লোহার বালতি। খোলা জায়গাটার শেষে প্লাস্টার-খসা যে দেয়ালটা ওপরে উঠে গেছে, রং-চটে যাওয়া সেই দেয়ালের নীচের অংশে খানিকটা ক্ষয়ে যাওয়া একটা দরজা। বোঝা যায় ওটার ভেতরটায় স্নান করার জায়গা, যেখানে কোন জানলা আছে বলে অন্তত বাইরের থেকে বোঝা যায় না। খোলা জায়গাটা ভেজা কেন, এবং কেনই বা ওখানে বালতিগুলো, সেটা বোঝা যায় এবার।
সব ছবি দেখার পর সে একটি ছবি খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো৷ ছবিটার গভীরতা দেখে যেন পাথর হয়ে গেল কিছুক্ষণের জন্য৷ নরকের দৃশ্যায়নের ছবি৷ কুৎসিত মুখশ্রীর শয়তান উপভোগ করছে কোন এক পাপীর উপর অত্যাচারের ভয়ঙ্কর দৃশ্য, যে নিজে তার জীবনকালে নানা পাপে নিমজ্জিত ছিল৷
ধর্ম যেরকম, কেউ চাইলে মুসলমান থেকে হিন্দু হতে পারে কোর্টে গিয়ে কাগজপত্রের বিধান নিয়ে। তারপরে ধরুন কেউ ভারতীয় থেকে ক্যানাডিয়ান হয়ে যেতে পারে যেমন অক্ষয় কুমার হয়েছে। কেউ আবার ব্রিটিশ থেকে ভারতীয় হয়ে যেতে পারে, যেরকম এককালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী জেবিএস হ্যাল্ডেন হয়েছিলেন। কিন্তু বাঙালি থেকে মাড়োয়ারি হওয়ার কোন কাগজ হয় না কারণ এটা অসম্ভব, তাই বাঙালি হচ্ছে একটি জাতি।
যদি নিজের জাতির হয়ে কথা বলা প্রাদেশিকতা হয়, তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যাঁরা লড়েছেন, তাঁদের কেউ বিপ্লবী বলেছেন, কেউ আতঙ্কবাদী, সুতরাং ওতে কিছু যায় আসেনা।
গোড়াতেই বলে নিই বাঙালি তিনটে সেগমেন্টে বিভক্ত, ভদ্রলোক ছোটলোক এবং মুসলমান। সেটা কিন্তু যেহেতু ছোটলোক শ্রেণির অন্তর্গত যে বাঙালি, তাদের কাছে বাঙালির ধারণা খুব অপরিষ্কার, বিশেষ করে এই ছোটলোক এবং মুসলমান দুই ধরনের বাঙালির কাছেই।
দেবারতি মুখোপাধ্যায় লিখিত গ্লানির্ভবতি ভারত বইটির আলোচনা।
সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল- এই সবকিছুর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি মানুষ হিসাবে এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি হয় না। বাংলায় কংগ্রেস আমলের কথা ছেড়েই দেওয়া যাক। কেন্দ্রেও ইউপিএ সরকার থাকাকালীন এমন বহু কাজ হয়েছে যা সমর্থনযোগ্য নয়। বাংলায় বাম আমলে বহু নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। মরিচঝাঁপি, বানতলা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে গণআন্দোলনে শুধু গুলি চালনা নয়; "শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান"-র যে মডেল সিপিএম সমর্থকরা এখনও দিয়ে থাকেন; তার সঙ্গেও বিন্দুমাত্র একমত নই। তৃণমূল সরকারের আমলেও লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গণআন্দোলনের কর্মীদের ওপরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে। তাই এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি নেই। কিন্তু বিজেপিকে ভোটের ময়দানে আটকানোর প্রবৃত্তি আছে। কারণ যাই হয়ে যাক না কেন; সিপিএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল- এরা কেউ ফ্যাসিস্ট নয়।
প্যারিস। শুধু ছবির দেশ, কবিতার দেশই নয়। চমকে দেওয়া আভঁ গার্দ নাটকের দেশও। তেমনই নাট্যকার আরিয়ান মুশকিন। আজব তাঁর নাট্যশালা। সবাইকে সব কাজ করতে হয়। শৌচালয় পরিষ্কার, আহার প্রস্তুত, পোশাক বানানো, নিজেদের সাজিয়ে তোলা, মহড়ায় থাকা আর মঞ্চ নির্মাণ, সব কর্মে পটু হওয়া আবশ্যক। পোশাকি নাম—Theatre du Soleil। সূর্যের থিয়েটার। হিরণ মিত্র
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনি। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। এ কিস্তিতে এম্সুওয়া নামের একটি গ্রাম পর্যন্ত যাত্রার কথা। তরজমায় স্বাতী রায়