লোকসভায় বিজেপির মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ছয় থেকে কমে একে নেমেছে। এই প্রায় মুসলিমহীন প্রার্থী তালিকা বিভিন্ন হিন্দু জাতিগুলোর প্রতিনিধিত্বে সাহায্য করে, কিন্তু বাস্তবে কি সেটা হচ্ছে? ... ...
ভাটিয়ালিতে ১৭৩৩৮ নম্বর পাতায় ১৮.৫.২৪ / ৫:২০তে কেকের একটি অভিমতের প্রেক্ষিতে আমার অভিমত। প্রসঙ্গটি ভাবালো তাই সেই প্রেক্ষিতে কিছু ভাবনা এখানে রাখছি। ভাটে লিখলে অবিরল বিভিন্ন মন্তব্যের সুনামিতে হারিয়ে যাবে। এখানে রাখলে এ নিয়ে কেউ কিছু বললে এক জায়গায় থাকবে ... ...
জগত কি সত্যিই দুটি ভাগে বিভক্ত – মনোজগৎ আর পার্থিব / বস্তু জগৎ? এ যদি সত্যি হয়, তবে ‘মন’-ই বা কী আর পদার্থ-ই বা কী? মনোজগৎ কি পার্থিব জগতের ওপর নির্ভরশীল, নাকি তার কোনো স্বতন্ত্র ক্ষমতা আছে? এই মহাবিশ্বের অস্তিত্বের কি আদৌ কোনো মোক্ষ / মহত্তর উদ্দেশ্য আছে? কোনো বিশেষ লক্ষ্যের দিকে কি এগিয়ে চলেছি আমরা, আমাদের মহাবিশ্ব? ভৌতবিজ্ঞানের সূত্রগুলির কি সত্যিই অস্তিত্ব আছে, নাকি আমাদের অন্তরে গ্রন্থিত শৃঙ্খলার কারণেই আমরা সেই সূত্রগুলি খুঁজে পাই? একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর চোখে মানুষ যেমন—একটি ক্ষুদ্রকায়, নগণ্য গ্রহের ওপর অসহায়ভাবে চরে বেড়ানো, ভেজাল-মেশানো কার্বন আর জলের মিশ্রণ—মানুষ কি সত্যিই তাই? নাকি হ্যামলেট তাকে যেভাবে দেখেছিল, তা-ই মানুষের আসল রূপ? নাকি একাধারে দুই-ই? এ কি সত্য, যে, জীবনধারণের কিছু পথ মহৎ, আর কিছু ইতর? নাকি, সবই রাস্তাই আদতে অর্থহীন? কোনো জীবনযাপন যদি সত্যিই মহত্তর হয়, তবে সে রাস্তার ধরন কেমন, আর আমরা কীভাবে সেই রাস্তায় চলতে পারি? যা ভালো—তা কি অনন্তকালই ভালো, নাকি গুটি গুটি পায়ে অবশ্যম্ভাবী প্রলয়ের দিকে চলতে থাকা এই ব্রহ্মাণ্ডেও ‘ভালো’-কে বেছে নেওয়ার অর্থ আছে? প্রজ্ঞা বলে কোনো বস্তু কি আদতে আছে, নাকি তা মূর্খামিরই পালিশ করা চকচকে রূপ? ... ...
ঘুরতে ঘুরতে এক মেডিটেরিনিয়ান রেষ্টুরান্টে ঢুকে পড়লাম হল্যান্ড এবং বেলজিয়ামের মাঝের এক জায়গায়। বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিল যেমন আমার পায় আর কি কাছেপিঠে ভালো রেষ্টুরান্ট দেখলেই। এই রেষ্টুরান্টের রেটিং আবার ৪.৭ পাঁচের মধ্যে, মানে যা তা ব্যাপার নয় আর কি! খেতে গিয়ে মেনু দেখেই বুঝলুম যা তা ব্যাপার কেন নয়! বিশাল বড় কিছু মেনু নয় তেমন – মাত্র চার পাতার! কিন্তু সেই মেনু পড়ে বোঝে কার কি সাধ্য কি খাবার অর্ডার দেওয়া হচ্ছে! এদিকে ডাচ, ওদিকে ফ্রেঞ্চ এবং মাঝে মাঝে ইংরাজী – একেবারে ডেডলি সব কম্বিনেশন! ... ...
আবারো তন্ন তন্ন করে খুঁজতে আরম্ভ করে দীপ! কিন্তু কোথাও নেই সেই পূর্ণিমা! এক সময় হাল ছেড়ে দিয়ে বিষাদ চিত্তে বিছানায় ঝাঁপ দিয়ে পড়ে দীপ জগটার মত করেই। কিন্তু আর ঘুম আসে না। মাঝে মাঝে ঘড়ির কাটাটার দিকে তাকায় সে, আর ক্রমাগত এপাশ ওপাশ করতে থাকে ঘড়ির কাঁটাটার মত করে, একই তাল ও লয়ে! কিন্তু সূর্যের চোখ খোলার সময় যতই এগিয়ে আসতে থাকে, ঘুমের গাড়ি যেন আরো দূরে সরতে থাকে, আর কপালের ভাঁজগুলি বড় হতে থাকে দীপের! আগামীকালই এমন কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ কাজ অপেক্ষা করছে তার জন্য, স্বাভাবিক শরীরেই যার ধকল সহ্য করা কঠিন! ... ...
আমার হপার পাতায় ভোটুৎসবে ভাট সিরিজে নামিয়ে যাচ্ছি নানা বিক্ষিপ্ত হ্যাজ। ডাইভার্সনের জন্য। এমতাবস্থায় গুরুর মূল ভাটে চোখে পড়লো এটা ... ...
RISE TO VOTE SIR রাত্তির নটার সময়ে আমাদের পাশের গ্রাম ব্রুকউডের কনট এভিনিউর বাড়িতে বাড়িতে বেল বাজিয়ে যখন গৃহ কর্তা বা গৃহ কর্ত্রী ভোট দিয়েছেন কিনা সেটা যখন জানতে চাইলাম , বহু কাল আগে পড়া শরৎচন্দ্র পণ্ডিত বা দাদা ঠাকুরের সেই বিখ্যাত প্যালিনড্রমটি মনে পড়ল -রাইজ টু ভোট সার! উলটো দিক থেকে পড়লেও সেটা রাইজ টু ভোট সার থেকে যায় ! উওকিং কাউনসিলে দশটি ওয়ার্ড (বাইফ্লিট ও ওয়েস্ট বাইফ্লিট ,কানাল সাইড, গোল্ডসওয়ারথ পার্ক, হিথল্যান্ডস, হো ভ্যালি, হরসেল ,ন্যাপহিল, মাউনট হারমন, পিরফোরড ,সেন্ট জনস) মোট ভোটার সংখ্যা সব ওয়ার্ডে প্রায় সমান , টোটাল আশি হাজার ; তিরিশ জন পৌরপিতা ও মাতা , প্রতি বছর দশজন করে নির্বাচিত হন। চার বছরের কার্যকাল, চতুর্থ বছরে ভোট হয় না। যদিও কারো বাড়ি থেকে মতদান কেন্দ্র ৫০০ মিটারের বেশি দূরে নয় , শতকরা চল্লিশ জন কষ্ট করে পোলিং স্টেশনে আসেন কিনা সন্দেহ । ইউরোপের একমাত্র দেশ যেখানে ভোট হয় কাজের দিনে, বৃহস্পতিবারে। ... ...
পুনশ্চর প্রাককথন! সেটা আবার কী মশায়? গেঞ্জির বুকপকেট? নাকি বাইকের সীটবেল্ট? আহা ব্যঙ্গ করেন কেন? মানছি সাধারণত তা হয় না। তবু করতে হচ্ছে। কারণ - পুনশ্চ সচরাচর মূল লেখার থেকে বড় হয় না। তবে যা সচরাচর হয় না তাও তো কখনো হতে পারে। তাই তো বারো হাত কাঁকুড়ের তেরোহাত … বা বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় গোছের প্রবাদ চালু বাজারে। ছয় ইঞ্জিন - তিনশো ওয়াগন - সাড়ে তিন কিমি লম্বা সুপার বাসুকি মালগাড়ির মতো আপনার দীর্ঘ পুনশ্চ পড়বোই বা কেন? কী লাভ? তা অবশ্য ঠিক, তবে বিগত ৭৭ বছর ধরে এতোবার লাইন দিয়ে তর্জনীতে কালি লাগিয়েই বা কী লাভ হয়েছে? যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ (অথবা পূতানা) মেগা সিরিয়াল তো হয়েই চলছে। তবু তো অনেকে যায় আঙ্গুলে কালি লাগাতে। উঠতি লেখককে উৎসাহ দিতে না হয় দেখলেন একটু পড়ে। ভালো লাগলে এগোবেন। না হলে ছেড়ে দেবেন ... ...
‘জামবনি থানা?’ ‘হ্যাঁ, কে বলছেন?’ ‘স্যার, গড়বেতা থেকে দুটো গাড়িতে ১০-১২ জন প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জামবনি গেছে ভোট করাতে। গাড়ির নম্বর দুটো লিখে নিন।’ ‘আপনি কে বলছেন?’ ‘স্যার, নাম বলতে পারব না। এটুকু বলছি, আমিও সিপিআইএম করি। গড়বেতায় থাকি। গড়বেতার সিপিআইএম অফিস থেকে দু’গাড়ি সশস্ত্র লোক আজ ভোরবেলা জামবনিতে গেছে। গাড়ির নম্বর আপনাকে বললাম। আপনি দেখে নিন।’ ... ...
মেঠোবই – বাঙলার জীববৈচিত্র্য পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র্য পর্ষদ ... ...
সন্তান নেওয়ার ব্যাপারেও অরুণাভর ইচ্ছে বা অনিচ্ছে কোনওটাই ছিল না। বিনীতার জেদেই তারা আজ বাবা-মা। কিছু বললেই অরুণাভ বলবে, “তুমি কর না যা মন চায়, আমি কিছু বারণ করেছি?” বারণ করা বা না করার ব্যাপার নয়, এই মানুষটার সব কিছুতে নির্লিপ্ত থাকাটা বিনীতা আর নিতে পারছে না। চোদ্দ বছর হয়ে গেছে। এইসব নানা কারণে ওর মন-মেজাজ প্রায়ই ভাল লাগে না। তবে ওর সাথে ঝগড়া করেও লাভ নেই। তবুও মাঝে মাঝে শুধু কথা বলার জন্যই বিনীতা ঝগড়া করে। সেটাও নয়, আসলে এক তরফা বকে যায় বিনীতা, অন্য দিক থেকে কিছু উড়ে আসে না। ... ...
এই তমসাচ্ছন্ন তামাশাকালে আমার মতো আত্মকেন্দ্রিকের (এখনো অবধি) কিছু এসে যায় না। ক্রনিক আমাশার মতো মাঝেমধ্যেই ঘুরেফিরে আসা তামাশা দেখে আমি তাই একান্তে বসে পাল্লা দিয়ে করে যাই এন্তার মস্করা, নইলে নিয়ত এসব দেখে শুনে রাতে ঘুমানো দায় ... ...
ভোটের মরশুমে দেখে যাও শুধু জনতার দরবারে নেতা নেত্রীদের চাপানউতোর আর প্রতিশ্রুতির প্লাবন। এমন রঙিন তামাশা অতীতে বাবুদের নাচমহলে বাঈজীর ঘাঘড়া ঘুরিয়ে খ্যামটা নাচনকেও হার মানায়। জনতন্ত্রের এমন আন্ত্রিকে আক্রান্ত অবস্থা দেখে ভারাক্রান্ত হয় মন। বলে নাকি Politics is the last resort of scoundrels. এসব দেখেশুনে আমার তিক্ত মনের শুশ্রূষায় Humour is the panacea in despair. ... ...
আশির দশকে যাদবপুরের কয়েকটি ছাত্রছাত্রী শুশুনিয়া পাহাড়ে গেছে শৈলারোহণ অভ্যাস করতে - সেই ভিত্তিতে এই আখ্যান … ঈশুর হাত ধরে টেনে বসায় সুমন। "আচ্ছা বাবা, ঘাট হয়েছে। এই হচ্ছে ফেমিনিস্টদের নিয়ে মুশকিল। এতো সিরিয়াস কেন তোরা? রসিকতাও বুঝিস না। তুম চলে যায়োগে তো ইয়ে পুনম ভি অমাওস মে বদল যায়েগী" - নাটকীয় ঢঙে চাঁদের দিকে হাত তুলে দেখায় সুমন। আগামীকাল পূর্ণিমা। তখন তার ঔজ্জ্বল্য চোখ ধাঁধানো। কটমট করে তাকায় ঈশু সুমনের দিকে। কিন্তু সেই দৃষ্টিতে আপাত উষ্মার আড়ালে কি প্রহেলিকাময় সূক্ষ্ম প্রশ্রয়ও লুকিয়ে আছে কুহেলিকার মতো? নাকি তা নিছকই সুমনের বিভ্রম! সুমনের নাটুকেপনা দেখে তুলি আর চুনি খিল খিল করে হাসছে। এবার হেসে ফেলে ঈশুও। সেই দূর্লভ ঐশ্বর্যময় হাসি! কালাহারিতে ইলশেগুঁড়ি! এমন কিছু মাধূর্যের চকিত ঝলক দেখার আশাতেই তো সুমন এসব চ্যাংড়ামি করে ... ...
দেওয়ালে প্লাস্টিক ইমালশন, তাতে ঝুলছে দূর্বোধ্য ছবি, নিয়মিত ডাস্টিং করা ঝাঁ চকচকে আসবাব, ওয়াল ক্যাবিনেটের মাঝে ৫৬ ইঞ্চি এলইডি টিভি, দুপাশে দাঁড়িয়ে লম্বকর্ণ জিরাফকন্ঠী বাঁকুড়ার বিখ্যাত ঘোড়া .... এমন মিউজিয়াম সদৃশ বাড়িতে থাকতে আমার দমবন্ধ লাগে। এমন বাড়ির ফুলকাটা ফলস্ সিলিংয়ে মাকড়সাও পেটে ডিম নিয়ে চারদিকে আটপায়ে দৌড়ে মরে ভাগ্যকে গাল পেড়ে - কেন যে মরতে ঢুকেছিলাম এ বাড়িতে! এখন নেক্সট জালটা কোথায় পাতি রে বাবা! প্রতি হপ্তায় তো ভ্যাকুয়াম ক্লীনার দিয়ে আপদ চাকরটা শোঁক শোঁক করে টেনে নেয় সব জাল। এদিকে লালা তো শুকিয়ে কাঠ! ... ...
এত বছর ধরে ভোটের আগে নেতা-মন্ত্রীদের আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি ও ভোটের পরে ন্যূনতম অধিকারগুলি হারানোর গোলক ধাঁধায় চক্কর খেয়ে মানুষ আজ ক্লান্ত। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলির রাজনৈতিক সাংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রচারের হিসেব-নিকেশ দেখে ভোট দিয়ে পরিবর্তনের আশা ক্রমাগত হারিয়ে ফেলছে মানুষ। তবে এই নির্বাচনে কেবল ভোটের হার কমছে যে, এমনটা নয়। 'নতুন ভারত'-এর অষ্টাদশ লোকসভার সময়ে এসেও গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকা, রাস্তা তৈরি না হওয়া, জল না আসায় পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা জেলার কয়েকটি গ্রামের বহু শ্রমজীবী-কৃষিজীবী মানুষেরা একত্রিত হয়ে এবারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন না করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, 'ভোট বয়কটে'র ডাক দিয়েছেন। ... ...
সে প্রায় ১১২ বছর হতে চলল, ১৯১২ সালের ১২ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল ‘রয়েল মেল শিপ (আর এম এস) টাইটানিক’। সেই সময়ের সবচেয়ে জমকালো জাহাজের যাতার স্থায়ী হয়েছিল মাত্র দুই দিনের মত। ১৪ই এপ্রিল রাত ১১.৪০ নাগাদ টাইটানিক প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিবেগে গিয়ে ধাক্কা দিল এক বিরাট হিমশৈল-তে যার ওজন ছিল দেড় লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টনের মত। তারপর মাত্র দুই ঘন্টা চল্লিশ মিনিট – তার মধ্যেই উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে গেল সেই সময়ের বিষ্ময়ের প্রতীক টাইটানিক। জলের তাপমাত্রা তখন খুবই কম, চার ডিগ্রীর মত। বিজ্ঞান বলে এই তাপমাত্রায় মানুষের ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশী বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। টাইটানিকে যাত্রী ছিল ২০০০ এর কাছাকাছি, এর মধ্যে সেই দিন মারা গিয়েছিল প্রায় ১৫০০ এর মত – এবং বেশীর ভাগই প্রবল ঠান্ডা জলে থাকার ফলে। মানে মৃত্যু সেই অর্থে জলে ডুবে ঠিক নয়। ... ...