এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • অযোধ্যা, কাশ্মীর এবং ভারতবর্ষ

    রৌহিন ব্যানার্জী
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৫ আগস্ট ২০২০ | ২৬০৯ বার পঠিত
  • ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে অন্ধকারতম দিন ছিল দীর্ঘদিন। সেদিন একদল বর্বর নেতার প্ররোচনায় এবং সক্রিয় অংশীদারিতে এবং আর-একদল মূঢ় নেতার নিজের কাজ করতে পারার ব্যর্থতায় কিছু মানুষকে উত্তেজিত করে ভারতীয় সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ পরিচয়টিকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল। এরপরেও স্বাধীন ভারত অনেক অন্ধকারময় লজ্জার দিন দেখেছে, কিন্তু অভিঘাতে এবং গুরুত্বে এই নীচতাকে অতিক্রম করতে লেগে গেছে প্রায় ২৩ টি বছর—৯ নভেম্বর ২০১৯, গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি (তৎকালীন) রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দিলেন, বিতর্কিত স্থানটিতে রামলালা বিরাজমান ট্রাস্ট-এর দাবিই মান্য হবে, পরিবর্তে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র পাঁচ একর জমি মসজিদের জন্য দিতে হবে।

    ভারতীয় বিচার বিভাগ ত্রুটিহীন নয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও তা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ বলেই স্বাধীনতার পর থেকে এতদিন দেখা গেছে। তাই সুপ্রিমকোর্টের রায়কে এককথায় ভুল বলে দেওয়াটা শুধু ধৃষ্টতা নয়, লঘুকরণও হয়। যদিও অন্য কেউ বলতেই পারেন যে রঞ্জন গগৈ-এর মতো মানুষের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়াটাই কি যথেষ্ট লঘুকরণ নয়? কিন্তু সে প্রশ্ন আমরা এখানে তুলতে চাই না কারণ প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও একটি টাইম টেস্টেড পদ্ধতি আছে এবং গগৈ সেই পথেই সেই আসনটিতে বসেছেন। সেই পদ্ধতিকে প্রশ্ন করার জন্য এই প্রতিবেদন নয়। তাই আমরা সমালোচনায় ঢোকার আগে রায়টি একটু খুঁটিয়ে দেখব।

    প্রায় এক হাজার পাতার রায়ের খুঁটিনাটি দিয়ে এই লেখা ভারাক্রান্ত করার কোনো মানে হয় না, এখানে সম্পর্কিত কয়েকটি অংশ ছোটো করে তুলে দিচ্ছি আলোচনার সুবিধার জন্য। পুরো রায় কেউ পড়তে চাইলে ইন্টারনেটে সবই পেয়ে যাবেন।

    The Court ruled that the Demolition of the Babri Masjid and the 1949 desecration of the Babri Masjid was in violation of law.
    The Court observed that archaeological evidence from the Archaeological Survey of India shows that the Babri Masjid was constructed on a ‘structure’, whose architecture was distinctly indigenous and non-Islamic.

    The ruins of an ancient religious structure under an existing building do not always indicate that it was demolished by unfriendly powers, the Supreme Court held in its 1,045-page judgment in the Ayodhya case.35

    The court observed that all four of the Janamsakhis (biographies of the first Sikh guru, Guru Nanak) state unambiguously and in detail that Guru Nanak made pilgrimage to Ayodhya and offered prayers in the Ram temple in 1510–11 AD. The court also mentioned that a group of Nihang Sikhs performed puja in the ‘mosque’ in 1857.36

    The Court said that Muslim parties, including the Sunni Waqf Board, failed to establish exclusive possession of disputed land. It said that the Hindu parties furnished better evidence to prove that Hindus had worshipped continuously inside the mosque, believing it to be the birthplace of the Hindu deity Rama. The Court cited that iron railings set up in 1856–57 separated the inner courtyard of the mosque from the outer courtyard, and that Hindus were in exclusive possession of the outer courtyard. It said that even before this, Hindus had access to the inner courtyard of the mosque.

    এই অংশগুলি, বিশেষত শেষ অনুচ্ছেদটি একটু ভালো করে লক্ষ করতে অনুরোধ করব। এখানে স্পষ্টই বলা হয়েছে ‘হিন্দু পার্টি’ ‘বেটার এভিডেন্স’ দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে তাঁরা চিরদিনই ওই মসজিদের ভিতর পুজো করে এসেছেন ওখানেই রামের জন্মভূমি এই ‘বিশ্বাসে’। এর পাশাপাশি আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী ওই মসজিদের নীচে একটি প্রাচীন স্থাপত্য পাওয়া গেছে যেটি ইসলামিক স্থাপত্য নয় এবং প্রাচীনতর—যদিও সেটি মন্দিরই কি না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়।

    রায়টি হল ‘বেটার এভিডেন্স’ এবং হিন্দু পার্টির ‘বিশ্বাস’-এর ভিত্তিতে। আমি আইনজীবী নই, খুব আলোচিত ছাড়া অন্য সব কেসের খবর রাখি না—আমার সীমিত জ্ঞানে এভাবে এক পার্টির ‘বিশ্বাস’-এর ভিত্তিতে কোনো দেওয়ানি মামলার রায় দেবার ঘটনা আমার জানা নেই। আপনারা কেউ জানলে সেটা আলোচিত হতেই পারে।

    রায়ের আগের অংশে আদালত জানিয়েছেন যে ‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস’ করার কীর্তিটি বেআইনি ছিল (ইন ভায়োলেশন অফ ল)। কিন্তু সেই বেআইনি কাজের জন্য কারও কোনো শাস্তিবিধান হয়নি, এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো আজ, ৫ আগস্ট ২০২০, অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপূজন অনুষ্ঠানে উপস্থিতও থাকবেন। হ্যাঁ আজ সেই দিন, ৫ আগস্ট। পাঠকের মনে থাকতে পারে আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই দিনটিতেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। না, সারা দেশে যে আইন চলে তা কাশ্মীরে চালু হয়নি, সেখানে সার্বিক লকডাউনের আজ বর্ষপূর্তি। আপনি আমি লকডাউনে তাও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত আছি, ভাবনার আদানপ্রদান করতে পারছি—কাশ্মীরবাসী সেটুকুও পাননি বৃহত্তম গণতন্ত্রের একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে। আর আজ ধর্মনিরপেক্ষ সার্বভৌম দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে তাবড় মন্ত্রীরা ছুটছেন একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের একাংশের অ্যাজেন্ডা পূরণের উৎসবে। ১৫ আগস্টের আগে ৫ আগস্টকেও গণতান্ত্রিক ভারত মনে রাখবে এখন থেকে, অন্য পারপাসে।

    স্বয়ং অযোধ্যাবাসীর আজকের অনুষ্ঠান নিয়ে বক্তব্য কী? বাইরে থেকে জানা খুবই কঠিন, কারণ আজকের অনুষ্ঠানের আগে আদিত্যনাথের পুলিশ অযোধ্যাকে নিরাপত্তার বলয়ে প্রায় মুড়ে দিয়েছে। মাত্র দুটি প্রতিক্রিয়া আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি—একজন, রামমন্দিরের ঠিক পার্শ্বস্থিত রাম-জানকি মন্দিরের মহান্ত শ্রী যুগলকিশোর শাস্ত্রী, অন্যজন আজকের অনুষ্ঠানের কারণে উচ্ছেদ হওয়া একটি চায়ের দোকানের মালকিন রজনী। মূল লিঙ্কটি লেখার নীচে দেওয়া রইল পাঠকের সুবিধার্থে।

    যুগলকিশোর শাস্ত্রী নিষ্ঠাবান হিন্দু এবং একটি মন্দিরের মহান্ত হলেও বিজেপি এবং সংঘের রাজনীতির একজন কট্টর সমালোচক। উত্তরপ্রদেশ সরকার নোটিশ দিয়ে ভূমিপূজার অঙ্গনে ‘যুগলকিশোর শাস্ত্রী এবং অন্যান্য’দের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। কী বলছেন শাস্ত্রীজি? তিনি বলছেন, এই অনুষ্ঠান নিয়ে একমাত্র ব্রাহ্মণ গোষ্ঠী ছাড়া অযোধ্যার সাধারণ মানুষ আদৌ খুশি নন, বরং তাঁরা এই অতিমারির সময়ে এই ধরনের জমায়েত নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত। দীর্ঘ লকডাউনে বহু মানুষ রুজিহীন, তাদের জীবিকার কোনো সুরাহা হবে কি না তাঁরা জানেন না। উচ্ছেদ হওয়া দোকানদার রজনী জানিয়েছেন, উচ্ছেদের দুই দিন আগে ওই রাস্তা ‘পরিষ্কার’ করা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হলেও দোকান ভেঙে দেওয়া হবে একথা কেউ জানাননি। এখনও পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া দোকানগুলি বা ব্যবসায়ীদের জন্য কোনোরকম ক্ষতিপূরণও সরকার ঘোষণা করেননি। রজনী জানাচ্ছেন, তিনি তাঁর প্রায় সব জিনিসই উদ্ধার করতে পেরেছেন ভাঙা দোকান থেকে এবং এখন অন্যত্র কোথাও নতুন করে দোকান করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন যে যেহেতু ওঁদের রাস্তাতেই রুজিরোজগার তাই করোনা ভাইরাসকে ওঁরা ভয় পান না—খিদেয় মরার চাইতে অসুখে মরা ওঁর কাছে অধিক গ্রহণীয়। যুগলকিশোর শাস্ত্রী আরও অনেক অযোধ্যাবাসীর মতোই আজ সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালাবেন না।

    https://en.m.wikipedia.org/wiki/2019_Supreme_Court_verdict_on_Ayodhya_dispute

    https://www.hindusforhumanrights.org/blog/ayodhya-hindu-priest-will-not-be-lighting-lamps-on-august-5th?fbclid=IwAR24JAiQX2HzuSS4cmp8QOFM72tx4CyotUOwMe-Fm4udhym87VBJTLzQnz4



    থাম্বনেল গ্রাফিক্স: স্মিতা দাশগুপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ আগস্ট ২০২০ | ২৬০৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    খুশি - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নন্দিতা চৌধুরী | 45.113.91.43 | ০৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:৩১96036
  • অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক লেখা । খুব ভালো লাগলো । আরও পড়তে চাই ।

  • রৌহিন | ০৮ আগস্ট ২০২০ ১২:২৪96052
  • করোনা, অযোধ্যা, এসব নিয়ে বেশ চলছে। আমরা দিব্যি ভুলে গেছি যে এই সুযোগে বেচে দেওয়া হচ্ছে বনভূমি, আমাদের নিঃশ্বাসের অক্সিজেন। বেচে দেওয়া হচ্ছে পরিষেবা। 

    আরো একটা স্বাধীনতা দিবস এসে পড়ল। কর্পোরেটগুলি প্রস্তুত হচ্ছে উদযাপনের জন্য

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন