এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ফাঁসি চাই, ফাঁসি

    Prativa Sarker লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫১৩৮ বার পঠিত
  • না না ঝগড়াঝাঁটির কোনো দরকার নেই। একটু মন দিয়ে কথাক'টি শুনে, ভদ্রভাবে যা বলার বলে দিলেই হলো। তা নয়, ধুমকেতুর মতো ছুটে এসে ভাঁটার মতো চোখ ঘুরিয়ে, 'নিজের হয়নি তো, তাই এতো বড় বড় কথা', এসব বলার দরকার নেই। আমারও নিজের হয়নি, আপনারও না। নিজের হলে তখন যুক্তিবুদ্ধি খাটে না, মানুষ হয় পাগল নয় পাথর হয়ে যায়। সে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগে। অনেকের আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো খুনের নেশা চড়ে ; তবে কেউ কেউ পারে অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে। আমাদের দেশেই আছে এমন উদাহরণ।

    বলছিলাম ঐ মৃত্যুদন্ডের কথা। আমাদের মতো মধ্যযুগীয় দেশে সর্বোচ্চ দন্ড যাবজ্জীবন হলে খুব আপত্তি আছে ? থাকলে কেন ? মৃত্যুদন্ড কী উদ্দেশ্য সাধন করে ? অপরাধ কমায় ? নাকি সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে ?

    কোনটাই করে না। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ এতোদিন কমে যেতো তাহলে। খুনখারাপিও। আর সামাজিক ন্যায় ? মৃত্যুদন্ড উল্টোটা প্রতিষ্ঠা করেই ফেলেছে এ দেশে। দলিত, সংখ্যালঘু, পিছড়ে বর্গ, গরীব, হা ঘরে না হলে যতোই পাপ করো তোমার মৃত্যুদন্ড হবে না। এই সামাজিক অসাম্যকে গভীর ও ব্যাপ্ত করবার একটা অস্ত্র হচ্ছে মৃত্যুদন্ড, একথা প্রমাণে ব্যবহার করা যায় পরিসংখ্যান ও অজস্র উদাহরণ। স্বয়ং এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভাষায় ভারতে মৃত্যুদন্ড হচ্ছে ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক এক লটারি - "a lethal lottery".

    বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধে মৃত্যুদন্ড হবার কথা। তাহলে ৬৯ জন জ্যান্ত মানুষকে বেগুনপোড়া করে মেরে ফেললে কী শাস্তি হওয়া উচিত ? দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে বাঁচার জন্য অনেকগুলো মানুষ প্রভাবশালী সাংসদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। আশ্রয়দাতাকে শুদ্ধ সবক'টাকে নির্বিচারে পুড়িয়ে মারা হলো। অপরাধীরা ধরাও পড়ল। আদালত বললো সভ্য সমাজের অন্ধকারতম দিন সেই দিন। তারপরেও সাজার খবর বেরলো দীর্ঘ ১৪ বছর আদালতে চক্কর কাটবার পর। অপরাধীদের মধ্যে ১১ জনের যাবজ্জীবন, ১জনের দশ বছরের সাজা, আর ১২ জনের সাতবছরের জেল। নিশ্চয়ই বুঝেছেন আমি গুলবর্গা সোসাইটি ম্যাসাকার কেসটির কথা বললাম এতোক্ষণ। মায়া কোদনানি এবং বাবু বজরঙ্গীর মতো ভয়ংকর প্রভাবশালীরা ছিল এই অপরাধী তালিকায়।

    ন্যায়ের দেবীর নাকি দুচোখ বাঁধা থাকে কৃষ্ণবর্ণ বস্ত্রখন্ডে নিরপেক্ষতার খাতিরে ? তাঁর হাতের সত্যনিষ্ঠ তুলাদন্ড নাকি কারো দিকে বিন্দুমাত্র ঝোঁকে না?

    তাহলে নিঠারি কেসের মণিন্দর সিং পান্ধের কী হলো ?
    গরীব বাঙালির বসতি নিঠারি এলাকায়। লোকের বাড়িতে কাজ, ঠেলা বা রিকশা চালানো মানুষগুলোর অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চারা একের পর এক নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছিল। পান্ধেরের গৃহভৃত্য সুরিন্দর কোলিকে সেই হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের অনেকের সঙ্গেই একান্তে কথা বলতে দেখা গেছে। কিন্তু পুলিশ তা শুনলে তো। বাচ্চা-হারানো বাপ মায়েদের কান্না শুনে তারা যাবে পান্ধেরের মতো বড়লোক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে?
    রিম্পা হালদার নামে এক চোদ্দ বছুরে একদিন আর ঘরে ফিরলো না, তার পরে পরে পায়েল নামে বিশ বছরের এক তরুণী। এইবার লোকেরা পান্ধেরের বাড়ির চারপাশ খুঁজতে শুরু করল। ড্রেণ থেকে উঠে এলো ছিন্ন মুন্ডু, গলিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আর পলিপ্যাকে জড়ানো নাড়িভুঁড়ি। শিশুগুলোকেও গলা কাটার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। কোলির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যৌন লাঞ্জনার পর গলা টিপে মেরে সে মৃতদেহ নিখুঁত তিন টুকরোয় কাটতো। তারপর যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তার জিভে স্বাদু বলে মনে হতো, যেমন মানুষের লিভার, সেগুলো সে খেতো, বাদবাকিটা পেছনের ড্রেণে ছুঁড়ে ফেলতো।
    নির্ভয়ারও একবছর আগের ঘটনা, ইতোমধ্যে বেশির ভাগ কেস থেকে মনিব খালাস পেয়ে গেছে, ভৃত্যটি হয়তো যাবজ্জীবন।
    এটি কী রেয়ারেস্ট অব রেয়ার কেসেস নয় ?

    জানি জানি দুটো অন্যায়ের মধ্যে তুলনায় কোনোদিন ন্যায় প্রতিষ্ঠা পায় না, কিন্তু মৃত্যুদন্ডের অন্ধকারকে বুঝতে হলে এর দরকার আছে। দেশের বিচারব্যবস্থার তো গরীব বড়লোক, উঁচু জাত নীচু জাত, হিন্দু মুসলমান, কিছুই দেখবার কথা নয়, কিন্তু মৃত্যুদন্ডের বেলায় দেখা যাচ্ছে এই দন্ডটি দেবার কোনো সাধারণ সর্বজনগ্রাহ্য নিয়ম নেই। বরং দন্ডদাতা, এক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থা ও রাষ্ট্র, নিজের খেয়াল খুশি মতো (subjective and selective) এটিকে ব্যবহার করছে। এমনকি অনেকসময় অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে লোকের চোখ ফিরিয়ে নিতেও এই দন্ডটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৯৩.৫% মৃত্যুদন্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত হয় দলিত, নয় মুসলমান। রাষ্ট্র দড়িতে ঝুলিয়ে দেবে বলে সলিটারি সেলে যারা দিন গোণে তাদের ৭৫% সমাজের খুব গরীব অংশের মানুষ। গোটা বিশ্বে ১০২টি রাষ্ট্রে মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ। মাত্র ৫৮ টি দেশে ছাড়া অন্যত্র এর চল নেই। যেহেতু সংশ্লিষ্ট অপরাধ কমাতে ও সামাজিক ন্যায় দিতে মৃত্যুদন্ড ব্যর্থ, যেহেতু মানবিক অধিকারের একেবারে গোড়ায় আঘাতের জন্য কুখ্যাত এই দন্ড, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে নাগরিকদের মধ্যে এর বিলুপ্তির জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু হোক।

    এতোদিন মৃত্যুদন্ড যদি জুডিশিয়াল মার্ডার হয়ে থাকে, তাহলে এখন তা হয়ে যাচ্ছে পলিটিকাল মার্ডার। অর্থনীতি তছনছ হয়ে গেছে, কর্মসংস্থান নেই, কৃষি, কারখানা, সব বরবাদিতে, বেশ তো চলো ঘৃণার চাষ করি। ধর্মীয় ঘৃণা থেকে দাঙ্গা, আর সামাজিক ঘৃণা থেকে এনকাউন্টার। ব্যস জনগণের জাগ্রত বিবেক কিছুদিনের জন্য ঠান্ডা।
    জেলের ভেতর যৌন নিপীড়ন ( একজন তাতে মারাও গেছে), মানসিক পীড়ন, যন্ত্রণায় মাথা ঠুকে মরতে চাওয়া, কোনটাই নাকি যথেষ্ট নয়। তাই ফাঁসির দিন ক্রমশ পেছোয়। যেদিন ফাঁসি হবে সেদিন টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে ক'টি জিন্দা লাশ। অর্ধমৃত। কেউ বা আতঙ্কে অজ্ঞান। তাতে পূর্ণ হবে কেবল আমাদের প্রতিশোধ স্পৃহা আর রক্ত পিপাসা, যাকে গালভরা নাম দেওয়া হয়েছে সমাজের কালেক্টিভ কনসেইনশ বা একীভূত বিবেক।

    সত্যি যদি বিবেক থাকতো তাহলে এতোদিন রাস্তা, আলো, শৌচাগার, ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট ইত্যাদির দাবীতে সমাজ চূড়ান্ত বিক্ষোভ ফেটে পড়তো।

    আসলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু ঠাহর করুন। শ্বদন্ত দেখতে পাবেন। আমরা বুদ্ধ, যীশুর নয়, ড্রাকুলার উত্তরাধিকার বহন করে নিয়ে চলেছি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫১৩৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    খুশি - Suvasri Roy
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:১৫91025
  • এই লেখাটি পোস্ট করার পর দেখলাম সমস্ত প্যারা বিভাজনগুলি উড়ে গেল। নতুন করে শুধরে নেব এরকম উপায়ও দেখতে পেলাম না।
  • tester | 162.158.255.249 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫০91027
  • ঠিক হয়েছে
  • pi | 141.101.98.9 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:০২91031
  • একেবারেই মনের কথাগুলো সব লিখে দিয়েছ, প্রতিভাদি!
  • সুমনা সান্যাল | 162.158.167.117 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৪৪91037
  • নির্ভয়ার আসামীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে, কেন এত দেরি হচ্ছে ঝুলিয়ে দিতে বলে যারা ক্ষোভে উল্লাসে ফেটে পড়ছে, যারা প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির আসামীদের এনকাউন্টার সমর্থন করছে, যারা বলছে ওদের পাবলিকের হাতে ছেড়ে দিন, মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে সওয়াল করা মহিলা উকিলকে যারা ধর্ষণের চেতাবনি দিচ্ছে, তারা কিন্তু কখনো নিঠারি কেসে এই উদ্বেগ দেখায়নি। ধনঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন মীরা ভটচায্যি। ধনঞ্জয় ঝুলে পড়লো। তারপরেও এ রাজ্যে কামদুনি হয়েছে, প্রমীলা বর্মন হয়েছে। প্রতিভাদি একদম ঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছেন। ফাঁসি কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থান, সামাজিক, ধর্মীয় অবস্থান দেখেই হচ্ছে। আরুশী মামলায় নির্বিঘ্ন জামিন মঞ্জুর হলো ডাক্তার দম্পতির। সব চলতা হ্যায়। বড়ে বড়ে দেশ মে এ্যাইসি ছোটি ছোটি বাত হোতে রহেতে হ্যায়। সব চাঙ্গাসি
  • Anamitra Roy | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৫৭91038
  • দারুন লেখা প্রতিভা দি।
    কিন্তু গুলবার্গ সোসাইটি টা গুলবর্গা হয়ে গেছে মনে হয়। নাকি গুলবর্গা-ই নাম আসলে?
  • রৌহিন | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:১৬91039
  • এই কথাগুলোই অনেকদিন ধরে বলতে চেয়েছি - বলেওছি বারবার। এই প্রসঙ্গে আমার ২০১৭ র একটা ব্লগের লিঙ্ক রইল। প্রতিভাদির প্রতিটা লাইনের সাথে সহমত।

    নিঠারী, চিন্ময়ানন্দ, সেঙ্গারদের ফাঁসি দেবার মত ধক আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের নেই - তাই সে দলিত, সংখ্যালঘু এবং দরিদ্র মানুষের ওপর নিজের ক্ষমতা দেখায়

    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=14916

  • বিপ্লব রহমান | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৫৩91040
  • "মৃত্যুদন্ড কী উদ্দেশ্য সাধন করে ? অপরাধ কমায় ? নাকি সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে ?" 

    প্রশ্নগুলো সহজ। আর উত্তরো তো জানা... 

  • | 172.69.134.176 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:২৯91041
  • এমনিতে প্রায় গোটা লেখাটার সাথেই একমত। ভারত রাষ্ট্র হিসেবে অপেক্ষাকৃত দুর্বলের উপরেই চড়াও হয়।

    পুরোটার সাথে একমত হতে পারছি না কারণ পবন মুকেশদের হাল্কা উল্লেখ দেখলাম। তো এখানে কথা হল মৃত্যুদন্ড তোলার ব্যপারটা একটা আদর্শিক অবস্থান এবং আলাদা আন্দোলনের দাবী রাখে। এক একটা কেস ধরে বলা যায় না যে এদের ফাঁসি দিও না। সেক্ষেত্রে এক আধটা ক্ষেত্রে রদ হলেও (অবধারিত সেখানেও ক্ষমতাবান অগ্রাধিকার পাবেই), অনেক কেসেই রদ হবেও না।

    জ্যোতিসিঙের (আমি নির্ভয়া লিখবই না) কেসের অবিশ্বাস্য নির্মমতা হিংস্রতা আমি তার আগে কোন সাধারণ অরাজনৈতিক কেসে দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। এই কেসের দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গড়িয়ে গেছে সাত বছর। এর মধ্যে দেখে ফেলেছি ইন্ডিয়াজ ডটার নামক তথ্যচিত্রটি। সেখানে দেখেছি এই আক্রমণকারীরা বুঝতেই পারছে না একটা বেয়াদপ মেয়েকে শায়েস্তা করার জন্য ওদের কেন শাস্তি হবে? তো এই যে চিন্তাধারা এইটা আমার কাছে অনেক বেশী চিন্তার ভয়ের। ফাঁসি দিয়ে বা না দিয়ে কোনোভাবেই কি এটা বদলানো যাবে?
    আদৌ কি বদলানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
    জ্যোতিসিঙের পরে যোনীতে ফরেন বডি ইন্সার্ট করিয়ে অত্যাচারের আরো কতগুলো কেস এসেছে তার সঠিক সংখ্যা মনেই করতে পারছি না।
    এই চারজনকে মৃত্যুদন্ডের বদলে অন্য কোন শাস্তি দিলে এরা এই অপরাধ আবারও করবে না, আবারো কোন বেয়াদপ মেয়েকে বা শিশুকে শায়েস্তা করতে চাইবে না সেটা কী ভাবে এনশ্যিওর করা হবে?
    এদের ফাঁসি দিলেও আরো শত সহস্র পবন অক্ষয়রা এই কাজ কিরবে না সেটাই বা কীভাবে এনশ্যিওর কিরা হবে?

    শেষে, মৃত্যুদন্ড রদেরভদাবী কেস নিরপেক্ষভাবে উঠুক, জোরে উঠুক।
  • প্রতিভা | 162.158.159.89 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:১৮91043
  • গুলবার্গ সোসাইটি, অনমিত্র।
  • প্রতিভা | 162.158.159.89 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:১৯91044
  • দময়ন্তী,

    Damayanti Talukdar অবিশ্বাস্য নির্মমতা তো নিঠারি কেসেই ছিল। পান্ধের অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে ডিলি ড্যালি চলছে এও তো মোটামুটি সবাই জানে। এটা পুরো অরাজনৈতিক। লক্ষ্মণপুর বাথ, বেস্ট বেকারি, গর্ভের ভ্রূণ চেরা, সব একসে বড়কর এক।
    আক্রমণকারীদের বোঝানোর জন্য কোনো চেষ্টা তো হয়নি। তারা জন্মসূত্রে যে ধারণা পেয়েছে যে সমস্ত মেয়েই ভোগ্যা সেটাই আঁকড়ে ধরে বসে আছে। কাউন্সেলিং দরকার ছিল। এটা যে হয়নি সেটাও একটা ইন্ডিকেটর যে ফাঁসি দেওয়া আগে থেকেই নির্দিষ্ট। ফাঁসি আর মুক্তি ব্যাপারটা এইরকম নয়। ব্যাপারটা ফাঁসি আর যাবজ্জীবন। অনেকে আবার ট্যাক্সের টাকায় বিরিয়ানি খাওয়াব এই প্রশ্ন তোলেন। প্রত্যেক সশ্রম সাজাপ্রাপ্তকে জেলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়।
    ফাঁসি বা এনকাউন্টার কোনো সমাধান নয়। বরং বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। নির্দোষীর সঙ্গেও।
  • রৌহিন | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৮91045
  • এনকাউন্টার ফাঁসির চেয়েও খারাপ। যারা এনকাউন্টার করে তারা আদৌ ধর্ষিতার প্রতি সহমর্মিতা থেকে করে না - ধর্ষকের প্রতি নির্মমতা থেকে করে। এবং তাদের চোখে ধর্ষক আর বিপ্লবী (যাদের ওরা "রাষ্ট্রদ্রোহী" বলে) একই। একই রকম নির্মমতা যার পোশাকী নাম "পেশাদারিত্ব"। একে একবার লেজিটিমেসি দিলে আমার তোমার যে কারো সঙ্গে যে কোন ছুঁতোয় ওরা এটা ব্যবহার করবেই 

  • | 172.69.134.116 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১৪91048
  • এনকাউন্টার কে সাপোর্ট করল? বা সাজেস্ট করল??
    আমি তো করি নি।

    আমি বলছি মৃত্যুদন্ড রদের দাবীটা আলাদাভাবে সর্বাত্মক আনদোলন হিসেবে উঠে আসুক। কেস সাপেক্ষে নয়।
  • শিবাংশু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:১৯91049
  • বাইরে ছিলুম। লেখাটি আজই পড়লুম। কিমাশ্চর্যম, গতকালই ঝাড়খণ্ডের রাজধানীতে 'সাত জার্মানে'র সঙ্গে একাই লড়লুম এই সমস্ত হিসেবপত্র নিয়ে। কিন্তু মগজ বন্ধক থাকলে সবই মহিষের চরণে নিবেদিত মালকোষ রাগ। তবু, এটা চালাতে হবে। হবেই...
  • প্রতিভা | 162.158.154.132 | ২০ মার্চ ২০২০ ১২:২৪91605
  • আজ ভোর ভোর চারজন নিকেশ হল। কী দুর্ভাগ্য করোনা সব ফুটেজ খেয়ে নিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন