![]() বইমেলা হোক বা নাহোক চটপট নামিয়ে নিন রঙচঙে হাতে গরম গুরুর গাইড । |
স্বপ্ন
Zarifah Zahan
একটা স্বপ্ন দেখি প্রায়। বহুদিন ধরে। বারবার। ঘুরে ফিরে। ঘুমিয়ে থাকা প্যাশনের মত, গৃহপালিত আলতুসি অভ্যেসের মত। সোহাগজন্মা। বালিশটা-খাটটার ঝুললাগা বয়সকাল থেকে সে প্রেমের উৎস। ধুলোবালি-বালিধুলো।
এক চিলতে ঘাসজমিতে মেহজাবিন ভালবাসা আঙুলে জড়িয়ে নিয়েছে, জন্মান্ধপ্রেমিক কিছু জংলাগাছ। ওদের পাতার ফাঁকে, ডালের ফোঁকরে গন্ধরাজ-নয়নতারার আলগোছে কেটে কেটে এসে পড়ে হলদে-গোলাপি রোদ। আকাশ চিরে যতটুকু আরাম আয়েশ করে, তারা কিৎকিতের খোপ আঁকবে বলে তুলি টানে কয়েক পোঁচ আলো-অন্ধকারে। সেই যে ঘোর-ঘোর নেশা, সাদা-কালো নকশা চিরে থলথল করে গলে যায় পিট্টু, সে নেশাতেই স্বপ্ন। সে নেশাতেই আরাম। মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছার মত রুবারু, অমোঘ পাখিয়াল।
তাকে মনে পড়ে ফ্ল্যাটবাড়ির বাক্সবারান্দায়। জংলাটুকু ছোট হতে হতে বিন্দু হয়ে যায় শখের অ্যালোভেরা টবে। 'তুমি-আমি' সংসারের সবেধন নীলমণি সে গাছ। যেরকম বিবর্তনে 'দাদু-দিদা-কাকু-কাকিমা' থেকে সংসার পা চালিয়ে 'বাবা-মা-ভাই-বোন' এর গন্ডি পেরিয়ে 'তুমি-আমি'র কবরখানায় নিঃশব্দ ফুল রেখে পাড়ি দিয়েছে ছায়াপথে, সেরকমই এক বিবর্তনে চাঁদদেখা আলোয় ইমনকল্যাণে ঠোঁট পুড়িয়েছিল এই জ্যামিতিহীন স্বপ্নবিন্দু। মিইয়ে যেতে যেতে অস্থির, অগোছালো, ফুরোনো দীর্ঘশ্বাস। আড়মোড়া ভেঙে চোখে মাখো মাখো জোৎস্না এনে আবার পাশ ফিরে শোয় জল-আয়নায়।
সেই যে হাওয়ায় পাতলা পলিথিনের দোল খাওয়ার ছন্দেও মুগ্ধবোল, চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে একটা আস্ত ওয়ান্ডারল্যান্ড বানিয়ে ফেলতে পারে, সে আমি ঘাড় গুঁজে 'অ্যামেরিকান বিউটি'কে চোখের সাদাকালোয় সর ডোবা রামধনুর হল্লাগুল্লার আগেই আবিষ্কার করেছি। ঐ পলিথিনটাকে মনে হত আমি, 'তুমি-আমি' ক্যানভাসের অবসেসড নায়িকা। নায়কও হতে পারে। তবে যেহেতু স্বপ্নটা আমার আর মানচিত্রে, ম্যাপ-পয়েন্টিং এ, একটু-আধটু গড়বড় হলে ছাড় দেওয়া নম্বরের মত ক্লিমেনসিতে আমি জলপট্টি চাওয়া হা'ভাতে মুখে সেই একঘেয়ে স্বপ্নজ্বরের মাধবীলতা আঁকতাম অপটু ছেঁড়া-ছেঁড়া ঘুমে, তাই পলিথিনটা, আপাতত ধরে নিলাম আমিই। ওর ভেতর পোরা হাওয়াটা বুঝি নার্সিসম। কখন কোন ফাঁকে তোষামোদগুলো পচেগলে মিশে গেছে আমিত্বের সাথে। ফুলে ফেঁপে পলিথিনবন্দি সে একচোখামির গায়ে শেষ বিকেলের রোদ পেছন থেকে হঠাৎ চোখ টিপে ধরলে ভৌতিক লাগে তাকে। ফ্যাকাশে। শূন্য। তারপর সে বিলাসিনী জেব্রা ক্রসিং পেরিয়ে উড়তে গিয়ে আচমকা আটকে যায় গাড়ির চাকায়। ঝুর ঝুর করে সাদাটে তোষামোদ, বিগত আমিত্ব চাকার দাগে ঢ্যারা কেটে লিখতে লিখতে চলে নষ্টগাঁথা।
আকাশ পরিষ্কার আজ। আদতে পাখিভাবা ডানা ছিল মাটির। হয়ত বা ছিলই না। স্বপ্নের পর ঘামে ভিজে গেছে ঘুম। ফেটে ফেটে যাচ্ছে, সাপের খোলসের মত, ছেড়ে চলে যাচ্ছে, মুখ থুবড়ে, একলা।
এক চিলতে ঘাসজমিতে মেহজাবিন ভালবাসা আঙুলে জড়িয়ে নিয়েছে, জন্মান্ধপ্রেমিক কিছু জংলাগাছ। ওদের পাতার ফাঁকে, ডালের ফোঁকরে গন্ধরাজ-নয়নতারার আলগোছে কেটে কেটে এসে পড়ে হলদে-গোলাপি রোদ। আকাশ চিরে যতটুকু আরাম আয়েশ করে, তারা কিৎকিতের খোপ আঁকবে বলে তুলি টানে কয়েক পোঁচ আলো-অন্ধকারে। সেই যে ঘোর-ঘোর নেশা, সাদা-কালো নকশা চিরে থলথল করে গলে যায় পিট্টু, সে নেশাতেই স্বপ্ন। সে নেশাতেই আরাম। মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছার মত রুবারু, অমোঘ পাখিয়াল।
তাকে মনে পড়ে ফ্ল্যাটবাড়ির বাক্সবারান্দায়। জংলাটুকু ছোট হতে হতে বিন্দু হয়ে যায় শখের অ্যালোভেরা টবে। 'তুমি-আমি' সংসারের সবেধন নীলমণি সে গাছ। যেরকম বিবর্তনে 'দাদু-দিদা-কাকু-কাকিমা' থেকে সংসার পা চালিয়ে 'বাবা-মা-ভাই-বোন' এর গন্ডি পেরিয়ে 'তুমি-আমি'র কবরখানায় নিঃশব্দ ফুল রেখে পাড়ি দিয়েছে ছায়াপথে, সেরকমই এক বিবর্তনে চাঁদদেখা আলোয় ইমনকল্যাণে ঠোঁট পুড়িয়েছিল এই জ্যামিতিহীন স্বপ্নবিন্দু। মিইয়ে যেতে যেতে অস্থির, অগোছালো, ফুরোনো দীর্ঘশ্বাস। আড়মোড়া ভেঙে চোখে মাখো মাখো জোৎস্না এনে আবার পাশ ফিরে শোয় জল-আয়নায়।
সেই যে হাওয়ায় পাতলা পলিথিনের দোল খাওয়ার ছন্দেও মুগ্ধবোল, চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে একটা আস্ত ওয়ান্ডারল্যান্ড বানিয়ে ফেলতে পারে, সে আমি ঘাড় গুঁজে 'অ্যামেরিকান বিউটি'কে চোখের সাদাকালোয় সর ডোবা রামধনুর হল্লাগুল্লার আগেই আবিষ্কার করেছি। ঐ পলিথিনটাকে মনে হত আমি, 'তুমি-আমি' ক্যানভাসের অবসেসড নায়িকা। নায়কও হতে পারে। তবে যেহেতু স্বপ্নটা আমার আর মানচিত্রে, ম্যাপ-পয়েন্টিং এ, একটু-আধটু গড়বড় হলে ছাড় দেওয়া নম্বরের মত ক্লিমেনসিতে আমি জলপট্টি চাওয়া হা'ভাতে মুখে সেই একঘেয়ে স্বপ্নজ্বরের মাধবীলতা আঁকতাম অপটু ছেঁড়া-ছেঁড়া ঘুমে, তাই পলিথিনটা, আপাতত ধরে নিলাম আমিই। ওর ভেতর পোরা হাওয়াটা বুঝি নার্সিসম। কখন কোন ফাঁকে তোষামোদগুলো পচেগলে মিশে গেছে আমিত্বের সাথে। ফুলে ফেঁপে পলিথিনবন্দি সে একচোখামির গায়ে শেষ বিকেলের রোদ পেছন থেকে হঠাৎ চোখ টিপে ধরলে ভৌতিক লাগে তাকে। ফ্যাকাশে। শূন্য। তারপর সে বিলাসিনী জেব্রা ক্রসিং পেরিয়ে উড়তে গিয়ে আচমকা আটকে যায় গাড়ির চাকায়। ঝুর ঝুর করে সাদাটে তোষামোদ, বিগত আমিত্ব চাকার দাগে ঢ্যারা কেটে লিখতে লিখতে চলে নষ্টগাঁথা।
আকাশ পরিষ্কার আজ। আদতে পাখিভাবা ডানা ছিল মাটির। হয়ত বা ছিলই না। স্বপ্নের পর ঘামে ভিজে গেছে ঘুম। ফেটে ফেটে যাচ্ছে, সাপের খোলসের মত, ছেড়ে চলে যাচ্ছে, মুখ থুবড়ে, একলা।
শেয়ার করুন |
আপনার মতামত দেবার জন্য নিচের যেকোনো একটি লিংকে ক্লিক করুন